জাহীদ রেজা নূর

আজ আমরা রসিকতা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক কটাক্ষ করব না। কোনো গোয়েন্দাকেও ডেকে আনব না আমাদের আসরে। আজকের আলাপ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে।
রাশিয়ার কৌতুক জগতে ভোভাচ্কা একটি অত্যন্ত প্রিয় নাম। এই ভোভাচ্কাকে নিয়ে একের পর এক কৌতুক তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর। এই কৌতুকগুলো কখনো কখনো শ্লীলতার গণ্ডি পার হয়নি, এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। বরং অশ্লীল ইঙ্গিত যে কৌতুকগুলোয় আছে, সেগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে।
আমাদের দেশে সেই কৌতুকগুলো পরিবেশন করা হলে বিশুদ্ধবাদীরা ক্ষেপে উঠবে। বলবে, পাঠকদের আমরা বিপথে ঠেলে দিচ্ছি! তাই ইচ্ছা না থাকলেও অতিকষ্টে সেই রসিকতা উপহার দেওয়ার চিন্তা সংবরণ করলাম। এখানে ভোভাচ্কাকে নিয়ে কিছু নিষ্পাপ কৌতুকই থাকবে।
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ভোভাচ্কা! ভোভাচ্কা বা ভোভা। ডাকার সুবিধার জন্য এভাবেই ছোট করে দেওয়া হয় নাম।
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। যেদিন থেকে ভোভাকে নিয়ে কৌতুক শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁরও বয়স বাড়ে না, ভোভাচ্কারও বয়স বাড়ে না। তাদের নিয়ে ‘নিষ্পাপ’ কৌতুকগুলোর কয়েকটি শুনে রাখুন—
১.
ছোট্ট ভোভাচ্কা ওর বন্ধু ওলিয়াকে ওর পোষা বিড়ালটা দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ওলিয়া বলল, ‘কী সুন্দর বিড়াল! তুই কি বিড়ালটা একদিন ধার দিবি? আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার ইঁদুর!’
ভোভাচ্কা বলল, ‘না, ধার দিতে পারব না। তুই বরং তোর ইঁদুরগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়!’
২.
ভোভা বলল, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে অঙ্কগুলো করে দেবে?’
-না না, সেটা ঠিক হবে না।
-অঙ্ক ঠিক হলো কি না হলো, সে তো পরের ব্যাপার। তুমি আগে চেষ্টা তো করো!
৩.
ভোভাচ্কা ওর শিক্ষককে ফোন করল, ‘মারিয়া ইভানোভ্না, আমি হারিয়ে গেছি। থিয়েটারে যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, থিয়েটারটা কোথায়!’
-কী বলছিস, ভোভা! তুই তো আমাকে বললি, থিয়েটারের পথটা তোর মুখস্থ!
-থিয়েটারের পথটা তো আমার মুখস্থ। কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি, সেটাই তো জানি না!
৪.
ভোভাচ্কা মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘মা, যে কাজটি আমি করিনি, সে কাজের জন্য কি আমাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে?’
-একেবারেই ঠিক হবে না!
-যাক বাবা! বাঁচা গেল। আমি পড়া তৈরি করিনি!
৫.
মুখ গোমড়া করে থাকা ভোভাচকা আর ওলিয়ার দিকে তাকিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘বাচ্চারা! তোমরা মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন? খেলতে যাও!’
-এটাই আমাদের খেলা!
-এ আবার কী রকম খেলা?
-আমরা বুড়োবুড়ি খেলছি।
৬.
‘ভোভাচ্কা, কাল সন্ধ্যায় ফ্রিজে দু’টুকরো কেক ছিল। আজ সকালে দেখি, একটা আছে। তুই কি বলতে পারিস, বাকি কেকটা কোথায় গেছে?’
বিগলিত ভোভা বলল, ‘কী বলছ মা! ফ্রিজের ভিতরে ল্যাম্পটা নষ্ট। তাই ফ্রিজের ভেতরটা অন্ধকার। আমি দ্বিতীয় কেকটা দেখতেই পাইনি!’
৭.
মন খারাপ করে ক্লাসটিচার মারিয়া ইভানোভ্না বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তোর পড়াশোনার যদি এই হাল হয়, তাহলে তোর বাবার সবগুলো চুল একদিনেই পেকে যাবে!’
ভোভা শিক্ষককে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘সে বিষয়ে চিন্তা করবেন না, মারিয়া ইভানোভ্না! আমার বাবা টাকমাথা। তার চুল সাদা হবে না!’
৮.
-হ্যালো, মারিয়া ইভানোভ্না বলছেন? শুনুন, আজ ভোভাচ্কা স্কুলে যাবে না, ওর অসুখ হয়েছে।
-ঠিক আছে। তবে বলুন, আপনি কে বলছেন?
-আমি আমার বাবা বলছি।
৯.
-ভোভাচ্কা, তুই বলতে পারিস, ভোলগা আর মিসিসিপির মধ্যে কোন নদীটা বেশি দীর্ঘ?
-খুব সহজ, মারিয়া ইভানোভ্না, অবশ্যই মিসিসিপি।
-সাব্বাস! কিন্তু তুই কী করে বুঝলি?
-খুব সহজ! ভোলগা তিন অক্ষর দিয়ে লিখি। মিসিসিপি চার অক্ষর।
১০.
ভোভাচ্কা ওর বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমাকে একটা ঢোল কিনে দাও!’
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দে। অফিসে যে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি লেগে আছে সারা দিন, তাতে নতুন করে ঢোলের আওয়াজ আমাকে পাগল করে দেবে।’
-না বাবা, তোমার কোনো অসুবিধাই হবে না। তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি ঢোল বাজাব।
১১.
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কে বেশি বুদ্ধিমান? মানুষ না পশু?’
-পশু।
-কেন?
-কারণ, আমি যখন আমার কুকুরছানার সঙ্গে কথা বলি, ও সব বুঝতে পারে। আর ও যখন কথা বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।
কয়েকটি ফাউ
১২.
মা ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আজকের পরীক্ষায় কটা অঙ্ক ছিল?’
-পনেরোটা।
-কয়টা অঙ্ক ভুল করেছিস?
-মাত্র একটা।
-তার মানে অন্যগুলোর ঠিক উত্তর দিয়েছিস?
-না। ওই একটা অঙ্ক নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্যগুলো দেখারও সময় পাইনি!
১৩.
সাহিত্যের ক্লাসে শিক্ষক ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভোভাচ্কা, এটা কি তোর লেখা? সত্যি করে বল তো পুশকিন নিয়ে এই রচনাটা কে লিখে দিয়েছে?’
-বিশ্বাস করুন, আমি জানি না। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
১৪.
মারিয়া ইভানোভ্না জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোকে এ রকম সাদা সাদা বিবর্ণ লাগছে কেন ভোভাচ্কা? তোর কি অসুখ করেছে?’
-না, মারিয়া ইভানোভ্না! বহুদিন পর মা আমাকে বাগে পেয়েছিল। আচ্ছাসে দলাইমলাই করে আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে!
১৫.
মা অবাক হয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তুই কেন একে একে সাতবার দাঁত ব্রাশ করছিস?’
-তুমি যেন সপ্তাহের অন্য ছয় দিন দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমাকে না জ্বালাও, তাই একদিনেই সাত দিনের কাজ করে নিচ্ছি!
১৬.
মারিয়া ইভানোভনা ঘুরছিলেন পার্কে, একটু দূরে দেখলেন, মন খারাপ করে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে ভোভাচ্কা।
-ভোভাচ্কা, তোর মন খারাপ কেন?
-আমার পাশে বসুন, মারিয়া ইভানোভ্না। বলছি।
মারিয়া ইভানোভ্না বসলেন ভোভাচ্কার পাশে।
ভোভাচ্কা তখন বলল, ‘এই বেঞ্চিটায় রং করা হয়েছে, মারিয়া ইভানোভ্না। কাঁচা রং!’
১৭.
অঙ্কের ক্লাস। ‘ভোভাচ্কা, ১০০ থেকে ১ নিলে কত থাকে?’
কিছুক্ষণ ভেবে ভোভাচ্কা বলল, ‘শুধু দুটো শূন্য থাকে।’

আজ আমরা রসিকতা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক কটাক্ষ করব না। কোনো গোয়েন্দাকেও ডেকে আনব না আমাদের আসরে। আজকের আলাপ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে।
রাশিয়ার কৌতুক জগতে ভোভাচ্কা একটি অত্যন্ত প্রিয় নাম। এই ভোভাচ্কাকে নিয়ে একের পর এক কৌতুক তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর। এই কৌতুকগুলো কখনো কখনো শ্লীলতার গণ্ডি পার হয়নি, এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। বরং অশ্লীল ইঙ্গিত যে কৌতুকগুলোয় আছে, সেগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে।
আমাদের দেশে সেই কৌতুকগুলো পরিবেশন করা হলে বিশুদ্ধবাদীরা ক্ষেপে উঠবে। বলবে, পাঠকদের আমরা বিপথে ঠেলে দিচ্ছি! তাই ইচ্ছা না থাকলেও অতিকষ্টে সেই রসিকতা উপহার দেওয়ার চিন্তা সংবরণ করলাম। এখানে ভোভাচ্কাকে নিয়ে কিছু নিষ্পাপ কৌতুকই থাকবে।
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ভোভাচ্কা! ভোভাচ্কা বা ভোভা। ডাকার সুবিধার জন্য এভাবেই ছোট করে দেওয়া হয় নাম।
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। যেদিন থেকে ভোভাকে নিয়ে কৌতুক শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁরও বয়স বাড়ে না, ভোভাচ্কারও বয়স বাড়ে না। তাদের নিয়ে ‘নিষ্পাপ’ কৌতুকগুলোর কয়েকটি শুনে রাখুন—
১.
ছোট্ট ভোভাচ্কা ওর বন্ধু ওলিয়াকে ওর পোষা বিড়ালটা দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ওলিয়া বলল, ‘কী সুন্দর বিড়াল! তুই কি বিড়ালটা একদিন ধার দিবি? আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার ইঁদুর!’
ভোভাচ্কা বলল, ‘না, ধার দিতে পারব না। তুই বরং তোর ইঁদুরগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়!’
২.
ভোভা বলল, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে অঙ্কগুলো করে দেবে?’
-না না, সেটা ঠিক হবে না।
-অঙ্ক ঠিক হলো কি না হলো, সে তো পরের ব্যাপার। তুমি আগে চেষ্টা তো করো!
৩.
ভোভাচ্কা ওর শিক্ষককে ফোন করল, ‘মারিয়া ইভানোভ্না, আমি হারিয়ে গেছি। থিয়েটারে যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, থিয়েটারটা কোথায়!’
-কী বলছিস, ভোভা! তুই তো আমাকে বললি, থিয়েটারের পথটা তোর মুখস্থ!
-থিয়েটারের পথটা তো আমার মুখস্থ। কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি, সেটাই তো জানি না!
৪.
ভোভাচ্কা মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘মা, যে কাজটি আমি করিনি, সে কাজের জন্য কি আমাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে?’
-একেবারেই ঠিক হবে না!
-যাক বাবা! বাঁচা গেল। আমি পড়া তৈরি করিনি!
৫.
মুখ গোমড়া করে থাকা ভোভাচকা আর ওলিয়ার দিকে তাকিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘বাচ্চারা! তোমরা মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন? খেলতে যাও!’
-এটাই আমাদের খেলা!
-এ আবার কী রকম খেলা?
-আমরা বুড়োবুড়ি খেলছি।
৬.
‘ভোভাচ্কা, কাল সন্ধ্যায় ফ্রিজে দু’টুকরো কেক ছিল। আজ সকালে দেখি, একটা আছে। তুই কি বলতে পারিস, বাকি কেকটা কোথায় গেছে?’
বিগলিত ভোভা বলল, ‘কী বলছ মা! ফ্রিজের ভিতরে ল্যাম্পটা নষ্ট। তাই ফ্রিজের ভেতরটা অন্ধকার। আমি দ্বিতীয় কেকটা দেখতেই পাইনি!’
৭.
মন খারাপ করে ক্লাসটিচার মারিয়া ইভানোভ্না বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তোর পড়াশোনার যদি এই হাল হয়, তাহলে তোর বাবার সবগুলো চুল একদিনেই পেকে যাবে!’
ভোভা শিক্ষককে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘সে বিষয়ে চিন্তা করবেন না, মারিয়া ইভানোভ্না! আমার বাবা টাকমাথা। তার চুল সাদা হবে না!’
৮.
-হ্যালো, মারিয়া ইভানোভ্না বলছেন? শুনুন, আজ ভোভাচ্কা স্কুলে যাবে না, ওর অসুখ হয়েছে।
-ঠিক আছে। তবে বলুন, আপনি কে বলছেন?
-আমি আমার বাবা বলছি।
৯.
-ভোভাচ্কা, তুই বলতে পারিস, ভোলগা আর মিসিসিপির মধ্যে কোন নদীটা বেশি দীর্ঘ?
-খুব সহজ, মারিয়া ইভানোভ্না, অবশ্যই মিসিসিপি।
-সাব্বাস! কিন্তু তুই কী করে বুঝলি?
-খুব সহজ! ভোলগা তিন অক্ষর দিয়ে লিখি। মিসিসিপি চার অক্ষর।
১০.
ভোভাচ্কা ওর বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমাকে একটা ঢোল কিনে দাও!’
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দে। অফিসে যে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি লেগে আছে সারা দিন, তাতে নতুন করে ঢোলের আওয়াজ আমাকে পাগল করে দেবে।’
-না বাবা, তোমার কোনো অসুবিধাই হবে না। তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি ঢোল বাজাব।
১১.
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কে বেশি বুদ্ধিমান? মানুষ না পশু?’
-পশু।
-কেন?
-কারণ, আমি যখন আমার কুকুরছানার সঙ্গে কথা বলি, ও সব বুঝতে পারে। আর ও যখন কথা বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।
কয়েকটি ফাউ
১২.
মা ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আজকের পরীক্ষায় কটা অঙ্ক ছিল?’
-পনেরোটা।
-কয়টা অঙ্ক ভুল করেছিস?
-মাত্র একটা।
-তার মানে অন্যগুলোর ঠিক উত্তর দিয়েছিস?
-না। ওই একটা অঙ্ক নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্যগুলো দেখারও সময় পাইনি!
১৩.
সাহিত্যের ক্লাসে শিক্ষক ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভোভাচ্কা, এটা কি তোর লেখা? সত্যি করে বল তো পুশকিন নিয়ে এই রচনাটা কে লিখে দিয়েছে?’
-বিশ্বাস করুন, আমি জানি না। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
১৪.
মারিয়া ইভানোভ্না জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোকে এ রকম সাদা সাদা বিবর্ণ লাগছে কেন ভোভাচ্কা? তোর কি অসুখ করেছে?’
-না, মারিয়া ইভানোভ্না! বহুদিন পর মা আমাকে বাগে পেয়েছিল। আচ্ছাসে দলাইমলাই করে আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে!
১৫.
মা অবাক হয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তুই কেন একে একে সাতবার দাঁত ব্রাশ করছিস?’
-তুমি যেন সপ্তাহের অন্য ছয় দিন দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমাকে না জ্বালাও, তাই একদিনেই সাত দিনের কাজ করে নিচ্ছি!
১৬.
মারিয়া ইভানোভনা ঘুরছিলেন পার্কে, একটু দূরে দেখলেন, মন খারাপ করে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে ভোভাচ্কা।
-ভোভাচ্কা, তোর মন খারাপ কেন?
-আমার পাশে বসুন, মারিয়া ইভানোভ্না। বলছি।
মারিয়া ইভানোভ্না বসলেন ভোভাচ্কার পাশে।
ভোভাচ্কা তখন বলল, ‘এই বেঞ্চিটায় রং করা হয়েছে, মারিয়া ইভানোভ্না। কাঁচা রং!’
১৭.
অঙ্কের ক্লাস। ‘ভোভাচ্কা, ১০০ থেকে ১ নিলে কত থাকে?’
কিছুক্ষণ ভেবে ভোভাচ্কা বলল, ‘শুধু দুটো শূন্য থাকে।’
জাহীদ রেজা নূর

আজ আমরা রসিকতা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক কটাক্ষ করব না। কোনো গোয়েন্দাকেও ডেকে আনব না আমাদের আসরে। আজকের আলাপ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে।
রাশিয়ার কৌতুক জগতে ভোভাচ্কা একটি অত্যন্ত প্রিয় নাম। এই ভোভাচ্কাকে নিয়ে একের পর এক কৌতুক তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর। এই কৌতুকগুলো কখনো কখনো শ্লীলতার গণ্ডি পার হয়নি, এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। বরং অশ্লীল ইঙ্গিত যে কৌতুকগুলোয় আছে, সেগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে।
আমাদের দেশে সেই কৌতুকগুলো পরিবেশন করা হলে বিশুদ্ধবাদীরা ক্ষেপে উঠবে। বলবে, পাঠকদের আমরা বিপথে ঠেলে দিচ্ছি! তাই ইচ্ছা না থাকলেও অতিকষ্টে সেই রসিকতা উপহার দেওয়ার চিন্তা সংবরণ করলাম। এখানে ভোভাচ্কাকে নিয়ে কিছু নিষ্পাপ কৌতুকই থাকবে।
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ভোভাচ্কা! ভোভাচ্কা বা ভোভা। ডাকার সুবিধার জন্য এভাবেই ছোট করে দেওয়া হয় নাম।
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। যেদিন থেকে ভোভাকে নিয়ে কৌতুক শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁরও বয়স বাড়ে না, ভোভাচ্কারও বয়স বাড়ে না। তাদের নিয়ে ‘নিষ্পাপ’ কৌতুকগুলোর কয়েকটি শুনে রাখুন—
১.
ছোট্ট ভোভাচ্কা ওর বন্ধু ওলিয়াকে ওর পোষা বিড়ালটা দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ওলিয়া বলল, ‘কী সুন্দর বিড়াল! তুই কি বিড়ালটা একদিন ধার দিবি? আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার ইঁদুর!’
ভোভাচ্কা বলল, ‘না, ধার দিতে পারব না। তুই বরং তোর ইঁদুরগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়!’
২.
ভোভা বলল, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে অঙ্কগুলো করে দেবে?’
-না না, সেটা ঠিক হবে না।
-অঙ্ক ঠিক হলো কি না হলো, সে তো পরের ব্যাপার। তুমি আগে চেষ্টা তো করো!
৩.
ভোভাচ্কা ওর শিক্ষককে ফোন করল, ‘মারিয়া ইভানোভ্না, আমি হারিয়ে গেছি। থিয়েটারে যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, থিয়েটারটা কোথায়!’
-কী বলছিস, ভোভা! তুই তো আমাকে বললি, থিয়েটারের পথটা তোর মুখস্থ!
-থিয়েটারের পথটা তো আমার মুখস্থ। কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি, সেটাই তো জানি না!
৪.
ভোভাচ্কা মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘মা, যে কাজটি আমি করিনি, সে কাজের জন্য কি আমাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে?’
-একেবারেই ঠিক হবে না!
-যাক বাবা! বাঁচা গেল। আমি পড়া তৈরি করিনি!
৫.
মুখ গোমড়া করে থাকা ভোভাচকা আর ওলিয়ার দিকে তাকিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘বাচ্চারা! তোমরা মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন? খেলতে যাও!’
-এটাই আমাদের খেলা!
-এ আবার কী রকম খেলা?
-আমরা বুড়োবুড়ি খেলছি।
৬.
‘ভোভাচ্কা, কাল সন্ধ্যায় ফ্রিজে দু’টুকরো কেক ছিল। আজ সকালে দেখি, একটা আছে। তুই কি বলতে পারিস, বাকি কেকটা কোথায় গেছে?’
বিগলিত ভোভা বলল, ‘কী বলছ মা! ফ্রিজের ভিতরে ল্যাম্পটা নষ্ট। তাই ফ্রিজের ভেতরটা অন্ধকার। আমি দ্বিতীয় কেকটা দেখতেই পাইনি!’
৭.
মন খারাপ করে ক্লাসটিচার মারিয়া ইভানোভ্না বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তোর পড়াশোনার যদি এই হাল হয়, তাহলে তোর বাবার সবগুলো চুল একদিনেই পেকে যাবে!’
ভোভা শিক্ষককে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘সে বিষয়ে চিন্তা করবেন না, মারিয়া ইভানোভ্না! আমার বাবা টাকমাথা। তার চুল সাদা হবে না!’
৮.
-হ্যালো, মারিয়া ইভানোভ্না বলছেন? শুনুন, আজ ভোভাচ্কা স্কুলে যাবে না, ওর অসুখ হয়েছে।
-ঠিক আছে। তবে বলুন, আপনি কে বলছেন?
-আমি আমার বাবা বলছি।
৯.
-ভোভাচ্কা, তুই বলতে পারিস, ভোলগা আর মিসিসিপির মধ্যে কোন নদীটা বেশি দীর্ঘ?
-খুব সহজ, মারিয়া ইভানোভ্না, অবশ্যই মিসিসিপি।
-সাব্বাস! কিন্তু তুই কী করে বুঝলি?
-খুব সহজ! ভোলগা তিন অক্ষর দিয়ে লিখি। মিসিসিপি চার অক্ষর।
১০.
ভোভাচ্কা ওর বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমাকে একটা ঢোল কিনে দাও!’
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দে। অফিসে যে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি লেগে আছে সারা দিন, তাতে নতুন করে ঢোলের আওয়াজ আমাকে পাগল করে দেবে।’
-না বাবা, তোমার কোনো অসুবিধাই হবে না। তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি ঢোল বাজাব।
১১.
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কে বেশি বুদ্ধিমান? মানুষ না পশু?’
-পশু।
-কেন?
-কারণ, আমি যখন আমার কুকুরছানার সঙ্গে কথা বলি, ও সব বুঝতে পারে। আর ও যখন কথা বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।
কয়েকটি ফাউ
১২.
মা ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আজকের পরীক্ষায় কটা অঙ্ক ছিল?’
-পনেরোটা।
-কয়টা অঙ্ক ভুল করেছিস?
-মাত্র একটা।
-তার মানে অন্যগুলোর ঠিক উত্তর দিয়েছিস?
-না। ওই একটা অঙ্ক নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্যগুলো দেখারও সময় পাইনি!
১৩.
সাহিত্যের ক্লাসে শিক্ষক ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভোভাচ্কা, এটা কি তোর লেখা? সত্যি করে বল তো পুশকিন নিয়ে এই রচনাটা কে লিখে দিয়েছে?’
-বিশ্বাস করুন, আমি জানি না। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
১৪.
মারিয়া ইভানোভ্না জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোকে এ রকম সাদা সাদা বিবর্ণ লাগছে কেন ভোভাচ্কা? তোর কি অসুখ করেছে?’
-না, মারিয়া ইভানোভ্না! বহুদিন পর মা আমাকে বাগে পেয়েছিল। আচ্ছাসে দলাইমলাই করে আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে!
১৫.
মা অবাক হয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তুই কেন একে একে সাতবার দাঁত ব্রাশ করছিস?’
-তুমি যেন সপ্তাহের অন্য ছয় দিন দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমাকে না জ্বালাও, তাই একদিনেই সাত দিনের কাজ করে নিচ্ছি!
১৬.
মারিয়া ইভানোভনা ঘুরছিলেন পার্কে, একটু দূরে দেখলেন, মন খারাপ করে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে ভোভাচ্কা।
-ভোভাচ্কা, তোর মন খারাপ কেন?
-আমার পাশে বসুন, মারিয়া ইভানোভ্না। বলছি।
মারিয়া ইভানোভ্না বসলেন ভোভাচ্কার পাশে।
ভোভাচ্কা তখন বলল, ‘এই বেঞ্চিটায় রং করা হয়েছে, মারিয়া ইভানোভ্না। কাঁচা রং!’
১৭.
অঙ্কের ক্লাস। ‘ভোভাচ্কা, ১০০ থেকে ১ নিলে কত থাকে?’
কিছুক্ষণ ভেবে ভোভাচ্কা বলল, ‘শুধু দুটো শূন্য থাকে।’

আজ আমরা রসিকতা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক কটাক্ষ করব না। কোনো গোয়েন্দাকেও ডেকে আনব না আমাদের আসরে। আজকের আলাপ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে।
রাশিয়ার কৌতুক জগতে ভোভাচ্কা একটি অত্যন্ত প্রিয় নাম। এই ভোভাচ্কাকে নিয়ে একের পর এক কৌতুক তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর। এই কৌতুকগুলো কখনো কখনো শ্লীলতার গণ্ডি পার হয়নি, এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। বরং অশ্লীল ইঙ্গিত যে কৌতুকগুলোয় আছে, সেগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে।
আমাদের দেশে সেই কৌতুকগুলো পরিবেশন করা হলে বিশুদ্ধবাদীরা ক্ষেপে উঠবে। বলবে, পাঠকদের আমরা বিপথে ঠেলে দিচ্ছি! তাই ইচ্ছা না থাকলেও অতিকষ্টে সেই রসিকতা উপহার দেওয়ার চিন্তা সংবরণ করলাম। এখানে ভোভাচ্কাকে নিয়ে কিছু নিষ্পাপ কৌতুকই থাকবে।
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ভোভাচ্কা! ভোভাচ্কা বা ভোভা। ডাকার সুবিধার জন্য এভাবেই ছোট করে দেওয়া হয় নাম।
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। যেদিন থেকে ভোভাকে নিয়ে কৌতুক শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁরও বয়স বাড়ে না, ভোভাচ্কারও বয়স বাড়ে না। তাদের নিয়ে ‘নিষ্পাপ’ কৌতুকগুলোর কয়েকটি শুনে রাখুন—
১.
ছোট্ট ভোভাচ্কা ওর বন্ধু ওলিয়াকে ওর পোষা বিড়ালটা দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ওলিয়া বলল, ‘কী সুন্দর বিড়াল! তুই কি বিড়ালটা একদিন ধার দিবি? আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার ইঁদুর!’
ভোভাচ্কা বলল, ‘না, ধার দিতে পারব না। তুই বরং তোর ইঁদুরগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়!’
২.
ভোভা বলল, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে অঙ্কগুলো করে দেবে?’
-না না, সেটা ঠিক হবে না।
-অঙ্ক ঠিক হলো কি না হলো, সে তো পরের ব্যাপার। তুমি আগে চেষ্টা তো করো!
৩.
ভোভাচ্কা ওর শিক্ষককে ফোন করল, ‘মারিয়া ইভানোভ্না, আমি হারিয়ে গেছি। থিয়েটারে যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, থিয়েটারটা কোথায়!’
-কী বলছিস, ভোভা! তুই তো আমাকে বললি, থিয়েটারের পথটা তোর মুখস্থ!
-থিয়েটারের পথটা তো আমার মুখস্থ। কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি, সেটাই তো জানি না!
৪.
ভোভাচ্কা মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘মা, যে কাজটি আমি করিনি, সে কাজের জন্য কি আমাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে?’
-একেবারেই ঠিক হবে না!
-যাক বাবা! বাঁচা গেল। আমি পড়া তৈরি করিনি!
৫.
মুখ গোমড়া করে থাকা ভোভাচকা আর ওলিয়ার দিকে তাকিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘বাচ্চারা! তোমরা মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন? খেলতে যাও!’
-এটাই আমাদের খেলা!
-এ আবার কী রকম খেলা?
-আমরা বুড়োবুড়ি খেলছি।
৬.
‘ভোভাচ্কা, কাল সন্ধ্যায় ফ্রিজে দু’টুকরো কেক ছিল। আজ সকালে দেখি, একটা আছে। তুই কি বলতে পারিস, বাকি কেকটা কোথায় গেছে?’
বিগলিত ভোভা বলল, ‘কী বলছ মা! ফ্রিজের ভিতরে ল্যাম্পটা নষ্ট। তাই ফ্রিজের ভেতরটা অন্ধকার। আমি দ্বিতীয় কেকটা দেখতেই পাইনি!’
৭.
মন খারাপ করে ক্লাসটিচার মারিয়া ইভানোভ্না বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তোর পড়াশোনার যদি এই হাল হয়, তাহলে তোর বাবার সবগুলো চুল একদিনেই পেকে যাবে!’
ভোভা শিক্ষককে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘সে বিষয়ে চিন্তা করবেন না, মারিয়া ইভানোভ্না! আমার বাবা টাকমাথা। তার চুল সাদা হবে না!’
৮.
-হ্যালো, মারিয়া ইভানোভ্না বলছেন? শুনুন, আজ ভোভাচ্কা স্কুলে যাবে না, ওর অসুখ হয়েছে।
-ঠিক আছে। তবে বলুন, আপনি কে বলছেন?
-আমি আমার বাবা বলছি।
৯.
-ভোভাচ্কা, তুই বলতে পারিস, ভোলগা আর মিসিসিপির মধ্যে কোন নদীটা বেশি দীর্ঘ?
-খুব সহজ, মারিয়া ইভানোভ্না, অবশ্যই মিসিসিপি।
-সাব্বাস! কিন্তু তুই কী করে বুঝলি?
-খুব সহজ! ভোলগা তিন অক্ষর দিয়ে লিখি। মিসিসিপি চার অক্ষর।
১০.
ভোভাচ্কা ওর বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমাকে একটা ঢোল কিনে দাও!’
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দে। অফিসে যে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি লেগে আছে সারা দিন, তাতে নতুন করে ঢোলের আওয়াজ আমাকে পাগল করে দেবে।’
-না বাবা, তোমার কোনো অসুবিধাই হবে না। তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি ঢোল বাজাব।
১১.
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কে বেশি বুদ্ধিমান? মানুষ না পশু?’
-পশু।
-কেন?
-কারণ, আমি যখন আমার কুকুরছানার সঙ্গে কথা বলি, ও সব বুঝতে পারে। আর ও যখন কথা বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।
কয়েকটি ফাউ
১২.
মা ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আজকের পরীক্ষায় কটা অঙ্ক ছিল?’
-পনেরোটা।
-কয়টা অঙ্ক ভুল করেছিস?
-মাত্র একটা।
-তার মানে অন্যগুলোর ঠিক উত্তর দিয়েছিস?
-না। ওই একটা অঙ্ক নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্যগুলো দেখারও সময় পাইনি!
১৩.
সাহিত্যের ক্লাসে শিক্ষক ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভোভাচ্কা, এটা কি তোর লেখা? সত্যি করে বল তো পুশকিন নিয়ে এই রচনাটা কে লিখে দিয়েছে?’
-বিশ্বাস করুন, আমি জানি না। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
১৪.
মারিয়া ইভানোভ্না জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোকে এ রকম সাদা সাদা বিবর্ণ লাগছে কেন ভোভাচ্কা? তোর কি অসুখ করেছে?’
-না, মারিয়া ইভানোভ্না! বহুদিন পর মা আমাকে বাগে পেয়েছিল। আচ্ছাসে দলাইমলাই করে আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে!
১৫.
মা অবাক হয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তুই কেন একে একে সাতবার দাঁত ব্রাশ করছিস?’
-তুমি যেন সপ্তাহের অন্য ছয় দিন দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমাকে না জ্বালাও, তাই একদিনেই সাত দিনের কাজ করে নিচ্ছি!
১৬.
মারিয়া ইভানোভনা ঘুরছিলেন পার্কে, একটু দূরে দেখলেন, মন খারাপ করে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে ভোভাচ্কা।
-ভোভাচ্কা, তোর মন খারাপ কেন?
-আমার পাশে বসুন, মারিয়া ইভানোভ্না। বলছি।
মারিয়া ইভানোভ্না বসলেন ভোভাচ্কার পাশে।
ভোভাচ্কা তখন বলল, ‘এই বেঞ্চিটায় রং করা হয়েছে, মারিয়া ইভানোভ্না। কাঁচা রং!’
১৭.
অঙ্কের ক্লাস। ‘ভোভাচ্কা, ১০০ থেকে ১ নিলে কত থাকে?’
কিছুক্ষণ ভেবে ভোভাচ্কা বলল, ‘শুধু দুটো শূন্য থাকে।’

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
১২ নভেম্বর ২০২১
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
১২ নভেম্বর ২০২১
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
১২ নভেম্বর ২০২১
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
১২ নভেম্বর ২০২১
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে