স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেন জহিরুল ইসলাম বাপ্পি। এরপর চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই বাড়ির মালিকেরই টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মো. নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, জহিরুল ইসলাম বাপ্পি একজন প্রতারক। তিনি কখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পার্সোনাল কাউন্সিলর, কখনো অডিট চিফ অফিসার আবার কখনো সচিবের পিএস পরিচয় দিতেন। ভুয়া পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জহিরুলের বিরুদ্ধে রাজধানীর দক্ষিণখান ও পল্লবী থানায় মামলা রয়েছে। এই মামলার ভিত্তিতে তাঁকে গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
সর্বশেষ প্রতারণার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নাজমুল হক বলেন, ‘জহিরুল অনলাইনে বাসা ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখে দক্ষিণখানের এক বাড়ির মালিককে ফোন দেন। বাসা পছন্দ হওয়ায় কথা বলে বাসা ভাড়া নেন। এ সময় জহিরুল ইসলাম নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পিএস পরিচয় দেন। মালিককে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি ভিজিটিং কার্ড দেন। কিছুদিন পর জহিরুল বাড়ির মালিককে ফোন করে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক লোক নিয়োগ করা হবে। সেখানে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে তাঁর একটি জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে যান। কিছুদিন পর মালিকের কাছ থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে কিছু টাকা নেন। এরপর থেকে জহিরুল ইসলামের মোবাইল নম্বর বন্ধ পান ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে মো. জহিরুল ইসলাম বাপ্পি নামে কোনো পিএস নেই। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মালিক দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা করেন।’
জহিরুলের বিরুদ্ধে পল্লবীতেও একটি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা রয়েছে। সেখানে নিজেকে অডিট চিফ অফিসার (মিনিস্ট্রি অব হেলথ ডিপার্টমেন্ট) পরিচয় দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের ফুড স্টোর কিপার এবং অডিট অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে