আনিসুল ইসলাম নাঈম

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের গেট। আমার দিকে তাক করা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দুই ডজন রাইফেলের নল! একজন বলল, সুরা ফাতিহা পাঠ করতে। সুরা ফাতিহা পাঠ করলাম। সুরা ইয়াসিন পাঠ করো, বলল একজন। তাও মুখস্থ পাঠ করলাম। এরপর আমার পাসপোর্ট দেখে বাবা-দাদা ও পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করল। ভেতর থেকে দুজন রক্ষী এসে হাতে একটি বোরকা ধরিয়ে দিয়ে মসজিদের ভেতরে যেতে দিল। ফিলিস্তিন বর্ডারে ইসরায়েলি সেনারা নানা ধরনের প্রশ্ন করেছিল। দুরু দুরু বুকে বর্ডারের কাজ শেষ করে বাসে উঠি। সেদিন ভোরেই বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে মেরে ফেলা হয়েছিল!
নাজমুন নাহারের গল্পগুলো এমনই রোমহর্ষক। সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপদেশ কেপ ভার্দে ভ্রমণের মধ্য দিয়ে ১৫৯ দেশ ভ্রমণ শেষ করেছেন তিনি। তাঁর বিচিত্র ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কাহিনি জানাচ্ছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
ভ্রমণ শুরুর গল্পটা
নাজমুন নাহারের জন্ম লক্ষ্মীপুর সদরে। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। দাদা ছিলেন তাঁর নিজের সময়ের একজন ফিকাহ শাস্ত্রবিদ ও ইসলামি পণ্ডিত। তাঁর দাদা ১৯২৬-১৯৩১ সাল পর্যন্ত আরবের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। বাবার মুখে শোনা দাদার ভ্রমণকাহিনি শিশু বয়সে নাজমুন নাহারের মনে গেঁথে গিয়েছিল। গল্প শুনতে শুনতেই হয়তো ভ্রমণকাহিনি তাঁর পছন্দের বিষয় হয়ে যায়। ফলে ছোটবেলা থেকে ভ্রমণকাহিনি পড়া ভালোবাসেন। ম্যাপের ওপর ভালো দখল ছিল তাঁর ছোটবেলা থেকেই। ২০০০ সালে ভারতের ভূপালের পাঁচমারিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রথম বিশ্বভ্রমণের সূচনা হয়। সবশেষে ১৫৯তম দেশ হিসেবে সফর করেন কেপ ভার্দে। নাজমুন নাহার পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে। সুইডেনে বেশ কিছুদিন গবেষণার কাজ করেন।
পৃথিবীর পথে পথে রুদ্ধশ্বাস অভিযাত্রা
‘দক্ষিণ আমেরিকার গুয়াতেমালার রাস্তায় আমার গলায় ছুরি ও বুকে বন্দুক ধরেছে সবকিছু দিয়ে দেওয়ার জন্য। ক্ষতবিক্ষত হয়ে সেদিনও আমি বেঁচে গেছি। কোস্টারিকার ব্রাসিলিত নদীর ভয়াল স্রোতে প্যাসিফিক মহাসমুদ্রে আমি ভেসে যাচ্ছিলাম। তখন সে দেশের এক সাহসী লোক আমাকে বাঁচিয়েছেন। সাহারা মরুভূমির ভয়ংকর ঝড়ে পড়ে চোখ-নাক-মুখে ধারালো বালু ঢুকে গিয়েছিল। তার পরও বেঁচে এসেছি। কিরগিজস্তানের পর্বতে সাইট থেকে পড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলে ছিলাম। সেখান থেকে ভাগ্যক্রমে দুজন বাঁচিয়েছিল। আফ্রিকার গিনির জঙ্গলে মধ্যরাতে আটকা পড়ে আড়াই দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ইথিওপিয়ার জঙ্গলে হামার আদিবাসীদের সঙ্গে গরুর কাঁচা মাংস খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে। চিলির আতাকামা, যেখানে ১০০ বছরে বৃষ্টি হয়নি, এমন আশ্চর্যজনক জায়গায়ও পা রেখেছি বহু কষ্টে।’এমন অসংখ্য রুদ্ধশ্বাস অভিযাত্রার গল্প আছে তাঁর জীবনে।
পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ
‘ইউরোপের ছোট্ট দেশ মালটা ভ্রমণের সময় আমার মায়ের সঙ্গে এক সন্ধ্যায় ভূমধ্যসাগরে বোটে বসে চাঁদ দেখেছিলাম। আইসল্যান্ডের ল্যান্ড মান্না লুগার পর্বত ভ্যালিতে বিভিন্ন রঙের পর্বতের মাঝে তাঁবু করে থাকার সময় রাতে চাঁদ দেখার আনন্দ ছিল খুবই অসাধারণ। পিয়ার আদি মরুভূমিতে আটলান্টিক মহাসমুদ্র এবং মরুভূমির মধ্যখান দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে, সেখান থেকে অনেক কিলোমিটার ভ্রমণ করে দেখেছি সমুদ্র কীভাবে মরুভূমির সঙ্গে মিলেছে আর মরুভূমি কীভাবে সমুদ্রের সঙ্গে মিলেছে। তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে যে করিডর রয়েছে, পামির মালভূমির সেই এক হাজার কিলোমিটার করিডর ভ্রমণ ছিল আমার জীবনের অন্যতম ভ্রমণ। পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টের মান শহরে স্বর্ণের খনিতে পানির স্রোতের সঙ্গে আসা স্বর্ণকণা ছুঁয়ে দেখেছি, সেটা ছিল খুবই ইন্টারেস্টিং। ভ্রমণের সময় আমি বিভিন্ন দেশের স্থানীয় খাবারগুলো খেয়ে থাকি। স্থানীয় খাবারের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ভ্রমণের একটি শিক্ষণীয় অংশ। একেক দেশের খাবার একেক রকম হলেও মেক্সিকো ও লেবানিজ খাবার ভালো লেগেছে।
বেশির ভাগ দেশ সড়কপথে ভ্রমণ
২২ বছর তিনি পৃথিবীর পথে পথে ঘুরে চলেছেন। সর্বোচ্চ টানা ৫৮ ঘণ্টা, কখনো ৪৮ ঘণ্টা, কখনো ৩৬ ঘণ্টা তাঁকে বাসে ভ্রমণ করতে হয়েছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। টানা কখনো ১৫ দেশ, কখনো ১৪ দেশ তিনি তিন, চার বা পাঁচ মাসের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। এই পুরো যাত্রার বেশির ভাগটাই হয়েছে সড়কপথে, এক শহর থেকে আরেক শহরে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
ভ্রমণের খরচ
সুইডেনে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করতেন নাজমুন নাহার। কম খরচে থাকতেন পৃথিবীর বিভিন্ন ট্র্যাভেলার্স হোস্টেলে। কখনো তাঁবু করে, কখনো কোচ সার্ফিংয়ের মাধ্যমে। স্বল্প খরচে পৃথিবী ভ্রমণের জন্য সড়কপথে ভ্রমণ করতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে এলাকা ভাগ করে একটানা ভ্রমণ করতেন। কোনো দেশে ভ্রমণের আগে তিনি সেই মহাদেশের ম্যাপ ও সেখানকার দর্শনীয় জায়গাগুলোর ওপর ধারণা নিতেন।
বিশ্বভ্রমণে যত অর্জন
দেশের পতাকা ও পৃথিবীতে শান্তির বার্তা বহনের বিরল অবদানের কৃতিত্বস্বরূপ তাঁকে ‘পিস রানার’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন তিনি। জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি, দক্ষিণ সুদানে উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে-বিদেশে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাঁকে সংবর্ধিত করেছেন।
নতুন ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্যে
‘ভ্রমণটা হচ্ছে একটা শিক্ষা। এই শিক্ষা অর্জনের জন্য অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। ভ্রমণের মাধ্যমে পৃথিবীর নানা দেশের মানুষ, প্রকৃতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। ভ্রমণ করলে মানুষের চিন্তার পরিবর্তন হয়। তখন ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে ভাবতে পারে।’ নতুনদের উদ্দেশ্য এমনটাই জানিয়েছেন নাজমুন নাহার।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
‘বিশ্বের বাকি দেশগুলো পর্যায়ক্রমে ভ্রমণের ইচ্ছে রয়েছে। সেটাই আমার স্বপ্ন। এর জন্য ম্যাপ, পড়াশোনা ও কাজ করে যাচ্ছি। তা ছাড়া ভ্রমণবিষয়ক একটা বই লিখছি। আগামী প্রজন্মের কাছে বইটা উপহার হিসেবে দিতে চাই।’

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের গেট। আমার দিকে তাক করা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দুই ডজন রাইফেলের নল! একজন বলল, সুরা ফাতিহা পাঠ করতে। সুরা ফাতিহা পাঠ করলাম। সুরা ইয়াসিন পাঠ করো, বলল একজন। তাও মুখস্থ পাঠ করলাম। এরপর আমার পাসপোর্ট দেখে বাবা-দাদা ও পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করল। ভেতর থেকে দুজন রক্ষী এসে হাতে একটি বোরকা ধরিয়ে দিয়ে মসজিদের ভেতরে যেতে দিল। ফিলিস্তিন বর্ডারে ইসরায়েলি সেনারা নানা ধরনের প্রশ্ন করেছিল। দুরু দুরু বুকে বর্ডারের কাজ শেষ করে বাসে উঠি। সেদিন ভোরেই বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে মেরে ফেলা হয়েছিল!
নাজমুন নাহারের গল্পগুলো এমনই রোমহর্ষক। সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপদেশ কেপ ভার্দে ভ্রমণের মধ্য দিয়ে ১৫৯ দেশ ভ্রমণ শেষ করেছেন তিনি। তাঁর বিচিত্র ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কাহিনি জানাচ্ছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
ভ্রমণ শুরুর গল্পটা
নাজমুন নাহারের জন্ম লক্ষ্মীপুর সদরে। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। দাদা ছিলেন তাঁর নিজের সময়ের একজন ফিকাহ শাস্ত্রবিদ ও ইসলামি পণ্ডিত। তাঁর দাদা ১৯২৬-১৯৩১ সাল পর্যন্ত আরবের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। বাবার মুখে শোনা দাদার ভ্রমণকাহিনি শিশু বয়সে নাজমুন নাহারের মনে গেঁথে গিয়েছিল। গল্প শুনতে শুনতেই হয়তো ভ্রমণকাহিনি তাঁর পছন্দের বিষয় হয়ে যায়। ফলে ছোটবেলা থেকে ভ্রমণকাহিনি পড়া ভালোবাসেন। ম্যাপের ওপর ভালো দখল ছিল তাঁর ছোটবেলা থেকেই। ২০০০ সালে ভারতের ভূপালের পাঁচমারিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রথম বিশ্বভ্রমণের সূচনা হয়। সবশেষে ১৫৯তম দেশ হিসেবে সফর করেন কেপ ভার্দে। নাজমুন নাহার পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে। সুইডেনে বেশ কিছুদিন গবেষণার কাজ করেন।
পৃথিবীর পথে পথে রুদ্ধশ্বাস অভিযাত্রা
‘দক্ষিণ আমেরিকার গুয়াতেমালার রাস্তায় আমার গলায় ছুরি ও বুকে বন্দুক ধরেছে সবকিছু দিয়ে দেওয়ার জন্য। ক্ষতবিক্ষত হয়ে সেদিনও আমি বেঁচে গেছি। কোস্টারিকার ব্রাসিলিত নদীর ভয়াল স্রোতে প্যাসিফিক মহাসমুদ্রে আমি ভেসে যাচ্ছিলাম। তখন সে দেশের এক সাহসী লোক আমাকে বাঁচিয়েছেন। সাহারা মরুভূমির ভয়ংকর ঝড়ে পড়ে চোখ-নাক-মুখে ধারালো বালু ঢুকে গিয়েছিল। তার পরও বেঁচে এসেছি। কিরগিজস্তানের পর্বতে সাইট থেকে পড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলে ছিলাম। সেখান থেকে ভাগ্যক্রমে দুজন বাঁচিয়েছিল। আফ্রিকার গিনির জঙ্গলে মধ্যরাতে আটকা পড়ে আড়াই দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ইথিওপিয়ার জঙ্গলে হামার আদিবাসীদের সঙ্গে গরুর কাঁচা মাংস খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে। চিলির আতাকামা, যেখানে ১০০ বছরে বৃষ্টি হয়নি, এমন আশ্চর্যজনক জায়গায়ও পা রেখেছি বহু কষ্টে।’এমন অসংখ্য রুদ্ধশ্বাস অভিযাত্রার গল্প আছে তাঁর জীবনে।
পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ
‘ইউরোপের ছোট্ট দেশ মালটা ভ্রমণের সময় আমার মায়ের সঙ্গে এক সন্ধ্যায় ভূমধ্যসাগরে বোটে বসে চাঁদ দেখেছিলাম। আইসল্যান্ডের ল্যান্ড মান্না লুগার পর্বত ভ্যালিতে বিভিন্ন রঙের পর্বতের মাঝে তাঁবু করে থাকার সময় রাতে চাঁদ দেখার আনন্দ ছিল খুবই অসাধারণ। পিয়ার আদি মরুভূমিতে আটলান্টিক মহাসমুদ্র এবং মরুভূমির মধ্যখান দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে, সেখান থেকে অনেক কিলোমিটার ভ্রমণ করে দেখেছি সমুদ্র কীভাবে মরুভূমির সঙ্গে মিলেছে আর মরুভূমি কীভাবে সমুদ্রের সঙ্গে মিলেছে। তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে যে করিডর রয়েছে, পামির মালভূমির সেই এক হাজার কিলোমিটার করিডর ভ্রমণ ছিল আমার জীবনের অন্যতম ভ্রমণ। পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টের মান শহরে স্বর্ণের খনিতে পানির স্রোতের সঙ্গে আসা স্বর্ণকণা ছুঁয়ে দেখেছি, সেটা ছিল খুবই ইন্টারেস্টিং। ভ্রমণের সময় আমি বিভিন্ন দেশের স্থানীয় খাবারগুলো খেয়ে থাকি। স্থানীয় খাবারের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ভ্রমণের একটি শিক্ষণীয় অংশ। একেক দেশের খাবার একেক রকম হলেও মেক্সিকো ও লেবানিজ খাবার ভালো লেগেছে।
বেশির ভাগ দেশ সড়কপথে ভ্রমণ
২২ বছর তিনি পৃথিবীর পথে পথে ঘুরে চলেছেন। সর্বোচ্চ টানা ৫৮ ঘণ্টা, কখনো ৪৮ ঘণ্টা, কখনো ৩৬ ঘণ্টা তাঁকে বাসে ভ্রমণ করতে হয়েছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। টানা কখনো ১৫ দেশ, কখনো ১৪ দেশ তিনি তিন, চার বা পাঁচ মাসের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। এই পুরো যাত্রার বেশির ভাগটাই হয়েছে সড়কপথে, এক শহর থেকে আরেক শহরে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
ভ্রমণের খরচ
সুইডেনে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করতেন নাজমুন নাহার। কম খরচে থাকতেন পৃথিবীর বিভিন্ন ট্র্যাভেলার্স হোস্টেলে। কখনো তাঁবু করে, কখনো কোচ সার্ফিংয়ের মাধ্যমে। স্বল্প খরচে পৃথিবী ভ্রমণের জন্য সড়কপথে ভ্রমণ করতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে এলাকা ভাগ করে একটানা ভ্রমণ করতেন। কোনো দেশে ভ্রমণের আগে তিনি সেই মহাদেশের ম্যাপ ও সেখানকার দর্শনীয় জায়গাগুলোর ওপর ধারণা নিতেন।
বিশ্বভ্রমণে যত অর্জন
দেশের পতাকা ও পৃথিবীতে শান্তির বার্তা বহনের বিরল অবদানের কৃতিত্বস্বরূপ তাঁকে ‘পিস রানার’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন তিনি। জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি, দক্ষিণ সুদানে উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে-বিদেশে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাঁকে সংবর্ধিত করেছেন।
নতুন ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্যে
‘ভ্রমণটা হচ্ছে একটা শিক্ষা। এই শিক্ষা অর্জনের জন্য অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। ভ্রমণের মাধ্যমে পৃথিবীর নানা দেশের মানুষ, প্রকৃতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। ভ্রমণ করলে মানুষের চিন্তার পরিবর্তন হয়। তখন ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে ভাবতে পারে।’ নতুনদের উদ্দেশ্য এমনটাই জানিয়েছেন নাজমুন নাহার।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
‘বিশ্বের বাকি দেশগুলো পর্যায়ক্রমে ভ্রমণের ইচ্ছে রয়েছে। সেটাই আমার স্বপ্ন। এর জন্য ম্যাপ, পড়াশোনা ও কাজ করে যাচ্ছি। তা ছাড়া ভ্রমণবিষয়ক একটা বই লিখছি। আগামী প্রজন্মের কাছে বইটা উপহার হিসেবে দিতে চাই।’
আনিসুল ইসলাম নাঈম

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের গেট। আমার দিকে তাক করা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দুই ডজন রাইফেলের নল! একজন বলল, সুরা ফাতিহা পাঠ করতে। সুরা ফাতিহা পাঠ করলাম। সুরা ইয়াসিন পাঠ করো, বলল একজন। তাও মুখস্থ পাঠ করলাম। এরপর আমার পাসপোর্ট দেখে বাবা-দাদা ও পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করল। ভেতর থেকে দুজন রক্ষী এসে হাতে একটি বোরকা ধরিয়ে দিয়ে মসজিদের ভেতরে যেতে দিল। ফিলিস্তিন বর্ডারে ইসরায়েলি সেনারা নানা ধরনের প্রশ্ন করেছিল। দুরু দুরু বুকে বর্ডারের কাজ শেষ করে বাসে উঠি। সেদিন ভোরেই বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে মেরে ফেলা হয়েছিল!
নাজমুন নাহারের গল্পগুলো এমনই রোমহর্ষক। সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপদেশ কেপ ভার্দে ভ্রমণের মধ্য দিয়ে ১৫৯ দেশ ভ্রমণ শেষ করেছেন তিনি। তাঁর বিচিত্র ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কাহিনি জানাচ্ছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
ভ্রমণ শুরুর গল্পটা
নাজমুন নাহারের জন্ম লক্ষ্মীপুর সদরে। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। দাদা ছিলেন তাঁর নিজের সময়ের একজন ফিকাহ শাস্ত্রবিদ ও ইসলামি পণ্ডিত। তাঁর দাদা ১৯২৬-১৯৩১ সাল পর্যন্ত আরবের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। বাবার মুখে শোনা দাদার ভ্রমণকাহিনি শিশু বয়সে নাজমুন নাহারের মনে গেঁথে গিয়েছিল। গল্প শুনতে শুনতেই হয়তো ভ্রমণকাহিনি তাঁর পছন্দের বিষয় হয়ে যায়। ফলে ছোটবেলা থেকে ভ্রমণকাহিনি পড়া ভালোবাসেন। ম্যাপের ওপর ভালো দখল ছিল তাঁর ছোটবেলা থেকেই। ২০০০ সালে ভারতের ভূপালের পাঁচমারিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রথম বিশ্বভ্রমণের সূচনা হয়। সবশেষে ১৫৯তম দেশ হিসেবে সফর করেন কেপ ভার্দে। নাজমুন নাহার পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে। সুইডেনে বেশ কিছুদিন গবেষণার কাজ করেন।
পৃথিবীর পথে পথে রুদ্ধশ্বাস অভিযাত্রা
‘দক্ষিণ আমেরিকার গুয়াতেমালার রাস্তায় আমার গলায় ছুরি ও বুকে বন্দুক ধরেছে সবকিছু দিয়ে দেওয়ার জন্য। ক্ষতবিক্ষত হয়ে সেদিনও আমি বেঁচে গেছি। কোস্টারিকার ব্রাসিলিত নদীর ভয়াল স্রোতে প্যাসিফিক মহাসমুদ্রে আমি ভেসে যাচ্ছিলাম। তখন সে দেশের এক সাহসী লোক আমাকে বাঁচিয়েছেন। সাহারা মরুভূমির ভয়ংকর ঝড়ে পড়ে চোখ-নাক-মুখে ধারালো বালু ঢুকে গিয়েছিল। তার পরও বেঁচে এসেছি। কিরগিজস্তানের পর্বতে সাইট থেকে পড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলে ছিলাম। সেখান থেকে ভাগ্যক্রমে দুজন বাঁচিয়েছিল। আফ্রিকার গিনির জঙ্গলে মধ্যরাতে আটকা পড়ে আড়াই দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ইথিওপিয়ার জঙ্গলে হামার আদিবাসীদের সঙ্গে গরুর কাঁচা মাংস খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে। চিলির আতাকামা, যেখানে ১০০ বছরে বৃষ্টি হয়নি, এমন আশ্চর্যজনক জায়গায়ও পা রেখেছি বহু কষ্টে।’এমন অসংখ্য রুদ্ধশ্বাস অভিযাত্রার গল্প আছে তাঁর জীবনে।
পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ
‘ইউরোপের ছোট্ট দেশ মালটা ভ্রমণের সময় আমার মায়ের সঙ্গে এক সন্ধ্যায় ভূমধ্যসাগরে বোটে বসে চাঁদ দেখেছিলাম। আইসল্যান্ডের ল্যান্ড মান্না লুগার পর্বত ভ্যালিতে বিভিন্ন রঙের পর্বতের মাঝে তাঁবু করে থাকার সময় রাতে চাঁদ দেখার আনন্দ ছিল খুবই অসাধারণ। পিয়ার আদি মরুভূমিতে আটলান্টিক মহাসমুদ্র এবং মরুভূমির মধ্যখান দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে, সেখান থেকে অনেক কিলোমিটার ভ্রমণ করে দেখেছি সমুদ্র কীভাবে মরুভূমির সঙ্গে মিলেছে আর মরুভূমি কীভাবে সমুদ্রের সঙ্গে মিলেছে। তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে যে করিডর রয়েছে, পামির মালভূমির সেই এক হাজার কিলোমিটার করিডর ভ্রমণ ছিল আমার জীবনের অন্যতম ভ্রমণ। পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টের মান শহরে স্বর্ণের খনিতে পানির স্রোতের সঙ্গে আসা স্বর্ণকণা ছুঁয়ে দেখেছি, সেটা ছিল খুবই ইন্টারেস্টিং। ভ্রমণের সময় আমি বিভিন্ন দেশের স্থানীয় খাবারগুলো খেয়ে থাকি। স্থানীয় খাবারের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ভ্রমণের একটি শিক্ষণীয় অংশ। একেক দেশের খাবার একেক রকম হলেও মেক্সিকো ও লেবানিজ খাবার ভালো লেগেছে।
বেশির ভাগ দেশ সড়কপথে ভ্রমণ
২২ বছর তিনি পৃথিবীর পথে পথে ঘুরে চলেছেন। সর্বোচ্চ টানা ৫৮ ঘণ্টা, কখনো ৪৮ ঘণ্টা, কখনো ৩৬ ঘণ্টা তাঁকে বাসে ভ্রমণ করতে হয়েছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। টানা কখনো ১৫ দেশ, কখনো ১৪ দেশ তিনি তিন, চার বা পাঁচ মাসের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। এই পুরো যাত্রার বেশির ভাগটাই হয়েছে সড়কপথে, এক শহর থেকে আরেক শহরে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
ভ্রমণের খরচ
সুইডেনে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করতেন নাজমুন নাহার। কম খরচে থাকতেন পৃথিবীর বিভিন্ন ট্র্যাভেলার্স হোস্টেলে। কখনো তাঁবু করে, কখনো কোচ সার্ফিংয়ের মাধ্যমে। স্বল্প খরচে পৃথিবী ভ্রমণের জন্য সড়কপথে ভ্রমণ করতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে এলাকা ভাগ করে একটানা ভ্রমণ করতেন। কোনো দেশে ভ্রমণের আগে তিনি সেই মহাদেশের ম্যাপ ও সেখানকার দর্শনীয় জায়গাগুলোর ওপর ধারণা নিতেন।
বিশ্বভ্রমণে যত অর্জন
দেশের পতাকা ও পৃথিবীতে শান্তির বার্তা বহনের বিরল অবদানের কৃতিত্বস্বরূপ তাঁকে ‘পিস রানার’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন তিনি। জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি, দক্ষিণ সুদানে উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে-বিদেশে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাঁকে সংবর্ধিত করেছেন।
নতুন ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্যে
‘ভ্রমণটা হচ্ছে একটা শিক্ষা। এই শিক্ষা অর্জনের জন্য অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। ভ্রমণের মাধ্যমে পৃথিবীর নানা দেশের মানুষ, প্রকৃতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। ভ্রমণ করলে মানুষের চিন্তার পরিবর্তন হয়। তখন ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে ভাবতে পারে।’ নতুনদের উদ্দেশ্য এমনটাই জানিয়েছেন নাজমুন নাহার।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
‘বিশ্বের বাকি দেশগুলো পর্যায়ক্রমে ভ্রমণের ইচ্ছে রয়েছে। সেটাই আমার স্বপ্ন। এর জন্য ম্যাপ, পড়াশোনা ও কাজ করে যাচ্ছি। তা ছাড়া ভ্রমণবিষয়ক একটা বই লিখছি। আগামী প্রজন্মের কাছে বইটা উপহার হিসেবে দিতে চাই।’

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের গেট। আমার দিকে তাক করা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দুই ডজন রাইফেলের নল! একজন বলল, সুরা ফাতিহা পাঠ করতে। সুরা ফাতিহা পাঠ করলাম। সুরা ইয়াসিন পাঠ করো, বলল একজন। তাও মুখস্থ পাঠ করলাম। এরপর আমার পাসপোর্ট দেখে বাবা-দাদা ও পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করল। ভেতর থেকে দুজন রক্ষী এসে হাতে একটি বোরকা ধরিয়ে দিয়ে মসজিদের ভেতরে যেতে দিল। ফিলিস্তিন বর্ডারে ইসরায়েলি সেনারা নানা ধরনের প্রশ্ন করেছিল। দুরু দুরু বুকে বর্ডারের কাজ শেষ করে বাসে উঠি। সেদিন ভোরেই বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে মেরে ফেলা হয়েছিল!
নাজমুন নাহারের গল্পগুলো এমনই রোমহর্ষক। সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপদেশ কেপ ভার্দে ভ্রমণের মধ্য দিয়ে ১৫৯ দেশ ভ্রমণ শেষ করেছেন তিনি। তাঁর বিচিত্র ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কাহিনি জানাচ্ছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
ভ্রমণ শুরুর গল্পটা
নাজমুন নাহারের জন্ম লক্ষ্মীপুর সদরে। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। দাদা ছিলেন তাঁর নিজের সময়ের একজন ফিকাহ শাস্ত্রবিদ ও ইসলামি পণ্ডিত। তাঁর দাদা ১৯২৬-১৯৩১ সাল পর্যন্ত আরবের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। বাবার মুখে শোনা দাদার ভ্রমণকাহিনি শিশু বয়সে নাজমুন নাহারের মনে গেঁথে গিয়েছিল। গল্প শুনতে শুনতেই হয়তো ভ্রমণকাহিনি তাঁর পছন্দের বিষয় হয়ে যায়। ফলে ছোটবেলা থেকে ভ্রমণকাহিনি পড়া ভালোবাসেন। ম্যাপের ওপর ভালো দখল ছিল তাঁর ছোটবেলা থেকেই। ২০০০ সালে ভারতের ভূপালের পাঁচমারিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রথম বিশ্বভ্রমণের সূচনা হয়। সবশেষে ১৫৯তম দেশ হিসেবে সফর করেন কেপ ভার্দে। নাজমুন নাহার পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে। সুইডেনে বেশ কিছুদিন গবেষণার কাজ করেন।
পৃথিবীর পথে পথে রুদ্ধশ্বাস অভিযাত্রা
‘দক্ষিণ আমেরিকার গুয়াতেমালার রাস্তায় আমার গলায় ছুরি ও বুকে বন্দুক ধরেছে সবকিছু দিয়ে দেওয়ার জন্য। ক্ষতবিক্ষত হয়ে সেদিনও আমি বেঁচে গেছি। কোস্টারিকার ব্রাসিলিত নদীর ভয়াল স্রোতে প্যাসিফিক মহাসমুদ্রে আমি ভেসে যাচ্ছিলাম। তখন সে দেশের এক সাহসী লোক আমাকে বাঁচিয়েছেন। সাহারা মরুভূমির ভয়ংকর ঝড়ে পড়ে চোখ-নাক-মুখে ধারালো বালু ঢুকে গিয়েছিল। তার পরও বেঁচে এসেছি। কিরগিজস্তানের পর্বতে সাইট থেকে পড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলে ছিলাম। সেখান থেকে ভাগ্যক্রমে দুজন বাঁচিয়েছিল। আফ্রিকার গিনির জঙ্গলে মধ্যরাতে আটকা পড়ে আড়াই দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ইথিওপিয়ার জঙ্গলে হামার আদিবাসীদের সঙ্গে গরুর কাঁচা মাংস খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে। চিলির আতাকামা, যেখানে ১০০ বছরে বৃষ্টি হয়নি, এমন আশ্চর্যজনক জায়গায়ও পা রেখেছি বহু কষ্টে।’এমন অসংখ্য রুদ্ধশ্বাস অভিযাত্রার গল্প আছে তাঁর জীবনে।
পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ
‘ইউরোপের ছোট্ট দেশ মালটা ভ্রমণের সময় আমার মায়ের সঙ্গে এক সন্ধ্যায় ভূমধ্যসাগরে বোটে বসে চাঁদ দেখেছিলাম। আইসল্যান্ডের ল্যান্ড মান্না লুগার পর্বত ভ্যালিতে বিভিন্ন রঙের পর্বতের মাঝে তাঁবু করে থাকার সময় রাতে চাঁদ দেখার আনন্দ ছিল খুবই অসাধারণ। পিয়ার আদি মরুভূমিতে আটলান্টিক মহাসমুদ্র এবং মরুভূমির মধ্যখান দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে, সেখান থেকে অনেক কিলোমিটার ভ্রমণ করে দেখেছি সমুদ্র কীভাবে মরুভূমির সঙ্গে মিলেছে আর মরুভূমি কীভাবে সমুদ্রের সঙ্গে মিলেছে। তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে যে করিডর রয়েছে, পামির মালভূমির সেই এক হাজার কিলোমিটার করিডর ভ্রমণ ছিল আমার জীবনের অন্যতম ভ্রমণ। পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টের মান শহরে স্বর্ণের খনিতে পানির স্রোতের সঙ্গে আসা স্বর্ণকণা ছুঁয়ে দেখেছি, সেটা ছিল খুবই ইন্টারেস্টিং। ভ্রমণের সময় আমি বিভিন্ন দেশের স্থানীয় খাবারগুলো খেয়ে থাকি। স্থানীয় খাবারের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ভ্রমণের একটি শিক্ষণীয় অংশ। একেক দেশের খাবার একেক রকম হলেও মেক্সিকো ও লেবানিজ খাবার ভালো লেগেছে।
বেশির ভাগ দেশ সড়কপথে ভ্রমণ
২২ বছর তিনি পৃথিবীর পথে পথে ঘুরে চলেছেন। সর্বোচ্চ টানা ৫৮ ঘণ্টা, কখনো ৪৮ ঘণ্টা, কখনো ৩৬ ঘণ্টা তাঁকে বাসে ভ্রমণ করতে হয়েছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। টানা কখনো ১৫ দেশ, কখনো ১৪ দেশ তিনি তিন, চার বা পাঁচ মাসের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। এই পুরো যাত্রার বেশির ভাগটাই হয়েছে সড়কপথে, এক শহর থেকে আরেক শহরে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
ভ্রমণের খরচ
সুইডেনে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করতেন নাজমুন নাহার। কম খরচে থাকতেন পৃথিবীর বিভিন্ন ট্র্যাভেলার্স হোস্টেলে। কখনো তাঁবু করে, কখনো কোচ সার্ফিংয়ের মাধ্যমে। স্বল্প খরচে পৃথিবী ভ্রমণের জন্য সড়কপথে ভ্রমণ করতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে এলাকা ভাগ করে একটানা ভ্রমণ করতেন। কোনো দেশে ভ্রমণের আগে তিনি সেই মহাদেশের ম্যাপ ও সেখানকার দর্শনীয় জায়গাগুলোর ওপর ধারণা নিতেন।
বিশ্বভ্রমণে যত অর্জন
দেশের পতাকা ও পৃথিবীতে শান্তির বার্তা বহনের বিরল অবদানের কৃতিত্বস্বরূপ তাঁকে ‘পিস রানার’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন তিনি। জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি, দক্ষিণ সুদানে উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে-বিদেশে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাঁকে সংবর্ধিত করেছেন।
নতুন ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্যে
‘ভ্রমণটা হচ্ছে একটা শিক্ষা। এই শিক্ষা অর্জনের জন্য অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। ভ্রমণের মাধ্যমে পৃথিবীর নানা দেশের মানুষ, প্রকৃতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। ভ্রমণ করলে মানুষের চিন্তার পরিবর্তন হয়। তখন ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে ভাবতে পারে।’ নতুনদের উদ্দেশ্য এমনটাই জানিয়েছেন নাজমুন নাহার।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
‘বিশ্বের বাকি দেশগুলো পর্যায়ক্রমে ভ্রমণের ইচ্ছে রয়েছে। সেটাই আমার স্বপ্ন। এর জন্য ম্যাপ, পড়াশোনা ও কাজ করে যাচ্ছি। তা ছাড়া ভ্রমণবিষয়ক একটা বই লিখছি। আগামী প্রজন্মের কাছে বইটা উপহার হিসেবে দিতে চাই।’
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৮ মিনিট আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৮ মিনিট আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের গেট। আমার দিকে তাক করা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দুই ডজন রাইফেলের নল! একজন বলল, সুরা ফাতেহা পাঠ করতে। সুরা ফাতেহা পাঠ করলাম। সুরা কুল ইয়াসিন পাঠ করো, বলল একজন। তাও মুখস্থ পাঠ করলাম। এরপর আমার পাসপোর্ট
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৮ মিনিট আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের গেট। আমার দিকে তাক করা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দুই ডজন রাইফেলের নল! একজন বলল, সুরা ফাতেহা পাঠ করতে। সুরা ফাতেহা পাঠ করলাম। সুরা কুল ইয়াসিন পাঠ করো, বলল একজন। তাও মুখস্থ পাঠ করলাম। এরপর আমার পাসপোর্ট
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৮ মিনিট আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের গেট। আমার দিকে তাক করা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দুই ডজন রাইফেলের নল! একজন বলল, সুরা ফাতেহা পাঠ করতে। সুরা ফাতেহা পাঠ করলাম। সুরা কুল ইয়াসিন পাঠ করো, বলল একজন। তাও মুখস্থ পাঠ করলাম। এরপর আমার পাসপোর্ট
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৮ মিনিট আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৮ মিনিট আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেতুষ্টি মনোয়ার

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।
আলোর ধরন ও ব্যবহার
ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—
উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার
শোয়ার ঘর
শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

বসার ঘর
এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

ডাইনিং
খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পড়ার ঘর
পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।
সিঁড়ি ও আউটডোর
নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: হোমলেন

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।
আলোর ধরন ও ব্যবহার
ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—
উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার
শোয়ার ঘর
শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

বসার ঘর
এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

ডাইনিং
খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পড়ার ঘর
পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।
সিঁড়ি ও আউটডোর
নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: হোমলেন

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের গেট। আমার দিকে তাক করা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দুই ডজন রাইফেলের নল! একজন বলল, সুরা ফাতেহা পাঠ করতে। সুরা ফাতেহা পাঠ করলাম। সুরা কুল ইয়াসিন পাঠ করো, বলল একজন। তাও মুখস্থ পাঠ করলাম। এরপর আমার পাসপোর্ট
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৮ মিনিট আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৮ মিনিট আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১ ঘণ্টা আগে