ফজলুল কবির

রূপকথার দিন ফুরিয়ে যায়। রূপকথা যেন কোন সুদূর অতীতের বিষয়-আশয়, যার কথা বলে বলে হা-পিত্যেশ করা যায়। চোখে মায়াঞ্জন না থাকলে অরূপ দুনিয়ায় রূপের কথা ফুরিয়ে যায়, যেতে বাধ্য। এ কারণেই সব সোনালি সময় ভর করে থাকে অতীতের ঘাড়ে। এটাই নিয়ম যেন। যেমনটা শোনা যায় এ দেশের নানা বিষয় নিয়ে, সে সিনেমা হোক বা ভাঁড়ার।
সিনেমার কথা উঠলেই কয়েক দশক পেছনে ফিরে যাওয়াটাই যেন নিয়ম। ‘আহ, কিছু হচ্ছে না’ বলে শুরু করাটাই যেন একমাত্র চল। এই চলে একটা হাওয়া অন্তত দিয়ে গেল ‘হাওয়া’। বদলের কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না অবশ্য।
তাহলে একটু শুরু থেকে শুরু করা যাক। দিনটি ছিল, ‘শুভ শনিবার’। কেউ চমকালে কিছু করার নেই। তবে অবিশ্বাসীদের জন্য বলে রাখাই যায় যে, শনিবার শনি হয়ে নয়, কারও কারও কাছে ছুটিবার হয়ে শুভ হিসেবে ধরা দেয়।
গত শনিবার ছিল হাওয়া বইতে শুরু করার পর নবম দিন। প্রথম কয়েক দিন বিভিন্ন দিক থেকেই ‘হাউসফুল’ আওয়াজ আসছিল। একই আওয়াজ দিয়েছে কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’-ও। দুটিরই টিকিট পাওয়া নাকি দুষ্কর। তাই ‘সিনেমা দেখব’ ভাবনা নিয়েই সবান্ধব বের হওয়া। উদ্দেশ্য—হাওয়া বা পরাণ, যেটার টিকিট পাওয়া যায়, সেটাই সই। সময়টা বিকেল। লক্ষ্য—মতিঝিল মধুমিতা হল।
এদিকে বাস-গাড়ি বেশ কম। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যে যখন ‘পরাণ’ ওষ্ঠাগত, তখনই আগের দিন; অর্থাৎ, শুক্রবার (৫ আগস্ট) সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল। পথে তার ধক দেখা গেল। তোপখানা রোড ধরে পুরানা পল্টন পর্যন্ত স্লোগানে মুখর। এসব দেখে-শুনে মনে যা-ই আসুক, কণ্ঠে যা-ই ভিড় করুক, ছুটিবার তবু সিনেমার দিকেই হাঁটে। এই হাঁটা যে শেষ পর্যন্ত মন্দ হয়নি, তা মধুমিতাই বলে দিয়েছে।
কৈশোরের মধুমিতা হল যেন হঠাৎ করেই ফিরে এসেছে। ‘হাওয়া’ বইছে মধুমিতায়। ‘পরাণ’ অন্য হলে। হলের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই পাশ ঘেঁষে একজন চলে গেল চাপা কণ্ঠে ‘ডিসি, ডিসি’ করতে করতে। একটু তাকাতেই হাতের মুঠো আলগা করে দেখিয়ে দিলেন টিকিটের তাড়া। তাঁকে উপেক্ষা করে সামনে এগোতেই দেখা গেল বন্ধ কাউন্টারের সামনে টিকিটের কিউ সাপ হবে হবে করছে। সেখানে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই আরেকজন পাশ ঘেঁষে চলে গেলেন। একই বুলি—ডিসি ডিসি। একজন পাশ থেকে প্রশ্ন করলেন, কত? উত্তর এল—৩০০। শুনেই সামনে তাকালাম। কাউন্টারের ওপরে বড় করে লেখা ১৫০।
কেমন ঘাবড়ে যেতে হলো। কিন্তু একটা কি ভালো লাগাও দোলা দিল? টিকিট ব্ল্যাকের মতো অন্যায় দেখে ভালো লাগা! স্বীকার করতেই হবে, কিছুটা ভালো লেগেছে। হলগুলোর দুর্দিন তো চোখের সামনেই এসেছিল। ব্ল্যাকারদের বিমর্ষ হতে হতে হারিয়ে যেতে দেখা এই চোখ হঠাৎ তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে সিনেমারই ফিরে আসার নিদর্শন খুঁজেছে হয়তো। অপরাধ মার্জনা হোক।
খোঁজ নিয়ে ঘাম ছুটে গেল। টিকিট নেই সত্যি। অগত্যা, আরেকজন পাশ ঘেঁষে যাওয়া লোকের সঙ্গে কথা বলতেই হলো।
সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিট পর হলে ঢোকা গেল। শুরুটা মিস হয়েছে। হলভর্তি মানুষ। ভুল সিটে বসে একবার সিট পাল্টানো কিছুটা বিরক্তি উৎপাদন করল। হাওয়ার দৃশ্যরূপ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান কিংবা একজন হাশিম মাহমুদ তো এখন সবার মুখে মুখে। কিংবা চঞ্চল চৌধুরী, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডলসহ সবার অভিনয় নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর।
অনেকেই ‘হাওয়া’-কে ১০০-তে লাখ নম্বর দিতে প্রস্তুত। অনেকে কিছুটা সমালোচনা করে ছাড় দিয়েছেন। কেউ বলছেন, একটা গোটা জলজ সিনেমা বানানো মুখের কথা নয়। মেজবাউর রহমান সুমন প্রশংসায় ভাসছেন। এই সব দৃশ্য পাশ কাটিয়ে হাওয়া মাখা যাক।
হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই শুধু তার গোপন দুয়ার খোলা। নৈকট্যের আলাপে যে শুরুতেই ইঞ্জিনম্যানকে জানায়, দেবীর আদেশেই সে এসেছে। কে এই দেবী? ‘মা মনসা’ নয়তো?
না, শুধু মনসামঙ্গলের কথাই স্মরণ করায় না হাওয়া। বহুল পঠিত ‘অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার’-এর কথাও সে মনে করিয়ে দেয়, যখন ডাঙা না পেয়ে ফিরে আসা পাখিটি পুড়িয়ে খেয়ে ফেলা হয়, যখন পাল ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে যায়, যখন পানির অভাব প্রকট হয়ে দেখা দেয়, যখন পার্কেস দূরে জাহাজ দেখার ভ্রমে সাগরের অসীমে সাঁতরে চলে যায়। এর সঙ্গে আছে এই সময়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রেম ও যৌনতার ভিন্নধর্মী উপস্থাপন, আছে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির মঞ্চায়ন। এই সবই চমৎকার। তবু একটা কিন্তু থেকে যায়। সেটা কী?
হাওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কথা আগেই বলা হয়েছে। কস্টিউম ডিজাইনার একটা বড় বাহবা পেতেই পারেন। শুধু নাজিফা তুষির এক কাপড়ের অমলিন দশা একটা খচখচানি রেখে দেয়। শিল্প নির্দেশনা লেটার মার্কের বেশিই পাবে। তাহলে কিন্তুটা কোথায়? কিন্তুটা গল্পের বুনট নিয়ে। সেই বোবা মেয়েটার মুখে বুলি ফোটাতে হয়েছে শুধু তার প্রতিশোধস্পৃহার কার্যকারণ বর্ণনার জন্যই। অথচ প্রতিশোধের গল্পের বয়ান অনায়াসে অপরাধের কিছু দৃশ্যরূপের মাধ্যমেই হয়তো ফুটিয়ে তোলা যেত, বিশেষত যেহেতু বর্ণনা অনুযায়ী অপরাধের সংঘটনস্থলও সাগরই। ফলে শুধু জলজ পরিবেশে একটি আস্ত সিনেমা নির্মাণের লক্ষ্যের সঙ্গে তা খুব একটা সাংঘর্ষিক হতো না। রয়েছে আরেকটা বড় কিন্তু। অপরাধ তো করেছিল চাঁন ডাকাত, যে এখন চাঁন মাঝি। তাহলে তার সঙ্গীদের এমন করুণ পরিণতির কারণ কী? সেটা কি শুধুই কামুক পুরুষদের প্রতি একজন প্রতীকী নারীর প্রতিশোধ? তেমনটা হলে, তা কিন্তু সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
যাক, এসব কাটাছেঁড়া, এগুলো সিনেমা বোদ্ধারা করাই ভালো। বরং ভালো লাগার গল্পে ফেরা যাক। সিনেমা হলে একটু একটু পরপর সিটি বেজেছে, কখনো কখনো হয়তো না বুঝেই সিটি বাজিয়েছেন কেউ। পাশে বসা দুই ভদ্রলোকের ক্রমাগত বিশ্লেষণ মনোযোগের বারোটা বাজিয়েছে। এই সব একই সঙ্গে বিরক্তি ও ভালো লাগা দুই-ই উৎপাদন করেছে। এই ভালো লাগার ক্ষণটি নির্মাণের কৃতিত্ব হাওয়া-কে দিতেই হবে।
কে নায়ক—হলের ভেতর এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়িয়েছে হর-হামেশাই। পর্দায় চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি তাঁকে নায়ক ভাবতে বাধ্য করলেও তাঁর চরিত্র আবার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে অনেকের মধ্যেই। পাশে বসা বোদ্ধা দুই দর্শক একটু পরপরই এ নিয়ে আলাপে মেতেছেন। বোঝা গেছে, হাওয়া-এর মতো সিনেমা দেখে তাঁরা অভ্যস্ত নন। তাহলে কেন এলেন তাঁরা হলে? নিশ্চিতভাবেই হাওয়ার সজোর প্রচার এর বড় কারণ। হাওয়া সিনেমা এর প্রচার-কৌশলের কারণেও দারুণ নম্বর দাবি করতে পারে, যার অভাবে বাংলা সিনেমা বহু দিন ভুগেছে। সঙ্গে ছিল হলে যেতে চাওয়া, কিন্তু জুতমতো কনটেন্ট খুঁজে না পাওয়া শহুরে মধ্যবিত্তের উদ্গ্রীব অপেক্ষার তাল। বলে রাখা ভালো—শহুরে মধ্যবিত্তের কনটেন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ কোনো দিন মিটে গেলে, ব্ল্যাকারদের দেখে শুধু বিরক্তিই যেদিন উৎপাদন হবে, সেদিনই হবে হাওয়ার মতো সিনেমার আসল পরীক্ষা। সে জন্য হাওয়াকে মৌসুমি হলে চলবে না।
সব মিলিয়ে মেজবাউর রহমান সুমন ও তাঁর পুরো দল হাওয়াকে যেভাবে বইয়েছেন, তাতে সাধুবাদ পেতেই পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এ যেন মৌসুমি হাওয়া না হয়।

রূপকথার দিন ফুরিয়ে যায়। রূপকথা যেন কোন সুদূর অতীতের বিষয়-আশয়, যার কথা বলে বলে হা-পিত্যেশ করা যায়। চোখে মায়াঞ্জন না থাকলে অরূপ দুনিয়ায় রূপের কথা ফুরিয়ে যায়, যেতে বাধ্য। এ কারণেই সব সোনালি সময় ভর করে থাকে অতীতের ঘাড়ে। এটাই নিয়ম যেন। যেমনটা শোনা যায় এ দেশের নানা বিষয় নিয়ে, সে সিনেমা হোক বা ভাঁড়ার।
সিনেমার কথা উঠলেই কয়েক দশক পেছনে ফিরে যাওয়াটাই যেন নিয়ম। ‘আহ, কিছু হচ্ছে না’ বলে শুরু করাটাই যেন একমাত্র চল। এই চলে একটা হাওয়া অন্তত দিয়ে গেল ‘হাওয়া’। বদলের কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না অবশ্য।
তাহলে একটু শুরু থেকে শুরু করা যাক। দিনটি ছিল, ‘শুভ শনিবার’। কেউ চমকালে কিছু করার নেই। তবে অবিশ্বাসীদের জন্য বলে রাখাই যায় যে, শনিবার শনি হয়ে নয়, কারও কারও কাছে ছুটিবার হয়ে শুভ হিসেবে ধরা দেয়।
গত শনিবার ছিল হাওয়া বইতে শুরু করার পর নবম দিন। প্রথম কয়েক দিন বিভিন্ন দিক থেকেই ‘হাউসফুল’ আওয়াজ আসছিল। একই আওয়াজ দিয়েছে কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’-ও। দুটিরই টিকিট পাওয়া নাকি দুষ্কর। তাই ‘সিনেমা দেখব’ ভাবনা নিয়েই সবান্ধব বের হওয়া। উদ্দেশ্য—হাওয়া বা পরাণ, যেটার টিকিট পাওয়া যায়, সেটাই সই। সময়টা বিকেল। লক্ষ্য—মতিঝিল মধুমিতা হল।
এদিকে বাস-গাড়ি বেশ কম। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যে যখন ‘পরাণ’ ওষ্ঠাগত, তখনই আগের দিন; অর্থাৎ, শুক্রবার (৫ আগস্ট) সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল। পথে তার ধক দেখা গেল। তোপখানা রোড ধরে পুরানা পল্টন পর্যন্ত স্লোগানে মুখর। এসব দেখে-শুনে মনে যা-ই আসুক, কণ্ঠে যা-ই ভিড় করুক, ছুটিবার তবু সিনেমার দিকেই হাঁটে। এই হাঁটা যে শেষ পর্যন্ত মন্দ হয়নি, তা মধুমিতাই বলে দিয়েছে।
কৈশোরের মধুমিতা হল যেন হঠাৎ করেই ফিরে এসেছে। ‘হাওয়া’ বইছে মধুমিতায়। ‘পরাণ’ অন্য হলে। হলের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই পাশ ঘেঁষে একজন চলে গেল চাপা কণ্ঠে ‘ডিসি, ডিসি’ করতে করতে। একটু তাকাতেই হাতের মুঠো আলগা করে দেখিয়ে দিলেন টিকিটের তাড়া। তাঁকে উপেক্ষা করে সামনে এগোতেই দেখা গেল বন্ধ কাউন্টারের সামনে টিকিটের কিউ সাপ হবে হবে করছে। সেখানে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই আরেকজন পাশ ঘেঁষে চলে গেলেন। একই বুলি—ডিসি ডিসি। একজন পাশ থেকে প্রশ্ন করলেন, কত? উত্তর এল—৩০০। শুনেই সামনে তাকালাম। কাউন্টারের ওপরে বড় করে লেখা ১৫০।
কেমন ঘাবড়ে যেতে হলো। কিন্তু একটা কি ভালো লাগাও দোলা দিল? টিকিট ব্ল্যাকের মতো অন্যায় দেখে ভালো লাগা! স্বীকার করতেই হবে, কিছুটা ভালো লেগেছে। হলগুলোর দুর্দিন তো চোখের সামনেই এসেছিল। ব্ল্যাকারদের বিমর্ষ হতে হতে হারিয়ে যেতে দেখা এই চোখ হঠাৎ তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে সিনেমারই ফিরে আসার নিদর্শন খুঁজেছে হয়তো। অপরাধ মার্জনা হোক।
খোঁজ নিয়ে ঘাম ছুটে গেল। টিকিট নেই সত্যি। অগত্যা, আরেকজন পাশ ঘেঁষে যাওয়া লোকের সঙ্গে কথা বলতেই হলো।
সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিট পর হলে ঢোকা গেল। শুরুটা মিস হয়েছে। হলভর্তি মানুষ। ভুল সিটে বসে একবার সিট পাল্টানো কিছুটা বিরক্তি উৎপাদন করল। হাওয়ার দৃশ্যরূপ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান কিংবা একজন হাশিম মাহমুদ তো এখন সবার মুখে মুখে। কিংবা চঞ্চল চৌধুরী, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডলসহ সবার অভিনয় নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর।
অনেকেই ‘হাওয়া’-কে ১০০-তে লাখ নম্বর দিতে প্রস্তুত। অনেকে কিছুটা সমালোচনা করে ছাড় দিয়েছেন। কেউ বলছেন, একটা গোটা জলজ সিনেমা বানানো মুখের কথা নয়। মেজবাউর রহমান সুমন প্রশংসায় ভাসছেন। এই সব দৃশ্য পাশ কাটিয়ে হাওয়া মাখা যাক।
হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই শুধু তার গোপন দুয়ার খোলা। নৈকট্যের আলাপে যে শুরুতেই ইঞ্জিনম্যানকে জানায়, দেবীর আদেশেই সে এসেছে। কে এই দেবী? ‘মা মনসা’ নয়তো?
না, শুধু মনসামঙ্গলের কথাই স্মরণ করায় না হাওয়া। বহুল পঠিত ‘অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার’-এর কথাও সে মনে করিয়ে দেয়, যখন ডাঙা না পেয়ে ফিরে আসা পাখিটি পুড়িয়ে খেয়ে ফেলা হয়, যখন পাল ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে যায়, যখন পানির অভাব প্রকট হয়ে দেখা দেয়, যখন পার্কেস দূরে জাহাজ দেখার ভ্রমে সাগরের অসীমে সাঁতরে চলে যায়। এর সঙ্গে আছে এই সময়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রেম ও যৌনতার ভিন্নধর্মী উপস্থাপন, আছে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির মঞ্চায়ন। এই সবই চমৎকার। তবু একটা কিন্তু থেকে যায়। সেটা কী?
হাওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কথা আগেই বলা হয়েছে। কস্টিউম ডিজাইনার একটা বড় বাহবা পেতেই পারেন। শুধু নাজিফা তুষির এক কাপড়ের অমলিন দশা একটা খচখচানি রেখে দেয়। শিল্প নির্দেশনা লেটার মার্কের বেশিই পাবে। তাহলে কিন্তুটা কোথায়? কিন্তুটা গল্পের বুনট নিয়ে। সেই বোবা মেয়েটার মুখে বুলি ফোটাতে হয়েছে শুধু তার প্রতিশোধস্পৃহার কার্যকারণ বর্ণনার জন্যই। অথচ প্রতিশোধের গল্পের বয়ান অনায়াসে অপরাধের কিছু দৃশ্যরূপের মাধ্যমেই হয়তো ফুটিয়ে তোলা যেত, বিশেষত যেহেতু বর্ণনা অনুযায়ী অপরাধের সংঘটনস্থলও সাগরই। ফলে শুধু জলজ পরিবেশে একটি আস্ত সিনেমা নির্মাণের লক্ষ্যের সঙ্গে তা খুব একটা সাংঘর্ষিক হতো না। রয়েছে আরেকটা বড় কিন্তু। অপরাধ তো করেছিল চাঁন ডাকাত, যে এখন চাঁন মাঝি। তাহলে তার সঙ্গীদের এমন করুণ পরিণতির কারণ কী? সেটা কি শুধুই কামুক পুরুষদের প্রতি একজন প্রতীকী নারীর প্রতিশোধ? তেমনটা হলে, তা কিন্তু সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
যাক, এসব কাটাছেঁড়া, এগুলো সিনেমা বোদ্ধারা করাই ভালো। বরং ভালো লাগার গল্পে ফেরা যাক। সিনেমা হলে একটু একটু পরপর সিটি বেজেছে, কখনো কখনো হয়তো না বুঝেই সিটি বাজিয়েছেন কেউ। পাশে বসা দুই ভদ্রলোকের ক্রমাগত বিশ্লেষণ মনোযোগের বারোটা বাজিয়েছে। এই সব একই সঙ্গে বিরক্তি ও ভালো লাগা দুই-ই উৎপাদন করেছে। এই ভালো লাগার ক্ষণটি নির্মাণের কৃতিত্ব হাওয়া-কে দিতেই হবে।
কে নায়ক—হলের ভেতর এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়িয়েছে হর-হামেশাই। পর্দায় চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি তাঁকে নায়ক ভাবতে বাধ্য করলেও তাঁর চরিত্র আবার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে অনেকের মধ্যেই। পাশে বসা বোদ্ধা দুই দর্শক একটু পরপরই এ নিয়ে আলাপে মেতেছেন। বোঝা গেছে, হাওয়া-এর মতো সিনেমা দেখে তাঁরা অভ্যস্ত নন। তাহলে কেন এলেন তাঁরা হলে? নিশ্চিতভাবেই হাওয়ার সজোর প্রচার এর বড় কারণ। হাওয়া সিনেমা এর প্রচার-কৌশলের কারণেও দারুণ নম্বর দাবি করতে পারে, যার অভাবে বাংলা সিনেমা বহু দিন ভুগেছে। সঙ্গে ছিল হলে যেতে চাওয়া, কিন্তু জুতমতো কনটেন্ট খুঁজে না পাওয়া শহুরে মধ্যবিত্তের উদ্গ্রীব অপেক্ষার তাল। বলে রাখা ভালো—শহুরে মধ্যবিত্তের কনটেন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ কোনো দিন মিটে গেলে, ব্ল্যাকারদের দেখে শুধু বিরক্তিই যেদিন উৎপাদন হবে, সেদিনই হবে হাওয়ার মতো সিনেমার আসল পরীক্ষা। সে জন্য হাওয়াকে মৌসুমি হলে চলবে না।
সব মিলিয়ে মেজবাউর রহমান সুমন ও তাঁর পুরো দল হাওয়াকে যেভাবে বইয়েছেন, তাতে সাধুবাদ পেতেই পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এ যেন মৌসুমি হাওয়া না হয়।

নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
১ দিন আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তবে সিনেমা বানানোর কথা ভাবেননি কখনো। গত ঈদে তানিম নূরের ‘উৎসব’ দেখে বড় পর্দার প্রতি আগ্রহী হন তিনি।
সিনেমা বানানোর ইচ্ছা নতুন হলেও ট্রাইব্যুনাল গল্পটি অনেক বছর ধরে লালন করছেন বলে জানালেন রায়হান খান। একবার ব্যক্তিগত কারণে আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই আইনজীবীর কাছ থেকে শোনা একটি বাস্তব গল্প অবলম্বনে লেখা হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার চিত্রনাট্য। চট্টগ্রামে এক নারীকে তার স্বামী কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। ২৬ জন সাক্ষী এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল সেই মামলায়। পরে আদালতে মামলাটির গতিপথ কীভাবে ঘুরতে থাকে নানা দিকে, সেসব নিয়েই ট্রাইব্যুনালের কাহিনি।
নির্মাতা রায়হান খান বলেন, ‘২০১৭ সালে একবার মোশাররফ করিমকে গল্পটি শুনিয়ে এ নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক বানানোর কথা বলি। তিনি পরামর্শ দেন, নাটক নয়, গল্পটি নিয়ে সিনেমা বানানোর। পরে বছরের পর বছর কেটে যায়, সিনেমা আর বানানো হয় না। গত বছর উৎসব দেখার পর মনে হয়, আমি সিনেমা করব এবং সেটা ট্রাইব্যুনাল। তারপর চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করি। ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে ফুলফর্ম কোর্ট স্টোরি। প্রতিটি সংলাপ আদালতের ভাষা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশের আইনের মধ্যে থেকে লেখা হয়েছে। আইনগত কোনো অসংগতি নেই।’
ট্রাইব্যুনাল সিনেমায় অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ, তানিয়া বৃষ্টি, সায়রা আক্তার জাহান, তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, রাকিব হোসেন ইভন, সাবেরি আলম, মিলন ভট্টাচার্য, শাহেদ আলী প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে।
মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘আমার অভিনীত প্রথম সিরিয়াল রায়হান খানের সঙ্গে করা। এরপর একসঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে আমাদের। এই সিনেমার গল্প শুনেই রাজি হই। অসাধারণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। মূলত গল্পের কারণেই ট্রাইব্যুনাল সিনেমার প্রতি দর্শক উৎসাহী হবে আশা করি। চিত্রনাট্য এত চমৎকারভাবে লেখা যে প্রতি মুহূর্তে আগ্রহ সৃষ্টি করে।’

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘আমি জেসমিন নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, পুরো গল্প এই চরিত্রকে কেন্দ্র করে। মনে হয়েছিল, সিনেমায় আবার যদি ব্যাক করতে চাই, সে ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত গল্প। এতে অভিনয়ের জন্য তারিক আনাম খান স্যারের কাছে এক মাস রিহার্সাল করেছি। চরিত্রের কষ্ট বোঝার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছি। যতটা পেরেছি, পুরোপুরি এফোর্ট দিয়েছি চরিত্রটির জন্য।’
সম্প্রতি অপু বিশ্বাসের সঙ্গে দুই সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন আদর আজাদ। এই সিনেমায়ও তিনি থাকছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে।
থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু রাকিব হোসেন ইভনের। ‘ইতি চিত্রা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। এই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে ইভন বলেন, ‘আমি থিয়েটার করা ছেলে। অভিনয় আমাকে টানে। এই সিনেমার চরিত্রটিতে অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। অন্যেরাও বেশ ভালো করেছেন। আশা করছি, সবার চেষ্টায় একটি সুন্দর সিনেমা উপহার দিতে পারব দর্শকদের।’
নির্মাতা রায়হান খান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে। শিগগির আবার শুটিংয়ে যাবে ট্রাইব্যুনাল টিম। রোজার ঈদে ট্রাইব্যুনাল মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা।

নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তবে সিনেমা বানানোর কথা ভাবেননি কখনো। গত ঈদে তানিম নূরের ‘উৎসব’ দেখে বড় পর্দার প্রতি আগ্রহী হন তিনি।
সিনেমা বানানোর ইচ্ছা নতুন হলেও ট্রাইব্যুনাল গল্পটি অনেক বছর ধরে লালন করছেন বলে জানালেন রায়হান খান। একবার ব্যক্তিগত কারণে আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই আইনজীবীর কাছ থেকে শোনা একটি বাস্তব গল্প অবলম্বনে লেখা হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার চিত্রনাট্য। চট্টগ্রামে এক নারীকে তার স্বামী কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। ২৬ জন সাক্ষী এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল সেই মামলায়। পরে আদালতে মামলাটির গতিপথ কীভাবে ঘুরতে থাকে নানা দিকে, সেসব নিয়েই ট্রাইব্যুনালের কাহিনি।
নির্মাতা রায়হান খান বলেন, ‘২০১৭ সালে একবার মোশাররফ করিমকে গল্পটি শুনিয়ে এ নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক বানানোর কথা বলি। তিনি পরামর্শ দেন, নাটক নয়, গল্পটি নিয়ে সিনেমা বানানোর। পরে বছরের পর বছর কেটে যায়, সিনেমা আর বানানো হয় না। গত বছর উৎসব দেখার পর মনে হয়, আমি সিনেমা করব এবং সেটা ট্রাইব্যুনাল। তারপর চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করি। ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে ফুলফর্ম কোর্ট স্টোরি। প্রতিটি সংলাপ আদালতের ভাষা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশের আইনের মধ্যে থেকে লেখা হয়েছে। আইনগত কোনো অসংগতি নেই।’
ট্রাইব্যুনাল সিনেমায় অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ, তানিয়া বৃষ্টি, সায়রা আক্তার জাহান, তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, রাকিব হোসেন ইভন, সাবেরি আলম, মিলন ভট্টাচার্য, শাহেদ আলী প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে।
মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘আমার অভিনীত প্রথম সিরিয়াল রায়হান খানের সঙ্গে করা। এরপর একসঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে আমাদের। এই সিনেমার গল্প শুনেই রাজি হই। অসাধারণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। মূলত গল্পের কারণেই ট্রাইব্যুনাল সিনেমার প্রতি দর্শক উৎসাহী হবে আশা করি। চিত্রনাট্য এত চমৎকারভাবে লেখা যে প্রতি মুহূর্তে আগ্রহ সৃষ্টি করে।’

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘আমি জেসমিন নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, পুরো গল্প এই চরিত্রকে কেন্দ্র করে। মনে হয়েছিল, সিনেমায় আবার যদি ব্যাক করতে চাই, সে ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত গল্প। এতে অভিনয়ের জন্য তারিক আনাম খান স্যারের কাছে এক মাস রিহার্সাল করেছি। চরিত্রের কষ্ট বোঝার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছি। যতটা পেরেছি, পুরোপুরি এফোর্ট দিয়েছি চরিত্রটির জন্য।’
সম্প্রতি অপু বিশ্বাসের সঙ্গে দুই সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন আদর আজাদ। এই সিনেমায়ও তিনি থাকছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে।
থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু রাকিব হোসেন ইভনের। ‘ইতি চিত্রা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। এই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে ইভন বলেন, ‘আমি থিয়েটার করা ছেলে। অভিনয় আমাকে টানে। এই সিনেমার চরিত্রটিতে অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। অন্যেরাও বেশ ভালো করেছেন। আশা করছি, সবার চেষ্টায় একটি সুন্দর সিনেমা উপহার দিতে পারব দর্শকদের।’
নির্মাতা রায়হান খান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে। শিগগির আবার শুটিংয়ে যাবে ট্রাইব্যুনাল টিম। রোজার ঈদে ট্রাইব্যুনাল মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
১ দিন আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
অহনা এখন আগের মতো নিয়মিত কাজ করছেন না। গল্প, চিত্রনাট্য আর চরিত্র পছন্দ হলে শুটিং করছেন। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহিনের নির্দেশনায় আগেও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। এই নাটকের গল্প ভাবনা এবং চিত্রনাট্য দারুণ হয়েছে। আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। বেশ উত্থানপতন আছে। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। আশা করছি, প্রচারে এলে নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মহিনকে আমাকে সুন্দর একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
নাটকের গল্প প্রসঙ্গে মহিন খান বলেন, ‘ফেসবুকের একটি পোস্ট থেকে গল্পের ভাবনাটা নিয়েছি। সেই থিম থেকে নিজের মতো করে চিত্রনাট্য লিখেছি। গল্পে দেখা যাবে, স্বামীর সঙ্গে অহনার বেশ সুখের সংসার। একসময় চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয় অহনা। স্বামী তার আবদার মেনে নেয়। পাঁচ লাখ টাকা ম্যানেজ করে স্ত্রীকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর আচরণ বদলে যায় অহনার। স্বামীর সঙ্গেও সংসার করতে চায় না। গল্প যখন চরম নাটকীয়তায়, এমন সময় হুট করে চাকরি চলে যায় অহনার। দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। জীবনের বাস্তবতা বুঝতে পারে সে। অহনা ও রাশেদ সীমান্ত—দুজনেই দারুণ অভিনয় করেছেন। তাঁদের অভিনয়গুণে গল্পটি আরও হৃদয়গ্রাহী হয়েছে।’
নির্মাতা জানিয়েছেন, পতন নাটকটি প্রকাশ করা হবে ইউটিউব চ্যানেলে। শিগগির এর প্রকাশের সময় এবং চ্যানেলের নাম জানানো হবে।

ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
অহনা এখন আগের মতো নিয়মিত কাজ করছেন না। গল্প, চিত্রনাট্য আর চরিত্র পছন্দ হলে শুটিং করছেন। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহিনের নির্দেশনায় আগেও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। এই নাটকের গল্প ভাবনা এবং চিত্রনাট্য দারুণ হয়েছে। আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। বেশ উত্থানপতন আছে। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। আশা করছি, প্রচারে এলে নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মহিনকে আমাকে সুন্দর একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
নাটকের গল্প প্রসঙ্গে মহিন খান বলেন, ‘ফেসবুকের একটি পোস্ট থেকে গল্পের ভাবনাটা নিয়েছি। সেই থিম থেকে নিজের মতো করে চিত্রনাট্য লিখেছি। গল্পে দেখা যাবে, স্বামীর সঙ্গে অহনার বেশ সুখের সংসার। একসময় চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয় অহনা। স্বামী তার আবদার মেনে নেয়। পাঁচ লাখ টাকা ম্যানেজ করে স্ত্রীকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর আচরণ বদলে যায় অহনার। স্বামীর সঙ্গেও সংসার করতে চায় না। গল্প যখন চরম নাটকীয়তায়, এমন সময় হুট করে চাকরি চলে যায় অহনার। দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। জীবনের বাস্তবতা বুঝতে পারে সে। অহনা ও রাশেদ সীমান্ত—দুজনেই দারুণ অভিনয় করেছেন। তাঁদের অভিনয়গুণে গল্পটি আরও হৃদয়গ্রাহী হয়েছে।’
নির্মাতা জানিয়েছেন, পতন নাটকটি প্রকাশ করা হবে ইউটিউব চ্যানেলে। শিগগির এর প্রকাশের সময় এবং চ্যানেলের নাম জানানো হবে।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
১ দিন আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে মেয়ের সঙ্গে আছেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডন গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিত্রনায়িকা রোজিনার। ওই সময় রোজিনা ছিলেন কানাডায়। সেখান থেকে ফিরে গত সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দেখেতে যান তিনি। তখন রোজিনা জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার ধঁকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখালেও কাঞ্চন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নিয়মিত। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ব্রেনের সস্যার কারণে মাঝে মাঝে কথা ভুলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেনের স্পর্শকাতর জায়গায় টিউমার হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ টিউমার সরানো যায়নি। তবে কেমোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলবে।
সম্প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলা সিনেমার নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা সোনিয়া। অনেক বছর হলো স্বামী-সন্তান নিয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়েছেন সোনিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোনিয়া। নায়কের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্যসহ জানিয়েছেন চিকিৎসার খবর।
স্ট্যাটাসে সোনিয়া লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। যোগাযোগ সবসময় হয়, তবে আজ প্রথম সুযোগ পেলাম তাকে দেখতে যাওয়ার। ভাইয়ার চলমান চিকিৎসায় কিছুদিনের বিরতি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবার চিকিৎসা শুরু হবে।’
সোনিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। সময় কাটাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে। তবে শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এ বিষয়ে সোনিয়া লেখেন, ‘ভাইয়া আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। উনার পরিবারের সঙ্গে কাটালাম ভালো সময়। তবে আপাতত বাংলাদেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’
সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা বেশ ভালোভাবেই চলছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নায়ক। পুরো চিকিৎসাপ্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন অভিনেতা। সোনিয়া অনুরোধ করেছেন, কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া করতে।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ‘ভয়ংকর ৭ দিন’, ‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘বডিগার্ড’, ‘শেষ রক্ষা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোনিয়া। তবে তাঁর নায়িকা হয়ে কোনো সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি তাঁর।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে মেয়ের সঙ্গে আছেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডন গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিত্রনায়িকা রোজিনার। ওই সময় রোজিনা ছিলেন কানাডায়। সেখান থেকে ফিরে গত সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দেখেতে যান তিনি। তখন রোজিনা জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার ধঁকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখালেও কাঞ্চন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নিয়মিত। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ব্রেনের সস্যার কারণে মাঝে মাঝে কথা ভুলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেনের স্পর্শকাতর জায়গায় টিউমার হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ টিউমার সরানো যায়নি। তবে কেমোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলবে।
সম্প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলা সিনেমার নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা সোনিয়া। অনেক বছর হলো স্বামী-সন্তান নিয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়েছেন সোনিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোনিয়া। নায়কের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্যসহ জানিয়েছেন চিকিৎসার খবর।
স্ট্যাটাসে সোনিয়া লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। যোগাযোগ সবসময় হয়, তবে আজ প্রথম সুযোগ পেলাম তাকে দেখতে যাওয়ার। ভাইয়ার চলমান চিকিৎসায় কিছুদিনের বিরতি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবার চিকিৎসা শুরু হবে।’
সোনিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। সময় কাটাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে। তবে শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এ বিষয়ে সোনিয়া লেখেন, ‘ভাইয়া আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। উনার পরিবারের সঙ্গে কাটালাম ভালো সময়। তবে আপাতত বাংলাদেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’
সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা বেশ ভালোভাবেই চলছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নায়ক। পুরো চিকিৎসাপ্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন অভিনেতা। সোনিয়া অনুরোধ করেছেন, কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া করতে।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ‘ভয়ংকর ৭ দিন’, ‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘বডিগার্ড’, ‘শেষ রক্ষা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোনিয়া। তবে তাঁর নায়িকা হয়ে কোনো সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি তাঁর।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
১৭ ঘণ্টা আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
১ দিন আগে