পঞ্চগড় প্রতিনিধি

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
পরিদর্শনের পর আজ বুধবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘১৭৯টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। কয়েক দিন আগে রেলমন্ত্রী যখন এখানে আসেন, তখন হামলাকারীরা তাঁর সফরসঙ্গী ছিল। আমরা আশা করেছিলাম প্রশাসন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের থেকে অনুমতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানি সম্প্রদায় বাৎসরিক জলসার আয়োজন করেছিল। অথচ হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় প্রশাসনে ফোন করলেও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হামলার দৃশ্য দেখেছে। তিন ঘণ্টা পর ডিসি-এসপি এসে দুষ্কৃতকারীদের খানিকটা প্রতিরোধ করেছে। তার আগেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব আলামত দেখে বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, গণমানুষের কোনো অধিকার নাই। মানবতা প্রতিদিনই লুণ্ঠিত হচ্ছে।’
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মানবাধিকার বিরোধী রাষ্ট্রযন্ত্র রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন সবাই এক বাক্যে বলেছে, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। গুম, খুন, হত্যা এটি নিত্যদিনের ব্যাপার। সরকার নির্বাচিত নয়। নিশিরাতে ব্যালটবাক্স ভরে দিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দিয়ে তারা নিজেদের নির্বাচিত বলে দাবি করছে। এহেন পরিস্থিতিতে একধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলবে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, প্রশাসনের কোনো জবাবদিহি নেই। সন্ত্রাসীরা সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় এই ধরনের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনকে স্তিমিত করার লক্ষ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য হীন এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করছে। অবৈধ সরকার এই জঘন্য ন্যক্কারজনক সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দল বিএনপির ওপর দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। এ ঘটনায় অবৈধ সরকার এখন পর্যন্ত শতাধিক বিএনপির সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তল্লাশির নামে নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এঁরা সবাই নিরপরাধ, কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সিসিটিভি এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অথচ রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
হামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা ছিল দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী সুজন পঞ্চগড়ে ওই এলাকা সফরে গেলে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা তাঁকে স্পষ্ট জানান আক্রমণকারীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। এ জন্য আমরা মনে করি, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সরকারের হীন পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। এগুলো সবই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশার অংশ।’
সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে পঞ্চগড়ে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাজার হাজার সাধারণ লোককে আসামি করে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। পঞ্চগড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তায়। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
এরপরও আওয়ামী লীগ ঘটনার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপাতে চায়। এটা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর মতো। সে ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি ও পঞ্চগড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আদম সুফি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান ও পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কালে জানান, এই পৈশাচিক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। নাম উল্লেখসহ ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করেছে। পুলিশও মামলা করেছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আহমদিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত দুটি গ্রামে ও পঞ্চগড় শহরের আহমদিয়াদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। ৭০ জন সদস্য আহত হয়েছে। একজনকে কুপিয়ে মেরেছে। দুষ্কৃতকারীরা তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। যা আমাদের বিস্মিত ও হতবাক করেছে। তিন ঘণ্টা পর অ্যাকশন শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ততক্ষণে সব শেষ। এলাকার চিহ্নিতদের নাম পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটিকে কেউ কেউ রাজনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা মোটেও কাম্য নয়।’

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
পরিদর্শনের পর আজ বুধবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘১৭৯টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। কয়েক দিন আগে রেলমন্ত্রী যখন এখানে আসেন, তখন হামলাকারীরা তাঁর সফরসঙ্গী ছিল। আমরা আশা করেছিলাম প্রশাসন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের থেকে অনুমতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানি সম্প্রদায় বাৎসরিক জলসার আয়োজন করেছিল। অথচ হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় প্রশাসনে ফোন করলেও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হামলার দৃশ্য দেখেছে। তিন ঘণ্টা পর ডিসি-এসপি এসে দুষ্কৃতকারীদের খানিকটা প্রতিরোধ করেছে। তার আগেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব আলামত দেখে বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, গণমানুষের কোনো অধিকার নাই। মানবতা প্রতিদিনই লুণ্ঠিত হচ্ছে।’
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মানবাধিকার বিরোধী রাষ্ট্রযন্ত্র রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন সবাই এক বাক্যে বলেছে, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। গুম, খুন, হত্যা এটি নিত্যদিনের ব্যাপার। সরকার নির্বাচিত নয়। নিশিরাতে ব্যালটবাক্স ভরে দিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দিয়ে তারা নিজেদের নির্বাচিত বলে দাবি করছে। এহেন পরিস্থিতিতে একধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলবে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, প্রশাসনের কোনো জবাবদিহি নেই। সন্ত্রাসীরা সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় এই ধরনের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনকে স্তিমিত করার লক্ষ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য হীন এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করছে। অবৈধ সরকার এই জঘন্য ন্যক্কারজনক সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দল বিএনপির ওপর দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। এ ঘটনায় অবৈধ সরকার এখন পর্যন্ত শতাধিক বিএনপির সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তল্লাশির নামে নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এঁরা সবাই নিরপরাধ, কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সিসিটিভি এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অথচ রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
হামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা ছিল দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী সুজন পঞ্চগড়ে ওই এলাকা সফরে গেলে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা তাঁকে স্পষ্ট জানান আক্রমণকারীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। এ জন্য আমরা মনে করি, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সরকারের হীন পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। এগুলো সবই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশার অংশ।’
সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে পঞ্চগড়ে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাজার হাজার সাধারণ লোককে আসামি করে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। পঞ্চগড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তায়। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
এরপরও আওয়ামী লীগ ঘটনার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপাতে চায়। এটা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর মতো। সে ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি ও পঞ্চগড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আদম সুফি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান ও পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কালে জানান, এই পৈশাচিক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। নাম উল্লেখসহ ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করেছে। পুলিশও মামলা করেছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আহমদিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত দুটি গ্রামে ও পঞ্চগড় শহরের আহমদিয়াদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। ৭০ জন সদস্য আহত হয়েছে। একজনকে কুপিয়ে মেরেছে। দুষ্কৃতকারীরা তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। যা আমাদের বিস্মিত ও হতবাক করেছে। তিন ঘণ্টা পর অ্যাকশন শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ততক্ষণে সব শেষ। এলাকার চিহ্নিতদের নাম পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটিকে কেউ কেউ রাজনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা মোটেও কাম্য নয়।’

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগে
যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
২২ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গোলাম হোসেন (৬০) উপজেলার জাবাখালী গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে। আটক ব্যক্তিরা হলেন জাবাখালী গ্রামের সেলিম মোড়ল (৫০), সাইফুল মোড়ল (৩৫), ফারুক মোড়ল (৩২), রেজাউল মোড়ল (৪০), রেজাউলের স্ত্রী মাছুমা বেগম (৩৫), সেলিম মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), সাইফুল মোড়লের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩০), ফারুক মোড়লের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৩০) ও এমান আলীর স্ত্রী সফুরা বেগম (৬৫)। আটকের পর উত্তেজিত জনতা তাঁদের ঘরবাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোলাম হোসেনের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাড়ির সামনে চলাচলের পথের অনেকাংশ দখল করে রাখায় প্রতিবেশী রেজাউল মোড়ল, সাইফুল মোড়লসহ অন্যদের সঙ্গে গোলাম হোসেনের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে গোলাম হোসেন সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেন। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি হওয়ায় প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন গোলাম হোসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গোলাম হোসেনকে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, পথের জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি। শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গোলাম হোসেন (৬০) উপজেলার জাবাখালী গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে। আটক ব্যক্তিরা হলেন জাবাখালী গ্রামের সেলিম মোড়ল (৫০), সাইফুল মোড়ল (৩৫), ফারুক মোড়ল (৩২), রেজাউল মোড়ল (৪০), রেজাউলের স্ত্রী মাছুমা বেগম (৩৫), সেলিম মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), সাইফুল মোড়লের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩০), ফারুক মোড়লের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৩০) ও এমান আলীর স্ত্রী সফুরা বেগম (৬৫)। আটকের পর উত্তেজিত জনতা তাঁদের ঘরবাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোলাম হোসেনের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাড়ির সামনে চলাচলের পথের অনেকাংশ দখল করে রাখায় প্রতিবেশী রেজাউল মোড়ল, সাইফুল মোড়লসহ অন্যদের সঙ্গে গোলাম হোসেনের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে গোলাম হোসেন সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেন। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি হওয়ায় প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন গোলাম হোসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গোলাম হোসেনকে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, পথের জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি। শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
০৮ মার্চ ২০২৩
যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
২২ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগেহত্যাসহ ১১ মামলার আসামি যশোরের
যশোর প্রতিনিধি

যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আজ শনিবার যশোর ডিবি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। বিকেলে পুলিশ মিলনকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে মিলন যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শহরে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিলন আত্মগোপনে ছিলেন।
যশোর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিলনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে। ডিবির একটি দল মিলনের অবস্থান শনাক্ত করে রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
ডিবি ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তিনি জামিনে বের হন। ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মদ্যপ অবস্থায় তিনজন সহযোগীসহ ফের গ্রেপ্তার হয়ে আবারও কারাগার থেকে জামিনে বের হন।
মিলনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের তদন্তে তাঁর নাম আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে রয়েল কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ক্যাসিনোর (জুয়া) কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে মিলনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়িতে অন্তত ১০ বার ককটেল হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মিলনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দলটির নেতাদের অভিযোগ রয়েছে।

যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আজ শনিবার যশোর ডিবি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। বিকেলে পুলিশ মিলনকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে মিলন যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শহরে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিলন আত্মগোপনে ছিলেন।
যশোর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিলনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে। ডিবির একটি দল মিলনের অবস্থান শনাক্ত করে রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
ডিবি ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তিনি জামিনে বের হন। ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মদ্যপ অবস্থায় তিনজন সহযোগীসহ ফের গ্রেপ্তার হয়ে আবারও কারাগার থেকে জামিনে বের হন।
মিলনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের তদন্তে তাঁর নাম আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে রয়েল কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ক্যাসিনোর (জুয়া) কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে মিলনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়িতে অন্তত ১০ বার ককটেল হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মিলনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দলটির নেতাদের অভিযোগ রয়েছে।

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
০৮ মার্চ ২০২৩
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
২২ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে, ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর আজ বিকেলে শাহবাগে জড়ো হতে থাকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা। পরে বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগেও একই দাবি জানান আবদুল্লাহ আল জাবের।
সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জনসম্মুখে জানাতে হবে।’
জানাজার আগে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘যদি তাঁরা জানাতে না পারেন, তবে তাঁদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা ইনকিলাব মঞ্চ কোনোভাবেই ওসমান হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য এ জানাজায় দাঁড়িয়েছি। শরিফ ওসমান হাদিকে এক সপ্তাহ আগে গুলি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তার খুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কি খুনিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে? তারা (সরকার) কি আমাদের জানিয়েছে খুনি কোন জায়গায় রয়েছে?’ এ সময় উপস্থিত জনতা না বলে চিৎকার করেন।
জাবের বলেন, ‘এখানে খুনি একজন নয়, পুরো একটি খুনি চক্র কাজ করেছে। খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী এবং পুরো খুনি চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
জাবের বলেন, সিভিল, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।
জাবের বলেন, এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের পাঁচ সদস্যদের (ভাই ও বোন) যদি রক্ত লাগে তাঁরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবুও এই খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
কারও প্রচারণায় পড়ে সহিংসতায় না জড়ানোর আহ্বান জানান ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানাব কখন, কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে, ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর আজ বিকেলে শাহবাগে জড়ো হতে থাকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা। পরে বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগেও একই দাবি জানান আবদুল্লাহ আল জাবের।
সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জনসম্মুখে জানাতে হবে।’
জানাজার আগে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘যদি তাঁরা জানাতে না পারেন, তবে তাঁদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা ইনকিলাব মঞ্চ কোনোভাবেই ওসমান হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য এ জানাজায় দাঁড়িয়েছি। শরিফ ওসমান হাদিকে এক সপ্তাহ আগে গুলি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তার খুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কি খুনিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে? তারা (সরকার) কি আমাদের জানিয়েছে খুনি কোন জায়গায় রয়েছে?’ এ সময় উপস্থিত জনতা না বলে চিৎকার করেন।
জাবের বলেন, ‘এখানে খুনি একজন নয়, পুরো একটি খুনি চক্র কাজ করেছে। খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী এবং পুরো খুনি চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
জাবের বলেন, সিভিল, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।
জাবের বলেন, এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের পাঁচ সদস্যদের (ভাই ও বোন) যদি রক্ত লাগে তাঁরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবুও এই খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
কারও প্রচারণায় পড়ে সহিংসতায় না জড়ানোর আহ্বান জানান ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানাব কখন, কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
০৮ মার্চ ২০২৩
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগে
যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি
১৬ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগেজগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের স্বজনশ্রী ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ দিন আগে রানীগঞ্জ পশ্চিম বাজার গাড়ি স্ট্যান্ডের লোকজন রানীগঞ্জ-বাউধরন রোডের গাড়ি ভাড়া ৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করে। এ নিয়ে বাউধরন স্বজনশ্রী গ্রামের লোকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। একপর্যায়ে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দা সালেহ উদ্দিন আহমদ গাড়ি ভাড়া পুনরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করেন। এতে আবার উভয় গ্রামের অটোরিকশাচালকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাউধরন গ্রামের মুজিব মার্কেটের সামনের স্ট্যান্ড থেকে স্বজনশ্রী গ্রামের অটোরিকশা বের করে দেওয়া হয়। এরই জের ধরে আজ শনিবার সকালে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খাড়ারপার নামক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক বদরুদ্দোজা বলেন, ‘সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের স্বজনশ্রী ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ দিন আগে রানীগঞ্জ পশ্চিম বাজার গাড়ি স্ট্যান্ডের লোকজন রানীগঞ্জ-বাউধরন রোডের গাড়ি ভাড়া ৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করে। এ নিয়ে বাউধরন স্বজনশ্রী গ্রামের লোকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। একপর্যায়ে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দা সালেহ উদ্দিন আহমদ গাড়ি ভাড়া পুনরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করেন। এতে আবার উভয় গ্রামের অটোরিকশাচালকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাউধরন গ্রামের মুজিব মার্কেটের সামনের স্ট্যান্ড থেকে স্বজনশ্রী গ্রামের অটোরিকশা বের করে দেওয়া হয়। এরই জের ধরে আজ শনিবার সকালে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খাড়ারপার নামক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক বদরুদ্দোজা বলেন, ‘সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
০৮ মার্চ ২০২৩
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগে
যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
২২ মিনিট আগে