মহিউদ্দিন খান মোহন

১৯৬৯ সালে আমি ছিলাম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে সময় স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান প্রকম্পিত। থানা সদর শ্রীনগরে ছিল আমাদের স্কুল। শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী ষোলঘর হাইস্কুলের সিনিয়র ছাত্ররা মিছিল বের করতেন প্রায় প্রতিদিন।
তাঁদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আমরাও স্লোগান ধরতাম—‘আইয়ুব-মোনায়েম দুই ভাই, এক রশিতে ফাঁসি চাই’, ‘জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব’, ‘আসাদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি।
আমার বড় ভাই গিয়াসউদ্দিন খান বাদল পূর্ব বাংলা ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর মুখেই প্রথম নাম শুনি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ও গরিব-দুঃখী, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের পক্ষে আপসহীন সংগ্রামের কাহিনি শুনতে শুনতে কখন যে তাঁর ভক্ত হয়ে গেলাম টেরই পাইনি। তিনিই ছিলেন আমার প্রথম রাজনৈতিক নেতা; যাঁকে আমি বলি আমার রাজনৈতিক পীর। শুধু আমি কেন, এ দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদের তিনি ছিলেন শিক্ষক-দীক্ষাগুরু। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মওলানা ভাসানীর সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য ছিলেন।
শেখ মুজিবও মওলানা হুজুরকে পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন। একপর্যায়ে দুজনের রাজনৈতিক পথচলা আলাদা হয়ে গেলেও সেই সম্পর্ক ছিল অক্ষুণ্ন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ সেই সময়ের বাঘা বাঘা নেতারা মওলানা ভাসানীকে সম্মান ও সমীহ করতেন।
সে সময় গোটা বাংলাদেশের গণমানুষের মধ্যে মওলানা ভাসানীর জনপ্রিয়তা ও প্রভাব ছিল ব্যাপক। যেকোনো রাজনৈতিক সংকটে ‘মওলানা হুজুর’ কী বলেন, তা শোনার বা জানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকতেন সবাই। অথচ তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিল না।
অবিভক্ত ভারতের আসাম প্রদেশের দেওবন্দ মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর লেখাপড়া করা হয়নি। নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন নিপীড়িত মানুষের পক্ষে লড়াইয়ে। খেতাব পেয়েছেন ‘মজলুম জননেতা’র। মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধবাদীরা তাঁর অনেক কাজের বিরোধিতা করেছেন, সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেউ তাঁকে অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত বলে গালি দেননি বা কটাক্ষ করেননি। কেননা, রাজনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির চেয়ে প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি ও দক্ষতার মূল্য অনেক বেশি।
তবে হ্যাঁ, বর্তমান সময়ে রাজনীতি করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখতে হলে শিক্ষাগ্রহণ অপরিহার্য। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সনদ না থাকলেই একজন মানুষ এসব বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারে না, এমনটিও নয়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-সনদহীন বহু মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেছেন–এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। সর্বশেষ আমি যে দলটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), এর চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-সনদ নেই। তিনি নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে পরিচয় দিতে কখনোই কুণ্ঠিত হননি।
যদিও তাঁর প্রতিপক্ষের কেউ কেউ এটা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তবে তিনি সেসবের কোনো প্রত্যুত্তর করেননি কখনো। তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুবাদে আমার একটা প্রতীতি জন্মেছে যে, খালেদা জিয়া তাঁর মার্জিত আচার-আচরণ, সংযমী কথাবার্তার কারণে অনেক তথাকথিত শিক্ষিতজনের চেয়ে সম্মানীয়। তাঁর নেতৃত্বে বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষ নির্দ্বিধায় কাজ করেছেন দলে এবং সরকারে।
রাজনীতিতে কতগুলো অলিখিত নিয়ম আছে, যেগুলো সংশ্লিষ্টদের মেনে চলতে হয়। কারও সমালোচনা করতে গিয়ে এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যাতে সেই ব্যক্তির সম্মানহানি ঘটে, তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা প্রতীয়মান হয়। অবশ্য আমাদের রাজনীতিকদের অনেকেই কথা বলতে গিয়ে এতটাই প্রগলভ হয়ে ওঠেন, কখন যে তাঁরা শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন করেন, তা খেয়াল করেন না।
তেমনি একটি মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি এ সময়ের আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করে এখন মানহানি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। ৭ আগস্ট পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রিজভী রাজশাহীতে তাঁর এক বক্তৃতায় হিরো আলমকে ‘অর্ধপাগল ও অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করায় ৬ আগস্ট তিনি ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন মামলা করতে।
কিন্তু এ ধরনের মামলা নেওয়ার এখতিয়ার ডিবির নেই বিধায় ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ তাঁকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ৭ আগস্ট হিরো আলম রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আদালত মামলা গ্রহণ করে ডিবিকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রিজভীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রিজভী যে দলের নেতা, সেই দলের নেত্রীও তো ক্লাস এইট পাস, আমি সেভেন পাস।’ হিরো আলম প্রশ্ন করেছেন, তিনি (হিরো আলম) যদি পাগল বা অর্ধপাগল হতেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন কি তাঁকে নির্বাচন করার সুযোগ দিত?
অকাট্য যুক্তি। কেননা, আমাদের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ ২-এ যে সাতটি কারণে কারও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বা সংসদ সদস্য থাকার অযোগ্য বিবেচিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তন্মধ্যে প্রথমটি হলো, ‘যদি কোনো উপযুক্ত আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন।’ হিরো আলমকে বাংলাদেশের কোনো আদালত পাগল বা অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষণা করেননি। সুতরাং হিরো আলমকে পাগল বলে মন্তব্য করে রিজভী সাংবিধানিক ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে ধরে নেওয়া যায়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাসনদ না থাকলেই যদি তিনি অশিক্ষিত বলে বিবেচিত হন, তাহলে বলতে হয়, বহু অশিক্ষিত মানুষ আমাদের রাজনীতির উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রিজভীর কাছে শিক্ষিত-অশিক্ষিতের সংজ্ঞা কী, তা আমার জানার কথা নয়। তবে জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলে থাকেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট থাকলেই কাউকে শিক্ষিত বলা যায় না।
হতে পারে সে লেখাপড়া জানা মানুষ, তবে শিক্ষিত নয়। একজন শিক্ষিত লোক কারও মানহানি হতে পারে, সম্মানে আঘাত লাগতে পারে—এমন কথা কখনোই বলবেন না। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা আমাদের আশপাশে এমন অনেক ‘শিক্ষিত’ মানুষের দেখা পাই, যাদের মুখের ভাষা শুনলে কান গরম হয়ে যায়, লজ্জায় মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে। তখন মনের অজান্তেই স্বগতোক্তি বেরিয়ে আসে—লোকটা নাকি শিক্ষিত!
একজন স্বশিক্ষিত নারীর কথা বলে আজকের লেখার ইতি টানব; যাঁর কাছে আমার শিক্ষার হাতেখড়ি। তিনি আমার মা। তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। বাড়িতে মৌলভি সাহেবের কাছে বাল্যকালে যতটুকু পড়েছেন। তিনি আমাকে এমন একটি উপদেশ দিয়েছিলেন, যা আজও আমি মেনে চলার চেষ্টা করি। ১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্কুল বন্ধ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অনেকটাই আমাদের মুখস্থ। ভুট্টো তখন আমাদের কাছে এক ভয়ংকর খারাপ লোকের নাম। খেলার সময় কেউ কারও কথা না শুনলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর অনুকরণে বলতাম, ‘তিনি আমার কথা রাখলেন না, রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা।’
সেদিনও আমাদের বাড়ির পাশের আমবাগানে আমরা খেলছিলাম। খেলা নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে আমি বলে উঠলাম, ‘তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো শালার কথা।’ আমার মা কোনো কাজে পুকুরঘাটে যাচ্ছিলেন। তিনি এসে আমাদের বললেন, ‘ভুট্টোর লগে যাঁর “কাইজ্জা”, হেই নেতা শেখ মজিবর দেহি তারে আপনে কইরা কয়। তরা গালি দেস ক্যান? বড় মানুষগো সন্মান (সম্মান) করতে শিখিস।’ আমার স্বশিক্ষিত মায়ের সেই উপদেশ আমি আজও মনে রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নেই বলে আমার মাকে কি আমি অশিক্ষিত বলব?
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

১৯৬৯ সালে আমি ছিলাম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে সময় স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান প্রকম্পিত। থানা সদর শ্রীনগরে ছিল আমাদের স্কুল। শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী ষোলঘর হাইস্কুলের সিনিয়র ছাত্ররা মিছিল বের করতেন প্রায় প্রতিদিন।
তাঁদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আমরাও স্লোগান ধরতাম—‘আইয়ুব-মোনায়েম দুই ভাই, এক রশিতে ফাঁসি চাই’, ‘জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব’, ‘আসাদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি।
আমার বড় ভাই গিয়াসউদ্দিন খান বাদল পূর্ব বাংলা ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর মুখেই প্রথম নাম শুনি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ও গরিব-দুঃখী, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের পক্ষে আপসহীন সংগ্রামের কাহিনি শুনতে শুনতে কখন যে তাঁর ভক্ত হয়ে গেলাম টেরই পাইনি। তিনিই ছিলেন আমার প্রথম রাজনৈতিক নেতা; যাঁকে আমি বলি আমার রাজনৈতিক পীর। শুধু আমি কেন, এ দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদের তিনি ছিলেন শিক্ষক-দীক্ষাগুরু। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মওলানা ভাসানীর সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য ছিলেন।
শেখ মুজিবও মওলানা হুজুরকে পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন। একপর্যায়ে দুজনের রাজনৈতিক পথচলা আলাদা হয়ে গেলেও সেই সম্পর্ক ছিল অক্ষুণ্ন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ সেই সময়ের বাঘা বাঘা নেতারা মওলানা ভাসানীকে সম্মান ও সমীহ করতেন।
সে সময় গোটা বাংলাদেশের গণমানুষের মধ্যে মওলানা ভাসানীর জনপ্রিয়তা ও প্রভাব ছিল ব্যাপক। যেকোনো রাজনৈতিক সংকটে ‘মওলানা হুজুর’ কী বলেন, তা শোনার বা জানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকতেন সবাই। অথচ তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিল না।
অবিভক্ত ভারতের আসাম প্রদেশের দেওবন্দ মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর লেখাপড়া করা হয়নি। নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন নিপীড়িত মানুষের পক্ষে লড়াইয়ে। খেতাব পেয়েছেন ‘মজলুম জননেতা’র। মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধবাদীরা তাঁর অনেক কাজের বিরোধিতা করেছেন, সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেউ তাঁকে অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত বলে গালি দেননি বা কটাক্ষ করেননি। কেননা, রাজনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির চেয়ে প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি ও দক্ষতার মূল্য অনেক বেশি।
তবে হ্যাঁ, বর্তমান সময়ে রাজনীতি করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখতে হলে শিক্ষাগ্রহণ অপরিহার্য। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সনদ না থাকলেই একজন মানুষ এসব বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারে না, এমনটিও নয়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-সনদহীন বহু মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেছেন–এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। সর্বশেষ আমি যে দলটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), এর চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-সনদ নেই। তিনি নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে পরিচয় দিতে কখনোই কুণ্ঠিত হননি।
যদিও তাঁর প্রতিপক্ষের কেউ কেউ এটা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তবে তিনি সেসবের কোনো প্রত্যুত্তর করেননি কখনো। তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুবাদে আমার একটা প্রতীতি জন্মেছে যে, খালেদা জিয়া তাঁর মার্জিত আচার-আচরণ, সংযমী কথাবার্তার কারণে অনেক তথাকথিত শিক্ষিতজনের চেয়ে সম্মানীয়। তাঁর নেতৃত্বে বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষ নির্দ্বিধায় কাজ করেছেন দলে এবং সরকারে।
রাজনীতিতে কতগুলো অলিখিত নিয়ম আছে, যেগুলো সংশ্লিষ্টদের মেনে চলতে হয়। কারও সমালোচনা করতে গিয়ে এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যাতে সেই ব্যক্তির সম্মানহানি ঘটে, তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা প্রতীয়মান হয়। অবশ্য আমাদের রাজনীতিকদের অনেকেই কথা বলতে গিয়ে এতটাই প্রগলভ হয়ে ওঠেন, কখন যে তাঁরা শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন করেন, তা খেয়াল করেন না।
তেমনি একটি মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি এ সময়ের আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করে এখন মানহানি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। ৭ আগস্ট পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রিজভী রাজশাহীতে তাঁর এক বক্তৃতায় হিরো আলমকে ‘অর্ধপাগল ও অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করায় ৬ আগস্ট তিনি ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন মামলা করতে।
কিন্তু এ ধরনের মামলা নেওয়ার এখতিয়ার ডিবির নেই বিধায় ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ তাঁকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ৭ আগস্ট হিরো আলম রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আদালত মামলা গ্রহণ করে ডিবিকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রিজভীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রিজভী যে দলের নেতা, সেই দলের নেত্রীও তো ক্লাস এইট পাস, আমি সেভেন পাস।’ হিরো আলম প্রশ্ন করেছেন, তিনি (হিরো আলম) যদি পাগল বা অর্ধপাগল হতেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন কি তাঁকে নির্বাচন করার সুযোগ দিত?
অকাট্য যুক্তি। কেননা, আমাদের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ ২-এ যে সাতটি কারণে কারও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বা সংসদ সদস্য থাকার অযোগ্য বিবেচিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তন্মধ্যে প্রথমটি হলো, ‘যদি কোনো উপযুক্ত আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন।’ হিরো আলমকে বাংলাদেশের কোনো আদালত পাগল বা অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষণা করেননি। সুতরাং হিরো আলমকে পাগল বলে মন্তব্য করে রিজভী সাংবিধানিক ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে ধরে নেওয়া যায়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাসনদ না থাকলেই যদি তিনি অশিক্ষিত বলে বিবেচিত হন, তাহলে বলতে হয়, বহু অশিক্ষিত মানুষ আমাদের রাজনীতির উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রিজভীর কাছে শিক্ষিত-অশিক্ষিতের সংজ্ঞা কী, তা আমার জানার কথা নয়। তবে জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলে থাকেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট থাকলেই কাউকে শিক্ষিত বলা যায় না।
হতে পারে সে লেখাপড়া জানা মানুষ, তবে শিক্ষিত নয়। একজন শিক্ষিত লোক কারও মানহানি হতে পারে, সম্মানে আঘাত লাগতে পারে—এমন কথা কখনোই বলবেন না। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা আমাদের আশপাশে এমন অনেক ‘শিক্ষিত’ মানুষের দেখা পাই, যাদের মুখের ভাষা শুনলে কান গরম হয়ে যায়, লজ্জায় মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে। তখন মনের অজান্তেই স্বগতোক্তি বেরিয়ে আসে—লোকটা নাকি শিক্ষিত!
একজন স্বশিক্ষিত নারীর কথা বলে আজকের লেখার ইতি টানব; যাঁর কাছে আমার শিক্ষার হাতেখড়ি। তিনি আমার মা। তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। বাড়িতে মৌলভি সাহেবের কাছে বাল্যকালে যতটুকু পড়েছেন। তিনি আমাকে এমন একটি উপদেশ দিয়েছিলেন, যা আজও আমি মেনে চলার চেষ্টা করি। ১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্কুল বন্ধ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অনেকটাই আমাদের মুখস্থ। ভুট্টো তখন আমাদের কাছে এক ভয়ংকর খারাপ লোকের নাম। খেলার সময় কেউ কারও কথা না শুনলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর অনুকরণে বলতাম, ‘তিনি আমার কথা রাখলেন না, রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা।’
সেদিনও আমাদের বাড়ির পাশের আমবাগানে আমরা খেলছিলাম। খেলা নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে আমি বলে উঠলাম, ‘তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো শালার কথা।’ আমার মা কোনো কাজে পুকুরঘাটে যাচ্ছিলেন। তিনি এসে আমাদের বললেন, ‘ভুট্টোর লগে যাঁর “কাইজ্জা”, হেই নেতা শেখ মজিবর দেহি তারে আপনে কইরা কয়। তরা গালি দেস ক্যান? বড় মানুষগো সন্মান (সম্মান) করতে শিখিস।’ আমার স্বশিক্ষিত মায়ের সেই উপদেশ আমি আজও মনে রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নেই বলে আমার মাকে কি আমি অশিক্ষিত বলব?
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

১৯৬৯ সালে আমি ছিলাম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে সময় স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান প্রকম্পিত। থানা সদর শ্রীনগরে ছিল আমাদের স্কুল। শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী ষোলঘর হাইস্কুলের সিনিয়র ছাত্ররা মিছিল বের করতেন প্রায় প্রতিদিন।
১৩ আগস্ট ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

১৯৬৯ সালে আমি ছিলাম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে সময় স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান প্রকম্পিত। থানা সদর শ্রীনগরে ছিল আমাদের স্কুল। শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী ষোলঘর হাইস্কুলের সিনিয়র ছাত্ররা মিছিল বের করতেন প্রায় প্রতিদিন।
১৩ আগস্ট ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

১৯৬৯ সালে আমি ছিলাম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে সময় স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান প্রকম্পিত। থানা সদর শ্রীনগরে ছিল আমাদের স্কুল। শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী ষোলঘর হাইস্কুলের সিনিয়র ছাত্ররা মিছিল বের করতেন প্রায় প্রতিদিন।
১৩ আগস্ট ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

১৯৬৯ সালে আমি ছিলাম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে সময় স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান প্রকম্পিত। থানা সদর শ্রীনগরে ছিল আমাদের স্কুল। শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী ষোলঘর হাইস্কুলের সিনিয়র ছাত্ররা মিছিল বের করতেন প্রায় প্রতিদিন।
১৩ আগস্ট ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫