Ajker Patrika

ডলার সংকটে বেপরোয়া মানি এক্সচেঞ্জ

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ১৬
ডলার সংকটে বেপরোয়া মানি এক্সচেঞ্জ

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ডলার সংকট চলছে দেশে। সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মানি চেঞ্জার বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা মজুত ও বিক্রি করে চলেছে তারা।

গত কয়েক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে বৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে পুলিশ ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

অভিযানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নীতিমালা অনুযায়ী মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা রাখার সুযোগ নেই। তারপরও একাধিক অনুমোদনহীন অফিস খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক মানি চেঞ্জার। এমনকি স্টেশনারি দোকানেও চলছে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ও বিক্রির হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অধিকাংশ মানি এক্সচেঞ্জ সঠিক হিসাব দিচ্ছে না।

অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরায় দুটি মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে সংস্থাটি। ওই দিন উত্তরার লতিফ এম্পোরিয়াল মার্কেটের নিচতলায় আল-মদিনা ইন্টারন্যাশনাল কম্পিউটার অ্যান্ড স্টেশনারি দোকানে অভিযান চালায় সিআইডি

স্টেশনারির ওই দোকানে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা চলছিল। একই এলাকার কুশল সেন্টারের নিচতলায় মার্ক ন্যাশনাল মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি মুদ্রাসহ ৪০টি দেশের ৮৮ লাখ ২ হাজার ২২৮ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে মজুতের যে তথ্য দিয়েছে, তার সঙ্গে দোকানে থাকা মুদ্রার পরিমাণের মিল পায়নি সিআইডি। প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেওয়া তথ্যের কয়েক গুণ বৈদেশিক মুদ্রা মজুত করে রেখেছিল।

বিপুল পরিমাণ দেশি মুদ্রা উদ্ধার

সিআইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনিক ২৫ হাজার ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের অনুমোদন থাকলেও তারা এর বেশি মুদ্রা লেনদেন করে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের রেজিস্টার খাতায় বেচাকেনা লিপিবদ্ধ করা উচিত, তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু লিখে রাখে না।

অভিযানসংশ্লিষ্ট সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, মানি এক্সচেঞ্জগুলো তাদের ব্যবসার কোনো রেকর্ড রেজিস্টার খাতায় রাখছে না। তারা অবৈধভাবে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে, আবার অবৈধভাবে বিক্রি করে। এ ছাড়া তারা সরকারনির্ধারিত দামে ডলার বিক্রি করে না। বেশি দামে ডলার বিক্রি করে।

এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মুদ্রার দর বেঁধে দিলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ডলার সংকটের মধ্যে মানুষ ডলার কিনতে দৌড়াচ্ছে, এর সুযোগ নিচ্ছে কেউ কেউ। আমরাও চাই এই সংকট কেটে যাক। যারা অবৈধ কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলুক।’

রেজিস্টার খাতায় হিসাব লিখে না রাখা নিয়ে হেলাল সিকদার বলেন, বৈধ প্রতিষ্ঠানের তথ্য গোপন করার সুযোগ কম। ডলার লেনদেনের টালিখাতা মেইনটেইন করতে হয়। সবাই মানছে না, তা বলা যাবে না। তবে বলা যেতে পারে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মানছে না।

বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন

দেশে বৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩৫। কিন্তু এর দ্বিগুণের বেশি অবৈধ মানি চেঞ্জার কার্যক্রমে আছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক ঢাকায় ব্যবসা করছে।

জানা গেছে, গত তিন মাসে এমন বৈধ ও অবৈধ অন্তত ১২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিআইডি। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।

সিআইডির সূত্র জানিয়েছে, গত তিন মাসে চলা অভিযানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আল ঈমান মানি এক্সচেঞ্জ, মতিঝিলের ওয়েলকাম মানি এক্সচেঞ্জ ও নীলফামারীর কেএন্ডকে এক্সচেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল মানি এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অনিয়মের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা করছে এমন ৬৫টি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। সম্প্রতি অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়েছেন অবৈধ প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের বিশেষ সুপার (এসপি) মো. বাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার অনেক অস্বচ্ছতা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করছি। কিছু প্রতিষ্ঠান এবং এর মালিকদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’

গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টনের ‘শখ সেন্টারে’ অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় সিআইডি। অভিযানে চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ইউএস ডলার ছাড়াও অন্যান্য পাঁচটি দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জের মালিক আহমেদ নোমান হলেও সেটি এখন এম এম জাকারিয়া নামের অপর এক ব্যক্তি পরিচালনা করছেন, যা অবৈধ। আর চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জের একটি কাউন্টার পরিচালনার অনুমোদন থাকলেও তারা ৯টি কাউন্টার পরিচালনা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠান দুটি বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির কোনো রেজিস্টার খাতাও ব্যবহার করত না বলে জানিয়েছে সিআইডি।

বৈধ মানি চেঞ্জার এবং অবৈধ মানি চেঞ্জার

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বৈধ ও অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের ওপর নজরদারি চলছে। সন্দেহজনক কিছু পেলেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে কাউন্টারে বিনিময় হার প্রদর্শন করতে হবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনায় এমনটাই বলা আছে। কিন্তু মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় একটি অংশই এই নিয়ম মানছে না।

নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচার অভিযোগে গত আগস্টের শেষ দিকে ৭ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, জামান মানি চেঞ্জিং হাউস, জেনি মানি এক্সচেঞ্জ, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেড, জেবি মানি এক্সচেঞ্জ ও বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি দামে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করেছিল, তাই তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিআইয়ের সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী, মহাসচিব সাফির রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিপিআইয়ের সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী, মহাসচিব সাফির রহমান

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।

সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।

নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যাব ও বিএসটিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্যাব ও বিএসটিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।

ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থ্রি-হুইলারের লাইসেন্স ও রুট পারমিটের নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির গতি বাড়বে: সিপিডি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
থ্রি-হুইলারের লাইসেন্স ও রুট পারমিটের নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির গতি বাড়বে: সিপিডি

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।

আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।

অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইস্টার্ন ব্যাংক ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫ জিতল নগদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৪
ইস্টার্ন ব্যাংক ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস জিতেছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইস্টার্ন ব্যাংক ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস জিতেছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস পে-আউট পুরস্কার পেয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা ৪০টি সহযোগী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানিয়েছে।

এবার দ্বিতীয়বারের মতো ইবিএল এই আয়োজন করেছে। এবারের অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘স্কাইস্ফ্রি: ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫’।

গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি কনভেনশন হলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইবিএল তার ব্যবসায়িক সহযোগীদের সম্মাননা জানায়।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার। নগদের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, সহযোগী প্রশাসক আনোয়ার উল্লাহ ও নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া। এ সময় ইবিএলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আনোয়ার, হেড অব ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস আহসান উল্লাহ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইবিএলের এবারের আয়োজনে নগদ পে-আউট ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে, কারণ বাংলাদেশের ডিজিটাল লেনদেনকে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। নগদ পে-আউট সলিউশন ও ইভল্যুশনে তাদের প্রভাব রেখেছে এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত