কে এম সানাউল হক

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসে সবখানেই। খাবারের থালা থেকে শুরু করে স্মার্টফোন কোনো কিছুই এর বাইরে নয়। জীবনে কর্মের প্রতিটি পর্যায়ে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তেমনি ঐতিহ্য, আচার-প্রথাও এসবে মিলে নতুন রূপে বিকশিত হয়েছে। মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এর মূলে রয়েছে বিশ্বাস। এই বিশ্বাস তৈরি হয় মানুষের ভৌগোলিক অবস্থান, সাংস্কৃতিক আবহ, ধর্ম-গোত্র ইত্যাদি থেকে। সমাজ যতই পরিবর্তিত হয়, মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকাণ্ডে সে বিশ্বাস মিশে থাকে। আমাদের এখনকার জীবনও এর বাইরে নয়।
ধরা যাক, স্মার্টফোনের ওয়ালপেপার। স্ক্রিনসেভারে ডিফল্ট ছবিটি পরিবর্তন করে যে ছবিটি একজন ব্যবহারকারী রাখেন, সেটা তাঁর খুব প্রিয় বলেই রাখেন। অনেকে হয়তো সেখানে বিশেষ কিছু রাখতে চেয়েও পারেন না, নানা বিবেচনায়। স্মার্টফোনের অনেক ছবির মাঝখানে দিনে শতবার দেখা ওই ছবিটির মাহাত্ম্য একজন মানুষের জীবনে অনেক গভীর; খুব ব্যক্তিগত।
আবার কোনো করপোরেট কর্মকর্তার একই রঙের টাই ব্যবহারের গভীরে তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ছোঁয়াকে অস্বীকার করা যায় না। হয়তো নীল রঙের টাই পরে কোনো একদিন অফিসে হাজির হয়ে তিনি কোনো এক অভাবনীয় শুভ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছেন। এরপরই তাঁর মনে বিশ্বাস জন্মেছে যে নীল রঙের টাই তাঁর জন্য শুভ। তিনি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিন সেই একই রঙের টাই পরে অফিসে যান। এসব সংস্কার স্মার্ট জীবনে রয়েছে।
প্রবণতাটা প্রাচীন
প্রিয় বা শুভ কোনো কিছুকে আগলে রাখার বাসনা মানুষের বহু প্রাচীন। আদিম সভ্যতা থেকেই নানা পরিপ্রেক্ষিতে এর বিবর্তন ঘটেছে বহুমাত্রিক উপায়ে। এখনো এমন কিছু ভাস্কর্য, চিত্রকলা দেখা যায়, যেগুলো দৃশ্যমান করে রাখাই হতো নিজেদের স্মরণে, মননে, চিন্তায় সে বিষয়বস্তুকে স্থান দিতে। যেমন মানিব্যাগে রাখা ছবি, টেবিলে রাখা বা দেয়ালে বাঁধাই করা ছবি, নানা ভাস্কর্যে কিংবা নানা স্মৃতিময় বস্তু, যেমন আংটি, মালা বা চেইন, ঘড়ি, চুড়ি ইত্যাদি। বর্তমানে এসবেরই পরম্পরায় স্মার্টফোনে আমরা ছবি তুলি এবং দেখি কিংবা ভিডিও করি। নিদেনপক্ষে কথা বা শব্দ ধরে রাখি, ফোনবুকে সেভ করে রাখি বিশেষ কোনো নাম। এই জমানায় সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সম্পর্কগত বিষয়গুলো যখন ভার্চুয়াল হয়ে গেছে, এ প্রবণতা তখন বাড়ছে বই কমছে না।
স্মার্ট দুনিয়ায় যাপন সংস্কার
দৈনন্দিন নানা কাজে যখন স্মার্ট ডিভাইস যুক্ত হলো তখন মানুষ সহজভাবেই তার হাজার বছর ধরে বয়ে বেড়ানো সংস্কারচর্চার স্থান অবচেতনভাবেই দিয়েছে। নানা কাজের মধ্য দিয়ে সেসবের প্রতিফলন দেখা যায় প্রতিনিয়ত। ধর্মীয় কৃত্যকে সহায়তা করার জন্য আজান বা সাহ্রির সময়ের অ্যালার্ট, কিবলার দিক সন্ধান, বিভিন্ন দিনক্ষণের হিসাব, বিভিন্ন পূজার সময়, মহালয়ার ধ্বনি, বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তব্য, ধর্মীয় সংগীত ইত্যাদিসহ আরও অনেক সেবা প্রতিদিন আপগ্রেডসহ স্মার্ট ডিভাইসে পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্ট ডিভাইসগুলো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কার, আচার-প্রথা পালনের ব্যবস্থা করেই তাদের বাণিজ্য টিকিয়ে রেখেছে। প্রযুক্তিপণ্যের বাণিজ্যের প্রসারে সংস্কারের ভূমিকা কোনো অংশেই নগণ্য নয়।
মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এর মূলে রয়েছে বিশ্বাস। এই বিশ্বাস তৈরি হয় মানুষের ভৌগোলিক অবস্থান, সাংস্কৃতিক আবহ, ধর্ম-গোত্র ইত্যাদি থেকে। সমাজ যতই পরিবর্তিত হয়, মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকাণ্ডে সে বিশ্বাস মিশে থাকে। আমাদের এখনকার জীবনও এর বাইরে নয়।
যদি গানের কথা ধরা যায়, বলতে হয় গান শুধু আমাদের নয়, পুরো বিশ্বসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গান নিয়ে স্মার্ট দুনিয়ায় উন্মাদনার শেষ নেই। ইন্টারনেট সংযোগ সাপেক্ষে স্মার্টফোন বা স্মার্টটিভিতে ব্যবহার উপযোগী ইউটিউব, স্পটিফাই, সাউন্ড ক্লাউড, ফেসবুক উল্লেখযোগ্য অ্যাপস মানুষের কাছে গান পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যেকোনো সময় যেকোনো গান শোনা বা গান গাওয়ার বৈচিত্র্যময় ফিচারও এখন স্মার্টফোনে সহজলভ্য। বলা যায়, এই জমানায় গান স্মার্ট ডিভাইসেই জনপ্রিয় হয়, সেখানেই আলোচনা-সমালোচনা হয়, সেটা নিয়ে নানা মিমস-মিমিক্রি-কভারও হয়। গানের চর্চায় পরিবর্তন এসেছে এটা সত্য। কিন্তু গান আরও গভীর ব্যঞ্জনায় আরও সহজে মিশে রয়েছে জীবনের প্রতিটি স্মরণীয় এবং সাধারণ মুহূর্তে।
প্রাত্যহিক জীবনে জমা-খরচের হিসাব, দিনক্ষণের হিসাব, পিরিয়ডের হিসাব, ভ্রমণ পরিকল্পনা, সব ধরনের কেনাকাটা, চিকিৎসকের পরামর্শ, এমনকি ফোনকলে কথা শুরুর আগে ও শেষে ছোট্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়ে সালাম বা প্রণাম জানানো হয়, সেখানেও, সংস্কার বহন করে চলে মানুষ। বিনিময়প্রথা থেকে শুরু হওয়া আজকের স্মার্টব্যাংকিং আমাদের আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজনকে আধুনিক উপায়ে মেটাচ্ছে। ট্রেন, বাস, বিমান, লঞ্চ-সব ধরনের টিকিট স্মার্টফোনেই কাটা যাচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট আইডি আমাদের দাপ্তরিক কাজের প্রক্রিয়াকে করেছে তুলনামূলক সহজ। অনেক ক্ষেত্রে স্মার্টফোনে আইডি কার্ডের ছবি প্রদর্শন করে বা কিউআর কোড স্ক্যান করেও প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেওয়া যাচ্ছে।
অন্যায়ের প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ের আন্দোলনের চেতনা, আমাদের ভূমিতে সংঘটিত বিভিন্ন সংগ্রামের ইতিহাসে প্রোজ্জ্বল। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও রাজনীতিচর্চার বড় অংশ ঘটছে স্মার্ট ডিভাইসেই। সশরীরে প্রতিবাদ-আন্দোলনের আগে সংগঠিত হওয়ার জন্য স্মার্ট দুনিয়ার শরণাপন্ন হওয়াই বর্তমান সময়ের সহজ সমাধান। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমের কোনো পোস্ট-কমেন্টের মাধ্যমে জানানো সাধুবাদ কিংবা সমালোচনাও এই চেতনার আধুনিক রূপ।
চিঠির বদলে ভিন্ন কিছু
এখন সেই চিঠির প্রচলন আর তেমন নেই। কাগজ-কলমের সম্মিলনে মনের কথা সাজানো এক কারুশিল্প। সে কারু ঠিক হারায়নি; নবরূপে রূপান্তরিত হয়েছে। মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটের ফিচারের দিকে লক্ষ করলেই এই ডিজিটাল ক্র্যাফটিং প্রতীয়মান হয়। এখন মানুষের সঙ্গে মানুষের সরাসরি দেখা করার মতো যোগাযোগ কমলেও মনের সঙ্গে মনের সংযুক্তি আরও শক্তিশালী। মানুষের হয়তো এখন অনেক বিচ্ছিন্ন। কিন্তু স্মার্টলি অনেক সন্নিকটে এবং একতাবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, স্মার্টটিভি, স্মার্টফ্রিজ, স্মার্টলাইট, স্মার্ট স্পিকার ইত্যাদি ডিভাইসের ভূমিকা বর্তমানে অত্যধিক। এখানে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বহুমাত্রিক সেবা পেয়ে থাকে ব্যবহারকারী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, করোনাকালীন মহামারির ভেতর প্রথাগত কর্মসম্পাদন প্রক্রিয়ার বাইরে এসে প্রযুক্তির উৎকর্ষে নির্ধারিত কাজের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে।
পুরো পৃথিবীই এখন নতুন যৌগিক, সমন্বিত সংস্কারের পথে এগিয়ে চলেছে। সেই ছন্দে মিল পেয়ে হয়তো একজন লেখক লিখছেন, শিল্পী ছবি আঁকছেন কিংবা যে যাঁর অফিসের বা ব্যবসার কাজ করে অন্ন সংস্থান করছেন বা গৃহস্থালির কাজ করছেন। অ্যানালগ কিংবা স্মার্ট, এমনতর প্রতিটি জীবনকর্মের ভেতর দিয়ে প্রতিনিয়ত
প্রতিফলিত হচ্ছে নিজেদের সংস্কার।
লেখক: শিক্ষক, থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, কক্সবাজার

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসে সবখানেই। খাবারের থালা থেকে শুরু করে স্মার্টফোন কোনো কিছুই এর বাইরে নয়। জীবনে কর্মের প্রতিটি পর্যায়ে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তেমনি ঐতিহ্য, আচার-প্রথাও এসবে মিলে নতুন রূপে বিকশিত হয়েছে। মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এর মূলে রয়েছে বিশ্বাস। এই বিশ্বাস তৈরি হয় মানুষের ভৌগোলিক অবস্থান, সাংস্কৃতিক আবহ, ধর্ম-গোত্র ইত্যাদি থেকে। সমাজ যতই পরিবর্তিত হয়, মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকাণ্ডে সে বিশ্বাস মিশে থাকে। আমাদের এখনকার জীবনও এর বাইরে নয়।
ধরা যাক, স্মার্টফোনের ওয়ালপেপার। স্ক্রিনসেভারে ডিফল্ট ছবিটি পরিবর্তন করে যে ছবিটি একজন ব্যবহারকারী রাখেন, সেটা তাঁর খুব প্রিয় বলেই রাখেন। অনেকে হয়তো সেখানে বিশেষ কিছু রাখতে চেয়েও পারেন না, নানা বিবেচনায়। স্মার্টফোনের অনেক ছবির মাঝখানে দিনে শতবার দেখা ওই ছবিটির মাহাত্ম্য একজন মানুষের জীবনে অনেক গভীর; খুব ব্যক্তিগত।
আবার কোনো করপোরেট কর্মকর্তার একই রঙের টাই ব্যবহারের গভীরে তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ছোঁয়াকে অস্বীকার করা যায় না। হয়তো নীল রঙের টাই পরে কোনো একদিন অফিসে হাজির হয়ে তিনি কোনো এক অভাবনীয় শুভ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছেন। এরপরই তাঁর মনে বিশ্বাস জন্মেছে যে নীল রঙের টাই তাঁর জন্য শুভ। তিনি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিন সেই একই রঙের টাই পরে অফিসে যান। এসব সংস্কার স্মার্ট জীবনে রয়েছে।
প্রবণতাটা প্রাচীন
প্রিয় বা শুভ কোনো কিছুকে আগলে রাখার বাসনা মানুষের বহু প্রাচীন। আদিম সভ্যতা থেকেই নানা পরিপ্রেক্ষিতে এর বিবর্তন ঘটেছে বহুমাত্রিক উপায়ে। এখনো এমন কিছু ভাস্কর্য, চিত্রকলা দেখা যায়, যেগুলো দৃশ্যমান করে রাখাই হতো নিজেদের স্মরণে, মননে, চিন্তায় সে বিষয়বস্তুকে স্থান দিতে। যেমন মানিব্যাগে রাখা ছবি, টেবিলে রাখা বা দেয়ালে বাঁধাই করা ছবি, নানা ভাস্কর্যে কিংবা নানা স্মৃতিময় বস্তু, যেমন আংটি, মালা বা চেইন, ঘড়ি, চুড়ি ইত্যাদি। বর্তমানে এসবেরই পরম্পরায় স্মার্টফোনে আমরা ছবি তুলি এবং দেখি কিংবা ভিডিও করি। নিদেনপক্ষে কথা বা শব্দ ধরে রাখি, ফোনবুকে সেভ করে রাখি বিশেষ কোনো নাম। এই জমানায় সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সম্পর্কগত বিষয়গুলো যখন ভার্চুয়াল হয়ে গেছে, এ প্রবণতা তখন বাড়ছে বই কমছে না।
স্মার্ট দুনিয়ায় যাপন সংস্কার
দৈনন্দিন নানা কাজে যখন স্মার্ট ডিভাইস যুক্ত হলো তখন মানুষ সহজভাবেই তার হাজার বছর ধরে বয়ে বেড়ানো সংস্কারচর্চার স্থান অবচেতনভাবেই দিয়েছে। নানা কাজের মধ্য দিয়ে সেসবের প্রতিফলন দেখা যায় প্রতিনিয়ত। ধর্মীয় কৃত্যকে সহায়তা করার জন্য আজান বা সাহ্রির সময়ের অ্যালার্ট, কিবলার দিক সন্ধান, বিভিন্ন দিনক্ষণের হিসাব, বিভিন্ন পূজার সময়, মহালয়ার ধ্বনি, বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তব্য, ধর্মীয় সংগীত ইত্যাদিসহ আরও অনেক সেবা প্রতিদিন আপগ্রেডসহ স্মার্ট ডিভাইসে পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্ট ডিভাইসগুলো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কার, আচার-প্রথা পালনের ব্যবস্থা করেই তাদের বাণিজ্য টিকিয়ে রেখেছে। প্রযুক্তিপণ্যের বাণিজ্যের প্রসারে সংস্কারের ভূমিকা কোনো অংশেই নগণ্য নয়।
মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এর মূলে রয়েছে বিশ্বাস। এই বিশ্বাস তৈরি হয় মানুষের ভৌগোলিক অবস্থান, সাংস্কৃতিক আবহ, ধর্ম-গোত্র ইত্যাদি থেকে। সমাজ যতই পরিবর্তিত হয়, মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকাণ্ডে সে বিশ্বাস মিশে থাকে। আমাদের এখনকার জীবনও এর বাইরে নয়।
যদি গানের কথা ধরা যায়, বলতে হয় গান শুধু আমাদের নয়, পুরো বিশ্বসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গান নিয়ে স্মার্ট দুনিয়ায় উন্মাদনার শেষ নেই। ইন্টারনেট সংযোগ সাপেক্ষে স্মার্টফোন বা স্মার্টটিভিতে ব্যবহার উপযোগী ইউটিউব, স্পটিফাই, সাউন্ড ক্লাউড, ফেসবুক উল্লেখযোগ্য অ্যাপস মানুষের কাছে গান পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যেকোনো সময় যেকোনো গান শোনা বা গান গাওয়ার বৈচিত্র্যময় ফিচারও এখন স্মার্টফোনে সহজলভ্য। বলা যায়, এই জমানায় গান স্মার্ট ডিভাইসেই জনপ্রিয় হয়, সেখানেই আলোচনা-সমালোচনা হয়, সেটা নিয়ে নানা মিমস-মিমিক্রি-কভারও হয়। গানের চর্চায় পরিবর্তন এসেছে এটা সত্য। কিন্তু গান আরও গভীর ব্যঞ্জনায় আরও সহজে মিশে রয়েছে জীবনের প্রতিটি স্মরণীয় এবং সাধারণ মুহূর্তে।
প্রাত্যহিক জীবনে জমা-খরচের হিসাব, দিনক্ষণের হিসাব, পিরিয়ডের হিসাব, ভ্রমণ পরিকল্পনা, সব ধরনের কেনাকাটা, চিকিৎসকের পরামর্শ, এমনকি ফোনকলে কথা শুরুর আগে ও শেষে ছোট্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়ে সালাম বা প্রণাম জানানো হয়, সেখানেও, সংস্কার বহন করে চলে মানুষ। বিনিময়প্রথা থেকে শুরু হওয়া আজকের স্মার্টব্যাংকিং আমাদের আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজনকে আধুনিক উপায়ে মেটাচ্ছে। ট্রেন, বাস, বিমান, লঞ্চ-সব ধরনের টিকিট স্মার্টফোনেই কাটা যাচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট আইডি আমাদের দাপ্তরিক কাজের প্রক্রিয়াকে করেছে তুলনামূলক সহজ। অনেক ক্ষেত্রে স্মার্টফোনে আইডি কার্ডের ছবি প্রদর্শন করে বা কিউআর কোড স্ক্যান করেও প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেওয়া যাচ্ছে।
অন্যায়ের প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ের আন্দোলনের চেতনা, আমাদের ভূমিতে সংঘটিত বিভিন্ন সংগ্রামের ইতিহাসে প্রোজ্জ্বল। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও রাজনীতিচর্চার বড় অংশ ঘটছে স্মার্ট ডিভাইসেই। সশরীরে প্রতিবাদ-আন্দোলনের আগে সংগঠিত হওয়ার জন্য স্মার্ট দুনিয়ার শরণাপন্ন হওয়াই বর্তমান সময়ের সহজ সমাধান। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমের কোনো পোস্ট-কমেন্টের মাধ্যমে জানানো সাধুবাদ কিংবা সমালোচনাও এই চেতনার আধুনিক রূপ।
চিঠির বদলে ভিন্ন কিছু
এখন সেই চিঠির প্রচলন আর তেমন নেই। কাগজ-কলমের সম্মিলনে মনের কথা সাজানো এক কারুশিল্প। সে কারু ঠিক হারায়নি; নবরূপে রূপান্তরিত হয়েছে। মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটের ফিচারের দিকে লক্ষ করলেই এই ডিজিটাল ক্র্যাফটিং প্রতীয়মান হয়। এখন মানুষের সঙ্গে মানুষের সরাসরি দেখা করার মতো যোগাযোগ কমলেও মনের সঙ্গে মনের সংযুক্তি আরও শক্তিশালী। মানুষের হয়তো এখন অনেক বিচ্ছিন্ন। কিন্তু স্মার্টলি অনেক সন্নিকটে এবং একতাবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, স্মার্টটিভি, স্মার্টফ্রিজ, স্মার্টলাইট, স্মার্ট স্পিকার ইত্যাদি ডিভাইসের ভূমিকা বর্তমানে অত্যধিক। এখানে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বহুমাত্রিক সেবা পেয়ে থাকে ব্যবহারকারী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, করোনাকালীন মহামারির ভেতর প্রথাগত কর্মসম্পাদন প্রক্রিয়ার বাইরে এসে প্রযুক্তির উৎকর্ষে নির্ধারিত কাজের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে।
পুরো পৃথিবীই এখন নতুন যৌগিক, সমন্বিত সংস্কারের পথে এগিয়ে চলেছে। সেই ছন্দে মিল পেয়ে হয়তো একজন লেখক লিখছেন, শিল্পী ছবি আঁকছেন কিংবা যে যাঁর অফিসের বা ব্যবসার কাজ করে অন্ন সংস্থান করছেন বা গৃহস্থালির কাজ করছেন। অ্যানালগ কিংবা স্মার্ট, এমনতর প্রতিটি জীবনকর্মের ভেতর দিয়ে প্রতিনিয়ত
প্রতিফলিত হচ্ছে নিজেদের সংস্কার।
লেখক: শিক্ষক, থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, কক্সবাজার

অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১৪ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
২ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না। এই প্রেক্ষাপটে ‘চর্চা’ নিজেকে উপস্থাপন করছে একটি অনুশীলনকেন্দ্রিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশের এডটেক খাতে এই উদ্যোগের ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেছেন চর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উল ইসলাম সানজিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান

চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।
চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসে সবখানেই। খাবারের থালা থেকে শুরু করে স্মার্টফোন কোনো কিছুই এর বাইরে নয়। জীবনে কর্মের প্রতিটি পর্যায়ে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তেমনি ঐতিহ্য, আচার-প্রথাও এসবে মিলে নতুন রূপে...
১৮ আগস্ট ২০২২
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১৪ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
২ দিন আগেমইনুল হাসান, ফ্রান্স

মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁরা বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন ৩০০ পাতার এক বিশাল সচিত্র প্রতিবেদন। তাঁরা সে প্রতিবেদনে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জীবন নিয়ে খেলা চলবে না। সে বিজ্ঞানীরা আয়নার মধ্যে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের অতি মারাত্মক অশনিসংকেত পাচ্ছেন। কারণ, পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারে ‘মিরর লাইফ’ বা ‘আয়না জীবন’ উদ্ভাবনে একই সঙ্গে বহু বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। বিশেষ করে চীনের ওয়েস্ট লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী টিং ঝু জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে আয়না জীবন উদ্ভাবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
‘আয়না জীবন’ একধরনের কৃত্রিম জীবন। প্রকৃতিতে জীবনের প্রধান আণবিক উপাদান, অনুঘটক প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ ইত্যাদির অণুগুলো অসমমিতিক অর্থাৎ মাঝখান থেকে বিভাজন করলে দুটি অসমান অংশে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া এই অণুগুলো একটি বিশেষ নকশার আকারে সাজানো। কোনোটি ডান দিকে ঘোরানো আবার কোনোটি বাঁ দিকে। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব জীবের ডিএনএ ডান দিকে আর প্রোটিন পাক খায় বাঁ দিকে। কিন্তু ‘মিরর লাইফ’-এ বিষয়টা একদম উল্টো, এখানে ডিএনএ বাঁ দিকে আর প্রোটিন পাক খায় ডান দিকে। ডান ও বাঁ হাতের মতো। দেখতে ঠিক এক রকম, একে অন্যের প্রতিবিম্ব, তবে ভিন্ন। কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর মানুষ আজও জানে না। প্রকৃতির এ এক অভেদ্য রহস্য।
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, জীবনের এই ডান দিককে বাঁ দিকে আর বাঁ দিককে ডান দিকে করে নতুন ধরনের জীবন উদ্ভাবনের। প্রকৃতির এই ‘ডান’ ও ‘বাঁ’-এর বিপরীতে গিয়ে গবেষণাগারে জীবনের সরল মডেল এককোষী ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ পরিবর্তন করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিলে অর্থাৎ আয়নার প্রতিবিম্ব অনুসারে অণুগুলো গঠন করলে সৃষ্টি হবে ‘আয়না ব্যাকটেরিয়া’। বাইরে থেকে সেগুলোর কোনো পার্থক্য করা যাবে না। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তা হবে এক অব্যর্থ মহৌষধ।
তবে বহু বিজ্ঞানীর মতে, এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তাঁরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে এমন গঠনের অণুজীব যদি একবার তৈরি হয়, তবে তা পৃথিবীর বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্রতিটি জীবের দেহে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরে প্রাণঘাতী অণুজীব বা ভাইরাস ঢুকে পড়লে, জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারী কোষকে পর্যুদস্ত করতে শুরু করে। ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট এই আয়না ব্যাকটেরিয়াকে জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শনাক্ত করতে মোটেই সক্ষম নয়।

ডান হাতের দস্তানা যেমন বাঁ হাতে ঢোকানো সহজসাধ্য নয়, তেমনই জীবদেহের প্রকৃতিপ্রদত্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আয়না ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে মোটেও কার্যকর নয়। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া খাদক ভাইরাস দিয়েও একে নির্মূল করা যাবে না। কোনো রকম অসতর্কতা বা ভুলের কারণে গবেষণাগার থেকে এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের আয়না ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়লে দ্রুত সংক্রমিত করবে পুরো জীবজগৎ। শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করবে না এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক না থাকায় পশুপাখি, উদ্ভিদ, জলজ জীব এমনকি মানুষও এই অভিশপ্ত অণুজীবের মরণ কামড় থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্বব্যাপী উজাড় হবে প্রাণ, সমাপ্তি ঘটবে মাটির পৃথিবীতে দৃশ্যমান জীবনের, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিবৃতিদাতা বিজ্ঞানীরাসহ অনেকেই। হতে পারে কোনো এক অশুভ শক্তির হাতে পৌঁছে গেছে এই প্রাণঘাতী এবং অপ্রতিরোধ্য, অতি ক্ষুদ্র আয়না অণুজীব। তাহলে তা হবে এক অতি ভয়ংকর মারণাস্ত্র।
সূত্র: ‘সিয়োন্স এ আভেনির’, ফ্রান্স।

মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁরা বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন ৩০০ পাতার এক বিশাল সচিত্র প্রতিবেদন। তাঁরা সে প্রতিবেদনে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জীবন নিয়ে খেলা চলবে না। সে বিজ্ঞানীরা আয়নার মধ্যে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের অতি মারাত্মক অশনিসংকেত পাচ্ছেন। কারণ, পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারে ‘মিরর লাইফ’ বা ‘আয়না জীবন’ উদ্ভাবনে একই সঙ্গে বহু বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। বিশেষ করে চীনের ওয়েস্ট লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী টিং ঝু জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে আয়না জীবন উদ্ভাবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
‘আয়না জীবন’ একধরনের কৃত্রিম জীবন। প্রকৃতিতে জীবনের প্রধান আণবিক উপাদান, অনুঘটক প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ ইত্যাদির অণুগুলো অসমমিতিক অর্থাৎ মাঝখান থেকে বিভাজন করলে দুটি অসমান অংশে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া এই অণুগুলো একটি বিশেষ নকশার আকারে সাজানো। কোনোটি ডান দিকে ঘোরানো আবার কোনোটি বাঁ দিকে। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব জীবের ডিএনএ ডান দিকে আর প্রোটিন পাক খায় বাঁ দিকে। কিন্তু ‘মিরর লাইফ’-এ বিষয়টা একদম উল্টো, এখানে ডিএনএ বাঁ দিকে আর প্রোটিন পাক খায় ডান দিকে। ডান ও বাঁ হাতের মতো। দেখতে ঠিক এক রকম, একে অন্যের প্রতিবিম্ব, তবে ভিন্ন। কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর মানুষ আজও জানে না। প্রকৃতির এ এক অভেদ্য রহস্য।
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, জীবনের এই ডান দিককে বাঁ দিকে আর বাঁ দিককে ডান দিকে করে নতুন ধরনের জীবন উদ্ভাবনের। প্রকৃতির এই ‘ডান’ ও ‘বাঁ’-এর বিপরীতে গিয়ে গবেষণাগারে জীবনের সরল মডেল এককোষী ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ পরিবর্তন করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিলে অর্থাৎ আয়নার প্রতিবিম্ব অনুসারে অণুগুলো গঠন করলে সৃষ্টি হবে ‘আয়না ব্যাকটেরিয়া’। বাইরে থেকে সেগুলোর কোনো পার্থক্য করা যাবে না। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তা হবে এক অব্যর্থ মহৌষধ।
তবে বহু বিজ্ঞানীর মতে, এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তাঁরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে এমন গঠনের অণুজীব যদি একবার তৈরি হয়, তবে তা পৃথিবীর বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্রতিটি জীবের দেহে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরে প্রাণঘাতী অণুজীব বা ভাইরাস ঢুকে পড়লে, জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারী কোষকে পর্যুদস্ত করতে শুরু করে। ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট এই আয়না ব্যাকটেরিয়াকে জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শনাক্ত করতে মোটেই সক্ষম নয়।

ডান হাতের দস্তানা যেমন বাঁ হাতে ঢোকানো সহজসাধ্য নয়, তেমনই জীবদেহের প্রকৃতিপ্রদত্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আয়না ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে মোটেও কার্যকর নয়। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া খাদক ভাইরাস দিয়েও একে নির্মূল করা যাবে না। কোনো রকম অসতর্কতা বা ভুলের কারণে গবেষণাগার থেকে এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের আয়না ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়লে দ্রুত সংক্রমিত করবে পুরো জীবজগৎ। শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করবে না এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক না থাকায় পশুপাখি, উদ্ভিদ, জলজ জীব এমনকি মানুষও এই অভিশপ্ত অণুজীবের মরণ কামড় থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্বব্যাপী উজাড় হবে প্রাণ, সমাপ্তি ঘটবে মাটির পৃথিবীতে দৃশ্যমান জীবনের, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিবৃতিদাতা বিজ্ঞানীরাসহ অনেকেই। হতে পারে কোনো এক অশুভ শক্তির হাতে পৌঁছে গেছে এই প্রাণঘাতী এবং অপ্রতিরোধ্য, অতি ক্ষুদ্র আয়না অণুজীব। তাহলে তা হবে এক অতি ভয়ংকর মারণাস্ত্র।
সূত্র: ‘সিয়োন্স এ আভেনির’, ফ্রান্স।

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসে সবখানেই। খাবারের থালা থেকে শুরু করে স্মার্টফোন কোনো কিছুই এর বাইরে নয়। জীবনে কর্মের প্রতিটি পর্যায়ে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তেমনি ঐতিহ্য, আচার-প্রথাও এসবে মিলে নতুন রূপে...
১৮ আগস্ট ২০২২
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১৩ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক

অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম
চেষ্টা করুন পরিচিত ও পরীক্ষিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনতে। নতুন কোনো ওয়েবসাইটে কেনাকাটার আগে সেটি আসল কি না, প্রতিষ্ঠানটি কত দিন ধরে ব্যবসা করছে—এসব বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নিন।
ব্র্যান্ড ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানুন
কেনার আগে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজ নিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিজ্ঞাপন বা গ্রাহক রিভিউ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা যায়।
অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না
অনলাইনে কেনাকাটার সময় যেসব ওয়েবসাইট অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য চায়, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা অতিরিক্ত গোপন তথ্য, সেসব প্ল্যাটফর্ম এড়িয়ে চলুন। সাধারণ কেনাকাটার জন্য এসব তথ্যের প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন
ব্যাংক কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা এখন স্বাভাবিক হলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে। সম্ভব হলে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা বিশ্বস্ত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করুন।
পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন
ফ্রি বা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে যেকোনো আর্থিক লেনদেন করা ঝুঁকিপূর্ণ। অনলাইনে পেমেন্টের সময় ব্যক্তিগত বা নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: গ্লোবাল সাইবার

অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম
চেষ্টা করুন পরিচিত ও পরীক্ষিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনতে। নতুন কোনো ওয়েবসাইটে কেনাকাটার আগে সেটি আসল কি না, প্রতিষ্ঠানটি কত দিন ধরে ব্যবসা করছে—এসব বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নিন।
ব্র্যান্ড ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানুন
কেনার আগে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজ নিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিজ্ঞাপন বা গ্রাহক রিভিউ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা যায়।
অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না
অনলাইনে কেনাকাটার সময় যেসব ওয়েবসাইট অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য চায়, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা অতিরিক্ত গোপন তথ্য, সেসব প্ল্যাটফর্ম এড়িয়ে চলুন। সাধারণ কেনাকাটার জন্য এসব তথ্যের প্রয়োজন হয় না।
নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন
ব্যাংক কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা এখন স্বাভাবিক হলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে। সম্ভব হলে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা বিশ্বস্ত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করুন।
পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন
ফ্রি বা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে যেকোনো আর্থিক লেনদেন করা ঝুঁকিপূর্ণ। অনলাইনে পেমেন্টের সময় ব্যক্তিগত বা নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: গ্লোবাল সাইবার

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসে সবখানেই। খাবারের থালা থেকে শুরু করে স্মার্টফোন কোনো কিছুই এর বাইরে নয়। জীবনে কর্মের প্রতিটি পর্যায়ে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তেমনি ঐতিহ্য, আচার-প্রথাও এসবে মিলে নতুন রূপে...
১৮ আগস্ট ২০২২
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১৪ ঘণ্টা আগে
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।
গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’
এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।
গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।
গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’
এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।
গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসে সবখানেই। খাবারের থালা থেকে শুরু করে স্মার্টফোন কোনো কিছুই এর বাইরে নয়। জীবনে কর্মের প্রতিটি পর্যায়ে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তেমনি ঐতিহ্য, আচার-প্রথাও এসবে মিলে নতুন রূপে...
১৮ আগস্ট ২০২২
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১৩ ঘণ্টা আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১৪ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য অর্ডার করার সুবিধা থাকলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। তবে কেনাকাটার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকলে এসব প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
১৫ ঘণ্টা আগে