
জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী লাই ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২০২০ সালে হংকংয়ের ২৫০ জনেরও বেশি আন্দোলনকর্মী ও আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিমি লাই।
তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই ধনকুবের। দোষী সাব্যস্ত হলে জিমি লাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। জিমি লাইয়ের মামলায় শোরগোল উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। হংকংয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই বিচারকে।
হংকংয়ে নিয়ন্ত্রণ শক্ত করতে এবং গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ২০২০ সালের ১ জুলাই নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএল) কার্যকর করে বেইজিং। বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য আইনটি প্রয়োজনীয় বলে সে সময় জোর দিয়ে বলেছিল বেইজিং।
হংকংয়ে অবশিষ্ট স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন এতে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে তখন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল গণতন্ত্রপন্থীরা। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনেই গ্রেপ্তার হন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রকাশনা হিসেবে পরিচিত অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই। চীনা কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে দিয়েছে।
চীনের নিরাপত্তা দুর্বল করতেই জিমি লাই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেও আখ্যা দেয় বেইজিং। তবে সমালোচকদের মতে, প্রাক্তন ব্রিটিশ ভূখণ্ড হংকংয়ে বেইজিংয়ের প্রভাব শক্ত করারই আরেকটি উদাহরণ হলো লাইয়ের গ্রেপ্তারের ঘটনা।
প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে জিমি লাইয়ের বিচার শুরুর আগের রাতে হংকংয়ে আদালতের বাইরে জড়ো হন তার সমর্থকেরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই প্রতিবাদ করেছেন বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী কর্মী আলেকজান্দ্রা ওয়াং। তিনি বলেন, ‘আমি জিমি লাইকে সমর্থন করি কারণ আমি সত্যের বিজয় চাই। আমি চাই সে (জিমি লাই) দ্রুত বের হয়ে আসতে পারবে। আমি আবার অ্যাপল ডেইলি পড়তে চাই।’
জিমি লাইয়ের আইনি দল বিবিসিকে বলেছে যে, সুষ্ঠু শুনানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে জিমি লাইকে। যুক্তরাজ্যের আইনজীবী নিয়োগে তাকে বাধা দিয়েছে বেইজিং। হংকংয়ের নেতার বাছাই করা তিনজন বিচারক তার বিচার করছে।
চীন ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক জিমি লাইকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘কেউ জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে—এতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে, ব্রিটিশ নাগরিক জিমি লাইকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে বলে উদ্বেগের মাত্রা বেশি।’
এনএসএলের অধীনে মামলা ছাড়াও জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে তার টুইট, সাক্ষাৎকার এবং তার মালিকানাধীন অধুনা-লুপ্ত অ্যাপল ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলোর ওপর ভিত্তি করে ঔপনিবেশিক যুগের একটি আইনের অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়েছে।
এনএসএলের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তীব্র সমালোচক জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে আমব্রেলা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে বেইজিং সমর্থিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও ছিলেন তিনি। অ্যাপল ডেইলি সহ হংকংয়ের কয়েকটি বিখ্যাত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছিলেন জিমি লাই।

জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী লাই ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২০২০ সালে হংকংয়ের ২৫০ জনেরও বেশি আন্দোলনকর্মী ও আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিমি লাই।
তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই ধনকুবের। দোষী সাব্যস্ত হলে জিমি লাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। জিমি লাইয়ের মামলায় শোরগোল উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। হংকংয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই বিচারকে।
হংকংয়ে নিয়ন্ত্রণ শক্ত করতে এবং গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ২০২০ সালের ১ জুলাই নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএল) কার্যকর করে বেইজিং। বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য আইনটি প্রয়োজনীয় বলে সে সময় জোর দিয়ে বলেছিল বেইজিং।
হংকংয়ে অবশিষ্ট স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন এতে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে তখন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল গণতন্ত্রপন্থীরা। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনেই গ্রেপ্তার হন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রকাশনা হিসেবে পরিচিত অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই। চীনা কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে দিয়েছে।
চীনের নিরাপত্তা দুর্বল করতেই জিমি লাই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেও আখ্যা দেয় বেইজিং। তবে সমালোচকদের মতে, প্রাক্তন ব্রিটিশ ভূখণ্ড হংকংয়ে বেইজিংয়ের প্রভাব শক্ত করারই আরেকটি উদাহরণ হলো লাইয়ের গ্রেপ্তারের ঘটনা।
প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে জিমি লাইয়ের বিচার শুরুর আগের রাতে হংকংয়ে আদালতের বাইরে জড়ো হন তার সমর্থকেরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই প্রতিবাদ করেছেন বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী কর্মী আলেকজান্দ্রা ওয়াং। তিনি বলেন, ‘আমি জিমি লাইকে সমর্থন করি কারণ আমি সত্যের বিজয় চাই। আমি চাই সে (জিমি লাই) দ্রুত বের হয়ে আসতে পারবে। আমি আবার অ্যাপল ডেইলি পড়তে চাই।’
জিমি লাইয়ের আইনি দল বিবিসিকে বলেছে যে, সুষ্ঠু শুনানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে জিমি লাইকে। যুক্তরাজ্যের আইনজীবী নিয়োগে তাকে বাধা দিয়েছে বেইজিং। হংকংয়ের নেতার বাছাই করা তিনজন বিচারক তার বিচার করছে।
চীন ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক জিমি লাইকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘কেউ জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে—এতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে, ব্রিটিশ নাগরিক জিমি লাইকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে বলে উদ্বেগের মাত্রা বেশি।’
এনএসএলের অধীনে মামলা ছাড়াও জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে তার টুইট, সাক্ষাৎকার এবং তার মালিকানাধীন অধুনা-লুপ্ত অ্যাপল ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলোর ওপর ভিত্তি করে ঔপনিবেশিক যুগের একটি আইনের অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়েছে।
এনএসএলের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তীব্র সমালোচক জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে আমব্রেলা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে বেইজিং সমর্থিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও ছিলেন তিনি। অ্যাপল ডেইলি সহ হংকংয়ের কয়েকটি বিখ্যাত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছিলেন জিমি লাই।

জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী লাই ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২০২০ সালে হংকংয়ের ২৫০ জনেরও বেশি আন্দোলনকর্মী ও আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিমি লাই।
তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই ধনকুবের। দোষী সাব্যস্ত হলে জিমি লাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। জিমি লাইয়ের মামলায় শোরগোল উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। হংকংয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই বিচারকে।
হংকংয়ে নিয়ন্ত্রণ শক্ত করতে এবং গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ২০২০ সালের ১ জুলাই নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএল) কার্যকর করে বেইজিং। বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য আইনটি প্রয়োজনীয় বলে সে সময় জোর দিয়ে বলেছিল বেইজিং।
হংকংয়ে অবশিষ্ট স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন এতে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে তখন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল গণতন্ত্রপন্থীরা। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনেই গ্রেপ্তার হন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রকাশনা হিসেবে পরিচিত অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই। চীনা কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে দিয়েছে।
চীনের নিরাপত্তা দুর্বল করতেই জিমি লাই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেও আখ্যা দেয় বেইজিং। তবে সমালোচকদের মতে, প্রাক্তন ব্রিটিশ ভূখণ্ড হংকংয়ে বেইজিংয়ের প্রভাব শক্ত করারই আরেকটি উদাহরণ হলো লাইয়ের গ্রেপ্তারের ঘটনা।
প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে জিমি লাইয়ের বিচার শুরুর আগের রাতে হংকংয়ে আদালতের বাইরে জড়ো হন তার সমর্থকেরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই প্রতিবাদ করেছেন বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী কর্মী আলেকজান্দ্রা ওয়াং। তিনি বলেন, ‘আমি জিমি লাইকে সমর্থন করি কারণ আমি সত্যের বিজয় চাই। আমি চাই সে (জিমি লাই) দ্রুত বের হয়ে আসতে পারবে। আমি আবার অ্যাপল ডেইলি পড়তে চাই।’
জিমি লাইয়ের আইনি দল বিবিসিকে বলেছে যে, সুষ্ঠু শুনানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে জিমি লাইকে। যুক্তরাজ্যের আইনজীবী নিয়োগে তাকে বাধা দিয়েছে বেইজিং। হংকংয়ের নেতার বাছাই করা তিনজন বিচারক তার বিচার করছে।
চীন ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক জিমি লাইকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘কেউ জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে—এতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে, ব্রিটিশ নাগরিক জিমি লাইকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে বলে উদ্বেগের মাত্রা বেশি।’
এনএসএলের অধীনে মামলা ছাড়াও জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে তার টুইট, সাক্ষাৎকার এবং তার মালিকানাধীন অধুনা-লুপ্ত অ্যাপল ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলোর ওপর ভিত্তি করে ঔপনিবেশিক যুগের একটি আইনের অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়েছে।
এনএসএলের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তীব্র সমালোচক জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে আমব্রেলা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে বেইজিং সমর্থিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও ছিলেন তিনি। অ্যাপল ডেইলি সহ হংকংয়ের কয়েকটি বিখ্যাত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছিলেন জিমি লাই।

জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী লাই ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২০২০ সালে হংকংয়ের ২৫০ জনেরও বেশি আন্দোলনকর্মী ও আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিমি লাই।
তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই ধনকুবের। দোষী সাব্যস্ত হলে জিমি লাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। জিমি লাইয়ের মামলায় শোরগোল উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। হংকংয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই বিচারকে।
হংকংয়ে নিয়ন্ত্রণ শক্ত করতে এবং গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ২০২০ সালের ১ জুলাই নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএল) কার্যকর করে বেইজিং। বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য আইনটি প্রয়োজনীয় বলে সে সময় জোর দিয়ে বলেছিল বেইজিং।
হংকংয়ে অবশিষ্ট স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন এতে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে তখন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল গণতন্ত্রপন্থীরা। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনেই গ্রেপ্তার হন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রকাশনা হিসেবে পরিচিত অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই। চীনা কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে দিয়েছে।
চীনের নিরাপত্তা দুর্বল করতেই জিমি লাই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেও আখ্যা দেয় বেইজিং। তবে সমালোচকদের মতে, প্রাক্তন ব্রিটিশ ভূখণ্ড হংকংয়ে বেইজিংয়ের প্রভাব শক্ত করারই আরেকটি উদাহরণ হলো লাইয়ের গ্রেপ্তারের ঘটনা।
প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে জিমি লাইয়ের বিচার শুরুর আগের রাতে হংকংয়ে আদালতের বাইরে জড়ো হন তার সমর্থকেরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই প্রতিবাদ করেছেন বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী কর্মী আলেকজান্দ্রা ওয়াং। তিনি বলেন, ‘আমি জিমি লাইকে সমর্থন করি কারণ আমি সত্যের বিজয় চাই। আমি চাই সে (জিমি লাই) দ্রুত বের হয়ে আসতে পারবে। আমি আবার অ্যাপল ডেইলি পড়তে চাই।’
জিমি লাইয়ের আইনি দল বিবিসিকে বলেছে যে, সুষ্ঠু শুনানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে জিমি লাইকে। যুক্তরাজ্যের আইনজীবী নিয়োগে তাকে বাধা দিয়েছে বেইজিং। হংকংয়ের নেতার বাছাই করা তিনজন বিচারক তার বিচার করছে।
চীন ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক জিমি লাইকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘কেউ জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে—এতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে, ব্রিটিশ নাগরিক জিমি লাইকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে বলে উদ্বেগের মাত্রা বেশি।’
এনএসএলের অধীনে মামলা ছাড়াও জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে তার টুইট, সাক্ষাৎকার এবং তার মালিকানাধীন অধুনা-লুপ্ত অ্যাপল ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলোর ওপর ভিত্তি করে ঔপনিবেশিক যুগের একটি আইনের অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়েছে।
এনএসএলের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তীব্র সমালোচক জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে আমব্রেলা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৯ সালে বেইজিং সমর্থিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও ছিলেন তিনি। অ্যাপল ডেইলি সহ হংকংয়ের কয়েকটি বিখ্যাত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছিলেন জিমি লাই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ মিনিট আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৮ মিনিট আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
৮ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৮ মিনিট আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
৮ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় পাঁচজন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসাবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে, এই হামলাটিই সেই হামলা কিনা যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে–যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে–যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনও ছিটমহলটিতে বেশিরভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশও বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসাবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় পাঁচজন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসাবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে, এই হামলাটিই সেই হামলা কিনা যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে–যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে–যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনও ছিটমহলটিতে বেশিরভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশও বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসাবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ মিনিট আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
৮ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ মিনিট আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৮ মিনিট আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ মিনিট আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৮ মিনিট আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
৮ ঘণ্টা আগে