ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সর্বাধিক জোর দেয় ইসলাম। ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো পালন করতে পবিত্র হতে হয়। পাশাপাশি দৈহিক পরিচ্ছন্নতা অর্জনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বভাবজাত কাজ ১০ টি। গোঁফ খাটো করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, হাত ও পায়ের আঙুলের গিরাগুলো ধোয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম মুণ্ডানো, এস্তেনজা করা এবং কুলি করা।’ (মিশকাত: পৃ.৪৪)
গোঁফ ও দাড়ির বিধান
হাদিসে গোঁফ খাটো রাখার এবং দাড়ি লম্বা রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করো—গোঁফ খাটো করো এবং দাড়ি লম্বা করো।’ (মুয়াত্তা মালেক: ৯৪৭)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে সুন্দর করে দাড়ি রেখেছেন।’ (তিরমিজি: ২৭৬২)
সাহাবি ইবনে ওমর (রা.) গোঁফ এমনভাবে খাটো করতেন যে চামড়া দেখা যেত। তিনি দাড়ি ধরতেন এবং এক মুঠোর বেশি হলে হজ ও ওমরাহর সময় কেটে ফেলতেন। (বুখারি: ৫৮৯২)
মেসওয়াক করা
দাঁত পরিষ্কার রাখতে এবং মুখ দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে মিসওয়াক করা উচিত। মহানবী (সা.) এ সুন্নত সব সময় পালন করতেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টের কারণ হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে প্রতি নামাজে (অজুতে) মিসওয়াক আবশ্যক করে দিতাম।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৪)
মেসওয়াক করলে মুখ পরিচ্ছন্ন হয়, এতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মিসওয়াক মুখ পরিচ্ছন্ন করে এবং পালনকর্তাকে সন্তুষ্ট করে।’ (দারেমি ও নাসায়ির সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৪)
অজুর সময় ছাড়াও মহানবী (সা.) মিসওয়াক করতেন। আল-মিকদাদ ইবনে শুরাইহ থেকে তাঁর বাবার সূত্রে বর্ণিত, আমি আয়িশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মহানবী (সা.) ঘরে প্রবেশ করে প্রথম কোন কাজ করতেন?’ তিনি বলেন, মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজতেন।’ (মুসলিম: ৩৭১)
সাধারণভাবে মিসওয়াক ব্যবহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তবে কোনো কোনো আলেমের মতে, মিসওয়াকের পরিবর্তে প্রচলিত ব্রাশ ব্যবহার করলেও সুন্নত আদায় হবে। কারণ তাতে মিসওয়াকের আসল উদ্দেশ্য—দাঁত পরিষ্কার করা এবং মুখ দুর্গন্ধমুক্ত রাখার বিষয়টি অর্জিত হচ্ছে।
কুলি করা এবং নাকে পানি দেওয়া
অজুর সময় কুলি করা সুন্নত। ফরজ গোসলের জন্য গড়গড়া করে কুলি করা ফরজ। তবে রোজার সময় গড়গড়া করা যাবে না। কারণ এতে ভেতরে পানি প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। মাইমুনা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর জন্য গোসলের পানি এনে একটি কাপড় দিয়ে পর্দা করলাম, তিনি পানি দিয়ে উভয় হাত ধৌত করলেন, এরপর বাঁ হাতে পানি নিয়ে গুপ্তাঙ্গ ধুয়ে মাটিতে হাত মাসেহ করে পানি দ্বারা হাত ধৌত করলেন। এরপর তিনি কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও হাত দুটো কনুই পর্যন্ত ধৌত করলেন। এরপর গোটা শরীরে পানি ঢাললেন, নাক সাফ করলেন এবং উভয় পা ধৌত করলেন। আমি তাঁর জন্য একটি কাপড় আনলে তিনি তা না নিয়ে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৮)
অজু করার সময় নাকে পানি দেওয়াও সুন্নত। ফরজ গোসলে নাকে পানি দেওয়া ফরজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জেগে অজু করে, তখন সে যেন তিনবার নাক পরিষ্কার করে। কেননা শয়তান নাকের ছিদ্রে রাতযাপন করে।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৫)
এস্তেনজার বিধান
প্রস্রাব ও পায়খানা করার পর মলদ্বার ও মূত্র দ্বার পরিষ্কার করা আবশ্যক। আর এ জন্য পানি ও ঢিলা উভয়ই ব্যবহার করা উত্তম। উভয়টি ব্যবহারের কারণেই কোরআনে কুফাবাসীর প্রশংসা করা হয়েছে। ঢিলার পরিবর্তে আধুনিক কালের টিস্যুও ব্যবহার করা যাবে। দুটির মধ্যে পানি দিয়ে এস্তেনজা করা উত্তম। আর ঢিলা বা টিস্যু ব্যবহার করা মুস্তাহাব। নাপাকি নির্গত হওয়ার স্থান অতিক্রম করে আশপাশে ছড়িয়ে গেলে পানি ব্যবহার করা ওয়াজিব।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন টয়লেটে যায়, তখন সে যেন তার সঙ্গে তিনটি পাথর নিয়ে যায়, যা দিয়ে সে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট।’ (আবু দাউদ: ৪০)
অন্য হাদিসে আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) টয়লেটে যেতেন আর আমি ও আমার মতো আরেকটি ছেলে পানির পাত্র ও বর্শার মতো লাঠিসহ তাঁর জন্য পানি নিয়ে যেতাম। এই পানি দিয়ে তিনি শৌচকার্য সম্পন্ন করতেন।’ (বুখারি: ১৫১; মুসলিম: ২৭০ ও ২৭১)
অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা
রাসুলুল্লাহ (সা.) বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং নাভির নিচের পশম মুণ্ডানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কেননা বগলের পশম সহজে ওপড়ানো যায়। পক্ষান্তরে নাভির নিচের পশম সহজে ওপড়ানো যায় না। এ বিধান পরিচ্ছন্নতার জন্য। যদি কেউ এর বিপরীত করে—অর্থাৎ বগলের পশম মুণ্ডায় এবং নাভির নিচের পশম উপড়ে ফেলে, এতেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
৪০ দিনের মধ্যে একবার হলেও অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের গোঁফ খাটো করার, নখ কাটার, নাভির নিচের পশম মুণ্ডানোর এবং বগলের পশম ওপড়ানোর মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা হলো ঊর্ধ্বে ৪০ দিন। (মুসলিম: ২৫৮; আবু দাউদ; ৪২০০)
কেউ অবহেলা করে ৪০ দিনের বেশি সময় অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকলে গুনাহগার হবে। তবে তা পরিষ্কার না করার কারণে শরীর নাপাক হয়ে যাবে না। বরং নামাজ, রোজা, তেলাওয়াত ইত্যাদি আদায় করা তখনো বৈধ হবে। কারণ এসব লোম শরিয়তের দৃষ্টিতে নাপাক নয়।
নখ কাটার বিধান
নখ কাটা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোঁফ ও নখ কাটতেন। (আল-মাজমাহ: ২৫ / ১৮০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের নখ কাটো, কর্তিত অংশ পুঁতে রাখো, হাত ও পায়ের গিরাগুলো ধৌত করো, মুখে লেগে থাকা খাদ্য দূর করো এবং মিসওয়াক করো। দুর্গন্ধ অবস্থায় আমার কাছে এসো না।’ (নাওয়াদেরুল উসুল: পৃ.১১৫)
তবে নখ কাটার কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম হাদিসে বর্ণিত নেই। এ বিষয়ে প্রচলিত যে নিয়ম রয়েছে—ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে শেষ করা—এ ধরনের বিষয় পরবর্তী মুহাদ্দিস ও বুজর্গদের তৈরি। সুতরাং তাকে সুন্নত বলা যায় না। বড়জোর পরবর্তী বুজর্গদের বাতলানো পদ্ধতি ও নিয়ম বলা যায়। (আল-মাকাসিদ লিস-সাখাবি: পৃ.৩১৩ ও ৪২১; আল-আসরার লি-মুল্লা আলি কারি: পৃ.১৭০ ও ২৪১)
চুল রাখার বিধান
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চুল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, কান পর্যন্ত চুল রাখতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর চুল মোবারক কানের অর্ধেক পর্যন্ত লম্বা ছিল।’ হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ও মহানবী (সা.) একই পাত্রে গোসল করতাম। তাঁর চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা থেকে খানিক লম্বা এবং কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল থেকে খানিক খাটো ছিল। হজরত উম্মেহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর চুলকে চার ঝুঁটিবিশিষ্ট দেখেছি।’ (শামায়েলে তিরমিজি: ২৩-৩০)
হজ বা ওমরাহ ছাড়া মহানবী (সা.) কখনো মাথার চুল মুণ্ডন করেছেন বলে জানা যায় না। (যাদুল মাআদ: ১ / ১৬৭)
তাই হজ-ওমরাহ ছাড়া মাথা মুণ্ডন করা অনেকেই মাকরুহ বলেছেন। সাহাবিরা চুল ছোট রাখতেন, তবে মুণ্ডন করতেন না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হজ বা ওমরাহ ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৯ / ১৮০)
তবে ছোট করে চুল রাখাও জায়েজ। মাথার সব অংশে তা সমান হতে হবে। কোথাও বড়, আবার কোথাও ছোট—এভাবে কাটা ইসলামসম্মত নয়। আর লম্বা চুল রাখলে তা নিয়মিত আঁচড়ে পরিপাটি করে রাখতে হবে। মহানবী (সা.) এমনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। (নাসায়ি: ৮ / ১৮৪)
হাদিসে আরও এসেছে, চুলে তেল দেওয়া, সুগন্ধি মিশিয়ে তেল দেওয়া, পুরুষের জন্য আঁচড়িয়ে পরিপাটি রাখা, মাঝে সিঁথি করাও সুন্নত। (মুয়াত্তা মালিক: ২ / ৯৪৯)
চুল, নখ ও লোম কাটার নির্ধারিত সময় নেই। সপ্তাহের বিশেষ দিনে কাটতে হবে, অমুক দিন কাটা যাবে না, রাতে কাটা যাবে না—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এগুলো সমাজের প্রচলিত সংস্কার।
আল্লাহ আমাদের দৈহিক পরিচ্ছন্নতা অর্জনে ইসলাম নির্দেশিত শিষ্টাচারগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সর্বাধিক জোর দেয় ইসলাম। ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো পালন করতে পবিত্র হতে হয়। পাশাপাশি দৈহিক পরিচ্ছন্নতা অর্জনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বভাবজাত কাজ ১০ টি। গোঁফ খাটো করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, হাত ও পায়ের আঙুলের গিরাগুলো ধোয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম মুণ্ডানো, এস্তেনজা করা এবং কুলি করা।’ (মিশকাত: পৃ.৪৪)
গোঁফ ও দাড়ির বিধান
হাদিসে গোঁফ খাটো রাখার এবং দাড়ি লম্বা রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করো—গোঁফ খাটো করো এবং দাড়ি লম্বা করো।’ (মুয়াত্তা মালেক: ৯৪৭)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে সুন্দর করে দাড়ি রেখেছেন।’ (তিরমিজি: ২৭৬২)
সাহাবি ইবনে ওমর (রা.) গোঁফ এমনভাবে খাটো করতেন যে চামড়া দেখা যেত। তিনি দাড়ি ধরতেন এবং এক মুঠোর বেশি হলে হজ ও ওমরাহর সময় কেটে ফেলতেন। (বুখারি: ৫৮৯২)
মেসওয়াক করা
দাঁত পরিষ্কার রাখতে এবং মুখ দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে মিসওয়াক করা উচিত। মহানবী (সা.) এ সুন্নত সব সময় পালন করতেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টের কারণ হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে প্রতি নামাজে (অজুতে) মিসওয়াক আবশ্যক করে দিতাম।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৪)
মেসওয়াক করলে মুখ পরিচ্ছন্ন হয়, এতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মিসওয়াক মুখ পরিচ্ছন্ন করে এবং পালনকর্তাকে সন্তুষ্ট করে।’ (দারেমি ও নাসায়ির সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৪)
অজুর সময় ছাড়াও মহানবী (সা.) মিসওয়াক করতেন। আল-মিকদাদ ইবনে শুরাইহ থেকে তাঁর বাবার সূত্রে বর্ণিত, আমি আয়িশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মহানবী (সা.) ঘরে প্রবেশ করে প্রথম কোন কাজ করতেন?’ তিনি বলেন, মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজতেন।’ (মুসলিম: ৩৭১)
সাধারণভাবে মিসওয়াক ব্যবহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তবে কোনো কোনো আলেমের মতে, মিসওয়াকের পরিবর্তে প্রচলিত ব্রাশ ব্যবহার করলেও সুন্নত আদায় হবে। কারণ তাতে মিসওয়াকের আসল উদ্দেশ্য—দাঁত পরিষ্কার করা এবং মুখ দুর্গন্ধমুক্ত রাখার বিষয়টি অর্জিত হচ্ছে।
কুলি করা এবং নাকে পানি দেওয়া
অজুর সময় কুলি করা সুন্নত। ফরজ গোসলের জন্য গড়গড়া করে কুলি করা ফরজ। তবে রোজার সময় গড়গড়া করা যাবে না। কারণ এতে ভেতরে পানি প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। মাইমুনা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর জন্য গোসলের পানি এনে একটি কাপড় দিয়ে পর্দা করলাম, তিনি পানি দিয়ে উভয় হাত ধৌত করলেন, এরপর বাঁ হাতে পানি নিয়ে গুপ্তাঙ্গ ধুয়ে মাটিতে হাত মাসেহ করে পানি দ্বারা হাত ধৌত করলেন। এরপর তিনি কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও হাত দুটো কনুই পর্যন্ত ধৌত করলেন। এরপর গোটা শরীরে পানি ঢাললেন, নাক সাফ করলেন এবং উভয় পা ধৌত করলেন। আমি তাঁর জন্য একটি কাপড় আনলে তিনি তা না নিয়ে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৮)
অজু করার সময় নাকে পানি দেওয়াও সুন্নত। ফরজ গোসলে নাকে পানি দেওয়া ফরজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জেগে অজু করে, তখন সে যেন তিনবার নাক পরিষ্কার করে। কেননা শয়তান নাকের ছিদ্রে রাতযাপন করে।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৫)
এস্তেনজার বিধান
প্রস্রাব ও পায়খানা করার পর মলদ্বার ও মূত্র দ্বার পরিষ্কার করা আবশ্যক। আর এ জন্য পানি ও ঢিলা উভয়ই ব্যবহার করা উত্তম। উভয়টি ব্যবহারের কারণেই কোরআনে কুফাবাসীর প্রশংসা করা হয়েছে। ঢিলার পরিবর্তে আধুনিক কালের টিস্যুও ব্যবহার করা যাবে। দুটির মধ্যে পানি দিয়ে এস্তেনজা করা উত্তম। আর ঢিলা বা টিস্যু ব্যবহার করা মুস্তাহাব। নাপাকি নির্গত হওয়ার স্থান অতিক্রম করে আশপাশে ছড়িয়ে গেলে পানি ব্যবহার করা ওয়াজিব।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন টয়লেটে যায়, তখন সে যেন তার সঙ্গে তিনটি পাথর নিয়ে যায়, যা দিয়ে সে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট।’ (আবু দাউদ: ৪০)
অন্য হাদিসে আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) টয়লেটে যেতেন আর আমি ও আমার মতো আরেকটি ছেলে পানির পাত্র ও বর্শার মতো লাঠিসহ তাঁর জন্য পানি নিয়ে যেতাম। এই পানি দিয়ে তিনি শৌচকার্য সম্পন্ন করতেন।’ (বুখারি: ১৫১; মুসলিম: ২৭০ ও ২৭১)
অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা
রাসুলুল্লাহ (সা.) বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং নাভির নিচের পশম মুণ্ডানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কেননা বগলের পশম সহজে ওপড়ানো যায়। পক্ষান্তরে নাভির নিচের পশম সহজে ওপড়ানো যায় না। এ বিধান পরিচ্ছন্নতার জন্য। যদি কেউ এর বিপরীত করে—অর্থাৎ বগলের পশম মুণ্ডায় এবং নাভির নিচের পশম উপড়ে ফেলে, এতেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
৪০ দিনের মধ্যে একবার হলেও অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের গোঁফ খাটো করার, নখ কাটার, নাভির নিচের পশম মুণ্ডানোর এবং বগলের পশম ওপড়ানোর মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা হলো ঊর্ধ্বে ৪০ দিন। (মুসলিম: ২৫৮; আবু দাউদ; ৪২০০)
কেউ অবহেলা করে ৪০ দিনের বেশি সময় অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকলে গুনাহগার হবে। তবে তা পরিষ্কার না করার কারণে শরীর নাপাক হয়ে যাবে না। বরং নামাজ, রোজা, তেলাওয়াত ইত্যাদি আদায় করা তখনো বৈধ হবে। কারণ এসব লোম শরিয়তের দৃষ্টিতে নাপাক নয়।
নখ কাটার বিধান
নখ কাটা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোঁফ ও নখ কাটতেন। (আল-মাজমাহ: ২৫ / ১৮০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের নখ কাটো, কর্তিত অংশ পুঁতে রাখো, হাত ও পায়ের গিরাগুলো ধৌত করো, মুখে লেগে থাকা খাদ্য দূর করো এবং মিসওয়াক করো। দুর্গন্ধ অবস্থায় আমার কাছে এসো না।’ (নাওয়াদেরুল উসুল: পৃ.১১৫)
তবে নখ কাটার কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম হাদিসে বর্ণিত নেই। এ বিষয়ে প্রচলিত যে নিয়ম রয়েছে—ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে শেষ করা—এ ধরনের বিষয় পরবর্তী মুহাদ্দিস ও বুজর্গদের তৈরি। সুতরাং তাকে সুন্নত বলা যায় না। বড়জোর পরবর্তী বুজর্গদের বাতলানো পদ্ধতি ও নিয়ম বলা যায়। (আল-মাকাসিদ লিস-সাখাবি: পৃ.৩১৩ ও ৪২১; আল-আসরার লি-মুল্লা আলি কারি: পৃ.১৭০ ও ২৪১)
চুল রাখার বিধান
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চুল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, কান পর্যন্ত চুল রাখতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর চুল মোবারক কানের অর্ধেক পর্যন্ত লম্বা ছিল।’ হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ও মহানবী (সা.) একই পাত্রে গোসল করতাম। তাঁর চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা থেকে খানিক লম্বা এবং কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল থেকে খানিক খাটো ছিল। হজরত উম্মেহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর চুলকে চার ঝুঁটিবিশিষ্ট দেখেছি।’ (শামায়েলে তিরমিজি: ২৩-৩০)
হজ বা ওমরাহ ছাড়া মহানবী (সা.) কখনো মাথার চুল মুণ্ডন করেছেন বলে জানা যায় না। (যাদুল মাআদ: ১ / ১৬৭)
তাই হজ-ওমরাহ ছাড়া মাথা মুণ্ডন করা অনেকেই মাকরুহ বলেছেন। সাহাবিরা চুল ছোট রাখতেন, তবে মুণ্ডন করতেন না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হজ বা ওমরাহ ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৯ / ১৮০)
তবে ছোট করে চুল রাখাও জায়েজ। মাথার সব অংশে তা সমান হতে হবে। কোথাও বড়, আবার কোথাও ছোট—এভাবে কাটা ইসলামসম্মত নয়। আর লম্বা চুল রাখলে তা নিয়মিত আঁচড়ে পরিপাটি করে রাখতে হবে। মহানবী (সা.) এমনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। (নাসায়ি: ৮ / ১৮৪)
হাদিসে আরও এসেছে, চুলে তেল দেওয়া, সুগন্ধি মিশিয়ে তেল দেওয়া, পুরুষের জন্য আঁচড়িয়ে পরিপাটি রাখা, মাঝে সিঁথি করাও সুন্নত। (মুয়াত্তা মালিক: ২ / ৯৪৯)
চুল, নখ ও লোম কাটার নির্ধারিত সময় নেই। সপ্তাহের বিশেষ দিনে কাটতে হবে, অমুক দিন কাটা যাবে না, রাতে কাটা যাবে না—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এগুলো সমাজের প্রচলিত সংস্কার।
আল্লাহ আমাদের দৈহিক পরিচ্ছন্নতা অর্জনে ইসলাম নির্দেশিত শিষ্টাচারগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৪ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৫ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর ২০২২
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৪ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৫ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৫ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৪ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৪ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৫ ঘণ্টা আগে