সন্তানদের খোঁজে রাজধানী ঢাকায় এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকারের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বিল্লাল হোসেন (২৫), আল-আমিন হোসেন (২৬), সবুজ (২৬), রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২৬)।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গাবতলী, ডেমরা, বছিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
নির্যাতনের শিকার নারী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী একসময় স্বামী-সন্তান নিয়ে বছিলায় থাকতেন। চার মাস আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন অসুস্থ হয়ে পড়ায় গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি। সাবেক স্বামীর কাছে থাকা সন্তানদের খোঁজে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন তিনি। বছিলা হাউজিংসহ আশপাশের এলাকায় খোঁজ করেও সন্তানদের দেখা পাননি। পরে গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য রিকশায় ওঠেন। কিন্তু রিকশাচালক তাঁকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে না নিয়ে মোহাম্মদপুরের বছিলা, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাতে থাকেন।
রিকশাচালক এ সময় বিভিন্নজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে থাকেন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বছিলার ফিউচার হাউজিং এলাকার একটি টিনশেড ঘরে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন ওই নারীকে। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশের কর্মকর্তা এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ২৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ ক্লুলেস। ভিকটিম নারীও আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের অসংখ্য সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তাঁদের কাছ থেকে ভিকটিম নারীর মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘গ্রেপ্তার পাঁচজন ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন এবং দুজন আশপাশে অবস্থান করে সহযোগিতা করেন। ধর্ষণকারী পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আশা করছি দ্রুততম সময়ে সহায়তাকারী বাকি দুজনকেও গ্রেপ্তার করে ফেলব। ওই নারীর স্বামীর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি, আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি তাঁর সন্ধান পাওয়া যাবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে