
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের বাসিন্দা মাহমুদ আকরাম। ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ ভাষার জগতে এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি ৪০০টি ভাষায় পড়তে, লিখতে এবং কম্পিউটারে টাইপ করতে পারে। এর মধ্যে ৪৬টি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন। তাঁর এই দক্ষতা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অধ্যবসায়ের ফল।
মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ শুরু হয় শৈশবেই। তাঁর বাবার শিলবি মোঝিপ্রিয়ানও ১৬টি ভাষায় পারদর্শী। কগনিটিভ সাইকোলজিতে পিএইচডিসহ বেশ কয়েকটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। শিলবি কর্মসূত্রে ইসরায়েল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তখনই পণ করেছিলেন, সন্তানও যেন একই সমস্যায় না পড়ে। তাই, মাহমুদ যখন মায়ের গর্ভে, তখনই ভাষা নিয়ে আলোচনা করতেন শিলবি দম্পতি। শৈশব থেকে পরিবারে এসব আলোচনাই মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ জাগাতে সহায়তা করে।
চার বছর বয়সে মাহমুদ ভাষা শিক্ষার যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তিনি তামিল ও ইংরেজি বর্ণমালা শিখতে শুরু করেন এবং মাত্র ছয় দিনে ইংরেজি বর্ণমালা আয়ত্ত করেন। তামিলের ২৯৯টি বর্ণ শিখতে তাঁর সময় লেগেছিল মাত্র তিন সপ্তাহ। যেখানে শিশুদের সাধারণত এটি শিখতে মাসের পর মাস সময় লাগে। বাবার সহায়তায় প্রাচীন তামিল লিপি যেমন: ভাট্টেলুত্তু, গ্রন্থা এবং তামিঝি শিখে ফেলেন মাহমুদ। ছয় বছর বয়সে বাবার ভাষাজ্ঞানকে অতিক্রম করে আরও ভাষা শিখতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি।
ছয় থেকে আট বছর বয়সের মধ্যে মাহমুদ স্বশিক্ষায় ৫০টি ভাষা শিখে ফেলেন। তখন তিনি বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক এবং অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ওমনিগ্লটের ওপর নির্ভর করতেন। আট বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বহুভাষিক টাইপিস্ট হিসেবে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন ভাষায় টাইপ ও পড়ার দক্ষতা প্রদর্শন করেন।
দশ বছর বয়সে এক ঘণ্টার মধ্যে ২০টি ভাষায় ভারতের জাতীয় সংগীত লিখে দ্বিতীয় বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন মাহমুদ। বারো বছর বয়সে তিনি ৪০০টি ভাষায় পড়া, লেখা ও টাইপ করার দক্ষতা অর্জন করেন এবং জার্মানিতে ৭০ জন ভাষাবিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন। সেখানে তিন মিনিটের মধ্যে একটি বাক্য যত বেশি সম্ভব ভাষায় অনুবাদ করতে হয়েছিল। মাহমুদ সর্বাধিক অনুবাদ করে জার্মান ইয়ং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড জয় করেন।
তবে মাহমুদের ভাষার প্রতি গভীর আগ্রহ তাঁর প্রচলিত শিক্ষার পথে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চেন্নাইয়ে পড়াশোনা করেন, কিন্তু ভাষা শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত স্কুলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ভারতে এমন স্কুল না পাওয়ায় তিনি ইসরায়েলের একটি অনলাইন স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন, যেখানে প্রধান বিষয়ের পাশাপাশি হিব্রু, আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষা শিখেন।
মাহমুদ তামিল ভাষার প্রাচীন সাহিত্য ও জ্ঞানকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান। তাঁর লক্ষ্য তামিল ভাষার সম্পদকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে বিশ্ববাসী তামিল সংস্কৃতি ও জ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারে। তিনি আকরাম গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অনলাইন এবং সশরীরে ভাষা শিক্ষা দেন তিনি।
তথ্যসূত্র: বেটার ইন্ডিয়া

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের বাসিন্দা মাহমুদ আকরাম। ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ ভাষার জগতে এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি ৪০০টি ভাষায় পড়তে, লিখতে এবং কম্পিউটারে টাইপ করতে পারে। এর মধ্যে ৪৬টি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন। তাঁর এই দক্ষতা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অধ্যবসায়ের ফল।
মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ শুরু হয় শৈশবেই। তাঁর বাবার শিলবি মোঝিপ্রিয়ানও ১৬টি ভাষায় পারদর্শী। কগনিটিভ সাইকোলজিতে পিএইচডিসহ বেশ কয়েকটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। শিলবি কর্মসূত্রে ইসরায়েল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তখনই পণ করেছিলেন, সন্তানও যেন একই সমস্যায় না পড়ে। তাই, মাহমুদ যখন মায়ের গর্ভে, তখনই ভাষা নিয়ে আলোচনা করতেন শিলবি দম্পতি। শৈশব থেকে পরিবারে এসব আলোচনাই মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ জাগাতে সহায়তা করে।
চার বছর বয়সে মাহমুদ ভাষা শিক্ষার যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তিনি তামিল ও ইংরেজি বর্ণমালা শিখতে শুরু করেন এবং মাত্র ছয় দিনে ইংরেজি বর্ণমালা আয়ত্ত করেন। তামিলের ২৯৯টি বর্ণ শিখতে তাঁর সময় লেগেছিল মাত্র তিন সপ্তাহ। যেখানে শিশুদের সাধারণত এটি শিখতে মাসের পর মাস সময় লাগে। বাবার সহায়তায় প্রাচীন তামিল লিপি যেমন: ভাট্টেলুত্তু, গ্রন্থা এবং তামিঝি শিখে ফেলেন মাহমুদ। ছয় বছর বয়সে বাবার ভাষাজ্ঞানকে অতিক্রম করে আরও ভাষা শিখতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি।
ছয় থেকে আট বছর বয়সের মধ্যে মাহমুদ স্বশিক্ষায় ৫০টি ভাষা শিখে ফেলেন। তখন তিনি বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক এবং অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ওমনিগ্লটের ওপর নির্ভর করতেন। আট বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বহুভাষিক টাইপিস্ট হিসেবে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন ভাষায় টাইপ ও পড়ার দক্ষতা প্রদর্শন করেন।
দশ বছর বয়সে এক ঘণ্টার মধ্যে ২০টি ভাষায় ভারতের জাতীয় সংগীত লিখে দ্বিতীয় বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন মাহমুদ। বারো বছর বয়সে তিনি ৪০০টি ভাষায় পড়া, লেখা ও টাইপ করার দক্ষতা অর্জন করেন এবং জার্মানিতে ৭০ জন ভাষাবিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন। সেখানে তিন মিনিটের মধ্যে একটি বাক্য যত বেশি সম্ভব ভাষায় অনুবাদ করতে হয়েছিল। মাহমুদ সর্বাধিক অনুবাদ করে জার্মান ইয়ং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড জয় করেন।
তবে মাহমুদের ভাষার প্রতি গভীর আগ্রহ তাঁর প্রচলিত শিক্ষার পথে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চেন্নাইয়ে পড়াশোনা করেন, কিন্তু ভাষা শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত স্কুলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ভারতে এমন স্কুল না পাওয়ায় তিনি ইসরায়েলের একটি অনলাইন স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন, যেখানে প্রধান বিষয়ের পাশাপাশি হিব্রু, আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষা শিখেন।
মাহমুদ তামিল ভাষার প্রাচীন সাহিত্য ও জ্ঞানকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান। তাঁর লক্ষ্য তামিল ভাষার সম্পদকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে বিশ্ববাসী তামিল সংস্কৃতি ও জ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারে। তিনি আকরাম গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অনলাইন এবং সশরীরে ভাষা শিক্ষা দেন তিনি।
তথ্যসূত্র: বেটার ইন্ডিয়া

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের বাসিন্দা মাহমুদ আকরাম। ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ ভাষার জগতে এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি ৪০০টি ভাষায় পড়তে, লিখতে এবং কম্পিউটারে টাইপ করতে পারে। এর মধ্যে ৪৬টি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন। তাঁর এই দক্ষতা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অধ্যবসায়ের ফল।
মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ শুরু হয় শৈশবেই। তাঁর বাবার শিলবি মোঝিপ্রিয়ানও ১৬টি ভাষায় পারদর্শী। কগনিটিভ সাইকোলজিতে পিএইচডিসহ বেশ কয়েকটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। শিলবি কর্মসূত্রে ইসরায়েল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তখনই পণ করেছিলেন, সন্তানও যেন একই সমস্যায় না পড়ে। তাই, মাহমুদ যখন মায়ের গর্ভে, তখনই ভাষা নিয়ে আলোচনা করতেন শিলবি দম্পতি। শৈশব থেকে পরিবারে এসব আলোচনাই মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ জাগাতে সহায়তা করে।
চার বছর বয়সে মাহমুদ ভাষা শিক্ষার যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তিনি তামিল ও ইংরেজি বর্ণমালা শিখতে শুরু করেন এবং মাত্র ছয় দিনে ইংরেজি বর্ণমালা আয়ত্ত করেন। তামিলের ২৯৯টি বর্ণ শিখতে তাঁর সময় লেগেছিল মাত্র তিন সপ্তাহ। যেখানে শিশুদের সাধারণত এটি শিখতে মাসের পর মাস সময় লাগে। বাবার সহায়তায় প্রাচীন তামিল লিপি যেমন: ভাট্টেলুত্তু, গ্রন্থা এবং তামিঝি শিখে ফেলেন মাহমুদ। ছয় বছর বয়সে বাবার ভাষাজ্ঞানকে অতিক্রম করে আরও ভাষা শিখতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি।
ছয় থেকে আট বছর বয়সের মধ্যে মাহমুদ স্বশিক্ষায় ৫০টি ভাষা শিখে ফেলেন। তখন তিনি বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক এবং অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ওমনিগ্লটের ওপর নির্ভর করতেন। আট বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বহুভাষিক টাইপিস্ট হিসেবে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন ভাষায় টাইপ ও পড়ার দক্ষতা প্রদর্শন করেন।
দশ বছর বয়সে এক ঘণ্টার মধ্যে ২০টি ভাষায় ভারতের জাতীয় সংগীত লিখে দ্বিতীয় বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন মাহমুদ। বারো বছর বয়সে তিনি ৪০০টি ভাষায় পড়া, লেখা ও টাইপ করার দক্ষতা অর্জন করেন এবং জার্মানিতে ৭০ জন ভাষাবিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন। সেখানে তিন মিনিটের মধ্যে একটি বাক্য যত বেশি সম্ভব ভাষায় অনুবাদ করতে হয়েছিল। মাহমুদ সর্বাধিক অনুবাদ করে জার্মান ইয়ং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড জয় করেন।
তবে মাহমুদের ভাষার প্রতি গভীর আগ্রহ তাঁর প্রচলিত শিক্ষার পথে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চেন্নাইয়ে পড়াশোনা করেন, কিন্তু ভাষা শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত স্কুলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ভারতে এমন স্কুল না পাওয়ায় তিনি ইসরায়েলের একটি অনলাইন স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন, যেখানে প্রধান বিষয়ের পাশাপাশি হিব্রু, আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষা শিখেন।
মাহমুদ তামিল ভাষার প্রাচীন সাহিত্য ও জ্ঞানকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান। তাঁর লক্ষ্য তামিল ভাষার সম্পদকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে বিশ্ববাসী তামিল সংস্কৃতি ও জ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারে। তিনি আকরাম গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অনলাইন এবং সশরীরে ভাষা শিক্ষা দেন তিনি।
তথ্যসূত্র: বেটার ইন্ডিয়া

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের বাসিন্দা মাহমুদ আকরাম। ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ ভাষার জগতে এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি ৪০০টি ভাষায় পড়তে, লিখতে এবং কম্পিউটারে টাইপ করতে পারে। এর মধ্যে ৪৬টি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন। তাঁর এই দক্ষতা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অধ্যবসায়ের ফল।
মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ শুরু হয় শৈশবেই। তাঁর বাবার শিলবি মোঝিপ্রিয়ানও ১৬টি ভাষায় পারদর্শী। কগনিটিভ সাইকোলজিতে পিএইচডিসহ বেশ কয়েকটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। শিলবি কর্মসূত্রে ইসরায়েল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তখনই পণ করেছিলেন, সন্তানও যেন একই সমস্যায় না পড়ে। তাই, মাহমুদ যখন মায়ের গর্ভে, তখনই ভাষা নিয়ে আলোচনা করতেন শিলবি দম্পতি। শৈশব থেকে পরিবারে এসব আলোচনাই মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ জাগাতে সহায়তা করে।
চার বছর বয়সে মাহমুদ ভাষা শিক্ষার যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তিনি তামিল ও ইংরেজি বর্ণমালা শিখতে শুরু করেন এবং মাত্র ছয় দিনে ইংরেজি বর্ণমালা আয়ত্ত করেন। তামিলের ২৯৯টি বর্ণ শিখতে তাঁর সময় লেগেছিল মাত্র তিন সপ্তাহ। যেখানে শিশুদের সাধারণত এটি শিখতে মাসের পর মাস সময় লাগে। বাবার সহায়তায় প্রাচীন তামিল লিপি যেমন: ভাট্টেলুত্তু, গ্রন্থা এবং তামিঝি শিখে ফেলেন মাহমুদ। ছয় বছর বয়সে বাবার ভাষাজ্ঞানকে অতিক্রম করে আরও ভাষা শিখতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি।
ছয় থেকে আট বছর বয়সের মধ্যে মাহমুদ স্বশিক্ষায় ৫০টি ভাষা শিখে ফেলেন। তখন তিনি বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক এবং অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ওমনিগ্লটের ওপর নির্ভর করতেন। আট বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বহুভাষিক টাইপিস্ট হিসেবে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন ভাষায় টাইপ ও পড়ার দক্ষতা প্রদর্শন করেন।
দশ বছর বয়সে এক ঘণ্টার মধ্যে ২০টি ভাষায় ভারতের জাতীয় সংগীত লিখে দ্বিতীয় বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন মাহমুদ। বারো বছর বয়সে তিনি ৪০০টি ভাষায় পড়া, লেখা ও টাইপ করার দক্ষতা অর্জন করেন এবং জার্মানিতে ৭০ জন ভাষাবিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেন। সেখানে তিন মিনিটের মধ্যে একটি বাক্য যত বেশি সম্ভব ভাষায় অনুবাদ করতে হয়েছিল। মাহমুদ সর্বাধিক অনুবাদ করে জার্মান ইয়ং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড জয় করেন।
তবে মাহমুদের ভাষার প্রতি গভীর আগ্রহ তাঁর প্রচলিত শিক্ষার পথে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চেন্নাইয়ে পড়াশোনা করেন, কিন্তু ভাষা শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত স্কুলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ভারতে এমন স্কুল না পাওয়ায় তিনি ইসরায়েলের একটি অনলাইন স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন, যেখানে প্রধান বিষয়ের পাশাপাশি হিব্রু, আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষা শিখেন।
মাহমুদ তামিল ভাষার প্রাচীন সাহিত্য ও জ্ঞানকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান। তাঁর লক্ষ্য তামিল ভাষার সম্পদকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে বিশ্ববাসী তামিল সংস্কৃতি ও জ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারে। তিনি আকরাম গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অনলাইন এবং সশরীরে ভাষা শিক্ষা দেন তিনি।
তথ্যসূত্র: বেটার ইন্ডিয়া

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ শুরু হয় শৈশবেই। তাঁর বাবার শিলবি মোঝিপ্রিয়ানও ১৬টি ভাষায় পারদর্শী। কগনিটিভ সাইকোলজিতে পিএইচডিসহ বেশ কয়েকটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। শিলবি কর্মসূত্রে ইসরায়েল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ শুরু হয় শৈশবেই। তাঁর বাবার শিলবি মোঝিপ্রিয়ানও ১৬টি ভাষায় পারদর্শী। কগনিটিভ সাইকোলজিতে পিএইচডিসহ বেশ কয়েকটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। শিলবি কর্মসূত্রে ইসরায়েল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ শুরু হয় শৈশবেই। তাঁর বাবার শিলবি মোঝিপ্রিয়ানও ১৬টি ভাষায় পারদর্শী। কগনিটিভ সাইকোলজিতে পিএইচডিসহ বেশ কয়েকটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। শিলবি কর্মসূত্রে ইসরায়েল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।
প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।
তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।
অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।
প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।
তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।
অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

মাহমুদের ভাষার প্রতি আগ্রহ শুরু হয় শৈশবেই। তাঁর বাবার শিলবি মোঝিপ্রিয়ানও ১৬টি ভাষায় পারদর্শী। কগনিটিভ সাইকোলজিতে পিএইচডিসহ বেশ কয়েকটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। শিলবি কর্মসূত্রে ইসরায়েল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে