Ajker Patrika

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মে ২০২২, ১৫: ৩২
নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নিশ্চয়তা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) একটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো. ইকবাল হোসেন (৪২), রমিজ মৃধা (৩০), মো. নজরুল ইসলাম (৫০) ও মো. মোদাচ্ছের হোসেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ব্যাটারি, ইনভিজিবল ব্লুটুথ কিট, ভিআইপি স্মার্ট ডিভাইস, নগদ টাকা, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রথম ধাপের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও সমাধান জব্দ করা হয়। 

র‍্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতারক চক্রগুলো আবারও সক্রিয় হয়েছে। আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে এসব চক্র জালিয়াতি করলেও বর্তমানে সুকৌশলে হিডেন স্পাই ওয়্যারলেস কিট ব্যবহার করে সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছে। 

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাবের কমান্ডার বলেন, ‘বিদেশ থেকে আনা এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো মূলত দুটি অংশে বিভক্ত। ডিভাইসটির একটি অংশ ইয়ার পিস। সেটি তারা পরীক্ষার্থীদের কানে বা অন্যান্য স্থানে সেট করে দেয়। অটোমেটিক কল রিসিভ হওয়া সিম লাগানো অপর অংশটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে তাদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হতো। পরে পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তাদের কাছে পাঠাত। চক্রটি প্রশ্নপত্রের উত্তর দেওয়ার জন্য পূর্ব থেকেই মেধাবীদের সমন্বয়ে একটি টিম প্রস্তুত রাখত। চক্রের সদস্যরা পরীক্ষার হল থেকে পাঠানো প্রশ্নপত্রের উত্তরসমূহ মেধাবীদের সমন্বয়ে গঠিত টিমের মাধ্যমে খুঁজে বের করে চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের বলে দিত।’ 

র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, প্রথমে তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে ওই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার স্থান ও পরীক্ষার গার্ড সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। এ সময় চক্রের অন্য সদস্যরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের খুঁজে বের করে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাস ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তার মাধ্যমে তাদের প্রলোভন দেখাত। 

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘আগ্রহী পরীক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে এবং এর ব্যবহারবিধি প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রাথমিকভাবে ১ থেকে ২ দুই লাখ টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করত। অবশিষ্ট টাকা চাকরি পাওয়ার পরে পরিশোধ করবে মর্মে চুক্তি করত। এরা প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ জনের সঙ্গে চুক্তি করত। এর মধ্যে তিন থেকে চারজন টিকত। তাদের কাছ থেকেই অর্থ আদায় করত। এভাবে তারা বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।’ 

চক্রটির মূল হোতা ইকবাল হোসেন সম্পর্কে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ২০০৮ সালে নিজে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান ইকবাল। ২০১৫ সালে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেই সূত্রে আলতাফের কাছ থেকে সরকারি-বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নিশ্চয়তা নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি রপ্ত করেন তিনি। পরে করোনা মহামারির সময় আলতাফ হোসেন মারা গেলে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেন প্রতারক চক্রটি পরিচালনা করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা ও বেশ কয়েকটি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। 

খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তার রমিজ এই প্রতারক চক্রের অন্যতম সহযোগী এবং একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। চক্রের ডিজিটাল অংশটি পরিচালনা করতেন তিনি। গ্রেপ্তারকৃত নজরুল ১৯৯৪ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রতারক ইকবাল ও রমিজের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার সময়, স্থান ও পরীক্ষায় গার্ড খুঁজে বের করার দায়িত্ব পালন করতেন। যারা প্রশ্ন সমাধান করে, তারাও রমিজের পরিচিত। 

অন্যদিকে, মোদাচ্ছের মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সমাজসেবা কর্মী হিসেবে ২০১৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ইকবালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। এই চক্রে তিনি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের খুঁজে বের করে প্রতারক ইকবাল ও প্রতারক রমিজের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। 

গ্রেপ্তার ব্য্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি: ডিএমপি কমিশনার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ফাইল ছবি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্যপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবদ্ধের ঘটনায় প্রাথমিক সন্দেহবাজনকে দ্রুতই ধরা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

আজ শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির ৪২ তম বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, ‘আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি। এখনো ২৪ ঘণ্টা পার হয়নি। হোপফুলি এটা আমরা ডিটেক্ট করতে পারব।’

কতজন এই চক্রের সঙ্গে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা টার্গেটকে খুঁজছি।’

আসামির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাম এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা তাকে খুঁজছি। জনগণের সহযোগিতা চেয়েছি। হোপফুলি আমরা এটা ডিটেক্ট করে ফেলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মতিঝিলে ছিনতাইকারীর কবলে ইডেনের ছাত্রী

ঢামেক প্রতিবেদক
এআই দিয়ে তৈরি প্রতীকী ছবি
এআই দিয়ে তৈরি প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে অর্পিতা মুখার্জি (২৪) নামে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অর্পিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী প্রবিতা রায় ও ভুক্তভোগী নিজে জানান, ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। বর্তমানে আজিমপুরে সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। সকালে গ্রামের বাড়ি রংপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশা যোগে কমলাপুর স্টেশনে যাচ্ছিলেন। রিকশাটি মতিঝিল মেট্রোরেল রেলস্টেশনের নিচে এলে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় আসা ছিনতাইকারীরা তাঁর হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দেয়। এতে রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন অর্পিতা। গুরুতর আঘাত পান তিনি।

পরে সহপাঠীদের ফোনকল করে খবর দিলে তাঁরা অর্পিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা কিছু নিতে পারেনি বলে জানান অর্পিতা।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মতিঝিলে ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ওই শিক্ষার্থীকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৮
আজ সকালে মাদকাসক্ত যুবককে কোমরসমান মাটিতে পুঁতে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে মাদকাসক্ত যুবককে কোমরসমান মাটিতে পুঁতে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদকের টাকার জন্য মা-বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগে এক মাদকাসক্ত যুবককে কোমরসমান মাটিতে পুঁতে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের স্মার্ট গার্মেন্টস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী যুবকের নাম মো. খলিলুর রহমান (২৫)। তিনি ওই গ্রামের মো. নূরউদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, খলিলুর দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত।

স্থানীয় বাসিন্দা তোতা মিয়া বলেন, মাদকের টাকার জন্য খলিলুর প্রায়ই তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবাকে মারধর করেন। শনিবার সকালে মাদক কেনার টাকার জন্য তিনি মায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইট দিয়ে মায়ের পা থেঁতলে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে মাটি খুঁড়ে কোমরসমান চাপা দেন। পরে আবার উঠিয়ে দেওয়া হয়।

খলিলুরের মা খোদেজা বেগম বলেন, ‘মাদকের টাকার জন্য ছেলে সব সময় আমাকে মারধর করে। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাকা চাইলে দিতে না পারার কথা বলতেই ইট দিয়ে আমার পা থেঁতলে দেয়। এখন হাঁটতে পারছি না।’

খলিলুরের কাকি আকলিমা বলেন, ‘তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ৯ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গেছে। এলাকাবাসীও তার আচরণে বিরক্ত।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ঘটনাটি তাঁর নজরে এসেছে। পুলিশকে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত তিন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালক সাইদুল ইসলাম (৫৪) নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা আরও তিন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সান্তাহার পৌর শহরের খাড়ির ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ইন্দইল এলাকা থেকে সাইদুল ইসলাম অটোরিকশায় করে তিন যাত্রী নিয়ে সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। খাড়ির ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে গিয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল চালকসহ চারজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক সাইদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সাইদুল ইসলাম উপজেলার ইন্দইল গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের বেলাল মল্লিকের স্ত্রী রেনুকা খাতুন জ্যোৎস্না (৫৫), একই গ্রামের তয়েজ প্রামাণিকের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪৮) এবং নওগাঁ সদর উপজেলার আদম দুর্গাপুর গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে রাফি (১৯)।

সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুল মান্নান ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত