Ajker Patrika

টিকটক অ্যালগরিদমের সুবিধা নেওয়ার ৯ কৌশল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৩৫
টিকটকে কারও মনোযোগ পাওয়ার সময় খুবই সীমিত। ছবি: সিনেট
টিকটকে কারও মনোযোগ পাওয়ার সময় খুবই সীমিত। ছবি: সিনেট

কনটেন্ট নির্মাতারা অনেক শ্রম ও সময় ব্যয় করে টিকটকে ভিডিও তৈরি করেন। তবে টিকটকে সফল হতে হলে শুধু ভালো ভিডিও তৈরি করলেই হবে না, জানতে হবে এর অ্যালগরিদম কীভাবে কাজ করে। অ্যালগরিদম বোঝা মানে হলো, আপনি জানেন কোন কনটেন্ট কখন ও কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। টিকটকের অ্যালগরিদমকে নিজের পক্ষে কাজে লাগাতে পারলে কনটেন্ট ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

টিকটকের অ্যালগরদিমকে কাজে লাগাতে নিচের ৯টি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

১. দর্শকদের মনোযোগ দ্রুত আকর্ষণ করুন

টিকটকে কারও মনোযোগ পাওয়ার সময় খুবই সীমিত। ভিডিও শুরুর মাত্র এক-দুই সেকেন্ডেই দর্শক সিদ্ধান্ত নেয়—আপনার ভিডিও দেখবে কি না। সে অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকের নজর কাড়তে হলে দরকার একটি শক্তিশালী হুক—অর্থাৎ এমন কিছু, যা ভিডিওর শুরুতে তাঁদের আগ্রহী করে তোলে।

একটি ভালো হুক দর্শককে এতটুকু তথ্য দেবে, যা জানার পর তাঁরা পুরো ভিডিও দেখতে আগ্রহী হবেন। নিচের কৌশলগুলো আপনি আপনার ভিডিও হুকে ব্যবহার করতে পারেন—

  • একটি সাহসী দাবি করুন।
  • একটি প্রশ্ন করুন।
  • চমকপ্রদ কোনো তথ্য শেয়ার করুন।
  • কোনো গোপন রহস্যের ইঙ্গিত দিন।

প্রতিটি হুক যেন আপনার কাঙ্ক্ষিত দর্শকদের উপযোগী হয়, তা নিশ্চিত করুন এবং আবেগপ্রবণ শব্দ ব্যবহার করে তাঁদের মনোযোগ টানুন।

২. নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক কনটেন্ট ((নিস) তৈরি করুন

টিকটকে খুবই জনপ্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হয়, কারণ, অসংখ্য ক্রিয়েটর একই বিষয়ের জন্য ফর ইউ পেজে (FYP) জায়গা পেতে লড়াই করছে। তবে আপনি অ্যালগরিদমকে কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিতে পারেন—একটি নির্দিষ্ট, কম প্রতিযোগিতাপূর্ণ সাবজেক্ট বা নিস টিক বেছে নিয়ে।

আপনি যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান, সেগুলোর প্রতিযোগিতা বেশি হলে চিন্তা করুন—এর কোনো সাবেক বা শাখা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে বেশি আকর্ষণ করবে কি না। এমন কিছু বেছে নিন, যাতে কম প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে। এতে আপনার কনটেন্ট আরও নির্দিষ্ট দর্শকদের জন্য প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। আর এমন কনটেন্টকেই টিকটক অ্যালগরিদম বেশি গুরুত্ব দেয়।

৩. টিকটক এসেও ব্যবহার করুন

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসেও) শুধু গুগলের জন্যই নয়, যেকোনো প্ল্যাটফর্মে যেখানে সার্চ ফাংশন থাকে, সেখানে আপনি আপনার কনটেন্ট অভিমানে করতে পারেন এবং টিকটক এর ব্যতিক্রম নয়। এমনকি গুগল নিজেও অস্বীকার করেছে যে, টিকটক এখন একটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হয়েছে উঠছে।

টিকটক এসেও বাড়াতে হাওয়ার্ড রিসার্চ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন গুগলে মানুষ নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্য দিয়ে সার্চ করে, টিকটকেও ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট হাওয়ার্ড দিয়ে কনটেন্ট খোঁজে। আপনার কাজ হলো, সেই ওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করা।

টিকটকে হাওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করা খুব সহজ। আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কম ধরনের বিষয় খুঁজতে পারে, সেগুলো একটি তালিকায় লিখুন। ধরুন, আপনি একজন পলিটিশিয়ান, তাহলে ‘স্ক্রিন কেয়ার’ হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাওয়ার্ড। এরপর সেই শব্দগুলো টিকটকের সার্চ বারে লিখে টোটাল অপশনগুলো দেখুন। আপনি দেখতে পাবেন, ‘ছেলেদের স্ক্রিন কেয়ার’ বা ‘স্ক্রিন কেয়ার রুটির’–এর মতো বিষয়গুলো। এ ওয়ার্ডগুলোর তালিকা তৈরি করার পর আপনার কনটেন্ট ক্যালেন্ডার সাজান, যেন প্রতিটি অ্যাওয়ার্ডের ওপর কনটেন্ট থাকে। আপনার টিকটক বাড়িতেও এসব হাওয়ার্ড যোগ করতে ভুলবেন না।

৪. প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করুন

একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একই কনটেন্ট ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ। তবে টিকটকে পোস্ট করার সময় অবশ্যই ওই কনটেন্টটি টিকটকের নিয়ম-নীতির সঙ্গে মানানসই হতে হবে।

প্রথমত, ৯: ১৬ রেশিও ভিডিও বানান। এতে আপনার ভিডিও মোবাইলের পুরো স্ক্রিন পূর্ণ করবে এবং টিকটকে অধিকাংশ ব্যবহারকারীর দেখার অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে।

দ্বিতীয়ত, ভিডিওগুলো সাধারণত ছোট রাখতে হবে। যদিও প্রতিটি ভিডিওর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, টিকটক ২০২১ সালে জানিয়েছিল, ২৪ থেকে ৩১ সেকেন্ডই আদর্শ দৈর্ঘ্য। যদিও প্ল্যাটফর্ম দীর্ঘ সময়ের ভিডিওকেও উৎসাহ দেয়, অধিকাংশ দর্শক এক মিনিটের বেশি ভিডিও দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাই ৬০ সেকেন্ডের কম সময় রাখা নিরাপদ।

টিকটকে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে ভিডিওর বিষয়বস্তু অবশ্যই ইতিবাচক রাখতে হবে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব ভাইরাল ভিডিওতে হাস্যরসাত্মক, সুখকর বা ইতিবাচক অনুভূতি থাকে, সেগুলোই বেশি সফল হয়।

৫. সঠিক সময় ও নিয়মিত পোস্ট করুন

টিকটকের অ্যালগরিদম সরাসরি পোস্টের সময় বা ধারাবাহিকতার দিকে খুব একটা মনোযোগ দেয় না। তবে এটি প্রতি ভিডিওয়ের এনগেজমেন্ট বা দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে। সঠিক সময়ে ও নিয়মিত পোস্ট করা আপনার ভিডিওর এনগেজমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই পরোক্ষভাবে সময় ও ধারাবাহিকতা টিকটকের অ্যালার্মে প্রভাব ফেলে।

৬. হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন

টিকটকে হ্যাশট্যাগ দুভাবে কাজে দেয়—অ্যালগরিদমকে আপনার কনটেন্ট বুঝতে সাহায্য করে এবং ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ দিয়ে কনটেন্ট খুঁজে পান। বেশি মানুষ যখন আপনার ভিডিও দেখেন, তখন অ্যালগরিদম সেটিকে আরও বেশি মানুষের কাছে দেখায়। খুব বেশি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন না, সাধারণত এক থেকে চারটিই যথেষ্ট। ব্র্যান্ডেড, জনপ্রিয়, নিস ও সিজনাল হ্যাশট্যাগের ভালো সমন্বয় রাখুন।

৭. জনপ্রিয় অডিও ক্লিপ ব্যবহার করুন

টিকটকে অডিও ক্লিপের গুরুত্ব হ্যাশট্যাগের মতোই। জনপ্রিয় কোনো গান বা সাউন্ড ব্যবহার করলে আপনার ভিডিও দেখার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পপুলার ট্যাবে অনেক জনপ্রিয় গান থাকে, আর ব্রেকআউট ট্যাবে জনপ্রিয় হতে চলা গান পাওয়া যায়।

৮. ক্যাপশন যোগ করুন

অনেকে ভিডিও সাউন্ড ছাড়া দেখেন। ক্যাপশন যোগ করলে তাঁরা সহজে ভিডিও বুঝতে পারেন। এ ছাড়া টিকটকের অ্যালগরিদম ক্যাপশনের টেক্সট থেকে আপনার ভিডিও সম্পর্কে আরও তথ্য পায়। টিকটকে ক্যাপশন যোগ করা খুব সহজ। ক্যাপশন আইকনে ট্যাপ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়। ভিডিওর স্ক্রিপ্টে যে ওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করেছেন, সেগুলো ক্যাপশনে অবশ্যই রাখুন, এতে অ্যালগরিদম সঠিক দর্শককে আপনার ভিডিও দেখাবে।

৯. ট্রেন্ডের সঙ্গে এগিয়ে যান

টিকটকের অ্যালগরিদমের সুবিধা নেওয়ার সেরা উপায় হলো, জনপ্রিয় ট্রেন্ডে অংশগ্রহণ করা। ট্রেন্ড মানে এমন কোনো থিম, গান, নাচ বা চ্যালেঞ্জ, যা এখন সবার নজর কাড়ছে।

যখন দর্শক কোনো ট্রেন্ডে আসক্ত হয়, টিকটক তাদের আরও ট্রেন্ডের ভিডিও দেখায়। আপনি যদি সেই ট্রেন্ডে যুক্ত হন, আপনার ভিডিওও দর্শকের ফিডে আসার সুযোগ বাড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনুষ্ঠানের আগে ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন। ছবি: পেক্সেলস
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন। ছবি: পেক্সেলস

সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র‍্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক অনেকটাই স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল দেখাবে। অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে থেকে যেভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন–

ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন

ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। ছবি: পেক্সেলস
ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। ছবি: পেক্সেলস

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন কেমন, সেটি জানা জরুরি। যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক, তাঁরা শীতে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এক চা-চামচ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ ময়দা, এক চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এরপর প্যাক ব্যবহার করতে হবে।

প্যাক তৈরিতে আপেল পেস্ট এক চা-চামচ, মসুরের ডালের বেসন এক চা-চামচ, অর্ধেক ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

শীতকালে শুষ্ক ত্বকের বেশি যত্নের প্রয়োজন। এ ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে মসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক টেবিল চামচ গরম দুধ মিশিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পুরো মুখে লাগাতে হবে। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে ও রোমকূপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা ফেসওয়াশের মতো ব্যবহার করতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর প্যাক লাগাতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে এক চা-চামচ গ্রিন টি গুঁড়া নিয়ে এর সঙ্গে এক চা-চামচ টক দই মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া দারুচিনি গুঁড়া এক চা-চামচ, এক চা-চামচ মুলতানি মাটি, ডিমের সাদা অংশ এগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ প্যাক ব্যবহারের ফলে ময়শ্চারাইজারের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।

ডিপ ক্লিনজিং

প্রথমে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী জেল, ফোম বা ক্রিম টাইপ ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ফোম ক্লিনজার বেছে নিন। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার উপযুক্ত। ত্বক ভেজানোর জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে বন্ধ রোমকূপ খুলে যাবে। এক মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ক্লিনজার ঘষুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ঘষুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন।

ব্যবহার করুন এক্সফোলিয়েটর। ঘষে ঘষে ত্বকে ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর স্টিম করুন। পরের ধাপে ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক দিয়ে ডিপ ক্লিন করুন। এ ক্ষেত্রে ক্লে ব্ল্যাক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধুয়ে সব শেষে টোনার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

স্কিন হোয়াইটনিং ট্রিটমেন্ট

মুখের ত্বকের সঙ্গে গলা, ঘাড়, হাত ও পুরো শরীরের রঙের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে যত্ন নিতে হবে পুরো শরীরের ত্বকের। মসুর ডাল বাটা পরিমাণমতো নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর খোসাবাটা, পরিমাণমতো টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে নিয়মিত ম্যাসাজ করে গোসল করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন করতে হবে এটি। এতে করে ত্বকের মরা কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়বে। এ ছাড়া ত্বকের কোমলতা বজায় থাকবে।

হাত ও পায়ের যত্ন

সপ্তাহে অন্তত দুদিন বাড়িতে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করতে হবে। অনুষ্ঠানের দিন পারলার থেকে একবার পেডিকিউর ও মেনিকিউর করিয়ে নিলে ভালো। কারণ, পারলারে ম্যাসাজ খুব ভালো হয়। ডিপ ক্লিনও করা সম্ভব।

সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও স্কিনক্র‍্যাফট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেটি ডিসেম্বর: বিশ্বের অন্যতম বড় উৎসব

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে ডেটি ডিসেম্বর। ছবি: ট্রাভেল ট্যাংক
সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে ডেটি ডিসেম্বর। ছবি: ট্রাভেল ট্যাংক

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!

তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। ছবি: এএফপি
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। ছবি: এএফপি

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।

এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।

‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।

২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্‌যাপিত হয়।

এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।

সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

ডেটি ডিসেম্বর আফ্রিকার সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাখছে। ছবি: এএফপি
ডেটি ডিসেম্বর আফ্রিকার সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাখছে। ছবি: এএফপি

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’

নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’

বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম

ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।

এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।

উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা

২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক অগোছালো স্ক্র্যাপবুকের ফ্যাশন স্মৃতি: ২০০০ থেকে ২০২৫ এ প্রত্যাবর্তন

কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা 
এখনকার পরিমিতি বোধের যুগে শূন্য দশকের  ফ্যাশন ফিরছে আবার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি
এখনকার পরিমিতি বোধের যুগে শূন্য দশকের ফ্যাশন ফিরছে আবার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি

একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে আত্মবিশ্বাসই ছিল আসল স্টাইল। এখনকার পরিমিত ফ্যাশনের যুগে সেই বিশৃঙ্খলা আবার ফিরে আসছে। না, ঠিক বিশৃঙ্খলা নয়, একে বলা যেতে পারে শৃঙ্খলাবদ্ধ বিশৃঙ্খলা। ২০২৫ এর নতুন প্রজন্ম খুঁজছে সেই রঙিন উন্মাদনা। তারা চাইছে সেই কেয়ারফ্রি স্টাইল। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময় অনেকে মজা করে ভিডিও বানান এমন ছবি তোলার স্টাইলে। কিংবা বড় বড় ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে এমনকি ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোতেও আমরা এমন এলোমেলো স্টাইলে দাঁড়ানো ছবি দেখি এখন। তার মানে, দেড়-দুই দশকের পুরোনো ফ্যাশন ও স্টাইল ফিরছে আবার প্রবলভাবেই?

আনুষঙ্গিক যখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

সেই সময় চশমা মানেই ছিল চোখের ওপর এক রঙিন পর্দা। ছবি: পেক্সেলস
সেই সময় চশমা মানেই ছিল চোখের ওপর এক রঙিন পর্দা। ছবি: পেক্সেলস

সেই সময় চশমা মানেই ছিল বিশাল কিছু। নীল, গোলাপি বা বেগুনি লেন্স। চোখের ওপর যেন একটা রঙিন পর্দা। প্যারিস হিল্টনের সেই চশমাগুলো ছিল রাজকীয়। পুরো পৃথিবীটাই যেন সেই চশমার রঙে সুন্দর দেখাত। এখন আবারও ফিরে এসেছে সেই স্টাইল। সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। এত উজ্জ্বল যে একটু হলেই যেন আয়নার কাজ চলে যাবে। মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, ব্যবসায়ী জেনিফার লোপেজ বা জে লো সেই গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করেছিলেন। এমনকি তৎকালীন কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিনে এগুলো বোনাস হিসেবেও দেওয়া হতো। ‘গ্ল্যামার’ ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ২০২৫ এ জে লো এই আঠালো টিউবগুলো আবারও জনপ্রিয় করে সবার হ্যান্ডব্যাগে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।

সেই সময়ের বেশ কিছু মোটিফও আবার ফিরে এসেছে। যেমন প্রজাপতি। এটি ছিল মেয়েলি ঢঙের এক চমৎকার প্রকাশ। ২০০০ সালের দিকে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটি বড় অংশজুড়ে চুলে ছিল প্রজাপতি ক্লিপ। মারিয়া ক্যারির সেই মায়াবী ট্রেন্ড। চোকার থেকে শুরু করে টপ পর্যন্ত ছিল প্রজাপতির উড়ে বেড়ানো। আবারও চুলের কাঁকড়া ব্যান্ড থেকে শুরু করে ছোট ক্লিপ পর্যন্ত প্রজাপতির সেই ওড়াউড়ি চোখে পড়ছে মার্কেটে ঘুরলে।

আবারও মিলেছে আরাম আর সাহস

সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। জেনিফার লোপেজ গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করে তুলেছিলেন। ছবি: পেক্সেলস
সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। জেনিফার লোপেজ গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করে তুলেছিলেন। ছবি: পেক্সেলস

অসম্ভব ছোট এই পার্সগুলো শূন্য দশকের শুরুর দিকে আইকন হয়ে উঠেছিল। সেগুলো এখন আবারও আমরা দেখছি। এখনকার একটা স্মার্টফোন সেখানে ঢোকানো সম্ভব নয়। তারপরেও আউটফিটের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ব্যাগ নেওয়াই এখন ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করেন, এটা নতুন ফ্যাশন ধারা। তাদের জন্য বলে রাখি, এটাও ফ্যাশন জগতে নতুন কিছু নয়, শূন্য দশকের ফ্যাশন। তখন ব্যাগগুলোতে একটি ফ্লিপ ফোন এবং লিপ গ্লসের বেশি কিছু আঁটত না। ২০০২ সালের প্রায় প্রতিটি পাপারাজ্জি শটে এগুলো অমর হয়ে আছে। এগুলো ছিল চপল, মেয়েলি এবং ব্যবহারিক উপযোগিতার প্রতি তোয়াক্কাহীন। গত বছরেই কাজলসহ বেশ কিছু বলিউড অভিনেত্রী শাড়ির সঙ্গে মোটা বেল্ট পরে একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন। বলে রাখি, এটাও নতুন কিছু নয়। সেই প্রথম দশকে কোমরে ঝোলানো থাকত বিশাল সব বেল্ট। কখনো জিনসের নিচে, কখনো পোশাকের ওপর। বেল্টগুলো যেন ছিল একেকটা রহস্য।

ডেনিম আর মেটালিকের জাদু

ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ছিল ডেনিমের রাজত্ব। ছবি: পেক্সেলস
ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ছিল ডেনিমের রাজত্ব। ছবি: পেক্সেলস

একটা সময় জিনস ছিল বিস্ময়। তখন লো-রাইজ বা লো-কাট জিনস ছিল সবার প্রিয়। মার্কিন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের হাত ধরে এটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। এর পাশাপাশি ছিল বুট কাট আর ফ্লেয়ার্ড জিনস। ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ডেনিমের রাজত্ব। সেই ঢিলেঢালা জিনস আবারও তরুণ-তরুণীদের আলমারিতে জায়গা করে নিয়েছে। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ আবারও সেই ডেনিম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিনসের পাশাপাশি শীতে ডেনিমের জ্যাকেট—সবই তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে চলে এসেছে।

সেই সময় মানুষ ভবিষ্যতের নেশায় বুঁদ ছিল। চারদিকে শুধু রুপালি আর মেটালিকের ছোঁয়া। সিলভার জ্যাকেট বা হলোগ্রাফিক স্কার্ট। এমনকি চুলের রংও হয়ে গিয়েছিল রুপালি। যেন সবাই মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি। এটি ছিল এক রঙিন আশাবাদ। আর জেন-জিদের হাত ধরে বর্তমানে সারা বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছে। তাদের চোখেও রঙিন স্বপ্ন, বদলের একটা বিশেষ রং। তাই তাদের ফ্যাশনে আবারও মেটালিকের ছোঁয়া উঠে এসেছে।

লোগোম্যানিয়া আর লাক্সারি

সে সময়, অর্থাৎ সেই শূন্য দশকে ফ্যাশন যেন ফিসফিস করত না, চিৎকার করত। ব্র্যান্ডের নাম গায়ে জড়িয়ে রাখাই ছিল দস্তুর। ডিওরের স্যাডেল ব্যাগ কিংবা ফেন্ডির লোগো। লোকে যেন আধা মাইল দূর থেকেও ব্র্যান্ড চিনতে পারে। সেটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। সেই প্রবণতা আবারও ফিরে এসেছে। দাম বেশি হলেও ব্র্যান্ডেই মানুষের আরাম পৌঁছে গেছে। বিষয়টা অনেকটা সমাজে মুখ দেখানোর মতো বাড়াবাড়ির পর্যায়েও চলে যায় অনেক সময়।

সেই সময় টিনএজ ফ্যাশনে ছিল লেয়ার্ড ট্যাংকের ছড়াছড়ি। একটার ওপর একটা রঙিন কামিজ বা টপ। সঙ্গে ছোট ছোট গ্রাফিক টি-শার্ট। তাতে গ্লিটার দিয়ে লেখা থাকত অদ্ভুত সব কথা। প্রতিটি পোশাক ছিল ব্যক্তিত্বের এক-একটা ছোট সংস্করণ; যা আজও জনপ্রিয়। অবশ্য সব সময় ফ্যাশন ছিল প্রতিবাদের ভাষা।

অনুভূতির এক অগোছালো স্ক্র্যাপবুক

শূন্য দশক কোনো নিয়ম মানেনি। এটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এক ফ্যাশন ধারা। কোনো ক্ষমা না চাওয়া পপসংস্কৃতির ফসল। সে সময় ফ্যাশন কালজয়ী হতে চায়নি। বড় বড় সিলুয়েট আর বড় বড় অনুভূতির গল্প ছিল সেটি। সেই অদম্য উৎসাহের কারণেই আজ ২০২৫-এ এসেও আমরা বারবার সেই দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই।

সূত্র: শোবিজ ডেইলি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: প্রেমে বিয়ের কথা বললেই ব্লক খাবেন, দুঃখের পোস্টে হা হা পাবেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৫
আজকের রাশিফল: প্রেমে বিয়ের কথা বললেই ব্লক খাবেন, দুঃখের পোস্টে হা হা পাবেন

মেষ

আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট। টাকা লেনদেনে আজ বাঘের মতো সতর্ক থাকুন, না হলে বিড়ালের মতো কাঁদতে হবে।

বৃষ

পেশায় পালোয়ান, নেশায় ঘুমকাতুরে। আজ শেয়ার বাজার আপনার দিকে হাসবে। কিন্তু সাবধানে, হাসা মানেই যে লাভ তা নয়, উপহাসও হতে পারে! রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙবেন না। আজ পুলিশ আপনাকে ‘স্পেশাল গেস্ট’ বানাতে খুব আগ্রহী। পুরোনো অসুখ নিয়ে সুসংবাদ পাবেন; হয়তো জানবেন ওটা আসলে অসুখই ছিল না, আলসেমি ছিল! দুপুরের পর কাজে গতি আসবে, তবে বিরিয়ানি খেলে সেই গতি আবার বিছানামুখী হবে।

মিথুন

সৃজনশীলতা ফেটে বেরোচ্ছে, কিন্তু কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। আজ কাউকে ধার দেবেন না। ধার দেওয়া মানেই সেই বন্ধুকে চিরতরে হারিয়ে ফেলা। অফিসে আজ খুব মন দিয়ে কাজ করুন, বসের নজর আজ সিসিটিভির চেয়েও ধারালো। প্রেমে আজ কোনো আত্মীয়র কারণে অশান্তি হতে পারে। আত্মীয়দের থেকে দূরে থাকুন, শান্তিতে থাকুন। সৃজনশীল হোন, কিন্তু রান্নায় বেশি এক্সপেরিমেন্ট করতে যাবেন না।

কর্কট

আজ আপনি একটু বেশিই সেন্টিমেন্টাল। আজ চোখে জল আর নাকে সর্দি—দুটিই সমানতালে আসতে পারে। ব্যবসা শুরুর জন্য দিনটা ভালো, কিন্তু পার্টনার হিসেবে নিজের ছায়াকেও বিশ্বাস করবেন না। বিচক্ষণতা বজায় রাখুন, না হলে লোকজন আপনাকে ইমোশনাল ফুল বানিয়ে চলে যাবে। আজ ফেসবুকে দুঃখের পোস্ট দেবেন না। কেউ এসে সান্ত্বনা নয়, হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে।

সিংহ

সকালে রাজা, সন্ধ্যায় ভিখারি (মানসিকভাবে)। সকালের দিকে সব জরুরি কাজ সেরে নিন। কারণ, সূর্য ডুবলে আপনার মেজাজও ডুববে। স্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জেতার চেষ্টা করা মানে হলো আগ্নেয়গিরিতে ঝাঁপ দেওয়া। আজ আত্মবিশ্বাসের অভাবে কাজে একটু ব্যাঘাত ঘটতে পারে, তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দশবার বলুন, ‘আই অ্যাম দ্য বস!’ মায়ের শরীর ভালো থাকবে, তাই আজ একবেলা রান্না থেকে ছুটি পেতে পারেন।

কন্যা

নিখুঁত হতে গিয়ে জেরবার। বন্ধুদের সঙ্গে ট্যুর প্ল্যান ক্যানসেল হতে পারে। কারণ, সেই এক—আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব! পরীক্ষার ফল ভালো হবে, তবে তার আগে হার্টবিট কন্ট্রোল করুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ একটু নমনীয় হোন, রোবটের মতো লজিক খুঁজলে একা থাকতে হবে। আজ পুরোনো কোনো বন্ধুর ফোন আসতে পারে, সম্ভবত সে টাকা ধার চাইবে।

তুলা

অর্থ আসছে, কিন্তু যাচ্ছে রকেটের গতিতে। আজ আপনার অর্থভাগ্য খুব ভালো, কিন্তু সমস্যা হলো খরচের হাতটা অক্টোপাসের মতো। স্ত্রী আপনার মনের কথা বুঝবে, কিন্তু আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিলটা বুঝবে কি? সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়ুন, ওরা আপনার চেয়ে বেশি স্মার্ট। বিদেশের কারও সঙ্গে কথা হতে পারে, তবে সেটা স্ক্যাম কল কি না যাচাই করে নিন।

বৃশ্চিক

রহস্যময় হাসি আর পকেটভর্তি টাকা। ব্যবসায় আজ লক্ষ্মীলাভের যোগ আছে। বন্ধুদের আজ ডিনার খাওয়াতে হতে পারে, তাই পালানোর রাস্তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনে শান্তি মিলবে, তবে সেটা যেন শুধু মশারির ভেতরেই সীমাবদ্ধ না থাকে। শেয়ার বাজারে আজ একটু ঝুঁকি নিতেই পারেন, তবে হারলে আমাকে দোষ দেবেন না!

ধনু

কঠোর পরিশ্রম, কিন্তু রেজাল্ট তথৈবচ। বকেয়া টাকা পাওয়ার যোগ আছে, তবে সেটা আদায় করতে গিয়ে গলা শুকিয়ে যাবে। প্রেমে আজ সত্যবাদী থাকুন, একটা মিথ্যা ধরা পড়লে কপালে শনির দশা নিশ্চিত। রূপচর্চার জন্য আজ বেশ কিছু টাকা গচ্চা যেতে পারে, কিন্তু তাতে মুখ কতটা চকচক করবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সন্ধ্যার পর হুট করে মন খারাপ হতে পারে; এক কাপ কড়া চা খান।

মকর

কাজের নেশায় বুঁদ, শরীর বলছে ‘আর না’। আজ আপনার পরিশ্রম দেখে পিঁপড়ারা লজ্জা পাবে। পরিবারে আপনার মতামতের দাম বাড়বে, তবে সেটা শুধু মেনু ঠিক করার ক্ষেত্রেই হতে পারে। তীর্থযাত্রার সুযোগ আসতে পারে, অন্তত পাড়ার মোড়ের মন্দির পর্যন্ত তো বটেই। বেশি ইমোশনাল হবেন না, বিশেষ করে অফিসের গ্রুপ চ্যাটে।

কুম্ভ

মনের ভেতর হাজার প্রশ্ন, উত্তর নেই একটাও। চাকরি বদলানোর চিন্তা আজ মাথায় ঘুরবে, কিন্তু ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে তাকালে সেই চিন্তা কর্পূরের মতো উবে যাবে। বন্ধুদের অবহেলা করবেন না, ওরাই বিপদের সময় চপ-মুড়ি নিয়ে হাজির হবে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন, তাতে ভাগ্য না ফিরলেও শরীর ঠিক থাকবে। কোনো চুক্তিতে সই করার আগে অন্তত তিনবার বানানগুলো চেক করুন।

মীন

স্বপ্নের ঘোরে দিন কাটে, বাস্তবে শুধু ধাক্কা। পরিবারের কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আজ কনফিউজড হয়ে যাবেন। আজ আপনার মিষ্টি কথায় কাজ হাসিল হবে, এমনকি আজরাইলকেও বোধহয় কফি খাইয়ে ফেরত পাঠাতে পারবেন। ব্যবসায়িক কাজে বন্ধুদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। আজ আপনার মেধা চমকাবে, তবে সেটা যেন শুধু ফেসবুক কুইজেই শেষ না হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত