মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

বড় হয়ে কে কী হবেন—স্বপ্নের সেই অঙ্কুর শৈশবেই পাখা মেলতে শুরু করে অনেকের। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আবার সব ছেড়ে নতুন কিছু করারও স্বপ্ন দেখেন। জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে কেউ সেসব স্বপ্ন সফল করতে পারেন, কেউবা একেবারেই ভিন্ন কোনো পেশায় যুক্ত হয়ে যান।
স্বপ্নের শুরু
মুন্সিগঞ্জের জান্নাতুল ফেরদাউস রিক্তা পেশায় একজন স্থপতি। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জেই পড়ালেখা এবং এরপর নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর চাকরি করেন প্রায় তিন বছর। যদিও সংসার সামলে শেষ পর্যন্ত ৯টা-৫টা অফিসে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে পারেননি। তাই চাকরিকে বিদায় জানিয়ে শুরু করেন ‘ভূমি আর্টিজান’-এর যাত্রা, ২০২০ সালের আগস্টের শুরুর দিকে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য পিছিয়ে থাকা কারিগরদের একত্র করে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন জান্নাতুল। এটা তাঁর শখও বলা যেতে পারে। ২০২০ সালে করোনাকালে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকা অনেকের পক্ষে কঠিন ছিল। সেই সময়ে তিনি একজন বেতের কারিগরকে খুব কাছ থেকে দেখেন। ওই কারিগর কাজ জানতেন, কিন্তু তখন তাঁর হাতে কোনো কাজ ছিল না, ঋণে জর্জরিত ছিলেন। তাঁকে দেখে জান্নাতুল দেশের সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে থাকা কারিগরদের নিয়মিত আয়ের উৎস খোঁজার চিন্তা করেন। যেহেতু তিনি একজন স্থপতি, তাই তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে বেড়ান কারিগর খুঁজতে। এমন কারিগর খুঁজতে থাকেন, যাঁদের ওপর ভরসা করে তাঁর মেধা আর পরিশ্রমকে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
পরিবেশবান্ধব উপকরণ
আমাদের দেশে নানান অজুহাতে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। একের পর এক উজাড় হয়ে যাচ্ছে বন। স্থপতি জান্নাতুল চান তাঁর উদ্যোগের পণ্য হবে পরিবেশবান্ধব, দেশীয় কারিগর এবং কাঁচামালে তৈরি। তিনি বন উজাড় করে আসবাব তৈরি না করে কাঠের বিকল্প পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘস্থায়ী জিনিসের খোঁজ করতে থাকেন।
অনেক চিন্তাভাবনার পর কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ও বেতকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি পোড়ামাটির জিনিসপত্রে বাঁশ-বেতের শৈল্পিক কারুকার্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। জান্নাতুল মনে করেন, একজন স্থপতি ও উদ্যোক্তা হিসেবে দেশীয় কাঁচামাল এবং কারিগরের তৈরি পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন তিনি। এটাই তাঁর সফলতা।
অনুপ্রেরণা
স্থাপত্য পেশায় অনেকেই ভবনের নকশা বা স্পেস ডিজাইন করেন। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো আসবাব। এই স্পেস ঠিকমতো ব্যবহারের উপযোগী করতে হলে তার সঙ্গে মিল রেখে আসবাব ও গৃহসজ্জাসামগ্রী দরকার। আসবাব ডিজাইন করা মূলত স্থাপত্য পেশারই একটি অংশ। বহির্বিশ্বের পাশাপাশি দেশেও বহু স্বনামধন্য স্থপতি রয়েছেন, যাঁরা স্থাপত্যচর্চার পাশাপাশি চিত্রকর্ম, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি, চলচ্চিত্র নির্মাণ ইত্যাদিতে জড়িত আছেন। জান্নাতুল তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আসবাব ও তাঁর গৃহসজ্জাসামগ্রীর নকশা করতে শুরু করেন।
ভবিষ্যতের চিন্তা
বাঁশ, বেত ও মাটি নিয়ে কাজ করেন বলে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে শুরুর দিকে অনেক নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু সেসব কথা জান্নাতুল খুব একটা আমলে নেননি। তিনি মনে করেন, বাঁশ-বেত-মাটি যাঁরা অবহেলা করেন, তাঁদের জীবনবোধে ঘাটতি আছে। কারণ, সুদীর্ঘকাল থেকে এসব আমাদের জীবনাচরণের সঙ্গে জড়িত।
ইতিমধ্যে বাঁশ, বেত ও মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের দুটি ডিসপ্লে কর্নার তৈরি করেছেন জান্নাতুল। বাঁশ, বেত ও মাটির পণ্যের পাশাপাশি পাট নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে তিনি একটি আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখান থেকে কারিগরি শিক্ষা নিয়ে আগামী প্রজন্মের নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। ‘ভূমি আর্টিজান’কে দেশে এবং দেশের বাইরে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখানে একই ছাদের নিচে পরিবেশবান্ধব গৃহসজ্জাসামগ্রী এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য সব তৈজসপত্র পাওয়া যাবে।

বড় হয়ে কে কী হবেন—স্বপ্নের সেই অঙ্কুর শৈশবেই পাখা মেলতে শুরু করে অনেকের। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আবার সব ছেড়ে নতুন কিছু করারও স্বপ্ন দেখেন। জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে কেউ সেসব স্বপ্ন সফল করতে পারেন, কেউবা একেবারেই ভিন্ন কোনো পেশায় যুক্ত হয়ে যান।
স্বপ্নের শুরু
মুন্সিগঞ্জের জান্নাতুল ফেরদাউস রিক্তা পেশায় একজন স্থপতি। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জেই পড়ালেখা এবং এরপর নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর চাকরি করেন প্রায় তিন বছর। যদিও সংসার সামলে শেষ পর্যন্ত ৯টা-৫টা অফিসে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে পারেননি। তাই চাকরিকে বিদায় জানিয়ে শুরু করেন ‘ভূমি আর্টিজান’-এর যাত্রা, ২০২০ সালের আগস্টের শুরুর দিকে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য পিছিয়ে থাকা কারিগরদের একত্র করে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন জান্নাতুল। এটা তাঁর শখও বলা যেতে পারে। ২০২০ সালে করোনাকালে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকা অনেকের পক্ষে কঠিন ছিল। সেই সময়ে তিনি একজন বেতের কারিগরকে খুব কাছ থেকে দেখেন। ওই কারিগর কাজ জানতেন, কিন্তু তখন তাঁর হাতে কোনো কাজ ছিল না, ঋণে জর্জরিত ছিলেন। তাঁকে দেখে জান্নাতুল দেশের সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে থাকা কারিগরদের নিয়মিত আয়ের উৎস খোঁজার চিন্তা করেন। যেহেতু তিনি একজন স্থপতি, তাই তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে বেড়ান কারিগর খুঁজতে। এমন কারিগর খুঁজতে থাকেন, যাঁদের ওপর ভরসা করে তাঁর মেধা আর পরিশ্রমকে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
পরিবেশবান্ধব উপকরণ
আমাদের দেশে নানান অজুহাতে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। একের পর এক উজাড় হয়ে যাচ্ছে বন। স্থপতি জান্নাতুল চান তাঁর উদ্যোগের পণ্য হবে পরিবেশবান্ধব, দেশীয় কারিগর এবং কাঁচামালে তৈরি। তিনি বন উজাড় করে আসবাব তৈরি না করে কাঠের বিকল্প পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘস্থায়ী জিনিসের খোঁজ করতে থাকেন।
অনেক চিন্তাভাবনার পর কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ও বেতকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি পোড়ামাটির জিনিসপত্রে বাঁশ-বেতের শৈল্পিক কারুকার্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। জান্নাতুল মনে করেন, একজন স্থপতি ও উদ্যোক্তা হিসেবে দেশীয় কাঁচামাল এবং কারিগরের তৈরি পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন তিনি। এটাই তাঁর সফলতা।
অনুপ্রেরণা
স্থাপত্য পেশায় অনেকেই ভবনের নকশা বা স্পেস ডিজাইন করেন। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো আসবাব। এই স্পেস ঠিকমতো ব্যবহারের উপযোগী করতে হলে তার সঙ্গে মিল রেখে আসবাব ও গৃহসজ্জাসামগ্রী দরকার। আসবাব ডিজাইন করা মূলত স্থাপত্য পেশারই একটি অংশ। বহির্বিশ্বের পাশাপাশি দেশেও বহু স্বনামধন্য স্থপতি রয়েছেন, যাঁরা স্থাপত্যচর্চার পাশাপাশি চিত্রকর্ম, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি, চলচ্চিত্র নির্মাণ ইত্যাদিতে জড়িত আছেন। জান্নাতুল তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আসবাব ও তাঁর গৃহসজ্জাসামগ্রীর নকশা করতে শুরু করেন।
ভবিষ্যতের চিন্তা
বাঁশ, বেত ও মাটি নিয়ে কাজ করেন বলে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে শুরুর দিকে অনেক নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু সেসব কথা জান্নাতুল খুব একটা আমলে নেননি। তিনি মনে করেন, বাঁশ-বেত-মাটি যাঁরা অবহেলা করেন, তাঁদের জীবনবোধে ঘাটতি আছে। কারণ, সুদীর্ঘকাল থেকে এসব আমাদের জীবনাচরণের সঙ্গে জড়িত।
ইতিমধ্যে বাঁশ, বেত ও মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের দুটি ডিসপ্লে কর্নার তৈরি করেছেন জান্নাতুল। বাঁশ, বেত ও মাটির পণ্যের পাশাপাশি পাট নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে তিনি একটি আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখান থেকে কারিগরি শিক্ষা নিয়ে আগামী প্রজন্মের নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। ‘ভূমি আর্টিজান’কে দেশে এবং দেশের বাইরে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখানে একই ছাদের নিচে পরিবেশবান্ধব গৃহসজ্জাসামগ্রী এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য সব তৈজসপত্র পাওয়া যাবে।
মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

বড় হয়ে কে কী হবেন—স্বপ্নের সেই অঙ্কুর শৈশবেই পাখা মেলতে শুরু করে অনেকের। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আবার সব ছেড়ে নতুন কিছু করারও স্বপ্ন দেখেন। জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে কেউ সেসব স্বপ্ন সফল করতে পারেন, কেউবা একেবারেই ভিন্ন কোনো পেশায় যুক্ত হয়ে যান।
স্বপ্নের শুরু
মুন্সিগঞ্জের জান্নাতুল ফেরদাউস রিক্তা পেশায় একজন স্থপতি। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জেই পড়ালেখা এবং এরপর নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর চাকরি করেন প্রায় তিন বছর। যদিও সংসার সামলে শেষ পর্যন্ত ৯টা-৫টা অফিসে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে পারেননি। তাই চাকরিকে বিদায় জানিয়ে শুরু করেন ‘ভূমি আর্টিজান’-এর যাত্রা, ২০২০ সালের আগস্টের শুরুর দিকে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য পিছিয়ে থাকা কারিগরদের একত্র করে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন জান্নাতুল। এটা তাঁর শখও বলা যেতে পারে। ২০২০ সালে করোনাকালে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকা অনেকের পক্ষে কঠিন ছিল। সেই সময়ে তিনি একজন বেতের কারিগরকে খুব কাছ থেকে দেখেন। ওই কারিগর কাজ জানতেন, কিন্তু তখন তাঁর হাতে কোনো কাজ ছিল না, ঋণে জর্জরিত ছিলেন। তাঁকে দেখে জান্নাতুল দেশের সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে থাকা কারিগরদের নিয়মিত আয়ের উৎস খোঁজার চিন্তা করেন। যেহেতু তিনি একজন স্থপতি, তাই তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে বেড়ান কারিগর খুঁজতে। এমন কারিগর খুঁজতে থাকেন, যাঁদের ওপর ভরসা করে তাঁর মেধা আর পরিশ্রমকে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
পরিবেশবান্ধব উপকরণ
আমাদের দেশে নানান অজুহাতে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। একের পর এক উজাড় হয়ে যাচ্ছে বন। স্থপতি জান্নাতুল চান তাঁর উদ্যোগের পণ্য হবে পরিবেশবান্ধব, দেশীয় কারিগর এবং কাঁচামালে তৈরি। তিনি বন উজাড় করে আসবাব তৈরি না করে কাঠের বিকল্প পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘস্থায়ী জিনিসের খোঁজ করতে থাকেন।
অনেক চিন্তাভাবনার পর কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ও বেতকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি পোড়ামাটির জিনিসপত্রে বাঁশ-বেতের শৈল্পিক কারুকার্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। জান্নাতুল মনে করেন, একজন স্থপতি ও উদ্যোক্তা হিসেবে দেশীয় কাঁচামাল এবং কারিগরের তৈরি পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন তিনি। এটাই তাঁর সফলতা।
অনুপ্রেরণা
স্থাপত্য পেশায় অনেকেই ভবনের নকশা বা স্পেস ডিজাইন করেন। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো আসবাব। এই স্পেস ঠিকমতো ব্যবহারের উপযোগী করতে হলে তার সঙ্গে মিল রেখে আসবাব ও গৃহসজ্জাসামগ্রী দরকার। আসবাব ডিজাইন করা মূলত স্থাপত্য পেশারই একটি অংশ। বহির্বিশ্বের পাশাপাশি দেশেও বহু স্বনামধন্য স্থপতি রয়েছেন, যাঁরা স্থাপত্যচর্চার পাশাপাশি চিত্রকর্ম, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি, চলচ্চিত্র নির্মাণ ইত্যাদিতে জড়িত আছেন। জান্নাতুল তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আসবাব ও তাঁর গৃহসজ্জাসামগ্রীর নকশা করতে শুরু করেন।
ভবিষ্যতের চিন্তা
বাঁশ, বেত ও মাটি নিয়ে কাজ করেন বলে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে শুরুর দিকে অনেক নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু সেসব কথা জান্নাতুল খুব একটা আমলে নেননি। তিনি মনে করেন, বাঁশ-বেত-মাটি যাঁরা অবহেলা করেন, তাঁদের জীবনবোধে ঘাটতি আছে। কারণ, সুদীর্ঘকাল থেকে এসব আমাদের জীবনাচরণের সঙ্গে জড়িত।
ইতিমধ্যে বাঁশ, বেত ও মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের দুটি ডিসপ্লে কর্নার তৈরি করেছেন জান্নাতুল। বাঁশ, বেত ও মাটির পণ্যের পাশাপাশি পাট নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে তিনি একটি আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখান থেকে কারিগরি শিক্ষা নিয়ে আগামী প্রজন্মের নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। ‘ভূমি আর্টিজান’কে দেশে এবং দেশের বাইরে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখানে একই ছাদের নিচে পরিবেশবান্ধব গৃহসজ্জাসামগ্রী এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য সব তৈজসপত্র পাওয়া যাবে।

বড় হয়ে কে কী হবেন—স্বপ্নের সেই অঙ্কুর শৈশবেই পাখা মেলতে শুরু করে অনেকের। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আবার সব ছেড়ে নতুন কিছু করারও স্বপ্ন দেখেন। জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে কেউ সেসব স্বপ্ন সফল করতে পারেন, কেউবা একেবারেই ভিন্ন কোনো পেশায় যুক্ত হয়ে যান।
স্বপ্নের শুরু
মুন্সিগঞ্জের জান্নাতুল ফেরদাউস রিক্তা পেশায় একজন স্থপতি। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জেই পড়ালেখা এবং এরপর নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর চাকরি করেন প্রায় তিন বছর। যদিও সংসার সামলে শেষ পর্যন্ত ৯টা-৫টা অফিসে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে পারেননি। তাই চাকরিকে বিদায় জানিয়ে শুরু করেন ‘ভূমি আর্টিজান’-এর যাত্রা, ২০২০ সালের আগস্টের শুরুর দিকে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য পিছিয়ে থাকা কারিগরদের একত্র করে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন জান্নাতুল। এটা তাঁর শখও বলা যেতে পারে। ২০২০ সালে করোনাকালে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকা অনেকের পক্ষে কঠিন ছিল। সেই সময়ে তিনি একজন বেতের কারিগরকে খুব কাছ থেকে দেখেন। ওই কারিগর কাজ জানতেন, কিন্তু তখন তাঁর হাতে কোনো কাজ ছিল না, ঋণে জর্জরিত ছিলেন। তাঁকে দেখে জান্নাতুল দেশের সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে থাকা কারিগরদের নিয়মিত আয়ের উৎস খোঁজার চিন্তা করেন। যেহেতু তিনি একজন স্থপতি, তাই তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে বেড়ান কারিগর খুঁজতে। এমন কারিগর খুঁজতে থাকেন, যাঁদের ওপর ভরসা করে তাঁর মেধা আর পরিশ্রমকে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
পরিবেশবান্ধব উপকরণ
আমাদের দেশে নানান অজুহাতে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। একের পর এক উজাড় হয়ে যাচ্ছে বন। স্থপতি জান্নাতুল চান তাঁর উদ্যোগের পণ্য হবে পরিবেশবান্ধব, দেশীয় কারিগর এবং কাঁচামালে তৈরি। তিনি বন উজাড় করে আসবাব তৈরি না করে কাঠের বিকল্প পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘস্থায়ী জিনিসের খোঁজ করতে থাকেন।
অনেক চিন্তাভাবনার পর কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ও বেতকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি পোড়ামাটির জিনিসপত্রে বাঁশ-বেতের শৈল্পিক কারুকার্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। জান্নাতুল মনে করেন, একজন স্থপতি ও উদ্যোক্তা হিসেবে দেশীয় কাঁচামাল এবং কারিগরের তৈরি পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন তিনি। এটাই তাঁর সফলতা।
অনুপ্রেরণা
স্থাপত্য পেশায় অনেকেই ভবনের নকশা বা স্পেস ডিজাইন করেন। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো আসবাব। এই স্পেস ঠিকমতো ব্যবহারের উপযোগী করতে হলে তার সঙ্গে মিল রেখে আসবাব ও গৃহসজ্জাসামগ্রী দরকার। আসবাব ডিজাইন করা মূলত স্থাপত্য পেশারই একটি অংশ। বহির্বিশ্বের পাশাপাশি দেশেও বহু স্বনামধন্য স্থপতি রয়েছেন, যাঁরা স্থাপত্যচর্চার পাশাপাশি চিত্রকর্ম, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি, চলচ্চিত্র নির্মাণ ইত্যাদিতে জড়িত আছেন। জান্নাতুল তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আসবাব ও তাঁর গৃহসজ্জাসামগ্রীর নকশা করতে শুরু করেন।
ভবিষ্যতের চিন্তা
বাঁশ, বেত ও মাটি নিয়ে কাজ করেন বলে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে শুরুর দিকে অনেক নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু সেসব কথা জান্নাতুল খুব একটা আমলে নেননি। তিনি মনে করেন, বাঁশ-বেত-মাটি যাঁরা অবহেলা করেন, তাঁদের জীবনবোধে ঘাটতি আছে। কারণ, সুদীর্ঘকাল থেকে এসব আমাদের জীবনাচরণের সঙ্গে জড়িত।
ইতিমধ্যে বাঁশ, বেত ও মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের দুটি ডিসপ্লে কর্নার তৈরি করেছেন জান্নাতুল। বাঁশ, বেত ও মাটির পণ্যের পাশাপাশি পাট নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে তিনি একটি আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখান থেকে কারিগরি শিক্ষা নিয়ে আগামী প্রজন্মের নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। ‘ভূমি আর্টিজান’কে দেশে এবং দেশের বাইরে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখানে একই ছাদের নিচে পরিবেশবান্ধব গৃহসজ্জাসামগ্রী এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য সব তৈজসপত্র পাওয়া যাবে।

ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
১৫ ঘণ্টা আগে
ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের...
১৬ ঘণ্টা আগে
পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র...
১৭ ঘণ্টা আগে
একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়; বরং নেটওয়ার্কিং, নতুন আইডিয়া বিনিময় এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের বিশাল খোলা বই। তবে চলতি বছর সেই মেলাগুলোর চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন; বিশেষ করে উদ্যোক্তা মেলার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং এর প্রভাব নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মেলার গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ নারী। ফাউন্ডেশনটি এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আর্টেমিস লাইফস্টাইলের স্বত্বাধিকারী ফায়জা আহমেদ রাফা বলেন, ‘আমরা যারা অনলাইন বিজনেসের সঙ্গে জড়িত, তারা বছরে বেশ কিছু মেলায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি, যাতে সরাসরি ভোক্তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
এ ছাড়া উদ্যোক্তা মেলাগুলোতে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ থাকে। অনলাইন উদ্যোগ নিয়ে ভোক্তাদের অনেক সময় বিশ্বাস তৈরি করতে অসুবিধা হয়। মেলা করলে তাঁরা সরাসরি এসে পণ্য যাচাই করতে পারেন। এর ফলে অনেকে নিশ্চিন্তে অনলাইনে অর্ডার করেন।’ রাফা আরও জানান, সাধারণত ঈদ, ফাল্গুন, বৈশাখ বা দুর্গাপূজার মতো উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ‘লাস্ট দু-এক বছরে তুলনামূলক মেলার আয়োজন কিছুটা কম।’
কেন কমছে মেলার সংখ্যা
নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রাফিয়া আক্তার, যিনি ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করছেন, তিনি এ বছর বড় কোনো মেলার আয়োজন করতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন। রাফিয়া আক্তার বলেন, ‘আসলে দেশের পরিস্থিতির কারণে এ বছর মেলা আয়োজন করা হয়নি। যে কারণে অর্থনৈতিক দিকেও প্রভাব পড়েছে। এ মুহূর্তে ইনভেস্ট করে মেলায় কেউ অংশ নেবেন কি না, সেসব দিক বিবেচনা করে বড় কোনো মেলার আয়োজন করা হয়নি এবার।’
রাফিয়া আক্তার আরও যোগ করেন, ‘গত বছরের আগেও দেখা গেছে, সব সময় ফোন আসত, এখানে মেলা সেখানে মেলা। সেটা কমে গেছে। এটা আমার কাছে কম এসেছে কি না জানি না। মনে হয়, মেলার আয়োজন তুলনামূলক কমে গেছে।’
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন
মাইসারার স্বত্বাধিকারী এলমা খন্দকার এষা। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমি মেলা করিনি। তবে চলতি বছর বেশ কিছু মেলা করেছি। সেটা যদি হিসাব করি, তাহলে আমার চোখে মেলা কম মনে হয়নি।’
অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও আগামীর প্রত্যাশা অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশের ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ নারী মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দারিদ্র্যসীমায় নতুন করে কোনো নারী যুক্ত হননি, যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন।
সৌন্দর্যশিল্প, হস্তশিল্প, বুটিক ও ব্লক প্রিন্টের মতো খাতে নারীদের জয়জয়কার। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে মেলার মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অপরিহার্য। এতে ঢাকাসহ বড় শহরের ভোক্তাদের সঙ্গে সারা দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয়। এতে পণ্য ও ক্রয়বৈচিত্র্য বাড়ে, ভোক্তা এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি
হয়। সর্বোপরি অর্থনৈতিক গতিশীলতা ঠিক থাকে। কিন্তু এ বছর দৃশ্যমানভাবে মেলার সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। তবু উদ্যোক্তারা অনেক আশাবাদী। এই আশাবাদ দেশের অর্থনীতির জন্যই।

ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়; বরং নেটওয়ার্কিং, নতুন আইডিয়া বিনিময় এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের বিশাল খোলা বই। তবে চলতি বছর সেই মেলাগুলোর চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন; বিশেষ করে উদ্যোক্তা মেলার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং এর প্রভাব নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মেলার গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ নারী। ফাউন্ডেশনটি এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আর্টেমিস লাইফস্টাইলের স্বত্বাধিকারী ফায়জা আহমেদ রাফা বলেন, ‘আমরা যারা অনলাইন বিজনেসের সঙ্গে জড়িত, তারা বছরে বেশ কিছু মেলায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি, যাতে সরাসরি ভোক্তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
এ ছাড়া উদ্যোক্তা মেলাগুলোতে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ থাকে। অনলাইন উদ্যোগ নিয়ে ভোক্তাদের অনেক সময় বিশ্বাস তৈরি করতে অসুবিধা হয়। মেলা করলে তাঁরা সরাসরি এসে পণ্য যাচাই করতে পারেন। এর ফলে অনেকে নিশ্চিন্তে অনলাইনে অর্ডার করেন।’ রাফা আরও জানান, সাধারণত ঈদ, ফাল্গুন, বৈশাখ বা দুর্গাপূজার মতো উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ‘লাস্ট দু-এক বছরে তুলনামূলক মেলার আয়োজন কিছুটা কম।’
কেন কমছে মেলার সংখ্যা
নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রাফিয়া আক্তার, যিনি ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করছেন, তিনি এ বছর বড় কোনো মেলার আয়োজন করতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন। রাফিয়া আক্তার বলেন, ‘আসলে দেশের পরিস্থিতির কারণে এ বছর মেলা আয়োজন করা হয়নি। যে কারণে অর্থনৈতিক দিকেও প্রভাব পড়েছে। এ মুহূর্তে ইনভেস্ট করে মেলায় কেউ অংশ নেবেন কি না, সেসব দিক বিবেচনা করে বড় কোনো মেলার আয়োজন করা হয়নি এবার।’
রাফিয়া আক্তার আরও যোগ করেন, ‘গত বছরের আগেও দেখা গেছে, সব সময় ফোন আসত, এখানে মেলা সেখানে মেলা। সেটা কমে গেছে। এটা আমার কাছে কম এসেছে কি না জানি না। মনে হয়, মেলার আয়োজন তুলনামূলক কমে গেছে।’
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন
মাইসারার স্বত্বাধিকারী এলমা খন্দকার এষা। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমি মেলা করিনি। তবে চলতি বছর বেশ কিছু মেলা করেছি। সেটা যদি হিসাব করি, তাহলে আমার চোখে মেলা কম মনে হয়নি।’
অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও আগামীর প্রত্যাশা অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশের ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ নারী মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দারিদ্র্যসীমায় নতুন করে কোনো নারী যুক্ত হননি, যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন।
সৌন্দর্যশিল্প, হস্তশিল্প, বুটিক ও ব্লক প্রিন্টের মতো খাতে নারীদের জয়জয়কার। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে মেলার মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অপরিহার্য। এতে ঢাকাসহ বড় শহরের ভোক্তাদের সঙ্গে সারা দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয়। এতে পণ্য ও ক্রয়বৈচিত্র্য বাড়ে, ভোক্তা এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি
হয়। সর্বোপরি অর্থনৈতিক গতিশীলতা ঠিক থাকে। কিন্তু এ বছর দৃশ্যমানভাবে মেলার সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। তবু উদ্যোক্তারা অনেক আশাবাদী। এই আশাবাদ দেশের অর্থনীতির জন্যই।

বড় হয়ে কে কী হবেন—স্বপ্নের সেই অঙ্কুর শৈশবেই পাখা মেলতে শুরু করে অনেকের। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আবার সব ছেড়ে নতুন কিছু করারও স্বপ্ন দেখেন।
২৪ মে ২০২৩
ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের...
১৬ ঘণ্টা আগে
পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র...
১৭ ঘণ্টা আগে
একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগেআল আমিন

ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু নিজের চেষ্টায় তিনি আজ অন্য নারীদের কাছে হয়ে উঠেছেন আদর্শ।
২০১৯ সালে একটি সেলাই মেশিন দিয়ে শুরু করেন নিজের ভুবনে যাত্রা। কিছু গজ কাপড় কিনে পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেন প্রথমে। সেলাই মেশিনের আওয়াজের চেয়ে তখন বেশি শোনা যেত মানুষের কটূক্তির আওয়াজ। তাই ছোটবেলার রান্না করার শখ থেকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেন ক্যাটারিং সার্ভিস। সেখানেও ডেলিভারি, প্রমোশনসহ নানা সমস্যার মুখে পড়লেন তিনি। তবে দমে গেলেন না। কয়েকজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করলেন উদ্যোক্তা উন্নয়ন আবাসন নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ। তাঁর নিজের তৈরি পণ্যের পাশাপাশি শহরের নারীদের উৎপাদিত পণ্য সেই ফেসবুক গ্রুপে বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহের কাজ শুরু করেন রোজ।
খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে অল্প দিনেই তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন পঞ্চগড় শহরের চাউলহাটির নিউমার্কেট এলাকায় তাঁর ‘প্রত্যাশা’ ব্র্যান্ডের নিজস্ব একটি আউটলেট আছে। সেখানে বুটিকস ও হ্যান্ডপেইন্টের বিভিন্ন পণ্য তিনি পাইকারি বিক্রি করেন। এখন তাঁর অধীনে নিয়মিত কাজ করছেন ১০ জন নারী।
উদ্যোক্তা জীবনের শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে তিনি জেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জনকারী নারী হিসেবে পেয়েছেন এ বছরের শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কার। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তাঁকে অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিত করেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।
রোজাইয়া রাব্বি রোজের স্বপ্ন, তাঁর পণ্য যেন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নে তিনি কাজ করে যেতে চান অন্য নারীদের সঙ্গে নিয়ে।

ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু নিজের চেষ্টায় তিনি আজ অন্য নারীদের কাছে হয়ে উঠেছেন আদর্শ।
২০১৯ সালে একটি সেলাই মেশিন দিয়ে শুরু করেন নিজের ভুবনে যাত্রা। কিছু গজ কাপড় কিনে পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেন প্রথমে। সেলাই মেশিনের আওয়াজের চেয়ে তখন বেশি শোনা যেত মানুষের কটূক্তির আওয়াজ। তাই ছোটবেলার রান্না করার শখ থেকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেন ক্যাটারিং সার্ভিস। সেখানেও ডেলিভারি, প্রমোশনসহ নানা সমস্যার মুখে পড়লেন তিনি। তবে দমে গেলেন না। কয়েকজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করলেন উদ্যোক্তা উন্নয়ন আবাসন নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ। তাঁর নিজের তৈরি পণ্যের পাশাপাশি শহরের নারীদের উৎপাদিত পণ্য সেই ফেসবুক গ্রুপে বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহের কাজ শুরু করেন রোজ।
খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে অল্প দিনেই তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন পঞ্চগড় শহরের চাউলহাটির নিউমার্কেট এলাকায় তাঁর ‘প্রত্যাশা’ ব্র্যান্ডের নিজস্ব একটি আউটলেট আছে। সেখানে বুটিকস ও হ্যান্ডপেইন্টের বিভিন্ন পণ্য তিনি পাইকারি বিক্রি করেন। এখন তাঁর অধীনে নিয়মিত কাজ করছেন ১০ জন নারী।
উদ্যোক্তা জীবনের শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে তিনি জেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জনকারী নারী হিসেবে পেয়েছেন এ বছরের শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কার। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তাঁকে অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিত করেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।
রোজাইয়া রাব্বি রোজের স্বপ্ন, তাঁর পণ্য যেন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নে তিনি কাজ করে যেতে চান অন্য নারীদের সঙ্গে নিয়ে।

বড় হয়ে কে কী হবেন—স্বপ্নের সেই অঙ্কুর শৈশবেই পাখা মেলতে শুরু করে অনেকের। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আবার সব ছেড়ে নতুন কিছু করারও স্বপ্ন দেখেন।
২৪ মে ২০২৩
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
১৫ ঘণ্টা আগে
পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র...
১৭ ঘণ্টা আগে
একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র নয়—একটি স্যাটেলাইট। সেই কৌতূহলী কিশোরীটি আজকের মনীষা শ্রেষ্ঠা—নেপালের সফল জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিঃপদার্থবিদ এবং দেশটির প্রথম নারী অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার। তিনি এখন হাই-এনার্জি অ্যাস্ট্রোফিজিকস বিষয়ে পিএইচডি করছেন।
চ্যালেঞ্জের সঙ্গে শুরু যে লড়াই
মনীষার বিজ্ঞানের পথে আসাটা ছিল অনেকটা জেদের বশে। তিনি যে কলেজে পড়তেন, সেখানে পদার্থবিজ্ঞান ক্লাসে ছিল ১২০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মাত্র পাঁচ-ছয়জন মেয়ে। অথচ জীববিজ্ঞানের চিত্রটা ছিল ঠিক উল্টো। বন্ধুকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে উত্তর পান, মেয়েদের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের চেয়ে জীববিজ্ঞান অনেক সহজ। মনীষা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলেন। তিনি ভাবলেন, তাঁকে পদার্থবিজ্ঞানই পড়তে হবে।
ক্লাসে ঢোকার পর শুরু হলো অন্য এক লড়াই। পুরুষশাসিত সেই পরিবেশে অনেক সময় মেয়েদের বসার জন্য কোনো আসনই দেওয়া হতো না; তাদের দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হতো। এমনকি ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সময়ও তরুণেরা কাজ করত, আর মেয়েদের দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখার অনুমতি ছিল। মাস্টার্স পর্যায়ে এসে এই সংকট আরও বাড়ে। পড়াশোনার পদ্ধতি ছিল শুধু নোট নেওয়া আর মুখস্থ করা। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে মনীষা ডিগ্রি শেষ না করেই পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
নেপাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির যাত্রা
২০১৩ সালে মনীষা নেপাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটিতে (এনএএসও) প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে যোগ দেন। তখন সংগঠনটির কোনো অফিস ছিল না, ছিল খুব সীমিত সুবিধা। মনীষা ও তাঁর দল মিলে বছরের পর বছর পরিশ্রম করে সেটিকে আন্তর্জাতিক উচ্চতায় নিয়ে যান।
সম্প্রতি এই সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের সদস্যপদ পেয়েছে, যা নেপালের ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম।
আজ এনএএসও শিক্ষা, গবেষণা ও প্রচার—তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল চিন্তার উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। মনীষার দল সারা দেশে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং শিক্ষার্থীদের হাতে টেলিস্কোপ ও বই তুলে দিচ্ছে। যাতে তারাও বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে পারে।
অলিম্পিয়াড ও বৈশ্বিক সাফল্য
মনীষা শ্রেষ্ঠা নেপালের ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নেপালি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করেন। তাঁর হাত ধরে অনেক শিক্ষার্থী ফ্রান্স, আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক মঞ্চে লড়াই করেছেন। এমনকি এই অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া তিন শিক্ষার্থী বর্তমানে বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে স্টারস শাইন ফর এভরিওয়ান সংস্থা তাঁকে বিশেষ সম্মাননা দেয়।
ডার্ক স্কাই বা অন্ধকার আকাশ রক্ষা
মনীষা শুধু বিজ্ঞানী নন, তিনি একজন দক্ষ আলোকচিত্রীও। নেপালের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তাঁর তোলা মহাকাশের ছবি নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমান সময়ের বড় একটি সমস্যা আলোকদূষণ নিয়ে কাজ করছেন।
২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ মানুষ শহর ও অবকাঠামোর কৃত্রিম আলোর কারণে রাতের আকাশের আসল সৌন্দর্য দেখতে পায় না। মনীষা তাদের সতর্ক করে জানান, আগামী ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে নক্ষত্ররাজি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। তাই নেপালে ‘অ্যাস্ট্রো-ট্যুরিজম’ কিংবা জ্যোতি-পর্যটন বিকাশের মাধ্যমে আকাশ রক্ষার স্বপ্ন দেখেন মনীষা শ্রেষ্ঠা।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
মনীষার স্বপ্ন নেপালে একটি নিজস্ব মানমন্দির তৈরি করা, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিনি মনে করেন, নেপালের কাছে দামি যন্ত্রপাতি না থাকলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যাবরেটরি আছে। সেটা হলো, মাথার ওপরের অন্ধকার আকাশ। তিনি বিশ্বাস করেন, আকাশ আমাদের সবাইকে এক সুতোয় বাঁধে। তিনি চান তাঁর জীবনের গল্প শুনে অন্য মেয়েরাও যেন বিজ্ঞানের কঠিন পথে পা বাড়াতে পিছপা না হয়।
সূত্র: এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক, দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট

পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র নয়—একটি স্যাটেলাইট। সেই কৌতূহলী কিশোরীটি আজকের মনীষা শ্রেষ্ঠা—নেপালের সফল জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিঃপদার্থবিদ এবং দেশটির প্রথম নারী অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার। তিনি এখন হাই-এনার্জি অ্যাস্ট্রোফিজিকস বিষয়ে পিএইচডি করছেন।
চ্যালেঞ্জের সঙ্গে শুরু যে লড়াই
মনীষার বিজ্ঞানের পথে আসাটা ছিল অনেকটা জেদের বশে। তিনি যে কলেজে পড়তেন, সেখানে পদার্থবিজ্ঞান ক্লাসে ছিল ১২০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মাত্র পাঁচ-ছয়জন মেয়ে। অথচ জীববিজ্ঞানের চিত্রটা ছিল ঠিক উল্টো। বন্ধুকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে উত্তর পান, মেয়েদের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের চেয়ে জীববিজ্ঞান অনেক সহজ। মনীষা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলেন। তিনি ভাবলেন, তাঁকে পদার্থবিজ্ঞানই পড়তে হবে।
ক্লাসে ঢোকার পর শুরু হলো অন্য এক লড়াই। পুরুষশাসিত সেই পরিবেশে অনেক সময় মেয়েদের বসার জন্য কোনো আসনই দেওয়া হতো না; তাদের দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হতো। এমনকি ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সময়ও তরুণেরা কাজ করত, আর মেয়েদের দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখার অনুমতি ছিল। মাস্টার্স পর্যায়ে এসে এই সংকট আরও বাড়ে। পড়াশোনার পদ্ধতি ছিল শুধু নোট নেওয়া আর মুখস্থ করা। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে মনীষা ডিগ্রি শেষ না করেই পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
নেপাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির যাত্রা
২০১৩ সালে মনীষা নেপাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটিতে (এনএএসও) প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে যোগ দেন। তখন সংগঠনটির কোনো অফিস ছিল না, ছিল খুব সীমিত সুবিধা। মনীষা ও তাঁর দল মিলে বছরের পর বছর পরিশ্রম করে সেটিকে আন্তর্জাতিক উচ্চতায় নিয়ে যান।
সম্প্রতি এই সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের সদস্যপদ পেয়েছে, যা নেপালের ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম।
আজ এনএএসও শিক্ষা, গবেষণা ও প্রচার—তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল চিন্তার উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। মনীষার দল সারা দেশে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং শিক্ষার্থীদের হাতে টেলিস্কোপ ও বই তুলে দিচ্ছে। যাতে তারাও বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে পারে।
অলিম্পিয়াড ও বৈশ্বিক সাফল্য
মনীষা শ্রেষ্ঠা নেপালের ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নেপালি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করেন। তাঁর হাত ধরে অনেক শিক্ষার্থী ফ্রান্স, আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক মঞ্চে লড়াই করেছেন। এমনকি এই অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া তিন শিক্ষার্থী বর্তমানে বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে স্টারস শাইন ফর এভরিওয়ান সংস্থা তাঁকে বিশেষ সম্মাননা দেয়।
ডার্ক স্কাই বা অন্ধকার আকাশ রক্ষা
মনীষা শুধু বিজ্ঞানী নন, তিনি একজন দক্ষ আলোকচিত্রীও। নেপালের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তাঁর তোলা মহাকাশের ছবি নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমান সময়ের বড় একটি সমস্যা আলোকদূষণ নিয়ে কাজ করছেন।
২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ মানুষ শহর ও অবকাঠামোর কৃত্রিম আলোর কারণে রাতের আকাশের আসল সৌন্দর্য দেখতে পায় না। মনীষা তাদের সতর্ক করে জানান, আগামী ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে নক্ষত্ররাজি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। তাই নেপালে ‘অ্যাস্ট্রো-ট্যুরিজম’ কিংবা জ্যোতি-পর্যটন বিকাশের মাধ্যমে আকাশ রক্ষার স্বপ্ন দেখেন মনীষা শ্রেষ্ঠা।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
মনীষার স্বপ্ন নেপালে একটি নিজস্ব মানমন্দির তৈরি করা, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিনি মনে করেন, নেপালের কাছে দামি যন্ত্রপাতি না থাকলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যাবরেটরি আছে। সেটা হলো, মাথার ওপরের অন্ধকার আকাশ। তিনি বিশ্বাস করেন, আকাশ আমাদের সবাইকে এক সুতোয় বাঁধে। তিনি চান তাঁর জীবনের গল্প শুনে অন্য মেয়েরাও যেন বিজ্ঞানের কঠিন পথে পা বাড়াতে পিছপা না হয়।
সূত্র: এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক, দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট

বড় হয়ে কে কী হবেন—স্বপ্নের সেই অঙ্কুর শৈশবেই পাখা মেলতে শুরু করে অনেকের। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আবার সব ছেড়ে নতুন কিছু করারও স্বপ্ন দেখেন।
২৪ মে ২০২৩
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
১৫ ঘণ্টা আগে
ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের...
১৬ ঘণ্টা আগে
একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৮৪৮ সালের ১৯ ও ২০ জুলাই নিউইয়র্কের সেনেকা ফলসে অনুষ্ঠিত সে সম্মেলনটি ছিল আধুনিক নারী অধিকার আন্দোলনের বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ। সেটিই ছিল আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রকাশ্য সম্মেলন, যা আয়োজিত হয়েছিল শুধু নারীদের সামাজিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিয়ে আলোচনার জন্য। শুধু এর আয়োজক হিসেবে নয়, উনিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে একাধিক জাতীয় নারী অধিকার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মার্থা। ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান ইকুয়াল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। সাম্যবাদে বিশ্বাসী একটি পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন মার্থা। তিনি কাজ করেছেন দাসপ্রথার বিরুদ্ধে। নিউইয়র্কের অবার্নে তাঁর বাড়িটি ছিল আন্ডারগ্রাউন্ড রেল রোডের একটি অন্যতম প্রধান স্টেশনের পাশেই। তিনি পালিয়ে আসা দাসদের আশ্রয় দিতেন এবং তাদের স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতেন।
সাত সন্তানের জননী মার্থা পারিবারিক দায়িত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক লড়াইয়ে কখনো পিছপা হননি। তাঁর জন্ম ১৮০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ১৮৭৫ সালের ৪ জানুয়ারি মৃত্যুর পর তাঁকে অবার্নের ফোর্ট হিল সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।

একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৮৪৮ সালের ১৯ ও ২০ জুলাই নিউইয়র্কের সেনেকা ফলসে অনুষ্ঠিত সে সম্মেলনটি ছিল আধুনিক নারী অধিকার আন্দোলনের বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ। সেটিই ছিল আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রকাশ্য সম্মেলন, যা আয়োজিত হয়েছিল শুধু নারীদের সামাজিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিয়ে আলোচনার জন্য। শুধু এর আয়োজক হিসেবে নয়, উনিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে একাধিক জাতীয় নারী অধিকার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মার্থা। ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান ইকুয়াল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। সাম্যবাদে বিশ্বাসী একটি পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন মার্থা। তিনি কাজ করেছেন দাসপ্রথার বিরুদ্ধে। নিউইয়র্কের অবার্নে তাঁর বাড়িটি ছিল আন্ডারগ্রাউন্ড রেল রোডের একটি অন্যতম প্রধান স্টেশনের পাশেই। তিনি পালিয়ে আসা দাসদের আশ্রয় দিতেন এবং তাদের স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতেন।
সাত সন্তানের জননী মার্থা পারিবারিক দায়িত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক লড়াইয়ে কখনো পিছপা হননি। তাঁর জন্ম ১৮০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ১৮৭৫ সালের ৪ জানুয়ারি মৃত্যুর পর তাঁকে অবার্নের ফোর্ট হিল সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।

বড় হয়ে কে কী হবেন—স্বপ্নের সেই অঙ্কুর শৈশবেই পাখা মেলতে শুরু করে অনেকের। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আবার সব ছেড়ে নতুন কিছু করারও স্বপ্ন দেখেন।
২৪ মে ২০২৩
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
১৫ ঘণ্টা আগে
ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের...
১৬ ঘণ্টা আগে
পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র...
১৭ ঘণ্টা আগে