চলতি বছর ঘোষিত হজের খরচ কমাতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। এসংক্রান্ত রিটের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আপনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। পরে আদালত রিট আবেদনটি এক সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার রাখেন।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত। মুসলিম হিসেবে সবারই ইচ্ছা থাকে হজ করার। সেই সুযোগটা সরকারের বিবেচনা করা উচিত। আর কেবল সৌদি এয়ারলাইনস ও বাংলাদেশ বিমানকে কেন এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটা সৌদি থেকে নির্ধারণ করা। অন্য বিমান চাইলেও পারবে না।’
আদালত বলেন, ‘সরকার চাইলে তো ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে নিতে পারে।’ অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হজের জন্য আলাদা করে কিছু থাকে না। বাইরে গেলে যা দিতে হয় সেটা কমন।’ আদালত বলেন, ‘সরকার চাইলে একটি সার্কুলার ইস্যু করেও করতে পারে।’
এর আগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এতে বলা হয়, ডলারের দাম, বিমানভাড়া, বাসাভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাড়ায় হজ প্যাকেজের দাম বাড়ানো হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন গাজী মো. মহসীন। সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান। এর আগে গত ৬ মার্চ চলতি মৌসুমে নির্ধারণ করা হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা থেকে কমিয়ে ৪ লাখ টাকা পুনর্নির্ধারণ করতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। জবাব না পেয়ে রিট করেন আশরাফ-উজ-জামান।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে