শিগগিরই দেশে গণ-অভ্যুত্থান হবে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশ ও দেশের মানুষ আজ বিপর্যস্ত। বর্তমান সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি এর জন্য দায়ী। এ অবস্থায় সরকারকে হটাতে হলে একটি গণ-অভ্যুত্থান প্রয়োজন। এই গণ-অভ্যুত্থান অতি দ্রুত বাংলাদেশে হবে। এই গণ-অভ্যুত্থানে সবাই যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫২ বছর ও বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শীর্ষক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার দেশের কোনো কিছুই মেরামত করতে পারবে না। গণতন্ত্র যারা হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিত পারে না। অর্থনীতিকে যারা হত্যা করেছে তারা কখনো অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না। যারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছে তারা কখনোই নতুনভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সাজাতে পারবে না। অতএব তাদের যত দ্রুত বিদায় করা যায় ততই দেশের কল্যাণ হবে।’
গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপক বিপর্যয় হয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের এ দুরবস্থা মূলত হয়েছে দলীয়করণের ফলে। দলীয়করণের ফলে সাধারণ মানুষ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার দলীয় পরিচয় দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে। এতে করে সাধারণ মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না।’
সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারের বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘একটা সার্কুলার বেরিয়েছে যে আগামী ৩০ মার্চ থেকে সরকারি হাসপাতালে বিকেল ৩টার পর থেকে ডাক্তাররা প্রাইভেট চেম্বার করতে পারবেন। সরকারের দলীয় লোকদের পকেট ভারী করার জন্য সরকার এ ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে জনগণের কোনো কাজে আসবে না।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো আব্দুস সালাম প্রমুখ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে