ইশতিয়াক হাসান

ছোটবেলা থেকেই বরফে ঢাকা হিমালয়, এর সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট, হিলারি-তেনজিং নোরগের এভারেস্ট জয়ের গল্পে মজে গিয়েছিলাম। আর হিমালয় নিয়ে নানা লেখা পড়তে পড়তে একসময় ইয়েতির কথাও জেনে গেলাম। ইয়েতি নিয়ে বই-পত্রিকায় যত পড়লাম, তত আবিষ্কার করলাম ইয়েতি হলো এক হিসাবে হিমালয়ের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটি, যার জট ছোটাতে পারেননি কেউ। আর এতে এর প্রতি আগ্রহটা আরও ডালপালা মেলল। চলুন তাহলে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যাই হিমালয়ের বরফরাজ্যে, ইয়েতির খোঁজে।
ইয়েতির মূল কাহিনি শুরুর আগে বরং ইয়েতি নিয়ে আমাকে আগ্রহী করে তুলতে ভূমিকা রাখা দুটি বইয়ের ব্যাপারে দু-চার কথা লিখি। শুরুতেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পাহাড়চূড়ায় আতঙ্ক’। কাঠমান্ডু থেকে ছোট্ট এক উড়োজাহাজে চেপে কাকাবাবু ও সন্তু চলে যায় হিমালয়ের দুর্গম এক এলাকায়। আমাদের বাসার ডাইনিং রুমের ছোট্ট খাটটায় শুয়ে স্কুলপড়ুয়া আমি ভরদুপুরে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও যেন সন্তুর সঙ্গে শীতে কাঁপছিলাম, কান পাতলেই যেন শুনতে পাচ্ছিলাম হিমবাহ পতনের কান ফাটানো আওয়াজ। কাকাবাবুর খুব সাবধানে আগলে রাখা ছোট্ট বাক্সের দাঁতটা কি তবে ইয়েতির? বরফের পাহাড়ের আড়ালে একমুহূর্তের জন্য দেখা যাওয়া ওই বিশাল ছায়ামূর্তিটা কী? শেষ পর্যন্ত কি ওরা দেখা পাবে ইয়েতির? এমন সব প্রশ্ন মাথায় নিয়ে উত্তেজনায় টগবগ করছিলাম।
তারপর আসে আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বের হওয়া টিনটিন ইন টিবেটের অসাধারণ অনুবাদ ‘তিব্বতে টিনটিন’। বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ এক বন্ধুর খোঁজ করতে ক্যাপ্টেন হ্যাডক ও কুকুর স্নোয়ি বা কুট্টুসকে নিয়ে টিনটিন যায় তিব্বতে। রোমাঞ্চকর সেই অভিযানের পরতে পরতে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে ইয়েতি। সেই সঙ্গে ইয়েতিতে আরও বেশি করে মজে যাই আমি।
এবার তাহলে মূল গল্পে প্রবেশ করা যাক। হিমালয় পর্বতশ্রেণির বিভিন্ন পাহাড়ে রহস্যময় এক প্রাণী বিচরণের খবর মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী বিশালদেহী গরিলা কিংবা ভালুকসদৃশ লোমশ এক জন্তু ওটা। শুরুতে এক পশ্চিমা সাংবাদিক ধারণা করেছিলেন, তিব্বতিরা একে যে নামে ডাকে তার অর্থ ‘অপরিষ্কার তুষারমানব’। এর সূত্র ধরেই পশ্চিমারা একে এবমিনেবল স্নোম্যান বা খারাপ তুষারমানব নামে পরিচয় করিয়ে দিতে শুরু করে। আসলে গোটা ব্যাপারটাই ছিল একটা ভুল বোঝাবুঝি।
১৯২১ সালে হেনরি নিউম্যান নামের ওই সাংবাদিক এভারেস্ট অভিযান শেষে ফেরা একদল ব্রিটিশ অভিযাত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। ওই অভিযাত্রীরা বিশাল আকারের পায়ের ছাপ দেখার বর্ণনা দেন পর্বতের সফেদ শরীরে, জানান তাঁদের গাইড বলেছে, এটা মেতোহ-কাংমি, অর্থাৎ ‘মেন-বিয়ার স্নোম্যান’-এর ছাপ। তবে নিউম্যান মেতোহর অর্থ ধরে নিলেন অপরিষ্কার। তাঁর মনে হলো, এর চেয়ে এবমিনেবল বা খারাপ তুষার মানবই বেশি জুতসই, ব্যাস আপাতত পরিচিতি পেয়ে গেল এবমিনেবল স্নোম্যান নামটি। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য টিকে যায়, নেপালিদের ডাকা নাম ইয়েতি, যার অর্থ বড় খাদক। এখন গোটা পৃথিবীর মানুষ এ নামেই চেনে একে।
কিন্তু সত্যি কি ইয়েতি আছে? এর উত্তরই খোঁজার চেষ্টা করব এখন। বেশির ভাগের ধারণা, ইয়েতি হিমালয়ের কল্পকথার এক প্রাণী ছাড়া আর কিছু নয়। তবে কিংবদন্তি ও ইতিহাসের পাতা উল্টালে মনে হয় এ ধরনের কিছু একটা থাকাটা খুব অস্বাভাবিক নয়। কথিত আছে, ইয়েতি রহস্য কৌতূহলী করে তোলে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটকেও। সিন্ধু নদীর অববাহিকায় এসে রহস্যময় প্রাণীটির কথা শুনে দেখতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় লোকেরা অবশ্য তাঁকে নিরাশ করে, জানায়, এত নিচে ওই জন্তুটা বাঁচে না, তাই তাঁর সামনে হাজির করা সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হলো, ইয়েতি আছে এ ব্যাপারে যাঁরা বাজি ধরতে রাজি, তাঁদের তুরুপের তাস কী? ওটা কি তবে ব্রিটিশ অভিযাত্রী ও আলোকচিত্রী এরিক শিপটনের তোলা সেই ছবি। হিমালয় অঞ্চলের সংস্কৃতিতে ইয়েতি জড়িয়ে আছে বহু পুরোনো কাল থেকে। তবে একে ইউরোপ-আমেরিকার অভিযাত্রীদের সামনে নিয়ে আসায় মূল ভূমিকা এরিক শিপটনের।
সালটা ১৯৫১, এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর একটা বিকল্প পথের খোঁজ করছিলেন শিপটন ও তাঁর দলবল। ওই সময় অপ্রত্যাশিতভাবেই অদ্ভুত এক পায়ের ছাপের সামনে চলে আসেন। এর ছবিও তুলে নেন শিপটন। আর এভাবেই বলা, ইয়েতির কথা জানতে শুরু করে বিশ্ববাসী। সবচেয়ে বিখ্যাত ও অভিজ্ঞ হিমালয় অভিযাত্রীদের একজন বলে পরিচিত এরিক শিপটন ছবিটি তুলেছিলেন এভারেস্টের পশ্চিমে মেনলাং হিমবাহে, জায়গাটি সাগর সমতল থেকে প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায়। পায়ের ছাপটি ছিল ১৩ ইঞ্চি লম্বা। অনেকেই একে বিবেচনা করেন হিমালয়ে তোলা সবচেয়ে চমক জাগানো ছবি হিসেবে। ওই সময় ইয়েতি নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। নেপাল সরকার তো ১৯৫০-এর দশকে ইয়েতি শিকারের লাইসেন্স পর্যন্ত দিয়েছিল। যদিও একটি ইয়েতিকেও জীবিত কিংবা মৃত অবস্থায় হাজির করা সম্ভব হয়নি।
তবে ইয়েতি নিয়ে যাঁরা তর্কে জড়ান, তাঁদের বড় একটি অংশের ধারণা, তবে ইয়েতিপ্রেমীরা এটা মানতে নারাজ। শিপটন ওই ছবিটি তোলার আগেই ইয়েতির পায়ের ছাপ এমনকি জন্তুটাকে দেখার দাবি এসেছে হিমালয় অভিযাত্রী এবং শেরপাদের কাছ থেকে। পশ্চিমা বিশ্বেও এর খবর একটু একটু করে রটছিল।
ইউরোপীয়দের মধ্যে হিমালয়ের গহিনে এ ধরনের কিছু একটা থাকতে পারে বলে প্রথম যাঁরা ধারণা দেন, তাঁদের একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রী চার্লস হওয়ার্ড-বারি। ১৯২১ সালের হিমালয় অভিযানে লাখপা লা পাসের কাছে ইয়েতির পায়ের ছাপ পাওয়ার কথা বলেন। তাঁর বই ‘মাউন্ট এভারেস্ট: দ্য রিকনিসনস, ১৯২১’-এ ঘটনাটির উল্লেখ করেন তিনি। বারি দাবি করেন, মানুষের মতো কোনো প্রাণীর বেশ বড় পায়ের ছাপ খুঁজে পান তিনি। পরে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন, হিমালয়ের গভীরে ঘুরে বেড়ানো বুনো, লোমশ এক রহস্যময় জন্তুর ছাপ এগুলো।
১৯২৫ সালে এন এ টমবাজি নামের এক আলোকচিত্রী ও রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটির সদস্য দাবি করে বসেন, জেমু হিমবাহের কাছে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় মানবসদৃশ আশ্চর্য এক প্রাণী দেখেছিলেন তিনি। ১৯৩৭ সালে ফ্রাংক এস স্মিথি নামের এক অভিযাত্রীও ইয়েতির পায়ের ছাপের ছবি তোলার দাবি করেন। ১৯৫২ সালে পপুলার সায়েন্সে এটি প্রকাশিত হয়। ১৯৪২ সালে দুই পর্বতারোহী এভারেস্ট অভিযানে তাঁদের পোয়া মাইল নিচে আট ফুটি কালো দুটো অবয়ব হেঁটে যাওয়ার কথা বলেন। ব্রায়ান বার্নি নামের অপর এক অভিযাত্রী আবার অরুণ উপত্যকায় ১৯৫৯ সালে ইয়েতির পায়ের ছাপ আবিষ্কারের কথা বলেন।
ইয়েতিতে সবচেয়ে বেশি মোহিত হওয়া অভিযাত্রীদের তালিকা করলে ওপরের দিকে থাকবেন ইতালিয়ান পর্বতারোহী রেইনহোল্ড মেসনার। ১৯৮৬ সালে তিব্বতের কোনো এক জায়গায় প্রথম ইয়েতি দেখার দাবি করেন মেসনার। সেদিন হাঁটতে হাঁটতে পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। অন্ধকার নেমে এলে সামনে কালো, বিশাল এক ছায়ামূর্তি আবিষ্কার করেন। মানুষের মতোই হাঁটছিল, তবে আরও দ্রুতগতিতে, শক্তিশালী পদক্ষেপে। ওই রাতেই আবারও ওটাকে দেখেন, প্রায় সাত ফুট ছিল এর দৈর্ঘ্য। বলা চলে, এ ঘটনাই প্রাণীটির আচ্ছন্ন করে ফেলে। পরের এক যুগ ব্যস্ত থাকেন ইয়েতির সন্ধানে।
এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্যবার হিমালয়ে অভিযানে গিয়েছেন। বেশির ভাগ সময় হতাশাই জোটে তাঁর কপালে। অবশ্য লাসা আর কারাকোরাম এলাকায় আরও কয়েকবার ইয়েতি দেখার কথা বলেন তিনি। শেষমেশ অবশ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছান—ওগুলো পার্বত্য ভালুকই। এদিকে আর্নস্ট স্ক্যাফের নামের এক জার্মান অভিযাত্রীও ১৯৩৯ সালে জার্মান সরকারের সহায়তায় এক গোপন মিশন থেকে ফিরে একই যবনিকা টানেন ইয়েতি রহস্যের। স্ক্যাফেরের ভাষায় ইয়েতি একটা প্রমাণ সাইজের ভালুক ছাড়া আর কিছু নয়।
এমনকি ১৯৫৩ সালে স্যার অ্যাডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে এভারেস্ট অভিযানের সময় বড় কোনো প্রাণীর পায়ের ছাপ দেখার কথা বলেন। নোরগেকে তাঁর প্রথম আত্মজীবনীতে লিখেছেন নিজে না দেখলেও তার বাবা রহস্যময় এই জন্তুকে দুই বার দেখেছেন। অবশ্য দ্বিতীয় আত্মজীবনীতে সন্দিহান মনে হয়েছে তাঁকে।
১৯৫৪ সালে ডেইলি মেইল ‘স্নোম্যান’ নামের অভিযানের আয়োজন করে ইয়েতির খোঁজে। তখন একটি গুম্ফা থেকে কোনো প্রাণীর মাথার খুলির কিছু লোমও পাওয়া যায়, স্থানীয়দের দাবি, ওগুলো ইয়েতির লোম। একটু অন্ধকারে একে কালো থেকে গাঢ় বাদামি এবং উজ্জ্বল আলোয় লালচে দেখাচ্ছিল। কিন্তু গবেষণায় উঠে আসে ওটা খুরওলা কোনো প্রাণীর কাঁধের লোম।
এদিকে স্যার হিলারির ১৯৬০ সালের অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল ইয়েতির ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ। খুমজাং নামে এক গুম্ফা থেকে স্থানীয়রা ইয়েতির খুলির চামড়া বলে দাবি করা জিনিসটা লন্ডনে নিয়েও আসেন। অবশ্য বিজ্ঞানীরা পরে নিশ্চিত হোন ওগুলো অ্যান্টিলোপ জাতীয় প্রাণী সেরোর লোম।
আপনি যদি ইয়েতিপ্রেমী হয়ে থাকেন, তবে অক্সফোর্ডের জিন বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান সাইকেসের পরীক্ষার ফলাফল আপনাকে হতাশই করবে। ২০১৩ সালে ইয়েতিভক্তদের ইয়েতির চুল, দাঁতসহ শরীরের অন্য কোনো অংশ হাজির করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি, পরীক্ষার জন্য। যে ৫৭টি নমুনা পান, এর ৩৬টি বাছাই করা হয় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। ওই এলাকায় বিচরণ করা বিভিন্ন প্রাণীর জিনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় ওগুলো। বেশির ভাগই মেলে ভালুকের সঙ্গে। অবশ্য এখানেও চমক ছিল। দুটি নমুনা, যার একটি পাওয়া গিয়েছে ভুটানে ও অপরটি ভারতে, এমন এক প্রজাতির ভালুকের সঙ্গে মিলে যায়, যেগুলো ৪০-১২০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে! পরে কয়েকজন বিজ্ঞানী ওই দুটি নমুনা পরীক্ষা করে দাবি করেন, ওগুলো সাধারণ ভালুকেরই নমুনা!
২০১৭ সালে আরেক দল গবেষক হিমালয় ও তিব্বত থেকে সংগ্রহ করা লোম, মল, দাঁত পরীক্ষা করে জানান, ওগুলো তিব্বতি ভালুকের নমুনা। তবে গবেষকদের এত সব যুক্তির পরও কিন্তু ইয়েতিপ্রেমীরা প্রাণীটি নেই এটা মানতে রাজি ছিলেন না। তবে বহু দিন ধরে ইয়েতি সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। এর মধ্যেই ২০১৯ সালে ভারতীয় সেনারা হিমালয়ের মাকালু বেস ক্যাম্পে ইয়েতির পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়ার দাবি করার পাশাপাশি এর ছবিও প্রকাশ করে। আর এতে ইয়েতি বিশ্বাসীরা যেন হালে পানি পান।
ইয়েতি নিয়ে বানানো হয়েছে অনেক সিনেমা, টিভি সিরিজ, ভিডিও গেম এবং কার্টুন ছবি। শুরুতে যে পাহাড়চূড়ায় ‘আতঙ্ক’ নামে বইটির কথা বলেছিলাম, তার কাহিনি নিয়ে ইয়েতি অভিযান নামে একটি বাংলা সিনেমা তৈরি করেছেন কলকাতার নামি পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। ২০১৭ সালের ঘটনা এটি। কালক্রমে ইয়েতি পরিণত হয়েছে নেপাল, ভারত, ভুটান ও তিব্বত জুড়ে সংস্কৃতি ও ব্যবসার অনুষঙ্গে। ভুটানে ইয়েতি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ডাক টিকিট। নেপালে আছে ইয়েতি এয়ারলাইনস, সম্প্রতি যাদের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। মোদ্দা কথা বিশেষজ্ঞরা যাই বলুন, রোমাঞ্চপ্রেমীদের ইয়েতির প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়েনি একটুও। বরং যত দিন গড়িয়েছে, রহস্যে যোগ হয়েছে নতুন নতুন মাত্রা। কি ইয়েতির কথা আগে জানা না থাকলেও এখন নিশ্চয় ইয়েতি নিয়ে কৌতূহলীদের কাতারে ভিড়ে গেছেন আপনিও।
সূত্র. বিবিসি, উইকিপিডিয়া, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন

ছোটবেলা থেকেই বরফে ঢাকা হিমালয়, এর সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট, হিলারি-তেনজিং নোরগের এভারেস্ট জয়ের গল্পে মজে গিয়েছিলাম। আর হিমালয় নিয়ে নানা লেখা পড়তে পড়তে একসময় ইয়েতির কথাও জেনে গেলাম। ইয়েতি নিয়ে বই-পত্রিকায় যত পড়লাম, তত আবিষ্কার করলাম ইয়েতি হলো এক হিসাবে হিমালয়ের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটি, যার জট ছোটাতে পারেননি কেউ। আর এতে এর প্রতি আগ্রহটা আরও ডালপালা মেলল। চলুন তাহলে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যাই হিমালয়ের বরফরাজ্যে, ইয়েতির খোঁজে।
ইয়েতির মূল কাহিনি শুরুর আগে বরং ইয়েতি নিয়ে আমাকে আগ্রহী করে তুলতে ভূমিকা রাখা দুটি বইয়ের ব্যাপারে দু-চার কথা লিখি। শুরুতেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পাহাড়চূড়ায় আতঙ্ক’। কাঠমান্ডু থেকে ছোট্ট এক উড়োজাহাজে চেপে কাকাবাবু ও সন্তু চলে যায় হিমালয়ের দুর্গম এক এলাকায়। আমাদের বাসার ডাইনিং রুমের ছোট্ট খাটটায় শুয়ে স্কুলপড়ুয়া আমি ভরদুপুরে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও যেন সন্তুর সঙ্গে শীতে কাঁপছিলাম, কান পাতলেই যেন শুনতে পাচ্ছিলাম হিমবাহ পতনের কান ফাটানো আওয়াজ। কাকাবাবুর খুব সাবধানে আগলে রাখা ছোট্ট বাক্সের দাঁতটা কি তবে ইয়েতির? বরফের পাহাড়ের আড়ালে একমুহূর্তের জন্য দেখা যাওয়া ওই বিশাল ছায়ামূর্তিটা কী? শেষ পর্যন্ত কি ওরা দেখা পাবে ইয়েতির? এমন সব প্রশ্ন মাথায় নিয়ে উত্তেজনায় টগবগ করছিলাম।
তারপর আসে আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বের হওয়া টিনটিন ইন টিবেটের অসাধারণ অনুবাদ ‘তিব্বতে টিনটিন’। বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ এক বন্ধুর খোঁজ করতে ক্যাপ্টেন হ্যাডক ও কুকুর স্নোয়ি বা কুট্টুসকে নিয়ে টিনটিন যায় তিব্বতে। রোমাঞ্চকর সেই অভিযানের পরতে পরতে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে ইয়েতি। সেই সঙ্গে ইয়েতিতে আরও বেশি করে মজে যাই আমি।
এবার তাহলে মূল গল্পে প্রবেশ করা যাক। হিমালয় পর্বতশ্রেণির বিভিন্ন পাহাড়ে রহস্যময় এক প্রাণী বিচরণের খবর মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী বিশালদেহী গরিলা কিংবা ভালুকসদৃশ লোমশ এক জন্তু ওটা। শুরুতে এক পশ্চিমা সাংবাদিক ধারণা করেছিলেন, তিব্বতিরা একে যে নামে ডাকে তার অর্থ ‘অপরিষ্কার তুষারমানব’। এর সূত্র ধরেই পশ্চিমারা একে এবমিনেবল স্নোম্যান বা খারাপ তুষারমানব নামে পরিচয় করিয়ে দিতে শুরু করে। আসলে গোটা ব্যাপারটাই ছিল একটা ভুল বোঝাবুঝি।
১৯২১ সালে হেনরি নিউম্যান নামের ওই সাংবাদিক এভারেস্ট অভিযান শেষে ফেরা একদল ব্রিটিশ অভিযাত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। ওই অভিযাত্রীরা বিশাল আকারের পায়ের ছাপ দেখার বর্ণনা দেন পর্বতের সফেদ শরীরে, জানান তাঁদের গাইড বলেছে, এটা মেতোহ-কাংমি, অর্থাৎ ‘মেন-বিয়ার স্নোম্যান’-এর ছাপ। তবে নিউম্যান মেতোহর অর্থ ধরে নিলেন অপরিষ্কার। তাঁর মনে হলো, এর চেয়ে এবমিনেবল বা খারাপ তুষার মানবই বেশি জুতসই, ব্যাস আপাতত পরিচিতি পেয়ে গেল এবমিনেবল স্নোম্যান নামটি। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য টিকে যায়, নেপালিদের ডাকা নাম ইয়েতি, যার অর্থ বড় খাদক। এখন গোটা পৃথিবীর মানুষ এ নামেই চেনে একে।
কিন্তু সত্যি কি ইয়েতি আছে? এর উত্তরই খোঁজার চেষ্টা করব এখন। বেশির ভাগের ধারণা, ইয়েতি হিমালয়ের কল্পকথার এক প্রাণী ছাড়া আর কিছু নয়। তবে কিংবদন্তি ও ইতিহাসের পাতা উল্টালে মনে হয় এ ধরনের কিছু একটা থাকাটা খুব অস্বাভাবিক নয়। কথিত আছে, ইয়েতি রহস্য কৌতূহলী করে তোলে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটকেও। সিন্ধু নদীর অববাহিকায় এসে রহস্যময় প্রাণীটির কথা শুনে দেখতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় লোকেরা অবশ্য তাঁকে নিরাশ করে, জানায়, এত নিচে ওই জন্তুটা বাঁচে না, তাই তাঁর সামনে হাজির করা সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হলো, ইয়েতি আছে এ ব্যাপারে যাঁরা বাজি ধরতে রাজি, তাঁদের তুরুপের তাস কী? ওটা কি তবে ব্রিটিশ অভিযাত্রী ও আলোকচিত্রী এরিক শিপটনের তোলা সেই ছবি। হিমালয় অঞ্চলের সংস্কৃতিতে ইয়েতি জড়িয়ে আছে বহু পুরোনো কাল থেকে। তবে একে ইউরোপ-আমেরিকার অভিযাত্রীদের সামনে নিয়ে আসায় মূল ভূমিকা এরিক শিপটনের।
সালটা ১৯৫১, এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর একটা বিকল্প পথের খোঁজ করছিলেন শিপটন ও তাঁর দলবল। ওই সময় অপ্রত্যাশিতভাবেই অদ্ভুত এক পায়ের ছাপের সামনে চলে আসেন। এর ছবিও তুলে নেন শিপটন। আর এভাবেই বলা, ইয়েতির কথা জানতে শুরু করে বিশ্ববাসী। সবচেয়ে বিখ্যাত ও অভিজ্ঞ হিমালয় অভিযাত্রীদের একজন বলে পরিচিত এরিক শিপটন ছবিটি তুলেছিলেন এভারেস্টের পশ্চিমে মেনলাং হিমবাহে, জায়গাটি সাগর সমতল থেকে প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায়। পায়ের ছাপটি ছিল ১৩ ইঞ্চি লম্বা। অনেকেই একে বিবেচনা করেন হিমালয়ে তোলা সবচেয়ে চমক জাগানো ছবি হিসেবে। ওই সময় ইয়েতি নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। নেপাল সরকার তো ১৯৫০-এর দশকে ইয়েতি শিকারের লাইসেন্স পর্যন্ত দিয়েছিল। যদিও একটি ইয়েতিকেও জীবিত কিংবা মৃত অবস্থায় হাজির করা সম্ভব হয়নি।
তবে ইয়েতি নিয়ে যাঁরা তর্কে জড়ান, তাঁদের বড় একটি অংশের ধারণা, তবে ইয়েতিপ্রেমীরা এটা মানতে নারাজ। শিপটন ওই ছবিটি তোলার আগেই ইয়েতির পায়ের ছাপ এমনকি জন্তুটাকে দেখার দাবি এসেছে হিমালয় অভিযাত্রী এবং শেরপাদের কাছ থেকে। পশ্চিমা বিশ্বেও এর খবর একটু একটু করে রটছিল।
ইউরোপীয়দের মধ্যে হিমালয়ের গহিনে এ ধরনের কিছু একটা থাকতে পারে বলে প্রথম যাঁরা ধারণা দেন, তাঁদের একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রী চার্লস হওয়ার্ড-বারি। ১৯২১ সালের হিমালয় অভিযানে লাখপা লা পাসের কাছে ইয়েতির পায়ের ছাপ পাওয়ার কথা বলেন। তাঁর বই ‘মাউন্ট এভারেস্ট: দ্য রিকনিসনস, ১৯২১’-এ ঘটনাটির উল্লেখ করেন তিনি। বারি দাবি করেন, মানুষের মতো কোনো প্রাণীর বেশ বড় পায়ের ছাপ খুঁজে পান তিনি। পরে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন, হিমালয়ের গভীরে ঘুরে বেড়ানো বুনো, লোমশ এক রহস্যময় জন্তুর ছাপ এগুলো।
১৯২৫ সালে এন এ টমবাজি নামের এক আলোকচিত্রী ও রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটির সদস্য দাবি করে বসেন, জেমু হিমবাহের কাছে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় মানবসদৃশ আশ্চর্য এক প্রাণী দেখেছিলেন তিনি। ১৯৩৭ সালে ফ্রাংক এস স্মিথি নামের এক অভিযাত্রীও ইয়েতির পায়ের ছাপের ছবি তোলার দাবি করেন। ১৯৫২ সালে পপুলার সায়েন্সে এটি প্রকাশিত হয়। ১৯৪২ সালে দুই পর্বতারোহী এভারেস্ট অভিযানে তাঁদের পোয়া মাইল নিচে আট ফুটি কালো দুটো অবয়ব হেঁটে যাওয়ার কথা বলেন। ব্রায়ান বার্নি নামের অপর এক অভিযাত্রী আবার অরুণ উপত্যকায় ১৯৫৯ সালে ইয়েতির পায়ের ছাপ আবিষ্কারের কথা বলেন।
ইয়েতিতে সবচেয়ে বেশি মোহিত হওয়া অভিযাত্রীদের তালিকা করলে ওপরের দিকে থাকবেন ইতালিয়ান পর্বতারোহী রেইনহোল্ড মেসনার। ১৯৮৬ সালে তিব্বতের কোনো এক জায়গায় প্রথম ইয়েতি দেখার দাবি করেন মেসনার। সেদিন হাঁটতে হাঁটতে পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। অন্ধকার নেমে এলে সামনে কালো, বিশাল এক ছায়ামূর্তি আবিষ্কার করেন। মানুষের মতোই হাঁটছিল, তবে আরও দ্রুতগতিতে, শক্তিশালী পদক্ষেপে। ওই রাতেই আবারও ওটাকে দেখেন, প্রায় সাত ফুট ছিল এর দৈর্ঘ্য। বলা চলে, এ ঘটনাই প্রাণীটির আচ্ছন্ন করে ফেলে। পরের এক যুগ ব্যস্ত থাকেন ইয়েতির সন্ধানে।
এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্যবার হিমালয়ে অভিযানে গিয়েছেন। বেশির ভাগ সময় হতাশাই জোটে তাঁর কপালে। অবশ্য লাসা আর কারাকোরাম এলাকায় আরও কয়েকবার ইয়েতি দেখার কথা বলেন তিনি। শেষমেশ অবশ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছান—ওগুলো পার্বত্য ভালুকই। এদিকে আর্নস্ট স্ক্যাফের নামের এক জার্মান অভিযাত্রীও ১৯৩৯ সালে জার্মান সরকারের সহায়তায় এক গোপন মিশন থেকে ফিরে একই যবনিকা টানেন ইয়েতি রহস্যের। স্ক্যাফেরের ভাষায় ইয়েতি একটা প্রমাণ সাইজের ভালুক ছাড়া আর কিছু নয়।
এমনকি ১৯৫৩ সালে স্যার অ্যাডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে এভারেস্ট অভিযানের সময় বড় কোনো প্রাণীর পায়ের ছাপ দেখার কথা বলেন। নোরগেকে তাঁর প্রথম আত্মজীবনীতে লিখেছেন নিজে না দেখলেও তার বাবা রহস্যময় এই জন্তুকে দুই বার দেখেছেন। অবশ্য দ্বিতীয় আত্মজীবনীতে সন্দিহান মনে হয়েছে তাঁকে।
১৯৫৪ সালে ডেইলি মেইল ‘স্নোম্যান’ নামের অভিযানের আয়োজন করে ইয়েতির খোঁজে। তখন একটি গুম্ফা থেকে কোনো প্রাণীর মাথার খুলির কিছু লোমও পাওয়া যায়, স্থানীয়দের দাবি, ওগুলো ইয়েতির লোম। একটু অন্ধকারে একে কালো থেকে গাঢ় বাদামি এবং উজ্জ্বল আলোয় লালচে দেখাচ্ছিল। কিন্তু গবেষণায় উঠে আসে ওটা খুরওলা কোনো প্রাণীর কাঁধের লোম।
এদিকে স্যার হিলারির ১৯৬০ সালের অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল ইয়েতির ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ। খুমজাং নামে এক গুম্ফা থেকে স্থানীয়রা ইয়েতির খুলির চামড়া বলে দাবি করা জিনিসটা লন্ডনে নিয়েও আসেন। অবশ্য বিজ্ঞানীরা পরে নিশ্চিত হোন ওগুলো অ্যান্টিলোপ জাতীয় প্রাণী সেরোর লোম।
আপনি যদি ইয়েতিপ্রেমী হয়ে থাকেন, তবে অক্সফোর্ডের জিন বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান সাইকেসের পরীক্ষার ফলাফল আপনাকে হতাশই করবে। ২০১৩ সালে ইয়েতিভক্তদের ইয়েতির চুল, দাঁতসহ শরীরের অন্য কোনো অংশ হাজির করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি, পরীক্ষার জন্য। যে ৫৭টি নমুনা পান, এর ৩৬টি বাছাই করা হয় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। ওই এলাকায় বিচরণ করা বিভিন্ন প্রাণীর জিনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় ওগুলো। বেশির ভাগই মেলে ভালুকের সঙ্গে। অবশ্য এখানেও চমক ছিল। দুটি নমুনা, যার একটি পাওয়া গিয়েছে ভুটানে ও অপরটি ভারতে, এমন এক প্রজাতির ভালুকের সঙ্গে মিলে যায়, যেগুলো ৪০-১২০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে! পরে কয়েকজন বিজ্ঞানী ওই দুটি নমুনা পরীক্ষা করে দাবি করেন, ওগুলো সাধারণ ভালুকেরই নমুনা!
২০১৭ সালে আরেক দল গবেষক হিমালয় ও তিব্বত থেকে সংগ্রহ করা লোম, মল, দাঁত পরীক্ষা করে জানান, ওগুলো তিব্বতি ভালুকের নমুনা। তবে গবেষকদের এত সব যুক্তির পরও কিন্তু ইয়েতিপ্রেমীরা প্রাণীটি নেই এটা মানতে রাজি ছিলেন না। তবে বহু দিন ধরে ইয়েতি সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। এর মধ্যেই ২০১৯ সালে ভারতীয় সেনারা হিমালয়ের মাকালু বেস ক্যাম্পে ইয়েতির পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়ার দাবি করার পাশাপাশি এর ছবিও প্রকাশ করে। আর এতে ইয়েতি বিশ্বাসীরা যেন হালে পানি পান।
ইয়েতি নিয়ে বানানো হয়েছে অনেক সিনেমা, টিভি সিরিজ, ভিডিও গেম এবং কার্টুন ছবি। শুরুতে যে পাহাড়চূড়ায় ‘আতঙ্ক’ নামে বইটির কথা বলেছিলাম, তার কাহিনি নিয়ে ইয়েতি অভিযান নামে একটি বাংলা সিনেমা তৈরি করেছেন কলকাতার নামি পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। ২০১৭ সালের ঘটনা এটি। কালক্রমে ইয়েতি পরিণত হয়েছে নেপাল, ভারত, ভুটান ও তিব্বত জুড়ে সংস্কৃতি ও ব্যবসার অনুষঙ্গে। ভুটানে ইয়েতি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ডাক টিকিট। নেপালে আছে ইয়েতি এয়ারলাইনস, সম্প্রতি যাদের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। মোদ্দা কথা বিশেষজ্ঞরা যাই বলুন, রোমাঞ্চপ্রেমীদের ইয়েতির প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়েনি একটুও। বরং যত দিন গড়িয়েছে, রহস্যে যোগ হয়েছে নতুন নতুন মাত্রা। কি ইয়েতির কথা আগে জানা না থাকলেও এখন নিশ্চয় ইয়েতি নিয়ে কৌতূহলীদের কাতারে ভিড়ে গেছেন আপনিও।
সূত্র. বিবিসি, উইকিপিডিয়া, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৪ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৪ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

হিমালয় পর্বতশ্রেণির বিভিন্ন পর্বতে রহস্যময় এক প্রাণী বিচরণের খবর মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী বিশালদেহী গরিলা কিংবা ভালুক সদৃশ, লোমশ এক জন্তু ওটা। নেপালীরা একে চেনে ইয়েতি নামে। ইয়েতি এক হিসেবে হিমালয়ের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটি। এমনকি সত্যি এ ধরনের কিছু আছে কিনা এ ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যা
২২ মার্চ ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৪ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৪ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

হিমালয় পর্বতশ্রেণির বিভিন্ন পর্বতে রহস্যময় এক প্রাণী বিচরণের খবর মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী বিশালদেহী গরিলা কিংবা ভালুক সদৃশ, লোমশ এক জন্তু ওটা। নেপালীরা একে চেনে ইয়েতি নামে। ইয়েতি এক হিসেবে হিমালয়ের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটি। এমনকি সত্যি এ ধরনের কিছু আছে কিনা এ ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যা
২২ মার্চ ২০২৩
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৪ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

হিমালয় পর্বতশ্রেণির বিভিন্ন পর্বতে রহস্যময় এক প্রাণী বিচরণের খবর মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী বিশালদেহী গরিলা কিংবা ভালুক সদৃশ, লোমশ এক জন্তু ওটা। নেপালীরা একে চেনে ইয়েতি নামে। ইয়েতি এক হিসেবে হিমালয়ের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটি। এমনকি সত্যি এ ধরনের কিছু আছে কিনা এ ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যা
২২ মার্চ ২০২৩
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৪ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

হিমালয় পর্বতশ্রেণির বিভিন্ন পর্বতে রহস্যময় এক প্রাণী বিচরণের খবর মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী বিশালদেহী গরিলা কিংবা ভালুক সদৃশ, লোমশ এক জন্তু ওটা। নেপালীরা একে চেনে ইয়েতি নামে। ইয়েতি এক হিসেবে হিমালয়ের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটি। এমনকি সত্যি এ ধরনের কিছু আছে কিনা এ ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যা
২২ মার্চ ২০২৩
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৪ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৪ দিন আগে