
আজকের পত্রিকা: সরকার বলছে, গরিবমুখী বাজেট হয়েছে। আপনার বক্তব্য কী?
আনু মুহাম্মদ: এবারের বাজেট গণমুখী নয়, সরকারমুখী হয়েছে নিঃসন্দেহে। সরকারের তো একটা উন্নয়ন মডেল আছে। তার একটা প্রতিফলন আছে এই বাজেটে। সেই উন্নয়ন মডেলের প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, অতি ব্যয়ে মেগা প্রকল্প করা। মেগা প্রকল্প করার জন্য অনেক স্বচ্ছতা থাকতে হয়। এসব মেগা প্রকল্প দিয়ে কী হবে, তার ফলাফল কী হবে—এ নিয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। এসব বিষয় নিয়ে জনগণকে জানাতে হয়, তাদের মতামত থাকতে হয়। এগুলোর মধ্য দিয়ে যথাযথ অভিজ্ঞতা নিয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা উচিত।
বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন মডেলের নামে যেসব মেগা প্রকল্প হচ্ছে, সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে এসব প্রকল্পে। এরপর এসবের সামাজিক, আর্থিক, পরিবেশগত কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা নিয়ে কোনো ধরনের সমীক্ষার প্রচার জনগণের মধ্যে করা হয়নি। মানুষের কোনো ধরনের ক্ষতি হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। সেই সবের ধারাবাহিকতা এ বাজেটের মধ্যে আছে।
দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাছ-বিচারহীনভাবে দেশি ও বিদেশি ঋণ গ্রহণ করার প্রবণতা। সরকারও ঋণ নিচ্ছে আবার প্রাইভেট সেক্টরকে ঋণ করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। সেসব আবার সরকারের দায়-দায়িত্বের মধ্যে পড়ছে। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ করা হচ্ছে। ঋণগ্রস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন? প্রথমত, বেশি ব্যয়ে মেগা প্রকল্প করা হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, বিপুল পরিমাণ সম্পদ বা ডলার বিদেশে পাচার হচ্ছে। এই দুটি কারণে দেশের মধ্যে টাকার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আর সরকার ঘাটতি পূরণের জন্য ঋণ করছে।
তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই যে সম্পদ পাচার হচ্ছে, মেগা প্রকল্প হচ্ছে এবং ঋণ করতে হচ্ছে—এর বোঝাটা জনগণকেই টানতে হচ্ছে এবং হবে। যাদের বেশি আয়, তাদের করজালের মধ্যে আনার কোনো চেষ্টা সরকারের মধ্যে নেই। কারণ সরকার তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে। এ কারণে সরকার সাধারণ জনগণের মধ্যে করজালটা বিস্তার করে। তাদের ওপর কর বাড়ানো, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এবং গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো—এসবের মধ্য দিয়ে জনগণের ওপর বোঝাটা বাড়ানো হয়। ফলে দেখা যায়, এসবের একটা স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে জনগণের ওপর করের বোঝাটা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।
চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যেসব প্রতিষ্ঠান অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত, যেমন ব্যাংক, ঋণদানকারী সংস্থাগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধস নেমেছে। কোনো ধরনের জবাবদিহি এবং চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নেই। যেমন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এমনভাবে সাজানো আছে, তারা সেখানে যা খুশি করতে পারে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হচ্ছে এসবের তদারকি করা, মানে একটা ব্যাংক অনিয়ম করে কি না, তা দেখা। দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়ম, দুর্নীতি, ঋণের নামে সম্পদ লোপাট করা, সেগুলোকে প্রতিরোধ করার আইন না করে বরং বড় বড় ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য আইন পরিবর্তন করছে। আসলে তদারকি করার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।
ব্যাংক সেক্টরে যে বড় ধরনের লুণ্ঠন হচ্ছে, তার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার একটা সহযোগী ভূমিকা পালন করছে।
এসবের মধ্য দিয়ে সম্পদ কেন্দ্রীভবন হচ্ছে কিছু গোষ্ঠীর হাতে। সেই সব গোষ্ঠীকে আরও পুষ্ট করাই হচ্ছে বর্তমান উন্নয়ন মডেলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ব্যাংক লুট, চুরি, জালিয়াতি ইত্যাদির মাধ্যমে যে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে কিছু গোষ্ঠীর হাতে, তাদের আরও পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা করা হচ্ছে তার আরও একটা বৈশিষ্ট্য। এ কারণে সমাজের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। গত দশ বছরে সম্পদ কেন্দ্রীভবন এবং বৈষম্যটা অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণটা হচ্ছে সরকারি নীতি এবং তার উন্নয়ন মডেল।
আজকের পত্রিকা: আপনার কথামতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, আবার বৈষম্যও বাড়ছে। ধনবৈষম্য কমানোর সহজ উপায় আছে কি?
আনু মুহাম্মদ: ধনবৈষম্য কমানোর প্রধান উপায় হচ্ছে, স্বচ্ছতা আনা। মেগা প্রকল্প বোঝা তৈরি করবে কেন? আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রেলওয়ে খাত বিপর্যস্ত। রেলওয়ে সারা দেশে সম্প্রসারিত হওয়া দরকার। রেল খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, কিন্তু যেভাবে সম্প্রসারণ হওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। শিক্ষা খাতে যেমন নতুনভাবে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। পাশাপাশি সরকারি স্কুলগুলোর জীর্ণ দশা। সেসবে যথেষ্ট শিক্ষক নেই।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে লোকবল, ভবনের সংকট। এসব খাতে অনেক বেশি মাত্রায় ব্যয় করা দরকার। কারণ শিক্ষা যদি বাণিজ্যিক না হয়, আর চিকিৎসা যদি জনগণের জন্য সহযোগী হয়, তাহলে জনগণের শিক্ষা ও চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যয়টা কমে আসে। বৈষম্য বৃদ্ধির একটা বড় কারণ হলো, এই দুই খাতের বাণিজ্যিকীকরণ। পাবলিক পরিবহন বাড়েনি। স্থায়ী কাজের নিশ্চয়তা নেই। পাটশিল্পের বিকাশ যদি হতো, তাহলে শ্রমিকের স্থায়ী কর্মসংস্থান হতো। এসব করলে মানুষের আয়টা ঠিক থাকত। রাষ্ট্র থেকে এসব খাতে নজর দিলে মানুষ উপকৃত হতো। চোরাই টাকার কেন্দ্রীভবন হচ্ছে। তাই তাদের কেন্দ্রীভবনের প্রক্রিয়া বন্ধ না করলে ধনবৈষম্য কমবে না। তার মানে, ধনবৈষম্য কমানোর জন্য, জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় খাতে বেশি করে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
আর ক্ষুদ্র যে গোষ্ঠীটা চোরাই টাকার মালিক হয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হচ্ছে, তাদের সেই প্রক্রিয়াটা বন্ধ করতে হবে। সরকার তো উল্টো কাজ করছে। জনগণের প্রয়োজনীয় খাতে বেশি ব্যয় বরাদ্দ করছে না। যাদের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এ কারণে ধনবৈষম্যটা বাড়ছে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচনের বছরেও সরকার কেন জনতুষ্টির বাজেট দিল না?
আনু মুহাম্মদ: জনতুষ্টির বাজেট বলে কোনো কথা নেই। সরকার তো জনগণের ওপর নির্ভর করে না। সরকার নির্ভর করে বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর, আর তারাই সবচেয়ে বেশি সংগঠিত। যেমন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন, রিয়েল এস্টেট মালিক অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রভৃতি হলো বড় ধনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এ ছাড়া আমলা, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীও আছে। তারাই কিন্তু সরকারি নীতিমালাকে প্রভাবিত করে। তাদের খুশি রাখা সরকার নিজের দায়িত্ব মনে করে।
এরপর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে খুশি রাখতে হবে। তাদের চাহিদামতো প্রকল্প নিতে হবে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের খুশি করছে। বাজেটটা সেভাবেই করা হয়। জনগণকে তুষ্ট করার তো দরকার নেই!
আজকের পত্রিকা: বাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কীভাবে সম্ভব?
আনু মুহাম্মদ: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পণ্যের ব্যবসায়ী শ্রেণি আছে। যেমন খুচরা, পাইকারি ব্যবসায়ী আছেন এবং তাঁদের একটা চেইন আছে। এই ব্যবসায়ীরা যে পণ্যের দাম বাড়ান, সেটা অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের কারণে হয় না। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে খাজনা দিতে হয়। এক শ টাকার জিনিসের জন্য ৩০-৪০ টাকা খাজনা দিতে হয়। পুলিশ, সরকারি দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকে চাঁদা দিতে হয়। সে কারণে পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। যাঁরা খাজনা দেন এবং যারা এভাবে চাঁদাবাজি করে, তাদের চাহিদা বাড়তে থাকে। তারা তো সরকারের লোক। বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের তো এসব বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া আছে। পণ্য বাজারের চেইনের চাঁদাবাজির জন্য আসলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এসব তো সরকারের কারণে হয়ে থাকে। তাই বলব, সরকারের কারণেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
আর সিন্ডিকেট বলে আলাদা কিছু নেই। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আছে। কিন্তু পণ্যের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবসা বা উৎপাদনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, কিছু গোষ্ঠীর লালে লাল হয়ে যাওয়ার একটা সম্পর্ক আছে।
আজকের পত্রিকা: বাজেট তো পাস হয়ে যাবে। তারপর দেশের পরিস্থিতি কেমন হবে?
আনু মুহাম্মদ: বাজেট তো জনগণের চাওয়া-পাওয়ার ওপর সরকার পাস করে না। আর এই সংসদে কোনো নির্বাচিত সংসদ সদস্য নেই। তাই সংসদ সদস্যদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহি করার দরকার নেই। সুতরাং যেভাবে গায়ের জোরে দেশ ও অর্থনীতি চলছে, সেভাবেই চলবে। সরকারের উন্নয়নের মডেলের যে ধারাবাহিকতা, সেটাই অব্যাহত থাকবে বাজেটের মধ্য দিয়ে। জনগণের যে দুর্ভোগ, ঋণগ্রস্ততা ও করের বোঝা, এগুলোও বাড়বে।
আজকের পত্রিকা: কোনো সরকারের আমলেই বাজেট প্রশংসিত হয় না। সরকার কেন প্রশংসা পাওয়ার মতো বাজেট দেয় না?
আনু মুহাম্মদ: সরকার যাদের ওপর নির্ভর করে, তাদের তো খুশি করে। সেখানে শ্রেণিগত একটা ভিত্তির ব্যাপার আছে। শ্রেণির চাহিদার ব্যাপার আছে। বাংলাদেশের ধনিক গোষ্ঠীর একটা চাহিদা আছে, তাদের সেই চাহিদা সরকার পূরণ করছে।
জনগণ সরকারের জন্য কোনো বিষয় না। যাদের ওপর সরকারের ক্ষমতায় থাকা নির্ভর করে, তাদেরই সরকার খুশি করছে। প্রতিবাদ, আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার জন্য সংসদে নির্বাচিত সংসদ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনের প্রতিনিধি থাকলে তা সম্ভব হতো না; বরং রাষ্ট্রনীতির মূল পরিচালিকা শক্তি হওয়ার কথা ছিলেন কৃষক, পোশাকশ্রমিক ও অন্যান্য শ্রমিকেরা। কিন্তু তাঁদের তো কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। আর বাজেট যখন পেশ করা হয়, তখন তো তাঁদের কোনো বক্তব্য নেওয়া হয় না। সব সরকারের আমলে বাজেটের ধরন বা কাঠামোর কোনো হেরফের হয় না। ধরনটা একই থাকে। সেই ধরনের ওপর নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হয়। তাই গত কয়েক বছরে বৈষম্য বৃদ্ধি, কালোটাকার মালিকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, এগুলোর গতিটা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে ধন্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য।
আনু মুহাম্মদ: আপনাদেরও ধন্যবাদ।

আজকের পত্রিকা: সরকার বলছে, গরিবমুখী বাজেট হয়েছে। আপনার বক্তব্য কী?
আনু মুহাম্মদ: এবারের বাজেট গণমুখী নয়, সরকারমুখী হয়েছে নিঃসন্দেহে। সরকারের তো একটা উন্নয়ন মডেল আছে। তার একটা প্রতিফলন আছে এই বাজেটে। সেই উন্নয়ন মডেলের প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, অতি ব্যয়ে মেগা প্রকল্প করা। মেগা প্রকল্প করার জন্য অনেক স্বচ্ছতা থাকতে হয়। এসব মেগা প্রকল্প দিয়ে কী হবে, তার ফলাফল কী হবে—এ নিয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। এসব বিষয় নিয়ে জনগণকে জানাতে হয়, তাদের মতামত থাকতে হয়। এগুলোর মধ্য দিয়ে যথাযথ অভিজ্ঞতা নিয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা উচিত।
বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন মডেলের নামে যেসব মেগা প্রকল্প হচ্ছে, সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে এসব প্রকল্পে। এরপর এসবের সামাজিক, আর্থিক, পরিবেশগত কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা নিয়ে কোনো ধরনের সমীক্ষার প্রচার জনগণের মধ্যে করা হয়নি। মানুষের কোনো ধরনের ক্ষতি হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। সেই সবের ধারাবাহিকতা এ বাজেটের মধ্যে আছে।
দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাছ-বিচারহীনভাবে দেশি ও বিদেশি ঋণ গ্রহণ করার প্রবণতা। সরকারও ঋণ নিচ্ছে আবার প্রাইভেট সেক্টরকে ঋণ করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। সেসব আবার সরকারের দায়-দায়িত্বের মধ্যে পড়ছে। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ করা হচ্ছে। ঋণগ্রস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন? প্রথমত, বেশি ব্যয়ে মেগা প্রকল্প করা হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, বিপুল পরিমাণ সম্পদ বা ডলার বিদেশে পাচার হচ্ছে। এই দুটি কারণে দেশের মধ্যে টাকার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আর সরকার ঘাটতি পূরণের জন্য ঋণ করছে।
তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই যে সম্পদ পাচার হচ্ছে, মেগা প্রকল্প হচ্ছে এবং ঋণ করতে হচ্ছে—এর বোঝাটা জনগণকেই টানতে হচ্ছে এবং হবে। যাদের বেশি আয়, তাদের করজালের মধ্যে আনার কোনো চেষ্টা সরকারের মধ্যে নেই। কারণ সরকার তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে। এ কারণে সরকার সাধারণ জনগণের মধ্যে করজালটা বিস্তার করে। তাদের ওপর কর বাড়ানো, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এবং গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো—এসবের মধ্য দিয়ে জনগণের ওপর বোঝাটা বাড়ানো হয়। ফলে দেখা যায়, এসবের একটা স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে জনগণের ওপর করের বোঝাটা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।
চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যেসব প্রতিষ্ঠান অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত, যেমন ব্যাংক, ঋণদানকারী সংস্থাগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধস নেমেছে। কোনো ধরনের জবাবদিহি এবং চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নেই। যেমন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এমনভাবে সাজানো আছে, তারা সেখানে যা খুশি করতে পারে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হচ্ছে এসবের তদারকি করা, মানে একটা ব্যাংক অনিয়ম করে কি না, তা দেখা। দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়ম, দুর্নীতি, ঋণের নামে সম্পদ লোপাট করা, সেগুলোকে প্রতিরোধ করার আইন না করে বরং বড় বড় ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য আইন পরিবর্তন করছে। আসলে তদারকি করার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।
ব্যাংক সেক্টরে যে বড় ধরনের লুণ্ঠন হচ্ছে, তার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার একটা সহযোগী ভূমিকা পালন করছে।
এসবের মধ্য দিয়ে সম্পদ কেন্দ্রীভবন হচ্ছে কিছু গোষ্ঠীর হাতে। সেই সব গোষ্ঠীকে আরও পুষ্ট করাই হচ্ছে বর্তমান উন্নয়ন মডেলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ব্যাংক লুট, চুরি, জালিয়াতি ইত্যাদির মাধ্যমে যে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে কিছু গোষ্ঠীর হাতে, তাদের আরও পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা করা হচ্ছে তার আরও একটা বৈশিষ্ট্য। এ কারণে সমাজের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। গত দশ বছরে সম্পদ কেন্দ্রীভবন এবং বৈষম্যটা অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণটা হচ্ছে সরকারি নীতি এবং তার উন্নয়ন মডেল।
আজকের পত্রিকা: আপনার কথামতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, আবার বৈষম্যও বাড়ছে। ধনবৈষম্য কমানোর সহজ উপায় আছে কি?
আনু মুহাম্মদ: ধনবৈষম্য কমানোর প্রধান উপায় হচ্ছে, স্বচ্ছতা আনা। মেগা প্রকল্প বোঝা তৈরি করবে কেন? আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রেলওয়ে খাত বিপর্যস্ত। রেলওয়ে সারা দেশে সম্প্রসারিত হওয়া দরকার। রেল খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, কিন্তু যেভাবে সম্প্রসারণ হওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। শিক্ষা খাতে যেমন নতুনভাবে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। পাশাপাশি সরকারি স্কুলগুলোর জীর্ণ দশা। সেসবে যথেষ্ট শিক্ষক নেই।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে লোকবল, ভবনের সংকট। এসব খাতে অনেক বেশি মাত্রায় ব্যয় করা দরকার। কারণ শিক্ষা যদি বাণিজ্যিক না হয়, আর চিকিৎসা যদি জনগণের জন্য সহযোগী হয়, তাহলে জনগণের শিক্ষা ও চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যয়টা কমে আসে। বৈষম্য বৃদ্ধির একটা বড় কারণ হলো, এই দুই খাতের বাণিজ্যিকীকরণ। পাবলিক পরিবহন বাড়েনি। স্থায়ী কাজের নিশ্চয়তা নেই। পাটশিল্পের বিকাশ যদি হতো, তাহলে শ্রমিকের স্থায়ী কর্মসংস্থান হতো। এসব করলে মানুষের আয়টা ঠিক থাকত। রাষ্ট্র থেকে এসব খাতে নজর দিলে মানুষ উপকৃত হতো। চোরাই টাকার কেন্দ্রীভবন হচ্ছে। তাই তাদের কেন্দ্রীভবনের প্রক্রিয়া বন্ধ না করলে ধনবৈষম্য কমবে না। তার মানে, ধনবৈষম্য কমানোর জন্য, জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় খাতে বেশি করে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
আর ক্ষুদ্র যে গোষ্ঠীটা চোরাই টাকার মালিক হয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হচ্ছে, তাদের সেই প্রক্রিয়াটা বন্ধ করতে হবে। সরকার তো উল্টো কাজ করছে। জনগণের প্রয়োজনীয় খাতে বেশি ব্যয় বরাদ্দ করছে না। যাদের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এ কারণে ধনবৈষম্যটা বাড়ছে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচনের বছরেও সরকার কেন জনতুষ্টির বাজেট দিল না?
আনু মুহাম্মদ: জনতুষ্টির বাজেট বলে কোনো কথা নেই। সরকার তো জনগণের ওপর নির্ভর করে না। সরকার নির্ভর করে বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর, আর তারাই সবচেয়ে বেশি সংগঠিত। যেমন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন, রিয়েল এস্টেট মালিক অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রভৃতি হলো বড় ধনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এ ছাড়া আমলা, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীও আছে। তারাই কিন্তু সরকারি নীতিমালাকে প্রভাবিত করে। তাদের খুশি রাখা সরকার নিজের দায়িত্ব মনে করে।
এরপর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে খুশি রাখতে হবে। তাদের চাহিদামতো প্রকল্প নিতে হবে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের খুশি করছে। বাজেটটা সেভাবেই করা হয়। জনগণকে তুষ্ট করার তো দরকার নেই!
আজকের পত্রিকা: বাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কীভাবে সম্ভব?
আনু মুহাম্মদ: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পণ্যের ব্যবসায়ী শ্রেণি আছে। যেমন খুচরা, পাইকারি ব্যবসায়ী আছেন এবং তাঁদের একটা চেইন আছে। এই ব্যবসায়ীরা যে পণ্যের দাম বাড়ান, সেটা অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের কারণে হয় না। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে খাজনা দিতে হয়। এক শ টাকার জিনিসের জন্য ৩০-৪০ টাকা খাজনা দিতে হয়। পুলিশ, সরকারি দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকে চাঁদা দিতে হয়। সে কারণে পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। যাঁরা খাজনা দেন এবং যারা এভাবে চাঁদাবাজি করে, তাদের চাহিদা বাড়তে থাকে। তারা তো সরকারের লোক। বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের তো এসব বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া আছে। পণ্য বাজারের চেইনের চাঁদাবাজির জন্য আসলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এসব তো সরকারের কারণে হয়ে থাকে। তাই বলব, সরকারের কারণেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
আর সিন্ডিকেট বলে আলাদা কিছু নেই। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আছে। কিন্তু পণ্যের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবসা বা উৎপাদনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, কিছু গোষ্ঠীর লালে লাল হয়ে যাওয়ার একটা সম্পর্ক আছে।
আজকের পত্রিকা: বাজেট তো পাস হয়ে যাবে। তারপর দেশের পরিস্থিতি কেমন হবে?
আনু মুহাম্মদ: বাজেট তো জনগণের চাওয়া-পাওয়ার ওপর সরকার পাস করে না। আর এই সংসদে কোনো নির্বাচিত সংসদ সদস্য নেই। তাই সংসদ সদস্যদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহি করার দরকার নেই। সুতরাং যেভাবে গায়ের জোরে দেশ ও অর্থনীতি চলছে, সেভাবেই চলবে। সরকারের উন্নয়নের মডেলের যে ধারাবাহিকতা, সেটাই অব্যাহত থাকবে বাজেটের মধ্য দিয়ে। জনগণের যে দুর্ভোগ, ঋণগ্রস্ততা ও করের বোঝা, এগুলোও বাড়বে।
আজকের পত্রিকা: কোনো সরকারের আমলেই বাজেট প্রশংসিত হয় না। সরকার কেন প্রশংসা পাওয়ার মতো বাজেট দেয় না?
আনু মুহাম্মদ: সরকার যাদের ওপর নির্ভর করে, তাদের তো খুশি করে। সেখানে শ্রেণিগত একটা ভিত্তির ব্যাপার আছে। শ্রেণির চাহিদার ব্যাপার আছে। বাংলাদেশের ধনিক গোষ্ঠীর একটা চাহিদা আছে, তাদের সেই চাহিদা সরকার পূরণ করছে।
জনগণ সরকারের জন্য কোনো বিষয় না। যাদের ওপর সরকারের ক্ষমতায় থাকা নির্ভর করে, তাদেরই সরকার খুশি করছে। প্রতিবাদ, আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার জন্য সংসদে নির্বাচিত সংসদ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনের প্রতিনিধি থাকলে তা সম্ভব হতো না; বরং রাষ্ট্রনীতির মূল পরিচালিকা শক্তি হওয়ার কথা ছিলেন কৃষক, পোশাকশ্রমিক ও অন্যান্য শ্রমিকেরা। কিন্তু তাঁদের তো কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। আর বাজেট যখন পেশ করা হয়, তখন তো তাঁদের কোনো বক্তব্য নেওয়া হয় না। সব সরকারের আমলে বাজেটের ধরন বা কাঠামোর কোনো হেরফের হয় না। ধরনটা একই থাকে। সেই ধরনের ওপর নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হয়। তাই গত কয়েক বছরে বৈষম্য বৃদ্ধি, কালোটাকার মালিকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, এগুলোর গতিটা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে ধন্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য।
আনু মুহাম্মদ: আপনাদেরও ধন্যবাদ।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

আনু মুহাম্মদ অর্থনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। বেশ কয়েকটি সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক তিনি। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৮ জুন ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

আনু মুহাম্মদ অর্থনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। বেশ কয়েকটি সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক তিনি। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৮ জুন ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

আনু মুহাম্মদ অর্থনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। বেশ কয়েকটি সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক তিনি। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৮ জুন ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আনু মুহাম্মদ অর্থনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। বেশ কয়েকটি সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক তিনি। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৮ জুন ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫