মো. সাইফুল ইসলাম খান

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা কমাতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ৬৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫০টির অধিক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় প্রায় ৬০ একর জায়গার ওপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নাগরিক কোলাহলমুক্ত, পাখির কলকাকলীতে মুখরিত সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমিতে গড়ে উঠেছে শিক্ষাবান্ধব এই ক্যাম্পাস। সর্বাধুনিক শিক্ষা উপকরণ, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, আবাসন সুবিধা, উন্নত ল্যাবরেটরি, ইনোভেশন ল্যাব, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিশাল খেলার মাঠ, যাতায়াত-সুবিধা, উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট, টেনিস কোর্ট, গলফ কোর্স, ওয়াই-ফাইসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত এ ক্যাম্পাসকে ‘ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে
কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২২-এ এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়া টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২২-এ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে এবং ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং ২০২১-এ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।
অনুষদ ও বিভাগ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৫টি অনুষদে মোট ২৪টি বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের অধীনে: কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, জেনারেল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, এমআইএস বিভাগ।
প্রকৌশল অনুষদের অধীনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার বিভাগ। বাণিজ্য ও উদ্যোক্তা অনুষদের অধীনে রয়েছে: ব্যবসায় প্রশাসন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, রিয়েল এস্টেট, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, বিজনেস স্টাডিজ ও এমবিএ।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে: এলএলবি, ইংরেজি, সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও গণযোগাযোগ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের অধীনে রয়েছে: ফার্মেসি, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক হেলথ বিভাগ।
প্রতিটি বিভাগের পড়ার খরচ কেমন তা জানতে এই লিংকে ঘুরে আসতে পারেন:
সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও গবেষণাকর্মে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি, যাতে রয়েছে দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক বই, ২৫ হাজার রেফারেন্স বই, ১৫ হাজার ই-বুক, ২ হাজার ৫০০ প্রোজেক্ট রিপোর্ট, ২ লাখ ই-জার্নালসহ সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ম্যাগাজিন, সিডি, ভিসিডি, ডিভিডিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকা, ফ্রি ইন্টারনেট-সুবিধা। লাইব্রেরির সব কর্মকাণ্ডই অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে।
‘‘শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে মেধাবী এবং সেরা শিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে আধুনিক ও যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য নয়; বরং একজন নীতি-নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সচেতন মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য।’’
ল্যাব-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসংবলিত ডিজিটাল ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব, টেক্সটাইল ল্যাব, ফিজিকস ল্যাব, ফার্মেসি ল্যাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব, ফ্যাব ল্যাব (ডিজিটাল ফেব্রিকেশন), জেএমসি ল্যাব, সিসকো ল্যাব, মাইক্রোসফট আইটি একাডেমি, লিনাক্স, রেডহাট ও ওরাকল, মাল্টিমিডিয়া ল্যাব, ইনোভেশন ল্যাবসহ সব ধরনের ল্যাব-সুবিধা।
প্রকাশনা ও গবেষণা কার্যক্রম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদ থেকে নিয়মিত জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে, যেখানে শিক্ষকদের উচ্চমানের গবেষণাকর্ম স্থান পায়। এ ক্ষেত্রে ডিআইইউ শিক্ষকেরা দক্ষতার সঙ্গে অব্যাহত রেখেছেন এ কার্যক্রম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাকর্মে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে রিসার্চ ডিভিশন এবং রিসার্চ ফান্ড।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, বিজনেস ক্লাস, ন্যাচারাল স্টাডি ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সাইবার ক্যাফে, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, এমবিএ ক্লাবসহ ৩৫টি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, নিয়মানুবর্তিতা এবং কর্মঠ করে গড়ে তুলতে রয়েছে এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপ, বিএসসিসি ইউনিট। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে রয়েছে ইনডোর ও আউটডোরে খেলাধুলার সব আয়োজন। বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ও গলফ কোর্স। এ ছাড়া টেনিস কোট, ব্যাডমিন্টনসহ সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। রয়েছে ফুটবল খেলার মিনি মাঠ ‘ফুটসাল মাঠ’। শারীরিক ফিটনেস তৈরিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জামসমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়াম।
বিশ্ববিদ্যালয় আ্যালমনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি হয়। দেশ এবং দেশের বাইরে আ্যালমনাইরা ড্যাফোডিল আ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছেন।
ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের টেকনোলজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সেই লক্ষ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে পারেন। করোনার মধ্যেও ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কার্যক্রম বন্ধ থাকেনি।
আবাসন-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের হোস্টেল-সুবিধা।
যাতায়াতের ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশাল পরিবহন পুল। প্রতিদিন এই বাসগুলো বিভিন্ন রুটে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
স্কালারশিপ
ট্যালেন্ট স্কলারশিপের মাধ্যমে আর্থিক অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়। উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় জিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া সহোদর, স্বামী-স্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, খেলোয়াড়, জাতি-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়। সিজিপিএ ৩.৯ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
ভর্তির প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কর্মকাণ্ড সফটওয়্যার ও কম্পিউটারাইজেশনের আওতাভুক্ত। ভর্তির যাবতীয় তথ্য পেতে ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্ক, ৪/২ সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা অথবা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি, আশুলিয়া এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। অনলাইনেও ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর: ৪৮১১৩৬৯০-৯১ বর্ধিত: ৪৪৪, ৫৫৫। মোবাইল: ০১৭১৩৪৯৩০৫০-১, ০১৭১৩৪৯৩১৪১, হেল্প লাইন: ০৯৬১৭৯০১২১২।

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা কমাতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ৬৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫০টির অধিক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় প্রায় ৬০ একর জায়গার ওপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নাগরিক কোলাহলমুক্ত, পাখির কলকাকলীতে মুখরিত সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমিতে গড়ে উঠেছে শিক্ষাবান্ধব এই ক্যাম্পাস। সর্বাধুনিক শিক্ষা উপকরণ, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, আবাসন সুবিধা, উন্নত ল্যাবরেটরি, ইনোভেশন ল্যাব, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিশাল খেলার মাঠ, যাতায়াত-সুবিধা, উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট, টেনিস কোর্ট, গলফ কোর্স, ওয়াই-ফাইসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত এ ক্যাম্পাসকে ‘ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে
কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২২-এ এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়া টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২২-এ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে এবং ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং ২০২১-এ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।
অনুষদ ও বিভাগ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৫টি অনুষদে মোট ২৪টি বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের অধীনে: কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, জেনারেল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, এমআইএস বিভাগ।
প্রকৌশল অনুষদের অধীনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার বিভাগ। বাণিজ্য ও উদ্যোক্তা অনুষদের অধীনে রয়েছে: ব্যবসায় প্রশাসন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, রিয়েল এস্টেট, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, বিজনেস স্টাডিজ ও এমবিএ।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে: এলএলবি, ইংরেজি, সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও গণযোগাযোগ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের অধীনে রয়েছে: ফার্মেসি, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক হেলথ বিভাগ।
প্রতিটি বিভাগের পড়ার খরচ কেমন তা জানতে এই লিংকে ঘুরে আসতে পারেন:
সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও গবেষণাকর্মে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি, যাতে রয়েছে দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক বই, ২৫ হাজার রেফারেন্স বই, ১৫ হাজার ই-বুক, ২ হাজার ৫০০ প্রোজেক্ট রিপোর্ট, ২ লাখ ই-জার্নালসহ সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ম্যাগাজিন, সিডি, ভিসিডি, ডিভিডিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকা, ফ্রি ইন্টারনেট-সুবিধা। লাইব্রেরির সব কর্মকাণ্ডই অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে।
‘‘শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে মেধাবী এবং সেরা শিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে আধুনিক ও যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য নয়; বরং একজন নীতি-নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সচেতন মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য।’’
ল্যাব-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসংবলিত ডিজিটাল ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব, টেক্সটাইল ল্যাব, ফিজিকস ল্যাব, ফার্মেসি ল্যাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব, ফ্যাব ল্যাব (ডিজিটাল ফেব্রিকেশন), জেএমসি ল্যাব, সিসকো ল্যাব, মাইক্রোসফট আইটি একাডেমি, লিনাক্স, রেডহাট ও ওরাকল, মাল্টিমিডিয়া ল্যাব, ইনোভেশন ল্যাবসহ সব ধরনের ল্যাব-সুবিধা।
প্রকাশনা ও গবেষণা কার্যক্রম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদ থেকে নিয়মিত জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে, যেখানে শিক্ষকদের উচ্চমানের গবেষণাকর্ম স্থান পায়। এ ক্ষেত্রে ডিআইইউ শিক্ষকেরা দক্ষতার সঙ্গে অব্যাহত রেখেছেন এ কার্যক্রম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাকর্মে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে রিসার্চ ডিভিশন এবং রিসার্চ ফান্ড।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, বিজনেস ক্লাস, ন্যাচারাল স্টাডি ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সাইবার ক্যাফে, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, এমবিএ ক্লাবসহ ৩৫টি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, নিয়মানুবর্তিতা এবং কর্মঠ করে গড়ে তুলতে রয়েছে এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপ, বিএসসিসি ইউনিট। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে রয়েছে ইনডোর ও আউটডোরে খেলাধুলার সব আয়োজন। বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ও গলফ কোর্স। এ ছাড়া টেনিস কোট, ব্যাডমিন্টনসহ সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। রয়েছে ফুটবল খেলার মিনি মাঠ ‘ফুটসাল মাঠ’। শারীরিক ফিটনেস তৈরিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জামসমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়াম।
বিশ্ববিদ্যালয় আ্যালমনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি হয়। দেশ এবং দেশের বাইরে আ্যালমনাইরা ড্যাফোডিল আ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছেন।
ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের টেকনোলজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সেই লক্ষ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে পারেন। করোনার মধ্যেও ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কার্যক্রম বন্ধ থাকেনি।
আবাসন-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের হোস্টেল-সুবিধা।
যাতায়াতের ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশাল পরিবহন পুল। প্রতিদিন এই বাসগুলো বিভিন্ন রুটে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
স্কালারশিপ
ট্যালেন্ট স্কলারশিপের মাধ্যমে আর্থিক অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়। উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় জিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া সহোদর, স্বামী-স্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, খেলোয়াড়, জাতি-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়। সিজিপিএ ৩.৯ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
ভর্তির প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কর্মকাণ্ড সফটওয়্যার ও কম্পিউটারাইজেশনের আওতাভুক্ত। ভর্তির যাবতীয় তথ্য পেতে ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্ক, ৪/২ সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা অথবা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি, আশুলিয়া এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। অনলাইনেও ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর: ৪৮১১৩৬৯০-৯১ বর্ধিত: ৪৪৪, ৫৫৫। মোবাইল: ০১৭১৩৪৯৩০৫০-১, ০১৭১৩৪৯৩১৪১, হেল্প লাইন: ০৯৬১৭৯০১২১২।
মো. সাইফুল ইসলাম খান

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা কমাতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ৬৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫০টির অধিক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় প্রায় ৬০ একর জায়গার ওপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নাগরিক কোলাহলমুক্ত, পাখির কলকাকলীতে মুখরিত সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমিতে গড়ে উঠেছে শিক্ষাবান্ধব এই ক্যাম্পাস। সর্বাধুনিক শিক্ষা উপকরণ, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, আবাসন সুবিধা, উন্নত ল্যাবরেটরি, ইনোভেশন ল্যাব, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিশাল খেলার মাঠ, যাতায়াত-সুবিধা, উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট, টেনিস কোর্ট, গলফ কোর্স, ওয়াই-ফাইসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত এ ক্যাম্পাসকে ‘ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে
কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২২-এ এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়া টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২২-এ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে এবং ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং ২০২১-এ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।
অনুষদ ও বিভাগ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৫টি অনুষদে মোট ২৪টি বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের অধীনে: কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, জেনারেল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, এমআইএস বিভাগ।
প্রকৌশল অনুষদের অধীনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার বিভাগ। বাণিজ্য ও উদ্যোক্তা অনুষদের অধীনে রয়েছে: ব্যবসায় প্রশাসন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, রিয়েল এস্টেট, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, বিজনেস স্টাডিজ ও এমবিএ।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে: এলএলবি, ইংরেজি, সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও গণযোগাযোগ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের অধীনে রয়েছে: ফার্মেসি, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক হেলথ বিভাগ।
প্রতিটি বিভাগের পড়ার খরচ কেমন তা জানতে এই লিংকে ঘুরে আসতে পারেন:
সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও গবেষণাকর্মে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি, যাতে রয়েছে দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক বই, ২৫ হাজার রেফারেন্স বই, ১৫ হাজার ই-বুক, ২ হাজার ৫০০ প্রোজেক্ট রিপোর্ট, ২ লাখ ই-জার্নালসহ সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ম্যাগাজিন, সিডি, ভিসিডি, ডিভিডিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকা, ফ্রি ইন্টারনেট-সুবিধা। লাইব্রেরির সব কর্মকাণ্ডই অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে।
‘‘শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে মেধাবী এবং সেরা শিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে আধুনিক ও যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য নয়; বরং একজন নীতি-নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সচেতন মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য।’’
ল্যাব-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসংবলিত ডিজিটাল ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব, টেক্সটাইল ল্যাব, ফিজিকস ল্যাব, ফার্মেসি ল্যাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব, ফ্যাব ল্যাব (ডিজিটাল ফেব্রিকেশন), জেএমসি ল্যাব, সিসকো ল্যাব, মাইক্রোসফট আইটি একাডেমি, লিনাক্স, রেডহাট ও ওরাকল, মাল্টিমিডিয়া ল্যাব, ইনোভেশন ল্যাবসহ সব ধরনের ল্যাব-সুবিধা।
প্রকাশনা ও গবেষণা কার্যক্রম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদ থেকে নিয়মিত জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে, যেখানে শিক্ষকদের উচ্চমানের গবেষণাকর্ম স্থান পায়। এ ক্ষেত্রে ডিআইইউ শিক্ষকেরা দক্ষতার সঙ্গে অব্যাহত রেখেছেন এ কার্যক্রম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাকর্মে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে রিসার্চ ডিভিশন এবং রিসার্চ ফান্ড।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, বিজনেস ক্লাস, ন্যাচারাল স্টাডি ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সাইবার ক্যাফে, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, এমবিএ ক্লাবসহ ৩৫টি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, নিয়মানুবর্তিতা এবং কর্মঠ করে গড়ে তুলতে রয়েছে এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপ, বিএসসিসি ইউনিট। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে রয়েছে ইনডোর ও আউটডোরে খেলাধুলার সব আয়োজন। বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ও গলফ কোর্স। এ ছাড়া টেনিস কোট, ব্যাডমিন্টনসহ সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। রয়েছে ফুটবল খেলার মিনি মাঠ ‘ফুটসাল মাঠ’। শারীরিক ফিটনেস তৈরিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জামসমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়াম।
বিশ্ববিদ্যালয় আ্যালমনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি হয়। দেশ এবং দেশের বাইরে আ্যালমনাইরা ড্যাফোডিল আ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছেন।
ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের টেকনোলজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সেই লক্ষ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে পারেন। করোনার মধ্যেও ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কার্যক্রম বন্ধ থাকেনি।
আবাসন-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের হোস্টেল-সুবিধা।
যাতায়াতের ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশাল পরিবহন পুল। প্রতিদিন এই বাসগুলো বিভিন্ন রুটে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
স্কালারশিপ
ট্যালেন্ট স্কলারশিপের মাধ্যমে আর্থিক অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়। উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় জিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া সহোদর, স্বামী-স্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, খেলোয়াড়, জাতি-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়। সিজিপিএ ৩.৯ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
ভর্তির প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কর্মকাণ্ড সফটওয়্যার ও কম্পিউটারাইজেশনের আওতাভুক্ত। ভর্তির যাবতীয় তথ্য পেতে ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্ক, ৪/২ সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা অথবা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি, আশুলিয়া এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। অনলাইনেও ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর: ৪৮১১৩৬৯০-৯১ বর্ধিত: ৪৪৪, ৫৫৫। মোবাইল: ০১৭১৩৪৯৩০৫০-১, ০১৭১৩৪৯৩১৪১, হেল্প লাইন: ০৯৬১৭৯০১২১২।

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা কমাতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ৬৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫০টির অধিক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় প্রায় ৬০ একর জায়গার ওপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নাগরিক কোলাহলমুক্ত, পাখির কলকাকলীতে মুখরিত সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমিতে গড়ে উঠেছে শিক্ষাবান্ধব এই ক্যাম্পাস। সর্বাধুনিক শিক্ষা উপকরণ, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, আবাসন সুবিধা, উন্নত ল্যাবরেটরি, ইনোভেশন ল্যাব, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিশাল খেলার মাঠ, যাতায়াত-সুবিধা, উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট, টেনিস কোর্ট, গলফ কোর্স, ওয়াই-ফাইসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত এ ক্যাম্পাসকে ‘ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে
কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২২-এ এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়া টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২২-এ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে এবং ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং ২০২১-এ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।
অনুষদ ও বিভাগ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৫টি অনুষদে মোট ২৪টি বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের অধীনে: কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, জেনারেল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, এমআইএস বিভাগ।
প্রকৌশল অনুষদের অধীনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার বিভাগ। বাণিজ্য ও উদ্যোক্তা অনুষদের অধীনে রয়েছে: ব্যবসায় প্রশাসন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, রিয়েল এস্টেট, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, বিজনেস স্টাডিজ ও এমবিএ।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে: এলএলবি, ইংরেজি, সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও গণযোগাযোগ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের অধীনে রয়েছে: ফার্মেসি, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক হেলথ বিভাগ।
প্রতিটি বিভাগের পড়ার খরচ কেমন তা জানতে এই লিংকে ঘুরে আসতে পারেন:
সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও গবেষণাকর্মে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি, যাতে রয়েছে দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক বই, ২৫ হাজার রেফারেন্স বই, ১৫ হাজার ই-বুক, ২ হাজার ৫০০ প্রোজেক্ট রিপোর্ট, ২ লাখ ই-জার্নালসহ সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ম্যাগাজিন, সিডি, ভিসিডি, ডিভিডিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকা, ফ্রি ইন্টারনেট-সুবিধা। লাইব্রেরির সব কর্মকাণ্ডই অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে।
‘‘শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে মেধাবী এবং সেরা শিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে আধুনিক ও যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য নয়; বরং একজন নীতি-নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সচেতন মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য।’’
ল্যাব-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসংবলিত ডিজিটাল ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব, টেক্সটাইল ল্যাব, ফিজিকস ল্যাব, ফার্মেসি ল্যাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব, ফ্যাব ল্যাব (ডিজিটাল ফেব্রিকেশন), জেএমসি ল্যাব, সিসকো ল্যাব, মাইক্রোসফট আইটি একাডেমি, লিনাক্স, রেডহাট ও ওরাকল, মাল্টিমিডিয়া ল্যাব, ইনোভেশন ল্যাবসহ সব ধরনের ল্যাব-সুবিধা।
প্রকাশনা ও গবেষণা কার্যক্রম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদ থেকে নিয়মিত জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে, যেখানে শিক্ষকদের উচ্চমানের গবেষণাকর্ম স্থান পায়। এ ক্ষেত্রে ডিআইইউ শিক্ষকেরা দক্ষতার সঙ্গে অব্যাহত রেখেছেন এ কার্যক্রম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাকর্মে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে রিসার্চ ডিভিশন এবং রিসার্চ ফান্ড।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, বিজনেস ক্লাস, ন্যাচারাল স্টাডি ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সাইবার ক্যাফে, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, এমবিএ ক্লাবসহ ৩৫টি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, নিয়মানুবর্তিতা এবং কর্মঠ করে গড়ে তুলতে রয়েছে এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপ, বিএসসিসি ইউনিট। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে রয়েছে ইনডোর ও আউটডোরে খেলাধুলার সব আয়োজন। বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ও গলফ কোর্স। এ ছাড়া টেনিস কোট, ব্যাডমিন্টনসহ সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। রয়েছে ফুটবল খেলার মিনি মাঠ ‘ফুটসাল মাঠ’। শারীরিক ফিটনেস তৈরিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জামসমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়াম।
বিশ্ববিদ্যালয় আ্যালমনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি হয়। দেশ এবং দেশের বাইরে আ্যালমনাইরা ড্যাফোডিল আ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছেন।
ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের টেকনোলজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সেই লক্ষ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে পারেন। করোনার মধ্যেও ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কার্যক্রম বন্ধ থাকেনি।
আবাসন-সুবিধা
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের হোস্টেল-সুবিধা।
যাতায়াতের ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশাল পরিবহন পুল। প্রতিদিন এই বাসগুলো বিভিন্ন রুটে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
স্কালারশিপ
ট্যালেন্ট স্কলারশিপের মাধ্যমে আর্থিক অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়। উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হয়। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় জিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া সহোদর, স্বামী-স্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, খেলোয়াড়, জাতি-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়। সিজিপিএ ৩.৯ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
ভর্তির প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কর্মকাণ্ড সফটওয়্যার ও কম্পিউটারাইজেশনের আওতাভুক্ত। ভর্তির যাবতীয় তথ্য পেতে ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্ক, ৪/২ সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা অথবা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি, আশুলিয়া এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। অনলাইনেও ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর: ৪৮১১৩৬৯০-৯১ বর্ধিত: ৪৪৪, ৫৫৫। মোবাইল: ০১৭১৩৪৯৩০৫০-১, ০১৭১৩৪৯৩১৪১, হেল্প লাইন: ০৯৬১৭৯০১২১২।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা কমাতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত...
০৭ জুন ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা কমাতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত...
০৭ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা কমাতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত...
০৭ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা কমাতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত...
০৭ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫