নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে রিকশায় যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। কিলো তিনেক এ পথের ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় এ পথে একবার যেতেই সময় লাগছে অন্তত দেড় ঘণ্টা। একবার গন্তব্যে যেতেই ছয়গুণ বেশি সময় লাগার কারণে ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে তিন থেকে চারগুণ বেশি। অনেকে আবার এর চেয়েও বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।
আজ সোমবার সকাল থেকে রাবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ দিন চার শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এই ইউনিটটিতে ১ হাজার ৫৯৪টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৮৫০ জন। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছেন আবার ফিরেছেন। তাই শহরজুড়েই দেখা দেয় যানজট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রভাব পড়েছে পুরো শহরেই। নগরীর সাহেববাজার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সব সড়কেই রিকশা-অটোরিকশার জট। এর মধ্যে নগরীর শিরোইল এলাকায় টার্মিনালের বাস সড়কে পার্কিং এবং ভদ্রা মোড়ে বাসে যাত্রী ওঠানামা করার কারণে এ দুই এলাকায় দুপাশে অসহনীয় যানজট লেগে থাকছে। শিরোইল ও ভদ্রা মোড় পার হতেই রিকশা-অটোরিকশার কমপক্ষে ৪০ মিনিট সময় লাগছে।
এরপর তালাইমারী মোড় থেকে গাড়ির চাকা যেন নড়েই না। তালাইমারী-অক্ট্রোয় মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটক পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা পেরোতেই আরও ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগছে। সাহেববাজার কিংবা রেলগেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে অন্তত দেড় ঘণ্টা লাগছে অতিরিক্ত রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের চাপের কারণে।
অসহনীয় এই যানজটের কারণে প্রচুর রিকশা-অটোরিকশা ঢুকে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের রাস্তায়। নগরীর ভদ্রা মোড় হয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পেছন দিক দিয়ে রাবির কৃষি অনুষদের সামনে দিয়ে চারুকলার দিকে গাড়িগুলো চলাচল করছে। কৃষি অনুষদ থেকে স্টেশন বাজার হয়েও গাড়ি চলাচল করছে। এই রাস্তাতেও যানজট দেখা গেছে।
রিকশাচালক মো. মারুফ জানান, সোমবার সকালে তিনি সাহেববাজার থেকে একবার রাবি ক্যাম্পাসে যান। সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। স্বাভাবিক সময়ে এই রাস্তায় সময় লাগে ১৫ মিনিট। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করতে হয়েছে। ৪০ টাকার ভাড়া এখন তিনি নিচ্ছেন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। সময় বেশি লাগছে বলে ভাড়াও বেশি।
তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, কোনো কোনো রিকশা-অটোরিকশাচালক একেবারেই অস্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন ভর্তি–ইচ্ছুকদের কাছ থেকে। মাত্র কয়েক কিলোমিটারের পথের জন্য ২০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীর চাপ ও যানজটের কারণে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোতেও ১৫ টাকার ভাড়া এখন হয়ে গেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
জামালপুর থেকে আসা ভর্তি পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম জানান, প্রথমবারের মতো তিনি রাজশাহী এসেছেন। রাজশাহী শহরের কিছুই চেনেন না। সাহেববাজার থেকে ক্যাম্পাসে যেতে রিকশায় তার কাছে নেওয়া হয়েছে ১৮০ টাকা। প্রথমে ভেবেছিলেন অনেক দূরের পথ। কিন্তু পরে দেখেন দূরত্ব বেশি না। তবে রাস্তায় তীব্র যানজটের কারণে সময় লেগেছে বেশি। সময়মতো পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছানোর তাগিদে তিনি বেশি টাকাতেই এসেছেন বলে জানান।
বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অটোরিকশা চালক মো. কালু বলেন, ‘আমরা ৫০০ টাকা জমায় গাড়ি চালাই। গাড়ি চলুক বা না চলুক মহাজনকে এই টাকা দিতেই হবে। এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থাকছি যানজটের কারণে। ভাড়া মারতে পারছি না। এখন ভাড়া বেশি না নিলে মহাজনকেও দিতে পারব না, নিজেরও কিছু থাকবে না। বাধ্য হয়েই বেশি নিচ্ছি।’
সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। তারপরও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়েও কাউকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। সিটি করপোরেশন এই শহরের রিকশা-অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে সিটি করপোরেশন কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানালেন সিটি করপোরেশনের রিকশা-অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই পরীক্ষার সময় বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টা ঘটে। সব রিকশা-অটোরিকশা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক চলাচল শুরু করার কারণে তীব্র যানজটও হয়। এই অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়। আমরা চেষ্টা করি। কিন্তু এটা ঠেকাতে পারি না। এবারও কয়েক দিন আগে আমরা বসেছিলাম। বলেছিলাম, পরীক্ষার্থীরা আমাদের মেহমান। তাদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। এতে রাজশাহীর সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা ঠিকই নেওয়া হচ্ছে। আমরাও কিছু করতে পারছি না। এটাই বাস্তবতা।’
রাজশাহী ইজিবাইক চালক সমিতির সভাপতি মো. রাশেদ বলেন, ‘আমরা একতাবদ্ধ না। চালকদের একক কোনো সংগঠনও গড়ে ওঠেনি। কেউ কারও কথা শোনে না। ফলে যে যার মতো ভাড়া আদায় করে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘যারা পরীক্ষা দিতে আসছে তারা অতিথি। যানজটের জন্য একটু ক্ষতি হলেও দু-একদিনের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া ঠিক না। যারা বেশি নেয়, তাদের গাড়ি জব্দ করা উচিত। ট্রাফিক পুলিশই এ ব্যবস্থা নিতে পারে।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার অনির্বাণ চাকমাকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা চলবে। তিন হাজার ৯৩০টি আসনের বিপরীতে এবার পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা দেবেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন পরীক্ষার্থী। তাদের অনেকের সঙ্গে অভিভাবকও রাজশাহী এসেছেন। বাড়তি মানুষের যাতায়াতের চাপে রাজশাহীতে দেখা দিয়েছে যানজট। প্রতিবছর পরীক্ষা চলাকালীন সময়টিতেই শহরে এমন যানজট থাকে। ভাড়া নিয়েও থাকে নৈরাজ্য।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে রিকশায় যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। কিলো তিনেক এ পথের ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় এ পথে একবার যেতেই সময় লাগছে অন্তত দেড় ঘণ্টা। একবার গন্তব্যে যেতেই ছয়গুণ বেশি সময় লাগার কারণে ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে তিন থেকে চারগুণ বেশি। অনেকে আবার এর চেয়েও বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।
আজ সোমবার সকাল থেকে রাবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ দিন চার শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এই ইউনিটটিতে ১ হাজার ৫৯৪টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৮৫০ জন। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছেন আবার ফিরেছেন। তাই শহরজুড়েই দেখা দেয় যানজট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রভাব পড়েছে পুরো শহরেই। নগরীর সাহেববাজার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সব সড়কেই রিকশা-অটোরিকশার জট। এর মধ্যে নগরীর শিরোইল এলাকায় টার্মিনালের বাস সড়কে পার্কিং এবং ভদ্রা মোড়ে বাসে যাত্রী ওঠানামা করার কারণে এ দুই এলাকায় দুপাশে অসহনীয় যানজট লেগে থাকছে। শিরোইল ও ভদ্রা মোড় পার হতেই রিকশা-অটোরিকশার কমপক্ষে ৪০ মিনিট সময় লাগছে।
এরপর তালাইমারী মোড় থেকে গাড়ির চাকা যেন নড়েই না। তালাইমারী-অক্ট্রোয় মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটক পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা পেরোতেই আরও ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগছে। সাহেববাজার কিংবা রেলগেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে অন্তত দেড় ঘণ্টা লাগছে অতিরিক্ত রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের চাপের কারণে।
অসহনীয় এই যানজটের কারণে প্রচুর রিকশা-অটোরিকশা ঢুকে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের রাস্তায়। নগরীর ভদ্রা মোড় হয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পেছন দিক দিয়ে রাবির কৃষি অনুষদের সামনে দিয়ে চারুকলার দিকে গাড়িগুলো চলাচল করছে। কৃষি অনুষদ থেকে স্টেশন বাজার হয়েও গাড়ি চলাচল করছে। এই রাস্তাতেও যানজট দেখা গেছে।
রিকশাচালক মো. মারুফ জানান, সোমবার সকালে তিনি সাহেববাজার থেকে একবার রাবি ক্যাম্পাসে যান। সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। স্বাভাবিক সময়ে এই রাস্তায় সময় লাগে ১৫ মিনিট। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করতে হয়েছে। ৪০ টাকার ভাড়া এখন তিনি নিচ্ছেন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। সময় বেশি লাগছে বলে ভাড়াও বেশি।
তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, কোনো কোনো রিকশা-অটোরিকশাচালক একেবারেই অস্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন ভর্তি–ইচ্ছুকদের কাছ থেকে। মাত্র কয়েক কিলোমিটারের পথের জন্য ২০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীর চাপ ও যানজটের কারণে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোতেও ১৫ টাকার ভাড়া এখন হয়ে গেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
জামালপুর থেকে আসা ভর্তি পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম জানান, প্রথমবারের মতো তিনি রাজশাহী এসেছেন। রাজশাহী শহরের কিছুই চেনেন না। সাহেববাজার থেকে ক্যাম্পাসে যেতে রিকশায় তার কাছে নেওয়া হয়েছে ১৮০ টাকা। প্রথমে ভেবেছিলেন অনেক দূরের পথ। কিন্তু পরে দেখেন দূরত্ব বেশি না। তবে রাস্তায় তীব্র যানজটের কারণে সময় লেগেছে বেশি। সময়মতো পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছানোর তাগিদে তিনি বেশি টাকাতেই এসেছেন বলে জানান।
বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অটোরিকশা চালক মো. কালু বলেন, ‘আমরা ৫০০ টাকা জমায় গাড়ি চালাই। গাড়ি চলুক বা না চলুক মহাজনকে এই টাকা দিতেই হবে। এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থাকছি যানজটের কারণে। ভাড়া মারতে পারছি না। এখন ভাড়া বেশি না নিলে মহাজনকেও দিতে পারব না, নিজেরও কিছু থাকবে না। বাধ্য হয়েই বেশি নিচ্ছি।’
সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। তারপরও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়েও কাউকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। সিটি করপোরেশন এই শহরের রিকশা-অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে সিটি করপোরেশন কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানালেন সিটি করপোরেশনের রিকশা-অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই পরীক্ষার সময় বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টা ঘটে। সব রিকশা-অটোরিকশা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক চলাচল শুরু করার কারণে তীব্র যানজটও হয়। এই অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়। আমরা চেষ্টা করি। কিন্তু এটা ঠেকাতে পারি না। এবারও কয়েক দিন আগে আমরা বসেছিলাম। বলেছিলাম, পরীক্ষার্থীরা আমাদের মেহমান। তাদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। এতে রাজশাহীর সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা ঠিকই নেওয়া হচ্ছে। আমরাও কিছু করতে পারছি না। এটাই বাস্তবতা।’
রাজশাহী ইজিবাইক চালক সমিতির সভাপতি মো. রাশেদ বলেন, ‘আমরা একতাবদ্ধ না। চালকদের একক কোনো সংগঠনও গড়ে ওঠেনি। কেউ কারও কথা শোনে না। ফলে যে যার মতো ভাড়া আদায় করে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘যারা পরীক্ষা দিতে আসছে তারা অতিথি। যানজটের জন্য একটু ক্ষতি হলেও দু-একদিনের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া ঠিক না। যারা বেশি নেয়, তাদের গাড়ি জব্দ করা উচিত। ট্রাফিক পুলিশই এ ব্যবস্থা নিতে পারে।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার অনির্বাণ চাকমাকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা চলবে। তিন হাজার ৯৩০টি আসনের বিপরীতে এবার পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা দেবেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন পরীক্ষার্থী। তাদের অনেকের সঙ্গে অভিভাবকও রাজশাহী এসেছেন। বাড়তি মানুষের যাতায়াতের চাপে রাজশাহীতে দেখা দিয়েছে যানজট। প্রতিবছর পরীক্ষা চলাকালীন সময়টিতেই শহরে এমন যানজট থাকে। ভাড়া নিয়েও থাকে নৈরাজ্য।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
২ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
২ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৪ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে রিকশায় যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। কিলো তিনেক এ পথের ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় এ পথে একবার যেতেই সময় লাগছে অন্তত দেড় ঘণ্টা। একবার গন্তব্যে যেতেই ছয়গুণ বেশি সময় লাগার কারণে
৩০ মে ২০২৩
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
২ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৪ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে রিকশায় যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। কিলো তিনেক এ পথের ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় এ পথে একবার যেতেই সময় লাগছে অন্তত দেড় ঘণ্টা। একবার গন্তব্যে যেতেই ছয়গুণ বেশি সময় লাগার কারণে
৩০ মে ২০২৩
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
২ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে রিকশায় যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। কিলো তিনেক এ পথের ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় এ পথে একবার যেতেই সময় লাগছে অন্তত দেড় ঘণ্টা। একবার গন্তব্যে যেতেই ছয়গুণ বেশি সময় লাগার কারণে
৩০ মে ২০২৩
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
২ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে রিকশায় যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। কিলো তিনেক এ পথের ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় এ পথে একবার যেতেই সময় লাগছে অন্তত দেড় ঘণ্টা। একবার গন্তব্যে যেতেই ছয়গুণ বেশি সময় লাগার কারণে
৩০ মে ২০২৩
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
২ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
২ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে