আন্তর্জাতিক নারী
ফিচার ডেস্ক
প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ পাচারের শিকার হয়। পাচার হওয়া এসব মানুষের মধ্যে নারী, কিশোরী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। পৃথিবীতে এমন অনেক সংগঠন আছে, যেগুলো পাচারের শিকার হওয়া এসব মানুষের পুনর্বাসনে কাজ করে, তাদের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নে সাহায্য করে। বিশ্বব্যাপী মানব পাচারের অন্ধকার বাস্তবতা উন্মোচনে কাজ করছেন এক সন্ন্যাসিনী। তাঁর নাম সিস্টার ইউজেনিয়া বোনেত্তি। তিনি যৌন শোষণে নিপীড়িত নারীদের লড়াইয়ের সঙ্গে যুক্ত। সিস্টার বোনেত্তির এ লড়াই আধুনিক দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেককে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। যৌন ব্যবসায় অনিচ্ছায় যুক্ত হওয়া নারীদের আধুনিক দাস হিসেবে দেখা হয়। এতে বাধ্য হওয়া নারীদের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।
বোনেত্তি ২৪ বছরের বেশি সময় ধরে কেনিয়ায় মিশনারি হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের পাচারবিরোধী উদ্যোগ তৈরি করতে প্রশিক্ষণ দিতে সহায়তা করেছেন। বোনেত্তি রোমে যৌন ব্যবসায় জোর করে বাধ্য করা নারীদের সহায়তায় বহু রাত কাটিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। তিনি কনস্যুলেট মিশনারি সিস্টার্সের সদস্য
কেনিয়ায় মিশনারি হিসেবে কাজ করার সময় বোনেত্তি স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর কাজ শুধু পাচারের শিকার নারীদের সরাসরি সহায়তা দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে পাচারবিরোধী ব্যবস্থাপনা এবং নীতিমালা বাস্তবায়নেও সহায়তা করেছেন। বোনেত্তি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন মানব পাচারের শিকার, বিশেষ করে অভিবাসী নারীদের সহায়তায়। তিনি বহু বছর ধরে যৌন ব্যবসায় বাধ্য হওয়া অভিবাসী নারীদের সহায়তা করেছেন, তাঁদের পালাতে সাহায্য করেছেন এবং আশ্রয় দিয়েছেন। ইউজেনিয়া বোনেত্তি পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নারীদের নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং সহায়তা দেওয়া হয়।
বোনেত্তি প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটির নাম ‘স্লেইভস নো মোর’। এ সংগঠন মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করে। সংগঠনটি ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তা, পরামর্শ এবং পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করে দেয়। বোনেত্তির নেতৃত্বে সংগঠনটি আধুনিক দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি সংগঠনটি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় পলিসি পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়েও কাজ করছে।
বোনেত্তি তাঁর কাজের পরিধি বিস্তৃত করেছেন আফ্রিকায়ও। সেখানকার বিভিন্ন দেশে সন্ন্যাসিনীদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে পাচারের শিকার নারীদের বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়। এই নেটওয়ার্ক বিপদগ্রস্ত নারীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন পথের সন্ধান দেয় এবং আরও শোষণ রোধে কাজ করে। বোনেত্তির কাজ ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকৃত। তিনি পোপ ফ্রান্সিসসহ পৃথিবীর ক্যাথলিক চার্চের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন এ বিষয়ে।
অবসরে যাওয়ার আগে পোপ ফ্রান্সিস ২০১৯ সালে বোনেত্তিকে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লেখার অনুরোধ করেছিলেন। সিস্টার ইউজেনিয়া বোনেত্তি তাঁর কর্মজীবনে মানব পাচারের বিরুদ্ধে কাজের জন্য একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে দেওয়া ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ পুরস্কার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেওয়া ইউরোপীয় সিটিজেনস প্রাইজ।
প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ পাচারের শিকার হয়। পাচার হওয়া এসব মানুষের মধ্যে নারী, কিশোরী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। পৃথিবীতে এমন অনেক সংগঠন আছে, যেগুলো পাচারের শিকার হওয়া এসব মানুষের পুনর্বাসনে কাজ করে, তাদের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নে সাহায্য করে। বিশ্বব্যাপী মানব পাচারের অন্ধকার বাস্তবতা উন্মোচনে কাজ করছেন এক সন্ন্যাসিনী। তাঁর নাম সিস্টার ইউজেনিয়া বোনেত্তি। তিনি যৌন শোষণে নিপীড়িত নারীদের লড়াইয়ের সঙ্গে যুক্ত। সিস্টার বোনেত্তির এ লড়াই আধুনিক দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেককে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। যৌন ব্যবসায় অনিচ্ছায় যুক্ত হওয়া নারীদের আধুনিক দাস হিসেবে দেখা হয়। এতে বাধ্য হওয়া নারীদের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।
বোনেত্তি ২৪ বছরের বেশি সময় ধরে কেনিয়ায় মিশনারি হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের পাচারবিরোধী উদ্যোগ তৈরি করতে প্রশিক্ষণ দিতে সহায়তা করেছেন। বোনেত্তি রোমে যৌন ব্যবসায় জোর করে বাধ্য করা নারীদের সহায়তায় বহু রাত কাটিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। তিনি কনস্যুলেট মিশনারি সিস্টার্সের সদস্য
কেনিয়ায় মিশনারি হিসেবে কাজ করার সময় বোনেত্তি স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর কাজ শুধু পাচারের শিকার নারীদের সরাসরি সহায়তা দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে পাচারবিরোধী ব্যবস্থাপনা এবং নীতিমালা বাস্তবায়নেও সহায়তা করেছেন। বোনেত্তি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন মানব পাচারের শিকার, বিশেষ করে অভিবাসী নারীদের সহায়তায়। তিনি বহু বছর ধরে যৌন ব্যবসায় বাধ্য হওয়া অভিবাসী নারীদের সহায়তা করেছেন, তাঁদের পালাতে সাহায্য করেছেন এবং আশ্রয় দিয়েছেন। ইউজেনিয়া বোনেত্তি পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নারীদের নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং সহায়তা দেওয়া হয়।
বোনেত্তি প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটির নাম ‘স্লেইভস নো মোর’। এ সংগঠন মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করে। সংগঠনটি ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তা, পরামর্শ এবং পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করে দেয়। বোনেত্তির নেতৃত্বে সংগঠনটি আধুনিক দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি সংগঠনটি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় পলিসি পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়েও কাজ করছে।
বোনেত্তি তাঁর কাজের পরিধি বিস্তৃত করেছেন আফ্রিকায়ও। সেখানকার বিভিন্ন দেশে সন্ন্যাসিনীদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে পাচারের শিকার নারীদের বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়। এই নেটওয়ার্ক বিপদগ্রস্ত নারীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন পথের সন্ধান দেয় এবং আরও শোষণ রোধে কাজ করে। বোনেত্তির কাজ ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকৃত। তিনি পোপ ফ্রান্সিসসহ পৃথিবীর ক্যাথলিক চার্চের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন এ বিষয়ে।
অবসরে যাওয়ার আগে পোপ ফ্রান্সিস ২০১৯ সালে বোনেত্তিকে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লেখার অনুরোধ করেছিলেন। সিস্টার ইউজেনিয়া বোনেত্তি তাঁর কর্মজীবনে মানব পাচারের বিরুদ্ধে কাজের জন্য একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে দেওয়া ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ পুরস্কার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেওয়া ইউরোপীয় সিটিজেনস প্রাইজ।
দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে গত বছর। বছরটি নারীর জন্য ছিল অম্ল-মধুর। যে বিষয়টি বলার তা হলো, বিভিন্ন পদক্ষেপ, আইন, শাস্তি—কোনো কিছুই নারীর প্রতি সহিংসতা আর নির্যাতন বন্ধ করতে পারছে না।
৪ দিন আগেজামেলা খাতুনের বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। কোটরাগত দুচোখ তাঁর সর্বস্ব হারানোর বিশদ উপাখ্যান। স্বামী সমেজ মিয়াকে হারিয়েছেন এক যুগ আগে। যমুনার ভাঙনে হারিয়েছেন ঘরবাড়ি। মানসিক ভারসাম্যহীন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। স্বামী মারা যাওয়ার..
৪ দিন আগেআমার বয়স ১৮ বছর, স্বামীর ৪৫। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছিল দেড় বছর আগে। আমার ননদ বিয়ের সূত্রে অন্য জেলায় থাকে এবং পারিবারিক ব্যাপারে নাক গলায়। নানা রকম মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছি গত দেড় বছরে। আমার ভরণপোষণও ঠিকমতো দেয়নি তারা। বাড়ির একটি রুম নিয়ে পারলার দিয়েছিলাম...
৪ দিন আগেএকজন বন্দী কারাগারে থেকে কিসের বিনিময়ে ভালো সেবা পেতে পারেন? অনেকের মনে ঘুরতে পারে এর অনেক উত্তর। কিন্তু যদি শোনেন, এই ‘বিনিময়’ সেই বন্দীর পরিবারকে দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রস্তাব! অনেকে হোঁচট খাবেন। তেমনই এক ঘটনার কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন
৪ দিন আগে