
ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।

ভূমিকম্পের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে গার্মেন্টসপল্লি খ্যাত ঢাকার কেরানীগঞ্জ। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই গড়ে ওঠা এ পল্লিতে ছোট-বড় ১০ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাঈয়্যাৎ কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মৃদু মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। এটি ছিল মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প; রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৬ মাত্রার।

নিরাপদ নির্মাণবিধি মানা হচ্ছে কি না—এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব ভবন ও নির্মাণকাজের অনুমোদনের জন্য একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।