Ajker Patrika

দাবানল ঠেকাতে ছাগল!

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৬: ১৪
দাবানল ঠেকাতে ছাগল!

গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে ছাগলের কদর আছে নানা দেশে। কিন্তু যদি শোনেন দাবানল ঠেকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ছাগল, তখন নিশ্চয় অবাক হবেন। লস অ্যাঞ্জেলেসসহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সত্যি এটি করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায় এ তথ্য।

স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, উজ্জ্বল নীল আকাশের নিচে ঝলমল করছে প্রশান্ত মহাসাগরের জল, চোখ যত দূর যায় মাইলকে মাইল সোনালি বালুকাময় সৈকত, আর পর্বতের চূড়ায় ছাগলের একটি পাল মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের দৃশ্য উপভোগ করছে—এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি সাধারণ দৃশ্য। তবে এই ছাগলেরা দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার নতুন অস্ত্র। কোনো কোনো দেশে বহু আগ থেকে ব্যবহার করে আসা এই পন্থা কি আসলেই কাজে লাগবে? 

‘যেখানেই আমরা গিয়েছি, অভিভূত করে দেওয়ার মতো ইতিবাচক সারা পেয়েছ।’ বলেন ছাগলপালক মাইকেল চই, ‘এখন পর্যন্ত যতটা দেখছি, এটি সবার জন্য ভালো একটি পদক্ষেপ।’ 

চই ফায়ার গ্রেজারস নামের একটি পারিবারিক ব্যবসা চালান। তাঁদের কাজ হলো বিভিন্ন শহর ও স্কুল কর্তৃপক্ষসহ বেসরকারি নানা সংস্থাকে ছাগল ভাড়া দেওয়া। এই ছাগলদের কাজ হচ্ছে সহজে পৌঁছা যায় না এমন পার্বত্য এলাকাসহ দুর্গম জায়গা থেকে খেয়ে ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করা। প্রতিষ্ঠানটির ৭০০টি ছাগল রয়েছে। চাহিদা মেটাতে সম্প্রতি তাদের পাল বড় করত হয়েছে। 

‘আমি মনে করি, লোকেরা বিষয়টি সম্পর্কে আরও আগ্রহী এবং এর পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হবেন। আগাছা পরিষ্কার করতে এবং জমিকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত, সে সম্পর্কে আরও ভাবনা-চিন্তা করবেন। তবে এর একটি বড় চাহিদা রয়েছে এবং এই পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।’ বলেন মাইকেল চই। 

ক্যালিফোর্নিয়াকে সব সময়ই দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। বিশেষ করে ১৯৮০ সাল থেকে এখানে দাবানল নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এটি ধ্বংসাত্মক ও বড় আকারে হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ফায়ার প্রোটেকশনের (ক্যালফায়ার) তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়া নজিরবিহীন দাবানলের মুখোমুখি হয়েছিল। শুধু একটি দাবানলে ৯ লাখ ৬০ হাজারের বেশি একর (৩ হাজার ৮৮৫ বর্গকিলোমিটার) জমি পুড়ে যায়। 

২০২২ সালে দাবানলের মৌসুম সে তুলনায় অতটা বিপজ্জনক ছিল না। এই সময়ে ৩ লাখ একরের (১ হাজার ২১৪ বর্গকিলোমিটার) বেশি এলাকা দাবানলে পোড়ে। এদিকে এ বছরের আগস্ট মাসটা ক্যালিফোর্নিয়ায় গড় থেকে শীতল এবং আর্দ্র ছিল। তার পরও আড়াই লাখ একরের বেশি জায়গা দাবানলে পোড়ে। এ সময় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। 

মাইকেল চই ফায়ার গ্রেজারস নামের একটি পারিবারিক ব্যবসা চালান। তাঁরা বিভিন্ন শহর ও স্কুল কর্তৃপক্ষসহ বেসরকারি নানা সংস্থাকে ছাগল ভাড়া দেন। ছবি: মাইকেল চইয়ের সৌজন্যেগবেষণায় দেখা গেছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা ও শুষ্কতা বাড়ার মতো বিষয়গুলো দাবানলের ঝুঁকি ও তীব্রতা বাড়ানোর বড় কারণ। তবে গবেষণায় এটাও এসেছে, ভূমি ব্যবস্থাপনা দাবানল মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ মৃত গাছ ও শুকনো গুল্মগুলো বিপজ্জনক জ্বালানি তৈরি করে, যা বড় ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানের টেকসই ও সাশ্রয়ী একটি পদ্ধতি হতে পারে ছাগলের ব্যবহার। 

‘ক্যালিফোর্নিয়া ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ছাগলেরা বেশ বড় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব এলাকায় জন্মানো ঝোপঝাড়। ছাগলেরা এসব খাওয়ার জন্য খুব ভালোভাবে সজ্জিত, তাদের মুখও খুব কার্যকর।’ বলেন ইউনিভার্সিটি অব আইডাহোর অধ্যাপক ক্যারেঞ্চ লঞ্চবাগ। ভেড়া, ছাগল ও গবাদিপশু চরানোর বিষয়ে একাধিক গবেষণা পরিচালনা করা লঞ্চবাগ আরও বলেন, ‘যেন শুধু ঝোপঝাড়, গুল্ম—এসব খাওয়ার উপযোগী করেই এদের শরীরের নকশা করা।’ 

‘ছাগলের মুখ সরু ও গভীর; যা তাদের বেছে বেছে গুল্ম সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে তারা ৬.৭ ফুট (২ মিটার) উচ্চতার কোনো কিছুও খেতে পারে। জিহ্বা ও ঠোঁট ব্যবহারে প্রাণীটি খুব কৌশলী। বিভিন্ন যৌগকে বিষক্রিয়ামুক্ত করার ক্ষমতা আছে তাদের। এমনকি বিষাক্ত গাছপালাও খেতে পারে।’ বলেন লঞ্চবাগ। 

ছাগলের আরেকটি সুবিধা হলো উচ্চ তাপমাত্রা, যেমন—১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটেও অনায়াসে চরে বেড়াতে পারে। শ্রমিকদের জন্য যেসব খাঁড়া পাহাড়ে ওঠা কঠিন, সেখানে অনায়াসে বিচরণ করতে পারে এরা। 

লসঅ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির একটি শহর ইন গ্নেনডালে ৩০০ ছাগল দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ে ১৪ একর জায়গা পরিষ্কার করেছে। শহরটি দাবানলের জন্য প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ একটি এলাকা। ঝুঁকি কমাতে গ্নেনডালে ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা পেতি মুন্দ ২০১৮ সাল থেকে মাইকেল চইয়ের প্রতিষ্ঠানের ছাগল ব্যবহার করছেন। উদ্দেশ্য বাড়ি-ঘর ও উন্মুক্ত জায়গার মধ্যে একটি বাফার এলাকা তৈরি। যেন দাবানল সৃষ্টি হলে এখানে এসে এটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে কিংবা পুরোপুরি নিভে যায়।

ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েস্ট সেকরামেনতোতে ২০১৩ সাল থেকেই দাবানল প্রতিরোধের ‘সৃজনশীল ও পরিবেশগতভাবে টেকসই পদ্ধতি’ হিসেবে ছাগলের পাল ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান শহরের পার্কগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা জেসন পুয়োপলো। বছরে দুবার শহরে আসে ছাগলের পাল।

ছাগলগুলো যে ভালোমতোই দায়িত্ব পালন করেছে তার প্রমাণ, শহরের ফায়ার সার্ভিস ২০২২ সালে দাবানলের সময় একটি হাউজিং কমপ্লেক্স বাঁচাতে সাহায্য করার জন্য এদের কৃতিত্ব দেয়। ‘আমাদের ফায়ার চিফ বলেছেন, ছাগলগুলো যদি ওই মাঠে আগে না চরত, তাহলে দাবানলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।’ পুয়োপলো বলেন ‘যেহেতু ছাগলেরা সম্প্রতি ওই এলাকায় ঝোপঝাড় খেয়ে চার ইঞ্চিতে নামিয়ে আনে, তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ সহজ হয়।’

ইতালি, গ্রিস ও স্পেনের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোয় জমি পরিষ্কার করার জন্য ছাগল ব্যবহার করা একটি শতাব্দীপ্রাচীন রীতি। ভূমধ্যসাগরে ছাগল চরানো আগুন প্রতিরোধে কতটা কার্যকর, তা নিয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, এটি পরিবেশগতভাবে সঠিক ও চমৎকার একটি কৌশল।

ছাগল উচ্চ তাপমাত্রা যেমন এক শ ডিগ্রি ফারেনহাইটেও অনায়াসে চরে বেড়াতে পারে।অবশ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় এর ব্যবহার শুরু হয় কেবল বছর দশেক আগে। ২০১৩ সালে ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস (ইউএসএফএস) পরীক্ষামূলকভাবে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লিভল্যান্ড জাতীয় উদ্যানের ১০০ একর জঙ্গল পাতলা করার জন্য ১ হাজার ৪০০ ছাগল ব্যবহার করে। উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গল ও কাছের লোকালয়ের মধ্যে একটি বাফার এলাকা তৈরি করা। এতে একরপ্রতি খরচ হয় ৪০০-৫০০ ডলার, যেখানে শ্রমিক ব্যবহার করা হলে খরচ হতো ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ ডলার। 

বনের ছাগলের ব্যবহার সম্পর্কিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই প্রাণীদের একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব আছে ঝোপঝাড় বা গুল্ম পরিষ্কারে। কোনো এলাকায় এগুলো ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করে এরা। তেমনি উচ্চতা ৯২ শতাংশ কমিয়ে দেয়। ভূমি ব্যবস্থাপনায় ছাগল একমাত্র উপায় হতে পারে না। তবে দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় এ ধরনের প্রাণীর ব্যবহার একটি বড় অস্ত্র হতে পারে বলে মনে করেন লঞ্চবাগ। 

কোনো কোনো এলাকার অগ্নিনিয়ন্ত্রণ বিভাগ দাবানল মোকাবিলায় ছাগল কিনেছেও। সান ম্যানুয়েল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের যেমন ৩০০ ছাগলের নিজস্ব একটি পাল রয়েছে দাবানল নিয়ন্ত্রণে। বিভাগের সহকারী প্রধান ক্রিস নেলসন জানান, ছাগলেরা ঘাস ও ঝোপঝাড় খেয়ে এই অঞ্চলে দাবানল প্রশমিত করতে তাঁদের সাহায্য করছে। 

এখন দেখার বিষয়, লসঅ্যাঞ্জলেসসহ ক্যালিফোর্নায়ার বিভিন্ন এলাকায় ভবিষ্যতে গৃহপালিত এই প্রাণীরা বড় দাবানল প্রতিরোধে কতটা ভূমিকা রাখে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগ্দত্তা ‘বেশি খায়’, বিয়ে ভেঙে দিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইলেন প্রেমিক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৫
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্‌দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।

শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়। বাগ্‌দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।

উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।

আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’

আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।

২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মদের দোকানে তাণ্ডব, বাথরুমে পাওয়া গেল মাতাল র‍্যাকুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৯
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র‍্যাকুন!

ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র‍্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র‍্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।

খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‍্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।

বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র‍্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র‍্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র‍্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে প্রায় কোটি টাকার এক হিরা খুঁজে পেলেন ‘শৈশবের দুই বন্ধু’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি
সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।

২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।

উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।

সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।

হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’

এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লিংকডইনে গার্লফ্রেন্ড চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর যা ঘটল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১২
‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। ছবি: লিংকডইন থেকে নেওয়া।
‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। ছবি: লিংকডইন থেকে নেওয়া।

চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।

টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’

প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’

দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’

লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’

আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’

তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’

একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’

শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত