এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

স্ত্রী সালমা বেগমকে হত্যার মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এনামুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কনডেম সেলে। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়রা জজের সেই রায়কে গুরুতর বেআইনি কাজ বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, সেটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল না। পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আসামি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। যা ৩০২ ধারায় নয়, ৩০৪ ধারার অপরাধ। ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা দায়রা জজের গুরুতর বেআইনি কাজ হয়েছে। এরই মধ্যে আসামির সাজা খাটা শেষ হওয়ায় অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে গত ২৩ নভেম্বর দেওয়া রায়ের কপি দুই বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে ১২ ডিসেম্বর ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে ১৪ ডিসেম্বর পাঠানো হয় ডেসপাস শাখায়। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তা পাঠানোর কথা বিচারিক আদালতে। এরপর তা যাবে সংশ্লিষ্ট কারাগারে। আর কারা কর্তৃপক্ষ রায়ের কাগজ পরীক্ষা করে আসামিকে মুক্তি দেবে। তবে ডেসপাস শাখায় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটি এখনো পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
রায় প্রকাশের এক মাস পরও তা কারাগারে না পৌঁছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব আদেশ বা রায়ই পাঠানো হয়। এটিও শাখা থেকে পাঠানোর কথা। তবে না পাঠানো হলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে ৩৯ পৃষ্ঠার ওই রায় রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্ত্রীকে খুনের কোনো পরিকল্পনা আসামির ছিল না। এটি আকস্মিকভাবে হয়ে গেছে। তাই হাইকোর্ট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেনি।’
এরই মধ্যে আসামির সাজা খাটার মেয়াদ পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে ছয় বছর তিনি থেকেছেন কনডেম সেলে। তাই অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, প্রসিকিউশন এমনকি আদালত কেউই এর দায় এড়াতে পারে না। সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। যাতে কারও ভুল বা অসতর্কতার কারণ কাউকে হয়রানির শিকার হতে না হয়।’
রায় এখনো না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে আদালতের সিদ্ধান্ত আরও দ্রুত পাঠানো যায় সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। কেননা একদিনও অতিরিক্ত কারাবাস কাম্য নয়।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, এনামুল হক দিনমজুর ছিলেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। ২৪ বছরের সংসার জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক তিনি।
২০১১ সালের ২০ এপ্রিল সস্ত্রীক বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ফেরার পথে স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর গলা চেপে ধরেন। এতে স্ত্রী মারা যান। পরে লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে নিজের এলাকা দিনাজপুর পালিয়ে যান এনামুল।
সালমা বেগমের কোনো খোঁজ না পেয়ে ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল থানায় জিডি করা হয়। আর লাশ উদ্ধারের পর ২৫ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন তাঁর ভাই সফির উদ্দিন। দুই মাস পর ২৮ জুন গ্রেপ্তার হন এনামুল। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে উদ্ধার করা হয় লাশ মাটিচাপা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত কোদাল। পরদিন ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তিনি। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় কারাগারে। ওই বছরের ৭ অক্টোবর চার্জশিট দেয় পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রায়ে এনামুলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় কনডেম সেলে। পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য রায়ের নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে।
এরপর কারাগার থেকে ‘জেল আপিল’ করেন এনামুল হক। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়। এনামুলের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন নার্গীস আক্তার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে এনামুল বলেন, স্ত্রী সালমা এক–দুই বছর ধরে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছিলেন। তিনি বলেন, ‘স্বামী হিসেবে আমার যে অধিকার সেটি দিত না। আমার খাবার–দাবারের ব্যাপারে খোঁজখবর নিত না। আমার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলত না। সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার রাতে খেতে দিত। আমার সঙ্গে মাঝে–মধ্যেই ঝগড়াঝাঁটি করত।’
ঘটনার দিন এনামুল বড় মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সন্ধ্যা রাতে অন্ধকারে দুজন হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় তাকে বলি, তুই এমন ব্যবহার করিস ক্যান? আমি তোর স্বামী হই, অথচ তুই আমার সঙ্গে মেলামেশা করিস না। আমাকে আমার অধিকার দেইস না। আমার সেবাযত্ন করিস না। খালি ঝগড়া করিস। এটা কি ঠিক কাম! তুই ভালো হবা (হতে) পাইস না? তখন আমার স্ত্রী আমাকে বলে যে, “তোর কত সাধ হইছে আইজকা (আজকে) বাড়িত যাও আগে তারপর তোর সাধ মিটাইম (মেটাব)। বাড়িত যায়া (গিয়ে) এলাকাবাসীকে দিয়া আইজকা তোর হাড্ডি ফাটাইম, তোক বাঁশ ডলা দেইম”।’
এনামুল বলেন, ‘আমার মাথায় রাগ উঠে যায়। আমি রেগে গিয়ে বলি, আইজকা তোক মারি ফেলাইম ডাঙ্গে (পিটিয়ে মেরে ফেলব)। তখন আমার স্ত্রী বলে, “ফেলাও মারি, আইজকা মুই (আমি) তোর হাততে মরিম (মরব), আর না হইলে বাড়িত যায়া তোর হাড্ডি ফাটাইম”। তখন আমার রাগ আরও বেড়ে যায় এবং আমি আমার স্ত্রীর গলা দুই হাত দিয়ে টিপে ধরি। এভাবে প্রায় দশ মিনিট গলা টিপে ধরে যেই ছেড়ে দিয়েছি অমনি সে মাটিতে পড়ে যায়। আমি তখন দেখি যে সালমা মরে গেছে।’
লাশ গোপনের বর্ণনা দিয়ে এনামুল বলেন, ‘ওই সময় ভুট্টা খেতে সালমার লাশ ফেলে রেখে বাড়িতে যাই। একটি কোদাল নিয়ে এসে কলাই খেতে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেই। আর কোদালটি পাশে বনবাড়ী ভাটাপোড়া জঙ্গলে ছুড়ে ফেলে দেই। আমি হঠাৎ করে রাগে সালমার গলা টিপে ধরেছিলাম। আমি ভাবতেই পারিনি যে আমার স্ত্রী মারা যাবে। আমি জীবনে এই প্রথম ভুল করলাম। আমি অনুতপ্ত। আমি আমার স্ত্রী সালমাকে মেরে ফেলতে চাই নাই। আমি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসতাম। এত বছর সংসার করার পর আমার স্ত্রী এভাবে আমার হাতেই মারা যাবে, আমি ভাবতেই পারছি না। আমি ক্ষমা চাই। আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মেনে নেব।’

স্ত্রী সালমা বেগমকে হত্যার মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এনামুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কনডেম সেলে। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়রা জজের সেই রায়কে গুরুতর বেআইনি কাজ বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, সেটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল না। পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আসামি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। যা ৩০২ ধারায় নয়, ৩০৪ ধারার অপরাধ। ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা দায়রা জজের গুরুতর বেআইনি কাজ হয়েছে। এরই মধ্যে আসামির সাজা খাটা শেষ হওয়ায় অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে গত ২৩ নভেম্বর দেওয়া রায়ের কপি দুই বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে ১২ ডিসেম্বর ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে ১৪ ডিসেম্বর পাঠানো হয় ডেসপাস শাখায়। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তা পাঠানোর কথা বিচারিক আদালতে। এরপর তা যাবে সংশ্লিষ্ট কারাগারে। আর কারা কর্তৃপক্ষ রায়ের কাগজ পরীক্ষা করে আসামিকে মুক্তি দেবে। তবে ডেসপাস শাখায় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটি এখনো পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
রায় প্রকাশের এক মাস পরও তা কারাগারে না পৌঁছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব আদেশ বা রায়ই পাঠানো হয়। এটিও শাখা থেকে পাঠানোর কথা। তবে না পাঠানো হলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে ৩৯ পৃষ্ঠার ওই রায় রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্ত্রীকে খুনের কোনো পরিকল্পনা আসামির ছিল না। এটি আকস্মিকভাবে হয়ে গেছে। তাই হাইকোর্ট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেনি।’
এরই মধ্যে আসামির সাজা খাটার মেয়াদ পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে ছয় বছর তিনি থেকেছেন কনডেম সেলে। তাই অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, প্রসিকিউশন এমনকি আদালত কেউই এর দায় এড়াতে পারে না। সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। যাতে কারও ভুল বা অসতর্কতার কারণ কাউকে হয়রানির শিকার হতে না হয়।’
রায় এখনো না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে আদালতের সিদ্ধান্ত আরও দ্রুত পাঠানো যায় সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। কেননা একদিনও অতিরিক্ত কারাবাস কাম্য নয়।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, এনামুল হক দিনমজুর ছিলেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। ২৪ বছরের সংসার জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক তিনি।
২০১১ সালের ২০ এপ্রিল সস্ত্রীক বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ফেরার পথে স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর গলা চেপে ধরেন। এতে স্ত্রী মারা যান। পরে লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে নিজের এলাকা দিনাজপুর পালিয়ে যান এনামুল।
সালমা বেগমের কোনো খোঁজ না পেয়ে ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল থানায় জিডি করা হয়। আর লাশ উদ্ধারের পর ২৫ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন তাঁর ভাই সফির উদ্দিন। দুই মাস পর ২৮ জুন গ্রেপ্তার হন এনামুল। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে উদ্ধার করা হয় লাশ মাটিচাপা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত কোদাল। পরদিন ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তিনি। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় কারাগারে। ওই বছরের ৭ অক্টোবর চার্জশিট দেয় পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রায়ে এনামুলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় কনডেম সেলে। পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য রায়ের নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে।
এরপর কারাগার থেকে ‘জেল আপিল’ করেন এনামুল হক। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়। এনামুলের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন নার্গীস আক্তার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে এনামুল বলেন, স্ত্রী সালমা এক–দুই বছর ধরে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছিলেন। তিনি বলেন, ‘স্বামী হিসেবে আমার যে অধিকার সেটি দিত না। আমার খাবার–দাবারের ব্যাপারে খোঁজখবর নিত না। আমার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলত না। সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার রাতে খেতে দিত। আমার সঙ্গে মাঝে–মধ্যেই ঝগড়াঝাঁটি করত।’
ঘটনার দিন এনামুল বড় মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সন্ধ্যা রাতে অন্ধকারে দুজন হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় তাকে বলি, তুই এমন ব্যবহার করিস ক্যান? আমি তোর স্বামী হই, অথচ তুই আমার সঙ্গে মেলামেশা করিস না। আমাকে আমার অধিকার দেইস না। আমার সেবাযত্ন করিস না। খালি ঝগড়া করিস। এটা কি ঠিক কাম! তুই ভালো হবা (হতে) পাইস না? তখন আমার স্ত্রী আমাকে বলে যে, “তোর কত সাধ হইছে আইজকা (আজকে) বাড়িত যাও আগে তারপর তোর সাধ মিটাইম (মেটাব)। বাড়িত যায়া (গিয়ে) এলাকাবাসীকে দিয়া আইজকা তোর হাড্ডি ফাটাইম, তোক বাঁশ ডলা দেইম”।’
এনামুল বলেন, ‘আমার মাথায় রাগ উঠে যায়। আমি রেগে গিয়ে বলি, আইজকা তোক মারি ফেলাইম ডাঙ্গে (পিটিয়ে মেরে ফেলব)। তখন আমার স্ত্রী বলে, “ফেলাও মারি, আইজকা মুই (আমি) তোর হাততে মরিম (মরব), আর না হইলে বাড়িত যায়া তোর হাড্ডি ফাটাইম”। তখন আমার রাগ আরও বেড়ে যায় এবং আমি আমার স্ত্রীর গলা দুই হাত দিয়ে টিপে ধরি। এভাবে প্রায় দশ মিনিট গলা টিপে ধরে যেই ছেড়ে দিয়েছি অমনি সে মাটিতে পড়ে যায়। আমি তখন দেখি যে সালমা মরে গেছে।’
লাশ গোপনের বর্ণনা দিয়ে এনামুল বলেন, ‘ওই সময় ভুট্টা খেতে সালমার লাশ ফেলে রেখে বাড়িতে যাই। একটি কোদাল নিয়ে এসে কলাই খেতে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেই। আর কোদালটি পাশে বনবাড়ী ভাটাপোড়া জঙ্গলে ছুড়ে ফেলে দেই। আমি হঠাৎ করে রাগে সালমার গলা টিপে ধরেছিলাম। আমি ভাবতেই পারিনি যে আমার স্ত্রী মারা যাবে। আমি জীবনে এই প্রথম ভুল করলাম। আমি অনুতপ্ত। আমি আমার স্ত্রী সালমাকে মেরে ফেলতে চাই নাই। আমি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসতাম। এত বছর সংসার করার পর আমার স্ত্রী এভাবে আমার হাতেই মারা যাবে, আমি ভাবতেই পারছি না। আমি ক্ষমা চাই। আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মেনে নেব।’
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

স্ত্রী সালমা বেগমকে হত্যার মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এনামুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কনডেম সেলে। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়রা জজের সেই রায়কে গুরুতর বেআইনি কাজ বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, সেটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল না। পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আসামি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। যা ৩০২ ধারায় নয়, ৩০৪ ধারার অপরাধ। ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা দায়রা জজের গুরুতর বেআইনি কাজ হয়েছে। এরই মধ্যে আসামির সাজা খাটা শেষ হওয়ায় অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে গত ২৩ নভেম্বর দেওয়া রায়ের কপি দুই বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে ১২ ডিসেম্বর ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে ১৪ ডিসেম্বর পাঠানো হয় ডেসপাস শাখায়। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তা পাঠানোর কথা বিচারিক আদালতে। এরপর তা যাবে সংশ্লিষ্ট কারাগারে। আর কারা কর্তৃপক্ষ রায়ের কাগজ পরীক্ষা করে আসামিকে মুক্তি দেবে। তবে ডেসপাস শাখায় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটি এখনো পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
রায় প্রকাশের এক মাস পরও তা কারাগারে না পৌঁছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব আদেশ বা রায়ই পাঠানো হয়। এটিও শাখা থেকে পাঠানোর কথা। তবে না পাঠানো হলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে ৩৯ পৃষ্ঠার ওই রায় রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্ত্রীকে খুনের কোনো পরিকল্পনা আসামির ছিল না। এটি আকস্মিকভাবে হয়ে গেছে। তাই হাইকোর্ট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেনি।’
এরই মধ্যে আসামির সাজা খাটার মেয়াদ পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে ছয় বছর তিনি থেকেছেন কনডেম সেলে। তাই অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, প্রসিকিউশন এমনকি আদালত কেউই এর দায় এড়াতে পারে না। সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। যাতে কারও ভুল বা অসতর্কতার কারণ কাউকে হয়রানির শিকার হতে না হয়।’
রায় এখনো না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে আদালতের সিদ্ধান্ত আরও দ্রুত পাঠানো যায় সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। কেননা একদিনও অতিরিক্ত কারাবাস কাম্য নয়।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, এনামুল হক দিনমজুর ছিলেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। ২৪ বছরের সংসার জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক তিনি।
২০১১ সালের ২০ এপ্রিল সস্ত্রীক বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ফেরার পথে স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর গলা চেপে ধরেন। এতে স্ত্রী মারা যান। পরে লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে নিজের এলাকা দিনাজপুর পালিয়ে যান এনামুল।
সালমা বেগমের কোনো খোঁজ না পেয়ে ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল থানায় জিডি করা হয়। আর লাশ উদ্ধারের পর ২৫ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন তাঁর ভাই সফির উদ্দিন। দুই মাস পর ২৮ জুন গ্রেপ্তার হন এনামুল। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে উদ্ধার করা হয় লাশ মাটিচাপা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত কোদাল। পরদিন ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তিনি। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় কারাগারে। ওই বছরের ৭ অক্টোবর চার্জশিট দেয় পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রায়ে এনামুলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় কনডেম সেলে। পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য রায়ের নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে।
এরপর কারাগার থেকে ‘জেল আপিল’ করেন এনামুল হক। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়। এনামুলের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন নার্গীস আক্তার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে এনামুল বলেন, স্ত্রী সালমা এক–দুই বছর ধরে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছিলেন। তিনি বলেন, ‘স্বামী হিসেবে আমার যে অধিকার সেটি দিত না। আমার খাবার–দাবারের ব্যাপারে খোঁজখবর নিত না। আমার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলত না। সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার রাতে খেতে দিত। আমার সঙ্গে মাঝে–মধ্যেই ঝগড়াঝাঁটি করত।’
ঘটনার দিন এনামুল বড় মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সন্ধ্যা রাতে অন্ধকারে দুজন হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় তাকে বলি, তুই এমন ব্যবহার করিস ক্যান? আমি তোর স্বামী হই, অথচ তুই আমার সঙ্গে মেলামেশা করিস না। আমাকে আমার অধিকার দেইস না। আমার সেবাযত্ন করিস না। খালি ঝগড়া করিস। এটা কি ঠিক কাম! তুই ভালো হবা (হতে) পাইস না? তখন আমার স্ত্রী আমাকে বলে যে, “তোর কত সাধ হইছে আইজকা (আজকে) বাড়িত যাও আগে তারপর তোর সাধ মিটাইম (মেটাব)। বাড়িত যায়া (গিয়ে) এলাকাবাসীকে দিয়া আইজকা তোর হাড্ডি ফাটাইম, তোক বাঁশ ডলা দেইম”।’
এনামুল বলেন, ‘আমার মাথায় রাগ উঠে যায়। আমি রেগে গিয়ে বলি, আইজকা তোক মারি ফেলাইম ডাঙ্গে (পিটিয়ে মেরে ফেলব)। তখন আমার স্ত্রী বলে, “ফেলাও মারি, আইজকা মুই (আমি) তোর হাততে মরিম (মরব), আর না হইলে বাড়িত যায়া তোর হাড্ডি ফাটাইম”। তখন আমার রাগ আরও বেড়ে যায় এবং আমি আমার স্ত্রীর গলা দুই হাত দিয়ে টিপে ধরি। এভাবে প্রায় দশ মিনিট গলা টিপে ধরে যেই ছেড়ে দিয়েছি অমনি সে মাটিতে পড়ে যায়। আমি তখন দেখি যে সালমা মরে গেছে।’
লাশ গোপনের বর্ণনা দিয়ে এনামুল বলেন, ‘ওই সময় ভুট্টা খেতে সালমার লাশ ফেলে রেখে বাড়িতে যাই। একটি কোদাল নিয়ে এসে কলাই খেতে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেই। আর কোদালটি পাশে বনবাড়ী ভাটাপোড়া জঙ্গলে ছুড়ে ফেলে দেই। আমি হঠাৎ করে রাগে সালমার গলা টিপে ধরেছিলাম। আমি ভাবতেই পারিনি যে আমার স্ত্রী মারা যাবে। আমি জীবনে এই প্রথম ভুল করলাম। আমি অনুতপ্ত। আমি আমার স্ত্রী সালমাকে মেরে ফেলতে চাই নাই। আমি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসতাম। এত বছর সংসার করার পর আমার স্ত্রী এভাবে আমার হাতেই মারা যাবে, আমি ভাবতেই পারছি না। আমি ক্ষমা চাই। আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মেনে নেব।’

স্ত্রী সালমা বেগমকে হত্যার মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এনামুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কনডেম সেলে। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়রা জজের সেই রায়কে গুরুতর বেআইনি কাজ বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, সেটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল না। পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আসামি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। যা ৩০২ ধারায় নয়, ৩০৪ ধারার অপরাধ। ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা দায়রা জজের গুরুতর বেআইনি কাজ হয়েছে। এরই মধ্যে আসামির সাজা খাটা শেষ হওয়ায় অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে গত ২৩ নভেম্বর দেওয়া রায়ের কপি দুই বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে ১২ ডিসেম্বর ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে ১৪ ডিসেম্বর পাঠানো হয় ডেসপাস শাখায়। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তা পাঠানোর কথা বিচারিক আদালতে। এরপর তা যাবে সংশ্লিষ্ট কারাগারে। আর কারা কর্তৃপক্ষ রায়ের কাগজ পরীক্ষা করে আসামিকে মুক্তি দেবে। তবে ডেসপাস শাখায় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটি এখনো পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
রায় প্রকাশের এক মাস পরও তা কারাগারে না পৌঁছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব আদেশ বা রায়ই পাঠানো হয়। এটিও শাখা থেকে পাঠানোর কথা। তবে না পাঠানো হলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে ৩৯ পৃষ্ঠার ওই রায় রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্ত্রীকে খুনের কোনো পরিকল্পনা আসামির ছিল না। এটি আকস্মিকভাবে হয়ে গেছে। তাই হাইকোর্ট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেনি।’
এরই মধ্যে আসামির সাজা খাটার মেয়াদ পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে ছয় বছর তিনি থেকেছেন কনডেম সেলে। তাই অন্য কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, প্রসিকিউশন এমনকি আদালত কেউই এর দায় এড়াতে পারে না। সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। যাতে কারও ভুল বা অসতর্কতার কারণ কাউকে হয়রানির শিকার হতে না হয়।’
রায় এখনো না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে আদালতের সিদ্ধান্ত আরও দ্রুত পাঠানো যায় সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। কেননা একদিনও অতিরিক্ত কারাবাস কাম্য নয়।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, এনামুল হক দিনমজুর ছিলেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। ২৪ বছরের সংসার জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক তিনি।
২০১১ সালের ২০ এপ্রিল সস্ত্রীক বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ফেরার পথে স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর গলা চেপে ধরেন। এতে স্ত্রী মারা যান। পরে লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে নিজের এলাকা দিনাজপুর পালিয়ে যান এনামুল।
সালমা বেগমের কোনো খোঁজ না পেয়ে ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল থানায় জিডি করা হয়। আর লাশ উদ্ধারের পর ২৫ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন তাঁর ভাই সফির উদ্দিন। দুই মাস পর ২৮ জুন গ্রেপ্তার হন এনামুল। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে উদ্ধার করা হয় লাশ মাটিচাপা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত কোদাল। পরদিন ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তিনি। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় কারাগারে। ওই বছরের ৭ অক্টোবর চার্জশিট দেয় পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রায়ে এনামুলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় কনডেম সেলে। পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য রায়ের নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে।
এরপর কারাগার থেকে ‘জেল আপিল’ করেন এনামুল হক। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়। এনামুলের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন নার্গীস আক্তার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে এনামুল বলেন, স্ত্রী সালমা এক–দুই বছর ধরে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছিলেন। তিনি বলেন, ‘স্বামী হিসেবে আমার যে অধিকার সেটি দিত না। আমার খাবার–দাবারের ব্যাপারে খোঁজখবর নিত না। আমার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলত না। সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার রাতে খেতে দিত। আমার সঙ্গে মাঝে–মধ্যেই ঝগড়াঝাঁটি করত।’
ঘটনার দিন এনামুল বড় মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সন্ধ্যা রাতে অন্ধকারে দুজন হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় তাকে বলি, তুই এমন ব্যবহার করিস ক্যান? আমি তোর স্বামী হই, অথচ তুই আমার সঙ্গে মেলামেশা করিস না। আমাকে আমার অধিকার দেইস না। আমার সেবাযত্ন করিস না। খালি ঝগড়া করিস। এটা কি ঠিক কাম! তুই ভালো হবা (হতে) পাইস না? তখন আমার স্ত্রী আমাকে বলে যে, “তোর কত সাধ হইছে আইজকা (আজকে) বাড়িত যাও আগে তারপর তোর সাধ মিটাইম (মেটাব)। বাড়িত যায়া (গিয়ে) এলাকাবাসীকে দিয়া আইজকা তোর হাড্ডি ফাটাইম, তোক বাঁশ ডলা দেইম”।’
এনামুল বলেন, ‘আমার মাথায় রাগ উঠে যায়। আমি রেগে গিয়ে বলি, আইজকা তোক মারি ফেলাইম ডাঙ্গে (পিটিয়ে মেরে ফেলব)। তখন আমার স্ত্রী বলে, “ফেলাও মারি, আইজকা মুই (আমি) তোর হাততে মরিম (মরব), আর না হইলে বাড়িত যায়া তোর হাড্ডি ফাটাইম”। তখন আমার রাগ আরও বেড়ে যায় এবং আমি আমার স্ত্রীর গলা দুই হাত দিয়ে টিপে ধরি। এভাবে প্রায় দশ মিনিট গলা টিপে ধরে যেই ছেড়ে দিয়েছি অমনি সে মাটিতে পড়ে যায়। আমি তখন দেখি যে সালমা মরে গেছে।’
লাশ গোপনের বর্ণনা দিয়ে এনামুল বলেন, ‘ওই সময় ভুট্টা খেতে সালমার লাশ ফেলে রেখে বাড়িতে যাই। একটি কোদাল নিয়ে এসে কলাই খেতে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেই। আর কোদালটি পাশে বনবাড়ী ভাটাপোড়া জঙ্গলে ছুড়ে ফেলে দেই। আমি হঠাৎ করে রাগে সালমার গলা টিপে ধরেছিলাম। আমি ভাবতেই পারিনি যে আমার স্ত্রী মারা যাবে। আমি জীবনে এই প্রথম ভুল করলাম। আমি অনুতপ্ত। আমি আমার স্ত্রী সালমাকে মেরে ফেলতে চাই নাই। আমি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসতাম। এত বছর সংসার করার পর আমার স্ত্রী এভাবে আমার হাতেই মারা যাবে, আমি ভাবতেই পারছি না। আমি ক্ষমা চাই। আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মেনে নেব।’

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ের নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড়া গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম আরিফ হোসেন (৩১)। তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বিকাশের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। একই সময় তাঁর সহকর্মী আজাদ হাওলাদার (৩০) ছুরিকাঘাতে আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আরিফ হোসেন ও আজাদ হাওলাদার দিনভর টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ শেষে ডিস্ট্রিবিউশন (পরিবেশক) অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা আনারকলি রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিনতাকারী তাঁদের গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে আরিফকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। আর আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। তখন ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। আহত আজাদ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যান।
জেএ অ্যান্ড সন্স নামক বিকাশের টঙ্গী এলাকার পরিবেশক আফজাল হোসেন সেতু বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আরেক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি মামলা করব।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম আরিফ হোসেন (৩১)। তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বিকাশের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। একই সময় তাঁর সহকর্মী আজাদ হাওলাদার (৩০) ছুরিকাঘাতে আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আরিফ হোসেন ও আজাদ হাওলাদার দিনভর টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ শেষে ডিস্ট্রিবিউশন (পরিবেশক) অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা আনারকলি রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিনতাকারী তাঁদের গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে আরিফকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। আর আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। তখন ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। আহত আজাদ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যান।
জেএ অ্যান্ড সন্স নামক বিকাশের টঙ্গী এলাকার পরিবেশক আফজাল হোসেন সেতু বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আরেক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি মামলা করব।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্ত্রী সালমা বেগমকে হত্যার মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এনামুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কনডেম সেলে। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়রা জজের সেই রায়কে গুরুতর বেআইনি কাজ বলেও পর্
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড়া গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসব যন্ত্রাংশ অপর একটি লেদ কারখানায় পাঠানো হতো। পরে সেগুলো দিয়ে পিস্তল ও ওয়ান শুটারগান তৈরি করে বিক্রি হতো অপরাধীদের কাছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড় গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
কেএমপির উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জোড়া গেট থেকে অস্ত্রের যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। লোহার ছাঁচের মধ্যে যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছিল। যন্ত্রাংশগুলো অন্য স্থানে নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে অস্ত্র তৈরি করা হতো। ডিবির একটি দল ওই কারখানার সন্ধান পেতে কাজ করছে। সেখান থেকে কাউকে পাওয়া গেলে আমরা জানতে পারব, খুলনার তৈরি হওয়া অস্ত্র কোথায় কোথায় যায়।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘খুলনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই জোড় গেট এলাকা। এখানে এ ধরনের অস্ত্র তৈরির কারাখানা থাকবে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। কিছুদিন আগে এ ধরনের যন্ত্রাংশের চালান বিভিন্ন স্থানে গেছে।’
কেএমপির ডিসি আরও বলেন, ‘বর্তমানে খুলনায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। আমরা অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছি। জলদস্যু এবং স্থানীয় উঠতি সন্ত্রাসীরা এখন থেকে অস্ত্র নিয়ে যায়।’
খুলনা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমরা এখানে রেকি (নজরদারি) করেছি। লেদ কারখানার পাশাপাশি তাঁরা (মালিক ও কারিগর) পিস্তল এবং ওয়ান শুটারের যন্ত্রাংশ তৈরি করতেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান চালিয়েছি। যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। আটক ব্যক্তিদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। খুব শিগগির আমরা ভালো সংবাদ দিতে পারব।’

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসব যন্ত্রাংশ অপর একটি লেদ কারখানায় পাঠানো হতো। পরে সেগুলো দিয়ে পিস্তল ও ওয়ান শুটারগান তৈরি করে বিক্রি হতো অপরাধীদের কাছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড় গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
কেএমপির উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জোড়া গেট থেকে অস্ত্রের যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। লোহার ছাঁচের মধ্যে যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছিল। যন্ত্রাংশগুলো অন্য স্থানে নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে অস্ত্র তৈরি করা হতো। ডিবির একটি দল ওই কারখানার সন্ধান পেতে কাজ করছে। সেখান থেকে কাউকে পাওয়া গেলে আমরা জানতে পারব, খুলনার তৈরি হওয়া অস্ত্র কোথায় কোথায় যায়।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘খুলনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই জোড় গেট এলাকা। এখানে এ ধরনের অস্ত্র তৈরির কারাখানা থাকবে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। কিছুদিন আগে এ ধরনের যন্ত্রাংশের চালান বিভিন্ন স্থানে গেছে।’
কেএমপির ডিসি আরও বলেন, ‘বর্তমানে খুলনায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। আমরা অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছি। জলদস্যু এবং স্থানীয় উঠতি সন্ত্রাসীরা এখন থেকে অস্ত্র নিয়ে যায়।’
খুলনা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমরা এখানে রেকি (নজরদারি) করেছি। লেদ কারখানার পাশাপাশি তাঁরা (মালিক ও কারিগর) পিস্তল এবং ওয়ান শুটারের যন্ত্রাংশ তৈরি করতেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান চালিয়েছি। যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। আটক ব্যক্তিদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। খুব শিগগির আমরা ভালো সংবাদ দিতে পারব।’

স্ত্রী সালমা বেগমকে হত্যার মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এনামুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কনডেম সেলে। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়রা জজের সেই রায়কে গুরুতর বেআইনি কাজ বলেও পর্
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ের নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।
চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধও করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, শনিবার বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন ও গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেন বিএনপির প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন। সাতকানিয়ার বটতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত শুনানি শেষে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫-এর ৯ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ ধারার বিধান অনুযায়ী এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, সবই করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় নয়।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বেলা ২টার দিকে কর্ণফুলী থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত মোটরযান/যান্ত্রিক বাহনে নির্বাচনী শোডাউন করেন নাজমুল মোস্তফা আমিন।
অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া লাইভ ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই লোহাগাড়ায় প্রশাসনের কড়াকড়ির মুখে পড়েন বিএনপির এই মনোনীত প্রার্থী। বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মং এছান।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।
চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধও করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, শনিবার বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন ও গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেন বিএনপির প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন। সাতকানিয়ার বটতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত শুনানি শেষে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫-এর ৯ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ ধারার বিধান অনুযায়ী এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, সবই করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় নয়।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বেলা ২টার দিকে কর্ণফুলী থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত মোটরযান/যান্ত্রিক বাহনে নির্বাচনী শোডাউন করেন নাজমুল মোস্তফা আমিন।
অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া লাইভ ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই লোহাগাড়ায় প্রশাসনের কড়াকড়ির মুখে পড়েন বিএনপির এই মনোনীত প্রার্থী। বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মং এছান।

স্ত্রী সালমা বেগমকে হত্যার মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এনামুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কনডেম সেলে। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়রা জজের সেই রায়কে গুরুতর বেআইনি কাজ বলেও পর্
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ের নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড়া গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর।
১ ঘণ্টা আগে
মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।
আমন ধান কাটার আগেই বিনা চাষে ও রিলে পদ্ধতিতে আগাম সরিষা চাষ করে কৃষকেরা এবার বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। মাঠজুড়ে ভরে ওঠা সরিষা ফুল ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ফকিরহাটে ১৬৩.৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৮০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ১ দশমিক ২ টন ধরে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১৬ টন। তবে মাঠের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। উপজেলার ৩০০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ সার বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবাদ হওয়া উল্লেখযোগ্য জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-২০, বিনা সরিষা-৯ ও বিনা সরিষা-১১।
ফকিরহাটের বিভিন্ন ব্লকের কৃষক জসিম শেখ, মিঠুন দাস ও তপন দাস জানান, একই জমিতে বারবার এক ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা কমে যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শে তাঁরা আমন ও বোরো ধানের মাঝখানে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এতে মাটির উর্বরতা বজায় থাকছে, পাশাপাশি কম শ্রম ও কম খরচে বাড়তি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে।
বেতাগা গ্রামের কৃষক পরেশ দাস ও সুধাংশু দাস জানান, আমন ধান থাকা অবস্থাতেই তাঁরা জমিতে বিনা চাষে সরিষা বীজ ছিটিয়ে দেন। সেই সরিষায় এরই মধ্যে ফুল এসেছে। যখন অন্য কৃষকেরা জমি চাষ শুরু করছেন, তখন তাঁদের খেতে সরিষার ফুল ও ফলন গঠন শুরু হয়েছে। আগাম সরিষা আহরণের পর একই জমিতে আবার বোরো ধান চাষ করবেন তাঁরা। এতে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি চাষ, সার এবং ওষুধের খরচও কমবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল মজুমদার জানান, অধিক লাভজনক হওয়ায় বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে সফল হয়েছেন, তাঁদের দেখে অন্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সরিষা এখন কৃষকের জন্য লাভজনক একটি মধ্যবর্তী ফসল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহও বেড়েছে।’

মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।
আমন ধান কাটার আগেই বিনা চাষে ও রিলে পদ্ধতিতে আগাম সরিষা চাষ করে কৃষকেরা এবার বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। মাঠজুড়ে ভরে ওঠা সরিষা ফুল ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ফকিরহাটে ১৬৩.৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৮০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ১ দশমিক ২ টন ধরে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১৬ টন। তবে মাঠের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। উপজেলার ৩০০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ সার বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবাদ হওয়া উল্লেখযোগ্য জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-২০, বিনা সরিষা-৯ ও বিনা সরিষা-১১।
ফকিরহাটের বিভিন্ন ব্লকের কৃষক জসিম শেখ, মিঠুন দাস ও তপন দাস জানান, একই জমিতে বারবার এক ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা কমে যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শে তাঁরা আমন ও বোরো ধানের মাঝখানে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এতে মাটির উর্বরতা বজায় থাকছে, পাশাপাশি কম শ্রম ও কম খরচে বাড়তি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে।
বেতাগা গ্রামের কৃষক পরেশ দাস ও সুধাংশু দাস জানান, আমন ধান থাকা অবস্থাতেই তাঁরা জমিতে বিনা চাষে সরিষা বীজ ছিটিয়ে দেন। সেই সরিষায় এরই মধ্যে ফুল এসেছে। যখন অন্য কৃষকেরা জমি চাষ শুরু করছেন, তখন তাঁদের খেতে সরিষার ফুল ও ফলন গঠন শুরু হয়েছে। আগাম সরিষা আহরণের পর একই জমিতে আবার বোরো ধান চাষ করবেন তাঁরা। এতে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি চাষ, সার এবং ওষুধের খরচও কমবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল মজুমদার জানান, অধিক লাভজনক হওয়ায় বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে সফল হয়েছেন, তাঁদের দেখে অন্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সরিষা এখন কৃষকের জন্য লাভজনক একটি মধ্যবর্তী ফসল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহও বেড়েছে।’

স্ত্রী সালমা বেগমকে হত্যার মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এনামুল হককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কনডেম সেলে। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দায়রা জজের সেই রায়কে গুরুতর বেআইনি কাজ বলেও পর্
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ের নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড়া গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।
১ ঘণ্টা আগে