অনলাইন ডেস্ক
পার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই।
এই অদ্ভুত, ভবিষ্যৎমুখী প্রদর্শনীটির নাম ‘রিভাইভিফিকেশন’। এটি একটি অনন্য প্রকল্প যেখানে প্রয়াত আমেরিকান সংগীতজ্ঞ আলভিন লুসিয়েরের কোষ থেকে তৈরি ‘মস্তিষ্ক’ নতুন সুর বা শব্দ সৃষ্টি করছে।
রিভাইভিফিকেশন প্রজেক্টটি অস্ট্রেলিয়ান শিল্পী গাই বেন-আরি, নাথান থম্পসন এবং ম্যাট গিংগোল্ডের সঙ্গে স্নায়ুবিজ্ঞানী স্টুয়ার্ট হজেটসের যৌথ সহযোগিতায় তৈরি। এই দলটি শুধু রূপক অর্থেই নয়, বাস্তব অর্থেও আলভিন লুসিয়েরকে ‘পুনরুজ্জীবিত’ করার চেষ্টা করেছে।
প্রদর্শনীর প্রবেশপথের আগেই প্রয়াত সংগীতশিল্পী আলভিন লুসিয়ের এক বিশাল আলোকচিত্র। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লুসিয়ের ছিলেন ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রো-অ্যাকুস্টিক সংগীতজগতের একজন পথিকৃৎ।
১৯৬৫ সালে তিনি সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন ভিন্নধর্মী এক রচনার মাধ্যমে—‘মিউজিক ফর সোলো পারফরমার’। লুসিয়ের যখন এই পরিবেশনা করেন, তখন তিনি মঞ্চে একেবারে স্থির হয়ে, চোখ বন্ধ করে বসে থাকতেন। তাঁর মাথায় ইলেকট্রোড লাগানো থাকত, যা তাঁর মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংগ্রহ করত।
তখনকার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই মস্তিষ্কের তরঙ্গকে রূপান্তরিত করা হতো শব্দে, যা পরবর্তীকালে ব্যবহার করা হতো পারকাশন যন্ত্রে (যেমন—ড্রাম) বাজানোর জন্য।
২০২১ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তবে মৃত্যুর আগেই রক্তের কোষ দান করেছিলেন ভবিষ্যতের একটি প্রকল্পের জন্য। সেই কোষ থেকেই তৈরি হয়েছে স্নায়ু কোষের গুচ্ছ—‘অরগানোইড’।
এই কোষগুলো জীবিত। আর তারা বড় হচ্ছে। মস্তিষ্কের মতোই নিউরন কোষগুলো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আরও এই কোষগুলোর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে শব্দ।
রিভাইভিকেশন প্রদর্শনীতেই প্রবেশ করলেই গুহার মতো অন্ধকার কক্ষে দেখা মিলবে বিশাল পিতলের ২০টি পাত। প্রত্যেকটির পেছনে এক একটি মোটরচালিত হাতুড়ি, যা অরগানোইডের বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দেয়।
ইলেকট্রোডের সাহায্যে অরগানোইডের বৈদ্যুতিক সংকেত রেকর্ড করা হয় এবং তা শব্দে রূপান্তরিত করা হয়—যাকে বলে সোনিফিকেশন। এতে একটি প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়।
তত্ত্ব অনুযায়ী, এই অরগানোইড নিজেই যে শব্দ তৈরি করছে, তার কম্পন অনুভব করতে পারে এবং সেই শব্দে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সক্ষম।
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া শব্দ একদিকে মন্দিরের প্রতিধ্বনিময় সুরের মতো, আবার অন্যদিকে এলোমেলোভাবে শিশুর ড্রাম বাজানোর মতো টুপটাপ শব্দের মিশ্রণ।
প্রদর্শনী কক্ষের কেন্দ্রে বাক্সের ভেতর সিল করে রাখা আছে সেই অরগানোইড। একবারে কেবল একজন দর্শনার্থী সেটিকে দেখতে পারেন একটি আয়তাকার বাক্সের মাধ্যমে। তখন দর্শনার্থীকে একাই মুখোমুখি হতে হয় এক প্রশ্নের: ‘আমি আসলে কী দেখছি?’
কারণ, এটি প্রদর্শনী আমাদের নৈতিকতা, মানবতা ও অস্তিত্ব নিয়ে এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি করে। একদিকে এটি আশাবাদের একটি ছবিও আঁকে—যেখানে একজন মানুষ মৃত্যুর পরও কোনোভাবে টিকে থাকেন, পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখেন, এমনকি নতুন শিল্প সৃষ্টি করাও চালিয়ে যান।
তবে এই ভাবনার মাঝেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও উঠে আসে, যদি মৃত্যুর পরও সৃষ্টিশীল জীবন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, তবুও কী আমাদের সেটা করা উচিত?
‘রিভাইভিফিকেশন’-এর পেছনে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এটি প্রদর্শনী একই সঙ্গে বিস্ময়, উদ্বেগ এবং নৈতিক দ্বন্দ্ব অনুভূতি তৈরি করে। এই প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মনে পড়ে যায় ম্যারি শেলির ‘ফ্রাংকেনস্টাইন’-এর কথা। এটি ১৯ শতকের শুরুর দিকের এক বৈজ্ঞানিক উদ্বেগের যুগে লেখা এক সাহিত্যকর্ম।
আজকের সময়টাও যেন সেই যুগেরই পুনরাবৃত্তি। কারণ, এআইয়ের মতো প্রযুক্তিকে ঘিরে বৈজ্ঞানিক সীমালঙ্ঘনের ভয় তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
তবে এই প্রদর্শনীর মূলেও আছে শ্রদ্ধা নিবেদনের এক আন্তরিক প্রয়াস। চার শিল্পীর মনের মধ্যে গাঁথা এক প্রবীণকে ভালোবাসা এবং তাঁকে বিদায় না জানানোর এক অনিচ্ছা।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী প্যানেল আলোচনায় শিল্পীরা হাস্যরস আর আন্তরিকতার সঙ্গে জানিয়েছেন, আলভিন লুসিয়েরের কোষভিত্তিক প্রতিটি পেট্রি ডিশের সঙ্গে কীভাবে তাঁদের একেকজনের আলাদা আলাদা মানবিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
এক শিল্পী বলেন, ‘ডিশ ৮-এর প্রতি আমার ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি হয়েছিল। যখন জানলাম সেটি মারা যাচ্ছে, চোখের সামনে সেগুলোর স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল—সেটি আমাদের জন্য আবেগঘন রাত হয়ে উঠেছিল।’
লুসিয়েরের কন্যা আমান্ডা বলেছিলেন, ‘বাবা এমন প্রকল্পে রাজি হয়েই ছিলেন। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে সুর তৈরির ব্যবস্থা করে যাওয়া—এটাই তো বাবার স্টাইল।’
এই যুগে, যেখানে প্রযুক্তির স্পর্শে মানুষ ধীরে ধীরে যেন নিজের ছায়ায় পরিণত হচ্ছে, রিভাইভিফিকেশন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একজন মানুষের সৃষ্টিশীলতাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। আর সেই জীবন শুধু কোষে নয়, ভালোবাসায়ও বাঁচে।
রিভাইভিফিকেশন প্রদর্শনীতে চলবে এজিডব্লিউএতে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ
পার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই।
এই অদ্ভুত, ভবিষ্যৎমুখী প্রদর্শনীটির নাম ‘রিভাইভিফিকেশন’। এটি একটি অনন্য প্রকল্প যেখানে প্রয়াত আমেরিকান সংগীতজ্ঞ আলভিন লুসিয়েরের কোষ থেকে তৈরি ‘মস্তিষ্ক’ নতুন সুর বা শব্দ সৃষ্টি করছে।
রিভাইভিফিকেশন প্রজেক্টটি অস্ট্রেলিয়ান শিল্পী গাই বেন-আরি, নাথান থম্পসন এবং ম্যাট গিংগোল্ডের সঙ্গে স্নায়ুবিজ্ঞানী স্টুয়ার্ট হজেটসের যৌথ সহযোগিতায় তৈরি। এই দলটি শুধু রূপক অর্থেই নয়, বাস্তব অর্থেও আলভিন লুসিয়েরকে ‘পুনরুজ্জীবিত’ করার চেষ্টা করেছে।
প্রদর্শনীর প্রবেশপথের আগেই প্রয়াত সংগীতশিল্পী আলভিন লুসিয়ের এক বিশাল আলোকচিত্র। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লুসিয়ের ছিলেন ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রো-অ্যাকুস্টিক সংগীতজগতের একজন পথিকৃৎ।
১৯৬৫ সালে তিনি সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন ভিন্নধর্মী এক রচনার মাধ্যমে—‘মিউজিক ফর সোলো পারফরমার’। লুসিয়ের যখন এই পরিবেশনা করেন, তখন তিনি মঞ্চে একেবারে স্থির হয়ে, চোখ বন্ধ করে বসে থাকতেন। তাঁর মাথায় ইলেকট্রোড লাগানো থাকত, যা তাঁর মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংগ্রহ করত।
তখনকার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই মস্তিষ্কের তরঙ্গকে রূপান্তরিত করা হতো শব্দে, যা পরবর্তীকালে ব্যবহার করা হতো পারকাশন যন্ত্রে (যেমন—ড্রাম) বাজানোর জন্য।
২০২১ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তবে মৃত্যুর আগেই রক্তের কোষ দান করেছিলেন ভবিষ্যতের একটি প্রকল্পের জন্য। সেই কোষ থেকেই তৈরি হয়েছে স্নায়ু কোষের গুচ্ছ—‘অরগানোইড’।
এই কোষগুলো জীবিত। আর তারা বড় হচ্ছে। মস্তিষ্কের মতোই নিউরন কোষগুলো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আরও এই কোষগুলোর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে শব্দ।
রিভাইভিকেশন প্রদর্শনীতেই প্রবেশ করলেই গুহার মতো অন্ধকার কক্ষে দেখা মিলবে বিশাল পিতলের ২০টি পাত। প্রত্যেকটির পেছনে এক একটি মোটরচালিত হাতুড়ি, যা অরগানোইডের বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দেয়।
ইলেকট্রোডের সাহায্যে অরগানোইডের বৈদ্যুতিক সংকেত রেকর্ড করা হয় এবং তা শব্দে রূপান্তরিত করা হয়—যাকে বলে সোনিফিকেশন। এতে একটি প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়।
তত্ত্ব অনুযায়ী, এই অরগানোইড নিজেই যে শব্দ তৈরি করছে, তার কম্পন অনুভব করতে পারে এবং সেই শব্দে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সক্ষম।
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া শব্দ একদিকে মন্দিরের প্রতিধ্বনিময় সুরের মতো, আবার অন্যদিকে এলোমেলোভাবে শিশুর ড্রাম বাজানোর মতো টুপটাপ শব্দের মিশ্রণ।
প্রদর্শনী কক্ষের কেন্দ্রে বাক্সের ভেতর সিল করে রাখা আছে সেই অরগানোইড। একবারে কেবল একজন দর্শনার্থী সেটিকে দেখতে পারেন একটি আয়তাকার বাক্সের মাধ্যমে। তখন দর্শনার্থীকে একাই মুখোমুখি হতে হয় এক প্রশ্নের: ‘আমি আসলে কী দেখছি?’
কারণ, এটি প্রদর্শনী আমাদের নৈতিকতা, মানবতা ও অস্তিত্ব নিয়ে এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি করে। একদিকে এটি আশাবাদের একটি ছবিও আঁকে—যেখানে একজন মানুষ মৃত্যুর পরও কোনোভাবে টিকে থাকেন, পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখেন, এমনকি নতুন শিল্প সৃষ্টি করাও চালিয়ে যান।
তবে এই ভাবনার মাঝেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও উঠে আসে, যদি মৃত্যুর পরও সৃষ্টিশীল জীবন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, তবুও কী আমাদের সেটা করা উচিত?
‘রিভাইভিফিকেশন’-এর পেছনে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এটি প্রদর্শনী একই সঙ্গে বিস্ময়, উদ্বেগ এবং নৈতিক দ্বন্দ্ব অনুভূতি তৈরি করে। এই প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মনে পড়ে যায় ম্যারি শেলির ‘ফ্রাংকেনস্টাইন’-এর কথা। এটি ১৯ শতকের শুরুর দিকের এক বৈজ্ঞানিক উদ্বেগের যুগে লেখা এক সাহিত্যকর্ম।
আজকের সময়টাও যেন সেই যুগেরই পুনরাবৃত্তি। কারণ, এআইয়ের মতো প্রযুক্তিকে ঘিরে বৈজ্ঞানিক সীমালঙ্ঘনের ভয় তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
তবে এই প্রদর্শনীর মূলেও আছে শ্রদ্ধা নিবেদনের এক আন্তরিক প্রয়াস। চার শিল্পীর মনের মধ্যে গাঁথা এক প্রবীণকে ভালোবাসা এবং তাঁকে বিদায় না জানানোর এক অনিচ্ছা।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী প্যানেল আলোচনায় শিল্পীরা হাস্যরস আর আন্তরিকতার সঙ্গে জানিয়েছেন, আলভিন লুসিয়েরের কোষভিত্তিক প্রতিটি পেট্রি ডিশের সঙ্গে কীভাবে তাঁদের একেকজনের আলাদা আলাদা মানবিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
এক শিল্পী বলেন, ‘ডিশ ৮-এর প্রতি আমার ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি হয়েছিল। যখন জানলাম সেটি মারা যাচ্ছে, চোখের সামনে সেগুলোর স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল—সেটি আমাদের জন্য আবেগঘন রাত হয়ে উঠেছিল।’
লুসিয়েরের কন্যা আমান্ডা বলেছিলেন, ‘বাবা এমন প্রকল্পে রাজি হয়েই ছিলেন। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে সুর তৈরির ব্যবস্থা করে যাওয়া—এটাই তো বাবার স্টাইল।’
এই যুগে, যেখানে প্রযুক্তির স্পর্শে মানুষ ধীরে ধীরে যেন নিজের ছায়ায় পরিণত হচ্ছে, রিভাইভিফিকেশন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একজন মানুষের সৃষ্টিশীলতাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। আর সেই জীবন শুধু কোষে নয়, ভালোবাসায়ও বাঁচে।
রিভাইভিফিকেশন প্রদর্শনীতে চলবে এজিডব্লিউএতে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ
বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান গুগল তাদের দীর্ঘদিনের ডেটা লেবেলিং পার্টনার স্কেল এআই-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে। পাঁচটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এখনো ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত। আবার এমন বহু এলাকা আছে, যেখানে ফাইবার অপটিক্যাল কেব্ল পৌঁছানো ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে গুগলের গবেষণা ও উদ্ভাবনী ল্যাব গুগল এক্স। তারা তৈরি করেছে একটি আঙুলের নখের সমান চিপ—‘টারা’, যা কোনো কেব্ল ছাড়াই আলো ব্যবহার করে...
১৭ ঘণ্টা আগেগুগলের পিক্সেল ফোন অ্যান্ড্রয়েড ১৬ আপডেট নেওয়ার পর থেকেই কিছু ব্যবহারকারী গুরুতর ত্রুটির মুখোমুখি হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আপডেটের পর পিক্সেল ফোনগুলোর নেভিগেশন বাটন ও গেসচার ঠিকমতো কাজ করছে না, যা ফোন ব্যবহারের মৌলিক অভিজ্ঞতায় বড় প্রভাব ফেলছে।
১৯ ঘণ্টা আগেচীনের শীর্ষ দুই চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এবং সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনকে (এসএমআইসি) রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করেছে তাইওয়ান। এই তালিকায় তালেবান ও আল কায়েদার মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর নামও রয়েছে।
১ দিন আগে