
যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আইফোন ১২ থেকে ১৫ পর্যন্ত ম্যাগসেফ চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যেসব পাওয়ার ব্যাংকে কিউআই ২ সার্টিফিকেশন রয়েছে সেগুলো আইফোনের ম্যাগসেফের প্রযুক্তি সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর এগুলোতে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের ক্ষমতা রয়েছে। ম্যাগসেফের মাধ্যমে ৭.৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়া যায়।
অ্যাংকার ম্যাগগোর দুটি পাওয়ার ব্যাংককে আইফোনের জন্য সবচেয়ে ভালো হিসেবে তুলে ধরেছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট। সিনেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আইফোনের জন্য সেরা পাওয়ার ব্যাংকগুলোর তালিকা তুলে ধরা হল—
অ্যাংকার ৬২২ ম্যাকগো ম্যাগনেটিক ব্যাটারি
অ্যাংকার ৬২২ ম্যাকগো ম্যাগনেটিক ব্যাটারি একটি ওয়ালেস ব্যাটারি। এতে সংযুক্ত ম্যাগনেটিক ফ্লিপকে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ৫০০০ এমএইচ সক্ষমতার এই ব্যাটারি দিয়ে ফাস্ট ওয়্যারলেস চার্জ হবে না। কিন্তু এটি খুব চিকন ও সহজে বহনযোগ্য।
এর ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে আইফোন চার্জ করা যায়। এটি দিয়ে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট গতিতে চার্জ হবে। তবে লাইটনিং পোর্টের বদলে ইউএসবি সি ব্যবহার করলে ১২ ওয়াট গতির চার্জ মিলবে।
অ্যাংকর ম্যাগগো ৬.৬কে
অ্যাংকর ম্যাগগো ৬.৬কে পাওয়ার ব্যাংকে ৬ হাজার ৬০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে। এটির কিউআই সার্টিফিকেশন রয়েছে অর্থাৎ এতে ১৫ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিং ক্ষমতা রয়েছে ও ম্যাগসেফ চার্জিংয়ের সঙ্গে এই পাওয়ার ব্যাংক সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোন ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড ৭ দশমিক ৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জারের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চার্জ দেয়।
পাওয়ার ব্যাংকটি ৫টি রঙে পাওয়া যাবে। এতে ইউএসবি সি ক্যাবল রয়েছে। পাওয়ার ব্যাংকটি বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে বা বাসায় থাকার সময় ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বেসুস ম্যাগনেটিক মিনি ওয়্যারলেস পোর্টেবল চার্জার
এটি ওয়্যারলেস ও ওয়্যারড- দুইভাবেই চার্জ দেওয়া যাবে। আইফোনের পেছনের ম্যাগসেফের সঙ্গে লেগে থেকে এটি চার্জ দিতে পারে। এতে ৬০০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে ও আইফোনে ৭ দশমিক ৫ ওয়াটে চার্জ দিতে পারবে। আর আরও দ্রুত চার্জ দিতে লাইটনিং কেবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে ২০ ওয়াট গতিতে আইফোন চার্জ দেওয়া যাবে। এতে ‘পাস–থ্রু’ অপশন আছে। অর্থাৎ একই সঙ্গে চার্জারের ব্যাটারি ও ফোন চার্জ দেওয়া যাবে।
ব্যাটারির ক্ষমতা ৬০০০ এমএইচ হলেও এর সাইজ ছোট, অনেকটা ৫০০০ এমএইচ ব্যাটারির সমান। এটা দিয়ে সব আইফোনে দ্রুত চার্জ হলেও প্রো ম্যাক্স চার্জ হতে একটু বেশি সময় লাগবে।
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়ার ব্যাংক (ইউএসবি সি)
আইফোন ১৫ এর জন্য এই পাওয়ার ব্যাংক একটি ভালো বিকল্প। এতে ফোল্ডেবল ইউএসবি সি কানেক্টর আছে। যে কোনো ইউএসবি সিযুক্ত চার্জিং অ্যান্ড্রয়েড ফোনও এর মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ কয়েকটি রঙে পাওয়া যাবে।
১০০ গ্রাম ওজনের এই পাওয়ার ব্যাংকে ৫০০০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে। এতে ২২.৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা আছে। পাওয়ার ব্যাংকে একই সময়ে দুটি ডিভাইস চার্জ দেওয়া যাবে। তবে তখন গতি ভাগ হয়ে প্রতিটি ডিভাইসে ১১ দশমিক ২৫ ওয়াট চার্জ হবে।
মাই চার্জ হাব ৬৭০০
মাইচার্জ হাব পোর্টেবল চার্জার দুটি আলাদা সাইজে পাওয়া যায়। দেওয়ালে থাকা বিদ্যুৎ সকেটের সাহায্যে ব্যাটারি চার্জ দেওয়া জন্য এতে ওয়াল প্লাগ আছে। ইউএসবি সি ও লাইটনিং ক্যাবল উভয়ের মাধ্যমে এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোনকে চার্জ দিতে পারবে। এতে একটু মোটা ৬,৭০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে। এটি স্মার্টফোনকে পুরো চার্জ দিতে পারবে।
১০,০৫০ এমএইচ ব্যাটারির আরেকটি সংস্করণ আছে এই পাওয়ার ব্যাংকের, যার দাম ২০ ডলার বেশি।
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়া ব্যাংক ১০কে
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়া ব্যাংক ১০কে এর ১০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে। এতে ইউএসবি সি ক্যাবলও রয়েছে। তবে পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ ভারি ও আকারে বড়। এর মাধ্যমে ইউএসবি সি ও ইউএসবি এ পোর্টও ব্যবহার করা যাবে। এই ব্যাটারি প্রায় ৩০ ওয়াট পর্যন্ত চার্জ দেবে। পাওয়ার ব্যাংকে আছে এলসিডি স্ক্রিন। পাওয়ার ব্যাংকে কতটুকু চার্জ অবশিষ্ট আছে তা এই স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ইনফিনিটি ল্যাব ইনস্টান্টগো ১০০০০
ইনস্টান্টগো ৫০০০ ও ইনস্টান্টগো ১০০০০ পাওয়ার ব্যাংকে লাইটনিং পোর্ট আছে। এর মধ্যে ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারির দাম ও ওজন বেশি। তবে পাওয়ার ব্যাংকটিতে একবার চার্জ দিলে আইফোনে দুবার পুরো চার্জ দেওয়া যাবে।
অ্যাংকর ম্যাগগো পাওয়ার ব্যাংক ১০কে
১০,০০০ এমএইচ ব্যাটারির এই পাওয়ার ব্যাংকে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ও ম্যাগসেফ চার্জিং সুবিধা আছে। ম্যাগসেফ সমর্থিত আইফোন ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জারের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চার্জ দেওয়া যাবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ১৫ ওয়াটের ওয়ারলেস চার্জ দেওয়া যাবে।
এটি পাঁচটি রঙে পাওয়া যায়। এর আকৃতি ম্যাগগো পাওয়ার ব্যাংক ৬ .৬ কে এর চেয়ে বড়। ব্যাটারি লাইফ দেখার জন্য এলসিডি ডিসপ্লে আছে। এর ইউএসবি সি ক্যাবল আছে। এটিকে ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং ঘরের বাইরেও নিয়ে বের হওয়া যায়।
বেসুস ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংক
বেসুস ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংকে ১০,০০ হাজার এমএইচের ব্যাটারি আছে। ফলে এটি দুইবার আইফোনকে সম্পূর্ণ চার্জ দিতে পারবে। তবে এর আকার বেশি বড় নয়।
এতে শক্তিশালী ম্যাগনেট এবং ফোল্ডেবল স্ট্যান্ড আছে। ব্যাটারি লাইফ দেখার জন্য আছে এলইডি লাইট। পাওয়ার ব্যাংকটি তিন রঙে পাওয়া যাবে। তবে এর মধ্যে কালো রঙের দাম কিছুটা কম।
অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংক
অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংকে গ্যালিয়াম নাইট্রেড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে পাওয়ার ব্যাংকটি শক্তিশালী হলেও আকারে ছোট। এটি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংকে ৬৫ ওয়াটের চার্জারসহ ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে। এটি কোম্পানিটির জিএএনপ্রাইম সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এতে দুটি ফাস্ট চার্জিং সি পোর্ট ও একটি ইউএসবি এ পোর্ট আছে। এটি দিয়ে একই সঙ্গে তিনটি ডিভাইস চার্জ করা যাবে। তবে ৬৫ ওয়াট ল্যাপটপ চার্জ দিতে হবে একলা।
মাইচার্জ সুপারহিলো ম্যাগলক
মাইচার্জ কোম্পানির ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংকের সিরিজের একটি সংস্করণ সুপারহিরো ম্যাগলক। এর ডিজাইন খুবই আর্কষণীয়। এর ম্যাগনেট বা চুম্বক খুব শক্তিশালী। ফলে এটি ফোনের পেছনে খুবই ভালোভাবে লেগে থাকে। এতে কয়েল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে চার্জিংয়ের সময় ফোন বেশি গরম হয় না।
পাওয়ার ব্যাংকটিতে ৩০০০ এমএইচের ব্যাটারি আছে। এটি হালকা ও চিকন। তবে এর মাধ্যমে আইফোনে একবারে সম্পূর্ণ চার্জ হবে না। তাই পাওয়ার ব্যাংকটির ৬০০০ বা ৯০০০ এমএইচ ব্যাটারির সংস্করণটি কেনা ভালো। তবে এগুলো একটু বেশি ভারী ও বড়।
প্রতিটি ম্যাগলক পাওয়ার ব্যাংকে কিউআই সমর্থিত আইফোনকে ৫ ওয়াটে চার্জ দেয়। ক্যাবলের মাধ্যমে এটি আইফোনকে আরও দ্রুত চার্জ দিতে পারবে। এই পাওয়ার ব্যাংকে ইউএসবি সি লাইটনিং ক্যাবল আছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কেসে একটি মেটাল রিং থাকলে পাওয়ার ব্যাংকটির মাধ্যমে ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়া যাবে।
এতে কয়েকটি রং আছে। এর ৬০০০ এমএইচ সংস্করণের জন্য ৪০ ডলার ব্যয় করতে হবে।
মোফিয়া পাওয়ারস্ট্যাশন ১০কে স্ট্যান্ড
মোফিয়া পাওয়ারস্ট্যাশন ১০কে স্ট্যান্ড পাওয়ার ব্যাংকের ম্যাগসেফ অপশনও রয়েছে। এর দাম অন্য পাওয়ার ব্যাংকের তুলনায় বেশি। এর নিচের ট্রাইপডও রয়েছে।
এটি ১৫ ওয়াটে খুব দ্রুত চার্জ হয়। এয়ারপডস ৩ ও এয়ারপড প্রো মডেলেও ম্যাগসেফ প্রযুক্তির মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট ব্যবহারে এটি ২০ ওয়াট গতিতে ফোন চার্জ করতে পারবে। এছাড়া একইসঙ্গে দুটি ডিভাইস চার্জ দেওয়া যাবে।
মফি পাওয়া স্টেশন মিনি
মফি পাওয়ার স্টেশন মিনিতে ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি রয়েছে ও ২০ ওয়াটের ইউএসবি সি ফাস্ট পিডি চার্জিং সুবিধা দেবে। এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ দিতে পারবে।
এছাড়া ১০০০০ এমএইচ সংস্করণে ডুয়াল সি পোর্ট রয়েছে। দুটি সংস্করণই কালো ও নীল রঙে পাওয়া যাবে।
অ্যাংকর ৫২৩ পাওয়ারকোর স্লিম ১০কে পিডি
এই পাওয়ার ব্যাংকটি খুবই হালকা পাতলা। এতে ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে ও ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে ২০ ওয়াটে ফাস্ট চার্জিং দেওয়া যায়। এতে ১২ ওয়াটের ইউএসবি এ পোর্ট রয়েছে। অ্যাংকর ৫২৩ পাওয়ারকোর স্লিম ১০কে এর দাম তুলনামূলক কম।
নিম্বল চ্যাম্প
এই পাওয়ার ব্যাংক তৈরিতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ১০০০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে, যার মাধ্যমে ২০ ওয়াট পিডি (পাওয়ার ডেলিভারি) ফাস্ট চার্জ দেওয়া যাবে। এতে দুটি ইউএসবি সি পোর্ট রয়েছে। দুটি ডিভাইস একইসঙ্গে চার্জ দিলে প্রতিটি ডিভাইস ১০ ওয়াটে চার্জ হবে। এই পাওয়ার ব্যাংকও অনেক হালকা পাতলা।

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আইফোন ১২ থেকে ১৫ পর্যন্ত ম্যাগসেফ চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যেসব পাওয়ার ব্যাংকে কিউআই ২ সার্টিফিকেশন রয়েছে সেগুলো আইফোনের ম্যাগসেফের প্রযুক্তি সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর এগুলোতে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের ক্ষমতা রয়েছে। ম্যাগসেফের মাধ্যমে ৭.৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়া যায়।
অ্যাংকার ম্যাগগোর দুটি পাওয়ার ব্যাংককে আইফোনের জন্য সবচেয়ে ভালো হিসেবে তুলে ধরেছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট। সিনেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আইফোনের জন্য সেরা পাওয়ার ব্যাংকগুলোর তালিকা তুলে ধরা হল—
অ্যাংকার ৬২২ ম্যাকগো ম্যাগনেটিক ব্যাটারি
অ্যাংকার ৬২২ ম্যাকগো ম্যাগনেটিক ব্যাটারি একটি ওয়ালেস ব্যাটারি। এতে সংযুক্ত ম্যাগনেটিক ফ্লিপকে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ৫০০০ এমএইচ সক্ষমতার এই ব্যাটারি দিয়ে ফাস্ট ওয়্যারলেস চার্জ হবে না। কিন্তু এটি খুব চিকন ও সহজে বহনযোগ্য।
এর ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে আইফোন চার্জ করা যায়। এটি দিয়ে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট গতিতে চার্জ হবে। তবে লাইটনিং পোর্টের বদলে ইউএসবি সি ব্যবহার করলে ১২ ওয়াট গতির চার্জ মিলবে।
অ্যাংকর ম্যাগগো ৬.৬কে
অ্যাংকর ম্যাগগো ৬.৬কে পাওয়ার ব্যাংকে ৬ হাজার ৬০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে। এটির কিউআই সার্টিফিকেশন রয়েছে অর্থাৎ এতে ১৫ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিং ক্ষমতা রয়েছে ও ম্যাগসেফ চার্জিংয়ের সঙ্গে এই পাওয়ার ব্যাংক সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোন ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড ৭ দশমিক ৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জারের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চার্জ দেয়।
পাওয়ার ব্যাংকটি ৫টি রঙে পাওয়া যাবে। এতে ইউএসবি সি ক্যাবল রয়েছে। পাওয়ার ব্যাংকটি বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে বা বাসায় থাকার সময় ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বেসুস ম্যাগনেটিক মিনি ওয়্যারলেস পোর্টেবল চার্জার
এটি ওয়্যারলেস ও ওয়্যারড- দুইভাবেই চার্জ দেওয়া যাবে। আইফোনের পেছনের ম্যাগসেফের সঙ্গে লেগে থেকে এটি চার্জ দিতে পারে। এতে ৬০০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে ও আইফোনে ৭ দশমিক ৫ ওয়াটে চার্জ দিতে পারবে। আর আরও দ্রুত চার্জ দিতে লাইটনিং কেবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে ২০ ওয়াট গতিতে আইফোন চার্জ দেওয়া যাবে। এতে ‘পাস–থ্রু’ অপশন আছে। অর্থাৎ একই সঙ্গে চার্জারের ব্যাটারি ও ফোন চার্জ দেওয়া যাবে।
ব্যাটারির ক্ষমতা ৬০০০ এমএইচ হলেও এর সাইজ ছোট, অনেকটা ৫০০০ এমএইচ ব্যাটারির সমান। এটা দিয়ে সব আইফোনে দ্রুত চার্জ হলেও প্রো ম্যাক্স চার্জ হতে একটু বেশি সময় লাগবে।
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়ার ব্যাংক (ইউএসবি সি)
আইফোন ১৫ এর জন্য এই পাওয়ার ব্যাংক একটি ভালো বিকল্প। এতে ফোল্ডেবল ইউএসবি সি কানেক্টর আছে। যে কোনো ইউএসবি সিযুক্ত চার্জিং অ্যান্ড্রয়েড ফোনও এর মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ কয়েকটি রঙে পাওয়া যাবে।
১০০ গ্রাম ওজনের এই পাওয়ার ব্যাংকে ৫০০০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে। এতে ২২.৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা আছে। পাওয়ার ব্যাংকে একই সময়ে দুটি ডিভাইস চার্জ দেওয়া যাবে। তবে তখন গতি ভাগ হয়ে প্রতিটি ডিভাইসে ১১ দশমিক ২৫ ওয়াট চার্জ হবে।
মাই চার্জ হাব ৬৭০০
মাইচার্জ হাব পোর্টেবল চার্জার দুটি আলাদা সাইজে পাওয়া যায়। দেওয়ালে থাকা বিদ্যুৎ সকেটের সাহায্যে ব্যাটারি চার্জ দেওয়া জন্য এতে ওয়াল প্লাগ আছে। ইউএসবি সি ও লাইটনিং ক্যাবল উভয়ের মাধ্যমে এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোনকে চার্জ দিতে পারবে। এতে একটু মোটা ৬,৭০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে। এটি স্মার্টফোনকে পুরো চার্জ দিতে পারবে।
১০,০৫০ এমএইচ ব্যাটারির আরেকটি সংস্করণ আছে এই পাওয়ার ব্যাংকের, যার দাম ২০ ডলার বেশি।
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়া ব্যাংক ১০কে
অ্যাংকার ন্যানো পাওয়া ব্যাংক ১০কে এর ১০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে। এতে ইউএসবি সি ক্যাবলও রয়েছে। তবে পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ ভারি ও আকারে বড়। এর মাধ্যমে ইউএসবি সি ও ইউএসবি এ পোর্টও ব্যবহার করা যাবে। এই ব্যাটারি প্রায় ৩০ ওয়াট পর্যন্ত চার্জ দেবে। পাওয়ার ব্যাংকে আছে এলসিডি স্ক্রিন। পাওয়ার ব্যাংকে কতটুকু চার্জ অবশিষ্ট আছে তা এই স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ইনফিনিটি ল্যাব ইনস্টান্টগো ১০০০০
ইনস্টান্টগো ৫০০০ ও ইনস্টান্টগো ১০০০০ পাওয়ার ব্যাংকে লাইটনিং পোর্ট আছে। এর মধ্যে ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারির দাম ও ওজন বেশি। তবে পাওয়ার ব্যাংকটিতে একবার চার্জ দিলে আইফোনে দুবার পুরো চার্জ দেওয়া যাবে।
অ্যাংকর ম্যাগগো পাওয়ার ব্যাংক ১০কে
১০,০০০ এমএইচ ব্যাটারির এই পাওয়ার ব্যাংকে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ও ম্যাগসেফ চার্জিং সুবিধা আছে। ম্যাগসেফ সমর্থিত আইফোন ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জারের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চার্জ দেওয়া যাবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ১৫ ওয়াটের ওয়ারলেস চার্জ দেওয়া যাবে।
এটি পাঁচটি রঙে পাওয়া যায়। এর আকৃতি ম্যাগগো পাওয়ার ব্যাংক ৬ .৬ কে এর চেয়ে বড়। ব্যাটারি লাইফ দেখার জন্য এলসিডি ডিসপ্লে আছে। এর ইউএসবি সি ক্যাবল আছে। এটিকে ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং ঘরের বাইরেও নিয়ে বের হওয়া যায়।
বেসুস ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংক
বেসুস ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংকে ১০,০০ হাজার এমএইচের ব্যাটারি আছে। ফলে এটি দুইবার আইফোনকে সম্পূর্ণ চার্জ দিতে পারবে। তবে এর আকার বেশি বড় নয়।
এতে শক্তিশালী ম্যাগনেট এবং ফোল্ডেবল স্ট্যান্ড আছে। ব্যাটারি লাইফ দেখার জন্য আছে এলইডি লাইট। পাওয়ার ব্যাংকটি তিন রঙে পাওয়া যাবে। তবে এর মধ্যে কালো রঙের দাম কিছুটা কম।
অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংক
অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংকে গ্যালিয়াম নাইট্রেড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে পাওয়ার ব্যাংকটি শক্তিশালী হলেও আকারে ছোট। এটি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। অ্যাংকর ৭৩৩ পাওয়ার ব্যাংকে ৬৫ ওয়াটের চার্জারসহ ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে। এটি কোম্পানিটির জিএএনপ্রাইম সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এতে দুটি ফাস্ট চার্জিং সি পোর্ট ও একটি ইউএসবি এ পোর্ট আছে। এটি দিয়ে একই সঙ্গে তিনটি ডিভাইস চার্জ করা যাবে। তবে ৬৫ ওয়াট ল্যাপটপ চার্জ দিতে হবে একলা।
মাইচার্জ সুপারহিলো ম্যাগলক
মাইচার্জ কোম্পানির ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংকের সিরিজের একটি সংস্করণ সুপারহিরো ম্যাগলক। এর ডিজাইন খুবই আর্কষণীয়। এর ম্যাগনেট বা চুম্বক খুব শক্তিশালী। ফলে এটি ফোনের পেছনে খুবই ভালোভাবে লেগে থাকে। এতে কয়েল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে চার্জিংয়ের সময় ফোন বেশি গরম হয় না।
পাওয়ার ব্যাংকটিতে ৩০০০ এমএইচের ব্যাটারি আছে। এটি হালকা ও চিকন। তবে এর মাধ্যমে আইফোনে একবারে সম্পূর্ণ চার্জ হবে না। তাই পাওয়ার ব্যাংকটির ৬০০০ বা ৯০০০ এমএইচ ব্যাটারির সংস্করণটি কেনা ভালো। তবে এগুলো একটু বেশি ভারী ও বড়।
প্রতিটি ম্যাগলক পাওয়ার ব্যাংকে কিউআই সমর্থিত আইফোনকে ৫ ওয়াটে চার্জ দেয়। ক্যাবলের মাধ্যমে এটি আইফোনকে আরও দ্রুত চার্জ দিতে পারবে। এই পাওয়ার ব্যাংকে ইউএসবি সি লাইটনিং ক্যাবল আছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কেসে একটি মেটাল রিং থাকলে পাওয়ার ব্যাংকটির মাধ্যমে ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়া যাবে।
এতে কয়েকটি রং আছে। এর ৬০০০ এমএইচ সংস্করণের জন্য ৪০ ডলার ব্যয় করতে হবে।
মোফিয়া পাওয়ারস্ট্যাশন ১০কে স্ট্যান্ড
মোফিয়া পাওয়ারস্ট্যাশন ১০কে স্ট্যান্ড পাওয়ার ব্যাংকের ম্যাগসেফ অপশনও রয়েছে। এর দাম অন্য পাওয়ার ব্যাংকের তুলনায় বেশি। এর নিচের ট্রাইপডও রয়েছে।
এটি ১৫ ওয়াটে খুব দ্রুত চার্জ হয়। এয়ারপডস ৩ ও এয়ারপড প্রো মডেলেও ম্যাগসেফ প্রযুক্তির মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে। লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট ব্যবহারে এটি ২০ ওয়াট গতিতে ফোন চার্জ করতে পারবে। এছাড়া একইসঙ্গে দুটি ডিভাইস চার্জ দেওয়া যাবে।
মফি পাওয়া স্টেশন মিনি
মফি পাওয়ার স্টেশন মিনিতে ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি রয়েছে ও ২০ ওয়াটের ইউএসবি সি ফাস্ট পিডি চার্জিং সুবিধা দেবে। এই পাওয়ার ব্যাংক আইফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ দিতে পারবে।
এছাড়া ১০০০০ এমএইচ সংস্করণে ডুয়াল সি পোর্ট রয়েছে। দুটি সংস্করণই কালো ও নীল রঙে পাওয়া যাবে।
অ্যাংকর ৫২৩ পাওয়ারকোর স্লিম ১০কে পিডি
এই পাওয়ার ব্যাংকটি খুবই হালকা পাতলা। এতে ১০০০০ এমএইচ ব্যাটারি আছে ও ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে ২০ ওয়াটে ফাস্ট চার্জিং দেওয়া যায়। এতে ১২ ওয়াটের ইউএসবি এ পোর্ট রয়েছে। অ্যাংকর ৫২৩ পাওয়ারকোর স্লিম ১০কে এর দাম তুলনামূলক কম।
নিম্বল চ্যাম্প
এই পাওয়ার ব্যাংক তৈরিতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ১০০০ হাজার এমএইচ ব্যাটারি আছে, যার মাধ্যমে ২০ ওয়াট পিডি (পাওয়ার ডেলিভারি) ফাস্ট চার্জ দেওয়া যাবে। এতে দুটি ইউএসবি সি পোর্ট রয়েছে। দুটি ডিভাইস একইসঙ্গে চার্জ দিলে প্রতিটি ডিভাইস ১০ ওয়াটে চার্জ হবে। এই পাওয়ার ব্যাংকও অনেক হালকা পাতলা।

হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
২১ মিনিট আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
২ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
৪ ঘণ্টা আগে
লিপ গ্লো অয়েল হোক কিংবা টম ফোর্ড আইশ্যাডো প্যালেট—প্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ডগুলোর সংগ্রহ আমাদের অনেকের কাছেই অমূল্য। কিন্তু হীরা বা অকৃত্রিম বন্ধুত্বের মতো মেকআপের সরঞ্জামগুলো চিরস্থায়ী নয়। আমরা যতই সেগুলো ভালোবেসে ড্রয়ারে সাজিয়ে রাখি না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলোর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
২ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
৪ ঘণ্টা আগে
লিপ গ্লো অয়েল হোক কিংবা টম ফোর্ড আইশ্যাডো প্যালেট—প্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ডগুলোর সংগ্রহ আমাদের অনেকের কাছেই অমূল্য। কিন্তু হীরা বা অকৃত্রিম বন্ধুত্বের মতো মেকআপের সরঞ্জামগুলো চিরস্থায়ী নয়। আমরা যতই সেগুলো ভালোবেসে ড্রয়ারে সাজিয়ে রাখি না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলোর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রূপচর্চায় বেসন খুব পরিচিত একটি উপকরণ। একসময় ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানের পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করা হতো। শীতে ত্বকের নির্জীব ভাব নিয়ে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা সহজলভ্য এই উপকরণটি রোজকার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে নানা উপকার পেতে পারেন।
এ কথা তো সবাই জানেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। পাশাপাশি ত্বক দূষণমুক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।
বেসন ও এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের প্যাক

পুরো শরীরের ত্বকে মাখার জন্য বেসন নিন। এতে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ দুধ মেশাতে পারেন। প্যাক তৈরিতে যতটুকু পানি প্রয়োজন, তা যোগ করুন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা শুকনো হওয়া পর্যন্ত। এরপর আলতো করে কুসুম গরম পানিতে পুরো শরীর ধুয়ে নিন। নারকেল তেল ও দুধ রুক্ষ ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে। পাশাপাশি এ প্যাক ত্বকের ডিপ ক্লিনজিংয়েও সহায়তা করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য এ প্যাক খুবই ভালো কাজ করে।
বেসন, টক দই ও হলুদের প্যাক
এ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পুরো শরীরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর আলতো ঘষে প্যাক দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগছোপ কমায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও গাঁদা ফুল বাটার প্যাক
বেসনের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও নরম করতে এ প্যাক ভালো কাজ করে। যাঁদের ত্বকে ব্রণ ও দাগ রয়েছে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিপ ক্লিনজিং প্যাক
যাঁরা সকালে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার এড়াতে চান তাঁরা ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন সকালে। এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও ধীরে ধীরে জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
বেসন, মধু ও গোলাপজল
বেসন, মধু, গোলাপজল ও অল্প পানি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকাতে শুরু করলে হালকা করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বক নরম রাখে। গোলাপজল ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মেছতার দাগ হালকা করতে
বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর এ প্যাক ব্যবহার করুন। দাগ কমে এলে ধীরে ধীরে প্যাক ব্যবহারও কমিয়ে আনুন। যেমন সপ্তাহে একবার, তারপর ১৫ দিনে একবার, তারপর মাসে একবার। এভাবে এই প্যাক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ একেবারে হালকা হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

রূপচর্চায় বেসন খুব পরিচিত একটি উপকরণ। একসময় ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানের পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করা হতো। শীতে ত্বকের নির্জীব ভাব নিয়ে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা সহজলভ্য এই উপকরণটি রোজকার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে নানা উপকার পেতে পারেন।
এ কথা তো সবাই জানেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। পাশাপাশি ত্বক দূষণমুক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।
বেসন ও এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের প্যাক

পুরো শরীরের ত্বকে মাখার জন্য বেসন নিন। এতে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ দুধ মেশাতে পারেন। প্যাক তৈরিতে যতটুকু পানি প্রয়োজন, তা যোগ করুন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা শুকনো হওয়া পর্যন্ত। এরপর আলতো করে কুসুম গরম পানিতে পুরো শরীর ধুয়ে নিন। নারকেল তেল ও দুধ রুক্ষ ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে। পাশাপাশি এ প্যাক ত্বকের ডিপ ক্লিনজিংয়েও সহায়তা করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য এ প্যাক খুবই ভালো কাজ করে।
বেসন, টক দই ও হলুদের প্যাক
এ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পুরো শরীরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর আলতো ঘষে প্যাক দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগছোপ কমায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও গাঁদা ফুল বাটার প্যাক
বেসনের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও নরম করতে এ প্যাক ভালো কাজ করে। যাঁদের ত্বকে ব্রণ ও দাগ রয়েছে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিপ ক্লিনজিং প্যাক
যাঁরা সকালে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার এড়াতে চান তাঁরা ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন সকালে। এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও ধীরে ধীরে জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
বেসন, মধু ও গোলাপজল
বেসন, মধু, গোলাপজল ও অল্প পানি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকাতে শুরু করলে হালকা করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বক নরম রাখে। গোলাপজল ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মেছতার দাগ হালকা করতে
বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর এ প্যাক ব্যবহার করুন। দাগ কমে এলে ধীরে ধীরে প্যাক ব্যবহারও কমিয়ে আনুন। যেমন সপ্তাহে একবার, তারপর ১৫ দিনে একবার, তারপর মাসে একবার। এভাবে এই প্যাক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ একেবারে হালকা হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
২১ মিনিট আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
৪ ঘণ্টা আগে
লিপ গ্লো অয়েল হোক কিংবা টম ফোর্ড আইশ্যাডো প্যালেট—প্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ডগুলোর সংগ্রহ আমাদের অনেকের কাছেই অমূল্য। কিন্তু হীরা বা অকৃত্রিম বন্ধুত্বের মতো মেকআপের সরঞ্জামগুলো চিরস্থায়ী নয়। আমরা যতই সেগুলো ভালোবেসে ড্রয়ারে সাজিয়ে রাখি না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলোর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়...
৬ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু সুন্দর করে সেলিব্রেট করতে পারেন।
আলো ও উষ্ণতার আমেজ
শীতকাল মানেই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে ঘরে কিছু ওয়ার্ম লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। রাতে ছাদে বা উঠানে আগুন জ্বালিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে এর চারপাশে বসুন। আগুনের উষ্ণতা একটা শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এটি শুধু যে অন্ধকার দূর করে, তা-ই নয়; বরং শীতে একটা সুন্দর, স্নিগ্ধ ও উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আগুনের তাপের সঙ্গে এই আয়োজনে থাকে সম্পর্কের উত্তাপও।

পুরোনো জিনিস সরিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন
শীতকালে ঘর পরিষ্কার করে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। নেতিবাচকতা দূর করতে ঘর পরিষ্কার করে ধূপ বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার শীতের আমেজ আনতে ঘরে দারুচিনি, এলাচি বা লবঙ্গ জাতীয় মসলার সুগন্ধ ব্যবহার করুন। চুলায় পানি গরম করে তাতে এসব দিয়ে ফুটতে দিন, ধীরে ধীরে পুরো বাসায় সুবাস ছড়িয়ে পড়বে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও শান্ত থাকে আর নতুন দিনগুলোকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
একটা সালতামামি হয়ে যাক
এ সময়টিতে নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। এ বছর কী কী ভালো-খারাপ হলো বা কী কী শিখলেন, তা নিয়ে একটু ভাবুন। একটি ডায়েরিতে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখতে পারেন। যেসব অভ্যাস এখন আর আপনার কাজে আসছে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নিজের ভালো হয়—এমন কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন। নতুন বছরে কী কী করতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করে লিখে রাখুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
জীবনে ছোট-বড় যা কিছু ভালো আছে, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার অর্জন, প্রিয় মানুষ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা লিখে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মনে শান্তি পাবেন এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
নিজের যত্ন নিন
শীতকাল হলো নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার সময়। প্রতিদিন হালকা ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে শরীর সচল রাখুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং নিজেকে কিছু উপহার দিন। নিজের জন্য সময় বের করে নিজের অস্তিত্ব সেলিব্রেট করার জন্য শীতকাল হলো উপযুক্ত সময়।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন
শীতের সকাল বা বিকেলে প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করুন। শিশিরভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং শীতের নরম রোদ গায়ে মাখুন, যা আপনার মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। শীতকালীন ফুলগাছ বারান্দায় রাখুন ও মাটির তৈরি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেখবেন এই ছোট কাজগুলো ঘরে একটা স্নিগ্ধ ও সতেজ ভাব আনবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিঠার আয়োজন করুন। একসঙ্গে গল্প, হাসি আর খাবার সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করবে এবং সময় আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলবে।
এবার ‘না’ বলতে শিখুন
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকম দাওয়াত। সেগুলোকে পাশে রেখে সামাজিক বা অন্যান্য কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন। কোনো অনুষ্ঠানে যেতে বা কোনো কাজ করতে যদি একেবারেই ইচ্ছা না করে তবে, অযথা চাপ অনুভব না করে বিনীতভাবে এড়িয়ে চলুন। এ সময় নিজের বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বেশি জরুরি।
সূত্র: রিদমস অব প্লে ও অন্যান্য

পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু সুন্দর করে সেলিব্রেট করতে পারেন।
আলো ও উষ্ণতার আমেজ
শীতকাল মানেই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে ঘরে কিছু ওয়ার্ম লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। রাতে ছাদে বা উঠানে আগুন জ্বালিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে এর চারপাশে বসুন। আগুনের উষ্ণতা একটা শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এটি শুধু যে অন্ধকার দূর করে, তা-ই নয়; বরং শীতে একটা সুন্দর, স্নিগ্ধ ও উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আগুনের তাপের সঙ্গে এই আয়োজনে থাকে সম্পর্কের উত্তাপও।

পুরোনো জিনিস সরিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন
শীতকালে ঘর পরিষ্কার করে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। নেতিবাচকতা দূর করতে ঘর পরিষ্কার করে ধূপ বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার শীতের আমেজ আনতে ঘরে দারুচিনি, এলাচি বা লবঙ্গ জাতীয় মসলার সুগন্ধ ব্যবহার করুন। চুলায় পানি গরম করে তাতে এসব দিয়ে ফুটতে দিন, ধীরে ধীরে পুরো বাসায় সুবাস ছড়িয়ে পড়বে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও শান্ত থাকে আর নতুন দিনগুলোকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
একটা সালতামামি হয়ে যাক
এ সময়টিতে নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। এ বছর কী কী ভালো-খারাপ হলো বা কী কী শিখলেন, তা নিয়ে একটু ভাবুন। একটি ডায়েরিতে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখতে পারেন। যেসব অভ্যাস এখন আর আপনার কাজে আসছে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নিজের ভালো হয়—এমন কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন। নতুন বছরে কী কী করতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করে লিখে রাখুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
জীবনে ছোট-বড় যা কিছু ভালো আছে, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার অর্জন, প্রিয় মানুষ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা লিখে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মনে শান্তি পাবেন এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
নিজের যত্ন নিন
শীতকাল হলো নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার সময়। প্রতিদিন হালকা ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে শরীর সচল রাখুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং নিজেকে কিছু উপহার দিন। নিজের জন্য সময় বের করে নিজের অস্তিত্ব সেলিব্রেট করার জন্য শীতকাল হলো উপযুক্ত সময়।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন
শীতের সকাল বা বিকেলে প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করুন। শিশিরভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং শীতের নরম রোদ গায়ে মাখুন, যা আপনার মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। শীতকালীন ফুলগাছ বারান্দায় রাখুন ও মাটির তৈরি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেখবেন এই ছোট কাজগুলো ঘরে একটা স্নিগ্ধ ও সতেজ ভাব আনবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিঠার আয়োজন করুন। একসঙ্গে গল্প, হাসি আর খাবার সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করবে এবং সময় আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলবে।
এবার ‘না’ বলতে শিখুন
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকম দাওয়াত। সেগুলোকে পাশে রেখে সামাজিক বা অন্যান্য কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন। কোনো অনুষ্ঠানে যেতে বা কোনো কাজ করতে যদি একেবারেই ইচ্ছা না করে তবে, অযথা চাপ অনুভব না করে বিনীতভাবে এড়িয়ে চলুন। এ সময় নিজের বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বেশি জরুরি।
সূত্র: রিদমস অব প্লে ও অন্যান্য

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
২১ মিনিট আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
২ ঘণ্টা আগে
লিপ গ্লো অয়েল হোক কিংবা টম ফোর্ড আইশ্যাডো প্যালেট—প্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ডগুলোর সংগ্রহ আমাদের অনেকের কাছেই অমূল্য। কিন্তু হীরা বা অকৃত্রিম বন্ধুত্বের মতো মেকআপের সরঞ্জামগুলো চিরস্থায়ী নয়। আমরা যতই সেগুলো ভালোবেসে ড্রয়ারে সাজিয়ে রাখি না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলোর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ক্যালেন্ডারের পাতায় বছর শেষ। উৎসবের আমেজ আর নতুন বছরের প্রস্তুতির ভিড়ে আমরা অনেকেই নতুন করে গুছিয়ে নিচ্ছি আমাদের ঘরবাড়ি। কিন্তু বছর শেষ হওয়ার আগে একবার কি আপনার ড্রেসিং টেবিলের দিকে নজর দিয়েছেন? যে মেকআপ আইটেমগুলো দিয়ে আপনি নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন, সেগুলোর মেয়াদ ঠিকঠাক আছে তো?
লিপ গ্লো অয়েল হোক কিংবা টম ফোর্ড আইশ্যাডো প্যালেট—প্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ডগুলোর সংগ্রহ আমাদের অনেকের কাছেই অমূল্য। কিন্তু হীরা বা অকৃত্রিম বন্ধুত্বের মতো মেকআপের সরঞ্জামগুলো চিরস্থায়ী নয়। আমরা যতই সেগুলো ভালোবেসে ড্রয়ারে সাজিয়ে রাখি না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলোর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়। কেবল সৌন্দর্যের জন্য নয়; বরং ত্বকের সুস্বাস্থ্যের খাতিরেই আমাদের জানা প্রয়োজন, কোন প্রসাধনী কত দিন ব্যবহার করা নিরাপদ।

আপনার ত্বকের সুস্বাস্থ্য এবং সাজের নিখুঁত ফিনিশিং ধরে রাখতে ড্রেসিং টেবিলের এই মেকআপ ক্লিন আউট বা অকেজো পণ্য ছেঁটে ফেলা এখন সময়ের দাবি। নতুন বছর শুরু করার আগে আপনার সাজের সংগ্রহটি করে ফেলুন সতেজ, নিরাপদ এবং আরও আকর্ষণীয়।
মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ কেন বিপজ্জনক

মেকআপের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তার রাসায়নিক গঠন বদলে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ শেষ হওয়া পণ্য ব্যবহারে ত্বকে সংক্রমণ, প্রদাহ (কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস) এমনকি রাসায়নিক পোড়া ভাবও দেখা দিতে পারে।
চোখের প্রসাধনী, যেমন আইলাইনার বা মাসকারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ পণ্যগুলো চোখের খুব আর্দ্র পরিবেশে ব্যবহৃত হয় বলে সেখানে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মায়, যা থেকে আঞ্জনি বা কনজাংটিভাইটিসের মতো সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া মেয়াদ ফুরোলে ফাউন্ডেশন বা কনসিলার ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যা থেকে ব্রণের সমস্যা প্রকট হয়।
মেয়াদ বোঝার সহজ উপায়
প্রসাধনীর মোড়কের গায়ে তাকালেই আপনি একটি খোলা কৌটার ছোট ছবি দেখতে পাবেন। তার পাশে লেখা থাকে ৬ এম, ১২ এম বা ২৪ এম। এগুলোর মানে হলো, পণ্যটির মুখ খোলার পর তা যথাক্রমে ৬, ১২ বা ২৪ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা নিরাপদ। তবে যদি এ চিহ্ন খুঁজে না পান, তবে নিজের ইন্দ্রিয় ব্যবহার করুন। যদি দেখেন লিপস্টিক বা ফাউন্ডেশন থেকে অদ্ভুত গন্ধ আসছে, তরল মেকআপের ওপর তেলের স্তর জমে গেছে কিংবা আইশ্যাডোর ওপর পাউরুটির মতো কালো বা ধূসর ছাতা পড়েছে, তবে বুঝে নেবেন সেটি বিদায় করার সময় হয়েছে।
কোন পণ্য কত দিন টেকে
চোখের সাজ টেকে ৩ থেকে ৬ মাস: মাসকারা ও তরল আইলাইনার সবচেয়ে কম সময় ভালো থাকে। যেহেতু এগুলো সরাসরি চোখের সংস্পর্শে আসে, তাই প্রতি ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর এগুলো বদলে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ।
ঠোঁটের প্রসাধনী টেকে ১ থেকে ৩ বছর: লিপস্টিক সাধারণত পানির পরিমাণ কম থাকলে ৩ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। তবে লিপগ্লসের মেয়াদ সাধারণত ১ বছরের বেশি হয় না।
বেস মেকআপ টেকে ২ বছর: ফাউন্ডেশন, কনসিলার কিংবা ফেস পাউডার সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তবে তরল ফাউন্ডেশনের উপাদান আলাদা হয়ে গেলে তা আর ব্যবহার করবেন না।
ব্লাশ ও ব্রোঞ্জার ৩ বছর: পাউডার জাতীয় ব্লাশ বা ব্রোঞ্জার সঠিক যত্নে থাকলে ৩ বছর পর্যন্ত আপনার ড্রেসিং টেবিলের শোভা বাড়াতে পারে।
পারফিউম ও নেলপলিশ টেকে ৩ থেকে ৫ বছর: সুগন্ধি বা পারফিউম ৩ থেকে ৫ বছর অনায়াসে ব্যবহার করা যায়। আর নেলপলিশের ক্ষেত্রে রঙের পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ৩ বছরের বেশি সময় এটি নিরাপদ থাকে।
প্রসাধনী দীর্ঘস্থায়ী করার কিছু টিপস
আপনার প্রিয় প্রসাধনীগুলো যাতে মেয়াদের পুরোটা সময় ভালো থাকে সে জন্য:
সূত্র: ভোগ

ক্যালেন্ডারের পাতায় বছর শেষ। উৎসবের আমেজ আর নতুন বছরের প্রস্তুতির ভিড়ে আমরা অনেকেই নতুন করে গুছিয়ে নিচ্ছি আমাদের ঘরবাড়ি। কিন্তু বছর শেষ হওয়ার আগে একবার কি আপনার ড্রেসিং টেবিলের দিকে নজর দিয়েছেন? যে মেকআপ আইটেমগুলো দিয়ে আপনি নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন, সেগুলোর মেয়াদ ঠিকঠাক আছে তো?
লিপ গ্লো অয়েল হোক কিংবা টম ফোর্ড আইশ্যাডো প্যালেট—প্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ডগুলোর সংগ্রহ আমাদের অনেকের কাছেই অমূল্য। কিন্তু হীরা বা অকৃত্রিম বন্ধুত্বের মতো মেকআপের সরঞ্জামগুলো চিরস্থায়ী নয়। আমরা যতই সেগুলো ভালোবেসে ড্রয়ারে সাজিয়ে রাখি না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলোর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়। কেবল সৌন্দর্যের জন্য নয়; বরং ত্বকের সুস্বাস্থ্যের খাতিরেই আমাদের জানা প্রয়োজন, কোন প্রসাধনী কত দিন ব্যবহার করা নিরাপদ।

আপনার ত্বকের সুস্বাস্থ্য এবং সাজের নিখুঁত ফিনিশিং ধরে রাখতে ড্রেসিং টেবিলের এই মেকআপ ক্লিন আউট বা অকেজো পণ্য ছেঁটে ফেলা এখন সময়ের দাবি। নতুন বছর শুরু করার আগে আপনার সাজের সংগ্রহটি করে ফেলুন সতেজ, নিরাপদ এবং আরও আকর্ষণীয়।
মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ কেন বিপজ্জনক

মেকআপের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তার রাসায়নিক গঠন বদলে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ শেষ হওয়া পণ্য ব্যবহারে ত্বকে সংক্রমণ, প্রদাহ (কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস) এমনকি রাসায়নিক পোড়া ভাবও দেখা দিতে পারে।
চোখের প্রসাধনী, যেমন আইলাইনার বা মাসকারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ পণ্যগুলো চোখের খুব আর্দ্র পরিবেশে ব্যবহৃত হয় বলে সেখানে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মায়, যা থেকে আঞ্জনি বা কনজাংটিভাইটিসের মতো সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া মেয়াদ ফুরোলে ফাউন্ডেশন বা কনসিলার ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যা থেকে ব্রণের সমস্যা প্রকট হয়।
মেয়াদ বোঝার সহজ উপায়
প্রসাধনীর মোড়কের গায়ে তাকালেই আপনি একটি খোলা কৌটার ছোট ছবি দেখতে পাবেন। তার পাশে লেখা থাকে ৬ এম, ১২ এম বা ২৪ এম। এগুলোর মানে হলো, পণ্যটির মুখ খোলার পর তা যথাক্রমে ৬, ১২ বা ২৪ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা নিরাপদ। তবে যদি এ চিহ্ন খুঁজে না পান, তবে নিজের ইন্দ্রিয় ব্যবহার করুন। যদি দেখেন লিপস্টিক বা ফাউন্ডেশন থেকে অদ্ভুত গন্ধ আসছে, তরল মেকআপের ওপর তেলের স্তর জমে গেছে কিংবা আইশ্যাডোর ওপর পাউরুটির মতো কালো বা ধূসর ছাতা পড়েছে, তবে বুঝে নেবেন সেটি বিদায় করার সময় হয়েছে।
কোন পণ্য কত দিন টেকে
চোখের সাজ টেকে ৩ থেকে ৬ মাস: মাসকারা ও তরল আইলাইনার সবচেয়ে কম সময় ভালো থাকে। যেহেতু এগুলো সরাসরি চোখের সংস্পর্শে আসে, তাই প্রতি ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর এগুলো বদলে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ।
ঠোঁটের প্রসাধনী টেকে ১ থেকে ৩ বছর: লিপস্টিক সাধারণত পানির পরিমাণ কম থাকলে ৩ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। তবে লিপগ্লসের মেয়াদ সাধারণত ১ বছরের বেশি হয় না।
বেস মেকআপ টেকে ২ বছর: ফাউন্ডেশন, কনসিলার কিংবা ফেস পাউডার সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তবে তরল ফাউন্ডেশনের উপাদান আলাদা হয়ে গেলে তা আর ব্যবহার করবেন না।
ব্লাশ ও ব্রোঞ্জার ৩ বছর: পাউডার জাতীয় ব্লাশ বা ব্রোঞ্জার সঠিক যত্নে থাকলে ৩ বছর পর্যন্ত আপনার ড্রেসিং টেবিলের শোভা বাড়াতে পারে।
পারফিউম ও নেলপলিশ টেকে ৩ থেকে ৫ বছর: সুগন্ধি বা পারফিউম ৩ থেকে ৫ বছর অনায়াসে ব্যবহার করা যায়। আর নেলপলিশের ক্ষেত্রে রঙের পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ৩ বছরের বেশি সময় এটি নিরাপদ থাকে।
প্রসাধনী দীর্ঘস্থায়ী করার কিছু টিপস
আপনার প্রিয় প্রসাধনীগুলো যাতে মেয়াদের পুরোটা সময় ভালো থাকে সে জন্য:
সূত্র: ভোগ

যেনতেন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে আইফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট মডেল ও ব্যাটারির সক্ষমতা বিবেচনায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত। আইফোনে ১৫ মডেলে লাইটনিং ক্যাবলের পরিবর্তে ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
২১ মিনিট আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
২ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
৪ ঘণ্টা আগে