Ajker Patrika

নয়াপল্টনে সংঘর্ষের মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬: ৩৯
নয়াপল্টনে সংঘর্ষের মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউদ্দিন এ আদেশ দেন। 

মির্জা ফখরুলসহ ১৩৮ জনের জামিনের আবেদন করা হয় গতকাল রোববার সকালে। পরে বিকেলে ও আজ সকালে আরও ৮৬ জনের জামিনের আবেদন করা হয়। ২২৪ জনের জামিনের আবেদন আজ বেলা আড়াইটার সময় শুনানি শুরু হয়। ২ ঘণ্টা শুনানির পরে মির্জা ফখরুলসহ ১১ জনের জামিন বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে আদালত জানান। ২১৩ জনের জামিন আবেদন তাৎক্ষণিকভাবে নামঞ্জুর করা হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট খাস কামরায় গিয়ে মির্জা ফখরুলসহ ১১ জনের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেন। 

আরও যাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব। 

বিএনপির আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাঁদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাঁদের গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। গত শুক্রবার পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অন্যদের গত বুধবার সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। তাঁদের বৃহস্পতিবারে আদালতে আনার পর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

একই মামলায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদসহ ৪৩৪ জনকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নেওয়া হয় ১৪ নেতা কর্মীকে। রিমান্ড শেষে ওই ১৪ জনকেও গতকাল রোববার কারাগারে পাঠানো হয়। গত শনিবার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় মোট ৪৫৩ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। 

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। 

গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়। 

এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপি জড়ো হয়েছিল পার্টি কার্যালয়ের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ার পরে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়। 

আজ জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. বোরহান উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ। 

রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, ঢাকা জেলা পিপি শেখ হেমায়েত হোসেন প্রমুখ। 

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, এই মামলায় যে ঘটনা দেখানো হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপিকে দমন নির্যাতনের অংশ হিসেবে এখন গায়েবি মামলা হচ্ছে। আবার গায়েবি ঘটনা দেখিয়ে মামলা করা হচ্ছে। 

তাঁরা আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম এজাহারে নেই। তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সমাবেশ বানচাল করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। কিন্তু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন তাঁদের কারাগারে আটক রাখার কোনো যুক্তি নেই। 

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসই হলেন এই ঘটনার নির্দেশদাতা। রাজনৈতিক সমাবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে একের পর এক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে বিএনপির নেতা কর্মীরা। তাঁরা সদ্য ধৃত, এই মুহূর্তে জামিন দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। 

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আরও বলা হয়, মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের। সম্পূর্ণ অজামিনযোগ্য ধারার মামলা। কাজেই তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হোক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পরিদর্শনে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।

আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা ডেইলি স্টারে যান।

ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ‍্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি।

মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিছু নির্দিষ্ট স্থানে হামলা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা কি না, সন্দেহ সালাহউদ্দিনের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি। এর মাধ্যমে সারা দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপপরিকল্পনা বা অপকৌশল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তবে কোনো ধরনের উগ্র কার্যকলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণকে কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যাবে না।

বিএনপি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সরকারকে আমরা অনুরোধ করব, যেন তারা সব ধরনের কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনারও জায়গা আছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আন্দাজ করা উচিত ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন থাকা দরকার ছিল এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আগে থেকেই নেওয়া উচিত ছিল।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নিরাপত্তাজনিত সব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে এবং সরকার এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, এটি কোনো জনসভা নয়। এটি ৩০০ ফুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে। আজই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তারেক রহমান জনগণের সামনে উপস্থিত হয়ে জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমরা ভারতীয় দূতাবাস ভাঙচুর করতে চাই না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

সবাইকে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, দেশে কোনো দূতাবাস আক্রান্ত হলে বহিঃশক্তি হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যদি কোনো দূতাবাস আক্রান্ত হয়, যদি কোনো সাবোটেজ (অন্তর্ঘাত) কর্মকাণ্ড এখানে চলে, তাহলে বহিঃশক্তি এখানে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে। আমরা এই ধরনের কোনো সুযোগ দিতে চাই না।’

সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিনিয়ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আর ভারত সেটাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সেটার জন্য আমরা ভারতীয় দূতাবাস ভাঙচুর করতে চাই না।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘দেশের জনগণকে বলব, অহিংস এবং গণতান্ত্রিকভাবে রাজপথে নেমে আসুন। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করতে চায়, দূতাবাসে হামলা করতে চায়, তাদের নিবৃত্ত করুন।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘আমাদের আবেগ আছে, ক্ষোভ আছে। কিন্তু আমাদের বিবেক দিয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায় জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর নেতৃত্ব দিয়েছে। এনসিপি এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘এনসিপি গণতান্ত্রিক এবং অহিংস রাজনীতির পক্ষে। সহিংস রাজনীতির বিপক্ষে। এই আদর্শ শরিফ ওসমান হাদি শিখিয়ে গেছেন। তিনি ছায়ানটের বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ার কাজ করেছেন। কিন্তু কখনো ছায়ানট ভাঙতে যাননি।’

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান প্রমুখ। এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কবো’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও’, ‘হাদি-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাভেল পাস পেলেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সব ঠিক থাকলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেড় যুগ পর দেশে ফেরার প্রস্তুতিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে ট্রাভেল পাস পেয়েছেন তিনি। দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোন কিছু না বলা হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘উনি (তারেক রহমান) কাল (বৃহস্পতিবার) আবেদন করেছিলেন। আমার জানামতে হয়ে গেছে।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তার দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছিল। গত ২৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার পর তারেক রহমান জানান, দেশে ফেরা কোনো একক সিদ্ধান্ত নয়। তবে ১২ ডিসেম্বর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় যে,২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। তার আগমনকে ঘিরে দলের পক্ষ থেকে একটি অভ্যর্থনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তারেক রহমান।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অভ্যর্থনার স্থান নির্ধারণে যাচাই-বাছাই চলছে। সম্ভাব্য সমাবেশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ঐতিহাসিক জনসমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তারেক রহমান। প্রায় ১৮ মাস কারাভোগ করেন। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি লন্ডন চলে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত