বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৬ মে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। মূলত সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতে নেতা কর্মীদের করণীয় নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ উপস্থিত থাকবেন। তবে ভাতিজা বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ থাকবেন কিনা তা জানা যায়নি।
আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির প্রধান প্রবীণ নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। বর্ধিত সভাটি জেলার গৌরনদী পৌরসভা প্রাঙ্গণে হবে।
এদিকে, নগর আওয়ামী লীগের এক দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্ধিত সভায় মেয়র সাদিকের থাকার সম্ভাবনা কম। কারণ তিনি আসলে তার অনুসারীরা হট্টগোল বাধাতে পারেন। তা ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধির কথাও তারা ভাবছেন। যে কারণে ভোট শেষে মেয়র সাদিক বরিশালে আসুক এমনটাই চান দলের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, ‘আগামী ২৬ মে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে ওই দিন গৌরনদী পৌরসভা প্রাঙ্গণে এ সভা হবে। সেখানে নৌকার প্রার্থীও থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী কেন্দ্রীয় টিম লিডার আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণে সভা ডাকছেন।’ সভায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ থাকবেন কি না এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কে থাকবে কিংবা না থাকবে তা এখনই বোঝা যাবে না। যাদের দাওয়াত করব তারা উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ হবে। অফিশিয়ালি ওই দিনই প্রচারণা শুরু হওয়ায় আমরা প্রার্থীকে নিয়ে বর্ধিত সভা করব।’
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুর করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা প্রার্থীকে নিয়ে ব্যস্ত। বর্ধিত সভার বিষয়টা কেন্দ্র দেখবে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, তিনি বর্ধিত সভার কিছুই জানেন না।
উল্লেখ, গত ৪ এপ্রিল বরিশাল ছেড়ে রাজধানী ঢাকাতে উঠেন বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এর মধ্যে তিনি আজমির শরিফও যান। গত ১৫ এপ্রিল আওয়ামী লীগ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে মনোনয়ন দেন চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে। সেই থেকে নগরে আর ফেরেননি মেয়র।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে