ফজলুল কবির

রূপকথার দিন ফুরিয়ে যায়। রূপকথা যেন কোন সুদূর অতীতের বিষয়-আশয়, যার কথা বলে বলে হা-পিত্যেশ করা যায়। চোখে মায়াঞ্জন না থাকলে অরূপ দুনিয়ায় রূপের কথা ফুরিয়ে যায়, যেতে বাধ্য। এ কারণেই সব সোনালি সময় ভর করে থাকে অতীতের ঘাড়ে। এটাই নিয়ম যেন। যেমনটা শোনা যায় এ দেশের নানা বিষয় নিয়ে, সে সিনেমা হোক বা ভাঁড়ার।
সিনেমার কথা উঠলেই কয়েক দশক পেছনে ফিরে যাওয়াটাই যেন নিয়ম। ‘আহ, কিছু হচ্ছে না’ বলে শুরু করাটাই যেন একমাত্র চল। এই চলে একটা হাওয়া অন্তত দিয়ে গেল ‘হাওয়া’। বদলের কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না অবশ্য।
তাহলে একটু শুরু থেকে শুরু করা যাক। দিনটি ছিল, ‘শুভ শনিবার’। কেউ চমকালে কিছু করার নেই। তবে অবিশ্বাসীদের জন্য বলে রাখাই যায় যে, শনিবার শনি হয়ে নয়, কারও কারও কাছে ছুটিবার হয়ে শুভ হিসেবে ধরা দেয়।
গত শনিবার ছিল হাওয়া বইতে শুরু করার পর নবম দিন। প্রথম কয়েক দিন বিভিন্ন দিক থেকেই ‘হাউসফুল’ আওয়াজ আসছিল। একই আওয়াজ দিয়েছে কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’-ও। দুটিরই টিকিট পাওয়া নাকি দুষ্কর। তাই ‘সিনেমা দেখব’ ভাবনা নিয়েই সবান্ধব বের হওয়া। উদ্দেশ্য—হাওয়া বা পরাণ, যেটার টিকিট পাওয়া যায়, সেটাই সই। সময়টা বিকেল। লক্ষ্য—মতিঝিল মধুমিতা হল।
এদিকে বাস-গাড়ি বেশ কম। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যে যখন ‘পরাণ’ ওষ্ঠাগত, তখনই আগের দিন; অর্থাৎ, শুক্রবার (৫ আগস্ট) সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল। পথে তার ধক দেখা গেল। তোপখানা রোড ধরে পুরানা পল্টন পর্যন্ত স্লোগানে মুখর। এসব দেখে-শুনে মনে যা-ই আসুক, কণ্ঠে যা-ই ভিড় করুক, ছুটিবার তবু সিনেমার দিকেই হাঁটে। এই হাঁটা যে শেষ পর্যন্ত মন্দ হয়নি, তা মধুমিতাই বলে দিয়েছে।
কৈশোরের মধুমিতা হল যেন হঠাৎ করেই ফিরে এসেছে। ‘হাওয়া’ বইছে মধুমিতায়। ‘পরাণ’ অন্য হলে। হলের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই পাশ ঘেঁষে একজন চলে গেল চাপা কণ্ঠে ‘ডিসি, ডিসি’ করতে করতে। একটু তাকাতেই হাতের মুঠো আলগা করে দেখিয়ে দিলেন টিকিটের তাড়া। তাঁকে উপেক্ষা করে সামনে এগোতেই দেখা গেল বন্ধ কাউন্টারের সামনে টিকিটের কিউ সাপ হবে হবে করছে। সেখানে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই আরেকজন পাশ ঘেঁষে চলে গেলেন। একই বুলি—ডিসি ডিসি। একজন পাশ থেকে প্রশ্ন করলেন, কত? উত্তর এল—৩০০। শুনেই সামনে তাকালাম। কাউন্টারের ওপরে বড় করে লেখা ১৫০।
কেমন ঘাবড়ে যেতে হলো। কিন্তু একটা কি ভালো লাগাও দোলা দিল? টিকিট ব্ল্যাকের মতো অন্যায় দেখে ভালো লাগা! স্বীকার করতেই হবে, কিছুটা ভালো লেগেছে। হলগুলোর দুর্দিন তো চোখের সামনেই এসেছিল। ব্ল্যাকারদের বিমর্ষ হতে হতে হারিয়ে যেতে দেখা এই চোখ হঠাৎ তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে সিনেমারই ফিরে আসার নিদর্শন খুঁজেছে হয়তো। অপরাধ মার্জনা হোক।
খোঁজ নিয়ে ঘাম ছুটে গেল। টিকিট নেই সত্যি। অগত্যা, আরেকজন পাশ ঘেঁষে যাওয়া লোকের সঙ্গে কথা বলতেই হলো।
সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিট পর হলে ঢোকা গেল। শুরুটা মিস হয়েছে। হলভর্তি মানুষ। ভুল সিটে বসে একবার সিট পাল্টানো কিছুটা বিরক্তি উৎপাদন করল। হাওয়ার দৃশ্যরূপ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান কিংবা একজন হাশিম মাহমুদ তো এখন সবার মুখে মুখে। কিংবা চঞ্চল চৌধুরী, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডলসহ সবার অভিনয় নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর।
অনেকেই ‘হাওয়া’-কে ১০০-তে লাখ নম্বর দিতে প্রস্তুত। অনেকে কিছুটা সমালোচনা করে ছাড় দিয়েছেন। কেউ বলছেন, একটা গোটা জলজ সিনেমা বানানো মুখের কথা নয়। মেজবাউর রহমান সুমন প্রশংসায় ভাসছেন। এই সব দৃশ্য পাশ কাটিয়ে হাওয়া মাখা যাক।
হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই শুধু তার গোপন দুয়ার খোলা। নৈকট্যের আলাপে যে শুরুতেই ইঞ্জিনম্যানকে জানায়, দেবীর আদেশেই সে এসেছে। কে এই দেবী? ‘মা মনসা’ নয়তো?
না, শুধু মনসামঙ্গলের কথাই স্মরণ করায় না হাওয়া। বহুল পঠিত ‘অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার’-এর কথাও সে মনে করিয়ে দেয়, যখন ডাঙা না পেয়ে ফিরে আসা পাখিটি পুড়িয়ে খেয়ে ফেলা হয়, যখন পাল ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে যায়, যখন পানির অভাব প্রকট হয়ে দেখা দেয়, যখন পার্কেস দূরে জাহাজ দেখার ভ্রমে সাগরের অসীমে সাঁতরে চলে যায়। এর সঙ্গে আছে এই সময়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রেম ও যৌনতার ভিন্নধর্মী উপস্থাপন, আছে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির মঞ্চায়ন। এই সবই চমৎকার। তবু একটা কিন্তু থেকে যায়। সেটা কী?
হাওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কথা আগেই বলা হয়েছে। কস্টিউম ডিজাইনার একটা বড় বাহবা পেতেই পারেন। শুধু নাজিফা তুষির এক কাপড়ের অমলিন দশা একটা খচখচানি রেখে দেয়। শিল্প নির্দেশনা লেটার মার্কের বেশিই পাবে। তাহলে কিন্তুটা কোথায়? কিন্তুটা গল্পের বুনট নিয়ে। সেই বোবা মেয়েটার মুখে বুলি ফোটাতে হয়েছে শুধু তার প্রতিশোধস্পৃহার কার্যকারণ বর্ণনার জন্যই। অথচ প্রতিশোধের গল্পের বয়ান অনায়াসে অপরাধের কিছু দৃশ্যরূপের মাধ্যমেই হয়তো ফুটিয়ে তোলা যেত, বিশেষত যেহেতু বর্ণনা অনুযায়ী অপরাধের সংঘটনস্থলও সাগরই। ফলে শুধু জলজ পরিবেশে একটি আস্ত সিনেমা নির্মাণের লক্ষ্যের সঙ্গে তা খুব একটা সাংঘর্ষিক হতো না। রয়েছে আরেকটা বড় কিন্তু। অপরাধ তো করেছিল চাঁন ডাকাত, যে এখন চাঁন মাঝি। তাহলে তার সঙ্গীদের এমন করুণ পরিণতির কারণ কী? সেটা কি শুধুই কামুক পুরুষদের প্রতি একজন প্রতীকী নারীর প্রতিশোধ? তেমনটা হলে, তা কিন্তু সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
যাক, এসব কাটাছেঁড়া, এগুলো সিনেমা বোদ্ধারা করাই ভালো। বরং ভালো লাগার গল্পে ফেরা যাক। সিনেমা হলে একটু একটু পরপর সিটি বেজেছে, কখনো কখনো হয়তো না বুঝেই সিটি বাজিয়েছেন কেউ। পাশে বসা দুই ভদ্রলোকের ক্রমাগত বিশ্লেষণ মনোযোগের বারোটা বাজিয়েছে। এই সব একই সঙ্গে বিরক্তি ও ভালো লাগা দুই-ই উৎপাদন করেছে। এই ভালো লাগার ক্ষণটি নির্মাণের কৃতিত্ব হাওয়া-কে দিতেই হবে।
কে নায়ক—হলের ভেতর এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়িয়েছে হর-হামেশাই। পর্দায় চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি তাঁকে নায়ক ভাবতে বাধ্য করলেও তাঁর চরিত্র আবার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে অনেকের মধ্যেই। পাশে বসা বোদ্ধা দুই দর্শক একটু পরপরই এ নিয়ে আলাপে মেতেছেন। বোঝা গেছে, হাওয়া-এর মতো সিনেমা দেখে তাঁরা অভ্যস্ত নন। তাহলে কেন এলেন তাঁরা হলে? নিশ্চিতভাবেই হাওয়ার সজোর প্রচার এর বড় কারণ। হাওয়া সিনেমা এর প্রচার-কৌশলের কারণেও দারুণ নম্বর দাবি করতে পারে, যার অভাবে বাংলা সিনেমা বহু দিন ভুগেছে। সঙ্গে ছিল হলে যেতে চাওয়া, কিন্তু জুতমতো কনটেন্ট খুঁজে না পাওয়া শহুরে মধ্যবিত্তের উদ্গ্রীব অপেক্ষার তাল। বলে রাখা ভালো—শহুরে মধ্যবিত্তের কনটেন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ কোনো দিন মিটে গেলে, ব্ল্যাকারদের দেখে শুধু বিরক্তিই যেদিন উৎপাদন হবে, সেদিনই হবে হাওয়ার মতো সিনেমার আসল পরীক্ষা। সে জন্য হাওয়াকে মৌসুমি হলে চলবে না।
সব মিলিয়ে মেজবাউর রহমান সুমন ও তাঁর পুরো দল হাওয়াকে যেভাবে বইয়েছেন, তাতে সাধুবাদ পেতেই পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এ যেন মৌসুমি হাওয়া না হয়।

রূপকথার দিন ফুরিয়ে যায়। রূপকথা যেন কোন সুদূর অতীতের বিষয়-আশয়, যার কথা বলে বলে হা-পিত্যেশ করা যায়। চোখে মায়াঞ্জন না থাকলে অরূপ দুনিয়ায় রূপের কথা ফুরিয়ে যায়, যেতে বাধ্য। এ কারণেই সব সোনালি সময় ভর করে থাকে অতীতের ঘাড়ে। এটাই নিয়ম যেন। যেমনটা শোনা যায় এ দেশের নানা বিষয় নিয়ে, সে সিনেমা হোক বা ভাঁড়ার।
সিনেমার কথা উঠলেই কয়েক দশক পেছনে ফিরে যাওয়াটাই যেন নিয়ম। ‘আহ, কিছু হচ্ছে না’ বলে শুরু করাটাই যেন একমাত্র চল। এই চলে একটা হাওয়া অন্তত দিয়ে গেল ‘হাওয়া’। বদলের কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না অবশ্য।
তাহলে একটু শুরু থেকে শুরু করা যাক। দিনটি ছিল, ‘শুভ শনিবার’। কেউ চমকালে কিছু করার নেই। তবে অবিশ্বাসীদের জন্য বলে রাখাই যায় যে, শনিবার শনি হয়ে নয়, কারও কারও কাছে ছুটিবার হয়ে শুভ হিসেবে ধরা দেয়।
গত শনিবার ছিল হাওয়া বইতে শুরু করার পর নবম দিন। প্রথম কয়েক দিন বিভিন্ন দিক থেকেই ‘হাউসফুল’ আওয়াজ আসছিল। একই আওয়াজ দিয়েছে কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’-ও। দুটিরই টিকিট পাওয়া নাকি দুষ্কর। তাই ‘সিনেমা দেখব’ ভাবনা নিয়েই সবান্ধব বের হওয়া। উদ্দেশ্য—হাওয়া বা পরাণ, যেটার টিকিট পাওয়া যায়, সেটাই সই। সময়টা বিকেল। লক্ষ্য—মতিঝিল মধুমিতা হল।
এদিকে বাস-গাড়ি বেশ কম। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যে যখন ‘পরাণ’ ওষ্ঠাগত, তখনই আগের দিন; অর্থাৎ, শুক্রবার (৫ আগস্ট) সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল। পথে তার ধক দেখা গেল। তোপখানা রোড ধরে পুরানা পল্টন পর্যন্ত স্লোগানে মুখর। এসব দেখে-শুনে মনে যা-ই আসুক, কণ্ঠে যা-ই ভিড় করুক, ছুটিবার তবু সিনেমার দিকেই হাঁটে। এই হাঁটা যে শেষ পর্যন্ত মন্দ হয়নি, তা মধুমিতাই বলে দিয়েছে।
কৈশোরের মধুমিতা হল যেন হঠাৎ করেই ফিরে এসেছে। ‘হাওয়া’ বইছে মধুমিতায়। ‘পরাণ’ অন্য হলে। হলের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই পাশ ঘেঁষে একজন চলে গেল চাপা কণ্ঠে ‘ডিসি, ডিসি’ করতে করতে। একটু তাকাতেই হাতের মুঠো আলগা করে দেখিয়ে দিলেন টিকিটের তাড়া। তাঁকে উপেক্ষা করে সামনে এগোতেই দেখা গেল বন্ধ কাউন্টারের সামনে টিকিটের কিউ সাপ হবে হবে করছে। সেখানে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই আরেকজন পাশ ঘেঁষে চলে গেলেন। একই বুলি—ডিসি ডিসি। একজন পাশ থেকে প্রশ্ন করলেন, কত? উত্তর এল—৩০০। শুনেই সামনে তাকালাম। কাউন্টারের ওপরে বড় করে লেখা ১৫০।
কেমন ঘাবড়ে যেতে হলো। কিন্তু একটা কি ভালো লাগাও দোলা দিল? টিকিট ব্ল্যাকের মতো অন্যায় দেখে ভালো লাগা! স্বীকার করতেই হবে, কিছুটা ভালো লেগেছে। হলগুলোর দুর্দিন তো চোখের সামনেই এসেছিল। ব্ল্যাকারদের বিমর্ষ হতে হতে হারিয়ে যেতে দেখা এই চোখ হঠাৎ তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে সিনেমারই ফিরে আসার নিদর্শন খুঁজেছে হয়তো। অপরাধ মার্জনা হোক।
খোঁজ নিয়ে ঘাম ছুটে গেল। টিকিট নেই সত্যি। অগত্যা, আরেকজন পাশ ঘেঁষে যাওয়া লোকের সঙ্গে কথা বলতেই হলো।
সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিট পর হলে ঢোকা গেল। শুরুটা মিস হয়েছে। হলভর্তি মানুষ। ভুল সিটে বসে একবার সিট পাল্টানো কিছুটা বিরক্তি উৎপাদন করল। হাওয়ার দৃশ্যরূপ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান কিংবা একজন হাশিম মাহমুদ তো এখন সবার মুখে মুখে। কিংবা চঞ্চল চৌধুরী, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডলসহ সবার অভিনয় নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর।
অনেকেই ‘হাওয়া’-কে ১০০-তে লাখ নম্বর দিতে প্রস্তুত। অনেকে কিছুটা সমালোচনা করে ছাড় দিয়েছেন। কেউ বলছেন, একটা গোটা জলজ সিনেমা বানানো মুখের কথা নয়। মেজবাউর রহমান সুমন প্রশংসায় ভাসছেন। এই সব দৃশ্য পাশ কাটিয়ে হাওয়া মাখা যাক।
হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই শুধু তার গোপন দুয়ার খোলা। নৈকট্যের আলাপে যে শুরুতেই ইঞ্জিনম্যানকে জানায়, দেবীর আদেশেই সে এসেছে। কে এই দেবী? ‘মা মনসা’ নয়তো?
না, শুধু মনসামঙ্গলের কথাই স্মরণ করায় না হাওয়া। বহুল পঠিত ‘অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার’-এর কথাও সে মনে করিয়ে দেয়, যখন ডাঙা না পেয়ে ফিরে আসা পাখিটি পুড়িয়ে খেয়ে ফেলা হয়, যখন পাল ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে যায়, যখন পানির অভাব প্রকট হয়ে দেখা দেয়, যখন পার্কেস দূরে জাহাজ দেখার ভ্রমে সাগরের অসীমে সাঁতরে চলে যায়। এর সঙ্গে আছে এই সময়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রেম ও যৌনতার ভিন্নধর্মী উপস্থাপন, আছে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির মঞ্চায়ন। এই সবই চমৎকার। তবু একটা কিন্তু থেকে যায়। সেটা কী?
হাওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কথা আগেই বলা হয়েছে। কস্টিউম ডিজাইনার একটা বড় বাহবা পেতেই পারেন। শুধু নাজিফা তুষির এক কাপড়ের অমলিন দশা একটা খচখচানি রেখে দেয়। শিল্প নির্দেশনা লেটার মার্কের বেশিই পাবে। তাহলে কিন্তুটা কোথায়? কিন্তুটা গল্পের বুনট নিয়ে। সেই বোবা মেয়েটার মুখে বুলি ফোটাতে হয়েছে শুধু তার প্রতিশোধস্পৃহার কার্যকারণ বর্ণনার জন্যই। অথচ প্রতিশোধের গল্পের বয়ান অনায়াসে অপরাধের কিছু দৃশ্যরূপের মাধ্যমেই হয়তো ফুটিয়ে তোলা যেত, বিশেষত যেহেতু বর্ণনা অনুযায়ী অপরাধের সংঘটনস্থলও সাগরই। ফলে শুধু জলজ পরিবেশে একটি আস্ত সিনেমা নির্মাণের লক্ষ্যের সঙ্গে তা খুব একটা সাংঘর্ষিক হতো না। রয়েছে আরেকটা বড় কিন্তু। অপরাধ তো করেছিল চাঁন ডাকাত, যে এখন চাঁন মাঝি। তাহলে তার সঙ্গীদের এমন করুণ পরিণতির কারণ কী? সেটা কি শুধুই কামুক পুরুষদের প্রতি একজন প্রতীকী নারীর প্রতিশোধ? তেমনটা হলে, তা কিন্তু সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
যাক, এসব কাটাছেঁড়া, এগুলো সিনেমা বোদ্ধারা করাই ভালো। বরং ভালো লাগার গল্পে ফেরা যাক। সিনেমা হলে একটু একটু পরপর সিটি বেজেছে, কখনো কখনো হয়তো না বুঝেই সিটি বাজিয়েছেন কেউ। পাশে বসা দুই ভদ্রলোকের ক্রমাগত বিশ্লেষণ মনোযোগের বারোটা বাজিয়েছে। এই সব একই সঙ্গে বিরক্তি ও ভালো লাগা দুই-ই উৎপাদন করেছে। এই ভালো লাগার ক্ষণটি নির্মাণের কৃতিত্ব হাওয়া-কে দিতেই হবে।
কে নায়ক—হলের ভেতর এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়িয়েছে হর-হামেশাই। পর্দায় চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি তাঁকে নায়ক ভাবতে বাধ্য করলেও তাঁর চরিত্র আবার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে অনেকের মধ্যেই। পাশে বসা বোদ্ধা দুই দর্শক একটু পরপরই এ নিয়ে আলাপে মেতেছেন। বোঝা গেছে, হাওয়া-এর মতো সিনেমা দেখে তাঁরা অভ্যস্ত নন। তাহলে কেন এলেন তাঁরা হলে? নিশ্চিতভাবেই হাওয়ার সজোর প্রচার এর বড় কারণ। হাওয়া সিনেমা এর প্রচার-কৌশলের কারণেও দারুণ নম্বর দাবি করতে পারে, যার অভাবে বাংলা সিনেমা বহু দিন ভুগেছে। সঙ্গে ছিল হলে যেতে চাওয়া, কিন্তু জুতমতো কনটেন্ট খুঁজে না পাওয়া শহুরে মধ্যবিত্তের উদ্গ্রীব অপেক্ষার তাল। বলে রাখা ভালো—শহুরে মধ্যবিত্তের কনটেন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ কোনো দিন মিটে গেলে, ব্ল্যাকারদের দেখে শুধু বিরক্তিই যেদিন উৎপাদন হবে, সেদিনই হবে হাওয়ার মতো সিনেমার আসল পরীক্ষা। সে জন্য হাওয়াকে মৌসুমি হলে চলবে না।
সব মিলিয়ে মেজবাউর রহমান সুমন ও তাঁর পুরো দল হাওয়াকে যেভাবে বইয়েছেন, তাতে সাধুবাদ পেতেই পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এ যেন মৌসুমি হাওয়া না হয়।

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৪ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১০ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১০ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৪ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৪ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১০ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৪ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১০ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১০ ঘণ্টা আগে