ইশতিয়াক হাসান

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব—সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অসুস্থ হলে সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টোলগা ব্যাট হসপিটাল।
অস্ট্রেলিয়ার আথার্টনে এই হাসপাতাল। সেখানে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণীর বাচ্চাদের মতো বাদুড়ের ছানারাও অনেক আদুরে।
ফ্রুট ব্যাট বা ফলখেকো বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের বাচ্চাদের হাসপাতালটিতে আনা হয় যখন পরজীবী কীট আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে এদের শরীরের কিছু অংশ বা গোটা শরীরটাই অবশ হয়ে যায়। আবার মা মারা গিয়েছে অথবা এত অসুস্থ যে খাওয়ানোর অবস্থায় নেই এমন বাচ্চাদেরও আনা হয় এখানে।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা এদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং আবার বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেন। আবার চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা বাদুড়ের একটি অভয়ারণ্য হিসেবেও কাজ করে হাসপাতালটি।
জেনি ম্যাকলিন এই টোলগা বেট হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। জেনির ইটের দালানটিই সম্প্রসারিত হয়ে একপর্যায়ে পরিণত হয় বাদুড়ের হাসপাতালে। ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে আথার্টনে এসে ফিজিওথেরাপির একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেনি। এ সময়ই আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে শরীর অবশ হয়ে যাওয়া প্রচুর বাদুড়ের খোঁজ পেতে থাকেন জেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাদুড়দের এই হাসপাতাল। এখন ৬০-এ পা দেওয়া জেনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাদুড়দের সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনে অবাক হবেন প্রতি বছর প্রায় ১২০০ বাদুড় নিয়ে কাজ করেন তাঁরা।
হাসপাতালটিতে গেলে দেখবেন কোনো কামরায় হয়তো বাদুড়দের আদর করে দুধ কিংবা কোনো ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও আবার ছোট ছোট কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বাদুড়ছানাদের।
হাসপাতালে আনা বাদুড়দের প্রতিটিকে এক একটি নাম দেওয়া হয়, যেন এর অবস্থার উন্নতি লিপিবদ্ধ ও নজরদারি করা সহজ হয়। একই সময়ে হাসপাতালে অনেক বাদুড়ছানা থাকে, এভাবে নির্দিষ্ট নাম থাকায় দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাজটাও অনেক সহজ হয়।
এখানে আনা বেশির ভাগ বাদুড়ের বাচ্চা প্যারালাইসিস টিক বা আঁটুলিতে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এই আঁটুলিরা তামাকসহ বিভিন্ন গাছের মাথায় উঠে যেতে পারে। এভাবেই বাদুড়েরা এই আঁটুলিদের সংস্পর্শে আসে। যখন এভাবে আঁটুলি আক্রান্ত কোনো বাদুড়কে গাছ কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আবিষ্কার করা হয় ততক্ষণে এর শরীর অবশ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে এদের তখন অ্যান্টি-প্যরালাইসিস ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর অপেক্ষার পালা। বাদুড়টাকে যদি কোনো ধরনের জুস পান করানো যায় এবং আঁটুলির বিষ ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসে—বোঝা যাবে এর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কিছু কিছু বাদুড়ের অঙ্গহানি এমনকি মারাও যায়।
অনেক সময় খুদে লাল বাদুড়েরা এখানে আসে কোনো কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে আহত হয়ে। এখানে আনা কোনো কোনো বাদুড়ের বাচ্চার হাত কিংবা পায়ের আঙুলের হাড়ে সমস্যা থাকে। এ ধরনের বাদুড়দের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ায় এরা আর কোনো কিছু আঁকড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। নিচে পড়ে যায়।
এমনিতে একটি-দুটো অসুস্থ বাদুড়কে কোথাও রেখে বড় করলে তার সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই হাসপাতালে অনেক বাদুড় একসঙ্গে থাকায় এরা আনন্দে থাকে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে প্রতি বছর ১২০০-র মতো বাদুড়ের সেবা ও চিকিৎসা করা হয় কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট থেকে নেওয়া পারমিটের মাধ্যমে। এগুলোর বেশিরভাগকেই সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ থেকে নেওয়া অপর এক পারমিটের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে কিছু বাদুড়। এগুলোর কিছু আসে চিড়িয়াখানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ায়, কিছু আবার প্রকৃতিতে বসবাসের মতো সক্ষমতা না থাকায়।
এখানে মূল কাজটা করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করতে পারেন এখানে। স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট লিসাভাইরাসের টিকা ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া থাকতে হয়। আপনার বয়স ২১-এর কম হলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করার সুযোগ কম। সাধারণত কারও চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা কিংবা আইটি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ডিগ্রি থাকলে তাঁদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার থেকে আটজন সার্বক্ষণিক বাইরের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় বাদুড়েরা আঁটুলি আক্রান্ত হওয়ার সময়। বছরের বাকি সময়টা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েই মোটামুটি কাজ চলে।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, এখানে বাদুড়ের চিকিৎসা ও সেবাযত্নে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসছে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন সংস্থা, সাধারণ মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকে পাওয়া অনুদান, পরিদর্শনে আসা মানুষের থেকে পাওয়া অর্থ—সবকিছু মিলিয়েই চলে এই বাদুড়রাজ্য।
কাজেই অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হলে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাদুড়ের হাসপাতালটিতে একটি চক্কর দিয়ে আসতে পারেন। হাতে সময় থাকলে এবং বাদুড় পছন্দ করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কয়েকটি দিন কাটাতে পারেন সেখানে।
সূত্র: টোলগা ব্যাট হসপিটাল ডট অরগ, বোরড পানডা, অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক ডট কম

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব—সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অসুস্থ হলে সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টোলগা ব্যাট হসপিটাল।
অস্ট্রেলিয়ার আথার্টনে এই হাসপাতাল। সেখানে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণীর বাচ্চাদের মতো বাদুড়ের ছানারাও অনেক আদুরে।
ফ্রুট ব্যাট বা ফলখেকো বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের বাচ্চাদের হাসপাতালটিতে আনা হয় যখন পরজীবী কীট আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে এদের শরীরের কিছু অংশ বা গোটা শরীরটাই অবশ হয়ে যায়। আবার মা মারা গিয়েছে অথবা এত অসুস্থ যে খাওয়ানোর অবস্থায় নেই এমন বাচ্চাদেরও আনা হয় এখানে।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা এদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং আবার বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেন। আবার চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা বাদুড়ের একটি অভয়ারণ্য হিসেবেও কাজ করে হাসপাতালটি।
জেনি ম্যাকলিন এই টোলগা বেট হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। জেনির ইটের দালানটিই সম্প্রসারিত হয়ে একপর্যায়ে পরিণত হয় বাদুড়ের হাসপাতালে। ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে আথার্টনে এসে ফিজিওথেরাপির একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেনি। এ সময়ই আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে শরীর অবশ হয়ে যাওয়া প্রচুর বাদুড়ের খোঁজ পেতে থাকেন জেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাদুড়দের এই হাসপাতাল। এখন ৬০-এ পা দেওয়া জেনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাদুড়দের সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনে অবাক হবেন প্রতি বছর প্রায় ১২০০ বাদুড় নিয়ে কাজ করেন তাঁরা।
হাসপাতালটিতে গেলে দেখবেন কোনো কামরায় হয়তো বাদুড়দের আদর করে দুধ কিংবা কোনো ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও আবার ছোট ছোট কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বাদুড়ছানাদের।
হাসপাতালে আনা বাদুড়দের প্রতিটিকে এক একটি নাম দেওয়া হয়, যেন এর অবস্থার উন্নতি লিপিবদ্ধ ও নজরদারি করা সহজ হয়। একই সময়ে হাসপাতালে অনেক বাদুড়ছানা থাকে, এভাবে নির্দিষ্ট নাম থাকায় দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাজটাও অনেক সহজ হয়।
এখানে আনা বেশির ভাগ বাদুড়ের বাচ্চা প্যারালাইসিস টিক বা আঁটুলিতে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এই আঁটুলিরা তামাকসহ বিভিন্ন গাছের মাথায় উঠে যেতে পারে। এভাবেই বাদুড়েরা এই আঁটুলিদের সংস্পর্শে আসে। যখন এভাবে আঁটুলি আক্রান্ত কোনো বাদুড়কে গাছ কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আবিষ্কার করা হয় ততক্ষণে এর শরীর অবশ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে এদের তখন অ্যান্টি-প্যরালাইসিস ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর অপেক্ষার পালা। বাদুড়টাকে যদি কোনো ধরনের জুস পান করানো যায় এবং আঁটুলির বিষ ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসে—বোঝা যাবে এর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কিছু কিছু বাদুড়ের অঙ্গহানি এমনকি মারাও যায়।
অনেক সময় খুদে লাল বাদুড়েরা এখানে আসে কোনো কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে আহত হয়ে। এখানে আনা কোনো কোনো বাদুড়ের বাচ্চার হাত কিংবা পায়ের আঙুলের হাড়ে সমস্যা থাকে। এ ধরনের বাদুড়দের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ায় এরা আর কোনো কিছু আঁকড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। নিচে পড়ে যায়।
এমনিতে একটি-দুটো অসুস্থ বাদুড়কে কোথাও রেখে বড় করলে তার সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই হাসপাতালে অনেক বাদুড় একসঙ্গে থাকায় এরা আনন্দে থাকে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে প্রতি বছর ১২০০-র মতো বাদুড়ের সেবা ও চিকিৎসা করা হয় কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট থেকে নেওয়া পারমিটের মাধ্যমে। এগুলোর বেশিরভাগকেই সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ থেকে নেওয়া অপর এক পারমিটের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে কিছু বাদুড়। এগুলোর কিছু আসে চিড়িয়াখানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ায়, কিছু আবার প্রকৃতিতে বসবাসের মতো সক্ষমতা না থাকায়।
এখানে মূল কাজটা করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করতে পারেন এখানে। স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট লিসাভাইরাসের টিকা ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া থাকতে হয়। আপনার বয়স ২১-এর কম হলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করার সুযোগ কম। সাধারণত কারও চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা কিংবা আইটি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ডিগ্রি থাকলে তাঁদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার থেকে আটজন সার্বক্ষণিক বাইরের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় বাদুড়েরা আঁটুলি আক্রান্ত হওয়ার সময়। বছরের বাকি সময়টা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েই মোটামুটি কাজ চলে।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, এখানে বাদুড়ের চিকিৎসা ও সেবাযত্নে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসছে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন সংস্থা, সাধারণ মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকে পাওয়া অনুদান, পরিদর্শনে আসা মানুষের থেকে পাওয়া অর্থ—সবকিছু মিলিয়েই চলে এই বাদুড়রাজ্য।
কাজেই অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হলে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাদুড়ের হাসপাতালটিতে একটি চক্কর দিয়ে আসতে পারেন। হাতে সময় থাকলে এবং বাদুড় পছন্দ করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কয়েকটি দিন কাটাতে পারেন সেখানে।
সূত্র: টোলগা ব্যাট হসপিটাল ডট অরগ, বোরড পানডা, অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব—সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অসুস্থ হলে সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টোলগা ব্যাট হসপিটাল।
অস্ট্রেলিয়ার আথার্টনে এই হাসপাতাল। সেখানে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণীর বাচ্চাদের মতো বাদুড়ের ছানারাও অনেক আদুরে।
ফ্রুট ব্যাট বা ফলখেকো বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের বাচ্চাদের হাসপাতালটিতে আনা হয় যখন পরজীবী কীট আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে এদের শরীরের কিছু অংশ বা গোটা শরীরটাই অবশ হয়ে যায়। আবার মা মারা গিয়েছে অথবা এত অসুস্থ যে খাওয়ানোর অবস্থায় নেই এমন বাচ্চাদেরও আনা হয় এখানে।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা এদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং আবার বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেন। আবার চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা বাদুড়ের একটি অভয়ারণ্য হিসেবেও কাজ করে হাসপাতালটি।
জেনি ম্যাকলিন এই টোলগা বেট হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। জেনির ইটের দালানটিই সম্প্রসারিত হয়ে একপর্যায়ে পরিণত হয় বাদুড়ের হাসপাতালে। ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে আথার্টনে এসে ফিজিওথেরাপির একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেনি। এ সময়ই আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে শরীর অবশ হয়ে যাওয়া প্রচুর বাদুড়ের খোঁজ পেতে থাকেন জেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাদুড়দের এই হাসপাতাল। এখন ৬০-এ পা দেওয়া জেনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাদুড়দের সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনে অবাক হবেন প্রতি বছর প্রায় ১২০০ বাদুড় নিয়ে কাজ করেন তাঁরা।
হাসপাতালটিতে গেলে দেখবেন কোনো কামরায় হয়তো বাদুড়দের আদর করে দুধ কিংবা কোনো ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও আবার ছোট ছোট কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বাদুড়ছানাদের।
হাসপাতালে আনা বাদুড়দের প্রতিটিকে এক একটি নাম দেওয়া হয়, যেন এর অবস্থার উন্নতি লিপিবদ্ধ ও নজরদারি করা সহজ হয়। একই সময়ে হাসপাতালে অনেক বাদুড়ছানা থাকে, এভাবে নির্দিষ্ট নাম থাকায় দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাজটাও অনেক সহজ হয়।
এখানে আনা বেশির ভাগ বাদুড়ের বাচ্চা প্যারালাইসিস টিক বা আঁটুলিতে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এই আঁটুলিরা তামাকসহ বিভিন্ন গাছের মাথায় উঠে যেতে পারে। এভাবেই বাদুড়েরা এই আঁটুলিদের সংস্পর্শে আসে। যখন এভাবে আঁটুলি আক্রান্ত কোনো বাদুড়কে গাছ কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আবিষ্কার করা হয় ততক্ষণে এর শরীর অবশ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে এদের তখন অ্যান্টি-প্যরালাইসিস ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর অপেক্ষার পালা। বাদুড়টাকে যদি কোনো ধরনের জুস পান করানো যায় এবং আঁটুলির বিষ ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসে—বোঝা যাবে এর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কিছু কিছু বাদুড়ের অঙ্গহানি এমনকি মারাও যায়।
অনেক সময় খুদে লাল বাদুড়েরা এখানে আসে কোনো কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে আহত হয়ে। এখানে আনা কোনো কোনো বাদুড়ের বাচ্চার হাত কিংবা পায়ের আঙুলের হাড়ে সমস্যা থাকে। এ ধরনের বাদুড়দের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ায় এরা আর কোনো কিছু আঁকড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। নিচে পড়ে যায়।
এমনিতে একটি-দুটো অসুস্থ বাদুড়কে কোথাও রেখে বড় করলে তার সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই হাসপাতালে অনেক বাদুড় একসঙ্গে থাকায় এরা আনন্দে থাকে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে প্রতি বছর ১২০০-র মতো বাদুড়ের সেবা ও চিকিৎসা করা হয় কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট থেকে নেওয়া পারমিটের মাধ্যমে। এগুলোর বেশিরভাগকেই সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ থেকে নেওয়া অপর এক পারমিটের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে কিছু বাদুড়। এগুলোর কিছু আসে চিড়িয়াখানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ায়, কিছু আবার প্রকৃতিতে বসবাসের মতো সক্ষমতা না থাকায়।
এখানে মূল কাজটা করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করতে পারেন এখানে। স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট লিসাভাইরাসের টিকা ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া থাকতে হয়। আপনার বয়স ২১-এর কম হলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করার সুযোগ কম। সাধারণত কারও চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা কিংবা আইটি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ডিগ্রি থাকলে তাঁদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার থেকে আটজন সার্বক্ষণিক বাইরের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় বাদুড়েরা আঁটুলি আক্রান্ত হওয়ার সময়। বছরের বাকি সময়টা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েই মোটামুটি কাজ চলে।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, এখানে বাদুড়ের চিকিৎসা ও সেবাযত্নে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসছে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন সংস্থা, সাধারণ মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকে পাওয়া অনুদান, পরিদর্শনে আসা মানুষের থেকে পাওয়া অর্থ—সবকিছু মিলিয়েই চলে এই বাদুড়রাজ্য।
কাজেই অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হলে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাদুড়ের হাসপাতালটিতে একটি চক্কর দিয়ে আসতে পারেন। হাতে সময় থাকলে এবং বাদুড় পছন্দ করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কয়েকটি দিন কাটাতে পারেন সেখানে।
সূত্র: টোলগা ব্যাট হসপিটাল ডট অরগ, বোরড পানডা, অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক ডট কম

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব—সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অসুস্থ হলে সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টোলগা ব্যাট হসপিটাল।
অস্ট্রেলিয়ার আথার্টনে এই হাসপাতাল। সেখানে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণীর বাচ্চাদের মতো বাদুড়ের ছানারাও অনেক আদুরে।
ফ্রুট ব্যাট বা ফলখেকো বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের বাচ্চাদের হাসপাতালটিতে আনা হয় যখন পরজীবী কীট আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে এদের শরীরের কিছু অংশ বা গোটা শরীরটাই অবশ হয়ে যায়। আবার মা মারা গিয়েছে অথবা এত অসুস্থ যে খাওয়ানোর অবস্থায় নেই এমন বাচ্চাদেরও আনা হয় এখানে।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা এদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং আবার বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেন। আবার চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা বাদুড়ের একটি অভয়ারণ্য হিসেবেও কাজ করে হাসপাতালটি।
জেনি ম্যাকলিন এই টোলগা বেট হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। জেনির ইটের দালানটিই সম্প্রসারিত হয়ে একপর্যায়ে পরিণত হয় বাদুড়ের হাসপাতালে। ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে আথার্টনে এসে ফিজিওথেরাপির একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেনি। এ সময়ই আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে শরীর অবশ হয়ে যাওয়া প্রচুর বাদুড়ের খোঁজ পেতে থাকেন জেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাদুড়দের এই হাসপাতাল। এখন ৬০-এ পা দেওয়া জেনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাদুড়দের সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনে অবাক হবেন প্রতি বছর প্রায় ১২০০ বাদুড় নিয়ে কাজ করেন তাঁরা।
হাসপাতালটিতে গেলে দেখবেন কোনো কামরায় হয়তো বাদুড়দের আদর করে দুধ কিংবা কোনো ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও আবার ছোট ছোট কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বাদুড়ছানাদের।
হাসপাতালে আনা বাদুড়দের প্রতিটিকে এক একটি নাম দেওয়া হয়, যেন এর অবস্থার উন্নতি লিপিবদ্ধ ও নজরদারি করা সহজ হয়। একই সময়ে হাসপাতালে অনেক বাদুড়ছানা থাকে, এভাবে নির্দিষ্ট নাম থাকায় দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাজটাও অনেক সহজ হয়।
এখানে আনা বেশির ভাগ বাদুড়ের বাচ্চা প্যারালাইসিস টিক বা আঁটুলিতে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এই আঁটুলিরা তামাকসহ বিভিন্ন গাছের মাথায় উঠে যেতে পারে। এভাবেই বাদুড়েরা এই আঁটুলিদের সংস্পর্শে আসে। যখন এভাবে আঁটুলি আক্রান্ত কোনো বাদুড়কে গাছ কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আবিষ্কার করা হয় ততক্ষণে এর শরীর অবশ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে এদের তখন অ্যান্টি-প্যরালাইসিস ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর অপেক্ষার পালা। বাদুড়টাকে যদি কোনো ধরনের জুস পান করানো যায় এবং আঁটুলির বিষ ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসে—বোঝা যাবে এর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কিছু কিছু বাদুড়ের অঙ্গহানি এমনকি মারাও যায়।
অনেক সময় খুদে লাল বাদুড়েরা এখানে আসে কোনো কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে আহত হয়ে। এখানে আনা কোনো কোনো বাদুড়ের বাচ্চার হাত কিংবা পায়ের আঙুলের হাড়ে সমস্যা থাকে। এ ধরনের বাদুড়দের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ায় এরা আর কোনো কিছু আঁকড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। নিচে পড়ে যায়।
এমনিতে একটি-দুটো অসুস্থ বাদুড়কে কোথাও রেখে বড় করলে তার সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই হাসপাতালে অনেক বাদুড় একসঙ্গে থাকায় এরা আনন্দে থাকে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে প্রতি বছর ১২০০-র মতো বাদুড়ের সেবা ও চিকিৎসা করা হয় কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট থেকে নেওয়া পারমিটের মাধ্যমে। এগুলোর বেশিরভাগকেই সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ থেকে নেওয়া অপর এক পারমিটের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে কিছু বাদুড়। এগুলোর কিছু আসে চিড়িয়াখানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ায়, কিছু আবার প্রকৃতিতে বসবাসের মতো সক্ষমতা না থাকায়।
এখানে মূল কাজটা করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করতে পারেন এখানে। স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট লিসাভাইরাসের টিকা ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া থাকতে হয়। আপনার বয়স ২১-এর কম হলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করার সুযোগ কম। সাধারণত কারও চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা কিংবা আইটি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ডিগ্রি থাকলে তাঁদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার থেকে আটজন সার্বক্ষণিক বাইরের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় বাদুড়েরা আঁটুলি আক্রান্ত হওয়ার সময়। বছরের বাকি সময়টা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েই মোটামুটি কাজ চলে।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, এখানে বাদুড়ের চিকিৎসা ও সেবাযত্নে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসছে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন সংস্থা, সাধারণ মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকে পাওয়া অনুদান, পরিদর্শনে আসা মানুষের থেকে পাওয়া অর্থ—সবকিছু মিলিয়েই চলে এই বাদুড়রাজ্য।
কাজেই অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হলে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাদুড়ের হাসপাতালটিতে একটি চক্কর দিয়ে আসতে পারেন। হাতে সময় থাকলে এবং বাদুড় পছন্দ করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কয়েকটি দিন কাটাতে পারেন সেখানে।
সূত্র: টোলগা ব্যাট হসপিটাল ডট অরগ, বোরড পানডা, অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক ডট কম

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অস
৩০ মার্চ ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অস
৩০ মার্চ ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অস
৩০ মার্চ ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অস
৩০ মার্চ ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে