আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
মাইন্ড আপলোডিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি তথ্য—স্মৃতি, আত্মসচেতনতা, অনুভব এবং চিন্তার ধরণ—কম্পিউটারে হুবহু কপি করে রাখা যাবে। আপনি তখন আর বাস্তব জগতে হেঁটে বেড়াবেন না, বরং ডিজিটাল জগতে চিরজীবী হয়ে যাবেন।
এই ডিজিটাল সত্ত্বা হবে এমন, যার নিজস্ব স্মৃতি থাকবে, নিজেকে নিজেই চিনবে এবং আপনার মনে হবে—এটাই আপনি। পার্থক্য হলো—তখন আর কোনো দেহ থাকবে না।
তবে সেই ডিজিটাল জগতে কোনো সীমা থাকবে না। বরং আপনি খেতে পারবেন, গাড়ি চালাতে পারবেন, খেলাধুলা করতে পারবেন। এমনকি অসম্ভব কাজগুলোও সম্ভব হবে—যেমন দেয়ালের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, পাখির মতো উড়ে যাওয়া বা অন্য গ্রহে ভ্রমণ করা। একমাত্র সীমা থাকবে বিজ্ঞানের ক্ষমতার মধ্যে।
এই ধারণাটি বাস্তবায়নযোগ্য কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডব্রোমির রাহনেভ বলছেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানের জ্ঞান এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে বিজ্ঞান ইতিপূর্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। মানুষকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে, মানব জিনোমের রহস্য উন্মোচন করেছে, এবং স্মলপক্সের মতো রোগ নির্মূল করেছে।’
মানব মস্তিষ্ককে অনেক সময় ‘পরিচিত মহাবিশ্বের সবচেয়ে জটিল বস্তু’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেজন্যই মানুষের সম্পূর্ণ মনকে কম্পিউটারে স্থানান্তর করা এক বিশাল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ।’
বিজ্ঞানের মতে, মস্তিষ্ক আপলোড করলেও সেটি আগের মতো ইনপুট বা অনুভূতির অভিজ্ঞতা চাইবে। অর্থাৎ, আপনার চোখ, কান, ঘ্রাণ, স্পর্শ, ব্যথা-বোধ, নাড়ির গতি বা এমনকি নিদ্রাচক্রও ডিজিটালভাবে সিমুলেট করতে হবে।
তাই এসব অনুভূতি ছাড়াই মস্তিষ্ককে কেবল ‘চিন্তার’ মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যেমন—অন্ধকার ঘরে, নিঃশব্দে, বা কোনও অনুভব ছাড়া—তাদের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়। এ ধরনের সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন (ইন্দ্রিয় বঞ্চনা) অনেক সময় মানসিক নির্যাতন হিসেবেও বিবেচিত হয়।
এ কারণে সফল মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য ডিজিটাল পরিবেশ ও অনুভূতি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। সামান্য বিকৃতি হলেও তা মানসিকভাবে বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
মাইন্ড আপলোডিং ধারণাটি বাস্তবে রূপ দিতে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রক্রিয়ার কথা বিবেচনায় আনেন। প্রথম ধাপে প্রয়োজন মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরন ও তার সংযোগগুলোকে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান ও ম্যাপিং করা। প্রতিটি মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকে, প্রতিটি নিউরনের সাইজ একটি অতন্ত্য ক্ষুদ্র। আবার প্রতিটি নিউরন অন্য নিউরনের সঙ্গে অসংখ্য সংযোগ তৈরি করে।
তাই নিউরন স্ক্যান ও ম্যাপিংয়ের জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত উন্নত এক ধরনের ‘মেগা-এমআরআই’, যা এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কেবল একটি মাছির পুরো মস্তিষ্ক ও একটি ইঁদুরের সামান্য অংশ স্ক্যান করতে সক্ষম হয়েছেন।
আর স্ক্যান করেই কাজ শেষ নয়। প্রতিটি নিউরন কীভাবে কাজ করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে নিজের কার্যপ্রণালী বদলায়—সেটাও ডিজিটালভাবে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য শুধু কোষীয় স্তর পর্যন্ত মডেল তৈরি করলেই চলবে, নাকি তার চেয়েও নিচের—আণবিক স্তর পর্যন্ত যেতে হবে তা এখনো জানেন বিজ্ঞানীরা।
অপরদিকে কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, যদি আমরা বুঝতে পারি মস্তিষ্ক কীভাবে চিন্তা তৈরি করে—তাহলে পুরোটা স্ক্যান না করেও কেবল প্রয়োজনীয় অংশগুলো মডেল করেই কাজ চলতে পারে। যেমন: একটি গাড়ি কীভাবে কাজ করে, তা জানলে নতুন গাড়ি বানানো সহজ হয়। তবে জানাশুনা ছাড়াই হুবহু একটি পুরোনো গাড়ি কপি করতে গেলে কাজটি ভয়ংকর কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এই পদ্ধতির প্রধান বাধা হলো—আমরা এখনো জানি না, কয়েক হাজার বা লাখ নিউরন মিলে কীভাবে চিন্তা বা মন তৈরি করে।
আরেকটি পদ্ধতি হলো—মানব মস্তিষ্কের ৮৬ বিলিয়ন নিউরনকে একে একে কৃত্রিম নিউরনে বদলে ফেলা। তাহলে ধীরে ধীরে পুরো মস্তিষ্ক কৃত্রিম হয়ে উঠবে।
তবে সমস্যাটা হলো—এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা একটিও বাস্তব নিউরনকে কৃত্রিম নিউরনে বদলাতে পারেননি।
সবচেয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা বলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেন, এটি এই শতকের শেষের আগে সম্ভব নয়।
তবে রাহনেভ বলেন, ‘এই শতকের মধ্যে মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হবে—এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। যদি এটি হয়ও, তবে সম্ভবত ২০০ বছরের মধ্যে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অর্থাৎ যিনি একদিন চিরজীবী হবেন, এমন একজন মানুষ হয়তো এখনই জন্ম নিচ্ছেন।’
অবশ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি এখন এক্সপোনেনশিয়াল বা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। কম্পিউটিং শক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও অসাধারণ উন্নয়ন হচ্ছে। এ ছাড়া মাইন্ড আপলোডিংয়ের মতো প্রকল্পে বিলিয়নিয়ারদের উৎসাহ কোনো অংশে কম নয়। অনেকেই চিরজীবনের আশায় কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
রাহনেভের মতে, যেহেতু এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তাই একদিন বাস্তবেও সম্ভব হবে। তার মতে, মানুষ একদিন কম্পিউটারের ভেতর চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
মাইন্ড আপলোডিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি তথ্য—স্মৃতি, আত্মসচেতনতা, অনুভব এবং চিন্তার ধরণ—কম্পিউটারে হুবহু কপি করে রাখা যাবে। আপনি তখন আর বাস্তব জগতে হেঁটে বেড়াবেন না, বরং ডিজিটাল জগতে চিরজীবী হয়ে যাবেন।
এই ডিজিটাল সত্ত্বা হবে এমন, যার নিজস্ব স্মৃতি থাকবে, নিজেকে নিজেই চিনবে এবং আপনার মনে হবে—এটাই আপনি। পার্থক্য হলো—তখন আর কোনো দেহ থাকবে না।
তবে সেই ডিজিটাল জগতে কোনো সীমা থাকবে না। বরং আপনি খেতে পারবেন, গাড়ি চালাতে পারবেন, খেলাধুলা করতে পারবেন। এমনকি অসম্ভব কাজগুলোও সম্ভব হবে—যেমন দেয়ালের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, পাখির মতো উড়ে যাওয়া বা অন্য গ্রহে ভ্রমণ করা। একমাত্র সীমা থাকবে বিজ্ঞানের ক্ষমতার মধ্যে।
এই ধারণাটি বাস্তবায়নযোগ্য কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডব্রোমির রাহনেভ বলছেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানের জ্ঞান এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে বিজ্ঞান ইতিপূর্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। মানুষকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে, মানব জিনোমের রহস্য উন্মোচন করেছে, এবং স্মলপক্সের মতো রোগ নির্মূল করেছে।’
মানব মস্তিষ্ককে অনেক সময় ‘পরিচিত মহাবিশ্বের সবচেয়ে জটিল বস্তু’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেজন্যই মানুষের সম্পূর্ণ মনকে কম্পিউটারে স্থানান্তর করা এক বিশাল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ।’
বিজ্ঞানের মতে, মস্তিষ্ক আপলোড করলেও সেটি আগের মতো ইনপুট বা অনুভূতির অভিজ্ঞতা চাইবে। অর্থাৎ, আপনার চোখ, কান, ঘ্রাণ, স্পর্শ, ব্যথা-বোধ, নাড়ির গতি বা এমনকি নিদ্রাচক্রও ডিজিটালভাবে সিমুলেট করতে হবে।
তাই এসব অনুভূতি ছাড়াই মস্তিষ্ককে কেবল ‘চিন্তার’ মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যেমন—অন্ধকার ঘরে, নিঃশব্দে, বা কোনও অনুভব ছাড়া—তাদের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়। এ ধরনের সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন (ইন্দ্রিয় বঞ্চনা) অনেক সময় মানসিক নির্যাতন হিসেবেও বিবেচিত হয়।
এ কারণে সফল মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য ডিজিটাল পরিবেশ ও অনুভূতি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। সামান্য বিকৃতি হলেও তা মানসিকভাবে বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
মাইন্ড আপলোডিং ধারণাটি বাস্তবে রূপ দিতে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রক্রিয়ার কথা বিবেচনায় আনেন। প্রথম ধাপে প্রয়োজন মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরন ও তার সংযোগগুলোকে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান ও ম্যাপিং করা। প্রতিটি মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকে, প্রতিটি নিউরনের সাইজ একটি অতন্ত্য ক্ষুদ্র। আবার প্রতিটি নিউরন অন্য নিউরনের সঙ্গে অসংখ্য সংযোগ তৈরি করে।
তাই নিউরন স্ক্যান ও ম্যাপিংয়ের জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত উন্নত এক ধরনের ‘মেগা-এমআরআই’, যা এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কেবল একটি মাছির পুরো মস্তিষ্ক ও একটি ইঁদুরের সামান্য অংশ স্ক্যান করতে সক্ষম হয়েছেন।
আর স্ক্যান করেই কাজ শেষ নয়। প্রতিটি নিউরন কীভাবে কাজ করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে নিজের কার্যপ্রণালী বদলায়—সেটাও ডিজিটালভাবে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য শুধু কোষীয় স্তর পর্যন্ত মডেল তৈরি করলেই চলবে, নাকি তার চেয়েও নিচের—আণবিক স্তর পর্যন্ত যেতে হবে তা এখনো জানেন বিজ্ঞানীরা।
অপরদিকে কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, যদি আমরা বুঝতে পারি মস্তিষ্ক কীভাবে চিন্তা তৈরি করে—তাহলে পুরোটা স্ক্যান না করেও কেবল প্রয়োজনীয় অংশগুলো মডেল করেই কাজ চলতে পারে। যেমন: একটি গাড়ি কীভাবে কাজ করে, তা জানলে নতুন গাড়ি বানানো সহজ হয়। তবে জানাশুনা ছাড়াই হুবহু একটি পুরোনো গাড়ি কপি করতে গেলে কাজটি ভয়ংকর কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এই পদ্ধতির প্রধান বাধা হলো—আমরা এখনো জানি না, কয়েক হাজার বা লাখ নিউরন মিলে কীভাবে চিন্তা বা মন তৈরি করে।
আরেকটি পদ্ধতি হলো—মানব মস্তিষ্কের ৮৬ বিলিয়ন নিউরনকে একে একে কৃত্রিম নিউরনে বদলে ফেলা। তাহলে ধীরে ধীরে পুরো মস্তিষ্ক কৃত্রিম হয়ে উঠবে।
তবে সমস্যাটা হলো—এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা একটিও বাস্তব নিউরনকে কৃত্রিম নিউরনে বদলাতে পারেননি।
সবচেয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা বলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেন, এটি এই শতকের শেষের আগে সম্ভব নয়।
তবে রাহনেভ বলেন, ‘এই শতকের মধ্যে মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হবে—এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। যদি এটি হয়ও, তবে সম্ভবত ২০০ বছরের মধ্যে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অর্থাৎ যিনি একদিন চিরজীবী হবেন, এমন একজন মানুষ হয়তো এখনই জন্ম নিচ্ছেন।’
অবশ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি এখন এক্সপোনেনশিয়াল বা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। কম্পিউটিং শক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও অসাধারণ উন্নয়ন হচ্ছে। এ ছাড়া মাইন্ড আপলোডিংয়ের মতো প্রকল্পে বিলিয়নিয়ারদের উৎসাহ কোনো অংশে কম নয়। অনেকেই চিরজীবনের আশায় কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
রাহনেভের মতে, যেহেতু এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তাই একদিন বাস্তবেও সম্ভব হবে। তার মতে, মানুষ একদিন কম্পিউটারের ভেতর চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
মাইন্ড আপলোডিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি তথ্য—স্মৃতি, আত্মসচেতনতা, অনুভব এবং চিন্তার ধরণ—কম্পিউটারে হুবহু কপি করে রাখা যাবে। আপনি তখন আর বাস্তব জগতে হেঁটে বেড়াবেন না, বরং ডিজিটাল জগতে চিরজীবী হয়ে যাবেন।
এই ডিজিটাল সত্ত্বা হবে এমন, যার নিজস্ব স্মৃতি থাকবে, নিজেকে নিজেই চিনবে এবং আপনার মনে হবে—এটাই আপনি। পার্থক্য হলো—তখন আর কোনো দেহ থাকবে না।
তবে সেই ডিজিটাল জগতে কোনো সীমা থাকবে না। বরং আপনি খেতে পারবেন, গাড়ি চালাতে পারবেন, খেলাধুলা করতে পারবেন। এমনকি অসম্ভব কাজগুলোও সম্ভব হবে—যেমন দেয়ালের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, পাখির মতো উড়ে যাওয়া বা অন্য গ্রহে ভ্রমণ করা। একমাত্র সীমা থাকবে বিজ্ঞানের ক্ষমতার মধ্যে।
এই ধারণাটি বাস্তবায়নযোগ্য কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডব্রোমির রাহনেভ বলছেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানের জ্ঞান এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে বিজ্ঞান ইতিপূর্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। মানুষকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে, মানব জিনোমের রহস্য উন্মোচন করেছে, এবং স্মলপক্সের মতো রোগ নির্মূল করেছে।’
মানব মস্তিষ্ককে অনেক সময় ‘পরিচিত মহাবিশ্বের সবচেয়ে জটিল বস্তু’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেজন্যই মানুষের সম্পূর্ণ মনকে কম্পিউটারে স্থানান্তর করা এক বিশাল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ।’
বিজ্ঞানের মতে, মস্তিষ্ক আপলোড করলেও সেটি আগের মতো ইনপুট বা অনুভূতির অভিজ্ঞতা চাইবে। অর্থাৎ, আপনার চোখ, কান, ঘ্রাণ, স্পর্শ, ব্যথা-বোধ, নাড়ির গতি বা এমনকি নিদ্রাচক্রও ডিজিটালভাবে সিমুলেট করতে হবে।
তাই এসব অনুভূতি ছাড়াই মস্তিষ্ককে কেবল ‘চিন্তার’ মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যেমন—অন্ধকার ঘরে, নিঃশব্দে, বা কোনও অনুভব ছাড়া—তাদের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়। এ ধরনের সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন (ইন্দ্রিয় বঞ্চনা) অনেক সময় মানসিক নির্যাতন হিসেবেও বিবেচিত হয়।
এ কারণে সফল মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য ডিজিটাল পরিবেশ ও অনুভূতি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। সামান্য বিকৃতি হলেও তা মানসিকভাবে বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
মাইন্ড আপলোডিং ধারণাটি বাস্তবে রূপ দিতে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রক্রিয়ার কথা বিবেচনায় আনেন। প্রথম ধাপে প্রয়োজন মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরন ও তার সংযোগগুলোকে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান ও ম্যাপিং করা। প্রতিটি মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকে, প্রতিটি নিউরনের সাইজ একটি অতন্ত্য ক্ষুদ্র। আবার প্রতিটি নিউরন অন্য নিউরনের সঙ্গে অসংখ্য সংযোগ তৈরি করে।
তাই নিউরন স্ক্যান ও ম্যাপিংয়ের জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত উন্নত এক ধরনের ‘মেগা-এমআরআই’, যা এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কেবল একটি মাছির পুরো মস্তিষ্ক ও একটি ইঁদুরের সামান্য অংশ স্ক্যান করতে সক্ষম হয়েছেন।
আর স্ক্যান করেই কাজ শেষ নয়। প্রতিটি নিউরন কীভাবে কাজ করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে নিজের কার্যপ্রণালী বদলায়—সেটাও ডিজিটালভাবে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য শুধু কোষীয় স্তর পর্যন্ত মডেল তৈরি করলেই চলবে, নাকি তার চেয়েও নিচের—আণবিক স্তর পর্যন্ত যেতে হবে তা এখনো জানেন বিজ্ঞানীরা।
অপরদিকে কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, যদি আমরা বুঝতে পারি মস্তিষ্ক কীভাবে চিন্তা তৈরি করে—তাহলে পুরোটা স্ক্যান না করেও কেবল প্রয়োজনীয় অংশগুলো মডেল করেই কাজ চলতে পারে। যেমন: একটি গাড়ি কীভাবে কাজ করে, তা জানলে নতুন গাড়ি বানানো সহজ হয়। তবে জানাশুনা ছাড়াই হুবহু একটি পুরোনো গাড়ি কপি করতে গেলে কাজটি ভয়ংকর কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এই পদ্ধতির প্রধান বাধা হলো—আমরা এখনো জানি না, কয়েক হাজার বা লাখ নিউরন মিলে কীভাবে চিন্তা বা মন তৈরি করে।
আরেকটি পদ্ধতি হলো—মানব মস্তিষ্কের ৮৬ বিলিয়ন নিউরনকে একে একে কৃত্রিম নিউরনে বদলে ফেলা। তাহলে ধীরে ধীরে পুরো মস্তিষ্ক কৃত্রিম হয়ে উঠবে।
তবে সমস্যাটা হলো—এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা একটিও বাস্তব নিউরনকে কৃত্রিম নিউরনে বদলাতে পারেননি।
সবচেয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা বলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেন, এটি এই শতকের শেষের আগে সম্ভব নয়।
তবে রাহনেভ বলেন, ‘এই শতকের মধ্যে মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হবে—এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। যদি এটি হয়ও, তবে সম্ভবত ২০০ বছরের মধ্যে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অর্থাৎ যিনি একদিন চিরজীবী হবেন, এমন একজন মানুষ হয়তো এখনই জন্ম নিচ্ছেন।’
অবশ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি এখন এক্সপোনেনশিয়াল বা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। কম্পিউটিং শক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও অসাধারণ উন্নয়ন হচ্ছে। এ ছাড়া মাইন্ড আপলোডিংয়ের মতো প্রকল্পে বিলিয়নিয়ারদের উৎসাহ কোনো অংশে কম নয়। অনেকেই চিরজীবনের আশায় কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
রাহনেভের মতে, যেহেতু এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তাই একদিন বাস্তবেও সম্ভব হবে। তার মতে, মানুষ একদিন কম্পিউটারের ভেতর চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
মাইন্ড আপলোডিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি তথ্য—স্মৃতি, আত্মসচেতনতা, অনুভব এবং চিন্তার ধরণ—কম্পিউটারে হুবহু কপি করে রাখা যাবে। আপনি তখন আর বাস্তব জগতে হেঁটে বেড়াবেন না, বরং ডিজিটাল জগতে চিরজীবী হয়ে যাবেন।
এই ডিজিটাল সত্ত্বা হবে এমন, যার নিজস্ব স্মৃতি থাকবে, নিজেকে নিজেই চিনবে এবং আপনার মনে হবে—এটাই আপনি। পার্থক্য হলো—তখন আর কোনো দেহ থাকবে না।
তবে সেই ডিজিটাল জগতে কোনো সীমা থাকবে না। বরং আপনি খেতে পারবেন, গাড়ি চালাতে পারবেন, খেলাধুলা করতে পারবেন। এমনকি অসম্ভব কাজগুলোও সম্ভব হবে—যেমন দেয়ালের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, পাখির মতো উড়ে যাওয়া বা অন্য গ্রহে ভ্রমণ করা। একমাত্র সীমা থাকবে বিজ্ঞানের ক্ষমতার মধ্যে।
এই ধারণাটি বাস্তবায়নযোগ্য কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডব্রোমির রাহনেভ বলছেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানের জ্ঞান এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে বিজ্ঞান ইতিপূর্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। মানুষকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে, মানব জিনোমের রহস্য উন্মোচন করেছে, এবং স্মলপক্সের মতো রোগ নির্মূল করেছে।’
মানব মস্তিষ্ককে অনেক সময় ‘পরিচিত মহাবিশ্বের সবচেয়ে জটিল বস্তু’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেজন্যই মানুষের সম্পূর্ণ মনকে কম্পিউটারে স্থানান্তর করা এক বিশাল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ।’
বিজ্ঞানের মতে, মস্তিষ্ক আপলোড করলেও সেটি আগের মতো ইনপুট বা অনুভূতির অভিজ্ঞতা চাইবে। অর্থাৎ, আপনার চোখ, কান, ঘ্রাণ, স্পর্শ, ব্যথা-বোধ, নাড়ির গতি বা এমনকি নিদ্রাচক্রও ডিজিটালভাবে সিমুলেট করতে হবে।
তাই এসব অনুভূতি ছাড়াই মস্তিষ্ককে কেবল ‘চিন্তার’ মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যেমন—অন্ধকার ঘরে, নিঃশব্দে, বা কোনও অনুভব ছাড়া—তাদের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়। এ ধরনের সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন (ইন্দ্রিয় বঞ্চনা) অনেক সময় মানসিক নির্যাতন হিসেবেও বিবেচিত হয়।
এ কারণে সফল মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য ডিজিটাল পরিবেশ ও অনুভূতি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। সামান্য বিকৃতি হলেও তা মানসিকভাবে বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
মাইন্ড আপলোডিং ধারণাটি বাস্তবে রূপ দিতে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রক্রিয়ার কথা বিবেচনায় আনেন। প্রথম ধাপে প্রয়োজন মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরন ও তার সংযোগগুলোকে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান ও ম্যাপিং করা। প্রতিটি মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকে, প্রতিটি নিউরনের সাইজ একটি অতন্ত্য ক্ষুদ্র। আবার প্রতিটি নিউরন অন্য নিউরনের সঙ্গে অসংখ্য সংযোগ তৈরি করে।
তাই নিউরন স্ক্যান ও ম্যাপিংয়ের জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত উন্নত এক ধরনের ‘মেগা-এমআরআই’, যা এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কেবল একটি মাছির পুরো মস্তিষ্ক ও একটি ইঁদুরের সামান্য অংশ স্ক্যান করতে সক্ষম হয়েছেন।
আর স্ক্যান করেই কাজ শেষ নয়। প্রতিটি নিউরন কীভাবে কাজ করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে নিজের কার্যপ্রণালী বদলায়—সেটাও ডিজিটালভাবে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
মাইন্ড আপলোডিংয়ের জন্য শুধু কোষীয় স্তর পর্যন্ত মডেল তৈরি করলেই চলবে, নাকি তার চেয়েও নিচের—আণবিক স্তর পর্যন্ত যেতে হবে তা এখনো জানেন বিজ্ঞানীরা।
অপরদিকে কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, যদি আমরা বুঝতে পারি মস্তিষ্ক কীভাবে চিন্তা তৈরি করে—তাহলে পুরোটা স্ক্যান না করেও কেবল প্রয়োজনীয় অংশগুলো মডেল করেই কাজ চলতে পারে। যেমন: একটি গাড়ি কীভাবে কাজ করে, তা জানলে নতুন গাড়ি বানানো সহজ হয়। তবে জানাশুনা ছাড়াই হুবহু একটি পুরোনো গাড়ি কপি করতে গেলে কাজটি ভয়ংকর কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এই পদ্ধতির প্রধান বাধা হলো—আমরা এখনো জানি না, কয়েক হাজার বা লাখ নিউরন মিলে কীভাবে চিন্তা বা মন তৈরি করে।
আরেকটি পদ্ধতি হলো—মানব মস্তিষ্কের ৮৬ বিলিয়ন নিউরনকে একে একে কৃত্রিম নিউরনে বদলে ফেলা। তাহলে ধীরে ধীরে পুরো মস্তিষ্ক কৃত্রিম হয়ে উঠবে।
তবে সমস্যাটা হলো—এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা একটিও বাস্তব নিউরনকে কৃত্রিম নিউরনে বদলাতে পারেননি।
সবচেয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা বলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেন, এটি এই শতকের শেষের আগে সম্ভব নয়।
তবে রাহনেভ বলেন, ‘এই শতকের মধ্যে মাইন্ড আপলোডিং সম্ভব হবে—এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। যদি এটি হয়ও, তবে সম্ভবত ২০০ বছরের মধ্যে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অর্থাৎ যিনি একদিন চিরজীবী হবেন, এমন একজন মানুষ হয়তো এখনই জন্ম নিচ্ছেন।’
অবশ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি এখন এক্সপোনেনশিয়াল বা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। কম্পিউটিং শক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও অসাধারণ উন্নয়ন হচ্ছে। এ ছাড়া মাইন্ড আপলোডিংয়ের মতো প্রকল্পে বিলিয়নিয়ারদের উৎসাহ কোনো অংশে কম নয়। অনেকেই চিরজীবনের আশায় কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
রাহনেভের মতে, যেহেতু এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তাই একদিন বাস্তবেও সম্ভব হবে। তার মতে, মানুষ একদিন কম্পিউটারের ভেতর চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ।
৬ ঘণ্টা আগে
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
৭ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৭ ঘণ্টা আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
৮ ঘণ্টা আগেপল্লব শাহরিয়ার

একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ। এই প্রযুক্তির ময়দানেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে দুই পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতীক হয়ে উঠেছে বহু দশক ধরে। অন্যদিকে চীন দেখিয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা আর গতির সমন্বয়ে কত দ্রুত প্রযুক্তিকে বাস্তব শক্তিতে রূপ দেওয়া যায়। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে এই দুই দেশের প্রযুক্তি ব্যবসা আর উদ্ভাবনের চিত্র দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, এটা কোনো একতরফা লড়াই নয়। যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে মৌলিক গবেষণা, এআই সফটওয়্যার ও স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে। আবার চীন এগিয়ে রয়েছে উৎপাদন, বাস্তব প্রয়োগ এবং প্রযুক্তিকে জাতীয় কৌশলের অংশ বানানোয়।
এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, পিছিয়ে থেকেও বিপজ্জনক চীন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন প্রযুক্তির বড় যুদ্ধক্ষেত্র। কে আগে ভালো এআই বানাবে, সেটা এখন আর শুধু ব্যবসার প্রশ্ন নয়; এটা ক্ষমতা, নিরাপত্তা আর ভবিষ্যৎ প্রভাবেরও প্রশ্ন। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের দিকে তাকাই, তাহলে একটা অদ্ভুত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা চোখে পড়ে। আর তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া চীন পিছিয়েও ভীষণভাবে বিপজ্জনক!এআই উদ্ভাবনের মূল শিকড় এখনো মূলত যুক্তরাষ্ট্রে। বড় ভাষা মডেল, জেনারেটিভ এআই, মাল্টিমোডাল সিস্টেম—এই ধারণাগুলোর জন্ম, বিকাশ আর পরিপক্বতা বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। শুধু প্রযুক্তি নয়, এর পেছনে আরও আছে গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের সংযোগ, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস এবং বিশাল বিনিয়োগ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এআই দ্রুত গবেষণা থেকে পণ্যে রূপ নেয়। নতুন কোনো ধারণা জন্মানোর পর সেটাকে স্টার্টআপ, সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে খুব বেশি সময় লাগে না।
এআই সফটওয়্যারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, বিশ্বের প্রভাবশালী এআই প্ল্যাটফর্ম, ডেভেলপার টুলস আর ক্লাউড অবকাঠামোর বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। এর মানে শুধু ভালো এআই বানানো নয়, বরং বিশ্ব কীভাবে এআই ব্যবহার করবে, সেটার মানদণ্ডও তারা ঠিক করছে। কিন্তু চীনের এআই যাত্রা একেবারে ভিন্ন পথে। চীন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবচেয়ে উন্নত কিংবা সৃজনশীল এআই এখনো বানাতে পারেনি। কিন্তু তারা যেটা করেছে, সেটাই তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক করে তুলেছে। এআই প্রযুক্তিকে তারা দ্রুত, ব্যাপক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তবে নামিয়েছে।
চীনে এআই কোনো পরীক্ষাগারের বিষয় নয়; এটা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায়, কারখানায় উৎপাদনে, সরকারি প্রশাসনে, নজরদারি ব্যবস্থায় আর সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঢুকে গেছে। বিশাল জনসংখ্যা আর ডেটার সুবিধা নিয়ে চীন এআই প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগে এমন স্কেল তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চীনে এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন শুধু ব্যবসার হাতে নেই। রাষ্ট্র সরাসরি এই খেলায় আছে। এতে গতি বেড়েছে, সিদ্ধান্ত দ্রুত হয়েছে, আর প্রযুক্তি সরাসরি জাতীয় কৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে। ঠিক এখানেই চীন পিছিয়ে থেকেও হয়ে গেছে বিপজ্জনক।
চিপ যুদ্ধ: এই লড়াই এআইয়ের ভবিষ্যৎ কেন ঠিক করবে
এআই নিয়ে সব কথা এসে ঠেকে যায় যে বিষয়ে, তার নাম চিপ। যত বুদ্ধিমান অ্যালগরিদমই বানানো হোক, শক্তিশালী চিপ ছাড়া এআই আসলে অচল। তাই যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল যুদ্ধটা হচ্ছে এই সেমিকন্ডাক্টর কিংবা চিপ নিয়ে।
এ মুহূর্তে বাস্তবতা হলো, চিপের দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আছে; বিশেষ করে এআইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর, ডিজাইন সফটওয়্যার আর আর্কিটেকচারের বড় অংশ এখনো আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। ফলে বিশ্বজুড়ে যত আধুনিক এআই তৈরি হচ্ছে, তার মস্তিষ্কের বড় অংশই কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
এই এগিয়ে থাকার কারণ শুধু প্রযুক্তি নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম। গবেষণা, ডিজাইন, সফটওয়্যার টুল, ক্লাউড অবকাঠামো—দেশটিতে সব একসঙ্গে কাজ করছে। ফলে নতুন এআই মডেল তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে দ্রুততা ও স্থায়িত্ব—দুটোই।
চীনের সমস্যা শুরু এখানেই, আর তাই এখান থেকে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। কারণ, চীন খুব ভালোভাবে বুঝে গেছে যে তারা যদি চিপের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে, তাহলে এআইতে সত্যিকারের স্বাধীনতা কখনোই আসবে না। তাই ২০২৫ সালে চীন যা করছে, সেটা হলো সরাসরি প্রযুক্তিগত বাধা ভাঙার চেষ্টা না করে; বরং বিকল্প পথ তৈরি করা।
চীন এখন চিপের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে স্বনির্ভর হওয়ার কৌশল নিয়েছে। উন্নত চিপে সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা মাঝারি ক্ষমতার চিপকে বড় পরিসরে ব্যবহার করে এআই চালানোর পদ্ধতি তৈরি করছে। এটা আপাতদৃষ্টে দুর্বলতা মনে হলেও আসলে এটা ভিন্নধর্মী শক্তি। এতে চীন এমন এআই সিস্টেম বানাতে শিখছে, যেগুলো কম খরচে, কম রিসোর্সে কাজ করতে পারে। ভবিষ্যতে এই দক্ষতাই বড় সুবিধা হয়ে উঠতে পারে; বিশেষ করে উন্নয়নশীল বাজারে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। চীনে চিপ উন্নয়ন শুধু বেসরকারি খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সরাসরি অর্থ, নীতি আর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে রাষ্ট্র। এতে ফল আসতে সময় লাগলেও ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে না। এই চিপ যুদ্ধের প্রভাব সরাসরি এআইয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। কারণ, যে দেশ বেশি শক্তিশালী ও সহজলভ্য চিপ বানাতে পারবে, সে দেশই বেশি এআই প্রশিক্ষণ চালাতে পারবে, দ্রুত নতুন মডেল আনতে পারবে এবং বিশ্ববাজারে নিজের মানদণ্ড চাপিয়ে দিতে পারবে।
ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা
প্রযুক্তির আরও একটি ক্ষেত্র আছে, যা সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক প্রভাবকে আঘাত বা শক্তি দিতে পারে। এটি হলো ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা এখানেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি এখানে এসেছে দুটো দিক থেকে। প্রথমত, উচ্চমানের গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে। এআই-চালিত ড্রোন, নজরদারি প্রযুক্তি, আধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত সেন্সর—এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বনেতা। দ্বিতীয়ত হলো, অভিজ্ঞতা। দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ইতিহাস এবং বহুজাতিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রেখেছে; বিশেষ করে জটিল সাইবার ডিফেন্স এবং মহাকাশভিত্তিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে চীনের কৌশল আলাদা। তারা এখানে দ্রুততা ও পরিসরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন দ্রুত নতুন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তায় চীন এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর কার্যক্রম চালাচ্ছে। এটি শুধু আক্রমণাত্মক নয়, প্রতিরক্ষা ও নজরদারিতেও সমানভাবে শক্তিশালী।
ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দৌড়ে কারা এগিয়ে
২০২৫ সালে প্রযুক্তি লড়াই শুধু উদ্ভাবনের নয়; এটি ক্ষমতা, বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং জাতীয় কৌশলের প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা অনেকটা দুই ভিন্ন পথের গল্প—একটি দেশ স্বাধীন উদ্ভাবন ও স্টার্টআপের ওপর নির্ভরশীল, অন্যটি রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও দ্রুত বাস্তবায়নের কৌশলে এগিয়ে।
এই দ্বন্দ্ব একে অপরকে বাতিল করে না; বরং দুই দেশের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা আরও ধারালো ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে। ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন + বাস্তবায়ন + নিরাপত্তা—এই তিনের সমন্বয় যে দেশ ভালো করতে পারবে, সেই দেশ আগামী দশকের প্রযুক্তিগত প্রভাব নির্ধারণ করবে। সংক্ষেপে, ২০২৫ সালের প্রযুক্তি মানচিত্র বলছে, উদ্ভাবনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র, বাস্তব প্রয়োগের দিক থেকে চীন, আর বিশ্ব এই দুই শক্তির প্রতিযোগিতার মধ্যে টেকসই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে।

একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ। এই প্রযুক্তির ময়দানেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে দুই পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতীক হয়ে উঠেছে বহু দশক ধরে। অন্যদিকে চীন দেখিয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা আর গতির সমন্বয়ে কত দ্রুত প্রযুক্তিকে বাস্তব শক্তিতে রূপ দেওয়া যায়। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে এই দুই দেশের প্রযুক্তি ব্যবসা আর উদ্ভাবনের চিত্র দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, এটা কোনো একতরফা লড়াই নয়। যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে মৌলিক গবেষণা, এআই সফটওয়্যার ও স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে। আবার চীন এগিয়ে রয়েছে উৎপাদন, বাস্তব প্রয়োগ এবং প্রযুক্তিকে জাতীয় কৌশলের অংশ বানানোয়।
এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, পিছিয়ে থেকেও বিপজ্জনক চীন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন প্রযুক্তির বড় যুদ্ধক্ষেত্র। কে আগে ভালো এআই বানাবে, সেটা এখন আর শুধু ব্যবসার প্রশ্ন নয়; এটা ক্ষমতা, নিরাপত্তা আর ভবিষ্যৎ প্রভাবেরও প্রশ্ন। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের দিকে তাকাই, তাহলে একটা অদ্ভুত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা চোখে পড়ে। আর তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া চীন পিছিয়েও ভীষণভাবে বিপজ্জনক!এআই উদ্ভাবনের মূল শিকড় এখনো মূলত যুক্তরাষ্ট্রে। বড় ভাষা মডেল, জেনারেটিভ এআই, মাল্টিমোডাল সিস্টেম—এই ধারণাগুলোর জন্ম, বিকাশ আর পরিপক্বতা বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। শুধু প্রযুক্তি নয়, এর পেছনে আরও আছে গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের সংযোগ, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস এবং বিশাল বিনিয়োগ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এআই দ্রুত গবেষণা থেকে পণ্যে রূপ নেয়। নতুন কোনো ধারণা জন্মানোর পর সেটাকে স্টার্টআপ, সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে খুব বেশি সময় লাগে না।
এআই সফটওয়্যারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, বিশ্বের প্রভাবশালী এআই প্ল্যাটফর্ম, ডেভেলপার টুলস আর ক্লাউড অবকাঠামোর বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। এর মানে শুধু ভালো এআই বানানো নয়, বরং বিশ্ব কীভাবে এআই ব্যবহার করবে, সেটার মানদণ্ডও তারা ঠিক করছে। কিন্তু চীনের এআই যাত্রা একেবারে ভিন্ন পথে। চীন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবচেয়ে উন্নত কিংবা সৃজনশীল এআই এখনো বানাতে পারেনি। কিন্তু তারা যেটা করেছে, সেটাই তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক করে তুলেছে। এআই প্রযুক্তিকে তারা দ্রুত, ব্যাপক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তবে নামিয়েছে।
চীনে এআই কোনো পরীক্ষাগারের বিষয় নয়; এটা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায়, কারখানায় উৎপাদনে, সরকারি প্রশাসনে, নজরদারি ব্যবস্থায় আর সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঢুকে গেছে। বিশাল জনসংখ্যা আর ডেটার সুবিধা নিয়ে চীন এআই প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগে এমন স্কেল তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চীনে এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন শুধু ব্যবসার হাতে নেই। রাষ্ট্র সরাসরি এই খেলায় আছে। এতে গতি বেড়েছে, সিদ্ধান্ত দ্রুত হয়েছে, আর প্রযুক্তি সরাসরি জাতীয় কৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে। ঠিক এখানেই চীন পিছিয়ে থেকেও হয়ে গেছে বিপজ্জনক।
চিপ যুদ্ধ: এই লড়াই এআইয়ের ভবিষ্যৎ কেন ঠিক করবে
এআই নিয়ে সব কথা এসে ঠেকে যায় যে বিষয়ে, তার নাম চিপ। যত বুদ্ধিমান অ্যালগরিদমই বানানো হোক, শক্তিশালী চিপ ছাড়া এআই আসলে অচল। তাই যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল যুদ্ধটা হচ্ছে এই সেমিকন্ডাক্টর কিংবা চিপ নিয়ে।
এ মুহূর্তে বাস্তবতা হলো, চিপের দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আছে; বিশেষ করে এআইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর, ডিজাইন সফটওয়্যার আর আর্কিটেকচারের বড় অংশ এখনো আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। ফলে বিশ্বজুড়ে যত আধুনিক এআই তৈরি হচ্ছে, তার মস্তিষ্কের বড় অংশই কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
এই এগিয়ে থাকার কারণ শুধু প্রযুক্তি নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম। গবেষণা, ডিজাইন, সফটওয়্যার টুল, ক্লাউড অবকাঠামো—দেশটিতে সব একসঙ্গে কাজ করছে। ফলে নতুন এআই মডেল তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে দ্রুততা ও স্থায়িত্ব—দুটোই।
চীনের সমস্যা শুরু এখানেই, আর তাই এখান থেকে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। কারণ, চীন খুব ভালোভাবে বুঝে গেছে যে তারা যদি চিপের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে, তাহলে এআইতে সত্যিকারের স্বাধীনতা কখনোই আসবে না। তাই ২০২৫ সালে চীন যা করছে, সেটা হলো সরাসরি প্রযুক্তিগত বাধা ভাঙার চেষ্টা না করে; বরং বিকল্প পথ তৈরি করা।
চীন এখন চিপের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে স্বনির্ভর হওয়ার কৌশল নিয়েছে। উন্নত চিপে সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা মাঝারি ক্ষমতার চিপকে বড় পরিসরে ব্যবহার করে এআই চালানোর পদ্ধতি তৈরি করছে। এটা আপাতদৃষ্টে দুর্বলতা মনে হলেও আসলে এটা ভিন্নধর্মী শক্তি। এতে চীন এমন এআই সিস্টেম বানাতে শিখছে, যেগুলো কম খরচে, কম রিসোর্সে কাজ করতে পারে। ভবিষ্যতে এই দক্ষতাই বড় সুবিধা হয়ে উঠতে পারে; বিশেষ করে উন্নয়নশীল বাজারে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। চীনে চিপ উন্নয়ন শুধু বেসরকারি খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সরাসরি অর্থ, নীতি আর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে রাষ্ট্র। এতে ফল আসতে সময় লাগলেও ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে না। এই চিপ যুদ্ধের প্রভাব সরাসরি এআইয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। কারণ, যে দেশ বেশি শক্তিশালী ও সহজলভ্য চিপ বানাতে পারবে, সে দেশই বেশি এআই প্রশিক্ষণ চালাতে পারবে, দ্রুত নতুন মডেল আনতে পারবে এবং বিশ্ববাজারে নিজের মানদণ্ড চাপিয়ে দিতে পারবে।
ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা
প্রযুক্তির আরও একটি ক্ষেত্র আছে, যা সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক প্রভাবকে আঘাত বা শক্তি দিতে পারে। এটি হলো ডিফেন্স টেক ও সাইবার নিরাপত্তা। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা এখানেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি এখানে এসেছে দুটো দিক থেকে। প্রথমত, উচ্চমানের গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে। এআই-চালিত ড্রোন, নজরদারি প্রযুক্তি, আধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত সেন্সর—এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বনেতা। দ্বিতীয়ত হলো, অভিজ্ঞতা। দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ইতিহাস এবং বহুজাতিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রেখেছে; বিশেষ করে জটিল সাইবার ডিফেন্স এবং মহাকাশভিত্তিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে চীনের কৌশল আলাদা। তারা এখানে দ্রুততা ও পরিসরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন দ্রুত নতুন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তায় চীন এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর কার্যক্রম চালাচ্ছে। এটি শুধু আক্রমণাত্মক নয়, প্রতিরক্ষা ও নজরদারিতেও সমানভাবে শক্তিশালী।
ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দৌড়ে কারা এগিয়ে
২০২৫ সালে প্রযুক্তি লড়াই শুধু উদ্ভাবনের নয়; এটি ক্ষমতা, বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং জাতীয় কৌশলের প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিযোগিতা অনেকটা দুই ভিন্ন পথের গল্প—একটি দেশ স্বাধীন উদ্ভাবন ও স্টার্টআপের ওপর নির্ভরশীল, অন্যটি রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও দ্রুত বাস্তবায়নের কৌশলে এগিয়ে।
এই দ্বন্দ্ব একে অপরকে বাতিল করে না; বরং দুই দেশের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা আরও ধারালো ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে। ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন + বাস্তবায়ন + নিরাপত্তা—এই তিনের সমন্বয় যে দেশ ভালো করতে পারবে, সেই দেশ আগামী দশকের প্রযুক্তিগত প্রভাব নির্ধারণ করবে। সংক্ষেপে, ২০২৫ সালের প্রযুক্তি মানচিত্র বলছে, উদ্ভাবনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র, বাস্তব প্রয়োগের দিক থেকে চীন, আর বিশ্ব এই দুই শক্তির প্রতিযোগিতার মধ্যে টেকসই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে।

ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
০১ জুন ২০২৫
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
৭ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৭ ঘণ্টা আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
৮ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
০১ জুন ২০২৫
একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৭ ঘণ্টা আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
০১ জুন ২০২৫
একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ।
৬ ঘণ্টা আগে
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
৭ ঘণ্টা আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন শারীরিক অস্তিত্ব ছাড়াই কেবল কম্পিউটারের ভেতর ‘ডিজিটাল সত্ত্বা’ হিসেবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে। এই বিস্ময়কর ও অদ্ভুত ধারণাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘মাইন্ড আপলোডিং’। তবে এই ধারণা একদিন বাস্তব হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
০১ জুন ২০২৫
একসময় বিশ্বক্ষমতার হিসাব কষা হতো অস্ত্রের সংখ্যা কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, রোবট, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও তথ্যের নিয়ন্ত্রণ।
৬ ঘণ্টা আগে
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
৭ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৭ ঘণ্টা আগে