মারুফ ইসলাম

শুরু হলো ২০২৩ সাল। পুরোনো বছরকে পেছন ফিরে দেখার পাশাপাশি নতুন বছরের দিকেও চোখ রাখছেন সচেতন মানুষ। এ বছর নানা ক্ষেত্রেই আসতে পারে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণেই বিদায়ী বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি ছিল বেসামাল। নতুন বছরে পৃথিবী তা কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে চলছে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
তবে তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, বিশ্বের ৪৬২ কোটির বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করে। সুতরাং নতুন বছরে মানুষের জীবনে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যে আরও বেশি প্রভাববিস্তারী হয়ে উঠবে, তাতে সন্দেহ নেই।
টিকটকের জনপ্রিয়তা হবে লাগামছাড়া
২০২০ এবং ২০২১ সালে সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের নাম টিকটক। ২০২২ সালের সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি। তবে এর জনপ্রিয়তা এখনই আকাশচুম্বী। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে এটি সবচেয়ে পছন্দের সামাজিক নেটওয়ার্ক। টিকটকের ৪৪ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ২৫ বছরের কম। তরুণ প্রজন্মের এক-পঞ্চমাংশ দিনের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা টিকটকে ব্যয় করে থাকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, টিকটকের বিপণন বাজেট এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে টিকটক হয়ে উঠবে এ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
ব্যবসা বাড়বে সামাজিক মাধ্যমে
করোনা মহামারির পর ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কেনাকাটা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণেরা সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হয়ে উঠেছে ‘ভার্চুয়াল শপিং স্পেস’। বিদায়ী বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কেনাকাটা করেছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালে এটি ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
কেনাকাটার জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এখনই অন্তত ৭০ শতাংশ ক্রেতা বিভিন্ন পণ্যের খোঁজে ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ মারে। এ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ক্রেতাদের জন্য অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিডিওর আধিপত্য বাড়বে
মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকোর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইন্টারনেটের ৮২ শতাংশ গ্রাহক ভিডিও দেখেন। দীর্ঘ ভিডিওর চেয়ে স্বল্প সময়ের ভিডিও এখন বাজার দখল করেছে। এই প্রবণতা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে সিসকো। মানুষকে অতিমাত্রায় ভিডিওমুখি করার পেছনে টিকটকের অবদান রয়েছে। টিকটকের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার কারণে ফেসবুক ‘রিলস’, ইনস্টাগ্রাম ‘রিলস’ এবং ইউটিউব ‘শর্টস’ নামের ফিচার আনতে বাধ্য হয়েছে।
এ ছাড়া মহামারি-পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বেই ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ জনপ্রিয় হয়েছে। এই জনপ্রিয়তা ২০২৩ সালে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের প্রচার, প্রদর্শন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ইভেন্ট আয়োজন করতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সুবিধা নিচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যম নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছবি বা লেখার চেয়ে ভিডিও দ্রুত জনপ্রিয় হয়। এসব কারণে এ বছর ভিডিও আধিপত্য আরও বাড়বে।
রাজত্ব করবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি
অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির (ভিআর) ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, তাতে এ বছর এ দুটি মাধ্যম মূলধারায় আঘাত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম পাঁচ বছর ধরেই ফটো ফিল্টারের জন্য এআর প্রযুক্তি ব্যবহার চলছে। অন্য সামাজিক মাধ্যমগুলোও এআর ব্যবহার করে। সুতরাং এ বছর এআর প্রযুক্তির বাজার ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো আরও ব্যাপকভাবে এআর প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ফলে এ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজত্ব করবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি।
বিজ্ঞাপনের বাজার খেয়ে ফেলবে সামাজিক মাধ্যম
বিশ্বের বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখন বিজ্ঞাপন বাজেটের সিংহভাগ ব্যয় করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন যে তাঁরা তাঁদের বিপণন বাজেটের অর্ধেক সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পেছনে ব্যয় করেন। এই প্রবণতা চলতি বছরে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদায়ী বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের বাজার ছিল ১৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এ বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যয় ৬৮ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় অংশটি ব্যয় হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রথাগত বিজ্ঞাপনের চেয়ে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও বিশ্বস্ততা বাড়বে। সার্ভে মাংকি নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রায় অর্ধেকই ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবহার দেখা যায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে।
ট্রেন্ড হয়ে উঠবে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা ভীষণ জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী, তাঁদের ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ বলা হয়। পণ্য ও ব্র্যান্ড প্রচার করতে ইদানীং তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে। চলতি বছরে সামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে ইনফ্লুয়েন্সারদের যুক্ত করার প্রবণতা আরও বাড়বে। বলা যায়, এই ধারাই ট্রেন্ড হয়ে উঠবে। এই ট্রেন্ডকে বলা হচ্ছে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’।
এ বছর ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ব্যয় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করছেন সামাজিক মাধ্যমের বিপণন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের অ্যালগরিদমকে আরও বেশি বিজ্ঞাপনবান্ধব করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘স্পনসর’ পোস্ট দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, রয়টার্স, ডিমান্ডসেজ ও ফ্রেশ কনটেন্ট সোসাইটি

শুরু হলো ২০২৩ সাল। পুরোনো বছরকে পেছন ফিরে দেখার পাশাপাশি নতুন বছরের দিকেও চোখ রাখছেন সচেতন মানুষ। এ বছর নানা ক্ষেত্রেই আসতে পারে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণেই বিদায়ী বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি ছিল বেসামাল। নতুন বছরে পৃথিবী তা কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে চলছে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
তবে তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, বিশ্বের ৪৬২ কোটির বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করে। সুতরাং নতুন বছরে মানুষের জীবনে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যে আরও বেশি প্রভাববিস্তারী হয়ে উঠবে, তাতে সন্দেহ নেই।
টিকটকের জনপ্রিয়তা হবে লাগামছাড়া
২০২০ এবং ২০২১ সালে সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের নাম টিকটক। ২০২২ সালের সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি। তবে এর জনপ্রিয়তা এখনই আকাশচুম্বী। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে এটি সবচেয়ে পছন্দের সামাজিক নেটওয়ার্ক। টিকটকের ৪৪ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ২৫ বছরের কম। তরুণ প্রজন্মের এক-পঞ্চমাংশ দিনের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা টিকটকে ব্যয় করে থাকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, টিকটকের বিপণন বাজেট এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে টিকটক হয়ে উঠবে এ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
ব্যবসা বাড়বে সামাজিক মাধ্যমে
করোনা মহামারির পর ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কেনাকাটা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণেরা সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হয়ে উঠেছে ‘ভার্চুয়াল শপিং স্পেস’। বিদায়ী বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কেনাকাটা করেছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালে এটি ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
কেনাকাটার জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এখনই অন্তত ৭০ শতাংশ ক্রেতা বিভিন্ন পণ্যের খোঁজে ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ মারে। এ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ক্রেতাদের জন্য অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিডিওর আধিপত্য বাড়বে
মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকোর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইন্টারনেটের ৮২ শতাংশ গ্রাহক ভিডিও দেখেন। দীর্ঘ ভিডিওর চেয়ে স্বল্প সময়ের ভিডিও এখন বাজার দখল করেছে। এই প্রবণতা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে সিসকো। মানুষকে অতিমাত্রায় ভিডিওমুখি করার পেছনে টিকটকের অবদান রয়েছে। টিকটকের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার কারণে ফেসবুক ‘রিলস’, ইনস্টাগ্রাম ‘রিলস’ এবং ইউটিউব ‘শর্টস’ নামের ফিচার আনতে বাধ্য হয়েছে।
এ ছাড়া মহামারি-পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বেই ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ জনপ্রিয় হয়েছে। এই জনপ্রিয়তা ২০২৩ সালে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের প্রচার, প্রদর্শন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ইভেন্ট আয়োজন করতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সুবিধা নিচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যম নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছবি বা লেখার চেয়ে ভিডিও দ্রুত জনপ্রিয় হয়। এসব কারণে এ বছর ভিডিও আধিপত্য আরও বাড়বে।
রাজত্ব করবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি
অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির (ভিআর) ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, তাতে এ বছর এ দুটি মাধ্যম মূলধারায় আঘাত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম পাঁচ বছর ধরেই ফটো ফিল্টারের জন্য এআর প্রযুক্তি ব্যবহার চলছে। অন্য সামাজিক মাধ্যমগুলোও এআর ব্যবহার করে। সুতরাং এ বছর এআর প্রযুক্তির বাজার ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো আরও ব্যাপকভাবে এআর প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ফলে এ বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজত্ব করবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি।
বিজ্ঞাপনের বাজার খেয়ে ফেলবে সামাজিক মাধ্যম
বিশ্বের বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখন বিজ্ঞাপন বাজেটের সিংহভাগ ব্যয় করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন যে তাঁরা তাঁদের বিপণন বাজেটের অর্ধেক সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পেছনে ব্যয় করেন। এই প্রবণতা চলতি বছরে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদায়ী বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের বাজার ছিল ১৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এ বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যয় ৬৮ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় অংশটি ব্যয় হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রথাগত বিজ্ঞাপনের চেয়ে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও বিশ্বস্ততা বাড়বে। সার্ভে মাংকি নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রায় অর্ধেকই ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবহার দেখা যায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে।
ট্রেন্ড হয়ে উঠবে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা ভীষণ জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী, তাঁদের ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ বলা হয়। পণ্য ও ব্র্যান্ড প্রচার করতে ইদানীং তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে। চলতি বছরে সামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে ইনফ্লুয়েন্সারদের যুক্ত করার প্রবণতা আরও বাড়বে। বলা যায়, এই ধারাই ট্রেন্ড হয়ে উঠবে। এই ট্রেন্ডকে বলা হচ্ছে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’।
এ বছর ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ব্যয় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করছেন সামাজিক মাধ্যমের বিপণন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের অ্যালগরিদমকে আরও বেশি বিজ্ঞাপনবান্ধব করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘স্পনসর’ পোস্ট দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, রয়টার্স, ডিমান্ডসেজ ও ফ্রেশ কনটেন্ট সোসাইটি

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১১ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪১ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে...
০২ জানুয়ারি ২০২৩
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪১ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে...
০২ জানুয়ারি ২০২৩
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১১ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে...
০২ জানুয়ারি ২০২৩
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১১ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪১ মিনিট আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
ইউআরএল দেখুন
ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন
একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।
লোগো ও ডিজাইন দেখুন
অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন
যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ডিজিসার্ট

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
ইউআরএল দেখুন
ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন
একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।
লোগো ও ডিজাইন দেখুন
অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন
যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ডিজিসার্ট

তরুণ প্রজন্ম চোখ রেখেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এখানে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারণ ইন্টারনেট, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে...
০২ জানুয়ারি ২০২৩
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১১ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪১ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে