
যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আইফোন ১২ থেকে ১৫ পর্যন্ত ম্যাগসেফ চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যেসব পাওয়ার ব্যাংকে কিউআই ২ সার্টিফিকেশন রয়েছে সেগুলো আইফোনের ম্যাগসেফের প্রযুক্তি সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর এগুলোতে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের ক্ষমতা রয়েছে। ম্যাগসেফের মাধ্যমে ৭.৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়া যায়।
অ্যাংকার ম্যাগগোর দুটি পাওয়ার ব্যাংককে আইফোনের জন্য সবচেয়ে ভালো হিসেবে তুলে ধরেছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট। সিনেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আইফোনের জন্য সেরা পাওয়ার ব্যাংকগুলোর তালিকা তুলে ধরা হল—
অ্যাংকার ৬২২ ম্যাকগো ম্যাগনেটিক ব্যাটারি
অ্যাংকার ৬২২ ম্যাকগো ম্যাগনেটিক ব্যাটারি একটি ওয়ালেস ব্যাটারি। এতে সংযুক্ত ম্যাগনেটিক ফ্লিপকে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ৫০০০ এমএইচ সক্ষমতার এই ব্যাটারি দিয়ে ফাস্ট ওয়্যারলেস চার্জ হবে না। কিন্তু এটি খুব চিকন ও সহজে বহনযোগ্য।
এর ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে আইফোন চার্জ করা যায়। এটি দিয়ে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট গতিতে চার্জ হবে। তবে লাইটনিং পোর্টের বদলে ইউএসবি সি ব্যবহার করলে ১২ ওয়াট গতির চার্জ মিলবে।
অ্যাংকর ম্যাগগো ৬.৬কে
অ্যাংকর ম্যাগগো ৬.৬কে পাওয়ার ব্যাংকে ৬ হাজার ৬০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে। এটির কিউআই সার্টিফিকেশন রয়েছে অর্থাৎ এতে ১৫ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিং ক্ষমতা রয়েছে ও ম্যাগসেফ চার্জিংয়ের সঙ্গে এই পাওয়ার ব্যাংক সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোন ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড ৭ দশমিক ৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জারের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চার্জ দেয়।
পাওয়ার ব্যাংকটি ৫টি রঙে পাওয়া যাবে। এতে ইউএসবি সি ক্যাবল রয়েছে। পাওয়ার ব্যাংকটি বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে বা বাসায় থাকার সময় ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বেসুস ম্যাগনেটিক মিনি ওয়্যারলেস পোর্টেবল চার্জার
এটি ওয়্যারলেস ও ওয়্যারড- দুইভাবেই চার্জ দেওয়া যাবে। আইফোনের পেছনের ম্যাগসেফের সঙ্গে লেগে থেকে এটি চার্জ দিতে পারে। এতে ৬০০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে ও আইফোনে ৭ দশমিক ৫ ওয়াটে চার্জ দিতে পারবে। আর আরও দ্রুত চার্জ দিতে লাইটনিং কেবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে ২০ ওয়াট গতিতে আইফোন চার্জ দেওয়া যাবে। এতে ‘পাস–থ্রু’ অপশন আছে। অর্থাৎ একই সঙ্গে চার্জারের ব্যাটারি ও ফোন চার্জ দেওয়া যাবে।
ব্যাটারির ক্ষমতা ৬০০০ এমএইচ হলেও এর সাইজ ছোট, অনেকটা ৫০০০ এমএইচ ব্যাটারির সমান। এটা দিয়ে সব আইফোনে দ্রুত চার্জ হলেও প্রো ম্যাক্স চার্জ হতে একটু বেশি সময় লাগবে।
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়ার ব্যাংক (ইউএসবি সি)
আইফোন ১৫ এর জন্য এই পাওয়ার ব্যাংক একটি ভালো বিকল্প। এতে ফোল্ডেবল ইউএসবি সি কানেক্টর আছে। যে কোনো ইউএসবি সিযুক্ত চার্জিং অ্যান্ড্রয়েড ফোনও এর মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ কয়েকটি রঙে পাওয়া যাবে।
১০০ গ্রাম ওজনের এই পাওয়ার ব্যাংকে ৫০০০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে। এতে ২২.৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা আছে। পাওয়ার ব্যাংকে একই সময়ে দুটি ডিভাইস চার্জ দেওয়া যাবে। তবে তখন গতি ভাগ হয়ে প্রতিটি ডিভাইসে ১১ দশমিক ২৫ ওয়াট চার্জ হবে।
মাই চার্জ হাব ৬৭০০
মাইচার্জ হাব পোর্টেবল চার্জার দুটি আলাদা সাইজে পাওয়া যায়। দেওয়ালে থাকা বিদ্যুৎ সকেটের সাহায্যে ব্যাটারি চার্জ দেওয়া জন্য এতে ওয়াল প্লাগ আছে। ইউএসবি সি ও লাইটনিং ক্যাবল উভয়ের মাধ্যমে এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোনকে চার্জ দিতে পারবে। এতে একটু মোটা ৬,৭০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে। এটি স্মার্টফোনকে পুরো চার্জ দিতে পারবে।
১০,০৫০ এমএইচ ব্যাটারির আরেকটি সংস্করণ আছে এই পাওয়ার ব্যাংকের, যার দাম ২০ ডলার বেশি।
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়া ব্যাংক ১০কে
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়া ব্যাংক ১০কে এর ১০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে। এতে ইউএসবি সি ক্যাবলও রয়েছে। তবে পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ ভারি ও আকারে বড়। এর মাধ্যমে ইউএসবি সি ও ইউএসবি এ পোর্টও ব্যবহার করা যাবে। এই ব্যাটারি প্রায় ৩০ ওয়াট পর্যন্ত চার্জ দেবে। পাওয়ার ব্যাংকে আছে এলসিডি স্ক্রিন। পাওয়ার ব্যাংকে কতটুকু চার্জ অবশিষ্ট আছে তা এই স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ইনফিনিটি ল্যাব ইনস্টান্টগো ১০০০০
ইনস্টান্টগো ৫০০০ ও ইনস্টান্টগো ১০০০০ পাওয়ার ব্যাংকে লাইটনিং পোর্ট আছে। এর মধ্যে ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারির দাম ও ওজন বেশি। তবে পাওয়ার ব্যাংকটিতে একবার চার্জ দিলে আইফোনে দুবার পুরো চার্জ দেওয়া যাবে।
অ্যাংকর ম্যাগগো পাওয়ার ব্যাংক ১০কে
১০,০০০ এমএইচ ব্যাটারির এই পাওয়ার ব্যাংকে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ও ম্যাগসেফ চার্জিং সুবিধা আছে। ম্যাগসেফ সমর্থিত আইফোন ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জারের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চার্জ দেওয়া যাবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ১৫ ওয়াটের ওয়ারলেস চার্জ দেওয়া যাবে।
এটি পাঁচটি রঙে পাওয়া যায়। এর আকৃতি ম্যাগগো পাওয়ার ব্যাংক ৬ .৬ কে এর চেয়ে বড়। ব্যাটারি লাইফ দেখার জন্য এলসিডি ডিসপ্লে আছে। এর ইউএসবি সি ক্যাবল আছে। এটিকে ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং ঘরের বাইরেও নিয়ে বের হওয়া যায়।
বেসুস ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংক
বেসুস ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংকে ১০,০০ হাজার এমএইচের ব্যাটারি আছে। ফলে এটি দুইবার আইফোনকে সম্পূর্ণ চার্জ দিতে পারবে। তবে এর আকার বেশি বড় নয়।
এতে শক্তিশালী ম্যাগনেট এবং ফোল্ডেবল স্ট্যান্ড আছে। ব্যাটারি লাইফ দেখার জন্য আছে এলইডি লাইট। পাওয়ার ব্যাংকটি তিন রঙে পাওয়া যাবে। তবে এর মধ্যে কালো রঙের দাম কিছুটা কম।
অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংক
অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংকে গ্যালিয়াম নাইট্রেড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে পাওয়ার ব্যাংকটি শক্তিশালী হলেও আকারে ছোট। এটি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংকে ৬৫ ওয়াটের চার্জারসহ ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে। এটি কোম্পানিটির জিএএনপ্রাইম সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এতে দুটি ফাস্ট চার্জিং সি পোর্ট ও একটি ইউএসবি এ পোর্ট আছে। এটি দিয়ে একই সঙ্গে তিনটি ডিভাইস চার্জ করা যাবে। তবে ৬৫ ওয়াট ল্যাপটপ চার্জ দিতে হবে একলা।
মাইচার্জ সুপারহিলো ম্যাগলক
মাইচার্জ কোম্পানির ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংকের সিরিজের একটি সংস্করণ সুপারহিরো ম্যাগলক। এর ডিজাইন খুবই আর্কষণীয়। এর ম্যাগনেট বা চুম্বক খুব শক্তিশালী। ফলে এটি ফোনের পেছনে খুবই ভালোভাবে লেগে থাকে। এতে কয়েল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে চার্জিংয়ের সময় ফোন বেশি গরম হয় না।
পাওয়ার ব্যাংকটিতে ৩০০০ এমএইচের ব্যাটারি আছে। এটি হালকা ও চিকন। তবে এর মাধ্যমে আইফোনে একবারে সম্পূর্ণ চার্জ হবে না। তাই পাওয়ার ব্যাংকটির ৬০০০ বা ৯০০০ এমএইচ ব্যাটারির সংস্করণটি কেনা ভালো। তবে এগুলো একটু বেশি ভারী ও বড়।
প্রতিটি ম্যাগলক পাওয়ার ব্যাংকে কিউআই সমর্থিত আইফোনকে ৫ ওয়াটে চার্জ দেয়। ক্যাবলের মাধ্যমে এটি আইফোনকে আরও দ্রুত চার্জ দিতে পারবে। এই পাওয়ার ব্যাংকে ইউএসবি সি লাইটনিং ক্যাবল আছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কেসে একটি মেটাল রিং থাকলে পাওয়ার ব্যাংকটির মাধ্যমে ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়া যাবে।
এতে কয়েকটি রং আছে। এর ৬০০০ এমএইচ সংস্করণের জন্য ৪০ ডলার ব্যয় করতে হবে।
মোফিয়া পাওয়ারস্ট্যাশন ১০কে স্ট্যান্ড
মোফিয়া পাওয়ারস্ট্যাশন ১০কে স্ট্যান্ড পাওয়ার ব্যাংকের ম্যাগসেফ অপশনও রয়েছে। এর দাম অন্য পাওয়ার ব্যাংকের তুলনায় বেশি। এর নিচের ট্রাইপডও রয়েছে।
এটি ১৫ ওয়াটে খুব দ্রুত চার্জ হয়। এয়ারপডস ৩ ও এয়ারপড প্রো মডেলেও ম্যাগসেফ প্রযুক্তির মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট ব্যবহারে এটি ২০ ওয়াট গতিতে ফোন চার্জ করতে পারবে। এছাড়া একইসঙ্গে দুটি ডিভাইস চার্জ দেওয়া যাবে।
মফি পাওয়া স্টেশন মিনি
মফি পাওয়ার স্টেশন মিনিতে ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি রয়েছে ও ২০ ওয়াটের ইউএসবি সি ফাস্ট পিডি চার্জিং সুবিধা দেবে। এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ দিতে পারবে।
এছাড়া ১০০০০ এমএইচ সংস্করণে ডুয়াল সি পোর্ট রয়েছে। দুটি সংস্করণই কালো ও নীল রঙে পাওয়া যাবে।
অ্যাংকর ৫২৩ পাওয়ারকোর স্লিম ১০কে পিডি
এই পাওয়ার ব্যাংকটি খুবই হালকা পাতলা। এতে ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে ও ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে ২০ ওয়াটে ফাস্ট চার্জিং দেওয়া যায়। এতে ১২ ওয়াটের ইউএসবি এ পোর্ট রয়েছে। অ্যাংকর ৫২৩ পাওয়ারকোর স্লিম ১০কে এর দাম তুলনামূলক কম।
নিম্বল চ্যাম্প
এই পাওয়ার ব্যাংক তৈরিতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ১০০০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে, যার মাধ্যমে ২০ ওয়াট পিডি (পাওয়ার ডেলিভারি) ফাস্ট চার্জ দেওয়া যাবে। এতে দুটি ইউএসবি সি পোর্ট রয়েছে। দুটি ডিভাইস একইসঙ্গে চার্জ দিলে প্রতিটি ডিভাইস ১০ ওয়াটে চার্জ হবে। এই পাওয়ার ব্যাংকও অনেক হালকা পাতলা।

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আইফোন ১২ থেকে ১৫ পর্যন্ত ম্যাগসেফ চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যেসব পাওয়ার ব্যাংকে কিউআই ২ সার্টিফিকেশন রয়েছে সেগুলো আইফোনের ম্যাগসেফের প্রযুক্তি সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর এগুলোতে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের ক্ষমতা রয়েছে। ম্যাগসেফের মাধ্যমে ৭.৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়া যায়।
অ্যাংকার ম্যাগগোর দুটি পাওয়ার ব্যাংককে আইফোনের জন্য সবচেয়ে ভালো হিসেবে তুলে ধরেছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট। সিনেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আইফোনের জন্য সেরা পাওয়ার ব্যাংকগুলোর তালিকা তুলে ধরা হল—
অ্যাংকার ৬২২ ম্যাকগো ম্যাগনেটিক ব্যাটারি
অ্যাংকার ৬২২ ম্যাকগো ম্যাগনেটিক ব্যাটারি একটি ওয়ালেস ব্যাটারি। এতে সংযুক্ত ম্যাগনেটিক ফ্লিপকে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ৫০০০ এমএইচ সক্ষমতার এই ব্যাটারি দিয়ে ফাস্ট ওয়্যারলেস চার্জ হবে না। কিন্তু এটি খুব চিকন ও সহজে বহনযোগ্য।
এর ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে আইফোন চার্জ করা যায়। এটি দিয়ে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট গতিতে চার্জ হবে। তবে লাইটনিং পোর্টের বদলে ইউএসবি সি ব্যবহার করলে ১২ ওয়াট গতির চার্জ মিলবে।
অ্যাংকর ম্যাগগো ৬.৬কে
অ্যাংকর ম্যাগগো ৬.৬কে পাওয়ার ব্যাংকে ৬ হাজার ৬০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে। এটির কিউআই সার্টিফিকেশন রয়েছে অর্থাৎ এতে ১৫ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিং ক্ষমতা রয়েছে ও ম্যাগসেফ চার্জিংয়ের সঙ্গে এই পাওয়ার ব্যাংক সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোন ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড ৭ দশমিক ৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জারের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চার্জ দেয়।
পাওয়ার ব্যাংকটি ৫টি রঙে পাওয়া যাবে। এতে ইউএসবি সি ক্যাবল রয়েছে। পাওয়ার ব্যাংকটি বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে বা বাসায় থাকার সময় ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বেসুস ম্যাগনেটিক মিনি ওয়্যারলেস পোর্টেবল চার্জার
এটি ওয়্যারলেস ও ওয়্যারড- দুইভাবেই চার্জ দেওয়া যাবে। আইফোনের পেছনের ম্যাগসেফের সঙ্গে লেগে থেকে এটি চার্জ দিতে পারে। এতে ৬০০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে ও আইফোনে ৭ দশমিক ৫ ওয়াটে চার্জ দিতে পারবে। আর আরও দ্রুত চার্জ দিতে লাইটনিং কেবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে ২০ ওয়াট গতিতে আইফোন চার্জ দেওয়া যাবে। এতে ‘পাস–থ্রু’ অপশন আছে। অর্থাৎ একই সঙ্গে চার্জারের ব্যাটারি ও ফোন চার্জ দেওয়া যাবে।
ব্যাটারির ক্ষমতা ৬০০০ এমএইচ হলেও এর সাইজ ছোট, অনেকটা ৫০০০ এমএইচ ব্যাটারির সমান। এটা দিয়ে সব আইফোনে দ্রুত চার্জ হলেও প্রো ম্যাক্স চার্জ হতে একটু বেশি সময় লাগবে।
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়ার ব্যাংক (ইউএসবি সি)
আইফোন ১৫ এর জন্য এই পাওয়ার ব্যাংক একটি ভালো বিকল্প। এতে ফোল্ডেবল ইউএসবি সি কানেক্টর আছে। যে কোনো ইউএসবি সিযুক্ত চার্জিং অ্যান্ড্রয়েড ফোনও এর মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ কয়েকটি রঙে পাওয়া যাবে।
১০০ গ্রাম ওজনের এই পাওয়ার ব্যাংকে ৫০০০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে। এতে ২২.৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা আছে। পাওয়ার ব্যাংকে একই সময়ে দুটি ডিভাইস চার্জ দেওয়া যাবে। তবে তখন গতি ভাগ হয়ে প্রতিটি ডিভাইসে ১১ দশমিক ২৫ ওয়াট চার্জ হবে।
মাই চার্জ হাব ৬৭০০
মাইচার্জ হাব পোর্টেবল চার্জার দুটি আলাদা সাইজে পাওয়া যায়। দেওয়ালে থাকা বিদ্যুৎ সকেটের সাহায্যে ব্যাটারি চার্জ দেওয়া জন্য এতে ওয়াল প্লাগ আছে। ইউএসবি সি ও লাইটনিং ক্যাবল উভয়ের মাধ্যমে এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোনকে চার্জ দিতে পারবে। এতে একটু মোটা ৬,৭০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে। এটি স্মার্টফোনকে পুরো চার্জ দিতে পারবে।
১০,০৫০ এমএইচ ব্যাটারির আরেকটি সংস্করণ আছে এই পাওয়ার ব্যাংকের, যার দাম ২০ ডলার বেশি।
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়া ব্যাংক ১০কে
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়া ব্যাংক ১০কে এর ১০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে। এতে ইউএসবি সি ক্যাবলও রয়েছে। তবে পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ ভারি ও আকারে বড়। এর মাধ্যমে ইউএসবি সি ও ইউএসবি এ পোর্টও ব্যবহার করা যাবে। এই ব্যাটারি প্রায় ৩০ ওয়াট পর্যন্ত চার্জ দেবে। পাওয়ার ব্যাংকে আছে এলসিডি স্ক্রিন। পাওয়ার ব্যাংকে কতটুকু চার্জ অবশিষ্ট আছে তা এই স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ইনফিনিটি ল্যাব ইনস্টান্টগো ১০০০০
ইনস্টান্টগো ৫০০০ ও ইনস্টান্টগো ১০০০০ পাওয়ার ব্যাংকে লাইটনিং পোর্ট আছে। এর মধ্যে ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারির দাম ও ওজন বেশি। তবে পাওয়ার ব্যাংকটিতে একবার চার্জ দিলে আইফোনে দুবার পুরো চার্জ দেওয়া যাবে।
অ্যাংকর ম্যাগগো পাওয়ার ব্যাংক ১০কে
১০,০০০ এমএইচ ব্যাটারির এই পাওয়ার ব্যাংকে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ও ম্যাগসেফ চার্জিং সুবিধা আছে। ম্যাগসেফ সমর্থিত আইফোন ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জারের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চার্জ দেওয়া যাবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ১৫ ওয়াটের ওয়ারলেস চার্জ দেওয়া যাবে।
এটি পাঁচটি রঙে পাওয়া যায়। এর আকৃতি ম্যাগগো পাওয়ার ব্যাংক ৬ .৬ কে এর চেয়ে বড়। ব্যাটারি লাইফ দেখার জন্য এলসিডি ডিসপ্লে আছে। এর ইউএসবি সি ক্যাবল আছে। এটিকে ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং ঘরের বাইরেও নিয়ে বের হওয়া যায়।
বেসুস ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংক
বেসুস ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংকে ১০,০০ হাজার এমএইচের ব্যাটারি আছে। ফলে এটি দুইবার আইফোনকে সম্পূর্ণ চার্জ দিতে পারবে। তবে এর আকার বেশি বড় নয়।
এতে শক্তিশালী ম্যাগনেট এবং ফোল্ডেবল স্ট্যান্ড আছে। ব্যাটারি লাইফ দেখার জন্য আছে এলইডি লাইট। পাওয়ার ব্যাংকটি তিন রঙে পাওয়া যাবে। তবে এর মধ্যে কালো রঙের দাম কিছুটা কম।
অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংক
অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংকে গ্যালিয়াম নাইট্রেড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে পাওয়ার ব্যাংকটি শক্তিশালী হলেও আকারে ছোট। এটি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংকে ৬৫ ওয়াটের চার্জারসহ ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে। এটি কোম্পানিটির জিএএনপ্রাইম সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এতে দুটি ফাস্ট চার্জিং সি পোর্ট ও একটি ইউএসবি এ পোর্ট আছে। এটি দিয়ে একই সঙ্গে তিনটি ডিভাইস চার্জ করা যাবে। তবে ৬৫ ওয়াট ল্যাপটপ চার্জ দিতে হবে একলা।
মাইচার্জ সুপারহিলো ম্যাগলক
মাইচার্জ কোম্পানির ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংকের সিরিজের একটি সংস্করণ সুপারহিরো ম্যাগলক। এর ডিজাইন খুবই আর্কষণীয়। এর ম্যাগনেট বা চুম্বক খুব শক্তিশালী। ফলে এটি ফোনের পেছনে খুবই ভালোভাবে লেগে থাকে। এতে কয়েল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে চার্জিংয়ের সময় ফোন বেশি গরম হয় না।
পাওয়ার ব্যাংকটিতে ৩০০০ এমএইচের ব্যাটারি আছে। এটি হালকা ও চিকন। তবে এর মাধ্যমে আইফোনে একবারে সম্পূর্ণ চার্জ হবে না। তাই পাওয়ার ব্যাংকটির ৬০০০ বা ৯০০০ এমএইচ ব্যাটারির সংস্করণটি কেনা ভালো। তবে এগুলো একটু বেশি ভারী ও বড়।
প্রতিটি ম্যাগলক পাওয়ার ব্যাংকে কিউআই সমর্থিত আইফোনকে ৫ ওয়াটে চার্জ দেয়। ক্যাবলের মাধ্যমে এটি আইফোনকে আরও দ্রুত চার্জ দিতে পারবে। এই পাওয়ার ব্যাংকে ইউএসবি সি লাইটনিং ক্যাবল আছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কেসে একটি মেটাল রিং থাকলে পাওয়ার ব্যাংকটির মাধ্যমে ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়া যাবে।
এতে কয়েকটি রং আছে। এর ৬০০০ এমএইচ সংস্করণের জন্য ৪০ ডলার ব্যয় করতে হবে।
মোফিয়া পাওয়ারস্ট্যাশন ১০কে স্ট্যান্ড
মোফিয়া পাওয়ারস্ট্যাশন ১০কে স্ট্যান্ড পাওয়ার ব্যাংকের ম্যাগসেফ অপশনও রয়েছে। এর দাম অন্য পাওয়ার ব্যাংকের তুলনায় বেশি। এর নিচের ট্রাইপডও রয়েছে।
এটি ১৫ ওয়াটে খুব দ্রুত চার্জ হয়। এয়ারপডস ৩ ও এয়ারপড প্রো মডেলেও ম্যাগসেফ প্রযুক্তির মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট ব্যবহারে এটি ২০ ওয়াট গতিতে ফোন চার্জ করতে পারবে। এছাড়া একইসঙ্গে দুটি ডিভাইস চার্জ দেওয়া যাবে।
মফি পাওয়া স্টেশন মিনি
মফি পাওয়ার স্টেশন মিনিতে ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি রয়েছে ও ২০ ওয়াটের ইউএসবি সি ফাস্ট পিডি চার্জিং সুবিধা দেবে। এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ দিতে পারবে।
এছাড়া ১০০০০ এমএইচ সংস্করণে ডুয়াল সি পোর্ট রয়েছে। দুটি সংস্করণই কালো ও নীল রঙে পাওয়া যাবে।
অ্যাংকর ৫২৩ পাওয়ারকোর স্লিম ১০কে পিডি
এই পাওয়ার ব্যাংকটি খুবই হালকা পাতলা। এতে ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে ও ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে ২০ ওয়াটে ফাস্ট চার্জিং দেওয়া যায়। এতে ১২ ওয়াটের ইউএসবি এ পোর্ট রয়েছে। অ্যাংকর ৫২৩ পাওয়ারকোর স্লিম ১০কে এর দাম তুলনামূলক কম।
নিম্বল চ্যাম্প
এই পাওয়ার ব্যাংক তৈরিতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ১০০০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে, যার মাধ্যমে ২০ ওয়াট পিডি (পাওয়ার ডেলিভারি) ফাস্ট চার্জ দেওয়া যাবে। এতে দুটি ইউএসবি সি পোর্ট রয়েছে। দুটি ডিভাইস একইসঙ্গে চার্জ দিলে প্রতিটি ডিভাইস ১০ ওয়াটে চার্জ হবে। এই পাওয়ার ব্যাংকও অনেক হালকা পাতলা।

পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
৯ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার...
১৩ ঘণ্টা আগে
অনেকের কাছে হজম সমস্যার ওয়ান-স্টপ সমাধান নাকি আদা। আজও আদা রন্ধনশিল্প ও ভেষজ চিকিৎসায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা একে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি আপনাকে সতেজ করতে পারে, আবার পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে।...
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন মাধ্যম।
সম্প্রতি জাপানের উদ্যোক্তা ইউসাকু মায়েজাওয়া টোকিওতে আমান গ্রুপের একটি ব্র্যান্ডেড রেসিডেন্স কিনেছেন বলে জানা গেছে, যার মূল্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইয়েন। এটি শুধু একটি উদাহরণ। বিশ্বজুড়ে বিলাসী হোটেলগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য আরও ব্যতিক্রমী সেবা বিক্রি করছে।
ধনীদের চাহিদাই বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো ধনীদের সম্পদ দ্রুত বাড়ছে। অক্সফামের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেড়েছে! ফলে এই শ্রেণির গ্রাহকেরা শুধু থাকার জায়গা নয়, এর সঙ্গে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত সেবা চাইছেন। ‘বিজনেস ইনসাইডার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফোর সিজনসের প্রধান নির্বাহী আলেহান্দ্রো রেনাল জানান, যদিও তাঁদের মোট আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে হোটেল ও রিসোর্ট থেকে, তবে ব্যক্তিগত জেট ট্যুরের মতো অতিরিক্ত সেবা ধনী গ্রাহকদের আকর্ষণ আরও বাড়ায়। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন অতিধনী অতিথির একবারের সফর হোটেলকক্ষের ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি আয় এনে দিতে পারে।

ব্যক্তিগত জেট ও আকাশপথের ভ্রমণ
ফোর সিজনসের ব্যক্তিগত জেট সেবার মাধ্যমে অতিথিরা বিভিন্ন হোটেলে ভ্রমণ করতে পারেন বিশেষভাবে সাজানো এয়ারবাস বিমানে। এসব ভ্রমণে থাকে বিলাসবহুল আসন, আলাদা শেফ এবং প্রতিটি গন্তব্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিশেষ আয়োজন। এমন একটি রাতের ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার পাউন্ড, যা একটি হোটেলের সবচেয়ে দামি কক্ষের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি।
সমুদ্রে বিলাস: হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট
বিলাসী পর্যটকদের কাছে এখন শুধু নৌভ্রমণ নয়, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়টে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া নতুন ট্রেন্ড। ফোর সিজনস ও আমান শিগগির নিজেদের ইয়ট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এর আগেই রিটজ কার্লটন তাদের ইয়ট কালেকশন চালু করেছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ঘরের ভেতরও হোটেলের ছোঁয়া
শুধু ভ্রমণ বা রাতযাপন নয়, এখন অনেক বিলাসবহুল হোটেল তাদের অভ্যন্তরীণ নকশা ও আসবাবকেও আলাদা ব্যবসা হিসেবে তুলে ধরছে। হোটেলে থাকার সময় অতিথিদের যেসব আসবাব, আলো, পর্দা বা সাজসজ্জা ভালো লাগে, সেগুলোই এখন তারা নিজের ঘরের জন্য কিনে নিতে চাইছেন। এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে অনেক হোটেল ব্র্যান্ড তাদের ডিজাইনকে পণ্যে রূপ দিয়েছে। এর সফল উদাহরণ হলো সোহো হাউসের সহযোগী ব্র্যান্ড সোহো হোম। হোটেল ও প্রাইভেট ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নকশায় ব্যবহৃত আসবাব ও ডেকর আইটেম এখন সরাসরি বাজারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোফা, আলো, কার্পেট থেকে শুরু করে টেবিলওয়্যার পর্যন্ত। ফলে যারা সোহো হাউসের পরিবেশ পছন্দ করেন, তাঁরা সেই অভিজ্ঞতা নিজেদের ঘরেও নিয়ে যেতে পারছেন।

হোটেল পণ্যই এখন স্ট্যাটাস
হোটেলের লোগো দেওয়া তোয়ালে, ব্যাগ বা পোশাক এখন ধনীদের কাছে নতুন ফ্যাশন। ফ্রান্সের হোটেল দ্যু ক্যাপ এদেন রকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অনলাইন স্টোর চালু করেছে। কেউ কেউ আবার হোটেলের নামে তৈরি বিশেষ স্পিডবোট পর্যন্ত কিনছেন।
সামাজিক ক্লাব ও স্থানীয় সদস্যপদ
অনেক বিলাসবহুল হোটেল এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক ক্লাব চালু করছে। এর মাধ্যমে হোটেলের বার, রেস্তোরাঁ ও স্পা সব সময় প্রাণবন্ত থাকে, যা আয়ের দ্বিতীয় বড় উৎস। মেক্সিকোর ওয়ানঅ্যান্ডঅনলি পামিলার মতো রিসোর্টে এমন ক্লাব বিনা ফিতেও চালু হয়েছে। যেখানে আয়োজন করা হয় বই পড়ার আসর, বাজার বা মেডিটেশন সেশন।
পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যবসা এখন আর শুধু রাতযাপন ‘বিক্রি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আকাশ, সমুদ্র, ঘর আর সামাজিক জীবন—সবখানেই নিজেদের ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দিয়ে তারা বিলাসী অভিজ্ঞতাকেই মূল পণ্য হিসেবে তুলে ধরছে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে তাদের আসল আয়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন মাধ্যম।
সম্প্রতি জাপানের উদ্যোক্তা ইউসাকু মায়েজাওয়া টোকিওতে আমান গ্রুপের একটি ব্র্যান্ডেড রেসিডেন্স কিনেছেন বলে জানা গেছে, যার মূল্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইয়েন। এটি শুধু একটি উদাহরণ। বিশ্বজুড়ে বিলাসী হোটেলগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য আরও ব্যতিক্রমী সেবা বিক্রি করছে।
ধনীদের চাহিদাই বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো ধনীদের সম্পদ দ্রুত বাড়ছে। অক্সফামের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেড়েছে! ফলে এই শ্রেণির গ্রাহকেরা শুধু থাকার জায়গা নয়, এর সঙ্গে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত সেবা চাইছেন। ‘বিজনেস ইনসাইডার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফোর সিজনসের প্রধান নির্বাহী আলেহান্দ্রো রেনাল জানান, যদিও তাঁদের মোট আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে হোটেল ও রিসোর্ট থেকে, তবে ব্যক্তিগত জেট ট্যুরের মতো অতিরিক্ত সেবা ধনী গ্রাহকদের আকর্ষণ আরও বাড়ায়। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন অতিধনী অতিথির একবারের সফর হোটেলকক্ষের ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি আয় এনে দিতে পারে।

ব্যক্তিগত জেট ও আকাশপথের ভ্রমণ
ফোর সিজনসের ব্যক্তিগত জেট সেবার মাধ্যমে অতিথিরা বিভিন্ন হোটেলে ভ্রমণ করতে পারেন বিশেষভাবে সাজানো এয়ারবাস বিমানে। এসব ভ্রমণে থাকে বিলাসবহুল আসন, আলাদা শেফ এবং প্রতিটি গন্তব্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিশেষ আয়োজন। এমন একটি রাতের ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার পাউন্ড, যা একটি হোটেলের সবচেয়ে দামি কক্ষের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি।
সমুদ্রে বিলাস: হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট
বিলাসী পর্যটকদের কাছে এখন শুধু নৌভ্রমণ নয়, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়টে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া নতুন ট্রেন্ড। ফোর সিজনস ও আমান শিগগির নিজেদের ইয়ট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এর আগেই রিটজ কার্লটন তাদের ইয়ট কালেকশন চালু করেছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ঘরের ভেতরও হোটেলের ছোঁয়া
শুধু ভ্রমণ বা রাতযাপন নয়, এখন অনেক বিলাসবহুল হোটেল তাদের অভ্যন্তরীণ নকশা ও আসবাবকেও আলাদা ব্যবসা হিসেবে তুলে ধরছে। হোটেলে থাকার সময় অতিথিদের যেসব আসবাব, আলো, পর্দা বা সাজসজ্জা ভালো লাগে, সেগুলোই এখন তারা নিজের ঘরের জন্য কিনে নিতে চাইছেন। এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে অনেক হোটেল ব্র্যান্ড তাদের ডিজাইনকে পণ্যে রূপ দিয়েছে। এর সফল উদাহরণ হলো সোহো হাউসের সহযোগী ব্র্যান্ড সোহো হোম। হোটেল ও প্রাইভেট ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নকশায় ব্যবহৃত আসবাব ও ডেকর আইটেম এখন সরাসরি বাজারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোফা, আলো, কার্পেট থেকে শুরু করে টেবিলওয়্যার পর্যন্ত। ফলে যারা সোহো হাউসের পরিবেশ পছন্দ করেন, তাঁরা সেই অভিজ্ঞতা নিজেদের ঘরেও নিয়ে যেতে পারছেন।

হোটেল পণ্যই এখন স্ট্যাটাস
হোটেলের লোগো দেওয়া তোয়ালে, ব্যাগ বা পোশাক এখন ধনীদের কাছে নতুন ফ্যাশন। ফ্রান্সের হোটেল দ্যু ক্যাপ এদেন রকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অনলাইন স্টোর চালু করেছে। কেউ কেউ আবার হোটেলের নামে তৈরি বিশেষ স্পিডবোট পর্যন্ত কিনছেন।
সামাজিক ক্লাব ও স্থানীয় সদস্যপদ
অনেক বিলাসবহুল হোটেল এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক ক্লাব চালু করছে। এর মাধ্যমে হোটেলের বার, রেস্তোরাঁ ও স্পা সব সময় প্রাণবন্ত থাকে, যা আয়ের দ্বিতীয় বড় উৎস। মেক্সিকোর ওয়ানঅ্যান্ডঅনলি পামিলার মতো রিসোর্টে এমন ক্লাব বিনা ফিতেও চালু হয়েছে। যেখানে আয়োজন করা হয় বই পড়ার আসর, বাজার বা মেডিটেশন সেশন।
পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যবসা এখন আর শুধু রাতযাপন ‘বিক্রি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আকাশ, সমুদ্র, ঘর আর সামাজিক জীবন—সবখানেই নিজেদের ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দিয়ে তারা বিলাসী অভিজ্ঞতাকেই মূল পণ্য হিসেবে তুলে ধরছে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে তাদের আসল আয়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার...
১৩ ঘণ্টা আগে
অনেকের কাছে হজম সমস্যার ওয়ান-স্টপ সমাধান নাকি আদা। আজও আদা রন্ধনশিল্প ও ভেষজ চিকিৎসায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা একে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি আপনাকে সতেজ করতে পারে, আবার পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে।...
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র স্যুটকেসটি হারিয়ে গেলে ভ্রমণ আনন্দের বদলে দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে।
কেন আলাদা ব্যাগে জিনিস রাখা জরুরি
যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দর শাটল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসসিএস শফার্স ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিয়েছে, কাপড়, ওষুধ, চার্জারসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জরুরি জিনিসগুলো একটি ব্যাগে না রেখে ছোট ব্যাগ বা একাধিক স্যুটকেসে ভাগ করে রাখা উচিত। এতে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রতিষ্ঠানটির কমার্শিয়াল ডিরেক্টর হ্যাডলি ডায়মন্ড বলেন, ‘সব প্রয়োজনীয় জিনিস এক স্যুটকেসে গুছিয়ে রাখলে সেটি হারালে ভ্রমণকারীরা একসঙ্গে সবকিছু হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন; বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ কিংবা সময়সূচিনির্ভর কোনো সফরে গেলে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ব্যাগে ভাগ করে রাখলে যাত্রাপথে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হলেও ভ্রমণকারীরা নিজেদের পরিকল্পনা সহজে সামাল দিতে পারেন।’
কীভাবে প্যাক করবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্রমণের আগে প্রথমে প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করা উচিত। এরপর সেগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে কিছু জিনিস চেকড ব্যাগেজে এবং কিছু ক্যারি-অন ব্যাগে রাখা নিরাপদ। পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্তত এক সেট কাপড় ক্যারিঅন ব্যাগে রাখলে লাগেজ দেরিতে পৌঁছানো বা হারিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতেও ভ্রমণকারীরা সাময়িকভাবে সমস্যামুক্ত থাকতে পারেন। একই সঙ্গে অন্তর্বাস, চার্জিং ডিভাইসসহ ছোটখাটো প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ছোট ব্যাগে গুছিয়ে রাখলে লাগেজের ভেতর জিনিস খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। বিভিন্ন রঙের প্যাকিং কিউব ব্যবহার করলে কাপড় ও আনুষঙ্গিক জিনিস আলাদা করে রাখা যায়, যা সময় ও ঝামেলা কমায়। গন্তব্যে পৌঁছে এসব কিউব সরাসরি হোটেলের ড্রয়ারে রেখে দিলেই দ্রুত গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
অতিরিক্ত জিনিস নেবেন না
যেসব জিনিস সঙ্গে নিতে ইচ্ছা থাকলেও ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য নয়, প্যাকিং শুরুর আগে সেগুলোর একটি আলাদা তালিকা করে নিন। এতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস নেওয়ার প্রবণতা কমে এবং লাগেজের ভারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি যাত্রার ঠিক আগে প্রয়োজন হতে পারে এমন কিছু জিনিসের জন্য একটি শেষ মুহূর্তের তালিকা তৈরি করলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফেলে যাওয়ার ঝুঁকিও কমে।
অভিজ্ঞদের পরামর্শ
এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট লরেন গিলফয়েল পরামর্শ দেন, ভ্রমণে এমন পোশাক নিন, যা সহজে মেলানো যায়। যেমন গাঢ় রঙের প্যান্ট, সাদা বা নিরপেক্ষ রঙের টি-শার্ট এবং একটি ডেনিম জ্যাকেট। এগুলো বারবার পরা যায় এবং লাগেজও কম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও ভ্রমণবিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ববি লরি বলেন, ‘কাপড় ভাঁজ না করে রোল করে রাখলে জায়গা বাঁচে, এমনকি সঠিকভাবে করলে কম কুঁচকায়।’
পরিষ্কার ও নোংরা কাপড় আলাদা রাখুন
ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্কটস চিপ ফ্লাইট’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিমান বিশেষজ্ঞ স্কট কিজ নোংরা কাপড়ের জন্য আলাদা ভাঁজযোগ্য ব্যাগ সঙ্গে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে পরিষ্কার কাপড় আলাদা থাকে এবং গুছিয়ে রাখা সহজ হয়।
লাগেজ হারালে খুঁজে পাওয়ার উপায়
লাগেজ হারিয়ে গেলে দ্রুত খুঁজে পেতে স্যুটকেসে নাম ও যোগাযোগের তথ্য লেখা স্টিকার বা নোট লাগিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি অ্যাপল এয়ার ট্যাগ বা লাইফ৩৬০-এর টাইল-এর মতো ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করলে লাগেজের অবস্থান জানা সহজ হয়।
একটি স্যুটকেসে সবকিছু ভরে ফেলার চেয়ে জিনিসপত্র ভাগ করে রাখা ভ্রমণকে করে তোলে নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত। এ পদ্ধতি সামান্য পরিকল্পনাতেই আপনাকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র স্যুটকেসটি হারিয়ে গেলে ভ্রমণ আনন্দের বদলে দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে।
কেন আলাদা ব্যাগে জিনিস রাখা জরুরি
যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দর শাটল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসসিএস শফার্স ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিয়েছে, কাপড়, ওষুধ, চার্জারসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জরুরি জিনিসগুলো একটি ব্যাগে না রেখে ছোট ব্যাগ বা একাধিক স্যুটকেসে ভাগ করে রাখা উচিত। এতে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রতিষ্ঠানটির কমার্শিয়াল ডিরেক্টর হ্যাডলি ডায়মন্ড বলেন, ‘সব প্রয়োজনীয় জিনিস এক স্যুটকেসে গুছিয়ে রাখলে সেটি হারালে ভ্রমণকারীরা একসঙ্গে সবকিছু হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন; বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ কিংবা সময়সূচিনির্ভর কোনো সফরে গেলে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ব্যাগে ভাগ করে রাখলে যাত্রাপথে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হলেও ভ্রমণকারীরা নিজেদের পরিকল্পনা সহজে সামাল দিতে পারেন।’
কীভাবে প্যাক করবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্রমণের আগে প্রথমে প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করা উচিত। এরপর সেগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে কিছু জিনিস চেকড ব্যাগেজে এবং কিছু ক্যারি-অন ব্যাগে রাখা নিরাপদ। পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্তত এক সেট কাপড় ক্যারিঅন ব্যাগে রাখলে লাগেজ দেরিতে পৌঁছানো বা হারিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতেও ভ্রমণকারীরা সাময়িকভাবে সমস্যামুক্ত থাকতে পারেন। একই সঙ্গে অন্তর্বাস, চার্জিং ডিভাইসসহ ছোটখাটো প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ছোট ব্যাগে গুছিয়ে রাখলে লাগেজের ভেতর জিনিস খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। বিভিন্ন রঙের প্যাকিং কিউব ব্যবহার করলে কাপড় ও আনুষঙ্গিক জিনিস আলাদা করে রাখা যায়, যা সময় ও ঝামেলা কমায়। গন্তব্যে পৌঁছে এসব কিউব সরাসরি হোটেলের ড্রয়ারে রেখে দিলেই দ্রুত গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
অতিরিক্ত জিনিস নেবেন না
যেসব জিনিস সঙ্গে নিতে ইচ্ছা থাকলেও ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য নয়, প্যাকিং শুরুর আগে সেগুলোর একটি আলাদা তালিকা করে নিন। এতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস নেওয়ার প্রবণতা কমে এবং লাগেজের ভারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি যাত্রার ঠিক আগে প্রয়োজন হতে পারে এমন কিছু জিনিসের জন্য একটি শেষ মুহূর্তের তালিকা তৈরি করলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফেলে যাওয়ার ঝুঁকিও কমে।
অভিজ্ঞদের পরামর্শ
এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট লরেন গিলফয়েল পরামর্শ দেন, ভ্রমণে এমন পোশাক নিন, যা সহজে মেলানো যায়। যেমন গাঢ় রঙের প্যান্ট, সাদা বা নিরপেক্ষ রঙের টি-শার্ট এবং একটি ডেনিম জ্যাকেট। এগুলো বারবার পরা যায় এবং লাগেজও কম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও ভ্রমণবিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ববি লরি বলেন, ‘কাপড় ভাঁজ না করে রোল করে রাখলে জায়গা বাঁচে, এমনকি সঠিকভাবে করলে কম কুঁচকায়।’
পরিষ্কার ও নোংরা কাপড় আলাদা রাখুন
ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্কটস চিপ ফ্লাইট’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিমান বিশেষজ্ঞ স্কট কিজ নোংরা কাপড়ের জন্য আলাদা ভাঁজযোগ্য ব্যাগ সঙ্গে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে পরিষ্কার কাপড় আলাদা থাকে এবং গুছিয়ে রাখা সহজ হয়।
লাগেজ হারালে খুঁজে পাওয়ার উপায়
লাগেজ হারিয়ে গেলে দ্রুত খুঁজে পেতে স্যুটকেসে নাম ও যোগাযোগের তথ্য লেখা স্টিকার বা নোট লাগিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি অ্যাপল এয়ার ট্যাগ বা লাইফ৩৬০-এর টাইল-এর মতো ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করলে লাগেজের অবস্থান জানা সহজ হয়।
একটি স্যুটকেসে সবকিছু ভরে ফেলার চেয়ে জিনিসপত্র ভাগ করে রাখা ভ্রমণকে করে তোলে নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত। এ পদ্ধতি সামান্য পরিকল্পনাতেই আপনাকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
৯ ঘণ্টা আগে
অনেকের কাছে হজম সমস্যার ওয়ান-স্টপ সমাধান নাকি আদা। আজও আদা রন্ধনশিল্প ও ভেষজ চিকিৎসায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা একে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি আপনাকে সতেজ করতে পারে, আবার পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে।...
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

অনেকের কাছে হজম সমস্যার ওয়ান-স্টপ সমাধান নাকি আদা। বেকারিগুলোতে এখন জিঞ্জারব্রেড বা জিঞ্জার টোস্ট খদ্দর ধরছে আলাদা করে। এ ছাড়া সকালে অনেকে বুস্টার টনিক হিসেবে খান আদার পানি। এই সাধারণ মূলজাতীয় মসলাটি শত শত বছর ধরে আমাদের রান্নাঘর এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রান্নায় আদা ছিল একটি অপরিহার্য উপাদান, যা চীন থেকে ভারত পর্যন্ত প্রতিটি পদকে আরও সুস্বাদু করেছে। পরে এটি ইউরোপে পৌঁছায় এবং ভূমধ্যসাগর থেকে ব্রিটেন পর্যন্ত মেনুতে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেয়।
আজও আদা রন্ধনশিল্প ও ভেষজ চিকিৎসায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা একে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি আপনাকে সতেজ করতে পারে, আবার পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে।
কী লুকিয়ে থাকে আদায়
আমরা বাজার থেকে যে তাজা আদা কিনি, তা হলো জিঞ্জিবার অফিসিনাল নামক সপুষ্পক উদ্ভিদের শিকড়। এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। তাজা, শুকনো, গুঁড়া, আচার তৈরি করে বা চা বানিয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় এটি। নিকোটিনিক অ্যাসিড, ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য অপরিহার্য ভিটামিন এ এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি-সহ আমাদের শরীরের মৌলিক কার্যাবলির জন্য প্রয়োজনীয় খনিজগুলোর সমাহার রয়েছে এতে। এ ছাড়া এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও কপারের মতো ট্রেস মিনারেল এবং আঁশ আছে। কিন্তু আদার আসল শক্তি লুকিয়ে আছে এর ৪০০টির বেশি সক্রিয় জৈব যৌগের মধ্যে। এগুলোর মধ্যে আছে ৪০টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসবের মধ্যে জিঞ্জেরল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রশিক্ষক গ্রেস উইলিয়ামস বলেন, ‘যদিও আদায় সামান্য পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, তবে এর আসল ক্ষমতা এর জৈব সক্রিয় যৌগ, বিশেষত জিঞ্জেরলস এবং শোগাওলস থেকে আসে। এই যৌগগুলো বমি ভাব, হজম, প্রদাহ, ব্যথা উপশম, রক্তসঞ্চালন এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে গবেষণামূলকভাবে প্রমাণিত প্রভাব ফেলে।
আদা যেভাবে বমি ভাব নিরাময় করে
বমি ভাব কমাতে আদার সক্রিয় যৌগ জিঞ্জেরলস এবং শোগাওলস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস নামক অণুগুলোর উৎপাদনকে বাধা দিয়ে বমি ভাব কমায়। এই প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস হলো সেই অণু, যা পেশি সংকোচন ও ব্যথা সৃষ্টি করে।

আইবিএস ক্লিনিকের ট্রেসি র্যান্ডেল জানান, প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস অন্ত্রের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে, প্রতিরক্ষামূলক শ্লেষ্মা তৈরিতে প্রভাব ফেলে এবং পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এই রাসায়নিক মেসেঞ্জারগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন আইবিএসের লক্ষণগুলো; যেমন ক্র্যাম্পিং, ব্যথা ও প্রদাহ দেখা দেয়। আদা এই রাসায়নিক মেসেঞ্জারগুলোর ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। ফলে এটি হজমের সমস্যা সমাধানে এত কার্যকর। এ ছাড়া জিঞ্জেরলস ও শোগাওলস পাকস্থলীর খালি হওয়ার প্রক্রিয়া এবং হজম দ্রুত করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি বমি উদ্দীপক রিসেপ্টরগুলোকে ব্লক করে। স্বস্তির বিষয় হলো, উপকারিতা পেতে খুব বেশি আদা খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন ওপেন সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রমাণ করেছে, প্রতিদিন ২ হাজার মিলিগ্রাম আদা সেবন করলে বেশ কিছু হজমের সমস্যা উন্নত হতে পারে। এটি বদহজম কমাতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে, কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে এবং গ্যাস্ট্রিক-সম্পর্কিত সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের পেটের আলসার থেকে রক্ষায় সাহায্য করতে পারে।
আদা খাওয়ার সেরা উপায় কী
কাঁচা, গুঁড়া, পেস্ট, কুচি কিংবা খাদ্যদ্রব্যে মিশিয়ে, এমন বিভিন্নভাবে আদা খাওয়া যায়। কাঁচা আদা সবচেয়ে ভালো। এতে উদ্বায়ী তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাজা আদা বমি ভাব ও হজমের সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর। বমি ভাব ও বদহজমের তীব্র লক্ষণগুলোর ক্ষেত্রে তাজা আদা দ্রুত কাজ করে। কাঁচা আদায় বেশি পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় এর উদ্বায়ী যৌগগুলো সুরক্ষিত থাকে। আদা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রশংসিত হলেও এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে ঠান্ডা লাগা বা ফ্লুর মৌসুমে আদা উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে। আদার চা পান করলে ডিহাইড্রেশন কমে, গলাব্যথা উপশম হয় এবং বমি ভাব কমে। তবে এটি ঠান্ডা লাগা, ফ্লু, আরএসভি বা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ বা নিরাময় করে এমন কোনো মানব ট্রায়াল এখনো পাওয়া যায়নি।
আদা এড়িয়ে চলবেন যাঁরা
সাধারণত আদা সবার জন্য নিরাপদ। তবে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে উচ্চ মাত্রায় আদা গ্রহণ করলে তা রক্ত পাতলা করার ওষুধ বা রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যাঁরা আবেগগত বা স্নায়ুতন্ত্রের উচ্চ চাপে আছেন, তাঁদের পরিমিত আদা খাওয়া উচিত। তাঁদের জন্য উচ্চ ঘনত্বের কাঁচা আদা উদ্বেগ বা হজমের জ্বালা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ভারসাম্য রক্ষার পরিবর্তে বিপরীত ফল দিতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল

অনেকের কাছে হজম সমস্যার ওয়ান-স্টপ সমাধান নাকি আদা। বেকারিগুলোতে এখন জিঞ্জারব্রেড বা জিঞ্জার টোস্ট খদ্দর ধরছে আলাদা করে। এ ছাড়া সকালে অনেকে বুস্টার টনিক হিসেবে খান আদার পানি। এই সাধারণ মূলজাতীয় মসলাটি শত শত বছর ধরে আমাদের রান্নাঘর এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রান্নায় আদা ছিল একটি অপরিহার্য উপাদান, যা চীন থেকে ভারত পর্যন্ত প্রতিটি পদকে আরও সুস্বাদু করেছে। পরে এটি ইউরোপে পৌঁছায় এবং ভূমধ্যসাগর থেকে ব্রিটেন পর্যন্ত মেনুতে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেয়।
আজও আদা রন্ধনশিল্প ও ভেষজ চিকিৎসায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা একে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি আপনাকে সতেজ করতে পারে, আবার পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে।
কী লুকিয়ে থাকে আদায়
আমরা বাজার থেকে যে তাজা আদা কিনি, তা হলো জিঞ্জিবার অফিসিনাল নামক সপুষ্পক উদ্ভিদের শিকড়। এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। তাজা, শুকনো, গুঁড়া, আচার তৈরি করে বা চা বানিয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় এটি। নিকোটিনিক অ্যাসিড, ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য অপরিহার্য ভিটামিন এ এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি-সহ আমাদের শরীরের মৌলিক কার্যাবলির জন্য প্রয়োজনীয় খনিজগুলোর সমাহার রয়েছে এতে। এ ছাড়া এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও কপারের মতো ট্রেস মিনারেল এবং আঁশ আছে। কিন্তু আদার আসল শক্তি লুকিয়ে আছে এর ৪০০টির বেশি সক্রিয় জৈব যৌগের মধ্যে। এগুলোর মধ্যে আছে ৪০টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসবের মধ্যে জিঞ্জেরল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রশিক্ষক গ্রেস উইলিয়ামস বলেন, ‘যদিও আদায় সামান্য পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, তবে এর আসল ক্ষমতা এর জৈব সক্রিয় যৌগ, বিশেষত জিঞ্জেরলস এবং শোগাওলস থেকে আসে। এই যৌগগুলো বমি ভাব, হজম, প্রদাহ, ব্যথা উপশম, রক্তসঞ্চালন এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে গবেষণামূলকভাবে প্রমাণিত প্রভাব ফেলে।
আদা যেভাবে বমি ভাব নিরাময় করে
বমি ভাব কমাতে আদার সক্রিয় যৌগ জিঞ্জেরলস এবং শোগাওলস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস নামক অণুগুলোর উৎপাদনকে বাধা দিয়ে বমি ভাব কমায়। এই প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস হলো সেই অণু, যা পেশি সংকোচন ও ব্যথা সৃষ্টি করে।

আইবিএস ক্লিনিকের ট্রেসি র্যান্ডেল জানান, প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস অন্ত্রের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে, প্রতিরক্ষামূলক শ্লেষ্মা তৈরিতে প্রভাব ফেলে এবং পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এই রাসায়নিক মেসেঞ্জারগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন আইবিএসের লক্ষণগুলো; যেমন ক্র্যাম্পিং, ব্যথা ও প্রদাহ দেখা দেয়। আদা এই রাসায়নিক মেসেঞ্জারগুলোর ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। ফলে এটি হজমের সমস্যা সমাধানে এত কার্যকর। এ ছাড়া জিঞ্জেরলস ও শোগাওলস পাকস্থলীর খালি হওয়ার প্রক্রিয়া এবং হজম দ্রুত করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি বমি উদ্দীপক রিসেপ্টরগুলোকে ব্লক করে। স্বস্তির বিষয় হলো, উপকারিতা পেতে খুব বেশি আদা খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন ওপেন সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রমাণ করেছে, প্রতিদিন ২ হাজার মিলিগ্রাম আদা সেবন করলে বেশ কিছু হজমের সমস্যা উন্নত হতে পারে। এটি বদহজম কমাতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে, কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে এবং গ্যাস্ট্রিক-সম্পর্কিত সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের পেটের আলসার থেকে রক্ষায় সাহায্য করতে পারে।
আদা খাওয়ার সেরা উপায় কী
কাঁচা, গুঁড়া, পেস্ট, কুচি কিংবা খাদ্যদ্রব্যে মিশিয়ে, এমন বিভিন্নভাবে আদা খাওয়া যায়। কাঁচা আদা সবচেয়ে ভালো। এতে উদ্বায়ী তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাজা আদা বমি ভাব ও হজমের সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর। বমি ভাব ও বদহজমের তীব্র লক্ষণগুলোর ক্ষেত্রে তাজা আদা দ্রুত কাজ করে। কাঁচা আদায় বেশি পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় এর উদ্বায়ী যৌগগুলো সুরক্ষিত থাকে। আদা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রশংসিত হলেও এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে ঠান্ডা লাগা বা ফ্লুর মৌসুমে আদা উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে। আদার চা পান করলে ডিহাইড্রেশন কমে, গলাব্যথা উপশম হয় এবং বমি ভাব কমে। তবে এটি ঠান্ডা লাগা, ফ্লু, আরএসভি বা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ বা নিরাময় করে এমন কোনো মানব ট্রায়াল এখনো পাওয়া যায়নি।
আদা এড়িয়ে চলবেন যাঁরা
সাধারণত আদা সবার জন্য নিরাপদ। তবে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে উচ্চ মাত্রায় আদা গ্রহণ করলে তা রক্ত পাতলা করার ওষুধ বা রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যাঁরা আবেগগত বা স্নায়ুতন্ত্রের উচ্চ চাপে আছেন, তাঁদের পরিমিত আদা খাওয়া উচিত। তাঁদের জন্য উচ্চ ঘনত্বের কাঁচা আদা উদ্বেগ বা হজমের জ্বালা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ভারসাম্য রক্ষার পরিবর্তে বিপরীত ফল দিতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
৯ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার...
১৩ ঘণ্টা আগে
ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র এ কথায় দ্বিমত পোষণ না করলেও এর সঙ্গে একটি কথা ঠিকই যোগ করেছে, তা হলো, রাশিভেদে ত্বকে ব্যবহারের উপাদান ভিন্ন হয়। পৃথিবী সৃষ্টির মৌলিক পাঁচটি উপাদান অর্থাৎ ক্ষিতি বা মাটি, অপ বা পানি, তেজ বা আগুন, মরুত বা বায়ু এবং ব্যোম বা আকাশ—অর্থাৎ স্থান একেকটি রাশির ওপর একেকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।
অন্যদিকে মাটি প্রভাবিত রাশি হলো বৃষ, কন্যা ও মকর। এরা ত্বকে পুষ্টিকর তেল ব্যবহারে সুফল পায় বলে মনে করা হয়। বায়ু প্রভাবিত রাশি তুলা, মিথুন ও কুম্ভ। এদের উচিত ভালো মানের ক্লিনজিং গুণসমৃদ্ধ ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা। কর্কট, মীন ও বৃশ্চিক রাশির ত্বকে পানি খুব প্রয়োজনীয় উপাদান বলে মনে করা হয়। তাদের জন্য হাইড্রেটিং সিরামের মতো উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনে নিন, কোন রাশির জন্য কেমন প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের সুফল বয়ে আনে।

জ্যোতিষশাস্ত্রের উপাদান অনুসারে
অগ্নি রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষদের ত্বক সংবেদনশীল হয়। কারও কারও ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়। তাঁদের ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা জেল, ক্যামোমাইল কিংবা গোলাপের পাপড়ির মতো শান্ত, হাইড্রেটিং, প্রদাহবিরোধী উপাদানের প্রয়োজন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি আপনার গাল, গলা ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া এই কয়েকটি রাশির জন্য আরও একটি ফেসপ্যাক খুব ভালো কাজ করে। সেটি হলো গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে অ্যালোভেরা জেল, মধু বা দুধ মিশিয়ে তৈরি প্যাক। এই প্যাক মুখে লাগানোর পর হালকা শুকিয়ে এলে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষেরা দৈনন্দিন রূপচর্চায় গোলাপজল রাখতে পারেন।
মাটি প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
বৃষ, কন্যা ও মকর রাশির মানুষদের ত্বকে শিয়া বাটার, জিংক, ভিটামিন ‘ই’ খুব জরুরি উপাদান। তাঁদের ত্বক নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করার প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া আর্দ্রতা লক করে এমন ময়শ্চারাইজার ও সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। এই ত্বকের যত্ন নিতে ঘরোয়া উপায়ে স্ক্র্যাব তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। ত্বকের এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে কফি ও চিনি। কফির সূক্ষ্ম দানা ও চিনি একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কফির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ছোট দাগ দূর করে। সমপরিমাণ কফি, চিনি ও সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। চাইলে সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মেশাতে পারেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
বায়ু প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
মিথুন, তুলা ও কুম্ভ রাশির মানুষদের ত্বকের জন্য পটাশিয়াম, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও ফেসমিস্ট অত্যন্ত জরুরি। এই রাশির মানুষদের জন্য পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ফেসপ্যাক জাদুকরী ভূমিকা রাখে। কলা চটকে মধু বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে এদের ত্বক উজ্জ্বল ও আর্দ্র থাকে। টোনার হিসেবে সামান্য ফিটকিরি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ ছোট হয় ও ত্বক টান টান থাকে। তা ছাড়া, ত্বকের অতিরিক্ত লোম দূর করতে আদা ও দুধের মিশ্রণ ত্বকে ব্যবহার করলে বাড়তি লোম দূর হয় এবং ত্বকের পটাশিয়ামের ঘাটতিও পূর্ণ হয়।
বায়ু প্রভাবিত রাশির নারী-পুরুষের সেরা উপাদান
কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির মানুষের ত্বক সংবেদনশীল। তাই সম্ভাব্য শুষ্কতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ত্বকে পানির ভারসাম্য এবং যত্ন প্রয়োজন। এদের ত্বকের জন্য সামুদ্রিক খনিজ, ম্যাংগানিজ ও কোল্ড প্রেসড তেল বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই রাশির ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি খুব ভালো উপাদান হিসেবে বিবেচিত। মুলতানি মাটি ও গোলাপজল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে মেখে রাখুন শুকানো পর্যন্ত। এরপর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। গোলাপজলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র এ কথায় দ্বিমত পোষণ না করলেও এর সঙ্গে একটি কথা ঠিকই যোগ করেছে, তা হলো, রাশিভেদে ত্বকে ব্যবহারের উপাদান ভিন্ন হয়। পৃথিবী সৃষ্টির মৌলিক পাঁচটি উপাদান অর্থাৎ ক্ষিতি বা মাটি, অপ বা পানি, তেজ বা আগুন, মরুত বা বায়ু এবং ব্যোম বা আকাশ—অর্থাৎ স্থান একেকটি রাশির ওপর একেকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।
অন্যদিকে মাটি প্রভাবিত রাশি হলো বৃষ, কন্যা ও মকর। এরা ত্বকে পুষ্টিকর তেল ব্যবহারে সুফল পায় বলে মনে করা হয়। বায়ু প্রভাবিত রাশি তুলা, মিথুন ও কুম্ভ। এদের উচিত ভালো মানের ক্লিনজিং গুণসমৃদ্ধ ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা। কর্কট, মীন ও বৃশ্চিক রাশির ত্বকে পানি খুব প্রয়োজনীয় উপাদান বলে মনে করা হয়। তাদের জন্য হাইড্রেটিং সিরামের মতো উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনে নিন, কোন রাশির জন্য কেমন প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের সুফল বয়ে আনে।

জ্যোতিষশাস্ত্রের উপাদান অনুসারে
অগ্নি রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষদের ত্বক সংবেদনশীল হয়। কারও কারও ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়। তাঁদের ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা জেল, ক্যামোমাইল কিংবা গোলাপের পাপড়ির মতো শান্ত, হাইড্রেটিং, প্রদাহবিরোধী উপাদানের প্রয়োজন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি আপনার গাল, গলা ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া এই কয়েকটি রাশির জন্য আরও একটি ফেসপ্যাক খুব ভালো কাজ করে। সেটি হলো গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে অ্যালোভেরা জেল, মধু বা দুধ মিশিয়ে তৈরি প্যাক। এই প্যাক মুখে লাগানোর পর হালকা শুকিয়ে এলে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষেরা দৈনন্দিন রূপচর্চায় গোলাপজল রাখতে পারেন।
মাটি প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
বৃষ, কন্যা ও মকর রাশির মানুষদের ত্বকে শিয়া বাটার, জিংক, ভিটামিন ‘ই’ খুব জরুরি উপাদান। তাঁদের ত্বক নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করার প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া আর্দ্রতা লক করে এমন ময়শ্চারাইজার ও সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। এই ত্বকের যত্ন নিতে ঘরোয়া উপায়ে স্ক্র্যাব তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। ত্বকের এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে কফি ও চিনি। কফির সূক্ষ্ম দানা ও চিনি একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কফির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ছোট দাগ দূর করে। সমপরিমাণ কফি, চিনি ও সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। চাইলে সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মেশাতে পারেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
বায়ু প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
মিথুন, তুলা ও কুম্ভ রাশির মানুষদের ত্বকের জন্য পটাশিয়াম, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও ফেসমিস্ট অত্যন্ত জরুরি। এই রাশির মানুষদের জন্য পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ফেসপ্যাক জাদুকরী ভূমিকা রাখে। কলা চটকে মধু বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে এদের ত্বক উজ্জ্বল ও আর্দ্র থাকে। টোনার হিসেবে সামান্য ফিটকিরি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ ছোট হয় ও ত্বক টান টান থাকে। তা ছাড়া, ত্বকের অতিরিক্ত লোম দূর করতে আদা ও দুধের মিশ্রণ ত্বকে ব্যবহার করলে বাড়তি লোম দূর হয় এবং ত্বকের পটাশিয়ামের ঘাটতিও পূর্ণ হয়।
বায়ু প্রভাবিত রাশির নারী-পুরুষের সেরা উপাদান
কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির মানুষের ত্বক সংবেদনশীল। তাই সম্ভাব্য শুষ্কতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ত্বকে পানির ভারসাম্য এবং যত্ন প্রয়োজন। এদের ত্বকের জন্য সামুদ্রিক খনিজ, ম্যাংগানিজ ও কোল্ড প্রেসড তেল বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই রাশির ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি খুব ভালো উপাদান হিসেবে বিবেচিত। মুলতানি মাটি ও গোলাপজল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে মেখে রাখুন শুকানো পর্যন্ত। এরপর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। গোলাপজলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
৯ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার...
১৩ ঘণ্টা আগে
অনেকের কাছে হজম সমস্যার ওয়ান-স্টপ সমাধান নাকি আদা। আজও আদা রন্ধনশিল্প ও ভেষজ চিকিৎসায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা একে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি আপনাকে সতেজ করতে পারে, আবার পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে।...
১৫ ঘণ্টা আগে