
রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ বেশ কিছু পশ্চিমা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয় রাশিয়ার সরকার। এর ফলে টেলিগ্রামের দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়েন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এটি দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফরম। রাশিয়া সরকার টেলিগ্রাম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
এসব কারণ স্পষ্টভাবে বুঝতে রাশিয়ার নাগরিকদের টেলিগ্রামের ব্যবহার ও দেশটির সরকারে সঙ্গে গণমাধ্যমে সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে টেলিগ্রাম রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতার সম্মুখীন হলেও রাশিয়ায় এখনো অন্যতম প্রভাবশালী মিডিয়া প্ল্যাটফরম হিসেবে রয়েছে টেলিগ্রাম। এটি একমাত্র প্ল্যাটফরম, যেখানে বিরোধী ও সরকারি মতামত একই সঙ্গে প্রকাশ করা যায়।
রাশিয়ার ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নাগরিকের মধ্যে টেলিগ্রাম বেশি জনপ্রিয়। দেশটিতে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে। টেলিগ্রামের ৩০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলের মধ্যে প্রায় ২৫টি সংবাদ এবং রাজনীতি সংক্রান্ত চ্যানেল রয়েছে। এ ছাড়া কল এবং মেসেজিংয়ের জন্যও জনপ্রিয় টেলিগ্রাম।
রাশিয়ায় স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং রাজনৈতিক আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম টেলিগ্রাম। প্ল্যাটফরমটি ব্যবহার করে রাশিয়ার বাইরে থেকে জনগণের কাছে খবর পৌঁছে দেয় ‘মেডুজা’ (১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার), টিভি রেইন (৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার) ও ‘মিডিয়াজোনা’–এর মতো স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট। অন্যদিকে সরকারপন্থী চ্যানেলগুলোও ব্যাপক দর্শক আকর্ষণ করে। যেমন রিয়া নিউজ (৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবার), রিডোভকা (২৬ লাখ সাবস্ক্রাইবার) ও সলোভিয়ভ লাইভ (১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার)-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলো রাশিয়া সরকারের অবস্থান ও ইউক্রেন যুদ্ধের সমর্থন জানায়।
গত দশ বছরে রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর কারণে প্রচুর সাংবাদিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। টেলিভিশন (৯৮ শতাংশ) ও রেডিও (৭৯ শতাংশ) রাশিয়ার প্রধান সংবাদমাধ্যম হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রতিদিন ৮৪ শতাংশ রুশ নাগরিক সংবাদ জানেন। ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে রাশিয়া। ২০২৪ সালে এই আইনের অধীনে ২ হাজারেও বেশি প্রশাসনিক মামলা এবং ২৭৩টি অপরাধমূলক মামলা হয়েছে।
২০২২ সালে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার বন্ধ হওয়ার পর লাখ লাখ রুশ নাগরিক টেলিগ্রাম ব্যবহার শুরু করেন। এটি এখন খবর ও রাজনৈতিক আলোচনা কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত ভকন্টাক্টে ও ওডনোক্লাসনিকি প্ল্যাটফরম টেলিগ্রামের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।
রাশিয়া টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ নয় কেন
সরকার এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো, জনমতের প্রভাব বিস্তার এবং রাষ্ট্রীয় অবস্থান সমর্থন করার জন্য টেলিগ্রাম ব্যবহার করা হয়। সম্ভবত এসব কারণে অন্যান্য প্ল্যাটফরমের মতো রাশিয়ায় নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ হয়নি টেলিগ্রাম।
এটির জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ হলো—ম্যাসেজিং অ্যাপ হিসেবে প্ল্যাটফরমটির ব্যবহার করা বেশ সহজ। এটি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর কাজ সহজ করে দেয়। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় জনমত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না। আবার যারা বিকল্প ব্যবস্থায় তথ্যের উৎস খোঁজেন, তাঁদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল এটি। তাই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে কোনো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে টেলিগ্রাম বিকল্প মতামত প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে কাজ করে।
রাশিয়া সরকারের কাছে টেলিগ্রামের গুরুত্ব বাড়াতে প্রধান কারণ হলো—প্ল্যাটফরমটি পশ্চিমা কোম্পানির মালিকানাধীন নয়। যেমন—ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মেটা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি।
এ ছাড়া বিতর্কিত কনটেন্ট যেমন ডিজিটাল পাইরেসি বা কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়ে বেশি কঠোর নয় রাশিয়া। দেশটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ ধরনের বিষয়ের ওপর কম গুরুত্ব দেয়, যা বিদেশি কোম্পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। তাই এ বিষয়টিও টেলিগ্রামের প্রতি রাশিয়ার সরকারের সমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছে।
টেলিগ্রামের মডারেশন পলিসি অনুযায়ী প্ল্যাটফরমটি কনটেন্ট শেয়ারের ওপর কম নিয়ন্ত্রণ করে। আরএন্ডটুএন্ড এনক্রিপশনের সুবিধা থাকায় ব্যবহারকারীর তথ্যও গোপন থাকে। এসব নীতি রাশিয়ায় টেলিগ্রামের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত আগস্ট মাসে ফ্রান্সের এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পাভেল দুরভকে। এরপর তিনি ম্যাসেজিং অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছেন।
টেলিগ্রাম বলেছে, এই পরিবর্তনগুলো অ্যাপটিতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ কমাতেও সহায়তা করবে। তবে এসব পরিবর্তন অ্যাপটিকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অনুযায়ী আরও বেশি সাড়া দিতে বাধ্য করবে বলে ব্যবহারকারীরা উদ্বিগ্ন। এটি তাদের গোপনীয়তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। । কারণ এসব পরিবর্তনের ফলে রাষ্ট্রের নজরদারির হাত থেকে তাদের তথ্য নিরাপদ থাকবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম বন্ধ হলেও টেলিগ্রাম রাশিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের তথ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিরোধী মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। এর গোপনীয়তা নীতি ও নিরাপত্তার কারণে এটি রাশিয়ার জনগণের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উৎস। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এটি নিষিদ্ধ না করার পেছনে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছে।
তথ্যসূত্র: দ্য কনভারসেশন

রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ বেশ কিছু পশ্চিমা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয় রাশিয়ার সরকার। এর ফলে টেলিগ্রামের দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়েন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এটি দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফরম। রাশিয়া সরকার টেলিগ্রাম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
এসব কারণ স্পষ্টভাবে বুঝতে রাশিয়ার নাগরিকদের টেলিগ্রামের ব্যবহার ও দেশটির সরকারে সঙ্গে গণমাধ্যমে সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে টেলিগ্রাম রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতার সম্মুখীন হলেও রাশিয়ায় এখনো অন্যতম প্রভাবশালী মিডিয়া প্ল্যাটফরম হিসেবে রয়েছে টেলিগ্রাম। এটি একমাত্র প্ল্যাটফরম, যেখানে বিরোধী ও সরকারি মতামত একই সঙ্গে প্রকাশ করা যায়।
রাশিয়ার ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নাগরিকের মধ্যে টেলিগ্রাম বেশি জনপ্রিয়। দেশটিতে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে। টেলিগ্রামের ৩০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলের মধ্যে প্রায় ২৫টি সংবাদ এবং রাজনীতি সংক্রান্ত চ্যানেল রয়েছে। এ ছাড়া কল এবং মেসেজিংয়ের জন্যও জনপ্রিয় টেলিগ্রাম।
রাশিয়ায় স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং রাজনৈতিক আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম টেলিগ্রাম। প্ল্যাটফরমটি ব্যবহার করে রাশিয়ার বাইরে থেকে জনগণের কাছে খবর পৌঁছে দেয় ‘মেডুজা’ (১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার), টিভি রেইন (৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার) ও ‘মিডিয়াজোনা’–এর মতো স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট। অন্যদিকে সরকারপন্থী চ্যানেলগুলোও ব্যাপক দর্শক আকর্ষণ করে। যেমন রিয়া নিউজ (৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবার), রিডোভকা (২৬ লাখ সাবস্ক্রাইবার) ও সলোভিয়ভ লাইভ (১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার)-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলো রাশিয়া সরকারের অবস্থান ও ইউক্রেন যুদ্ধের সমর্থন জানায়।
গত দশ বছরে রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর কারণে প্রচুর সাংবাদিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। টেলিভিশন (৯৮ শতাংশ) ও রেডিও (৭৯ শতাংশ) রাশিয়ার প্রধান সংবাদমাধ্যম হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রতিদিন ৮৪ শতাংশ রুশ নাগরিক সংবাদ জানেন। ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে রাশিয়া। ২০২৪ সালে এই আইনের অধীনে ২ হাজারেও বেশি প্রশাসনিক মামলা এবং ২৭৩টি অপরাধমূলক মামলা হয়েছে।
২০২২ সালে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার বন্ধ হওয়ার পর লাখ লাখ রুশ নাগরিক টেলিগ্রাম ব্যবহার শুরু করেন। এটি এখন খবর ও রাজনৈতিক আলোচনা কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত ভকন্টাক্টে ও ওডনোক্লাসনিকি প্ল্যাটফরম টেলিগ্রামের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।
রাশিয়া টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ নয় কেন
সরকার এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো, জনমতের প্রভাব বিস্তার এবং রাষ্ট্রীয় অবস্থান সমর্থন করার জন্য টেলিগ্রাম ব্যবহার করা হয়। সম্ভবত এসব কারণে অন্যান্য প্ল্যাটফরমের মতো রাশিয়ায় নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ হয়নি টেলিগ্রাম।
এটির জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ হলো—ম্যাসেজিং অ্যাপ হিসেবে প্ল্যাটফরমটির ব্যবহার করা বেশ সহজ। এটি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর কাজ সহজ করে দেয়। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় জনমত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না। আবার যারা বিকল্প ব্যবস্থায় তথ্যের উৎস খোঁজেন, তাঁদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল এটি। তাই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে কোনো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে টেলিগ্রাম বিকল্প মতামত প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে কাজ করে।
রাশিয়া সরকারের কাছে টেলিগ্রামের গুরুত্ব বাড়াতে প্রধান কারণ হলো—প্ল্যাটফরমটি পশ্চিমা কোম্পানির মালিকানাধীন নয়। যেমন—ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মেটা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি।
এ ছাড়া বিতর্কিত কনটেন্ট যেমন ডিজিটাল পাইরেসি বা কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়ে বেশি কঠোর নয় রাশিয়া। দেশটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ ধরনের বিষয়ের ওপর কম গুরুত্ব দেয়, যা বিদেশি কোম্পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। তাই এ বিষয়টিও টেলিগ্রামের প্রতি রাশিয়ার সরকারের সমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছে।
টেলিগ্রামের মডারেশন পলিসি অনুযায়ী প্ল্যাটফরমটি কনটেন্ট শেয়ারের ওপর কম নিয়ন্ত্রণ করে। আরএন্ডটুএন্ড এনক্রিপশনের সুবিধা থাকায় ব্যবহারকারীর তথ্যও গোপন থাকে। এসব নীতি রাশিয়ায় টেলিগ্রামের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত আগস্ট মাসে ফ্রান্সের এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পাভেল দুরভকে। এরপর তিনি ম্যাসেজিং অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছেন।
টেলিগ্রাম বলেছে, এই পরিবর্তনগুলো অ্যাপটিতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ কমাতেও সহায়তা করবে। তবে এসব পরিবর্তন অ্যাপটিকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অনুযায়ী আরও বেশি সাড়া দিতে বাধ্য করবে বলে ব্যবহারকারীরা উদ্বিগ্ন। এটি তাদের গোপনীয়তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। । কারণ এসব পরিবর্তনের ফলে রাষ্ট্রের নজরদারির হাত থেকে তাদের তথ্য নিরাপদ থাকবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম বন্ধ হলেও টেলিগ্রাম রাশিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের তথ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিরোধী মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। এর গোপনীয়তা নীতি ও নিরাপত্তার কারণে এটি রাশিয়ার জনগণের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উৎস। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এটি নিষিদ্ধ না করার পেছনে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছে।
তথ্যসূত্র: দ্য কনভারসেশন

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১১ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪০ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ও টুইটারসহ বেশ কিছু পশ্চিমা সামাজিক প্ল্যাটফরম বন্ধ করে দেয় রাশিয়ার সরকার। এর ফলে টেলিগ্রামের দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়েন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এটি
১১ অক্টোবর ২০২৪
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪০ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ও টুইটারসহ বেশ কিছু পশ্চিমা সামাজিক প্ল্যাটফরম বন্ধ করে দেয় রাশিয়ার সরকার। এর ফলে টেলিগ্রামের দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়েন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এটি
১১ অক্টোবর ২০২৪
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১১ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ও টুইটারসহ বেশ কিছু পশ্চিমা সামাজিক প্ল্যাটফরম বন্ধ করে দেয় রাশিয়ার সরকার। এর ফলে টেলিগ্রামের দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়েন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এটি
১১ অক্টোবর ২০২৪
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১১ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪০ মিনিট আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
ইউআরএল দেখুন
ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন
একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।
লোগো ও ডিজাইন দেখুন
অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন
যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ডিজিসার্ট

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
ইউআরএল দেখুন
ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন
একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।
লোগো ও ডিজাইন দেখুন
অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন
যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ডিজিসার্ট

রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ও টুইটারসহ বেশ কিছু পশ্চিমা সামাজিক প্ল্যাটফরম বন্ধ করে দেয় রাশিয়ার সরকার। এর ফলে টেলিগ্রামের দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়েন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এটি
১১ অক্টোবর ২০২৪
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১১ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪০ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে