Ajker Patrika

এবার ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০% ভ্যাট মওকুফের প্রজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এবার ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০% ভ্যাট মওকুফের প্রজ্ঞাপন

ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১০ শতাংশ প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এ প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এর আগে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় সরকার পণ্যটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর আরোপিত ভ্যাট ছিল ১৫ শতাংশ। এটি ১০ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে মাত্র ৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সয়াবিন তেল ও পাম তেলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই ভ্যাট প্রত্যাহার আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। 

এদিকে সরকার ভোজ্যতেলের ওপর সব ধরনের ভ্যাট মওকুফ করায় বাজারে প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে মৌলভীবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে খোলা ভোজ্যতেলের দাম অনেকটাই কমেছে।

তবে ভ্যাট মওকুফ হলেও তেলের দাম ভোক্তা পর্যায়ে আদৌ কমবে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গত সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘ভ্যাট মওকুফের পর প্রকৃত দাম কত হবে, তা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করবে। এর পর নতুন নির্ধারিত দামে তেল বাজারে বিক্রি হবে। তবে বিশ্ববাজারের বাড়তি দামের তেল বাজারে সরবরাহ হওয়ার আগে দাম সমন্বয় করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যাট প্রত্যাহার করায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। দাম এখন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সব বাহিনীপ্রধানকে নিয়ে ইসির বৈঠক রোববার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা-সংক্রান্ত বিষয়ে সব বাহিনীপ্রধানকে নিয়ে সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভাটি আগামী রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জারি করা সভার নোটিশে জানানো হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থাকবেন।

সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে নির্বাচনপূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা; অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমরোধে যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম; প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা এবং বিবিধ।

সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্ট গার্ড, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি, র‍্যাবের মহাপরিচালক, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), সিআইডির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং কারা অধিদপ্তরের কারা মহাপরিদর্শককে সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যাচেষ্টা মামলা

ফিলিপ নামের একজন কাউকে কাউকে ভারতে পাচার করেছে: আদালতকে দুই আসামি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সিবিয়ন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম। ঢাকার সিএমএম আদালত ভবনে। ছবি: সংগৃহীত
সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সিবিয়ন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম। ঢাকার সিএমএম আদালত ভবনে। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ ও তাঁর সহযোগীকে ভারতে পালাতে ‘ফিলিপ’ নামের একজন সহযোগিতা করে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম। আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির সময় আদালতকে তাঁরা এ কথা বলেন।

সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রত্যেকের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্ত ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার এই দুই আসামি ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত ও অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের অবৈধভাবে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে সরাসরি সহায়তা করেন। তাঁদের যোগাযোগ, চলাচল ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংযোগের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সিবিয়ন দিউ হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ও অবৈধ মালামাল পারাপারের একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য জুয়েল আড়েংয়ের ভাগনে।

আদালতে সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নেন ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি আদালতকে বলেন, দুই আসামি হাদি হত্যাচেষ্টা মামলার মূল আসামি ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী আলমগীরকে ভারতে পালাতে সাহায্য করেছেন। কীভাবে তাঁরা পালিয়ে গেলেন এবং তাঁদের পালাতে আর কারা কারা সহযোগিতা করেছেন, তা জানার জন্য দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

এ পর্যায়ে আদালতের জিজ্ঞাসায় সিবিউন ও সঞ্জয় বলেন, ‘আমরা কেউ ভারতে পালিয়ে গেছে কি না, কিছু জানি না। তবে শুনেছি, ফিলিপ নামের একজন কাউকে কাউকে ভারতে পাচার করেছে।’

১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুজনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান। গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গত সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত রোববার রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী আলমগীর ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে পুলিশের প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে, তাঁরা ভারতে পালিয়ে গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নভেম্বরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৯৪ জন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গত নভেম্বর মাসে দেশে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত ও ১ হাজার ৩১৭ জন আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ৬৪ জন (১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ) ও শিশু ৭১টি (১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ)। এর মধ্যে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৪ জন নিহত হয়েছে, যা মোট প্রাণহানির ৪০ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ১০৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৭ জন (১১ দশমিক ৮০ শতাংশ)।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার মধ্যে ২৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ৪৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ আঞ্চলিক সড়কে, ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ গ্রামীণ সড়কে এবং ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ শহরের সড়কে। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে (৪৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ) ও মুখোমুখি সংঘর্ষে (২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ)।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের তালিকায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে মোটরসাইকেল (২৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ), এরপর ট্রাক ও ভারী যানবাহন (২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ) এবং থ্রি-হুইলার (১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ)। সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকালে ও সন্ধ্যায়।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, অতিরিক্ত গতি, চালকদের মানসিক চাপ ও পথচারীদের অসচেতনতা দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। দুর্ঘটনা কমাতে গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার, চালকদের প্রশিক্ষণ ও গণমাধ্যমে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণার ওপর জোর দিয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি পরিবহনশ্রমিকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং সড়ক পরিবহন খাতে কাঠামোগত সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন নির্দেশনা-সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়সমূহের নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালামাল, যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে বিধায় ওই অফিসসমূহে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত অফিসসমূহে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালামালের সুরক্ষাসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এ অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসসমূহের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের সদয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশন।

অপর দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অপরাধ তদন্ত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিকে পুলিশি সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির আইন শাখা থেকে নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে কমিটির কর্মকর্তাদের সহিত পুলিশ বাহিনীর দুজন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত