
জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাঁদের গুপ্তধন। এদিকে এখন বাংলাদেশি একটি জাহাজের দখলে নিয়ে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে আলোচনায় সোমালি জলদস্যুরা। অবশ্য এখনকার এই জলদস্যুদের সঙ্গে পুরোনো দিনের সেই জলদস্যুদের অনেকই তফাত।
আগের জমানার ওই জলদস্যুরা শাসন করত সাগর। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিল তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে।
জলদস্যুতার সোনালি সময়
সতেরো ও আঠারো শতকে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় মহা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে জলদস্যুরা। জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত এই উত্তাল যুগে কুখ্যাত সব জলদস্যুর উত্থান ঘটেছিল। যারা বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন করত, উপকূলীয় শহরগুলিতে লুটতরাজ চালাত। চলুন তবে কয়েকটি শতাব্দী পিছিয়ে যাই, পরিচিত হই জলদস্যুতার সোনালি সময়ের সেই সব দুর্দমনীয়-ভয়ংকর জলদস্যুদের সঙ্গে।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড
যার নাম শুনলেই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের গা কাটা দিয়ে উঠত তিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড। তার আসল নাম এডওয়ার্ড টিচ। অনেকের বিবেচনাতেই তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জলদস্যু। কালো জট পাকানো চুল, দাঁড়ির কিনারা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া, ভাটার মতো জ্বলন্ত দুই চোখ, শরীরের সঙ্গে আটকানো পিস্তল—সব মিলিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে দেখলেই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হতো নাবিকদের।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের হাত থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকেরা জানান, লুটতরাজের সময় টুপির নিচে জ্বলন্ত দড়ির টুকরো রেখে দিত ভয়ানক এই দস্যু। জাহাজের একটি বহরের নেতৃত্ব দেওয়া ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্যারিবিয়ান ও আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজ লুট করে বিশাল সম্পদের মালিক হন। বলা চলে অক্ষত অবস্থায় তার এলাকা অতিক্রমের সাধ্য ছিল না কোনো জাহাজের। পরে পাইরেট হান্টারদের হাতে নিহত হন এই ভয়ংকর দস্যু।
দিনটি ছিল ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর। আমেরিকার উত্তর ক্যারোলাইনার ওকরাকক দ্বীপের কাছে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে কোণঠাসা করে ফেলে পাইরেট হান্টাররা। জলদস্যুদের জন্য ঘোষণা করা পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার জন্য যারা তাদের ধরত বা মারত তাদেরই বলা হতো পাইরেট হান্টার। দারুণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মারা পড়েন ব্ল্যাকবিয়ার্ড।
অ্যান বনি
পুরুষের আধিপত্যময় এক বিশ্বে, অ্যান বনি আবির্ভূত হন নিষ্ঠুর এবং নির্ভীক এক নারী জলদস্যু হিসেবে। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বনি সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বনে যান জলদস্যু। প্রেমিক কুখ্যাত ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেমের সঙ্গে মিলে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতেন অ্যান বনি।
একজন দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি এবং নারীর প্রথাগত ভূমিকা মেনে চলতে অস্বীকৃতি বনিকে জলদস্যুদের মধ্যে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে। তবে একপর্যায়ে বন্দী হন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালাতে সক্ষম হন। তারপর তার আর খোঁজ না মিললেও বনির সাহস এবং অনমনীয়তা রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে তাকে।
ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেম
বনির কথা যেহেতু বলা হলোই তাহলে তার প্রেমিক ক্যালিকো জ্যাক রেকহ্যাম কেন বাদ থাকবেন! র্যাকহেম রঙিন সুতির বা ক্যালিকো পোশাক পরতেন। এ কারণে ক্যালিকো জ্যাক নামে পরিচিতি পান। তার জলদস্যু জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাকে বন্দী করার পর ১৭২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বন্দী হওয়ার আগেই অসংখ্য জাহাজ দখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
ক্যাপ্টেন কিড
উইলিয়াম কিড পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামে। তার শুরুটা প্রাইভেটিয়ার হিসেবে। ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রাইভেটিয়ারদের কাজ ছিল যুদ্ধের সময় শত্রু জাহাজ আক্রমণ করা। তবে দ্রুতই জলদস্যুতে পরিণত হন। শত্রু জাহাজের পাশাপাশি সাধারণ সদাগরি জাহাজগুলিও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এটা তাকে একজন নির্মম এবং রক্তপিপাসু জলদস্যু হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেয়। তবে একপর্যায়ে কিড বন্দী হন এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। যতদূর জানা যায় ১৭০১ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার।
বার্থলোমিও রবার্টস
বার্থলোমিও রবার্টস পরিচিত ছিলেন ব্ল্যাক বার্ট নামে। অনেকেই তাকে বিবেচনা করেন সোনালি যুগের সবচেয়ে সফল জলদস্যু হিসেবে। ৪০০-র বেশি জাহাজ দখল করে নাবিকদের মধ্যে নিজেদের ভীতিকর এক ইমেজ তৈরি করেন তিনি। রবার্টস তার কঠোর আচরণবিধির জন্য পরিচিত ছিলেন। নিজের জাহাজে জুয়া, মদ্যপান এবং লড়াই নিষিদ্ধ করেছিলেন।
হেনরি মরগান
হেনরি মরগানের গল্পটা অন্য জলদস্যুদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুরুটা তার জলদস্যু হিসেবে। বিশেষ করে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলিতে হামলা চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পান এবং ব্রিটিশ সরকার স্পেনীয় জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রাইভেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দেয় তাকে। পানামা সিটি দখল করে বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেন। পরবর্তীতে জ্যামাইকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হন। ১৬৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মেরি রিড
অ্যান বনির মতো কুখ্যাতি কামানো আরেক নারী জলদস্যু মেরি রিড। তবে তিনি সবসময় থাকতেন পুরুষের ছদ্মবেশে। এমনকি দলের অন্য জলদস্যুদের থেকেও নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটা প্রকাশ পায় রিডসহ অন্য জলদস্যুরা ধরা পড়ার পর।
বন্দী হওয়ার পরে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই কারাগারে মারা যান তিনি। তার গল্প সেইসব নারীর গুপ্ত ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করে যারা চিরাচরিত রীতিকে অস্বীকার করেন এবং জলদস্যুতার মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
চিং শি
চীনা এই নারী জলদস্যু নেতৃত্ব দিতেন ইতিহাসের জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় জাহাজ বহরগুলির একটির। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সদাগরি জাহাজের পাশাপাশি ও নৌবাহিনীর জাহাজও আতঙ্কে থাকত এই নারী জলদস্যু ও তার দলবলকে নিয়ে।
চিং শির অসাধারণ কৌশল এবং কঠোর আচরণবিধি তাকে প্রচুর সম্পদের মালিক করার পাশাপাশি বিপুল ক্ষমতাশালী করে। অবশ্য একপর্যায়ে জলদস্যুর জীবন ছেড়ে সাধারণ, বৈধ নাগরিকের মতো জীবন-যাপন করতে থাকেন।
এডওয়ার্ড লো
নাবিকদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য এডওয়ার্ড লোর নামটিই ছিল যথেষ্ট। তিনি বন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণের জন্য কুখ্যাতি পান। নিষ্ঠুরতার জন্য তার খ্যাতি তাকে আঠারো শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যুদের তালিকায় ওপরের দিকে রাখবে। অবশ্য একপর্যায়ে তাকে বন্দী করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
জঁ লাফিত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গালফ অব মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান চালাতেন জঁ লাফিত। লাফিত ও তার ভাই পিয়ের চোরাচালানের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার আগ্রহের জন্যও পরিচিতি পান। তার অপারেশনের মূল ঘাঁটি ছিল নিউ অরলিন্স। সেখানে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন প্রাইভেটিয়ার হিসেবে তার দক্ষতা তাকে আমেরিকানদের কাছে মূল্যবান এক সম্পদে পরিণত করে। নায়ক এবং খলনায়কের মধ্যে সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা করে দেন জঁ লাফিত।
সূত্র: ফ্যামিলি ওয়াইজ ডট কম ইউকে, উইকিপিডিয়া

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাঁদের গুপ্তধন। এদিকে এখন বাংলাদেশি একটি জাহাজের দখলে নিয়ে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে আলোচনায় সোমালি জলদস্যুরা। অবশ্য এখনকার এই জলদস্যুদের সঙ্গে পুরোনো দিনের সেই জলদস্যুদের অনেকই তফাত।
আগের জমানার ওই জলদস্যুরা শাসন করত সাগর। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিল তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে।
জলদস্যুতার সোনালি সময়
সতেরো ও আঠারো শতকে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় মহা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে জলদস্যুরা। জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত এই উত্তাল যুগে কুখ্যাত সব জলদস্যুর উত্থান ঘটেছিল। যারা বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন করত, উপকূলীয় শহরগুলিতে লুটতরাজ চালাত। চলুন তবে কয়েকটি শতাব্দী পিছিয়ে যাই, পরিচিত হই জলদস্যুতার সোনালি সময়ের সেই সব দুর্দমনীয়-ভয়ংকর জলদস্যুদের সঙ্গে।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড
যার নাম শুনলেই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের গা কাটা দিয়ে উঠত তিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড। তার আসল নাম এডওয়ার্ড টিচ। অনেকের বিবেচনাতেই তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জলদস্যু। কালো জট পাকানো চুল, দাঁড়ির কিনারা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া, ভাটার মতো জ্বলন্ত দুই চোখ, শরীরের সঙ্গে আটকানো পিস্তল—সব মিলিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে দেখলেই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হতো নাবিকদের।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের হাত থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকেরা জানান, লুটতরাজের সময় টুপির নিচে জ্বলন্ত দড়ির টুকরো রেখে দিত ভয়ানক এই দস্যু। জাহাজের একটি বহরের নেতৃত্ব দেওয়া ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্যারিবিয়ান ও আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজ লুট করে বিশাল সম্পদের মালিক হন। বলা চলে অক্ষত অবস্থায় তার এলাকা অতিক্রমের সাধ্য ছিল না কোনো জাহাজের। পরে পাইরেট হান্টারদের হাতে নিহত হন এই ভয়ংকর দস্যু।
দিনটি ছিল ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর। আমেরিকার উত্তর ক্যারোলাইনার ওকরাকক দ্বীপের কাছে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে কোণঠাসা করে ফেলে পাইরেট হান্টাররা। জলদস্যুদের জন্য ঘোষণা করা পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার জন্য যারা তাদের ধরত বা মারত তাদেরই বলা হতো পাইরেট হান্টার। দারুণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মারা পড়েন ব্ল্যাকবিয়ার্ড।
অ্যান বনি
পুরুষের আধিপত্যময় এক বিশ্বে, অ্যান বনি আবির্ভূত হন নিষ্ঠুর এবং নির্ভীক এক নারী জলদস্যু হিসেবে। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বনি সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বনে যান জলদস্যু। প্রেমিক কুখ্যাত ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেমের সঙ্গে মিলে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতেন অ্যান বনি।
একজন দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি এবং নারীর প্রথাগত ভূমিকা মেনে চলতে অস্বীকৃতি বনিকে জলদস্যুদের মধ্যে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে। তবে একপর্যায়ে বন্দী হন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালাতে সক্ষম হন। তারপর তার আর খোঁজ না মিললেও বনির সাহস এবং অনমনীয়তা রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে তাকে।
ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেম
বনির কথা যেহেতু বলা হলোই তাহলে তার প্রেমিক ক্যালিকো জ্যাক রেকহ্যাম কেন বাদ থাকবেন! র্যাকহেম রঙিন সুতির বা ক্যালিকো পোশাক পরতেন। এ কারণে ক্যালিকো জ্যাক নামে পরিচিতি পান। তার জলদস্যু জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাকে বন্দী করার পর ১৭২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বন্দী হওয়ার আগেই অসংখ্য জাহাজ দখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
ক্যাপ্টেন কিড
উইলিয়াম কিড পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামে। তার শুরুটা প্রাইভেটিয়ার হিসেবে। ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রাইভেটিয়ারদের কাজ ছিল যুদ্ধের সময় শত্রু জাহাজ আক্রমণ করা। তবে দ্রুতই জলদস্যুতে পরিণত হন। শত্রু জাহাজের পাশাপাশি সাধারণ সদাগরি জাহাজগুলিও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এটা তাকে একজন নির্মম এবং রক্তপিপাসু জলদস্যু হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেয়। তবে একপর্যায়ে কিড বন্দী হন এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। যতদূর জানা যায় ১৭০১ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার।
বার্থলোমিও রবার্টস
বার্থলোমিও রবার্টস পরিচিত ছিলেন ব্ল্যাক বার্ট নামে। অনেকেই তাকে বিবেচনা করেন সোনালি যুগের সবচেয়ে সফল জলদস্যু হিসেবে। ৪০০-র বেশি জাহাজ দখল করে নাবিকদের মধ্যে নিজেদের ভীতিকর এক ইমেজ তৈরি করেন তিনি। রবার্টস তার কঠোর আচরণবিধির জন্য পরিচিত ছিলেন। নিজের জাহাজে জুয়া, মদ্যপান এবং লড়াই নিষিদ্ধ করেছিলেন।
হেনরি মরগান
হেনরি মরগানের গল্পটা অন্য জলদস্যুদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুরুটা তার জলদস্যু হিসেবে। বিশেষ করে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলিতে হামলা চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পান এবং ব্রিটিশ সরকার স্পেনীয় জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রাইভেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দেয় তাকে। পানামা সিটি দখল করে বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেন। পরবর্তীতে জ্যামাইকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হন। ১৬৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মেরি রিড
অ্যান বনির মতো কুখ্যাতি কামানো আরেক নারী জলদস্যু মেরি রিড। তবে তিনি সবসময় থাকতেন পুরুষের ছদ্মবেশে। এমনকি দলের অন্য জলদস্যুদের থেকেও নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটা প্রকাশ পায় রিডসহ অন্য জলদস্যুরা ধরা পড়ার পর।
বন্দী হওয়ার পরে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই কারাগারে মারা যান তিনি। তার গল্প সেইসব নারীর গুপ্ত ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করে যারা চিরাচরিত রীতিকে অস্বীকার করেন এবং জলদস্যুতার মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
চিং শি
চীনা এই নারী জলদস্যু নেতৃত্ব দিতেন ইতিহাসের জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় জাহাজ বহরগুলির একটির। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সদাগরি জাহাজের পাশাপাশি ও নৌবাহিনীর জাহাজও আতঙ্কে থাকত এই নারী জলদস্যু ও তার দলবলকে নিয়ে।
চিং শির অসাধারণ কৌশল এবং কঠোর আচরণবিধি তাকে প্রচুর সম্পদের মালিক করার পাশাপাশি বিপুল ক্ষমতাশালী করে। অবশ্য একপর্যায়ে জলদস্যুর জীবন ছেড়ে সাধারণ, বৈধ নাগরিকের মতো জীবন-যাপন করতে থাকেন।
এডওয়ার্ড লো
নাবিকদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য এডওয়ার্ড লোর নামটিই ছিল যথেষ্ট। তিনি বন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণের জন্য কুখ্যাতি পান। নিষ্ঠুরতার জন্য তার খ্যাতি তাকে আঠারো শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যুদের তালিকায় ওপরের দিকে রাখবে। অবশ্য একপর্যায়ে তাকে বন্দী করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
জঁ লাফিত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গালফ অব মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান চালাতেন জঁ লাফিত। লাফিত ও তার ভাই পিয়ের চোরাচালানের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার আগ্রহের জন্যও পরিচিতি পান। তার অপারেশনের মূল ঘাঁটি ছিল নিউ অরলিন্স। সেখানে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন প্রাইভেটিয়ার হিসেবে তার দক্ষতা তাকে আমেরিকানদের কাছে মূল্যবান এক সম্পদে পরিণত করে। নায়ক এবং খলনায়কের মধ্যে সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা করে দেন জঁ লাফিত।
সূত্র: ফ্যামিলি ওয়াইজ ডট কম ইউকে, উইকিপিডিয়া

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাঁদের গুপ্তধন। এদিকে এখন বাংলাদেশি একটি জাহাজের দখলে নিয়ে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে আলোচনায় সোমালি জলদস্যুরা। অবশ্য এখনকার এই জলদস্যুদের সঙ্গে পুরোনো দিনের সেই জলদস্যুদের অনেকই তফাত।
আগের জমানার ওই জলদস্যুরা শাসন করত সাগর। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিল তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে।
জলদস্যুতার সোনালি সময়
সতেরো ও আঠারো শতকে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় মহা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে জলদস্যুরা। জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত এই উত্তাল যুগে কুখ্যাত সব জলদস্যুর উত্থান ঘটেছিল। যারা বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন করত, উপকূলীয় শহরগুলিতে লুটতরাজ চালাত। চলুন তবে কয়েকটি শতাব্দী পিছিয়ে যাই, পরিচিত হই জলদস্যুতার সোনালি সময়ের সেই সব দুর্দমনীয়-ভয়ংকর জলদস্যুদের সঙ্গে।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড
যার নাম শুনলেই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের গা কাটা দিয়ে উঠত তিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড। তার আসল নাম এডওয়ার্ড টিচ। অনেকের বিবেচনাতেই তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জলদস্যু। কালো জট পাকানো চুল, দাঁড়ির কিনারা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া, ভাটার মতো জ্বলন্ত দুই চোখ, শরীরের সঙ্গে আটকানো পিস্তল—সব মিলিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে দেখলেই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হতো নাবিকদের।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের হাত থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকেরা জানান, লুটতরাজের সময় টুপির নিচে জ্বলন্ত দড়ির টুকরো রেখে দিত ভয়ানক এই দস্যু। জাহাজের একটি বহরের নেতৃত্ব দেওয়া ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্যারিবিয়ান ও আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজ লুট করে বিশাল সম্পদের মালিক হন। বলা চলে অক্ষত অবস্থায় তার এলাকা অতিক্রমের সাধ্য ছিল না কোনো জাহাজের। পরে পাইরেট হান্টারদের হাতে নিহত হন এই ভয়ংকর দস্যু।
দিনটি ছিল ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর। আমেরিকার উত্তর ক্যারোলাইনার ওকরাকক দ্বীপের কাছে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে কোণঠাসা করে ফেলে পাইরেট হান্টাররা। জলদস্যুদের জন্য ঘোষণা করা পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার জন্য যারা তাদের ধরত বা মারত তাদেরই বলা হতো পাইরেট হান্টার। দারুণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মারা পড়েন ব্ল্যাকবিয়ার্ড।
অ্যান বনি
পুরুষের আধিপত্যময় এক বিশ্বে, অ্যান বনি আবির্ভূত হন নিষ্ঠুর এবং নির্ভীক এক নারী জলদস্যু হিসেবে। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বনি সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বনে যান জলদস্যু। প্রেমিক কুখ্যাত ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেমের সঙ্গে মিলে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতেন অ্যান বনি।
একজন দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি এবং নারীর প্রথাগত ভূমিকা মেনে চলতে অস্বীকৃতি বনিকে জলদস্যুদের মধ্যে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে। তবে একপর্যায়ে বন্দী হন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালাতে সক্ষম হন। তারপর তার আর খোঁজ না মিললেও বনির সাহস এবং অনমনীয়তা রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে তাকে।
ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেম
বনির কথা যেহেতু বলা হলোই তাহলে তার প্রেমিক ক্যালিকো জ্যাক রেকহ্যাম কেন বাদ থাকবেন! র্যাকহেম রঙিন সুতির বা ক্যালিকো পোশাক পরতেন। এ কারণে ক্যালিকো জ্যাক নামে পরিচিতি পান। তার জলদস্যু জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাকে বন্দী করার পর ১৭২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বন্দী হওয়ার আগেই অসংখ্য জাহাজ দখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
ক্যাপ্টেন কিড
উইলিয়াম কিড পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামে। তার শুরুটা প্রাইভেটিয়ার হিসেবে। ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রাইভেটিয়ারদের কাজ ছিল যুদ্ধের সময় শত্রু জাহাজ আক্রমণ করা। তবে দ্রুতই জলদস্যুতে পরিণত হন। শত্রু জাহাজের পাশাপাশি সাধারণ সদাগরি জাহাজগুলিও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এটা তাকে একজন নির্মম এবং রক্তপিপাসু জলদস্যু হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেয়। তবে একপর্যায়ে কিড বন্দী হন এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। যতদূর জানা যায় ১৭০১ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার।
বার্থলোমিও রবার্টস
বার্থলোমিও রবার্টস পরিচিত ছিলেন ব্ল্যাক বার্ট নামে। অনেকেই তাকে বিবেচনা করেন সোনালি যুগের সবচেয়ে সফল জলদস্যু হিসেবে। ৪০০-র বেশি জাহাজ দখল করে নাবিকদের মধ্যে নিজেদের ভীতিকর এক ইমেজ তৈরি করেন তিনি। রবার্টস তার কঠোর আচরণবিধির জন্য পরিচিত ছিলেন। নিজের জাহাজে জুয়া, মদ্যপান এবং লড়াই নিষিদ্ধ করেছিলেন।
হেনরি মরগান
হেনরি মরগানের গল্পটা অন্য জলদস্যুদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুরুটা তার জলদস্যু হিসেবে। বিশেষ করে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলিতে হামলা চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পান এবং ব্রিটিশ সরকার স্পেনীয় জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রাইভেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দেয় তাকে। পানামা সিটি দখল করে বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেন। পরবর্তীতে জ্যামাইকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হন। ১৬৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মেরি রিড
অ্যান বনির মতো কুখ্যাতি কামানো আরেক নারী জলদস্যু মেরি রিড। তবে তিনি সবসময় থাকতেন পুরুষের ছদ্মবেশে। এমনকি দলের অন্য জলদস্যুদের থেকেও নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটা প্রকাশ পায় রিডসহ অন্য জলদস্যুরা ধরা পড়ার পর।
বন্দী হওয়ার পরে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই কারাগারে মারা যান তিনি। তার গল্প সেইসব নারীর গুপ্ত ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করে যারা চিরাচরিত রীতিকে অস্বীকার করেন এবং জলদস্যুতার মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
চিং শি
চীনা এই নারী জলদস্যু নেতৃত্ব দিতেন ইতিহাসের জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় জাহাজ বহরগুলির একটির। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সদাগরি জাহাজের পাশাপাশি ও নৌবাহিনীর জাহাজও আতঙ্কে থাকত এই নারী জলদস্যু ও তার দলবলকে নিয়ে।
চিং শির অসাধারণ কৌশল এবং কঠোর আচরণবিধি তাকে প্রচুর সম্পদের মালিক করার পাশাপাশি বিপুল ক্ষমতাশালী করে। অবশ্য একপর্যায়ে জলদস্যুর জীবন ছেড়ে সাধারণ, বৈধ নাগরিকের মতো জীবন-যাপন করতে থাকেন।
এডওয়ার্ড লো
নাবিকদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য এডওয়ার্ড লোর নামটিই ছিল যথেষ্ট। তিনি বন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণের জন্য কুখ্যাতি পান। নিষ্ঠুরতার জন্য তার খ্যাতি তাকে আঠারো শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যুদের তালিকায় ওপরের দিকে রাখবে। অবশ্য একপর্যায়ে তাকে বন্দী করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
জঁ লাফিত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গালফ অব মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান চালাতেন জঁ লাফিত। লাফিত ও তার ভাই পিয়ের চোরাচালানের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার আগ্রহের জন্যও পরিচিতি পান। তার অপারেশনের মূল ঘাঁটি ছিল নিউ অরলিন্স। সেখানে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন প্রাইভেটিয়ার হিসেবে তার দক্ষতা তাকে আমেরিকানদের কাছে মূল্যবান এক সম্পদে পরিণত করে। নায়ক এবং খলনায়কের মধ্যে সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা করে দেন জঁ লাফিত।
সূত্র: ফ্যামিলি ওয়াইজ ডট কম ইউকে, উইকিপিডিয়া

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাঁদের গুপ্তধন। এদিকে এখন বাংলাদেশি একটি জাহাজের দখলে নিয়ে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে আলোচনায় সোমালি জলদস্যুরা। অবশ্য এখনকার এই জলদস্যুদের সঙ্গে পুরোনো দিনের সেই জলদস্যুদের অনেকই তফাত।
আগের জমানার ওই জলদস্যুরা শাসন করত সাগর। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিল তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে।
জলদস্যুতার সোনালি সময়
সতেরো ও আঠারো শতকে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় মহা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে জলদস্যুরা। জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত এই উত্তাল যুগে কুখ্যাত সব জলদস্যুর উত্থান ঘটেছিল। যারা বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন করত, উপকূলীয় শহরগুলিতে লুটতরাজ চালাত। চলুন তবে কয়েকটি শতাব্দী পিছিয়ে যাই, পরিচিত হই জলদস্যুতার সোনালি সময়ের সেই সব দুর্দমনীয়-ভয়ংকর জলদস্যুদের সঙ্গে।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড
যার নাম শুনলেই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের গা কাটা দিয়ে উঠত তিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড। তার আসল নাম এডওয়ার্ড টিচ। অনেকের বিবেচনাতেই তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জলদস্যু। কালো জট পাকানো চুল, দাঁড়ির কিনারা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া, ভাটার মতো জ্বলন্ত দুই চোখ, শরীরের সঙ্গে আটকানো পিস্তল—সব মিলিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে দেখলেই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হতো নাবিকদের।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের হাত থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকেরা জানান, লুটতরাজের সময় টুপির নিচে জ্বলন্ত দড়ির টুকরো রেখে দিত ভয়ানক এই দস্যু। জাহাজের একটি বহরের নেতৃত্ব দেওয়া ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্যারিবিয়ান ও আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজ লুট করে বিশাল সম্পদের মালিক হন। বলা চলে অক্ষত অবস্থায় তার এলাকা অতিক্রমের সাধ্য ছিল না কোনো জাহাজের। পরে পাইরেট হান্টারদের হাতে নিহত হন এই ভয়ংকর দস্যু।
দিনটি ছিল ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর। আমেরিকার উত্তর ক্যারোলাইনার ওকরাকক দ্বীপের কাছে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে কোণঠাসা করে ফেলে পাইরেট হান্টাররা। জলদস্যুদের জন্য ঘোষণা করা পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার জন্য যারা তাদের ধরত বা মারত তাদেরই বলা হতো পাইরেট হান্টার। দারুণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মারা পড়েন ব্ল্যাকবিয়ার্ড।
অ্যান বনি
পুরুষের আধিপত্যময় এক বিশ্বে, অ্যান বনি আবির্ভূত হন নিষ্ঠুর এবং নির্ভীক এক নারী জলদস্যু হিসেবে। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বনি সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বনে যান জলদস্যু। প্রেমিক কুখ্যাত ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেমের সঙ্গে মিলে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতেন অ্যান বনি।
একজন দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি এবং নারীর প্রথাগত ভূমিকা মেনে চলতে অস্বীকৃতি বনিকে জলদস্যুদের মধ্যে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে। তবে একপর্যায়ে বন্দী হন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালাতে সক্ষম হন। তারপর তার আর খোঁজ না মিললেও বনির সাহস এবং অনমনীয়তা রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে তাকে।
ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেম
বনির কথা যেহেতু বলা হলোই তাহলে তার প্রেমিক ক্যালিকো জ্যাক রেকহ্যাম কেন বাদ থাকবেন! র্যাকহেম রঙিন সুতির বা ক্যালিকো পোশাক পরতেন। এ কারণে ক্যালিকো জ্যাক নামে পরিচিতি পান। তার জলদস্যু জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাকে বন্দী করার পর ১৭২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বন্দী হওয়ার আগেই অসংখ্য জাহাজ দখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
ক্যাপ্টেন কিড
উইলিয়াম কিড পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামে। তার শুরুটা প্রাইভেটিয়ার হিসেবে। ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রাইভেটিয়ারদের কাজ ছিল যুদ্ধের সময় শত্রু জাহাজ আক্রমণ করা। তবে দ্রুতই জলদস্যুতে পরিণত হন। শত্রু জাহাজের পাশাপাশি সাধারণ সদাগরি জাহাজগুলিও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এটা তাকে একজন নির্মম এবং রক্তপিপাসু জলদস্যু হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেয়। তবে একপর্যায়ে কিড বন্দী হন এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। যতদূর জানা যায় ১৭০১ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার।
বার্থলোমিও রবার্টস
বার্থলোমিও রবার্টস পরিচিত ছিলেন ব্ল্যাক বার্ট নামে। অনেকেই তাকে বিবেচনা করেন সোনালি যুগের সবচেয়ে সফল জলদস্যু হিসেবে। ৪০০-র বেশি জাহাজ দখল করে নাবিকদের মধ্যে নিজেদের ভীতিকর এক ইমেজ তৈরি করেন তিনি। রবার্টস তার কঠোর আচরণবিধির জন্য পরিচিত ছিলেন। নিজের জাহাজে জুয়া, মদ্যপান এবং লড়াই নিষিদ্ধ করেছিলেন।
হেনরি মরগান
হেনরি মরগানের গল্পটা অন্য জলদস্যুদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুরুটা তার জলদস্যু হিসেবে। বিশেষ করে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলিতে হামলা চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পান এবং ব্রিটিশ সরকার স্পেনীয় জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রাইভেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দেয় তাকে। পানামা সিটি দখল করে বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেন। পরবর্তীতে জ্যামাইকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হন। ১৬৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মেরি রিড
অ্যান বনির মতো কুখ্যাতি কামানো আরেক নারী জলদস্যু মেরি রিড। তবে তিনি সবসময় থাকতেন পুরুষের ছদ্মবেশে। এমনকি দলের অন্য জলদস্যুদের থেকেও নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটা প্রকাশ পায় রিডসহ অন্য জলদস্যুরা ধরা পড়ার পর।
বন্দী হওয়ার পরে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই কারাগারে মারা যান তিনি। তার গল্প সেইসব নারীর গুপ্ত ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করে যারা চিরাচরিত রীতিকে অস্বীকার করেন এবং জলদস্যুতার মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
চিং শি
চীনা এই নারী জলদস্যু নেতৃত্ব দিতেন ইতিহাসের জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় জাহাজ বহরগুলির একটির। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সদাগরি জাহাজের পাশাপাশি ও নৌবাহিনীর জাহাজও আতঙ্কে থাকত এই নারী জলদস্যু ও তার দলবলকে নিয়ে।
চিং শির অসাধারণ কৌশল এবং কঠোর আচরণবিধি তাকে প্রচুর সম্পদের মালিক করার পাশাপাশি বিপুল ক্ষমতাশালী করে। অবশ্য একপর্যায়ে জলদস্যুর জীবন ছেড়ে সাধারণ, বৈধ নাগরিকের মতো জীবন-যাপন করতে থাকেন।
এডওয়ার্ড লো
নাবিকদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য এডওয়ার্ড লোর নামটিই ছিল যথেষ্ট। তিনি বন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণের জন্য কুখ্যাতি পান। নিষ্ঠুরতার জন্য তার খ্যাতি তাকে আঠারো শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যুদের তালিকায় ওপরের দিকে রাখবে। অবশ্য একপর্যায়ে তাকে বন্দী করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
জঁ লাফিত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গালফ অব মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান চালাতেন জঁ লাফিত। লাফিত ও তার ভাই পিয়ের চোরাচালানের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার আগ্রহের জন্যও পরিচিতি পান। তার অপারেশনের মূল ঘাঁটি ছিল নিউ অরলিন্স। সেখানে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন প্রাইভেটিয়ার হিসেবে তার দক্ষতা তাকে আমেরিকানদের কাছে মূল্যবান এক সম্পদে পরিণত করে। নায়ক এবং খলনায়কের মধ্যে সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা করে দেন জঁ লাফিত।
সূত্র: ফ্যামিলি ওয়াইজ ডট কম ইউকে, উইকিপিডিয়া

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাদের গুপ্তধন। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিলেন তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। চলুন
১৭ মার্চ ২০২৪
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাদের গুপ্তধন। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিলেন তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। চলুন
১৭ মার্চ ২০২৪
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাদের গুপ্তধন। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিলেন তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। চলুন
১৭ মার্চ ২০২৪
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।
প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।
তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।
অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।
প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।
তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।
অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাদের গুপ্তধন। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিলেন তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। চলুন
১৭ মার্চ ২০২৪
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে