Ajker Patrika

তুরস্ক থেকে হাইতি: যেসব বিধ্বংসী ভূমিকম্প বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে

তুরস্ক থেকে হাইতি: যেসব বিধ্বংসী ভূমিকম্প বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে

তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে পর পর দুটি ভয়ানক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে। ধসে পড়ে বহু ভবন। ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। এ দুর্যোগে দুই হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক দুর্যোগ আগের ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলোর স্মৃতি নাড়া দিচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে সর্বশেষ মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ধসে পড়া স্থাপনার স্তূপ থেকে এখনো হতাহতদের বের করে আনা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প গাজিয়ানটেপ শহরের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমন সোয়লু বলেছেন, ‘ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালটিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিসের ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ 

প্রথম ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত বাসিন্দারা অন্ধকার রাস্তায় জড়ো হন। 

প্রথম আঘাতের কয়েক ঘণ্টা পরই আরেকটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিস্তান এলাকায়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। তবে কোনো আফটার শক ছিল না। 

বিশ্বে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলো একটু স্মরণ করা যাক: 

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের আঘাত মানুষের ভোগান্তি বহু গুনে বাড়িয়ে দেয়। ফাইল ছবিআফগানিস্তান, জুন ২০২২ 
 ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে পূর্ব আফগানিস্তান কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পটি পাকতিকা প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে সাড়ে ৪ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হয় কমপক্ষে ১ হাজার মানুষ। আহত হয় দেড় হাজারেরও বেশি। 

হাইতি, আগস্ট ২০২১ 
২০২১ সালের ১৪ আগস্ট ভোরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এ ভূমিকম্প হাইতিকে কাঁপিয়ে দেয়। এতে দেশটির হাসপাতাল, স্কুল এবং বাড়িঘর ধসে পড়ে। প্রাণ হারায় ২ হাজার ২০০–এর বেশি মানুষ। ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়ে দেশ। 

নেপাল, এপ্রিল ২০১৫ 
নেপালে ২০১৫ সালের এ ভূমিকম্প দেশটিতে ১৯৩৪ সালের পর সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি বলে ধরা হয়। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এতে ৮ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। আহতের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার। কাঠমাণ্ডুর ৮০ শতাংশ মন্দির এবং ঐতিহাসিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাটিতে মিশে যায় ৯৮ শতাংশ ঘরবাড়ি। 

পাকিস্তানের ভূমিকম্পে নিহত হয় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ। ফাইল ছবিপাকিস্তান, সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
পাকিস্তানের প্রত্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বেলুচিস্তানের আওয়ারান জেলার প্রায় সব গ্রামের বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। নিহত হয় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ। 

এ ভূমিকম্প করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ, লারকানা এবং লাহোরসহ পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতেও অনুভূত হয়েছিল। ভূমিকম্পটি ভারতের দিল্লিতেও অনুভূত হয়, সেখানে কিছু ভবন কেঁপে উঠেছিল। এ ছাড়া কেন্দ্রস্থল থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে ওমানের রাজধানী মাস্কটেও হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছিল। 
 
জাপান, মার্চ ২০১১ 
জাপানের তোহোকুতে ২০১১ সালের এ ভূমিকম্প ও সুনামিকে একুশ শতকের দুর্যোগগুলোর মধ্য দ্বিতীয় বৃহত্তম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটির মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৯। এতে ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায় বা নিখোঁজ হয়। আহত হন আরও ৬ হাজার জন। 
 
ভূমিকম্পটি জাপানের উপকূলে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি করে। এর ক্ষয়ক্ষতি ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিপর্যয়ের সমপর্যায়ের ছিল। ফুকুশিমার ঘটনাকে ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিপর্যয় বলে বিবেচনা করা হয়। 

হাইতির এ ভূমিকম্পে ২ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ছবি: এএফপিহাইতি, জানুয়ারি ২০১০ 
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাইতির রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সের চারপাশে ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ২ লাখ ৩০ হাজার লোক মারা যায় এবং অসংখ্য ভবন ভেঙে পড়ে। ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে কিউবা এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। 

ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ভূমিকম্পগুলোর একটি এটি। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২টি আফটার শক হাইতিকে লন্ডভন্ড করে দেয়। আফটার শকগুলোরও মাত্রা ছিল গড়ে ৪ দশমিক ৫। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আনুমানিক নিহত ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার। সরকারি হিসাবে নিহত ২ লাখ ২০ হাজার থেকে ৩ লাখ ১৬ হাজার। অবশ্য পরে সরকারি হিসাব নিয়ে বিতর্ক ওঠে। 

এ ছাড়া সরকারি হিসাবে, আড়াই লাখ আবাসিক ভবন এবং ৩০ হাজার বাণিজ্যিক ভবন ধসে গেছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভূমিকম্পে চীনে প্রায় ১০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ফাইল ছবিচীন, মে ২০০৮ 
চীনের ২০০৮ সালে মারাত্মক এ ভূমিকম্পে ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান। এ ছাড়া ১ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। ৭ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্প পশ্চিম চীনের পাহাড়ি প্রদেশ সিচুয়ানে আঘাত হানে। লক্ষাধিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আনুমানিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। 

এ ভূমিকম্পে প্রায় ১০ হাজার শিশু বিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছিল। যা দেশটিতে জনরোষ সৃষ্টি করে। পরে সরকারি তদন্তে দেখা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রায় ২০ শতাংশই ছিল অনিরাপদ। 

কাশ্মীর, মে ২০০৫ 
কাশ্মীরে ২০০৫ সালে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এ ভূমিকম্পে ৭৫ হাজার মানুষ মারা যায়। গৃহহীন হয়ে পড়ে লক্ষাধিক। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এ ভূমিকম্প হওয়ায় উদ্ধারকাজে জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ে। 

আফগানিস্তান, ১৯৯৮ 
 ১৯৯৮ সালে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে দুটি ভূমিকম্প হয়েছিল। হিন্দুকুশের তাখার প্রদেশে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ভূমিকম্পে প্রায় ২ হাজার ৩০০ লোক নিহত হয়। যদিও অনেকের অনুমান প্রকৃত সংখ্যা ৪ হাজার। মে মাসে একই অঞ্চলে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্পে প্রায় ৪ হাজার লোক নিহত হয়। 

চিলি, মে ১৯৬০ 
রিখটার স্কেলে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার এ ভূমিকম্প চিলির ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। এতে ৩০ ফুট উচ্চতার সুনামির সৃষ্টি হয়। ধ্বংস হয় অসংখ্য গ্রাম। এ দুর্যোগে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে নানা মত রয়েছে। তবে কমপক্ষে ২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। 

২০২২ সালের মার্চে জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ছবি: এএফপিজাপান, সেপ্টেম্বর ১৯২৩ 
জাপানে ১৯২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর এক মনোরম বিকেলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্প টোকিও-ইয়োকোহামা শহরকে তছনছ করে দিয়েছিল। সর্বনাশা এ ভূমিকম্প শহর দুটির দু–একটি ভবন ছাড়া সব ভবন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল। ৪০ ফুট উচ্চতার সুনামি হয়েছিল।

ভূমিকম্পের পরে অগ্নিকাণ্ড এবং টর্নেডো আঘাত হানে। সরকারি কর্মকর্তারা মৃতের সংখ্যা জানিয়েছিলেন ১ লাখ ৪৩ হাজার। কর্মকর্তারা আরও বলেছিলেন যে, ইয়োকোহামার ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আর টোকিওর প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাশিয়াকে পশ্চিম সম্মান করলে আর যুদ্ধ হবে না: পুতিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।

পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।

মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।

ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।

দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।

পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৬
২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ছবি: এপির সৌজন্যে
২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ছবি: এপির সৌজন্যে

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।

এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।

জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।

মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।

গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।

১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।

গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর। ছবি: পিটিআই
কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর। ছবি: পিটিআই

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।

শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’

থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।

বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’

শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৩
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।

ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।

এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’

পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’

বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত