Ajker Patrika

শততম জন্মবার্ষিকীতে সত্যজিৎ রায়ের সেরা পাঁচ

তামান্না-ই-জাহান
আপডেট : ০২ মে ২০২২, ১৮: ১০
শততম জন্মবার্ষিকীতে সত্যজিৎ রায়ের সেরা পাঁচ

বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের শততম জন্মবার্ষিকী আজ। এই এক শ বছরেও সত্যজিৎ রায়ের চিত্র ভাবনাকে ডিঙিয়ে যাওয়ার মতো কেউ আসেননি বাংলা সিনেমায়। কিংবদন্তি এই নির্মাতা বাংলা চলচ্চিত্র তো বটেই পুরো ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিলেন। সাদা-কালোর শিল্পিত ফ্রেমে বাংলা সিনেমার নতুন প্রেক্ষাপট রচিত করেছিলেন সত্যজিৎ। চলচ্চিত্র নির্মাতার পাশাপাশি, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক, লেখক, গ্রাফিকস ডিজাইনার হিসেবেও তিনি সমাদৃত। 

১৯২১ সালের ২ মে কলকাতায় জন্ম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের। সাহিত্য জগতে খ্যাতনামা পরিবারে জন্ম তাঁর। বাবা খ্যাতিমান শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়। আর দাদা ছিলেন সে যুগের প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। সত্যজিৎ রায়ের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের শুরুটা ১৯৪৩ সালে, বিজ্ঞাপন ও প্রকাশনার জগতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে। সে সময় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পথের পাঁচালী’র ছোটদের সংস্করণ ‘আম আঁটির ভেঁপু’র প্রচ্ছদ আঁকতে গিয়ে ‘পথের পাঁচালী’কে চিত্রায়িত করার ভাবনা মাথায় আসে তাঁর। এর পরের গল্পটা সবারই জানা। শততম জন্মবার্ষিকীতে চলুন এই প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তিত্বের সেরা পাঁচটি সিনেমা সম্পর্কে জেনে নেই। 

অপু-দুর্গার দুরন্ত শৈশব ও সামাজিক পারিপার্শ্বিকতার রূঢ়-কঠিন চিত্র নিয়ে নির্মিত পথের পাঁচালীপথের পাঁচালী
ভারতের চলচ্চিত্র ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা ছবি সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৫৫ সালে তৈরি ‘পথের পাঁচালী’ সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। শুধু ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বে পরিচিত ও সমাদৃত ছবিটি। মোট ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে ‘পথের পাঁচালী’। চিরায়ত বাংলার আনন্দ-বেদনার আখ্যান সত্যজিৎ সেলুলয়েডে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছবিতে অপু ও দুর্গার বাবা নিশ্চিন্তপুরের পুরোহিত হরিহর রায় পরিবার রেখে শহরে যান উন্নত জীবনের আশায়। এদিকে গ্রামে অপু-দুর্গার শৈশব কাটে অভাব-অনটনে। অপু-দুর্গার দুরন্ত শৈশব ও সামাজিক পারিপার্শ্বিকতার রূঢ়-কঠিন চিত্র নিয়ে নির্মিত পথের পাঁচালী। ছবিতে নামী কোনো তারকা না থাকলেও সবার দুর্দান্ত অভিনয় সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়। 

‘অপরাজিত’ অপু ট্রিলজির দ্বিতীয় চলচ্চিত্রঅপরাজিত
‘অপরাজিত’ অপু ট্রিলজির দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। ‘পথের পাঁচালী’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর অপু চরিত্রটি নিয়ে আরও কাজ করার কথা ভাবেন সত্যজিৎ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত হয়েছে ‘অপরাজিত’। বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের শেষ অংশ এবং ‘অপরাজিত’ উপন্যাসের শুরুর এক-তৃতীয়াংশের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘অপরাজিত’ সিনেমাটি। ১৯৫৬ সালে নির্মিত ছবিতে অপুর শৈশব থেকে কৈশোরে পদার্পণ এবং কলকাতায় কলেজে পড়ার সময়কার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ভারতে সিনেমাটি ‘পথের পাঁচালীর’ মতো জনপ্রিয়তা না পেলেও, দেশের বাইরে ভূয়সী প্রশংসা পায়। 

‘অপুর সংসার’ সিনেমায় অপু-অপর্ণার চরিত্রে সৌমিত্র-শর্মিলার মিষ্টি রসায়ন মন কেড়ে নেয় দর্শকেরঅপুর সংসার
 ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায় অপু ট্রিলজির শেষ সিনেমা ‘অপুর সংসার’। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই ছবি দিয়েই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং শর্মিলা ঠাকুর প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন। অপু-অপর্ণার চরিত্রে সৌমিত্র-শর্মিলার পর্দার মিষ্টি রসায়ন মন কেড়ে নেয় দর্শকের। সিগারেটের প্যাকেটে অপর্ণার লেখা ‘খাওয়ার পরে, একটা করে-কথা দিয়েছ’ কিংবা আরেকটু বেশি সময় অপুকে পাশে পাওয়ার জন্য টিউশনি ছেড়ে দিতে বলার দৃশ্যগুলো এখনো ঘোরলাগা মুগ্ধতা তৈরি করে। 

উত্তম কুমারকে মাথায় রেখেই ‘নায়ক’ লেখেন সত্যজিৎনায়ক
সিনেমা নির্মাণে শুরুর দিকে সত্যজিৎ বেছে নিয়েছিলেন বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসকে। তবে ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া তুমুল দর্শকপ্রিয় ‘নায়ক’ সিনেমার রচয়িতা সত্যজিৎ নিজেই। এ সিনেমার কাহিনির পাশাপাশি চিত্রনাট্যও সত্যজিৎ রচনা করেছিলেন। ‘নায়ক’ সিনেমায় একজন সুপারস্টারের গল্প বলা হয়েছে। একটি ক্যানভাসে যেন সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেই নায়কের জীবনের বিভিন্ন চিত্র। দেখানো হয়েছে, খ্যাতি কীভাবে একজন নায়ককে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। সত্যজিৎ পুত্র চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দীপ রায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বাবা উত্তম কুমারকে মাথায় রেখেই “নায়ক” লেখেন। অরিজিনাল স্ক্রিপ্ট। কোনো গল্প থেকে নেওয়া নয়।’ কালজয়ী এই সিনেমাটি ১৯৬৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। 

‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমায় সামাজিক বৈষম্যের কিছু সত্য চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছেহীরক রাজার দেশে
১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমাটি রাজনৈতিক রূপকধর্মী চলচ্চিত্র। এর কাহিনি, সংলাপ, মঞ্চসজ্জা, পরিচালনা—সবই করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। রূপকের আশ্রয় নিয়ে চলচ্চিত্রটিতে সামাজিক বৈষম্য কিছু সত্য চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এটি গুপী-বাঘা সিরিজের একটি চলচ্চিত্র। ছবিটির ব্যতিক্রমী দিক হচ্ছে মূল শিল্পীদের প্রায় সংলাপ ছড়ার আকারে করা। যেমন, ‘যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান’ কিংবা ‘বাকি রাখা খাজনা, মোটে ভালো কাজ না’। ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমায় যেভাবে শাসক ও শোষিতের দ্বন্দ্ব চিত্রায়ণ করেছেন সত্যজিৎ, তা সময়ের বিবর্তনে, সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনেও একইভাবে প্রাসঙ্গিক এবং সমসাময়িক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের নাটকে মৌ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিজয় দিবসের নাটকে মৌ
‘ডাক্তার বাড়ি’ নাটকে মৌ। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে নাটকটি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে নাটক নির্মাণ করছেন অরুণ চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ডাক্তার বাড়ি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা একটি বাড়ি থেকে কীভাবে সহায়তা পেয়েছিলেন, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক ডাক্তারের মেয়ে মল্লিকা তার বাবাকে না জানিয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দেয়। একসময় দুষ্কৃতকারীরা ডাক্তারকে হুমকি দেয় বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বের করে দিতে হবে। ভয় পেয়ে যায় সে। কিন্তু মল্লিকা তার বাবাকে বোঝায় একটা দিন অপেক্ষা করার জন্য। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জে হয়েছে নাটকটির শুটিং।

ডাক্তার বাড়ি নাটকে মল্লিকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ। তাঁর বাবার চরিত্রে আছেন নরেশ ভুঁইয়া। মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে আহসান হাবিব নাসিমকে। নতুন এই নাটক নিয়ে মৌ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কাজ অনেক কম করা হয়েছে আমার। খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি গল্পে অভিনয় করতে পেরে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ধারণ করতে।’

নির্মাতা অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি বাড়ির গল্প। গল্প অনুযায়ী পর্দায় সেই সময়ের আবহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুটিং করেছি নবাবগঞ্জের একটি পুরোনো বাড়িতে। দর্শকের ভালো লাগলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।’

এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে মৌ অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘আর্তনাদ’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আকা রেজা গালিব। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে ‘গহীন অতল’। এই ওয়েব ফিল্মে মৌ অভিনয় করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে তাঁকে ঘিরে। ফিল্মটির গল্পে দেখা যাবে, ঘটনাক্রমে এক রাতে মৌ অভিনীত চরিত্রটি খুন করে ফেলে তার মেয়ের গোপন প্রেমিককে। এই ঘটনা গোপন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরস্কার পেল ‘সুলতানার স্বপ্ন’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আইইউবি থিয়েটার ক্লাবের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আইইউবি থিয়েটার ক্লাবের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব।

বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প ‘সুলতানাস ড্রিম’-এর বাংলা নাট্যরূপ ‘সুলতানার স্বপ্ন’। বেগম রোকেয়া এতে লেডিল্যান্ড নামে এক কল্পিত সমাজের মাধ্যমে নারী-সমতার ভাবনা তুলে ধরেছেন। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বপ্লীল সোহেল।

আইইউবি থিয়েটার ছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নাট্যদল। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (প্রথম রানার্সআপ), সরকারি তিতুমীর কলেজ (দ্বিতীয় রানার্সআপ), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব ছিলেন অভিনেতা ও নির্দেশক তারিক আনাম খান, কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেন এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ নিয়াজ মজুমদার।

গত ১৯ নভেম্বর আইইউবি অডিটরিয়ামে সুলতানার স্বপ্ন নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। ৯ ডিসেম্বর এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তায় মঞ্চস্থ হয় তৃতীয় প্রদর্শনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ হাজার কোটিতে আধুনিক শহর বানাচ্ছেন সালমান

বিনোদন ডেস্ক
সালমান খান। ছবি: সংগৃহীত
সালমান খান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।

প্রস্তাবিত এই টাউনশিপ শুধু আবাসিক এলাকা নয়, এটি হবে এমন এক গ্লোবাল এন্টারটেইনমেন্ট সিটি, যেখানে সবাই উপভোগ করতে পারবে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা। প্রকল্পের লক্ষ্য অনুযায়ী, এখানে ৫০০ একর জায়গাজুড়ে থাকবে অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটি ও সিনেমা স্টুডিও, থিমভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যটন জোন, ওয়েলনেস ভিলেজ ও ন্যাচারাল হিলিং স্পেস, বিলাসবহুল হোটেল, রিসোর্ট, শপিং কমপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, লাইভ ইভেন্ট এরেনা, বিনোদনকেন্দ্র, উন্নত আবাসিক এলাকা, শিক্ষাকেন্দ্র ও স্মার্ট-সিটি সুবিধা।

এই টাউনশিপই হতে পারে ভারতের প্রথম এমন এক প্রকল্প, যেখানে সিনেমা, পর্যটন ও লাইফস্টাইল একসঙ্গে মিলিত হয়ে গড়ে তুলবে পূর্ণাঙ্গ বিনোদন-নগরী। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি কয়েক সপ্তাহ আগে মুম্বাইয়ে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করে প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইতিমধ্যেই জমি, নীতিছাড়, বিনিয়োগ কাঠামো ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্প রাজ্যের পর্যটনশিল্পকে বিপুলভাবে বাড়াবে এবং হাজার হাজার মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তেলেঙ্গানা দক্ষিণ ভারতের বিনোদন রাজধানী হিসেবে উঠে আসতে পারে। দক্ষিণ ভারতের সিনেমাশিল্প ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সেখানে বলিউড সুপারস্টারের উদ্যোগে এমন এক আন্তর্জাতিক মানের টাউনশিপ গড়ে উঠলে ভারতের চলচ্চিত্রশিল্প আরও বৃহৎ বাজার তৈরি করবে। তেলেঙ্গানা সরকারও মনে করছে, এই প্রকল্প আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের ওটিটি

‘ম্যান ভার্সেস বেবি’সহ মুক্তি পেল যেসব সিনেমা-সিরিজ

প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।

বিনোদন ডেস্ক
‘ম্যান ভার্সেস বেবি’ সিরিজের দৃশ্য
‘ম্যান ভার্সেস বেবি’ সিরিজের দৃশ্য

নূর (বাংলা সিনেমা)

  • মুক্তি: বায়স্কোপ প্লাস (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: আরিফিন শুভ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী
  • গল্পসংক্ষেপ: মফস্বল এলাকার বোকাসোকা ছেলে নূর প্রেমে পড়ে শিউলীর। মিষ্টি প্রেমের সম্পর্ক হঠাৎই বাঁক নেয় করুণ দীর্ঘশ্বাসে। প্রেমিকা শিউলীকে হারিয়ে প্রায় পাগল হয়ে যায় নূর। সময় পেরিয়ে এরপর তাকে দেখা যায় বন্দী অবস্থায়। কেন নূরের জীবন অন্ধকার করে দিল শিউলী, তার রহস্য জানা যাবে গল্পে।

ডিমলাইট (বাংলা ওয়েব সিনেমা)

  • মুক্তি: চরকি (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: মোশাররফ করিম, তানজিকা আমিন, পারশা ইভানা
  • গল্পসংক্ষেপ: এতে শামসুজ্জামান নামের একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় এক তরুণীর। তার প্রেমে পড়ে যায়। এই নতুন সম্পর্ক নিয়ে যখন পরিবারে অশান্তি শুরু হয়, তখন নিজের ভুল বুঝতে পারে শামসুজ্জামান।

কারমা কোর্মা (বাংলা সিরিজ)

  • মুক্তি: হইচই (১২ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, ঋতাভরী চক্রবর্তী
  • গল্পসংক্ষেপ: কর্মফল আর জীবনের দ্বন্দ্ব নিয়ে এই মার্ডার মিস্ট্রি। ভিন্ন সামাজিক শ্রেণির দুই নারীর রান্না ক্লাসে দেখা হওয়া এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রতিশোধের এক রহস্যময় আখ্যান। একটি খুনের তদন্ত করতে গিয়ে এই দুই নারীর সঙ্গে আলাপ হয় পুলিশ কর্মকর্তা ভুপেন ভাদুড়ির।

ম্যান ভার্সেস বেবি (ইংরেজি সিরিজ)

  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: রোয়ান অ্যাটকিনসন
  • গল্পসংক্ষেপ: এক স্কুলে কেয়ারটেকারের চাকরি নিয়েছে বিংলি। কয়েক দিন ধরে তার মন বেশ প্রফুল্ল। কারণ, স্কুলে ক্রিসমাসের ছুটি শুরু হচ্ছে। ক্লাসের শেষ দিন স্কুলের আশপাশে নাম-পরিচয়হীন দুই শিশুকে খুঁজে পায় বিংলি। কোনো অভিভাবক না পাওয়ায় তার ওপরই পড়ে শিশুদের দেখাশোনার ভার। তাদের সামলাতে গিয়ে একের পর এক ঝামেলায় পড়ে বিংলি।

সুপারম্যান (ইংরেজি সিনেমা)

  • মুক্তি: জিওহটস্টার (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: ডেভিড কোরেন্সওয়েট, র‍্যাচেল ব্রসনাহান, নিকোলাস হল্ট
  • গল্পসংক্ষেপ: এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে বিতর্কিত হয়ে পড়ে সুপারম্যানের কর্মকাণ্ড। টেক বিলিয়নিয়ার লেক্স লুথর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক সংঘাত সৃষ্টি করে। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় সুপারম্যান। সাহসী রিপোর্টার লোইস লেন এবং পোষা কুকুর ক্রিপ্টোর সাহায্য নিয়ে সুপারম্যান আবার জনসমর্থন ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত