
ভূরাজনীতির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ের মেরু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এর মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের মজুত। সমরাস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। বড় অস্ত্রাগারের মালিক হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ। বর্তমানে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত ও সৌদি আরব।
ভারতের বিজেপি সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রতিরক্ষা খাতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’–এর বিজ্ঞাপন করে যাচ্ছে। অর্জন হিসেবে সরকার দেশে ‘নির্মিত’ যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও সাবমেরিনের কথা বলছে। শিগগিরই রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করেছে।
অথচ নরেন্দ্র মোদির আমলে (২০১৮–২০২২ সাল) সমরাস্ত্রের মোট বৈশ্বিক আমদানির ১১ শতাংশই ভারতের। সে হিসাবে ভারত এখনো বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই ‘অর্জনে’ মোদি সরকার কৌশলগতভাবে দুর্বল এবং বিব্রতকর অবস্থানে চলে গেছে।
গত ১৩ মার্চ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অস্ত্র স্থানান্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ২০১৮–২০২২ সময়সীমার মধ্যে ভারত মোট আমদানির ৪৫ শতাংশই করেছে রাশিয়া থেকে। অর্থাৎ ভারতে রাশিয়ার হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনো দেশটিতে বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী তারা।
এরপরের অবস্থানেই আছে ফ্রান্স। ভারতের মোট আমদানির ২৯ শতাংশ হিস্যা ফ্রান্সের। মূলত দিল্লি ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৫৯ হাজার কোটি রুপির চুক্তি করায় ভারতে অস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে ফ্রান্স। উল্লেখিত সময়ে ভারতের মোট আমদানির ১১ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
২০১৮–২২ সাল পর্যন্ত হিসাবে অস্ত্র আমদানিতে ভারতের পরেই সৌদি আরবের অবস্থান। সমরাস্ত্রের বৈশ্বিক আমদানির ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কিনেছে সৌদি আরব। এরপরেই আছে যথাক্রমে—কাতার (৬.৪ %), অস্ট্রেলিয়া (৪.৭ %), চীন (৪.৬%), মিশর (৪.৫%), দক্ষিণ কোরিয়া (৩.৭%) এবং পাকিস্তান (৩.৭%)।
তবে স্ট্যাটিস্টার সর্বশেষ (১০ মার্চ, ২০২৩) তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ দশ অস্ত্র আমদানিকারক দেশের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে যৌথভাবে ভারত ও সৌদি আরব। বৈশ্বিক অস্ত্র রপ্তানির ১১ শতাংশই কেনে এই দুই দেশ। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে—মিসর (৫.৭ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়া (৫.৪ %), চীন (৪.৮ শতাংশ), কাতার (৪.৬ শতাংশ), দক্ষিণ কোরিয়া (৪.১ শতাংশ), পাকিস্তান (৩ %), সংযুক্ত আরব আমিরাত (২.৮ %) এবং জাপান (২.৬ %)।
আর শীর্ষ ১০ অস্ত্র রপ্তানিকারকদের মধ্যে রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র (৪০ %), রাশিয়া (১৬ %), ফ্রান্স (১১ %), চীন (৫.২ %), জার্মানি (৪.২ %), ইতালি (৩.৮ %), যুক্তরাজ্য (৩.২ %), স্পেন (২.৬ %), দক্ষিণ কোরিয়া (২.৪ %) এবং ইসরায়েল (২.৩ %)। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, পাকিস্তানের আমদানির ৭৭ শতাংশই সরবরাহ করেছে চীন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেট এখন ভারতের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে ‘আঁত্মানির্ভারতা’ (স্বনির্ভরতা) অর্জনের দিকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর মধ্যে রয়েছে চারটি ‘ইতিবাচক স্বদেশীকরণ তালিকা’ এবং এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) সীমা বাড়ানো থেকে শুরু করে ভারতীয় বিক্রেতাদের জন্য ‘একটি অনুকূল পরিবেশ’ তৈরি করার উদ্যোগ। পাশাপাশি ২০২৩–২৪ সালে দেশীয় শিল্প থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহে এ খাতের বাজেটের ৭৫ শতাংশ ব্যয় করার একটা উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাও রয়েছে।
গত ১৩ মার্চ এই প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ভারতের জুনিয়র প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভাকে বলেন, বিদেশি উৎস থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের ব্যয় ২০১৮–১৯ সালের ৪৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নীতি কৌশলের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এসআইপিআরআই–এর তথ্য অনুসারে, ভারত ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। প্রতিবেদনে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা-শিল্প ভিত্তি তৈরিতে ভারতের ক্রমাগত ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির ডেটায় দেখা যাচ্ছে, ভারতের অস্ত্র আমদানি ২০১৩–২০১৭ এবং ২০১৮–২২ সালের মধ্যে ১১ শতাংশ কমেছে। এই হ্রাস ভারতের ধীর এবং জটিল অস্ত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া, অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনার প্রচেষ্টা এবং দেশীয়ভাবে ডিজাইন করা ও উৎপাদিত প্রধান অস্ত্র দিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে ২০১৩–১৭ এবং ২০১৮–২২ উভয় সময়েই ভারতে বৃহত্তম সরবরাহকারী ছিল রাশিয়া। কিন্তু ভারতের মোট অস্ত্র আমদানিতে রাশিয়ার অংশ এখন ৬৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার অবস্থান অন্যান্য সরবরাহকারী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখে পড়া, ভারতীয় অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেন হামলার কারণে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়া।

ভূরাজনীতির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ের মেরু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এর মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের মজুত। সমরাস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। বড় অস্ত্রাগারের মালিক হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ। বর্তমানে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত ও সৌদি আরব।
ভারতের বিজেপি সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রতিরক্ষা খাতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’–এর বিজ্ঞাপন করে যাচ্ছে। অর্জন হিসেবে সরকার দেশে ‘নির্মিত’ যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও সাবমেরিনের কথা বলছে। শিগগিরই রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করেছে।
অথচ নরেন্দ্র মোদির আমলে (২০১৮–২০২২ সাল) সমরাস্ত্রের মোট বৈশ্বিক আমদানির ১১ শতাংশই ভারতের। সে হিসাবে ভারত এখনো বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই ‘অর্জনে’ মোদি সরকার কৌশলগতভাবে দুর্বল এবং বিব্রতকর অবস্থানে চলে গেছে।
গত ১৩ মার্চ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অস্ত্র স্থানান্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ২০১৮–২০২২ সময়সীমার মধ্যে ভারত মোট আমদানির ৪৫ শতাংশই করেছে রাশিয়া থেকে। অর্থাৎ ভারতে রাশিয়ার হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনো দেশটিতে বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী তারা।
এরপরের অবস্থানেই আছে ফ্রান্স। ভারতের মোট আমদানির ২৯ শতাংশ হিস্যা ফ্রান্সের। মূলত দিল্লি ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৫৯ হাজার কোটি রুপির চুক্তি করায় ভারতে অস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে ফ্রান্স। উল্লেখিত সময়ে ভারতের মোট আমদানির ১১ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
২০১৮–২২ সাল পর্যন্ত হিসাবে অস্ত্র আমদানিতে ভারতের পরেই সৌদি আরবের অবস্থান। সমরাস্ত্রের বৈশ্বিক আমদানির ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কিনেছে সৌদি আরব। এরপরেই আছে যথাক্রমে—কাতার (৬.৪ %), অস্ট্রেলিয়া (৪.৭ %), চীন (৪.৬%), মিশর (৪.৫%), দক্ষিণ কোরিয়া (৩.৭%) এবং পাকিস্তান (৩.৭%)।
তবে স্ট্যাটিস্টার সর্বশেষ (১০ মার্চ, ২০২৩) তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ দশ অস্ত্র আমদানিকারক দেশের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে যৌথভাবে ভারত ও সৌদি আরব। বৈশ্বিক অস্ত্র রপ্তানির ১১ শতাংশই কেনে এই দুই দেশ। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে—মিসর (৫.৭ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়া (৫.৪ %), চীন (৪.৮ শতাংশ), কাতার (৪.৬ শতাংশ), দক্ষিণ কোরিয়া (৪.১ শতাংশ), পাকিস্তান (৩ %), সংযুক্ত আরব আমিরাত (২.৮ %) এবং জাপান (২.৬ %)।
আর শীর্ষ ১০ অস্ত্র রপ্তানিকারকদের মধ্যে রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র (৪০ %), রাশিয়া (১৬ %), ফ্রান্স (১১ %), চীন (৫.২ %), জার্মানি (৪.২ %), ইতালি (৩.৮ %), যুক্তরাজ্য (৩.২ %), স্পেন (২.৬ %), দক্ষিণ কোরিয়া (২.৪ %) এবং ইসরায়েল (২.৩ %)। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, পাকিস্তানের আমদানির ৭৭ শতাংশই সরবরাহ করেছে চীন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেট এখন ভারতের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে ‘আঁত্মানির্ভারতা’ (স্বনির্ভরতা) অর্জনের দিকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর মধ্যে রয়েছে চারটি ‘ইতিবাচক স্বদেশীকরণ তালিকা’ এবং এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) সীমা বাড়ানো থেকে শুরু করে ভারতীয় বিক্রেতাদের জন্য ‘একটি অনুকূল পরিবেশ’ তৈরি করার উদ্যোগ। পাশাপাশি ২০২৩–২৪ সালে দেশীয় শিল্প থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহে এ খাতের বাজেটের ৭৫ শতাংশ ব্যয় করার একটা উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাও রয়েছে।
গত ১৩ মার্চ এই প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ভারতের জুনিয়র প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভাকে বলেন, বিদেশি উৎস থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের ব্যয় ২০১৮–১৯ সালের ৪৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নীতি কৌশলের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এসআইপিআরআই–এর তথ্য অনুসারে, ভারত ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। প্রতিবেদনে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা-শিল্প ভিত্তি তৈরিতে ভারতের ক্রমাগত ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির ডেটায় দেখা যাচ্ছে, ভারতের অস্ত্র আমদানি ২০১৩–২০১৭ এবং ২০১৮–২২ সালের মধ্যে ১১ শতাংশ কমেছে। এই হ্রাস ভারতের ধীর এবং জটিল অস্ত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া, অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনার প্রচেষ্টা এবং দেশীয়ভাবে ডিজাইন করা ও উৎপাদিত প্রধান অস্ত্র দিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে ২০১৩–১৭ এবং ২০১৮–২২ উভয় সময়েই ভারতে বৃহত্তম সরবরাহকারী ছিল রাশিয়া। কিন্তু ভারতের মোট অস্ত্র আমদানিতে রাশিয়ার অংশ এখন ৬৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার অবস্থান অন্যান্য সরবরাহকারী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখে পড়া, ভারতীয় অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেন হামলার কারণে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়া।

ভূরাজনীতির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ের মেরু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এর মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের মজুত। সমরাস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। বড় অস্ত্রাগারের মালিক হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ। বর্তমানে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত ও সৌদি আরব।
ভারতের বিজেপি সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রতিরক্ষা খাতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’–এর বিজ্ঞাপন করে যাচ্ছে। অর্জন হিসেবে সরকার দেশে ‘নির্মিত’ যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও সাবমেরিনের কথা বলছে। শিগগিরই রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করেছে।
অথচ নরেন্দ্র মোদির আমলে (২০১৮–২০২২ সাল) সমরাস্ত্রের মোট বৈশ্বিক আমদানির ১১ শতাংশই ভারতের। সে হিসাবে ভারত এখনো বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই ‘অর্জনে’ মোদি সরকার কৌশলগতভাবে দুর্বল এবং বিব্রতকর অবস্থানে চলে গেছে।
গত ১৩ মার্চ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অস্ত্র স্থানান্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ২০১৮–২০২২ সময়সীমার মধ্যে ভারত মোট আমদানির ৪৫ শতাংশই করেছে রাশিয়া থেকে। অর্থাৎ ভারতে রাশিয়ার হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনো দেশটিতে বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী তারা।
এরপরের অবস্থানেই আছে ফ্রান্স। ভারতের মোট আমদানির ২৯ শতাংশ হিস্যা ফ্রান্সের। মূলত দিল্লি ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৫৯ হাজার কোটি রুপির চুক্তি করায় ভারতে অস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে ফ্রান্স। উল্লেখিত সময়ে ভারতের মোট আমদানির ১১ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
২০১৮–২২ সাল পর্যন্ত হিসাবে অস্ত্র আমদানিতে ভারতের পরেই সৌদি আরবের অবস্থান। সমরাস্ত্রের বৈশ্বিক আমদানির ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কিনেছে সৌদি আরব। এরপরেই আছে যথাক্রমে—কাতার (৬.৪ %), অস্ট্রেলিয়া (৪.৭ %), চীন (৪.৬%), মিশর (৪.৫%), দক্ষিণ কোরিয়া (৩.৭%) এবং পাকিস্তান (৩.৭%)।
তবে স্ট্যাটিস্টার সর্বশেষ (১০ মার্চ, ২০২৩) তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ দশ অস্ত্র আমদানিকারক দেশের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে যৌথভাবে ভারত ও সৌদি আরব। বৈশ্বিক অস্ত্র রপ্তানির ১১ শতাংশই কেনে এই দুই দেশ। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে—মিসর (৫.৭ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়া (৫.৪ %), চীন (৪.৮ শতাংশ), কাতার (৪.৬ শতাংশ), দক্ষিণ কোরিয়া (৪.১ শতাংশ), পাকিস্তান (৩ %), সংযুক্ত আরব আমিরাত (২.৮ %) এবং জাপান (২.৬ %)।
আর শীর্ষ ১০ অস্ত্র রপ্তানিকারকদের মধ্যে রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র (৪০ %), রাশিয়া (১৬ %), ফ্রান্স (১১ %), চীন (৫.২ %), জার্মানি (৪.২ %), ইতালি (৩.৮ %), যুক্তরাজ্য (৩.২ %), স্পেন (২.৬ %), দক্ষিণ কোরিয়া (২.৪ %) এবং ইসরায়েল (২.৩ %)। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, পাকিস্তানের আমদানির ৭৭ শতাংশই সরবরাহ করেছে চীন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেট এখন ভারতের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে ‘আঁত্মানির্ভারতা’ (স্বনির্ভরতা) অর্জনের দিকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর মধ্যে রয়েছে চারটি ‘ইতিবাচক স্বদেশীকরণ তালিকা’ এবং এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) সীমা বাড়ানো থেকে শুরু করে ভারতীয় বিক্রেতাদের জন্য ‘একটি অনুকূল পরিবেশ’ তৈরি করার উদ্যোগ। পাশাপাশি ২০২৩–২৪ সালে দেশীয় শিল্প থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহে এ খাতের বাজেটের ৭৫ শতাংশ ব্যয় করার একটা উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাও রয়েছে।
গত ১৩ মার্চ এই প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ভারতের জুনিয়র প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভাকে বলেন, বিদেশি উৎস থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের ব্যয় ২০১৮–১৯ সালের ৪৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নীতি কৌশলের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এসআইপিআরআই–এর তথ্য অনুসারে, ভারত ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। প্রতিবেদনে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা-শিল্প ভিত্তি তৈরিতে ভারতের ক্রমাগত ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির ডেটায় দেখা যাচ্ছে, ভারতের অস্ত্র আমদানি ২০১৩–২০১৭ এবং ২০১৮–২২ সালের মধ্যে ১১ শতাংশ কমেছে। এই হ্রাস ভারতের ধীর এবং জটিল অস্ত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া, অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনার প্রচেষ্টা এবং দেশীয়ভাবে ডিজাইন করা ও উৎপাদিত প্রধান অস্ত্র দিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে ২০১৩–১৭ এবং ২০১৮–২২ উভয় সময়েই ভারতে বৃহত্তম সরবরাহকারী ছিল রাশিয়া। কিন্তু ভারতের মোট অস্ত্র আমদানিতে রাশিয়ার অংশ এখন ৬৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার অবস্থান অন্যান্য সরবরাহকারী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখে পড়া, ভারতীয় অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেন হামলার কারণে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়া।

ভূরাজনীতির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ের মেরু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এর মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের মজুত। সমরাস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। বড় অস্ত্রাগারের মালিক হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ। বর্তমানে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত ও সৌদি আরব।
ভারতের বিজেপি সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রতিরক্ষা খাতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’–এর বিজ্ঞাপন করে যাচ্ছে। অর্জন হিসেবে সরকার দেশে ‘নির্মিত’ যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও সাবমেরিনের কথা বলছে। শিগগিরই রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করেছে।
অথচ নরেন্দ্র মোদির আমলে (২০১৮–২০২২ সাল) সমরাস্ত্রের মোট বৈশ্বিক আমদানির ১১ শতাংশই ভারতের। সে হিসাবে ভারত এখনো বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই ‘অর্জনে’ মোদি সরকার কৌশলগতভাবে দুর্বল এবং বিব্রতকর অবস্থানে চলে গেছে।
গত ১৩ মার্চ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অস্ত্র স্থানান্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ২০১৮–২০২২ সময়সীমার মধ্যে ভারত মোট আমদানির ৪৫ শতাংশই করেছে রাশিয়া থেকে। অর্থাৎ ভারতে রাশিয়ার হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনো দেশটিতে বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী তারা।
এরপরের অবস্থানেই আছে ফ্রান্স। ভারতের মোট আমদানির ২৯ শতাংশ হিস্যা ফ্রান্সের। মূলত দিল্লি ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৫৯ হাজার কোটি রুপির চুক্তি করায় ভারতে অস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে ফ্রান্স। উল্লেখিত সময়ে ভারতের মোট আমদানির ১১ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
২০১৮–২২ সাল পর্যন্ত হিসাবে অস্ত্র আমদানিতে ভারতের পরেই সৌদি আরবের অবস্থান। সমরাস্ত্রের বৈশ্বিক আমদানির ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কিনেছে সৌদি আরব। এরপরেই আছে যথাক্রমে—কাতার (৬.৪ %), অস্ট্রেলিয়া (৪.৭ %), চীন (৪.৬%), মিশর (৪.৫%), দক্ষিণ কোরিয়া (৩.৭%) এবং পাকিস্তান (৩.৭%)।
তবে স্ট্যাটিস্টার সর্বশেষ (১০ মার্চ, ২০২৩) তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ দশ অস্ত্র আমদানিকারক দেশের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে যৌথভাবে ভারত ও সৌদি আরব। বৈশ্বিক অস্ত্র রপ্তানির ১১ শতাংশই কেনে এই দুই দেশ। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে—মিসর (৫.৭ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়া (৫.৪ %), চীন (৪.৮ শতাংশ), কাতার (৪.৬ শতাংশ), দক্ষিণ কোরিয়া (৪.১ শতাংশ), পাকিস্তান (৩ %), সংযুক্ত আরব আমিরাত (২.৮ %) এবং জাপান (২.৬ %)।
আর শীর্ষ ১০ অস্ত্র রপ্তানিকারকদের মধ্যে রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র (৪০ %), রাশিয়া (১৬ %), ফ্রান্স (১১ %), চীন (৫.২ %), জার্মানি (৪.২ %), ইতালি (৩.৮ %), যুক্তরাজ্য (৩.২ %), স্পেন (২.৬ %), দক্ষিণ কোরিয়া (২.৪ %) এবং ইসরায়েল (২.৩ %)। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, পাকিস্তানের আমদানির ৭৭ শতাংশই সরবরাহ করেছে চীন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেট এখন ভারতের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে ‘আঁত্মানির্ভারতা’ (স্বনির্ভরতা) অর্জনের দিকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর মধ্যে রয়েছে চারটি ‘ইতিবাচক স্বদেশীকরণ তালিকা’ এবং এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) সীমা বাড়ানো থেকে শুরু করে ভারতীয় বিক্রেতাদের জন্য ‘একটি অনুকূল পরিবেশ’ তৈরি করার উদ্যোগ। পাশাপাশি ২০২৩–২৪ সালে দেশীয় শিল্প থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহে এ খাতের বাজেটের ৭৫ শতাংশ ব্যয় করার একটা উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাও রয়েছে।
গত ১৩ মার্চ এই প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ভারতের জুনিয়র প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভাকে বলেন, বিদেশি উৎস থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের ব্যয় ২০১৮–১৯ সালের ৪৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নীতি কৌশলের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এসআইপিআরআই–এর তথ্য অনুসারে, ভারত ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক। প্রতিবেদনে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা-শিল্প ভিত্তি তৈরিতে ভারতের ক্রমাগত ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির ডেটায় দেখা যাচ্ছে, ভারতের অস্ত্র আমদানি ২০১৩–২০১৭ এবং ২০১৮–২২ সালের মধ্যে ১১ শতাংশ কমেছে। এই হ্রাস ভারতের ধীর এবং জটিল অস্ত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া, অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনার প্রচেষ্টা এবং দেশীয়ভাবে ডিজাইন করা ও উৎপাদিত প্রধান অস্ত্র দিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে ২০১৩–১৭ এবং ২০১৮–২২ উভয় সময়েই ভারতে বৃহত্তম সরবরাহকারী ছিল রাশিয়া। কিন্তু ভারতের মোট অস্ত্র আমদানিতে রাশিয়ার অংশ এখন ৬৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার অবস্থান অন্যান্য সরবরাহকারী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখে পড়া, ভারতীয় অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেন হামলার কারণে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়া।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

ভূরাজনীতির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ের মেরু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এর মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের মজুত। সমরাস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। বড় অস্ত্রাগারের মালিক হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ। বর্তমানে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত ও সৌদি আরব।
২৩ মার্চ ২০২৩
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

ভূরাজনীতির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ের মেরু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এর মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের মজুত। সমরাস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। বড় অস্ত্রাগারের মালিক হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ। বর্তমানে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত ও সৌদি আরব।
২৩ মার্চ ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ভূরাজনীতির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ের মেরু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এর মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের মজুত। সমরাস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। বড় অস্ত্রাগারের মালিক হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ। বর্তমানে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত ও সৌদি আরব।
২৩ মার্চ ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূরাজনীতির ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বৈশ্বিক ক্ষমতাবলয়ের মেরু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এর মধ্যে বাড়ছে অস্ত্রের মজুত। সমরাস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। বড় অস্ত্রাগারের মালিক হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ। বর্তমানে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত ও সৌদি আরব।
২৩ মার্চ ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে