Ajker Patrika

আইফোন ১৬ সিরিজে যেসব এআই ফিচার পাওয়া যাবে 

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪: ০৫
আইফোন ১৬ সিরিজে যেসব এআই ফিচার পাওয়া যাবে 

বিভিন্ন স্মার্টফোনে গত বছর থেকেই এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচার যুক্ত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবার নতুন আইফোন সিরিজে বিভিন্ন এআই ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে। আইফোন ১৬ সিরিজের উন্মোচন অনুষ্ঠানে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচারগুলোর কথা ব্যাপকভাবে উল্লেখ করেছে অ্যাপল। টেক্সটের সারসংক্ষেপ তৈরি, কল রেকর্ডিংকে টেক্সটে রূপান্তর, নিজের চেহারা দিয়ে ইমোজি তৈরির মতো মজার মজার কাজ করা যাবে এসব ফিচারের মাধ্যমে। কোম্পানিটির এআইভিত্তিক মডেল অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের সমর্থনে ফিচারগুলো ব্যবহার করা যাবে। 

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরে আইওএস ১৮ উন্মোচন বা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরে বাজারে আসা আইফোন ১৬ সিরিজে সব ফিচার পাওয়া যাবে না। কারণ আইফোন ১৬ মডেলগুলোতে পর্যায়ক্রমে ফিচারগুলো যুক্ত করবে অ্যাপল। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাদে অ্যাপলের প্রথম সেটের এআই ফিচারগুলো আগামী মাসে বিভিন্ন অঞ্চলে ছাড়া হবে। এটি আইফোন ১৫ প্রো এবং সব আইফোন ১৬ মডেলের পাশাপাশি এমওয়ান বা তার পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাপল সিলিকন চিপযুক্ত ম্যাক এবং আইপ্যাডে পাওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ফিচারগুলো শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার করা যাবে। 

রাইটিং টুলস
টেক্সট রিরাইট: এই টুলের মাধ্যমে ই-মেইল খসড়াটিকে আরও পেশাদারভাবে রূপান্তরিত করতে পারে। এটি ই-মেইলকে সংক্ষিপ্ত করতে বা বন্ধুসুলভ স্বরে পরিবর্তন করতে পারেন। 
প্রুফরিড: প্রুফরিডিং ফিচারটি বাস্তব জীবনের মতোই ব্যাকরণ ও বাক্য গঠন সংশোধন করবে এবং লেখার বিভিন্ন অংশে উন্নত শব্দ যুক্ত করার প্রস্তাব দেবে। 
সামারাইজ টেক্সট: এই টুলের মাধ্যমে টেক্সটের সারসংক্ষেপ তৈরি করা যাবে। মূল লেখার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো রেখে দেবে। এমনকি এসব টেক্সট দিয়ে বুলেট তালিকা বা টেবিলও তৈরি করে দিতে পারবে। 
স্মার্ট রিপ্লাই: এটি মেইল বা অন্যান্য স্থানে উত্তর দেওয়ার জন্য কিছু প্রাসঙ্গিক পরামর্শ দেবে। 

অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সমর্থিত নতুন সিরি
আইফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে জনপ্রিয় হলো সিরি। তবে এবার এআই প্রযুক্তি নতুন সিরির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এতে আরও উন্নত ফিচার যুক্ত হয়েছে। 

নতুন নকশা: আইফোন, আইপ্যাড, বা কারপ্লেতে, সিরি স্ক্রিনের প্রান্তে একটি রেইনবো বা রঙধনুর রিং হিসেবে দেখা যাবে এবং ম্যাকে সিরি ভাসমান অবস্থায় থাকবে, যা ডেস্কটপের যেকোনো জায়গায় রাখা যাবে। 
অ্যাপলের নতুন ভাষার মডেল: অ্যাপলের অন-ডিভাইস ল্যাঙ্গুয়েজ বা ভাষা মডেলের মাধ্যমে সিরি আরও স্মার্ট এবং ভাষা বিশ্লেষণে আরও দক্ষ হবে। এদিকে জটিল প্রশ্নগুলো অ্যাপলের ‘প্রাইভেট ক্লাউড কম্পিউট’ সার্ভারে পাঠানো হবে। তবে এই ক্লাউড কোনো ডেটা সংরক্ষণ করে না বলে দাবি করেছে অ্যাপল। 
টাইপ টু সিরি: কথা বলার পরিবর্তে এখন আপনি যেকোনো সময় অ্যাসিস্ট্যান্টকে প্রশ্ন টাইপ করে পাঠাতে পারবেন। এর ফলে এটি জনসম্মুখে ব্যবহার করতে পারবেন। 
ক্লিন আপ: গুগলের ম্যাজিক ইরেজারের মতো ক্লিন আপ ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বা অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তুগুলো মুছে ফেলবে। এমনকি মুছে ফেলা বস্তুদের ছায়াও সরিয়ে দেবে। 
সার্চ: বিভিন্ন শব্দ টাইপ করে করে ছবি খুঁজতে পারবেন। এর মাধ্যমে যা ছবির লাইব্রেরি স্ক্রল করে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তা খুঁজে পাওয়া যাবে। 
মেমোরিজ: এআইকে বিভিন্ন প্রম্পট দিয়ে বা নির্দেশনা দিয়ে এবং আইফোনের ফটোগ্রাফি লাইব্রেরির মিডিয়া ব্যবহার করে সিনেমাও তৈরি করা যাবে। সিনেমার গল্পটি নাটকীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা কয়েকটি অধ্যায়ে বিভক্ত থাকবে। 

ট্রান্সক্রিপশন 
ফোন কল রেকর্ডিং এবং ট্রান্সক্রিপশন: আইফোনে এখন ফোন কল রেকর্ড করা যাবে এবং পুরো কলের ট্রান্সক্রিপশন তৈরি করে দেবে। পুরো ফোন কলের রেকর্ডিং টেক্সটে রূপান্তর করে দেবে। ফিচারটি সক্রিয় করলে ফোন কল থাকা সকল পক্ষকে জানানো হবে যে, কলটি রেকর্ড করা হচ্ছে। 
নোটসে ভয়েস রেকর্ডিং: নোটস অ্যাপে সরাসরি অডিও রেকর্ড করতে পারবেন এবং এটি কোনো বক্তৃতা টেক্সটে রূপান্তর করতে পারবে। এ ছাড়া নোটস অ্যাপেও অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের অন্যান্য লেখার টুলও ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া পুরো রেকর্ডিং এর সারসংক্ষেপও তৈরি করবে। 

অ্যাপল জানিয়েছে, অন্যান্য এআই ফিচারগুলো ‘এই বছরের শেষের দিকে পরে এবং পরবর্তী মাসগুলোতে’ ছাড়া হবে। অর্থাৎ, ফিচারগুলো অক্টোবরেই আসতে পারে, অথবা আগামী গ্রীষ্ম বা শরৎকালেও আসতে পারে। 

ভিজুয়াল ইনটেলিজেন্স: ফিচারটি গুগল লেন্সের মতো কাজ করবে। কোনো কিছুর ছবি তুলে দিলে আইফোন সেই জিনিস অনলাইনে খুঁজে দেবে আইফোন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি ক্যাফের সামনের অংশের ছবি তুলে দিলে এর মেনু ও সময়সূচি সম্পর্কে তথ্য দেবে। একটি কনসার্ট পোস্টারের ছবি তুলে দিলে এআই কনসার্টের তারিখটি ফোনের ক্যালেন্ডারে চিহ্নিত করে রাখবে। ভিজ্যুয়াল ইনটেলিজেন্স আইফোন ১৬ এবং ১৬ প্রোতে ক্যামেরা কন্ট্রোল সাইড বাটন ব্যবহার করে সক্রিয় করা যাবে। 

জেনইমোজি: টেক্সট প্রম্পট বা নির্দেশনা দিয়ে ব্যবহারকারীরা নিজের চেহারা দিয়ে ইমোজি তৈরি করতে পারবেন। এ ছাড়া অ্যাপলের ইমেজ জেনারেটর মনমতো নতুন ইমোজি তৈরি করে দেবে যা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে। 

ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড: কাস্টম ইমোজি তৈরির পাশাপাশি অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ভবিষ্যতে কাস্টম ইমেজও তৈরি করবে। অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা যে ধরনের ছবি চান তার জন্য একটি টেক্সট প্রম্পট দিলেই (সাধারণত কিছু বাস্তব সীমাবদ্ধতা থাকবে), অ্যাপলের মডেলগুলো একটি ছবি তৈরি করে দেবে। 

চ্যাটজিপিটির ব্যবহার: যেখানে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের লেখার টুলগুলো থাকবে, সেখানে অতিরিক্ত জেনারেটিভ এআই অপশন হিসেবে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। চ্যাটজিপিটি সিরিকে জিজ্ঞেস করা জটিল প্রশ্নের আরও ভালো উত্তর দিতে পারবে। 

সিরির সঙ্গে থার্ড-পার্টি অ্যাপের সংযোগ: অ্যাপল বলছে, ভবিষ্যতে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে সিরি বিভিন্ন কাজ করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, সিরি ফটো অ্যাপের ছবি ব্যবহার করে একটি ইমেজ এডিটিং অ্যাপে ছবি সম্পাদনা করতে পারবে। অর্থাৎ সিরি ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে কাজ করবে। 

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুগলের নতুন এআই টুল

টি এইচ মাহির 
গুগলের নতুন এআই টুল

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

google

ডিসকো

ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।

এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।

ভাইব কোডিং

গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

mixboard

মিক্সবোর্ড

গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা

ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।

গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।

সূত্র: গুগল ব্লগ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

ফিচার ডেস্ক
বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ

বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।

কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি

গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা

২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।

গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।

মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।

ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি

ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।

ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।

ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।

স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।

উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।

আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।

সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়

এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।

আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।

এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।

ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ

দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।

সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

ফিচার ডেস্ক
ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।

ইউআরএল দেখুন

ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।

ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন

একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।

লোগো ও ডিজাইন দেখুন

অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।

অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন

অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।

ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন

যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।

সূত্র: ডিজিসার্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত