ফিয়াদ নওশাদ ইয়ামিন
জন্ম থেকে হৃৎপিণ্ডে জটিলতা। বড় হয়ে চাকরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে জীবন থেমে থাকেনি। নিজের চারপাশে মানুষজনের উৎসাহ, ভালোবাসা আর সহানুভূতি তাঁকে সাহস দিয়েছে, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। একসময় অনলাইনে বসে দেখতে পান, কেউ একজন অন্যকে কাজ শেখাচ্ছেন। ঠিক তখনই মনে হয়, ‘আমি কেন পারব না?’ সেই ভাবনা থেকে শুরু হয় তাঁর নতুন পথচলা।
বলছি ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় জন্ম নেওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাতের গল্প। নিজের সংগ্রাম থেকে শিখেছেন, উন্নতির জন্য শুধু ডিগ্রি নয়; দরকার স্বপ্ন, সাহস আর সহায়তার একটি হাত। আজ সেই সহায়তার হাত তিনি নিজেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন অন্য নারীদের দিকে।
পরিবার নয়, নিজের শক্তিই ভরসা
সব পরিবার এক রকম হয় না। জান্নাত জানতেন, সবাই পরিবারের সহায়তা পায় না, বিশেষ করে নারীরা। তাই তিনি নিজের অর্থ ও শ্রম দিয়ে একেকজন নারীর ভেতরের আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমন নারীদের নিয়ে কাজ করি, যাঁরা নিজের চেষ্টায় কিছু করতে চান—যাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, কিন্তু নিজেই দাঁড়াতে চান।’
আত্মশিক্ষায় এগিয়ে চলা
ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম ঘেঁটে কীভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়, তা রপ্ত করেন জান্নাত। শুরু করেন নিজের পরিচয়ে চিনে নেওয়ার লড়াই। নিজে নিজে দাঁড়িয়ে যাওয়ার মতো শক্তি তিনি পেয়েছেন আত্মবিশ্বাস থেকে। এখন চান, তাঁর পাশে যাঁরা আছেন, তাঁরাও নিজের পরিচয়ে দাঁড়াক। সে জন্য তিনি এমন এক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন, যেখানে মেয়েরা নিজেদের মতো করে বড় হওয়ার সাহস পায়।
বি এইচ বিজনেস ক্লাবের জন্ম
জান্নাতের হাত ধরে গড়ে ওঠে বি এইচ বিজনেস ক্লাব। এখানে নারী ও তরুণেরা নিজেদের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পথ খুঁজে পান।
এই ক্লাবের মূল লক্ষ্য, নারী ও তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা ভাবনা তৈরি করা এবং তাঁদের সেই পথ পাড়ি দিতে সহায়ক হওয়া। এই ক্লাবের প্রতিটি কোর্স, প্রতিটি ওয়ার্কশপ শুধুই পণ্যের ওপর ভিত্তি করে নয়; বরং শেখানো হয় আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা এবং নিজের পরিচয় গড়ে তোলার পদ্ধতি।
অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা, হ্যান্ডমেইড পণ্য, কেক বেকিং, ফ্যাশন, সেলাই, ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি—সবকিছু এখানে শেখানো হয় বাস্তবমুখী পদ্ধতিতে। এই ক্লাব ঘিরে যাঁরা আছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন, নিজের পায়ে দাঁড়ানো মানে শুধু উপার্জন নয়; এটা সম্মান, আত্মবিশ্বাস আর সমাজে নিজের জায়গা খুঁজে নেওয়ার সংগ্রাম।
প্রতিবছরের আয়োজন
২০২২ সাল থেকে বি এইচ বিজনেস ক্লাব প্রতিবছর বিশেষ দিনে এবং বিভিন্ন উৎসব সামনে রেখে আয়োজন করে উদ্যোক্তা মেলা। প্রতিটি মেলায় অংশ নেন শতাধিক উদ্যোক্তা, যাঁদের অনেকে জীবনে প্রথম নিজেদের পণ্য, নিজস্ব ব্র্যান্ডের নাম লিখে তুলে ধরেন সবার সামনে। মেলার বাইরেও ক্লাবের আছে বিভিন্ন কার্যক্রম। উদ্যোক্তাদের দক্ষ করে তুলতে ক্লাবটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করে বিভিন্ন বিষয়ে।
এই ক্লাবের মাধ্যমে এরই মধ্যে অনেক নারী নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছেন। কেউ চালু করেছেন অনলাইন বুটিক, কেউ তৈরি করছেন কেক ও হোমমেইড পণ্যের শপ, কেউ আবার অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে আয় করছেন ঘরে থেকে। জান্নাতের কথায়, ‘শুধু উদ্যোক্তা হওয়া জরুরি নয়, উদ্যোগ তৈরি করাও জরুরি। আমি চাই, মেয়েরা নিজেদের খুঁজে পাক নিজ নিজ পছন্দে।’

জন্ম থেকে হৃৎপিণ্ডে জটিলতা। বড় হয়ে চাকরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে জীবন থেমে থাকেনি। নিজের চারপাশে মানুষজনের উৎসাহ, ভালোবাসা আর সহানুভূতি তাঁকে সাহস দিয়েছে, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। একসময় অনলাইনে বসে দেখতে পান, কেউ একজন অন্যকে কাজ শেখাচ্ছেন। ঠিক তখনই মনে হয়, ‘আমি কেন পারব না?’ সেই ভাবনা থেকে শুরু হয় তাঁর নতুন পথচলা।
বলছি ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় জন্ম নেওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাতের গল্প। নিজের সংগ্রাম থেকে শিখেছেন, উন্নতির জন্য শুধু ডিগ্রি নয়; দরকার স্বপ্ন, সাহস আর সহায়তার একটি হাত। আজ সেই সহায়তার হাত তিনি নিজেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন অন্য নারীদের দিকে।
পরিবার নয়, নিজের শক্তিই ভরসা
সব পরিবার এক রকম হয় না। জান্নাত জানতেন, সবাই পরিবারের সহায়তা পায় না, বিশেষ করে নারীরা। তাই তিনি নিজের অর্থ ও শ্রম দিয়ে একেকজন নারীর ভেতরের আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমন নারীদের নিয়ে কাজ করি, যাঁরা নিজের চেষ্টায় কিছু করতে চান—যাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, কিন্তু নিজেই দাঁড়াতে চান।’
আত্মশিক্ষায় এগিয়ে চলা
ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম ঘেঁটে কীভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়, তা রপ্ত করেন জান্নাত। শুরু করেন নিজের পরিচয়ে চিনে নেওয়ার লড়াই। নিজে নিজে দাঁড়িয়ে যাওয়ার মতো শক্তি তিনি পেয়েছেন আত্মবিশ্বাস থেকে। এখন চান, তাঁর পাশে যাঁরা আছেন, তাঁরাও নিজের পরিচয়ে দাঁড়াক। সে জন্য তিনি এমন এক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন, যেখানে মেয়েরা নিজেদের মতো করে বড় হওয়ার সাহস পায়।
বি এইচ বিজনেস ক্লাবের জন্ম
জান্নাতের হাত ধরে গড়ে ওঠে বি এইচ বিজনেস ক্লাব। এখানে নারী ও তরুণেরা নিজেদের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পথ খুঁজে পান।
এই ক্লাবের মূল লক্ষ্য, নারী ও তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা ভাবনা তৈরি করা এবং তাঁদের সেই পথ পাড়ি দিতে সহায়ক হওয়া। এই ক্লাবের প্রতিটি কোর্স, প্রতিটি ওয়ার্কশপ শুধুই পণ্যের ওপর ভিত্তি করে নয়; বরং শেখানো হয় আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা এবং নিজের পরিচয় গড়ে তোলার পদ্ধতি।
অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা, হ্যান্ডমেইড পণ্য, কেক বেকিং, ফ্যাশন, সেলাই, ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি—সবকিছু এখানে শেখানো হয় বাস্তবমুখী পদ্ধতিতে। এই ক্লাব ঘিরে যাঁরা আছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন, নিজের পায়ে দাঁড়ানো মানে শুধু উপার্জন নয়; এটা সম্মান, আত্মবিশ্বাস আর সমাজে নিজের জায়গা খুঁজে নেওয়ার সংগ্রাম।
প্রতিবছরের আয়োজন
২০২২ সাল থেকে বি এইচ বিজনেস ক্লাব প্রতিবছর বিশেষ দিনে এবং বিভিন্ন উৎসব সামনে রেখে আয়োজন করে উদ্যোক্তা মেলা। প্রতিটি মেলায় অংশ নেন শতাধিক উদ্যোক্তা, যাঁদের অনেকে জীবনে প্রথম নিজেদের পণ্য, নিজস্ব ব্র্যান্ডের নাম লিখে তুলে ধরেন সবার সামনে। মেলার বাইরেও ক্লাবের আছে বিভিন্ন কার্যক্রম। উদ্যোক্তাদের দক্ষ করে তুলতে ক্লাবটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করে বিভিন্ন বিষয়ে।
এই ক্লাবের মাধ্যমে এরই মধ্যে অনেক নারী নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছেন। কেউ চালু করেছেন অনলাইন বুটিক, কেউ তৈরি করছেন কেক ও হোমমেইড পণ্যের শপ, কেউ আবার অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে আয় করছেন ঘরে থেকে। জান্নাতের কথায়, ‘শুধু উদ্যোক্তা হওয়া জরুরি নয়, উদ্যোগ তৈরি করাও জরুরি। আমি চাই, মেয়েরা নিজেদের খুঁজে পাক নিজ নিজ পছন্দে।’

আগামীকাল নতুন একটি বছর শুরু করতে যাচ্ছে পৃথিবী। ২০২৫ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরে সবারই প্রত্যাশা থাকছে ইতিবাচক কিছুর। তবে পেছনে ফিরে তাকালে গত বছরটি নারী অধিকার এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে রেখে গেছে এক মিশ্র অভিজ্ঞতা। ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দেখা গেছে পরিকল্পনা...
১৫ ঘণ্টা আগে
বই মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে— এই সত্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে নূজহাত নাছিম দিয়ার জীবনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি শান্ত, বইপ্রেমী পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন দিয়া। পরিবারে মা-বাবা ও দুই ভাই সব সময় তাঁকে পড়াশোনা এবং সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় থাকা নতুন বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। যুগে যুগে বছরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে ট্রেন্ড। কিন্তু আজও যখন আমরা আধুনিক প্রসাধনশিল্পের দিকে তাকাই, তখন একটি নাম ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—এলিজাবেথ আরডেন। ১৮৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কানাডার ওন্টারিওতে এক খামারে ফ্লোরেন্স...
১৬ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের কথা মনে হলে কিছু জনপ্রিয় গানের কথা সামনে আসে। জানেন কি, হিমেল হাওয়ার পরশ আর আলোকসজ্জার রোশনাইয়ের মধ্যে যে সুরগুলো আমাদের কানে বাজে, সেগুলো সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে একদল নারী। তাঁদের লেখা, কণ্ঠ আর সুরের জাদুকরী মিশেলে বড়দিন পেয়েছে এক অনন্য রূপ।...
৬ দিন আগে