জাহীদ রেজা নূর

দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই অপূর্ব ভাষণটির কথা সবাই জানে। ভাষণটি কেউ চাইলেই পড়ে ফেলতে পারবেন অন্তর্জালে। অনবদ্য সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বিষয়েই না কথা বলেছেন। বাঙালির বীরত্বের কথা বলতে বলতে তিনি বিশ্বের নানা দেশের মানুষের কথাও বলেছেন, যাঁরা বাংলার স্বাধীনতাসংগ্রামকে সমর্থন করেছিলেন।
এ কথা এখন সবাই জানেন, বঙ্গবন্ধুকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল মিয়ানওয়ালি জেলে। এ কথাও কেউ কেউ জানেন যে এই জেলখানাটি ছিল জেনারেল নিয়াজীর শহরে। ১৬ ডিসেম্বর যৌথ কমান্ডের কাছে নিয়াজী যখন আত্মসমর্পণ করেছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধুর দেখভাল করা জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে এখানে বঙ্গবন্ধু আর নিরাপদ নন। নিয়াজীর শহরের বন্দীরা বঙ্গবন্ধুর জীবনকে ঝুঁকির মুখে নিয়ে যেতে পারে। তখন তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের পরপরই চলে গেলেন এমন এক গোপন জায়গায়, যেখানে একটি বড় প্রকল্পের কাজ হচ্ছিল। সেই প্রকল্পে ফাঁকা বাংলায় থাকতে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধুকে এবং ২৬ ডিসেম্বর একটি হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আসা হলো শিহালায়। সেখানেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এলেন জুলফিকার আলী ভুট্টো।
বঙ্গবন্ধু প্রথমে ভেবেছিলেন, ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর মতো ডিটেনশনে আছেন। ভুট্টো পরিষ্কার করে বললেন, তিনি এখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
বঙ্গবন্ধু হাসতে হাসতে বললেন, ‘আপনি কী করে প্রেসিডেন্ট হলেন, যেখানে জাতীয় পরিষদে আপনার চেয়ে দ্বিগুণ আসন আমি লাভ করেছি!’
বঙ্গবন্ধু তখনো জানতেন না এ সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়েছে। তাদের দাম্ভিক উচ্চারণ নিঃশেষিত। পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে তারা পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে চলে এসেছে। এখন পূর্ব পাকিস্তানের নাম বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর এই না জানার সুযোগ নিয়ে ভুট্টো বলার চেষ্টা করছিলেন, এখনো সময় আছে একসঙ্গে থাকার। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, আমি বাংলাদেশে ফিরতে চাই।’
ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে সে আশ্বাস দিলেন। কিন্তু তাঁর যাত্রাপথ নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দেয়। শেষে ভুট্টো করাচি থেকে একটি উড়োজাহাজ আনার নির্দেশ দিলেন। বঙ্গবন্ধুকে উড়োজাহাজ পর্যন্ত এস্কর্ট করে আনলেন ভুট্টো। ঠিক হয়েছিল লন্ডন পৌঁছানোর এক ঘণ্টা আগপর্যন্ত এই বিমান ভ্রমণ সম্পর্কে কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে না। যেসব দেশের ওপর দিয়ে বিমানটি যাবে তাদের বলা হবে এটি পাকিস্তানের কৌশলগত কার্গো বহনকারী একটি বিমান। বঙ্গবন্ধু লন্ডন পৌঁছেছিলেন ৮ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে।
ততক্ষণে ব্রিটিশ সরকার জেনে গেছে, এই বিমানে করে এসেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। বঙ্গবন্ধুর পরনে ছিল সাদা হাওয়াই শার্টের ওপর ধূসর রঙের স্যুট এবং তার ওপর ওভারকোট।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের ইয়ান সাদারল্যান্ড বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা ও আবাসের ব্যবস্থা করার দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু চাইছিলেন আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে, কিন্তু আবু সাঈদ চৌধুরী রওনা হয়ে গেছেন ঢাকার পথে। রেজাউল করিম তখন ছিলেন বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্বে। টেলিফোনে তিনি জানলেন বঙ্গবন্ধু লন্ডনে এসেছেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি রওনা দিলেন হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে।
বঙ্গবন্ধুকে রাখা হলো ক্ল্যারিজেস হোটেলে। বলা হলো, দুপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এদিকে ঢাকায় পৌঁছে গেল বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংবাদ। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, কর্নেল ওসমানী, কে এম ওবায়দুর রহমান, শেখ মণি, সাজেদা চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ পৌঁছে গেলেন বেগম মুজিবের তখনকার আবাসস্থল ১৮ নম্বরের বাড়িতে।
বঙ্গবন্ধু ফোন করলেন। ফোন ধরেছিলেন সৈয়দ শাজাহান। বঙ্গবন্ধু জিজ্ঞেস করলেন, ‘সিরাজকে নাকি ওরা মেরে ফেলেছে?’
লন্ডনেই বঙ্গবন্ধু তাঁর বন্ধু ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছিলেন। খবরটি শোনার পর তিনি বলে ওঠেন, ‘আহ!’
এরপর তিনি তাজউদ্দীন আহমদকে বলেন, ‘হ্যালো তাজউদ্দীন, আমার দেশবাসী কেমন আছে? আমি এখন সাংবাদিকদ্বারা পরিবেষ্টিত। আমি তাদের কাছে কী বলব? পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কি আমার দেশবাসীকে হত্যা করেছে?’
তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধুকে জানান যে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে এবং অসংখ্য লোক দেশছাড়া হয়েছে। সব রকমের দুঃখ-কষ্ট সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসাধারণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অবিচল আস্থা রেখে দেশকে মুক্ত করার জন্য অস্ত্র ধারণ করেছে। নেতার প্রতি তাদের অগাধ ভালোবাসা ও বিশ্বাস এখনো অক্ষুণ্ন রয়েছে।
৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর টেলিফোনে আলাপ হয়। বঙ্গবন্ধু যখন বলেন, আমি আপনার নিকট একান্ত কৃতজ্ঞ, তখন ভারতীয় নেত্রী বলেন, ‘কিন্তু আসলে আমরাই আপনার নিকট কৃতজ্ঞ, কারণ আপনি আপনার দেশবাসীকে স্বাধীনতাসংগ্রামে প্রেরণা দিয়েছেন।’
বেগম মুজিব যখন তাঁর স্বামীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা শুরু করেন, তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। বঙ্গবন্ধু বেগম মুজিবকে জানান, তিনি পরে ঢাকায় আসার পরিকল্পনা সম্পর্কে বেগম মুজিবকে অবহিত করবেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কথা বলেছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি এবং তোফায়েল আহমেদের সঙ্গেও।
লন্ডনে সেদিন বিরোধীদলীয় নেতা হ্যারল্ড উইলসন এবং বিবিসির ডেভিড ফ্রস্ট এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ ছিলেন লন্ডনের বাইরে। সন্ধ্যায় তিনি ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। এডওয়ার্ড হিথ যখন বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমরা কি আপনার জন্য আর কিছু করতে পারি?’
উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমার প্রতি আরেকটি আনুকূল্য দেখাতে পারেন, যদি আপনি অনুগ্রহ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের বাংলাদেশে পৌঁছে দিতে একটি বিমান ব্যবহার করতে দেন।’
এডওয়ার্ড হিথ তখনই তাঁর সচিবকে বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিমানটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব কি না। সচিব জানান, পরদিন সকাল ৭টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিমান প্রস্তুত থাকবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অনুরোধ করেছিলেন, স্বদেশে যাওয়ার পথে তিনি যেন একটু ভারতে আসেন। পরদিন দিনের আলো থাকতে থাকতে ঢাকায় পৌঁছাতে হলে ভারতে ছোট্ট একটা যাত্রাবিরতি করে বেলা ৩টার মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছানো সম্ভব এবং সেটা হতে পারে দিল্লিতে, কলকাতায় নয়। বঙ্গবন্ধু বললেন, তাহলে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর হবে কলকাতায়। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন।
দিল্লি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরের পাশেই একটি উন্মুক্ত জায়গায় জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যাত্রাবিরতি ছিল দেড় ঘণ্টার। বঙ্গবন্ধু সেখানে বাংলায় সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছিলেন।
ঢাকা বিমানবন্দরে এক অবিস্মরণীয় সংবর্ধনা পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি খোলা জিপে করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় রেসকোর্স ময়দানে। সেই রেসকোর্স ময়দানে, যেখানে উচ্চারিত হয়েছিল সাতই মার্চের ভাষণ, সেই রেসকোর্স ময়দান, যেখানে রচিত হয়েছিল পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের কাব্য।
বঙ্গবন্ধু অনেক কথার মধ্যে সেদিন বললেন, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “সাত কোটি মানুষের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি ক’রে মানুষ কর নি।” কবিগুরু আজ মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেছে। আমার বাঙালি আজ মানুষ।’
জাহীদ রেজা নূর: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই অপূর্ব ভাষণটির কথা সবাই জানে। ভাষণটি কেউ চাইলেই পড়ে ফেলতে পারবেন অন্তর্জালে। অনবদ্য সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বিষয়েই না কথা বলেছেন। বাঙালির বীরত্বের কথা বলতে বলতে তিনি বিশ্বের নানা দেশের মানুষের কথাও বলেছেন, যাঁরা বাংলার স্বাধীনতাসংগ্রামকে সমর্থন করেছিলেন।
এ কথা এখন সবাই জানেন, বঙ্গবন্ধুকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল মিয়ানওয়ালি জেলে। এ কথাও কেউ কেউ জানেন যে এই জেলখানাটি ছিল জেনারেল নিয়াজীর শহরে। ১৬ ডিসেম্বর যৌথ কমান্ডের কাছে নিয়াজী যখন আত্মসমর্পণ করেছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধুর দেখভাল করা জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে এখানে বঙ্গবন্ধু আর নিরাপদ নন। নিয়াজীর শহরের বন্দীরা বঙ্গবন্ধুর জীবনকে ঝুঁকির মুখে নিয়ে যেতে পারে। তখন তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের পরপরই চলে গেলেন এমন এক গোপন জায়গায়, যেখানে একটি বড় প্রকল্পের কাজ হচ্ছিল। সেই প্রকল্পে ফাঁকা বাংলায় থাকতে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধুকে এবং ২৬ ডিসেম্বর একটি হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আসা হলো শিহালায়। সেখানেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এলেন জুলফিকার আলী ভুট্টো।
বঙ্গবন্ধু প্রথমে ভেবেছিলেন, ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর মতো ডিটেনশনে আছেন। ভুট্টো পরিষ্কার করে বললেন, তিনি এখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
বঙ্গবন্ধু হাসতে হাসতে বললেন, ‘আপনি কী করে প্রেসিডেন্ট হলেন, যেখানে জাতীয় পরিষদে আপনার চেয়ে দ্বিগুণ আসন আমি লাভ করেছি!’
বঙ্গবন্ধু তখনো জানতেন না এ সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়েছে। তাদের দাম্ভিক উচ্চারণ নিঃশেষিত। পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে তারা পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে চলে এসেছে। এখন পূর্ব পাকিস্তানের নাম বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর এই না জানার সুযোগ নিয়ে ভুট্টো বলার চেষ্টা করছিলেন, এখনো সময় আছে একসঙ্গে থাকার। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, আমি বাংলাদেশে ফিরতে চাই।’
ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে সে আশ্বাস দিলেন। কিন্তু তাঁর যাত্রাপথ নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দেয়। শেষে ভুট্টো করাচি থেকে একটি উড়োজাহাজ আনার নির্দেশ দিলেন। বঙ্গবন্ধুকে উড়োজাহাজ পর্যন্ত এস্কর্ট করে আনলেন ভুট্টো। ঠিক হয়েছিল লন্ডন পৌঁছানোর এক ঘণ্টা আগপর্যন্ত এই বিমান ভ্রমণ সম্পর্কে কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে না। যেসব দেশের ওপর দিয়ে বিমানটি যাবে তাদের বলা হবে এটি পাকিস্তানের কৌশলগত কার্গো বহনকারী একটি বিমান। বঙ্গবন্ধু লন্ডন পৌঁছেছিলেন ৮ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে।
ততক্ষণে ব্রিটিশ সরকার জেনে গেছে, এই বিমানে করে এসেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। বঙ্গবন্ধুর পরনে ছিল সাদা হাওয়াই শার্টের ওপর ধূসর রঙের স্যুট এবং তার ওপর ওভারকোট।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের ইয়ান সাদারল্যান্ড বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা ও আবাসের ব্যবস্থা করার দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু চাইছিলেন আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে, কিন্তু আবু সাঈদ চৌধুরী রওনা হয়ে গেছেন ঢাকার পথে। রেজাউল করিম তখন ছিলেন বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্বে। টেলিফোনে তিনি জানলেন বঙ্গবন্ধু লন্ডনে এসেছেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি রওনা দিলেন হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে।
বঙ্গবন্ধুকে রাখা হলো ক্ল্যারিজেস হোটেলে। বলা হলো, দুপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এদিকে ঢাকায় পৌঁছে গেল বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংবাদ। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, কর্নেল ওসমানী, কে এম ওবায়দুর রহমান, শেখ মণি, সাজেদা চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ পৌঁছে গেলেন বেগম মুজিবের তখনকার আবাসস্থল ১৮ নম্বরের বাড়িতে।
বঙ্গবন্ধু ফোন করলেন। ফোন ধরেছিলেন সৈয়দ শাজাহান। বঙ্গবন্ধু জিজ্ঞেস করলেন, ‘সিরাজকে নাকি ওরা মেরে ফেলেছে?’
লন্ডনেই বঙ্গবন্ধু তাঁর বন্ধু ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছিলেন। খবরটি শোনার পর তিনি বলে ওঠেন, ‘আহ!’
এরপর তিনি তাজউদ্দীন আহমদকে বলেন, ‘হ্যালো তাজউদ্দীন, আমার দেশবাসী কেমন আছে? আমি এখন সাংবাদিকদ্বারা পরিবেষ্টিত। আমি তাদের কাছে কী বলব? পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কি আমার দেশবাসীকে হত্যা করেছে?’
তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধুকে জানান যে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে এবং অসংখ্য লোক দেশছাড়া হয়েছে। সব রকমের দুঃখ-কষ্ট সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসাধারণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অবিচল আস্থা রেখে দেশকে মুক্ত করার জন্য অস্ত্র ধারণ করেছে। নেতার প্রতি তাদের অগাধ ভালোবাসা ও বিশ্বাস এখনো অক্ষুণ্ন রয়েছে।
৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর টেলিফোনে আলাপ হয়। বঙ্গবন্ধু যখন বলেন, আমি আপনার নিকট একান্ত কৃতজ্ঞ, তখন ভারতীয় নেত্রী বলেন, ‘কিন্তু আসলে আমরাই আপনার নিকট কৃতজ্ঞ, কারণ আপনি আপনার দেশবাসীকে স্বাধীনতাসংগ্রামে প্রেরণা দিয়েছেন।’
বেগম মুজিব যখন তাঁর স্বামীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা শুরু করেন, তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। বঙ্গবন্ধু বেগম মুজিবকে জানান, তিনি পরে ঢাকায় আসার পরিকল্পনা সম্পর্কে বেগম মুজিবকে অবহিত করবেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কথা বলেছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি এবং তোফায়েল আহমেদের সঙ্গেও।
লন্ডনে সেদিন বিরোধীদলীয় নেতা হ্যারল্ড উইলসন এবং বিবিসির ডেভিড ফ্রস্ট এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ ছিলেন লন্ডনের বাইরে। সন্ধ্যায় তিনি ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। এডওয়ার্ড হিথ যখন বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমরা কি আপনার জন্য আর কিছু করতে পারি?’
উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমার প্রতি আরেকটি আনুকূল্য দেখাতে পারেন, যদি আপনি অনুগ্রহ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের বাংলাদেশে পৌঁছে দিতে একটি বিমান ব্যবহার করতে দেন।’
এডওয়ার্ড হিথ তখনই তাঁর সচিবকে বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিমানটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব কি না। সচিব জানান, পরদিন সকাল ৭টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিমান প্রস্তুত থাকবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অনুরোধ করেছিলেন, স্বদেশে যাওয়ার পথে তিনি যেন একটু ভারতে আসেন। পরদিন দিনের আলো থাকতে থাকতে ঢাকায় পৌঁছাতে হলে ভারতে ছোট্ট একটা যাত্রাবিরতি করে বেলা ৩টার মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছানো সম্ভব এবং সেটা হতে পারে দিল্লিতে, কলকাতায় নয়। বঙ্গবন্ধু বললেন, তাহলে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর হবে কলকাতায়। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন।
দিল্লি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরের পাশেই একটি উন্মুক্ত জায়গায় জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যাত্রাবিরতি ছিল দেড় ঘণ্টার। বঙ্গবন্ধু সেখানে বাংলায় সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছিলেন।
ঢাকা বিমানবন্দরে এক অবিস্মরণীয় সংবর্ধনা পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি খোলা জিপে করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় রেসকোর্স ময়দানে। সেই রেসকোর্স ময়দানে, যেখানে উচ্চারিত হয়েছিল সাতই মার্চের ভাষণ, সেই রেসকোর্স ময়দান, যেখানে রচিত হয়েছিল পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের কাব্য।
বঙ্গবন্ধু অনেক কথার মধ্যে সেদিন বললেন, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “সাত কোটি মানুষের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি ক’রে মানুষ কর নি।” কবিগুরু আজ মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেছে। আমার বাঙালি আজ মানুষ।’
জাহীদ রেজা নূর: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই অপূর্ব ভাষণটির কথা সবাই জানে। ভাষণটি কেউ চাইলেই পড়ে ফেলতে পারবেন অন্তর্জালে। অনবদ্য সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বিষয়েই না কথা বলেছেন। বাঙালির বীরত্বের কথা বলতে বলতে তিনি বিশ্বের নানা দেশের মানুষের কথাও বলেছেন, যাঁরা বাংলার স্বাধীনতাসংগ্রামকে
১০ জানুয়ারি ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই অপূর্ব ভাষণটির কথা সবাই জানে। ভাষণটি কেউ চাইলেই পড়ে ফেলতে পারবেন অন্তর্জালে। অনবদ্য সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বিষয়েই না কথা বলেছেন। বাঙালির বীরত্বের কথা বলতে বলতে তিনি বিশ্বের নানা দেশের মানুষের কথাও বলেছেন, যাঁরা বাংলার স্বাধীনতাসংগ্রামকে
১০ জানুয়ারি ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই অপূর্ব ভাষণটির কথা সবাই জানে। ভাষণটি কেউ চাইলেই পড়ে ফেলতে পারবেন অন্তর্জালে। অনবদ্য সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বিষয়েই না কথা বলেছেন। বাঙালির বীরত্বের কথা বলতে বলতে তিনি বিশ্বের নানা দেশের মানুষের কথাও বলেছেন, যাঁরা বাংলার স্বাধীনতাসংগ্রামকে
১০ জানুয়ারি ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই অপূর্ব ভাষণটির কথা সবাই জানে। ভাষণটি কেউ চাইলেই পড়ে ফেলতে পারবেন অন্তর্জালে। অনবদ্য সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত বিষয়েই না কথা বলেছেন। বাঙালির বীরত্বের কথা বলতে বলতে তিনি বিশ্বের নানা দেশের মানুষের কথাও বলেছেন, যাঁরা বাংলার স্বাধীনতাসংগ্রামকে
১০ জানুয়ারি ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫