ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী ভারতীয়রা সেখানকার নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। সম্প্রতি এমন একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ভারতের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির সর্বোচ্চ নির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। ঘোষণার পরপরই এর বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে উঠেছে জম্মু–কাশ্মীর। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, অঞ্চলটিতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হ্রাসেই এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত এই অঞ্চলটির শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তা ঘোষিত এই পদক্ষেপের ফলে ওই অঞ্চলে বিদ্যমান ৭৬ লাখ ভোটারের সঙ্গে আরও ২৫ লাখ অতিরিক্ত ভোটার যুক্ত হবে। ফলে ওই অঞ্চলে মোট ভোটারের সংখ্যা আগের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
ঘোষণা অনুসারে, নতুন ভোটারদের মধ্যে মূলত জম্মু–কাশ্মীরে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী ভারতীয়রা, ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মচারী এবং দেশটির বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত অভিবাসী শ্রমিকেরাও অন্তর্ভুক্ত হবে।
জম্মু–কাশ্মীরের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা হার্দিশ কুমার বলেছেন, ‘যারা আগের ভোটার তালিকায় ছিলেন না,৩৭০ ধারা বাতিলের পর তারাও এখন ভোট দিতে পারবেন।’ এ সময় তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে ভারতে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পর্কিত জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধানগুলোও এখানে প্রযোজ্য হবে।
এর আগে, ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের আওতায় জম্মু–কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা ছিল সেই অনুযায়ী কেবল ওই অঞ্চলের স্থায়ী অধিবাসীরাই নির্বাচনে ভোট দিতে পারতেন। আগের বিধান অনুসারে, অঞ্চলটিতে বাইরে থেকে আসা ভারতের যেকোনো রাজ্যের নাগরিকের জন্য স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন, জমি কেনা এবং স্থানীয় সরকারি চাকরি করা নিষিদ্ধ ছিল।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে