স্বামীর সঙ্গে চার মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয় রুপা বেগমের (ছদ্মনাম)। এরপর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ঢাকার বসিলার বাসায় স্বামীর কাছে সন্তানদের রেখে চলে যান গ্রামের বাড়ি। গত ২৫ জানুয়ারি সন্তানদের দেখতে বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন রুপা। দেখা হয়নি। তবে শিকার হয়েছেন দলবদ্ধ ধর্ষণের। ভুক্তভোগী সেদিনই রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার তথ্য প্রকাশ পায় আজ শনিবার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) দেবাশীষ রয় মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি নিয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
সেদিনের সেই মামলা সূত্রে জানা যায়, বসিলা এলাকায় স্বামী-সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন রুপা। চার মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। তখন অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে যান তিনি। পরে গত ২৫ জানুয়ারি সাবেক স্বামীর কাছে থাকা সন্তানদের খোঁজে ঢাকায় আসেন। বসিলা হাউজিংসহ আশপাশ এলাকায় খোঁজ করেও সন্তানদের দেখা পাননি। পরে গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য রিকশায় ওঠেন। কিন্তু রিকশাচালক তাঁকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে না নিয়ে মোহাম্মদপুরে বসিলা, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরান। এই সময়ে রিকশাচালক বিভিন্নজনের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করতে থাকে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বসিলার ফিউচার হাউজিং এলাকার একটি টিনশেড ঘরে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।
পরে বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ রয় বলেন, মামলাটি নিয়ে আমরা গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। আশা করছি দু এক দিনের মধ্যে তাদের ধরতে পারব।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে