আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগন সলিউশনসের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুর সরকারের নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার একদল গবেষক।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত একাডেমিক ও সিকিউরিটি গবেষকদের সমন্বয়ে গঠিত সিটিজেন ল্যাব। তারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্পাইওয়্যার শিল্পের তদন্ত করছে। এবার তারা ইসরায়েলে প্রতিষ্ঠিত নজরদারি স্টার্টআপ প্যারাগন সলিউশনস সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তারা ছয়টি সরকারের নাম তালিকাভুক্ত করেছে, যারা প্যারাগনের নজরদারি টুল ব্যবহার করে।
এর আগে জানুয়ারিতে প্রায় ৯০ জন ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে হোয়াটসঅ্যাপ। মেটা জানায়, প্যারাগন স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে তাঁদের ওপর নজরদারির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই কেলেঙ্কারি ইতালিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কারণ সেখানে কিছু ব্যবহারকারীর ডিভাইস এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। এ ঘটনার পর সিটিজেন ল্যাব এই স্পাইওয়্যার সম্পর্কে আরও তদন্ত করে এবং বেশ কিছু দেশের সম্ভাব্য গ্রাহকদের নাম চিহ্নিত করে।
দীর্ঘ সময় ধরে প্যারাগন প্রতিযোগী কোম্পানি এনসিও গ্রুপ থেকে নিজেদের আলাদা রাখতে চাইছে। কারণ এনসিও গ্রুপের নজরদারি টুল বিভিন্ন দেশে অপব্যবহৃত হয়েছে। এদিকে প্যারাগন দাবি করে যে, তারা দায়িত্বশীলভাবে স্পাইওয়্যার টুল বিক্রি করে। ২০২১ সালে প্যারাগনের এক কর্মী বলেন, তারা কখনোই কর্তৃত্ববাদী বা অগণতান্ত্রিক সরকারকে তাদের স্পাইওয়্যার বিক্রি করবে না।
নিজেদের দায়িত্বশীল স্পাইওয়্যার বিক্রেতা হওয়ার দাবি আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে প্যারাগনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন ফ্লেমিং বলেন, ‘বিশ্বের নির্বাচিত কিছু গণতান্ত্রিক দেশে কোম্পানিটি প্রযুক্তি লাইসেন্স দেয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের।’
২০২৪ সালের শেষের দিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন করেছে যে, প্যারাগনকে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ‘এই’ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনার্স।
এদিকে গবেষক দল সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, তারা প্যারাগনের স্পাইওয়্যার টুল (কোডনেম গ্রাফাইট) এর সার্ভার অবকাঠামো ম্যাপ করতে সক্ষম হয়েছে। সহযোগী একটি সূত্র থেকে তারা এ কাজ করতে পেরেছে।
এই সূত্রের মাধ্যমে কয়েকটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করার পর প্যারাগন সার্ভার ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন সিটিজেন ল্যাবের গবেষকেরা। এরপর, তারা স্থানীয় টেলিকম কোম্পানির হোস্ট করা কিছু আইপি ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। সিটিজেন ল্যাব বিশ্বাস করে যে, এই সার্ভারগুলো প্যারাগনের গ্রাহকদের। কারণ সার্টিফিকেটগুলোর প্রাথমিক অক্ষরগুলো উল্লেখিত দেশগুলোর নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
সিটিজেন ল্যাব অনুযায়ী, তাদের গবেষকেরা যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করেছিলেন, তা একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা আবার গ্রাফাইট টুলের সঙ্গে নিবন্ধিত ছিল। এটি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগনের একটি অপারেশন ব্যবস্থায় বড় একটি ত্রুটি বলে মনে করছে সিটিজেন ল্যাব।
সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, তাদের গবেষকেরা আরও কিছু কোড নেম চিহ্নিত করেছেন, যা প্যারাগনের অন্য সম্ভাব্য সরকারি গ্রাহকদের নির্দেশ করছে। সন্দেহভাজন গ্রাহক দেশগুলোর মধ্যে, সিটিজেন ল্যাব কানাডার অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশকে (ওপিপি) বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে। কারণ সন্দেহভাজন কানাডীয় গ্রাহকের একটি আইপি ঠিকানা সরাসরি ওপিপির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের বিষয়টি নিয়ে জানতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুর সরকারের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ তরে টেকক্রাঞ্চ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
ওপিপির মুখপাত্র জেফ্রি ডেল গুইডিস বলেন, ‘নির্দিষ্ট তদন্তের কৌশল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করলে এটি চলমান তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং জনসাধারণ ও কর্মীদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে।’
প্যারাগনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন ফ্লেমিং বলেন জানিয়েছেন, সিটিজেন ল্যাব ‘খুব সীমিত পরিমাণ তথ্য প্রদান করেছে, যার কিছু অংশ ভুল মনে হচ্ছে। এই সীমিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা মন্তব্য করতে পারছি না।’ তিনি সিটিজেন ল্যাবের রিপোর্টের বিষয়ে কী ভুল ছিল সে বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান, পাশাপাশি প্যারাগনের গ্রাহক দেশগুলোর বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, যেসব ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন এবং তাদের ফোন পরীক্ষা করা হয়। তাদের সব কটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। এর ফলে তারা একটি ‘ফরেনসিক আর্টিফ্যাক্ট’ চিহ্নিত করেছে, যা প্যারাগনের স্পাইওয়্যার থেকে পাওয়া গেছে। এই আর্টিফ্যাক্টের নাম ছিল ‘BIGPRETZEL’।
উল্লেখ্য, ‘ফরেনসিক আর্টিফ্যাক্ট হলোএকটি প্রমাণ বা সিগন্যাল, যা কোনো ডিভাইসে (যেমন ফোন বা কম্পিউটার) ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার বা হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দেয়।
টেকক্রাঞ্চকেকে সিটিজেন ল্যাবের সিনিয়র রিসার্চার বিল মার্জাক জানান, ‘অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় শনাক্ত করা কঠিন প্যারাগনের স্পাইওয়্যার, তবে শেষ পর্যন্ত কোন স্পাইওয়্যারই সম্পূর্ণ নিখুঁত নয়।’
এদিকে মেটা এর মুখপাত্র জাদে আলসাওয়া বলেন, সিটিজেন ল্যাব যাকে ‘BIGPRETZEL’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তা প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত। মেটা তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দেখেছে কীভাবে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহার হতে পারে এবং এ ধরনের কোম্পানিকে দায়বদ্ধ করা উচিত।
সিটিজেন ল্যাব উল্লেখ করে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সব সময় ডিভাইসের লগ ইনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে না। তাই সম্ভবত আরও অনেক মানুষ প্যারাগনের গ্রাফাইট স্পাইওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, যদিও তাদের ফোনে স্পাইওয়্যারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা আরও জানিয়েছে যে, প্যারাগনের স্পাইওয়্যার পুরো অপারেটিং সিস্টেম বা ডিভাইসের ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত না করে, বিশেষ অ্যাপকে লক্ষ্যবস্তু করে। এর ফলে তদন্তকারীদের জন্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে।
সিটিজেন ল্যাবের গবেষক বিল মার্কজাক বলেছেন, ‘প্যারাগনের স্পাইওয়্যার প্রতিযোগীদের তুলনায় চিহ্নিত করা কঠিন, তবে শেষ পর্যন্ত কোনো স্পাইওয়্যার আক্রমণই পুরোপুরি নিখুঁত নয়।’
এ ছাড়া, সিটিজেন ল্যাব এনজিও কর্মী ডেভিড ইয়াম্বিওর আইফোনও পরীক্ষা করেছে। ইয়াম্বিওকে অ্যাপল থেকে স্পাইওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু গবেষকেরা প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগন সলিউশনসের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুর সরকারের নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার একদল গবেষক।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত একাডেমিক ও সিকিউরিটি গবেষকদের সমন্বয়ে গঠিত সিটিজেন ল্যাব। তারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্পাইওয়্যার শিল্পের তদন্ত করছে। এবার তারা ইসরায়েলে প্রতিষ্ঠিত নজরদারি স্টার্টআপ প্যারাগন সলিউশনস সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তারা ছয়টি সরকারের নাম তালিকাভুক্ত করেছে, যারা প্যারাগনের নজরদারি টুল ব্যবহার করে।
এর আগে জানুয়ারিতে প্রায় ৯০ জন ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে হোয়াটসঅ্যাপ। মেটা জানায়, প্যারাগন স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে তাঁদের ওপর নজরদারির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই কেলেঙ্কারি ইতালিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কারণ সেখানে কিছু ব্যবহারকারীর ডিভাইস এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। এ ঘটনার পর সিটিজেন ল্যাব এই স্পাইওয়্যার সম্পর্কে আরও তদন্ত করে এবং বেশ কিছু দেশের সম্ভাব্য গ্রাহকদের নাম চিহ্নিত করে।
দীর্ঘ সময় ধরে প্যারাগন প্রতিযোগী কোম্পানি এনসিও গ্রুপ থেকে নিজেদের আলাদা রাখতে চাইছে। কারণ এনসিও গ্রুপের নজরদারি টুল বিভিন্ন দেশে অপব্যবহৃত হয়েছে। এদিকে প্যারাগন দাবি করে যে, তারা দায়িত্বশীলভাবে স্পাইওয়্যার টুল বিক্রি করে। ২০২১ সালে প্যারাগনের এক কর্মী বলেন, তারা কখনোই কর্তৃত্ববাদী বা অগণতান্ত্রিক সরকারকে তাদের স্পাইওয়্যার বিক্রি করবে না।
নিজেদের দায়িত্বশীল স্পাইওয়্যার বিক্রেতা হওয়ার দাবি আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে প্যারাগনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন ফ্লেমিং বলেন, ‘বিশ্বের নির্বাচিত কিছু গণতান্ত্রিক দেশে কোম্পানিটি প্রযুক্তি লাইসেন্স দেয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের।’
২০২৪ সালের শেষের দিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন করেছে যে, প্যারাগনকে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ‘এই’ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনার্স।
এদিকে গবেষক দল সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, তারা প্যারাগনের স্পাইওয়্যার টুল (কোডনেম গ্রাফাইট) এর সার্ভার অবকাঠামো ম্যাপ করতে সক্ষম হয়েছে। সহযোগী একটি সূত্র থেকে তারা এ কাজ করতে পেরেছে।
এই সূত্রের মাধ্যমে কয়েকটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করার পর প্যারাগন সার্ভার ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন সিটিজেন ল্যাবের গবেষকেরা। এরপর, তারা স্থানীয় টেলিকম কোম্পানির হোস্ট করা কিছু আইপি ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। সিটিজেন ল্যাব বিশ্বাস করে যে, এই সার্ভারগুলো প্যারাগনের গ্রাহকদের। কারণ সার্টিফিকেটগুলোর প্রাথমিক অক্ষরগুলো উল্লেখিত দেশগুলোর নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
সিটিজেন ল্যাব অনুযায়ী, তাদের গবেষকেরা যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করেছিলেন, তা একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা আবার গ্রাফাইট টুলের সঙ্গে নিবন্ধিত ছিল। এটি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগনের একটি অপারেশন ব্যবস্থায় বড় একটি ত্রুটি বলে মনে করছে সিটিজেন ল্যাব।
সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, তাদের গবেষকেরা আরও কিছু কোড নেম চিহ্নিত করেছেন, যা প্যারাগনের অন্য সম্ভাব্য সরকারি গ্রাহকদের নির্দেশ করছে। সন্দেহভাজন গ্রাহক দেশগুলোর মধ্যে, সিটিজেন ল্যাব কানাডার অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশকে (ওপিপি) বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে। কারণ সন্দেহভাজন কানাডীয় গ্রাহকের একটি আইপি ঠিকানা সরাসরি ওপিপির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের বিষয়টি নিয়ে জানতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুর সরকারের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ তরে টেকক্রাঞ্চ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
ওপিপির মুখপাত্র জেফ্রি ডেল গুইডিস বলেন, ‘নির্দিষ্ট তদন্তের কৌশল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করলে এটি চলমান তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং জনসাধারণ ও কর্মীদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে।’
প্যারাগনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন ফ্লেমিং বলেন জানিয়েছেন, সিটিজেন ল্যাব ‘খুব সীমিত পরিমাণ তথ্য প্রদান করেছে, যার কিছু অংশ ভুল মনে হচ্ছে। এই সীমিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা মন্তব্য করতে পারছি না।’ তিনি সিটিজেন ল্যাবের রিপোর্টের বিষয়ে কী ভুল ছিল সে বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান, পাশাপাশি প্যারাগনের গ্রাহক দেশগুলোর বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, যেসব ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন এবং তাদের ফোন পরীক্ষা করা হয়। তাদের সব কটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। এর ফলে তারা একটি ‘ফরেনসিক আর্টিফ্যাক্ট’ চিহ্নিত করেছে, যা প্যারাগনের স্পাইওয়্যার থেকে পাওয়া গেছে। এই আর্টিফ্যাক্টের নাম ছিল ‘BIGPRETZEL’।
উল্লেখ্য, ‘ফরেনসিক আর্টিফ্যাক্ট হলোএকটি প্রমাণ বা সিগন্যাল, যা কোনো ডিভাইসে (যেমন ফোন বা কম্পিউটার) ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার বা হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দেয়।
টেকক্রাঞ্চকেকে সিটিজেন ল্যাবের সিনিয়র রিসার্চার বিল মার্জাক জানান, ‘অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় শনাক্ত করা কঠিন প্যারাগনের স্পাইওয়্যার, তবে শেষ পর্যন্ত কোন স্পাইওয়্যারই সম্পূর্ণ নিখুঁত নয়।’
এদিকে মেটা এর মুখপাত্র জাদে আলসাওয়া বলেন, সিটিজেন ল্যাব যাকে ‘BIGPRETZEL’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তা প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত। মেটা তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দেখেছে কীভাবে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহার হতে পারে এবং এ ধরনের কোম্পানিকে দায়বদ্ধ করা উচিত।
সিটিজেন ল্যাব উল্লেখ করে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সব সময় ডিভাইসের লগ ইনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে না। তাই সম্ভবত আরও অনেক মানুষ প্যারাগনের গ্রাফাইট স্পাইওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, যদিও তাদের ফোনে স্পাইওয়্যারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা আরও জানিয়েছে যে, প্যারাগনের স্পাইওয়্যার পুরো অপারেটিং সিস্টেম বা ডিভাইসের ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত না করে, বিশেষ অ্যাপকে লক্ষ্যবস্তু করে। এর ফলে তদন্তকারীদের জন্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে।
সিটিজেন ল্যাবের গবেষক বিল মার্কজাক বলেছেন, ‘প্যারাগনের স্পাইওয়্যার প্রতিযোগীদের তুলনায় চিহ্নিত করা কঠিন, তবে শেষ পর্যন্ত কোনো স্পাইওয়্যার আক্রমণই পুরোপুরি নিখুঁত নয়।’
এ ছাড়া, সিটিজেন ল্যাব এনজিও কর্মী ডেভিড ইয়াম্বিওর আইফোনও পরীক্ষা করেছে। ইয়াম্বিওকে অ্যাপল থেকে স্পাইওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু গবেষকেরা প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগন সলিউশনসের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুর সরকারের নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার একদল গবেষক।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত একাডেমিক ও সিকিউরিটি গবেষকদের সমন্বয়ে গঠিত সিটিজেন ল্যাব। তারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্পাইওয়্যার শিল্পের তদন্ত করছে। এবার তারা ইসরায়েলে প্রতিষ্ঠিত নজরদারি স্টার্টআপ প্যারাগন সলিউশনস সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তারা ছয়টি সরকারের নাম তালিকাভুক্ত করেছে, যারা প্যারাগনের নজরদারি টুল ব্যবহার করে।
এর আগে জানুয়ারিতে প্রায় ৯০ জন ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে হোয়াটসঅ্যাপ। মেটা জানায়, প্যারাগন স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে তাঁদের ওপর নজরদারির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই কেলেঙ্কারি ইতালিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কারণ সেখানে কিছু ব্যবহারকারীর ডিভাইস এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। এ ঘটনার পর সিটিজেন ল্যাব এই স্পাইওয়্যার সম্পর্কে আরও তদন্ত করে এবং বেশ কিছু দেশের সম্ভাব্য গ্রাহকদের নাম চিহ্নিত করে।
দীর্ঘ সময় ধরে প্যারাগন প্রতিযোগী কোম্পানি এনসিও গ্রুপ থেকে নিজেদের আলাদা রাখতে চাইছে। কারণ এনসিও গ্রুপের নজরদারি টুল বিভিন্ন দেশে অপব্যবহৃত হয়েছে। এদিকে প্যারাগন দাবি করে যে, তারা দায়িত্বশীলভাবে স্পাইওয়্যার টুল বিক্রি করে। ২০২১ সালে প্যারাগনের এক কর্মী বলেন, তারা কখনোই কর্তৃত্ববাদী বা অগণতান্ত্রিক সরকারকে তাদের স্পাইওয়্যার বিক্রি করবে না।
নিজেদের দায়িত্বশীল স্পাইওয়্যার বিক্রেতা হওয়ার দাবি আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে প্যারাগনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন ফ্লেমিং বলেন, ‘বিশ্বের নির্বাচিত কিছু গণতান্ত্রিক দেশে কোম্পানিটি প্রযুক্তি লাইসেন্স দেয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের।’
২০২৪ সালের শেষের দিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন করেছে যে, প্যারাগনকে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ‘এই’ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনার্স।
এদিকে গবেষক দল সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, তারা প্যারাগনের স্পাইওয়্যার টুল (কোডনেম গ্রাফাইট) এর সার্ভার অবকাঠামো ম্যাপ করতে সক্ষম হয়েছে। সহযোগী একটি সূত্র থেকে তারা এ কাজ করতে পেরেছে।
এই সূত্রের মাধ্যমে কয়েকটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করার পর প্যারাগন সার্ভার ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন সিটিজেন ল্যাবের গবেষকেরা। এরপর, তারা স্থানীয় টেলিকম কোম্পানির হোস্ট করা কিছু আইপি ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। সিটিজেন ল্যাব বিশ্বাস করে যে, এই সার্ভারগুলো প্যারাগনের গ্রাহকদের। কারণ সার্টিফিকেটগুলোর প্রাথমিক অক্ষরগুলো উল্লেখিত দেশগুলোর নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
সিটিজেন ল্যাব অনুযায়ী, তাদের গবেষকেরা যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করেছিলেন, তা একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা আবার গ্রাফাইট টুলের সঙ্গে নিবন্ধিত ছিল। এটি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগনের একটি অপারেশন ব্যবস্থায় বড় একটি ত্রুটি বলে মনে করছে সিটিজেন ল্যাব।
সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, তাদের গবেষকেরা আরও কিছু কোড নেম চিহ্নিত করেছেন, যা প্যারাগনের অন্য সম্ভাব্য সরকারি গ্রাহকদের নির্দেশ করছে। সন্দেহভাজন গ্রাহক দেশগুলোর মধ্যে, সিটিজেন ল্যাব কানাডার অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশকে (ওপিপি) বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে। কারণ সন্দেহভাজন কানাডীয় গ্রাহকের একটি আইপি ঠিকানা সরাসরি ওপিপির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের বিষয়টি নিয়ে জানতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুর সরকারের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ তরে টেকক্রাঞ্চ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
ওপিপির মুখপাত্র জেফ্রি ডেল গুইডিস বলেন, ‘নির্দিষ্ট তদন্তের কৌশল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করলে এটি চলমান তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং জনসাধারণ ও কর্মীদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে।’
প্যারাগনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন ফ্লেমিং বলেন জানিয়েছেন, সিটিজেন ল্যাব ‘খুব সীমিত পরিমাণ তথ্য প্রদান করেছে, যার কিছু অংশ ভুল মনে হচ্ছে। এই সীমিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা মন্তব্য করতে পারছি না।’ তিনি সিটিজেন ল্যাবের রিপোর্টের বিষয়ে কী ভুল ছিল সে বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান, পাশাপাশি প্যারাগনের গ্রাহক দেশগুলোর বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, যেসব ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন এবং তাদের ফোন পরীক্ষা করা হয়। তাদের সব কটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। এর ফলে তারা একটি ‘ফরেনসিক আর্টিফ্যাক্ট’ চিহ্নিত করেছে, যা প্যারাগনের স্পাইওয়্যার থেকে পাওয়া গেছে। এই আর্টিফ্যাক্টের নাম ছিল ‘BIGPRETZEL’।
উল্লেখ্য, ‘ফরেনসিক আর্টিফ্যাক্ট হলোএকটি প্রমাণ বা সিগন্যাল, যা কোনো ডিভাইসে (যেমন ফোন বা কম্পিউটার) ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার বা হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দেয়।
টেকক্রাঞ্চকেকে সিটিজেন ল্যাবের সিনিয়র রিসার্চার বিল মার্জাক জানান, ‘অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় শনাক্ত করা কঠিন প্যারাগনের স্পাইওয়্যার, তবে শেষ পর্যন্ত কোন স্পাইওয়্যারই সম্পূর্ণ নিখুঁত নয়।’
এদিকে মেটা এর মুখপাত্র জাদে আলসাওয়া বলেন, সিটিজেন ল্যাব যাকে ‘BIGPRETZEL’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তা প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত। মেটা তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দেখেছে কীভাবে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহার হতে পারে এবং এ ধরনের কোম্পানিকে দায়বদ্ধ করা উচিত।
সিটিজেন ল্যাব উল্লেখ করে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সব সময় ডিভাইসের লগ ইনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে না। তাই সম্ভবত আরও অনেক মানুষ প্যারাগনের গ্রাফাইট স্পাইওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, যদিও তাদের ফোনে স্পাইওয়্যারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা আরও জানিয়েছে যে, প্যারাগনের স্পাইওয়্যার পুরো অপারেটিং সিস্টেম বা ডিভাইসের ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত না করে, বিশেষ অ্যাপকে লক্ষ্যবস্তু করে। এর ফলে তদন্তকারীদের জন্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে।
সিটিজেন ল্যাবের গবেষক বিল মার্কজাক বলেছেন, ‘প্যারাগনের স্পাইওয়্যার প্রতিযোগীদের তুলনায় চিহ্নিত করা কঠিন, তবে শেষ পর্যন্ত কোনো স্পাইওয়্যার আক্রমণই পুরোপুরি নিখুঁত নয়।’
এ ছাড়া, সিটিজেন ল্যাব এনজিও কর্মী ডেভিড ইয়াম্বিওর আইফোনও পরীক্ষা করেছে। ইয়াম্বিওকে অ্যাপল থেকে স্পাইওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু গবেষকেরা প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগন সলিউশনসের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুর সরকারের নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার একদল গবেষক।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত একাডেমিক ও সিকিউরিটি গবেষকদের সমন্বয়ে গঠিত সিটিজেন ল্যাব। তারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্পাইওয়্যার শিল্পের তদন্ত করছে। এবার তারা ইসরায়েলে প্রতিষ্ঠিত নজরদারি স্টার্টআপ প্যারাগন সলিউশনস সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তারা ছয়টি সরকারের নাম তালিকাভুক্ত করেছে, যারা প্যারাগনের নজরদারি টুল ব্যবহার করে।
এর আগে জানুয়ারিতে প্রায় ৯০ জন ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে হোয়াটসঅ্যাপ। মেটা জানায়, প্যারাগন স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে তাঁদের ওপর নজরদারির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই কেলেঙ্কারি ইতালিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কারণ সেখানে কিছু ব্যবহারকারীর ডিভাইস এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। এ ঘটনার পর সিটিজেন ল্যাব এই স্পাইওয়্যার সম্পর্কে আরও তদন্ত করে এবং বেশ কিছু দেশের সম্ভাব্য গ্রাহকদের নাম চিহ্নিত করে।
দীর্ঘ সময় ধরে প্যারাগন প্রতিযোগী কোম্পানি এনসিও গ্রুপ থেকে নিজেদের আলাদা রাখতে চাইছে। কারণ এনসিও গ্রুপের নজরদারি টুল বিভিন্ন দেশে অপব্যবহৃত হয়েছে। এদিকে প্যারাগন দাবি করে যে, তারা দায়িত্বশীলভাবে স্পাইওয়্যার টুল বিক্রি করে। ২০২১ সালে প্যারাগনের এক কর্মী বলেন, তারা কখনোই কর্তৃত্ববাদী বা অগণতান্ত্রিক সরকারকে তাদের স্পাইওয়্যার বিক্রি করবে না।
নিজেদের দায়িত্বশীল স্পাইওয়্যার বিক্রেতা হওয়ার দাবি আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে প্যারাগনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন ফ্লেমিং বলেন, ‘বিশ্বের নির্বাচিত কিছু গণতান্ত্রিক দেশে কোম্পানিটি প্রযুক্তি লাইসেন্স দেয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের।’
২০২৪ সালের শেষের দিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন করেছে যে, প্যারাগনকে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ‘এই’ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনার্স।
এদিকে গবেষক দল সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, তারা প্যারাগনের স্পাইওয়্যার টুল (কোডনেম গ্রাফাইট) এর সার্ভার অবকাঠামো ম্যাপ করতে সক্ষম হয়েছে। সহযোগী একটি সূত্র থেকে তারা এ কাজ করতে পেরেছে।
এই সূত্রের মাধ্যমে কয়েকটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করার পর প্যারাগন সার্ভার ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন সিটিজেন ল্যাবের গবেষকেরা। এরপর, তারা স্থানীয় টেলিকম কোম্পানির হোস্ট করা কিছু আইপি ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। সিটিজেন ল্যাব বিশ্বাস করে যে, এই সার্ভারগুলো প্যারাগনের গ্রাহকদের। কারণ সার্টিফিকেটগুলোর প্রাথমিক অক্ষরগুলো উল্লেখিত দেশগুলোর নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
সিটিজেন ল্যাব অনুযায়ী, তাদের গবেষকেরা যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করেছিলেন, তা একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা আবার গ্রাফাইট টুলের সঙ্গে নিবন্ধিত ছিল। এটি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগনের একটি অপারেশন ব্যবস্থায় বড় একটি ত্রুটি বলে মনে করছে সিটিজেন ল্যাব।
সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, তাদের গবেষকেরা আরও কিছু কোড নেম চিহ্নিত করেছেন, যা প্যারাগনের অন্য সম্ভাব্য সরকারি গ্রাহকদের নির্দেশ করছে। সন্দেহভাজন গ্রাহক দেশগুলোর মধ্যে, সিটিজেন ল্যাব কানাডার অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশকে (ওপিপি) বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে। কারণ সন্দেহভাজন কানাডীয় গ্রাহকের একটি আইপি ঠিকানা সরাসরি ওপিপির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের বিষয়টি নিয়ে জানতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুর সরকারের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ তরে টেকক্রাঞ্চ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
ওপিপির মুখপাত্র জেফ্রি ডেল গুইডিস বলেন, ‘নির্দিষ্ট তদন্তের কৌশল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করলে এটি চলমান তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং জনসাধারণ ও কর্মীদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে।’
প্যারাগনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জন ফ্লেমিং বলেন জানিয়েছেন, সিটিজেন ল্যাব ‘খুব সীমিত পরিমাণ তথ্য প্রদান করেছে, যার কিছু অংশ ভুল মনে হচ্ছে। এই সীমিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা মন্তব্য করতে পারছি না।’ তিনি সিটিজেন ল্যাবের রিপোর্টের বিষয়ে কী ভুল ছিল সে বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান, পাশাপাশি প্যারাগনের গ্রাহক দেশগুলোর বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে, যেসব ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন এবং তাদের ফোন পরীক্ষা করা হয়। তাদের সব কটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। এর ফলে তারা একটি ‘ফরেনসিক আর্টিফ্যাক্ট’ চিহ্নিত করেছে, যা প্যারাগনের স্পাইওয়্যার থেকে পাওয়া গেছে। এই আর্টিফ্যাক্টের নাম ছিল ‘BIGPRETZEL’।
উল্লেখ্য, ‘ফরেনসিক আর্টিফ্যাক্ট হলোএকটি প্রমাণ বা সিগন্যাল, যা কোনো ডিভাইসে (যেমন ফোন বা কম্পিউটার) ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার বা হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দেয়।
টেকক্রাঞ্চকেকে সিটিজেন ল্যাবের সিনিয়র রিসার্চার বিল মার্জাক জানান, ‘অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় শনাক্ত করা কঠিন প্যারাগনের স্পাইওয়্যার, তবে শেষ পর্যন্ত কোন স্পাইওয়্যারই সম্পূর্ণ নিখুঁত নয়।’
এদিকে মেটা এর মুখপাত্র জাদে আলসাওয়া বলেন, সিটিজেন ল্যাব যাকে ‘BIGPRETZEL’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তা প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত। মেটা তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দেখেছে কীভাবে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহার হতে পারে এবং এ ধরনের কোম্পানিকে দায়বদ্ধ করা উচিত।
সিটিজেন ল্যাব উল্লেখ করে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সব সময় ডিভাইসের লগ ইনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে না। তাই সম্ভবত আরও অনেক মানুষ প্যারাগনের গ্রাফাইট স্পাইওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, যদিও তাদের ফোনে স্পাইওয়্যারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা আরও জানিয়েছে যে, প্যারাগনের স্পাইওয়্যার পুরো অপারেটিং সিস্টেম বা ডিভাইসের ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত না করে, বিশেষ অ্যাপকে লক্ষ্যবস্তু করে। এর ফলে তদন্তকারীদের জন্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে।
সিটিজেন ল্যাবের গবেষক বিল মার্কজাক বলেছেন, ‘প্যারাগনের স্পাইওয়্যার প্রতিযোগীদের তুলনায় চিহ্নিত করা কঠিন, তবে শেষ পর্যন্ত কোনো স্পাইওয়্যার আক্রমণই পুরোপুরি নিখুঁত নয়।’
এ ছাড়া, সিটিজেন ল্যাব এনজিও কর্মী ডেভিড ইয়াম্বিওর আইফোনও পরীক্ষা করেছে। ইয়াম্বিওকে অ্যাপল থেকে স্পাইওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু গবেষকেরা প্যারাগনের স্পাইওয়্যারের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৪ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪৪ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগন সলিউশনসের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুরের সরকারের নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কানাডার একদল গবেষক।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪৪ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগন সলিউশনসের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুরের সরকারের নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কানাডার একদল গবেষক।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৪ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগন সলিউশনসের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুরের সরকারের নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কানাডার একদল গবেষক।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৪ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪৪ মিনিট আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
ইউআরএল দেখুন
ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন
একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।
লোগো ও ডিজাইন দেখুন
অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন
যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ডিজিসার্ট

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
ইউআরএল দেখুন
ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন
একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।
লোগো ও ডিজাইন দেখুন
অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন
যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ডিজিসার্ট

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক প্যারাগন সলিউশনসের সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুরের সরকারের নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কানাডার একদল গবেষক।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৪ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪৪ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে