ইশতিয়াক হাসান

অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির, একসময় যেটি ছিল একটি সরাইখানা।
একে বিবেচনা করা হয় ওটন-আন্ডার-এজের সবচেয়ে পুরোনো দালান হিসেবে। ব্রিস্টল থেকে ছোট্ট গ্রামটিতে যেতে সময় লাগে মিনিট চল্লিশেক। বাড়িটির ইতিহাস যেমন রহস্যে ঘেরা, তেমনি এখানে বিভিন্ন সময় বাস করা মানুষ এবং এখানে যাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তাঁরা এখনো বাড়িটির মায়া কাটাতে পারেননি বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের।
১১৪৫ সালে দালানটি তৈরির কাজ শুরুর আগে এই এলাকাটি ছিল প্যাগানদের (বিশেষ এক ধরনের মত বা বিশ্বাসের অনুসারীরা) সমাধি এলাকা। তারপর আবার এটি পড়েছে গ্রেট ব্রিটেনের প্রাচীন একটি পথ বা লে লাইনের মধ্যে। এই পথের সঙ্গে এমনকি সংযোগ আছে রহস্যময় স্থাপনা স্টোনহেঞ্জেরও। তাই এই বাড়িটি নির্মাণের পর একে ঘিরে যখন নানা রহস্যময়, ভুতুড়ে ঘটনা ঘটতে শুরু করে, তখন পুরোনো ওই ইতিহাস স্মরণ করে নানান কিংবদন্তি ডালপালা মেলতে থাকে।
১১৪৫ সালে দালানটি বানানো হয় কাছের সেন্ট মেরি চার্চ তৈরিতে কাজ করা রাজমিস্ত্রিসহ বিভিন্ন শ্রমিকদের বাসস্থান হিসেবে। স্থানীয় মানুষদের দাবি, এই কাজের সময় প্যাগানদের বিভিন্ন আচারে ব্যবহার করা কালো শক্তির দুয়ার খুলে যায়। এটিই পরবর্তী সময়ে এখানে নানা ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার অন্যতম কারণ।
রাজমিস্ত্রি এবং অন্য শ্রমিকেরা বাড়িটি ছেড়ে যাওয়ার পর এখানে বাস করেন একজন যাজক। পরে এটি সরাইখানা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে জন হামফ্রিজ একে কিনে নিয়ে নিজের বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। ঐতিহাসিক এ বাড়িটির পুরোনো রূপ অক্ষত রেখে একে রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। ২০১৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর মেয়ে ক্যারোলিন হামফ্রিজ এর মালিক হন।
তবে কয়েক শ বছরে এই সরাইখানা বা বাড়িটি ঘিরে এমন সব ভৌতিক গল্প ছড়িয়ে আছে যে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা রাতে এর পাশ দিয়ে হাঁটতে সাহস পান না। অনেকেই বলেন দালানটির ভেতরে ঢুকলে এক ধরনের অস্বস্তি, আরও পরিষ্কারভাবে বললে আসন্ন বিপদের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে মনে। নগ্ন দেয়াল, হেঁটে যাওয়ার সময় কাঠের মেঝেতে মচমচ শব্দ, কখনো কখনো রহস্যময় ছায়া—সব মিলিয়ে পিঠ দিয়ে শীতল একটা স্রোত নেমে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। তারপর আবার আপনার যদি একে ঘিরে জন্ম নেওয়া ভুতুড়ে ঘটনাগুলো জানা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই!
প্রথম যে কামরাটায় পর্যটকেরা ঢোকেন সেটি পরিচিত মেন’স কিচেন নামে। বলা হয় এই কামরাটির অবস্থান প্যাগানদের সমাধি এলাকার ঠিক পাশে। মাঝে মাঝেই এ কামরায় এক শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়ার অভিযোগ করেন ভ্রমণকারীরা। আবার খাড়া সিঁড়ি ধরে ওপরে উঠতে থাকা লোকেদের অদৃশ্য কোনো হাত সিঁড়িতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ শোনা যায় মাঝে মাঝেই। ১৯৯৯ সালের জুনে এখানে তোলা এক ছবিতে মানুষের উচ্চতার রহস্যময় এক সাদা কুয়াশাকে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখা যায়।
দুই তলাতেই পাবেন সরাইখানার সবচেয়ে ভীতিকর কামরাটিকে। এটি পরিচিত বিশপ’স রুম বা যাজকের কামরা নামে। শোনা যায় একবার এক লোক দরজা ঠেলে কামরাটায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য এক শক্তি তাকে বারান্দায় ছুড়ে ফেলে। ভেতরের আবহাওয়াটাও কেমন ভারী ও অস্বস্তিকর বলে দাবি করেন পর্যটকেরা। এখানেই ড্রেসিং টেবিলের ভেতর থেকে ভুতুড়ে এক অশ্বারোহীকে বের হয়ে ওপাশের দেয়ালে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেন বলে জানান অনেকে। কামরাটির এক কোণে হঠাৎ হঠাৎ দেখা মেলে দুজন যাজকের। কখনো কখনো একজন লোকের ভয়াবহ আর্তচিৎকার শোনা যায়। এখানে আসা মানুষদের ধারণা, এই কামরায় আগুনে মাথা ঢুকিয়ে যে লোকটিকে হত্যা করা হয়েছিল তার চিৎকার এটি।
দরজার কাছে দেখা মেলে ভৌতিক এক মেষ পালক এবং তাঁর কুকুরের। কামরায় যাঁরা রাত কাটান তাঁরা হঠাৎ অদৃশ্য কিছু তাঁদের জাপটে ধরার অভিযোগ করেন।
বাড়ির চিলেকোঠাটিরও ভুতুড়ে বলে বদনাম আছে। এক সরাইখানা মালিকের মেয়েকে ওই চিলেকোঠায় নাকি খুন করা হয়েছিল। চিলেকোঠার নিচে বিশপের কামরায় যাঁরা শুয়েছেন তাঁদের অনেকেই ওপরে ভারী কিছু টেনে নেওয়ার আওয়াজ পেয়েছেন।
বাড়িটির একটি দেয়ালের ভেতর পাওয়া গেছে ৫০০ বছর বয়সী মমিতে রূপান্তর করা একটি বিড়াল। বাড়ির বর্তমান মালিক ক্যারোলিনের ধারণা ডাইনির প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য এটি এখানে স্থাপন করা হয়েছিল।
দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক টিভি শো, বিখ্যাত হন্টেড আর ঘোস্ট অ্যাডভেঞ্চার শোগুলোতেও নিয়মিত উপস্থিতি এর। শুধু ইংল্যান্ড নয়, গোটা পৃথিবী জুড়েই ভুতুড়ে বাড়ি হিসেবে এর পরিচিতি। এদিকে বাড়িটির নতুন মালিক ক্যারোলিন হামফ্রিজ বছরের নির্দিষ্ট কিছুদিনে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এটিকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন অ্যানশেন্ট রাম ইনের ভেতর যেসব অশুভ আত্মাদের বিচরণ তারা এখনো প্রবলভাবে সক্রিয়। এটা এমন এক জায়গা যেখানে তাই দুর্বলচিত্তদের না যাওয়াটাই ভালো। তবে সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে ভূতপূর্ব এই সরাইখানাটিতে পা রাখামাত্রই যেন কয়েক শ বছর পিছিয়ে যাবেন, আর আপনি যদি সৌভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান হন তবে এখানকার অশরীরীদের কোনো একটির দেখা পেয়েও যেতে পারেন।
সূত্র: স্ট্রাউড টাইমস ডট কম, হন্টেড ব্রিটেন ডট কম, ট্র্যাভেল এওয়েটস ডট কম

অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির, একসময় যেটি ছিল একটি সরাইখানা।
একে বিবেচনা করা হয় ওটন-আন্ডার-এজের সবচেয়ে পুরোনো দালান হিসেবে। ব্রিস্টল থেকে ছোট্ট গ্রামটিতে যেতে সময় লাগে মিনিট চল্লিশেক। বাড়িটির ইতিহাস যেমন রহস্যে ঘেরা, তেমনি এখানে বিভিন্ন সময় বাস করা মানুষ এবং এখানে যাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তাঁরা এখনো বাড়িটির মায়া কাটাতে পারেননি বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের।
১১৪৫ সালে দালানটি তৈরির কাজ শুরুর আগে এই এলাকাটি ছিল প্যাগানদের (বিশেষ এক ধরনের মত বা বিশ্বাসের অনুসারীরা) সমাধি এলাকা। তারপর আবার এটি পড়েছে গ্রেট ব্রিটেনের প্রাচীন একটি পথ বা লে লাইনের মধ্যে। এই পথের সঙ্গে এমনকি সংযোগ আছে রহস্যময় স্থাপনা স্টোনহেঞ্জেরও। তাই এই বাড়িটি নির্মাণের পর একে ঘিরে যখন নানা রহস্যময়, ভুতুড়ে ঘটনা ঘটতে শুরু করে, তখন পুরোনো ওই ইতিহাস স্মরণ করে নানান কিংবদন্তি ডালপালা মেলতে থাকে।
১১৪৫ সালে দালানটি বানানো হয় কাছের সেন্ট মেরি চার্চ তৈরিতে কাজ করা রাজমিস্ত্রিসহ বিভিন্ন শ্রমিকদের বাসস্থান হিসেবে। স্থানীয় মানুষদের দাবি, এই কাজের সময় প্যাগানদের বিভিন্ন আচারে ব্যবহার করা কালো শক্তির দুয়ার খুলে যায়। এটিই পরবর্তী সময়ে এখানে নানা ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার অন্যতম কারণ।
রাজমিস্ত্রি এবং অন্য শ্রমিকেরা বাড়িটি ছেড়ে যাওয়ার পর এখানে বাস করেন একজন যাজক। পরে এটি সরাইখানা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে জন হামফ্রিজ একে কিনে নিয়ে নিজের বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। ঐতিহাসিক এ বাড়িটির পুরোনো রূপ অক্ষত রেখে একে রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। ২০১৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর মেয়ে ক্যারোলিন হামফ্রিজ এর মালিক হন।
তবে কয়েক শ বছরে এই সরাইখানা বা বাড়িটি ঘিরে এমন সব ভৌতিক গল্প ছড়িয়ে আছে যে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা রাতে এর পাশ দিয়ে হাঁটতে সাহস পান না। অনেকেই বলেন দালানটির ভেতরে ঢুকলে এক ধরনের অস্বস্তি, আরও পরিষ্কারভাবে বললে আসন্ন বিপদের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে মনে। নগ্ন দেয়াল, হেঁটে যাওয়ার সময় কাঠের মেঝেতে মচমচ শব্দ, কখনো কখনো রহস্যময় ছায়া—সব মিলিয়ে পিঠ দিয়ে শীতল একটা স্রোত নেমে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। তারপর আবার আপনার যদি একে ঘিরে জন্ম নেওয়া ভুতুড়ে ঘটনাগুলো জানা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই!
প্রথম যে কামরাটায় পর্যটকেরা ঢোকেন সেটি পরিচিত মেন’স কিচেন নামে। বলা হয় এই কামরাটির অবস্থান প্যাগানদের সমাধি এলাকার ঠিক পাশে। মাঝে মাঝেই এ কামরায় এক শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়ার অভিযোগ করেন ভ্রমণকারীরা। আবার খাড়া সিঁড়ি ধরে ওপরে উঠতে থাকা লোকেদের অদৃশ্য কোনো হাত সিঁড়িতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ শোনা যায় মাঝে মাঝেই। ১৯৯৯ সালের জুনে এখানে তোলা এক ছবিতে মানুষের উচ্চতার রহস্যময় এক সাদা কুয়াশাকে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখা যায়।
দুই তলাতেই পাবেন সরাইখানার সবচেয়ে ভীতিকর কামরাটিকে। এটি পরিচিত বিশপ’স রুম বা যাজকের কামরা নামে। শোনা যায় একবার এক লোক দরজা ঠেলে কামরাটায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য এক শক্তি তাকে বারান্দায় ছুড়ে ফেলে। ভেতরের আবহাওয়াটাও কেমন ভারী ও অস্বস্তিকর বলে দাবি করেন পর্যটকেরা। এখানেই ড্রেসিং টেবিলের ভেতর থেকে ভুতুড়ে এক অশ্বারোহীকে বের হয়ে ওপাশের দেয়ালে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেন বলে জানান অনেকে। কামরাটির এক কোণে হঠাৎ হঠাৎ দেখা মেলে দুজন যাজকের। কখনো কখনো একজন লোকের ভয়াবহ আর্তচিৎকার শোনা যায়। এখানে আসা মানুষদের ধারণা, এই কামরায় আগুনে মাথা ঢুকিয়ে যে লোকটিকে হত্যা করা হয়েছিল তার চিৎকার এটি।
দরজার কাছে দেখা মেলে ভৌতিক এক মেষ পালক এবং তাঁর কুকুরের। কামরায় যাঁরা রাত কাটান তাঁরা হঠাৎ অদৃশ্য কিছু তাঁদের জাপটে ধরার অভিযোগ করেন।
বাড়ির চিলেকোঠাটিরও ভুতুড়ে বলে বদনাম আছে। এক সরাইখানা মালিকের মেয়েকে ওই চিলেকোঠায় নাকি খুন করা হয়েছিল। চিলেকোঠার নিচে বিশপের কামরায় যাঁরা শুয়েছেন তাঁদের অনেকেই ওপরে ভারী কিছু টেনে নেওয়ার আওয়াজ পেয়েছেন।
বাড়িটির একটি দেয়ালের ভেতর পাওয়া গেছে ৫০০ বছর বয়সী মমিতে রূপান্তর করা একটি বিড়াল। বাড়ির বর্তমান মালিক ক্যারোলিনের ধারণা ডাইনির প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য এটি এখানে স্থাপন করা হয়েছিল।
দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক টিভি শো, বিখ্যাত হন্টেড আর ঘোস্ট অ্যাডভেঞ্চার শোগুলোতেও নিয়মিত উপস্থিতি এর। শুধু ইংল্যান্ড নয়, গোটা পৃথিবী জুড়েই ভুতুড়ে বাড়ি হিসেবে এর পরিচিতি। এদিকে বাড়িটির নতুন মালিক ক্যারোলিন হামফ্রিজ বছরের নির্দিষ্ট কিছুদিনে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এটিকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন অ্যানশেন্ট রাম ইনের ভেতর যেসব অশুভ আত্মাদের বিচরণ তারা এখনো প্রবলভাবে সক্রিয়। এটা এমন এক জায়গা যেখানে তাই দুর্বলচিত্তদের না যাওয়াটাই ভালো। তবে সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে ভূতপূর্ব এই সরাইখানাটিতে পা রাখামাত্রই যেন কয়েক শ বছর পিছিয়ে যাবেন, আর আপনি যদি সৌভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান হন তবে এখানকার অশরীরীদের কোনো একটির দেখা পেয়েও যেতে পারেন।
সূত্র: স্ট্রাউড টাইমস ডট কম, হন্টেড ব্রিটেন ডট কম, ট্র্যাভেল এওয়েটস ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির, একসময় যেটি ছিল একটি সরাইখানা।
একে বিবেচনা করা হয় ওটন-আন্ডার-এজের সবচেয়ে পুরোনো দালান হিসেবে। ব্রিস্টল থেকে ছোট্ট গ্রামটিতে যেতে সময় লাগে মিনিট চল্লিশেক। বাড়িটির ইতিহাস যেমন রহস্যে ঘেরা, তেমনি এখানে বিভিন্ন সময় বাস করা মানুষ এবং এখানে যাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তাঁরা এখনো বাড়িটির মায়া কাটাতে পারেননি বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের।
১১৪৫ সালে দালানটি তৈরির কাজ শুরুর আগে এই এলাকাটি ছিল প্যাগানদের (বিশেষ এক ধরনের মত বা বিশ্বাসের অনুসারীরা) সমাধি এলাকা। তারপর আবার এটি পড়েছে গ্রেট ব্রিটেনের প্রাচীন একটি পথ বা লে লাইনের মধ্যে। এই পথের সঙ্গে এমনকি সংযোগ আছে রহস্যময় স্থাপনা স্টোনহেঞ্জেরও। তাই এই বাড়িটি নির্মাণের পর একে ঘিরে যখন নানা রহস্যময়, ভুতুড়ে ঘটনা ঘটতে শুরু করে, তখন পুরোনো ওই ইতিহাস স্মরণ করে নানান কিংবদন্তি ডালপালা মেলতে থাকে।
১১৪৫ সালে দালানটি বানানো হয় কাছের সেন্ট মেরি চার্চ তৈরিতে কাজ করা রাজমিস্ত্রিসহ বিভিন্ন শ্রমিকদের বাসস্থান হিসেবে। স্থানীয় মানুষদের দাবি, এই কাজের সময় প্যাগানদের বিভিন্ন আচারে ব্যবহার করা কালো শক্তির দুয়ার খুলে যায়। এটিই পরবর্তী সময়ে এখানে নানা ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার অন্যতম কারণ।
রাজমিস্ত্রি এবং অন্য শ্রমিকেরা বাড়িটি ছেড়ে যাওয়ার পর এখানে বাস করেন একজন যাজক। পরে এটি সরাইখানা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে জন হামফ্রিজ একে কিনে নিয়ে নিজের বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। ঐতিহাসিক এ বাড়িটির পুরোনো রূপ অক্ষত রেখে একে রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। ২০১৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর মেয়ে ক্যারোলিন হামফ্রিজ এর মালিক হন।
তবে কয়েক শ বছরে এই সরাইখানা বা বাড়িটি ঘিরে এমন সব ভৌতিক গল্প ছড়িয়ে আছে যে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা রাতে এর পাশ দিয়ে হাঁটতে সাহস পান না। অনেকেই বলেন দালানটির ভেতরে ঢুকলে এক ধরনের অস্বস্তি, আরও পরিষ্কারভাবে বললে আসন্ন বিপদের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে মনে। নগ্ন দেয়াল, হেঁটে যাওয়ার সময় কাঠের মেঝেতে মচমচ শব্দ, কখনো কখনো রহস্যময় ছায়া—সব মিলিয়ে পিঠ দিয়ে শীতল একটা স্রোত নেমে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। তারপর আবার আপনার যদি একে ঘিরে জন্ম নেওয়া ভুতুড়ে ঘটনাগুলো জানা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই!
প্রথম যে কামরাটায় পর্যটকেরা ঢোকেন সেটি পরিচিত মেন’স কিচেন নামে। বলা হয় এই কামরাটির অবস্থান প্যাগানদের সমাধি এলাকার ঠিক পাশে। মাঝে মাঝেই এ কামরায় এক শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়ার অভিযোগ করেন ভ্রমণকারীরা। আবার খাড়া সিঁড়ি ধরে ওপরে উঠতে থাকা লোকেদের অদৃশ্য কোনো হাত সিঁড়িতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ শোনা যায় মাঝে মাঝেই। ১৯৯৯ সালের জুনে এখানে তোলা এক ছবিতে মানুষের উচ্চতার রহস্যময় এক সাদা কুয়াশাকে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখা যায়।
দুই তলাতেই পাবেন সরাইখানার সবচেয়ে ভীতিকর কামরাটিকে। এটি পরিচিত বিশপ’স রুম বা যাজকের কামরা নামে। শোনা যায় একবার এক লোক দরজা ঠেলে কামরাটায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য এক শক্তি তাকে বারান্দায় ছুড়ে ফেলে। ভেতরের আবহাওয়াটাও কেমন ভারী ও অস্বস্তিকর বলে দাবি করেন পর্যটকেরা। এখানেই ড্রেসিং টেবিলের ভেতর থেকে ভুতুড়ে এক অশ্বারোহীকে বের হয়ে ওপাশের দেয়ালে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেন বলে জানান অনেকে। কামরাটির এক কোণে হঠাৎ হঠাৎ দেখা মেলে দুজন যাজকের। কখনো কখনো একজন লোকের ভয়াবহ আর্তচিৎকার শোনা যায়। এখানে আসা মানুষদের ধারণা, এই কামরায় আগুনে মাথা ঢুকিয়ে যে লোকটিকে হত্যা করা হয়েছিল তার চিৎকার এটি।
দরজার কাছে দেখা মেলে ভৌতিক এক মেষ পালক এবং তাঁর কুকুরের। কামরায় যাঁরা রাত কাটান তাঁরা হঠাৎ অদৃশ্য কিছু তাঁদের জাপটে ধরার অভিযোগ করেন।
বাড়ির চিলেকোঠাটিরও ভুতুড়ে বলে বদনাম আছে। এক সরাইখানা মালিকের মেয়েকে ওই চিলেকোঠায় নাকি খুন করা হয়েছিল। চিলেকোঠার নিচে বিশপের কামরায় যাঁরা শুয়েছেন তাঁদের অনেকেই ওপরে ভারী কিছু টেনে নেওয়ার আওয়াজ পেয়েছেন।
বাড়িটির একটি দেয়ালের ভেতর পাওয়া গেছে ৫০০ বছর বয়সী মমিতে রূপান্তর করা একটি বিড়াল। বাড়ির বর্তমান মালিক ক্যারোলিনের ধারণা ডাইনির প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য এটি এখানে স্থাপন করা হয়েছিল।
দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক টিভি শো, বিখ্যাত হন্টেড আর ঘোস্ট অ্যাডভেঞ্চার শোগুলোতেও নিয়মিত উপস্থিতি এর। শুধু ইংল্যান্ড নয়, গোটা পৃথিবী জুড়েই ভুতুড়ে বাড়ি হিসেবে এর পরিচিতি। এদিকে বাড়িটির নতুন মালিক ক্যারোলিন হামফ্রিজ বছরের নির্দিষ্ট কিছুদিনে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এটিকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন অ্যানশেন্ট রাম ইনের ভেতর যেসব অশুভ আত্মাদের বিচরণ তারা এখনো প্রবলভাবে সক্রিয়। এটা এমন এক জায়গা যেখানে তাই দুর্বলচিত্তদের না যাওয়াটাই ভালো। তবে সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে ভূতপূর্ব এই সরাইখানাটিতে পা রাখামাত্রই যেন কয়েক শ বছর পিছিয়ে যাবেন, আর আপনি যদি সৌভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান হন তবে এখানকার অশরীরীদের কোনো একটির দেখা পেয়েও যেতে পারেন।
সূত্র: স্ট্রাউড টাইমস ডট কম, হন্টেড ব্রিটেন ডট কম, ট্র্যাভেল এওয়েটস ডট কম

অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির, একসময় যেটি ছিল একটি সরাইখানা।
একে বিবেচনা করা হয় ওটন-আন্ডার-এজের সবচেয়ে পুরোনো দালান হিসেবে। ব্রিস্টল থেকে ছোট্ট গ্রামটিতে যেতে সময় লাগে মিনিট চল্লিশেক। বাড়িটির ইতিহাস যেমন রহস্যে ঘেরা, তেমনি এখানে বিভিন্ন সময় বাস করা মানুষ এবং এখানে যাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তাঁরা এখনো বাড়িটির মায়া কাটাতে পারেননি বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের।
১১৪৫ সালে দালানটি তৈরির কাজ শুরুর আগে এই এলাকাটি ছিল প্যাগানদের (বিশেষ এক ধরনের মত বা বিশ্বাসের অনুসারীরা) সমাধি এলাকা। তারপর আবার এটি পড়েছে গ্রেট ব্রিটেনের প্রাচীন একটি পথ বা লে লাইনের মধ্যে। এই পথের সঙ্গে এমনকি সংযোগ আছে রহস্যময় স্থাপনা স্টোনহেঞ্জেরও। তাই এই বাড়িটি নির্মাণের পর একে ঘিরে যখন নানা রহস্যময়, ভুতুড়ে ঘটনা ঘটতে শুরু করে, তখন পুরোনো ওই ইতিহাস স্মরণ করে নানান কিংবদন্তি ডালপালা মেলতে থাকে।
১১৪৫ সালে দালানটি বানানো হয় কাছের সেন্ট মেরি চার্চ তৈরিতে কাজ করা রাজমিস্ত্রিসহ বিভিন্ন শ্রমিকদের বাসস্থান হিসেবে। স্থানীয় মানুষদের দাবি, এই কাজের সময় প্যাগানদের বিভিন্ন আচারে ব্যবহার করা কালো শক্তির দুয়ার খুলে যায়। এটিই পরবর্তী সময়ে এখানে নানা ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার অন্যতম কারণ।
রাজমিস্ত্রি এবং অন্য শ্রমিকেরা বাড়িটি ছেড়ে যাওয়ার পর এখানে বাস করেন একজন যাজক। পরে এটি সরাইখানা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে জন হামফ্রিজ একে কিনে নিয়ে নিজের বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। ঐতিহাসিক এ বাড়িটির পুরোনো রূপ অক্ষত রেখে একে রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। ২০১৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর মেয়ে ক্যারোলিন হামফ্রিজ এর মালিক হন।
তবে কয়েক শ বছরে এই সরাইখানা বা বাড়িটি ঘিরে এমন সব ভৌতিক গল্প ছড়িয়ে আছে যে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা রাতে এর পাশ দিয়ে হাঁটতে সাহস পান না। অনেকেই বলেন দালানটির ভেতরে ঢুকলে এক ধরনের অস্বস্তি, আরও পরিষ্কারভাবে বললে আসন্ন বিপদের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে মনে। নগ্ন দেয়াল, হেঁটে যাওয়ার সময় কাঠের মেঝেতে মচমচ শব্দ, কখনো কখনো রহস্যময় ছায়া—সব মিলিয়ে পিঠ দিয়ে শীতল একটা স্রোত নেমে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। তারপর আবার আপনার যদি একে ঘিরে জন্ম নেওয়া ভুতুড়ে ঘটনাগুলো জানা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই!
প্রথম যে কামরাটায় পর্যটকেরা ঢোকেন সেটি পরিচিত মেন’স কিচেন নামে। বলা হয় এই কামরাটির অবস্থান প্যাগানদের সমাধি এলাকার ঠিক পাশে। মাঝে মাঝেই এ কামরায় এক শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়ার অভিযোগ করেন ভ্রমণকারীরা। আবার খাড়া সিঁড়ি ধরে ওপরে উঠতে থাকা লোকেদের অদৃশ্য কোনো হাত সিঁড়িতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ শোনা যায় মাঝে মাঝেই। ১৯৯৯ সালের জুনে এখানে তোলা এক ছবিতে মানুষের উচ্চতার রহস্যময় এক সাদা কুয়াশাকে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখা যায়।
দুই তলাতেই পাবেন সরাইখানার সবচেয়ে ভীতিকর কামরাটিকে। এটি পরিচিত বিশপ’স রুম বা যাজকের কামরা নামে। শোনা যায় একবার এক লোক দরজা ঠেলে কামরাটায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য এক শক্তি তাকে বারান্দায় ছুড়ে ফেলে। ভেতরের আবহাওয়াটাও কেমন ভারী ও অস্বস্তিকর বলে দাবি করেন পর্যটকেরা। এখানেই ড্রেসিং টেবিলের ভেতর থেকে ভুতুড়ে এক অশ্বারোহীকে বের হয়ে ওপাশের দেয়ালে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেন বলে জানান অনেকে। কামরাটির এক কোণে হঠাৎ হঠাৎ দেখা মেলে দুজন যাজকের। কখনো কখনো একজন লোকের ভয়াবহ আর্তচিৎকার শোনা যায়। এখানে আসা মানুষদের ধারণা, এই কামরায় আগুনে মাথা ঢুকিয়ে যে লোকটিকে হত্যা করা হয়েছিল তার চিৎকার এটি।
দরজার কাছে দেখা মেলে ভৌতিক এক মেষ পালক এবং তাঁর কুকুরের। কামরায় যাঁরা রাত কাটান তাঁরা হঠাৎ অদৃশ্য কিছু তাঁদের জাপটে ধরার অভিযোগ করেন।
বাড়ির চিলেকোঠাটিরও ভুতুড়ে বলে বদনাম আছে। এক সরাইখানা মালিকের মেয়েকে ওই চিলেকোঠায় নাকি খুন করা হয়েছিল। চিলেকোঠার নিচে বিশপের কামরায় যাঁরা শুয়েছেন তাঁদের অনেকেই ওপরে ভারী কিছু টেনে নেওয়ার আওয়াজ পেয়েছেন।
বাড়িটির একটি দেয়ালের ভেতর পাওয়া গেছে ৫০০ বছর বয়সী মমিতে রূপান্তর করা একটি বিড়াল। বাড়ির বর্তমান মালিক ক্যারোলিনের ধারণা ডাইনির প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য এটি এখানে স্থাপন করা হয়েছিল।
দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক টিভি শো, বিখ্যাত হন্টেড আর ঘোস্ট অ্যাডভেঞ্চার শোগুলোতেও নিয়মিত উপস্থিতি এর। শুধু ইংল্যান্ড নয়, গোটা পৃথিবী জুড়েই ভুতুড়ে বাড়ি হিসেবে এর পরিচিতি। এদিকে বাড়িটির নতুন মালিক ক্যারোলিন হামফ্রিজ বছরের নির্দিষ্ট কিছুদিনে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এটিকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন অ্যানশেন্ট রাম ইনের ভেতর যেসব অশুভ আত্মাদের বিচরণ তারা এখনো প্রবলভাবে সক্রিয়। এটা এমন এক জায়গা যেখানে তাই দুর্বলচিত্তদের না যাওয়াটাই ভালো। তবে সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে ভূতপূর্ব এই সরাইখানাটিতে পা রাখামাত্রই যেন কয়েক শ বছর পিছিয়ে যাবেন, আর আপনি যদি সৌভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান হন তবে এখানকার অশরীরীদের কোনো একটির দেখা পেয়েও যেতে পারেন।
সূত্র: স্ট্রাউড টাইমস ডট কম, হন্টেড ব্রিটেন ডট কম, ট্র্যাভেল এওয়েটস ডট কম

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির।
২৭ মার্চ ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির।
২৭ মার্চ ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির।
২৭ মার্চ ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

অনেকের চোখেই এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। রহস্যময় ছায়ামূর্তির আনাগোনা, ভয়ানক চিৎকার, দর্শনার্থীদের ছুড়ে ফেলাসহ নানা ধরনের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড-কীর্তির গুজব শোনা যায় একে ঘিরে। এমনকি এটি তৈরির ইতিহাসটিও ঠিক স্বাভাবিক নয়। গল্পটা গ্লুচেস্টারশায়ারের দ্য অ্যানশেন্ট রাম ইন নামে পরিচিত এক বাড়ির।
২৭ মার্চ ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে