অনলাইন ডেস্ক
চাকরির বাজারে এক নতুন হুমকির নাম—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে প্রতারকেরা এখন তৈরি করছে ভুয়া প্রোফাইল। এসব ভুয়া প্রোফাইল দিয়ে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দূর থেকে কাজ করার সুযোগ পেতে চায় প্রতারকেরা।
ইতিমধ্যেই চাকরির আবেদন প্রক্রিয়ার প্রায় প্রতিটি ধাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তাদের আসল পরিচয় গোপন করতে পারে প্রতারকেরা। তারা এআই দিয়ে তৈরি করতে পারে ভুয়া জীবনবৃত্তান্ত (রেজুমে), পেশাদার ছবি, ওয়েবসাইট এবং লিংকডইন প্রোফাইল। সবকিছু মিলিয়ে, এআইয়ের সাহায্যে তৈরি করা যায় এমন এক আদর্শ চাকরিপ্রার্থীর প্রোফাইল–যার বাস্তবে কোনো অস্তিত্বই নেই।
একবার তারা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারলে, এই প্রতারকেরা কোম্পানির গোপন তথ্য চুরি করতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল করতে পারে।
যদিও পরিচয় চুরির ঘটনা নতুন নয়। তবে প্রতারকদের কাজকে আরও বড় পরিসরে পরিচালনা করতে সাহায্য করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। সমস্যাটি দিন দিন বাড়ছে। এআইয়ের কারণে এখন চাকরির বাজারে ভুয়া প্রার্থীদের ভিড় বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মতে, ২০২৮ সালের মধ্যে প্রতি চারজন চাকরিপ্রার্থীর একজন হবেন ভুয়া।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ভিডক সিকিউরিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ডেভিড মোচজাদলো সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে এমনই এক প্রতারকের মুখোমুখি হন। ইন্টারভিউর ভিডিওটি ভাইরাল হয় লিংকডইনে।
তিনি সিবিএস নিউজকে বলেন, তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে হতবাক হয়ে যান।
মোচজাদলো বলেন, ‘আমাদের কিছুটা অপমান করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছিল। কারণ, আমরা তো নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।’
যখন তাঁর সন্দেহ হয় যে প্রার্থী এআই ফিল্টার ব্যবহার করছে, তখন মোচজাদলো একটি সাধারণ প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি আপনার হাতটা মুখের সামনে ধরতে পারেন?’
এটি ছিল একধরনের পরীক্ষা। কারণ, অধিকাংশ এআইভিত্তিক ফেস ফিল্টারে মুখ ঢাকলে ফিল্টারটি বিকৃত হয়ে যায় বা কাজ করে না।
যখন ওই প্রার্থী মুখের সামনে হাত ধরতে অস্বীকার করেন, তখনই মোচজাদলো ইন্টারভিউটি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, প্রতারক যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছিল, সেটি খুব উন্নত মনে হয়নি। তাই মুখে হাত রাখলে সেই ডিপফেক ফেস ফিল্টার ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি।
এটাই ছিল দ্বিতীয়বার, যখন ভিডক সিকিউরিটি কোনো এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেয়। এই ঘটনার পর পুরো কোম্পানির নিয়োগ প্রক্রিয়াই বদলে ফেলা হয়। এখন থেকে এক দিনের জন্য সরাসরি অফিসে ডেকে আনা হয় চাকরি প্রার্থীদের।
প্রতিষ্ঠানটি ভ্রমণ খরচ বহন করে এবং পুরো এক দিনের কাজের জন্য অর্থ প্রদানও করে। তাদের মতে, বাড়তি এই খরচ নিশ্চয়তার জন্য।
এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ একাধিক নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে, যেখানে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকেরা ভুয়া পরিচয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রিমোট (দূরবর্তী) চাকরি নিচ্ছেন। এসব প্রতারক এআই ব্যবহার করে বানাচ্ছেন ভুয়া পরিচয় এবং তারপর যুক্তরাষ্ট্রের আইটি খাতে চাকরি নিয়ে সেই আয় নিজ দেশে পাচার করছেন।
বিচার বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবছর শত শত মিলিয়ন ডলার আয় হয়—যার বড় একটি অংশ সরাসরি উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যয় হচ্ছে।
মোচজাদলো জানান, ভিডক সিকিউরিটিতে যারা ভুয়া প্রার্থী হিসেবে ধরা পড়েছে, তাদের আচরণও উত্তর কোরিয়ার এসব চক্রের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। যদিও ভিডকের ঘটনা এখনো তদন্তাধীন।
এই অভিজ্ঞতা থেকেই ভিডকের সহপ্রতিষ্ঠাতারা সম্ভাব্য ভুয়া চাকরিপ্রার্থীদের শনাক্তের একটি গাইড তৈরি করেছেন, যা বিভিন্ন খাতের নিয়োগকর্তাদের সাহায্য করবে।
ভুয়া চাকরিপ্রার্থী শনাক্তের ৩টি কার্যকর উপায়—
১. লিংকডইন প্রোফাইল ভালো করে যাচাই করুন: প্রোফাইলটি প্রথম দেখায় সত্যি মনে হলেও ‘মোর’ বোতামে ক্লিক করে ‘অ্যাবাউট দিস প্রোফাইল’ অপশনটি নির্বাচন করুন—এতে প্রোফাইলের তৈরি হওয়ার তারিখ দেখা যাবে। সেই সঙ্গে তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে বলে দাবি করছে, সেখানে সত্যিই তাদের কোনো সংযোগ আছে কি না, সেটিও যাচাই করুন।
২. সংস্কৃতিভিত্তিক প্রশ্ন করুন: কোনো প্রার্থী যদি বলে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা শহরে বড় হয়েছে, তাহলে সেখানকার জনপ্রিয় ক্যাফে, রেস্তোরাঁ বা স্থানীয় অভ্যাস সম্পর্কে প্রশ্ন করুন—এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর একজন স্থানীয় ছাড়া সহজে কেউ দিতে পারে না।
৩. সরাসরি সাক্ষাৎ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য: এখন যেহেতু এআই প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হচ্ছে, কাউকে সত্যিই যাচাই করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সরাসরি দেখা করা। কারণ, সরাসরি সাক্ষাৎকারে প্রতারক ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ
চাকরির বাজারে এক নতুন হুমকির নাম—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে প্রতারকেরা এখন তৈরি করছে ভুয়া প্রোফাইল। এসব ভুয়া প্রোফাইল দিয়ে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দূর থেকে কাজ করার সুযোগ পেতে চায় প্রতারকেরা।
ইতিমধ্যেই চাকরির আবেদন প্রক্রিয়ার প্রায় প্রতিটি ধাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তাদের আসল পরিচয় গোপন করতে পারে প্রতারকেরা। তারা এআই দিয়ে তৈরি করতে পারে ভুয়া জীবনবৃত্তান্ত (রেজুমে), পেশাদার ছবি, ওয়েবসাইট এবং লিংকডইন প্রোফাইল। সবকিছু মিলিয়ে, এআইয়ের সাহায্যে তৈরি করা যায় এমন এক আদর্শ চাকরিপ্রার্থীর প্রোফাইল–যার বাস্তবে কোনো অস্তিত্বই নেই।
একবার তারা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারলে, এই প্রতারকেরা কোম্পানির গোপন তথ্য চুরি করতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল করতে পারে।
যদিও পরিচয় চুরির ঘটনা নতুন নয়। তবে প্রতারকদের কাজকে আরও বড় পরিসরে পরিচালনা করতে সাহায্য করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। সমস্যাটি দিন দিন বাড়ছে। এআইয়ের কারণে এখন চাকরির বাজারে ভুয়া প্রার্থীদের ভিড় বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মতে, ২০২৮ সালের মধ্যে প্রতি চারজন চাকরিপ্রার্থীর একজন হবেন ভুয়া।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ভিডক সিকিউরিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ডেভিড মোচজাদলো সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে এমনই এক প্রতারকের মুখোমুখি হন। ইন্টারভিউর ভিডিওটি ভাইরাল হয় লিংকডইনে।
তিনি সিবিএস নিউজকে বলেন, তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে হতবাক হয়ে যান।
মোচজাদলো বলেন, ‘আমাদের কিছুটা অপমান করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছিল। কারণ, আমরা তো নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।’
যখন তাঁর সন্দেহ হয় যে প্রার্থী এআই ফিল্টার ব্যবহার করছে, তখন মোচজাদলো একটি সাধারণ প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি আপনার হাতটা মুখের সামনে ধরতে পারেন?’
এটি ছিল একধরনের পরীক্ষা। কারণ, অধিকাংশ এআইভিত্তিক ফেস ফিল্টারে মুখ ঢাকলে ফিল্টারটি বিকৃত হয়ে যায় বা কাজ করে না।
যখন ওই প্রার্থী মুখের সামনে হাত ধরতে অস্বীকার করেন, তখনই মোচজাদলো ইন্টারভিউটি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, প্রতারক যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছিল, সেটি খুব উন্নত মনে হয়নি। তাই মুখে হাত রাখলে সেই ডিপফেক ফেস ফিল্টার ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি।
এটাই ছিল দ্বিতীয়বার, যখন ভিডক সিকিউরিটি কোনো এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেয়। এই ঘটনার পর পুরো কোম্পানির নিয়োগ প্রক্রিয়াই বদলে ফেলা হয়। এখন থেকে এক দিনের জন্য সরাসরি অফিসে ডেকে আনা হয় চাকরি প্রার্থীদের।
প্রতিষ্ঠানটি ভ্রমণ খরচ বহন করে এবং পুরো এক দিনের কাজের জন্য অর্থ প্রদানও করে। তাদের মতে, বাড়তি এই খরচ নিশ্চয়তার জন্য।
এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ একাধিক নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে, যেখানে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকেরা ভুয়া পরিচয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রিমোট (দূরবর্তী) চাকরি নিচ্ছেন। এসব প্রতারক এআই ব্যবহার করে বানাচ্ছেন ভুয়া পরিচয় এবং তারপর যুক্তরাষ্ট্রের আইটি খাতে চাকরি নিয়ে সেই আয় নিজ দেশে পাচার করছেন।
বিচার বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবছর শত শত মিলিয়ন ডলার আয় হয়—যার বড় একটি অংশ সরাসরি উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যয় হচ্ছে।
মোচজাদলো জানান, ভিডক সিকিউরিটিতে যারা ভুয়া প্রার্থী হিসেবে ধরা পড়েছে, তাদের আচরণও উত্তর কোরিয়ার এসব চক্রের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। যদিও ভিডকের ঘটনা এখনো তদন্তাধীন।
এই অভিজ্ঞতা থেকেই ভিডকের সহপ্রতিষ্ঠাতারা সম্ভাব্য ভুয়া চাকরিপ্রার্থীদের শনাক্তের একটি গাইড তৈরি করেছেন, যা বিভিন্ন খাতের নিয়োগকর্তাদের সাহায্য করবে।
ভুয়া চাকরিপ্রার্থী শনাক্তের ৩টি কার্যকর উপায়—
১. লিংকডইন প্রোফাইল ভালো করে যাচাই করুন: প্রোফাইলটি প্রথম দেখায় সত্যি মনে হলেও ‘মোর’ বোতামে ক্লিক করে ‘অ্যাবাউট দিস প্রোফাইল’ অপশনটি নির্বাচন করুন—এতে প্রোফাইলের তৈরি হওয়ার তারিখ দেখা যাবে। সেই সঙ্গে তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে বলে দাবি করছে, সেখানে সত্যিই তাদের কোনো সংযোগ আছে কি না, সেটিও যাচাই করুন।
২. সংস্কৃতিভিত্তিক প্রশ্ন করুন: কোনো প্রার্থী যদি বলে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা শহরে বড় হয়েছে, তাহলে সেখানকার জনপ্রিয় ক্যাফে, রেস্তোরাঁ বা স্থানীয় অভ্যাস সম্পর্কে প্রশ্ন করুন—এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর একজন স্থানীয় ছাড়া সহজে কেউ দিতে পারে না।
৩. সরাসরি সাক্ষাৎ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য: এখন যেহেতু এআই প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হচ্ছে, কাউকে সত্যিই যাচাই করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সরাসরি দেখা করা। কারণ, সরাসরি সাক্ষাৎকারে প্রতারক ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ
দীর্ঘ ভ্রমণের আগে গাড়ির ট্যাংক পূর্ণ করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আকাশপথে এ যুক্তি খুব একটা কার্যকর নয়। বাণিজ্যিক বিমান সাধারণত ওড়ার সময় তার ট্যাংকভর্তি করে জ্বালানি নেয় না এবং এটি কোনো ভুলে নয়—বরং সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, হিসাব করা ও বিধি অনুসারে।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাপল তাদের প্রথম আইফোন উন্মোচনের ২০ বছর পূর্তিতে ২০২৭ সালে এক বৈপ্লবিক ডিজাইনের আইফোন আনতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষক মার্ক গুরম্যান। ব্লুমবার্গে প্রকাশিত তার ‘পাওয়ার অন’ নিউজলেটারে তিনি উল্লেখ করেন, অ্যাপল সেই বছরে ‘প্রায় সম্পূর্ণ কাচের, বাঁকানো ডিসপ্লের আইফোন’ বাজারে আনবে, যাতে কোনো
২ ঘণ্টা আগেপার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই...
৪ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব গোটা বিশ্বের মতো এবার ক্যাথলিক চার্চকেও ভাবিয়ে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে কথা বললেন নবনির্বাচিত পোপ লিও চতুর্দশ।
৬ ঘণ্টা আগে