নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ্য দিবালোকে একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা কীভাবে ঘটে বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ হামলায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ রোববার একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ প্রশ্ন তোলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গিয়ে প্রথমে তিনি গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বক্তৃতার সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের হামলা কীভাবে ঘটে? আমরা যারা সেদিন ট্রাকে ছিলাম, একটা গ্রেনেড যদি ট্রাকের ওপর পড়ত, তাহলে হয়তো কেউ রেহাই পেতাম না। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছি। ট্রাকের ডালার সঙ্গে লেগে গ্রেনেড নিচে পড়ে যায়।’
দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পরে আজ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আসেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দুই বছরের কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি। এর আগে ২০২০ সালের শুরুর দিকে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনা বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন বক্তৃতা শেষ করে মাইকটা টেবিলে রাখতে যাব, এমন সময় ফটোগ্রাফার গোর্কি এসে আমাকে বলে, আপা আমি ছবি নিতে পারেনি, আপনি একটু দাঁড়ান। কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। অন্য ফটো সাংবাদিকেরাও ট্রাকের ওপর বসে চিৎকার করছে, বলছে, আপা একটু দাঁড়ান। ওই একটা সেকেন্ড বা দুইটা সেকেন্ডের বিষয়। এরপর চারদিকে বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমাদের ঘটনা ধরতেই কষ্ট হয়েছে, এত বোমাবাজি কেন? শুধু একটার পর একটা গ্রেনেড ছোড়া হচ্ছে। আমাকে সঙ্গে সঙ্গে… পাশে হানিফ ভাই (প্রয়াত মেয়র) দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেদিন তিনি একটু বেশি… দাঁড়াচ্ছিলেন, তখন আমি বললাম, আপনি এইভাবে দাঁড়াচ্ছেন কেন! আমি সবাইকে দেখতে পাই না। উনি বলেন, আপনি বুঝবেন না, এটা আমাদের নিয়ম, আমরা এইভাবে দাঁড়াব। চারদিকে আমাদের নেতারা ছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে টান দিয়ে বসিয়ে ফেলে। আমাকে ধরে রাখে, আমার সঙ্গে নজিব ও মামুন (নিরাপত্তা কর্মকর্তা) ওরা আমাকে ঘিরে ধরে। পাশে মায়া ছিল।’
সেদিন নেতা-কর্মীরা মানবঢাল তৈরি করেছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা আমাকে ঘিরে একটা মানবঢাল তৈরি করে। একের পর এক গ্রেনেড হামলা। হানিফ ভাইয়ের গায়ে ও মাথায় যে স্প্লিন্টার লাগছে, সেটার কারণে ওনার রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে আমার গায়ে পড়ছিল। এ রকম একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেদিন।’
১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পরে যেখানে গিয়েছিলেন, সেখানেই বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে জানান তিনি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে দেশের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে দেশের গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব এসেছিল বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশের জন্য গ্যাস ক্রয় করে রেখে যান। সেটা মানুষের কাজে লাগানোর জন্য, মানুষের জন্য। আমি তা বিক্রি করতে পারব না, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ না হবে, পর্যাপ্ত রিজার্ভ না থাকবে।’
ওই সময় গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির পাশাপাশি আমেরিকান কোম্পানিও এসেছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান কোম্পানি এসে আমাকে বোঝাচ্ছিল, গ্যাস বিক্রি করলে বছরে এত টাকা কামাই হবে। আমি জবাবে বলেছিলাম, আমাদের জমি এত উর্বর, তরিতরকারি, শাকসবজি উৎপাদন করে সেই টাকা কামাই করতে পারব। কিন্তু যেটা জনগণের সম্পদ, সেটা আমি বিক্রি করব না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়েছিল। কারণ গ্যাস বিক্রি করবে আমেরিকান কোম্পানি আর কিনবে ভারত। এই ছিল তাদের অবস্থা। আমি রাজি হইনি।’
২০০১ সালের নির্বাচনে দেশের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে কিছু ব্যক্তি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই চক্রান্তের সঙ্গে ছিল এই দুই দেশ। তাদের অ্যাম্বাসির লোকেদের হাওয়া ভবন ও তারেকের বন্ধু মামুনের বাড়িই ছিল আড্ডার জায়গা। তখন নির্বাচনের চার-পাঁচ দিন আগে থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। কেউ বাড়িতে থাকতে পারেনি। ধানখেতে, আগানে-বাগানে থেকে তারা নির্বাচন করেছে। তারপর তো নির্বাচনের ফলাফলে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হলো। সরকার গঠন করতে পারলাম না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তখন আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী সুশীল বাবুরা ছিলেন। কারও হাইকোর্টের চেম্বারে বসে আলোচনা হতো। আরও কয়েক জায়গায়… আমার সব জানা আছে। আমি বলতে চাই না। পরে সময় এলে বলব। সেখানেই বসে এই ষড়যন্ত্রটা করা হলো। আমরা আসতে পারলাম না ক্ষমতায়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিমি কার্টার এসেছিল সমঝোতা করতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এসেছিল। আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তার প্রতিনিধি ছিল জিমি কার্টার। সেটি ছিল শেষ বৈঠক। আমি, জিল্লু কাকা (রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান) ওই দিকে খালেদা জিয়া ও তার সঙ্গে ছিল মান্নান ভূঁইয়া। লতিফুর রহমান তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। সেখানে বৈঠক। বৈঠকে যখন এই কথাগুলো উঠল, তখন আমি বললাম দুঃখিত, আমি যা কথা বলেছি, ওই একটাই বলেছি। দেশের জনগণের সম্পদ, তাদের অধিকার আমি বিক্রি করতে পারব না। খালেদা জিয়া তাদের সঙ্গে সমঝোতা করল, মুচলেকা দিল এবং ক্ষমতায়ও এল। তখন আমি বলেছিলাম, ক্ষমতায় এলেও গ্যাস দিতে পারবে না। গ্যাস কিন্তু দিতে পারে নাই।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে হয়েছিল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন নেতা-কর্মী।

প্রকাশ্য দিবালোকে একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা কীভাবে ঘটে বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ হামলায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ রোববার একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ প্রশ্ন তোলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গিয়ে প্রথমে তিনি গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বক্তৃতার সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের হামলা কীভাবে ঘটে? আমরা যারা সেদিন ট্রাকে ছিলাম, একটা গ্রেনেড যদি ট্রাকের ওপর পড়ত, তাহলে হয়তো কেউ রেহাই পেতাম না। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছি। ট্রাকের ডালার সঙ্গে লেগে গ্রেনেড নিচে পড়ে যায়।’
দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পরে আজ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আসেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দুই বছরের কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি। এর আগে ২০২০ সালের শুরুর দিকে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনা বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন বক্তৃতা শেষ করে মাইকটা টেবিলে রাখতে যাব, এমন সময় ফটোগ্রাফার গোর্কি এসে আমাকে বলে, আপা আমি ছবি নিতে পারেনি, আপনি একটু দাঁড়ান। কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। অন্য ফটো সাংবাদিকেরাও ট্রাকের ওপর বসে চিৎকার করছে, বলছে, আপা একটু দাঁড়ান। ওই একটা সেকেন্ড বা দুইটা সেকেন্ডের বিষয়। এরপর চারদিকে বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমাদের ঘটনা ধরতেই কষ্ট হয়েছে, এত বোমাবাজি কেন? শুধু একটার পর একটা গ্রেনেড ছোড়া হচ্ছে। আমাকে সঙ্গে সঙ্গে… পাশে হানিফ ভাই (প্রয়াত মেয়র) দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেদিন তিনি একটু বেশি… দাঁড়াচ্ছিলেন, তখন আমি বললাম, আপনি এইভাবে দাঁড়াচ্ছেন কেন! আমি সবাইকে দেখতে পাই না। উনি বলেন, আপনি বুঝবেন না, এটা আমাদের নিয়ম, আমরা এইভাবে দাঁড়াব। চারদিকে আমাদের নেতারা ছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে টান দিয়ে বসিয়ে ফেলে। আমাকে ধরে রাখে, আমার সঙ্গে নজিব ও মামুন (নিরাপত্তা কর্মকর্তা) ওরা আমাকে ঘিরে ধরে। পাশে মায়া ছিল।’
সেদিন নেতা-কর্মীরা মানবঢাল তৈরি করেছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা আমাকে ঘিরে একটা মানবঢাল তৈরি করে। একের পর এক গ্রেনেড হামলা। হানিফ ভাইয়ের গায়ে ও মাথায় যে স্প্লিন্টার লাগছে, সেটার কারণে ওনার রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে আমার গায়ে পড়ছিল। এ রকম একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেদিন।’
১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পরে যেখানে গিয়েছিলেন, সেখানেই বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে জানান তিনি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে দেশের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে দেশের গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব এসেছিল বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশের জন্য গ্যাস ক্রয় করে রেখে যান। সেটা মানুষের কাজে লাগানোর জন্য, মানুষের জন্য। আমি তা বিক্রি করতে পারব না, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ না হবে, পর্যাপ্ত রিজার্ভ না থাকবে।’
ওই সময় গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির পাশাপাশি আমেরিকান কোম্পানিও এসেছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান কোম্পানি এসে আমাকে বোঝাচ্ছিল, গ্যাস বিক্রি করলে বছরে এত টাকা কামাই হবে। আমি জবাবে বলেছিলাম, আমাদের জমি এত উর্বর, তরিতরকারি, শাকসবজি উৎপাদন করে সেই টাকা কামাই করতে পারব। কিন্তু যেটা জনগণের সম্পদ, সেটা আমি বিক্রি করব না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়েছিল। কারণ গ্যাস বিক্রি করবে আমেরিকান কোম্পানি আর কিনবে ভারত। এই ছিল তাদের অবস্থা। আমি রাজি হইনি।’
২০০১ সালের নির্বাচনে দেশের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে কিছু ব্যক্তি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই চক্রান্তের সঙ্গে ছিল এই দুই দেশ। তাদের অ্যাম্বাসির লোকেদের হাওয়া ভবন ও তারেকের বন্ধু মামুনের বাড়িই ছিল আড্ডার জায়গা। তখন নির্বাচনের চার-পাঁচ দিন আগে থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। কেউ বাড়িতে থাকতে পারেনি। ধানখেতে, আগানে-বাগানে থেকে তারা নির্বাচন করেছে। তারপর তো নির্বাচনের ফলাফলে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হলো। সরকার গঠন করতে পারলাম না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তখন আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী সুশীল বাবুরা ছিলেন। কারও হাইকোর্টের চেম্বারে বসে আলোচনা হতো। আরও কয়েক জায়গায়… আমার সব জানা আছে। আমি বলতে চাই না। পরে সময় এলে বলব। সেখানেই বসে এই ষড়যন্ত্রটা করা হলো। আমরা আসতে পারলাম না ক্ষমতায়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিমি কার্টার এসেছিল সমঝোতা করতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এসেছিল। আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তার প্রতিনিধি ছিল জিমি কার্টার। সেটি ছিল শেষ বৈঠক। আমি, জিল্লু কাকা (রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান) ওই দিকে খালেদা জিয়া ও তার সঙ্গে ছিল মান্নান ভূঁইয়া। লতিফুর রহমান তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। সেখানে বৈঠক। বৈঠকে যখন এই কথাগুলো উঠল, তখন আমি বললাম দুঃখিত, আমি যা কথা বলেছি, ওই একটাই বলেছি। দেশের জনগণের সম্পদ, তাদের অধিকার আমি বিক্রি করতে পারব না। খালেদা জিয়া তাদের সঙ্গে সমঝোতা করল, মুচলেকা দিল এবং ক্ষমতায়ও এল। তখন আমি বলেছিলাম, ক্ষমতায় এলেও গ্যাস দিতে পারবে না। গ্যাস কিন্তু দিতে পারে নাই।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে হয়েছিল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন নেতা-কর্মী।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৬ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রকাশ্য দিবালোকে একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা কীভাবে ঘটে বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ হামলায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ আগস্ট ২০২২
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৬ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

প্রকাশ্য দিবালোকে একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা কীভাবে ঘটে বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ হামলায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ আগস্ট ২০২২
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রকাশ্য দিবালোকে একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা কীভাবে ঘটে বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ হামলায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ আগস্ট ২০২২
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

প্রকাশ্য দিবালোকে একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা কীভাবে ঘটে বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ হামলায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ আগস্ট ২০২২
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৬ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে