আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন।
এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জির সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে আমাজনের ক্লাউড সার্ভিস এডব্লিউএস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সার্ভার পরিচালনার জন্য।
আমাজনের এই নতুন পদক্ষেপ বুধবার ঘোষণা করলেও এটি পুরোপুরি নতুন কোনো চুক্তি নয়। বরং পুরোনো এক চুক্তির হালনাগাদ সংস্করণ।
মাইক্রোসফট ও মেটার পর আমাজনই সর্বশেষ ‘হাইপারস্কেল’ কোম্পানি, যারা সরাসরি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করল।
প্রথমে পরিকল্পনা ছিল, আমাজন ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে একটি নিজস্ব ডেটা সেন্টার গড়ে তুলবে এবং সেখান থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ নিবে—গ্রিডে পাঠানো ছাড়াই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই চুক্তি বাতিল করে দেয়। তাদের মতে, এ ধরনের ‘বিহাইন্ড-দ্য-মিটার’ চুক্তি বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালনার খরচ সাধারণ গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেবে।
নতুন সংস্করণে চুক্তি ‘ফ্রন্ট-অব-দ্য-মিটার’ ধাঁচে করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন আমাজনের ডেটা সেন্টারটি অন্যান্য গ্রাহকের মতোই বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেবে এবং তার জন্য নির্ধারিত ট্রান্সমিশন ফি পরিশোধ করবে।
টেলেন এনার্জি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের পুনর্গঠন ২০২৬ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আমাজন ২০৪২ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কিনবে।
এতেই শেষ নয়। আমাজন ও ট্যালেন যৌথভাবে জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে পেনসিলভানিয়ায় ছোট মডুলার রিঅ্যাক্টর (এসএমআর) নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এবং বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায় হলো উন্নততর জ্বালানি ব্যবহার, সিস্টেম অপটিমাইজেশন বা টারবাইন আধুনিকায়ন। তুলনামূলকভাবে এটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের চেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী।
মাইক্রোসফট এই ধারা শুরু করে গত বছর। তারা কসস্টেলশন এনার্জির সঙ্গে মিলে থ্রি মাইল আইল্যান্ডে একটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে, যার ব্যয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং উৎপাদনক্ষমতা ৮৩৫ মেগাওয়াট।
এরপর চলতি মাসেই মেটা ১ দশমিক ১ গিগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের ‘পরিষ্কার জ্বালানি বৈশিষ্ট্য’ কিনছে।
এসএমআর নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাজন একা নয়। কয়েকটি স্টার্টআপ এই প্রযুক্তির পেছনে কাজ করছে। এর প্রতি আগ্রহের কারণ হলো—গণ উৎপাদনের (মাস প্রোডাকশন) মাধ্যমে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমাজন ইতিমধ্যে এক্স–এনার্জি নামের একটি এসএমআর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়াশিংটন ও ভার্জিনিয়ায় ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন পারমাণবিক উৎপাদন সক্ষমতা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
ট্যালেনের ভাষ্যমতে, বিদ্যমান কেন্দ্রের সম্প্রসারণ ও নতুন এসএমআর নির্মাণ ‘পিজেএম গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ’ যোগ করার লক্ষ্যে করা হচ্ছে, যাতে করে গ্রাহকদের অতিরিক্ত আর্থিক চাপ না পড়ে—এমন সমালোচনা ঠেকানো যায়।

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন।
এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জির সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে আমাজনের ক্লাউড সার্ভিস এডব্লিউএস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সার্ভার পরিচালনার জন্য।
আমাজনের এই নতুন পদক্ষেপ বুধবার ঘোষণা করলেও এটি পুরোপুরি নতুন কোনো চুক্তি নয়। বরং পুরোনো এক চুক্তির হালনাগাদ সংস্করণ।
মাইক্রোসফট ও মেটার পর আমাজনই সর্বশেষ ‘হাইপারস্কেল’ কোম্পানি, যারা সরাসরি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করল।
প্রথমে পরিকল্পনা ছিল, আমাজন ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে একটি নিজস্ব ডেটা সেন্টার গড়ে তুলবে এবং সেখান থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ নিবে—গ্রিডে পাঠানো ছাড়াই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই চুক্তি বাতিল করে দেয়। তাদের মতে, এ ধরনের ‘বিহাইন্ড-দ্য-মিটার’ চুক্তি বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালনার খরচ সাধারণ গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেবে।
নতুন সংস্করণে চুক্তি ‘ফ্রন্ট-অব-দ্য-মিটার’ ধাঁচে করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন আমাজনের ডেটা সেন্টারটি অন্যান্য গ্রাহকের মতোই বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেবে এবং তার জন্য নির্ধারিত ট্রান্সমিশন ফি পরিশোধ করবে।
টেলেন এনার্জি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের পুনর্গঠন ২০২৬ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আমাজন ২০৪২ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কিনবে।
এতেই শেষ নয়। আমাজন ও ট্যালেন যৌথভাবে জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে পেনসিলভানিয়ায় ছোট মডুলার রিঅ্যাক্টর (এসএমআর) নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এবং বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায় হলো উন্নততর জ্বালানি ব্যবহার, সিস্টেম অপটিমাইজেশন বা টারবাইন আধুনিকায়ন। তুলনামূলকভাবে এটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের চেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী।
মাইক্রোসফট এই ধারা শুরু করে গত বছর। তারা কসস্টেলশন এনার্জির সঙ্গে মিলে থ্রি মাইল আইল্যান্ডে একটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে, যার ব্যয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং উৎপাদনক্ষমতা ৮৩৫ মেগাওয়াট।
এরপর চলতি মাসেই মেটা ১ দশমিক ১ গিগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের ‘পরিষ্কার জ্বালানি বৈশিষ্ট্য’ কিনছে।
এসএমআর নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাজন একা নয়। কয়েকটি স্টার্টআপ এই প্রযুক্তির পেছনে কাজ করছে। এর প্রতি আগ্রহের কারণ হলো—গণ উৎপাদনের (মাস প্রোডাকশন) মাধ্যমে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমাজন ইতিমধ্যে এক্স–এনার্জি নামের একটি এসএমআর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়াশিংটন ও ভার্জিনিয়ায় ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন পারমাণবিক উৎপাদন সক্ষমতা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
ট্যালেনের ভাষ্যমতে, বিদ্যমান কেন্দ্রের সম্প্রসারণ ও নতুন এসএমআর নির্মাণ ‘পিজেএম গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ’ যোগ করার লক্ষ্যে করা হচ্ছে, যাতে করে গ্রাহকদের অতিরিক্ত আর্থিক চাপ না পড়ে—এমন সমালোচনা ঠেকানো যায়।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন।
এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জির সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে আমাজনের ক্লাউড সার্ভিস এডব্লিউএস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সার্ভার পরিচালনার জন্য।
আমাজনের এই নতুন পদক্ষেপ বুধবার ঘোষণা করলেও এটি পুরোপুরি নতুন কোনো চুক্তি নয়। বরং পুরোনো এক চুক্তির হালনাগাদ সংস্করণ।
মাইক্রোসফট ও মেটার পর আমাজনই সর্বশেষ ‘হাইপারস্কেল’ কোম্পানি, যারা সরাসরি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করল।
প্রথমে পরিকল্পনা ছিল, আমাজন ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে একটি নিজস্ব ডেটা সেন্টার গড়ে তুলবে এবং সেখান থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ নিবে—গ্রিডে পাঠানো ছাড়াই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই চুক্তি বাতিল করে দেয়। তাদের মতে, এ ধরনের ‘বিহাইন্ড-দ্য-মিটার’ চুক্তি বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালনার খরচ সাধারণ গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেবে।
নতুন সংস্করণে চুক্তি ‘ফ্রন্ট-অব-দ্য-মিটার’ ধাঁচে করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন আমাজনের ডেটা সেন্টারটি অন্যান্য গ্রাহকের মতোই বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেবে এবং তার জন্য নির্ধারিত ট্রান্সমিশন ফি পরিশোধ করবে।
টেলেন এনার্জি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের পুনর্গঠন ২০২৬ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আমাজন ২০৪২ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কিনবে।
এতেই শেষ নয়। আমাজন ও ট্যালেন যৌথভাবে জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে পেনসিলভানিয়ায় ছোট মডুলার রিঅ্যাক্টর (এসএমআর) নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এবং বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায় হলো উন্নততর জ্বালানি ব্যবহার, সিস্টেম অপটিমাইজেশন বা টারবাইন আধুনিকায়ন। তুলনামূলকভাবে এটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের চেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী।
মাইক্রোসফট এই ধারা শুরু করে গত বছর। তারা কসস্টেলশন এনার্জির সঙ্গে মিলে থ্রি মাইল আইল্যান্ডে একটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে, যার ব্যয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং উৎপাদনক্ষমতা ৮৩৫ মেগাওয়াট।
এরপর চলতি মাসেই মেটা ১ দশমিক ১ গিগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের ‘পরিষ্কার জ্বালানি বৈশিষ্ট্য’ কিনছে।
এসএমআর নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাজন একা নয়। কয়েকটি স্টার্টআপ এই প্রযুক্তির পেছনে কাজ করছে। এর প্রতি আগ্রহের কারণ হলো—গণ উৎপাদনের (মাস প্রোডাকশন) মাধ্যমে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমাজন ইতিমধ্যে এক্স–এনার্জি নামের একটি এসএমআর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়াশিংটন ও ভার্জিনিয়ায় ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন পারমাণবিক উৎপাদন সক্ষমতা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
ট্যালেনের ভাষ্যমতে, বিদ্যমান কেন্দ্রের সম্প্রসারণ ও নতুন এসএমআর নির্মাণ ‘পিজেএম গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ’ যোগ করার লক্ষ্যে করা হচ্ছে, যাতে করে গ্রাহকদের অতিরিক্ত আর্থিক চাপ না পড়ে—এমন সমালোচনা ঠেকানো যায়।

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন।
এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জির সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে আমাজনের ক্লাউড সার্ভিস এডব্লিউএস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সার্ভার পরিচালনার জন্য।
আমাজনের এই নতুন পদক্ষেপ বুধবার ঘোষণা করলেও এটি পুরোপুরি নতুন কোনো চুক্তি নয়। বরং পুরোনো এক চুক্তির হালনাগাদ সংস্করণ।
মাইক্রোসফট ও মেটার পর আমাজনই সর্বশেষ ‘হাইপারস্কেল’ কোম্পানি, যারা সরাসরি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করল।
প্রথমে পরিকল্পনা ছিল, আমাজন ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে একটি নিজস্ব ডেটা সেন্টার গড়ে তুলবে এবং সেখান থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ নিবে—গ্রিডে পাঠানো ছাড়াই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই চুক্তি বাতিল করে দেয়। তাদের মতে, এ ধরনের ‘বিহাইন্ড-দ্য-মিটার’ চুক্তি বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালনার খরচ সাধারণ গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেবে।
নতুন সংস্করণে চুক্তি ‘ফ্রন্ট-অব-দ্য-মিটার’ ধাঁচে করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন আমাজনের ডেটা সেন্টারটি অন্যান্য গ্রাহকের মতোই বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেবে এবং তার জন্য নির্ধারিত ট্রান্সমিশন ফি পরিশোধ করবে।
টেলেন এনার্জি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের পুনর্গঠন ২০২৬ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আমাজন ২০৪২ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কিনবে।
এতেই শেষ নয়। আমাজন ও ট্যালেন যৌথভাবে জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে পেনসিলভানিয়ায় ছোট মডুলার রিঅ্যাক্টর (এসএমআর) নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এবং বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যমান পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায় হলো উন্নততর জ্বালানি ব্যবহার, সিস্টেম অপটিমাইজেশন বা টারবাইন আধুনিকায়ন। তুলনামূলকভাবে এটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের চেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী।
মাইক্রোসফট এই ধারা শুরু করে গত বছর। তারা কসস্টেলশন এনার্জির সঙ্গে মিলে থ্রি মাইল আইল্যান্ডে একটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে, যার ব্যয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং উৎপাদনক্ষমতা ৮৩৫ মেগাওয়াট।
এরপর চলতি মাসেই মেটা ১ দশমিক ১ গিগাওয়াট ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের ‘পরিষ্কার জ্বালানি বৈশিষ্ট্য’ কিনছে।
এসএমআর নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাজন একা নয়। কয়েকটি স্টার্টআপ এই প্রযুক্তির পেছনে কাজ করছে। এর প্রতি আগ্রহের কারণ হলো—গণ উৎপাদনের (মাস প্রোডাকশন) মাধ্যমে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমাজন ইতিমধ্যে এক্স–এনার্জি নামের একটি এসএমআর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়াশিংটন ও ভার্জিনিয়ায় ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন পারমাণবিক উৎপাদন সক্ষমতা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
ট্যালেনের ভাষ্যমতে, বিদ্যমান কেন্দ্রের সম্প্রসারণ ও নতুন এসএমআর নির্মাণ ‘পিজেএম গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ’ যোগ করার লক্ষ্যে করা হচ্ছে, যাতে করে গ্রাহকদের অতিরিক্ত আর্থিক চাপ না পড়ে—এমন সমালোচনা ঠেকানো যায়।

বাড়ির উঠানে বা গ্যারেজে রাখা একটি ছোট ডেটা সেন্টার (কম্পিউটার সার্ভার) ব্যবহার করে নিজেদের ঘর গরম রাখার এক যুগান্তকারী প্রকল্প শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এসেক্সের এক দম্পতি এই প্রকল্পের প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহারকারী। এভাবে তাঁরা মাসিক জ্বালানি বিল প্রায় ১০ গুণ কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নতুন ক্লাউড কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৭ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে প্রযুক্তি খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখল কোম্পানিটি।
১ দিন আগে
আসলে ‘আইফোন পকেট’ হলো একধরনের পরিধানযোগ্য স্মার্টফোন স্লিং বা ব্যাগ। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
১ দিন আগে
অ্যাপল তাদের নতুন পণ্যটির নাম দিয়েছে ‘আইফোন পকেট’ (iPhone Pocket)। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাড়ির উঠানে বা গ্যারেজে রাখা একটি ছোট ডেটা সেন্টার (কম্পিউটার সার্ভার) ব্যবহার করে নিজেদের ঘর গরম রাখার এক যুগান্তকারী প্রকল্প শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এসেক্সের এক দম্পতি এই প্রকল্পের প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহারকারী। এভাবে তাঁরা মাসিক জ্বালানি বিল প্রায় ১০ গুণ কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
ব্রেইন্ট্রির কাছে বসবাসকারী টরেন্স (৭৬) ও লেসলি ব্রিজেস (৭৫) দম্পতি তাঁদের পুরোনো গ্যাস বয়লারের পরিবর্তে ‘হিটহাব’ নামের একটি ছোট ডেটা সেন্টার স্থাপন করেছেন। এই ডেটা সেন্টারে পাঁচ শতাধিক কম্পিউটার রয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থা চালুর পর তাঁদের মাসিক জ্বালানি বিল ৩৭৫ পাউন্ড থেকে কমে মাত্র ৪০ থেকে ৬০ পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে।
ডেটা সেন্টার হলো মূলত বিপুলসংখ্যক কম্পিউটারের সমষ্টি। কম্পিউটারগুলো ডেটা প্রক্রিয়া করার সময় প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন করে। ‘হিটহাব’ সেই তাপ ধারণ করে তেলে। সেই তেল একটি ক্লোজড-লুপ সিস্টেমের (চক্রাকার) মাধ্যমে ব্রিজেস দম্পতি পানি ও ঘর গরম করার সিস্টেমে তাপ স্থানান্তর করেন।
অবসরপ্রাপ্ত রয়্যাল এয়ারফোর্স সার্জেন্ট টরেন্স ব্রিজেস বলেন, তাঁর স্ত্রী লেসলি মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভোগেন এবং ঠান্ডা লাগলে তাঁর প্রচণ্ড ব্যথা হয়। তাই বাড়ি উষ্ণ রাখাটা তাঁদের জন্য জরুরি। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা সত্যিই দুর্দান্ত। আমরা এই ট্রায়ালের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় খুবই খুশি। হিটিং সিস্টেমে কোনো ত্রুটি নেই—আগের ব্যবস্থার তুলনায় এটি শতভাগ উন্নত।’
হিটহাব সিস্টেমটি তৈরি করেছে থার্মিফাই নামের একটি সংস্থা। এটি ইউকে পাওয়ার নেটওয়ার্কসের শিল্ড প্রকল্পের একটি অংশ। তাদের লক্ষ্য হলো স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোকে পরিবেশবান্ধব ‘নেট জিরো’ ব্যবস্থায় স্থানান্তরিত করার উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে বের করা। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্রিজেস দম্পতির বাড়িতে সোলার প্যানেল ও একটি ব্যাটারি স্থাপন করা হয়েছে। এতে তাঁদের আরও বেশি সাশ্রয় হচ্ছে।
থার্মিফাইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ট্রেভিস থিউন বলেন, তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি ব্যবস্থা ডিজাইন করা, যা একই সঙ্গে ‘পরিবেশবান্ধব’ ও ‘সাশ্রয়ী’ জ্বালানি সরবরাহ করতে পারে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই পদ্ধতিতে ‘কম বা বিনা মূল্যে পরিবেশবান্ধব ও কার্বনমুক্ত তাপ’ পাওয়া যায়, কারণ, তাপ উৎপন্নকারী বিদ্যুতের বিল অন্য কেউ (ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ক্লায়েন্ট) পরিশোধ করে।
প্রকল্পটি বর্তমানে পাইলট পর্যায়ে রয়েছে। থার্মিফাই আশা করছে, ভবিষ্যতে এটি একটি ‘রিমোট ও ডিস্ট্রিবিউটেড’ ডেটা সেন্টারের অংশ হবে। এ ধরনের ডেটা সেন্টার বহু ইউনিটে বিভক্ত হয়ে গ্রাহকদের ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করবে। যদিও এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়নি, তবে এটি অ্যাপ বা বড় ডেটা বিশ্লেষণের মতো কাজ পরিচালনা করতে সক্ষম।
ব্রিজেস দম্পতির আবাসন সরবরাহকারী ইস্টলাইট কমিউনিটি হোমসও এই প্রকল্পের অংশ। ইস্টলাইটের ড্যানিয়েল গ্রিনউড আশা প্রকাশ করেছেন, প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে আরও ৫০টি বাড়িতে হিটহাব স্থাপন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, আধুনিক বিশ্বে ডেটা সেন্টারগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। অনুমান করা হয়, যুক্তরাজ্যের মোট বিদ্যুতের প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যবহার করে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ডেটা সেন্টারগুলো। ২০৩০ সালের মধ্যে এই চাহিদা চার গুণ বাড়তে পারে।
অবশ্য ডেটা সেন্টার থেকে উৎপন্ন তাপকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে—এমন প্রতিষ্ঠান থার্মিফাই একা নয়, ডেভনের একটি সুইমিং পুল বর্তমানে ওয়াশিং মেশিনের আকারের একটি ‘ডিজিটাল বয়লার’ দিয়ে গরম করা হচ্ছে। এ ছাড়া ক্যামব্রিজশায়ারেও একটি সৌরবিদ্যুৎচালিত ডেটা সেন্টার ও ডিস্ট্রিক্ট হিট নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।
মাইক্রোসফটও একটি পরীক্ষামূলক আন্ডারওয়াটার ডেটা সেন্টার নিয়ে কাজ করেছে (প্রজেক্ট ন্যাটিক)। তারা ৮৫০টির বেশি সার্ভার সমুদ্রের তলদেশে স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) হিসাব অনুসারে, ডেটা সেন্টারগুলো তাদের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ৩০ শতাংশ ব্যয় করে কুলিং বা ঠান্ডা করার কাজে।

বাড়ির উঠানে বা গ্যারেজে রাখা একটি ছোট ডেটা সেন্টার (কম্পিউটার সার্ভার) ব্যবহার করে নিজেদের ঘর গরম রাখার এক যুগান্তকারী প্রকল্প শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এসেক্সের এক দম্পতি এই প্রকল্পের প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহারকারী। এভাবে তাঁরা মাসিক জ্বালানি বিল প্রায় ১০ গুণ কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
ব্রেইন্ট্রির কাছে বসবাসকারী টরেন্স (৭৬) ও লেসলি ব্রিজেস (৭৫) দম্পতি তাঁদের পুরোনো গ্যাস বয়লারের পরিবর্তে ‘হিটহাব’ নামের একটি ছোট ডেটা সেন্টার স্থাপন করেছেন। এই ডেটা সেন্টারে পাঁচ শতাধিক কম্পিউটার রয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থা চালুর পর তাঁদের মাসিক জ্বালানি বিল ৩৭৫ পাউন্ড থেকে কমে মাত্র ৪০ থেকে ৬০ পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে।
ডেটা সেন্টার হলো মূলত বিপুলসংখ্যক কম্পিউটারের সমষ্টি। কম্পিউটারগুলো ডেটা প্রক্রিয়া করার সময় প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন করে। ‘হিটহাব’ সেই তাপ ধারণ করে তেলে। সেই তেল একটি ক্লোজড-লুপ সিস্টেমের (চক্রাকার) মাধ্যমে ব্রিজেস দম্পতি পানি ও ঘর গরম করার সিস্টেমে তাপ স্থানান্তর করেন।
অবসরপ্রাপ্ত রয়্যাল এয়ারফোর্স সার্জেন্ট টরেন্স ব্রিজেস বলেন, তাঁর স্ত্রী লেসলি মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভোগেন এবং ঠান্ডা লাগলে তাঁর প্রচণ্ড ব্যথা হয়। তাই বাড়ি উষ্ণ রাখাটা তাঁদের জন্য জরুরি। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা সত্যিই দুর্দান্ত। আমরা এই ট্রায়ালের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় খুবই খুশি। হিটিং সিস্টেমে কোনো ত্রুটি নেই—আগের ব্যবস্থার তুলনায় এটি শতভাগ উন্নত।’
হিটহাব সিস্টেমটি তৈরি করেছে থার্মিফাই নামের একটি সংস্থা। এটি ইউকে পাওয়ার নেটওয়ার্কসের শিল্ড প্রকল্পের একটি অংশ। তাদের লক্ষ্য হলো স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোকে পরিবেশবান্ধব ‘নেট জিরো’ ব্যবস্থায় স্থানান্তরিত করার উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে বের করা। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্রিজেস দম্পতির বাড়িতে সোলার প্যানেল ও একটি ব্যাটারি স্থাপন করা হয়েছে। এতে তাঁদের আরও বেশি সাশ্রয় হচ্ছে।
থার্মিফাইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ট্রেভিস থিউন বলেন, তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি ব্যবস্থা ডিজাইন করা, যা একই সঙ্গে ‘পরিবেশবান্ধব’ ও ‘সাশ্রয়ী’ জ্বালানি সরবরাহ করতে পারে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই পদ্ধতিতে ‘কম বা বিনা মূল্যে পরিবেশবান্ধব ও কার্বনমুক্ত তাপ’ পাওয়া যায়, কারণ, তাপ উৎপন্নকারী বিদ্যুতের বিল অন্য কেউ (ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ক্লায়েন্ট) পরিশোধ করে।
প্রকল্পটি বর্তমানে পাইলট পর্যায়ে রয়েছে। থার্মিফাই আশা করছে, ভবিষ্যতে এটি একটি ‘রিমোট ও ডিস্ট্রিবিউটেড’ ডেটা সেন্টারের অংশ হবে। এ ধরনের ডেটা সেন্টার বহু ইউনিটে বিভক্ত হয়ে গ্রাহকদের ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করবে। যদিও এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়নি, তবে এটি অ্যাপ বা বড় ডেটা বিশ্লেষণের মতো কাজ পরিচালনা করতে সক্ষম।
ব্রিজেস দম্পতির আবাসন সরবরাহকারী ইস্টলাইট কমিউনিটি হোমসও এই প্রকল্পের অংশ। ইস্টলাইটের ড্যানিয়েল গ্রিনউড আশা প্রকাশ করেছেন, প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে আরও ৫০টি বাড়িতে হিটহাব স্থাপন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, আধুনিক বিশ্বে ডেটা সেন্টারগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। অনুমান করা হয়, যুক্তরাজ্যের মোট বিদ্যুতের প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যবহার করে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ডেটা সেন্টারগুলো। ২০৩০ সালের মধ্যে এই চাহিদা চার গুণ বাড়তে পারে।
অবশ্য ডেটা সেন্টার থেকে উৎপন্ন তাপকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে—এমন প্রতিষ্ঠান থার্মিফাই একা নয়, ডেভনের একটি সুইমিং পুল বর্তমানে ওয়াশিং মেশিনের আকারের একটি ‘ডিজিটাল বয়লার’ দিয়ে গরম করা হচ্ছে। এ ছাড়া ক্যামব্রিজশায়ারেও একটি সৌরবিদ্যুৎচালিত ডেটা সেন্টার ও ডিস্ট্রিক্ট হিট নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।
মাইক্রোসফটও একটি পরীক্ষামূলক আন্ডারওয়াটার ডেটা সেন্টার নিয়ে কাজ করেছে (প্রজেক্ট ন্যাটিক)। তারা ৮৫০টির বেশি সার্ভার সমুদ্রের তলদেশে স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) হিসাব অনুসারে, ডেটা সেন্টারগুলো তাদের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ৩০ শতাংশ ব্যয় করে কুলিং বা ঠান্ডা করার কাজে।

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন। এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জি-এর সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে...
১৪ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নতুন ক্লাউড কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৭ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে প্রযুক্তি খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখল কোম্পানিটি।
১ দিন আগে
আসলে ‘আইফোন পকেট’ হলো একধরনের পরিধানযোগ্য স্মার্টফোন স্লিং বা ব্যাগ। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
১ দিন আগে
অ্যাপল তাদের নতুন পণ্যটির নাম দিয়েছে ‘আইফোন পকেট’ (iPhone Pocket)। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নতুন ক্লাউড কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৭ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে প্রযুক্তি খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখল কোম্পানিটি।
গত শুক্রবার গুগল জানায়, উত্তর টেক্সাসে নতুন ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস তৈরিতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে টেক্সাসে তাদের কার্যক্রম থাকলেও এ বিনিয়োগের মাধ্যমে উপস্থিতি আরও ব্যাপক হবে।
এক বিবৃতিতে গুগল জানিয়েছে, ‘টেক্সাসে আমাদের নতুন বিনিয়োগ রাজ্যের কর্মশক্তি ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এআই নেতৃত্ব ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ভিত্তি নিশ্চিত করবে।’
টেক্সাসের অনিয়ন্ত্রিত জ্বালানি বাজার এবং নবায়নযোগ্য শক্তির বিস্তৃত ব্যবহার ডেটা সেন্টার স্থাপনের জন্য রাজ্যটিকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে ডেটা সেন্টারের বাড়তি বিদ্যুৎ চাহিদা স্থানীয় গ্রিডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে—বিশেষ করে ২০২১ সালের ভয়াবহ শীতঝড়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পর থেকে এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
টেক্সাসে বিশ্বের বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে। ওপেনএআই তাদের উচ্চাভিলাষী ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টারগেট’ প্রকল্পের কেন্দ্র হিসেবে টেক্সাসের অ্যাবিলিনকে বেছে নিয়েছে। ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা ফোর্ট ওয়ার্থে ডেটা সেন্টার নির্মাণে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। টেসলা ২০২১ সালে সদর দপ্তর অস্টিনে সরিয়ে সেখানে বিশাল কারখানা তৈরি করেছে। ওরাকলও একইভাবে সদর দপ্তর অস্টিনে নিয়েছে। আর স্যামসাং টেক্সাসের টেলর শহরে ১৭ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপন করছে।
ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ চাপ মোকাবিলায় গুগল তার প্রতিশ্রুত ৩০ মিলিয়ন ডলারের ‘এনার্জি ইমপ্যাক্ট ফান্ড’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এই তহবিল স্থানীয় জ্বালানি উদ্যোগকে সহায়তা করবে এবং সম্প্রদায়ের জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। গুগল আরও জানিয়েছে, তাদের প্রকল্পের কারণে গ্রিডে নতুন জ্বালানি সম্পদ যুক্ত করা ও সংশ্লিষ্ট ব্যয় কোম্পানিটিই বহন করবে।
সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদনে গুগল জানিয়েছে, ২০২৫ সালে তাদের মূলধনি ব্যয় দাঁড়াতে পারে ৯১-৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা ডেটা সেন্টার ও কম্পিউটিং শক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রতিফলন—এআই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে যা প্রয়োজনীয়।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নতুন ক্লাউড কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৭ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে প্রযুক্তি খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখল কোম্পানিটি।
গত শুক্রবার গুগল জানায়, উত্তর টেক্সাসে নতুন ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস তৈরিতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে টেক্সাসে তাদের কার্যক্রম থাকলেও এ বিনিয়োগের মাধ্যমে উপস্থিতি আরও ব্যাপক হবে।
এক বিবৃতিতে গুগল জানিয়েছে, ‘টেক্সাসে আমাদের নতুন বিনিয়োগ রাজ্যের কর্মশক্তি ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এআই নেতৃত্ব ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ভিত্তি নিশ্চিত করবে।’
টেক্সাসের অনিয়ন্ত্রিত জ্বালানি বাজার এবং নবায়নযোগ্য শক্তির বিস্তৃত ব্যবহার ডেটা সেন্টার স্থাপনের জন্য রাজ্যটিকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে ডেটা সেন্টারের বাড়তি বিদ্যুৎ চাহিদা স্থানীয় গ্রিডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে—বিশেষ করে ২০২১ সালের ভয়াবহ শীতঝড়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পর থেকে এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
টেক্সাসে বিশ্বের বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে। ওপেনএআই তাদের উচ্চাভিলাষী ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টারগেট’ প্রকল্পের কেন্দ্র হিসেবে টেক্সাসের অ্যাবিলিনকে বেছে নিয়েছে। ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা ফোর্ট ওয়ার্থে ডেটা সেন্টার নির্মাণে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। টেসলা ২০২১ সালে সদর দপ্তর অস্টিনে সরিয়ে সেখানে বিশাল কারখানা তৈরি করেছে। ওরাকলও একইভাবে সদর দপ্তর অস্টিনে নিয়েছে। আর স্যামসাং টেক্সাসের টেলর শহরে ১৭ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপন করছে।
ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ চাপ মোকাবিলায় গুগল তার প্রতিশ্রুত ৩০ মিলিয়ন ডলারের ‘এনার্জি ইমপ্যাক্ট ফান্ড’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এই তহবিল স্থানীয় জ্বালানি উদ্যোগকে সহায়তা করবে এবং সম্প্রদায়ের জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। গুগল আরও জানিয়েছে, তাদের প্রকল্পের কারণে গ্রিডে নতুন জ্বালানি সম্পদ যুক্ত করা ও সংশ্লিষ্ট ব্যয় কোম্পানিটিই বহন করবে।
সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদনে গুগল জানিয়েছে, ২০২৫ সালে তাদের মূলধনি ব্যয় দাঁড়াতে পারে ৯১-৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা ডেটা সেন্টার ও কম্পিউটিং শক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রতিফলন—এআই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে যা প্রয়োজনীয়।

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন। এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জি-এর সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে...
১৪ জুন ২০২৫
বাড়ির উঠানে বা গ্যারেজে রাখা একটি ছোট ডেটা সেন্টার (কম্পিউটার সার্ভার) ব্যবহার করে নিজেদের ঘর গরম রাখার এক যুগান্তকারী প্রকল্প শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এসেক্সের এক দম্পতি এই প্রকল্পের প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহারকারী। এভাবে তাঁরা মাসিক জ্বালানি বিল প্রায় ১০ গুণ কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
আসলে ‘আইফোন পকেট’ হলো একধরনের পরিধানযোগ্য স্মার্টফোন স্লিং বা ব্যাগ। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
১ দিন আগে
অ্যাপল তাদের নতুন পণ্যটির নাম দিয়েছে ‘আইফোন পকেট’ (iPhone Pocket)। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের হিউস্টন স্ট্রিটের দক্ষিণে অবস্থিত একটি অ্যাপল স্টোরের সামনে শুক্রবার সকাল থেকে ক্রেতাদের সারি। উদ্দেশ্য, অ্যাপলের নতুন পণ্য ‘আইফোন পকেট’ কেনা। সীমিত সংস্করণের এই পণ্য বাজারে আসার পরই অ্যাপল স্টোরগুলোতে এমন ভিড় দেখা গেছে। ১৫০ থেকে ২৩০ ডলার মূল্যের এই পণ্য দেখতে মোজার মতো। অ্যাপল বলছে, ‘এক্সট্রা বা অতিরিক্ত পকেট তৈরির ধারণা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
আসলে আইফোন পকেট হলো একধরনের পরিধানযোগ্য স্মার্টফোন স্লিং বা ব্যাগ। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
মিয়াকে অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের আইকনিক কালো টার্টলনেক (লম্বা কলারওয়ালা সোয়েটার) তৈরির জন্য সুপরিচিত। এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বিপুলসংখ্যক অনুরাগী থাকায় আইফোন পকেট বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতাদের মধ্যে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিউইয়র্কের ২৬ বছর বয়সী ফ্যাশন ডিজাইনার লি আইজনার বলেন, ‘এটি খুবই চমৎকার ডিজাইনের। কারণ, এটি ইসি মিয়াকের তৈরি। আমি শুনলাম, এটি ইতিমধ্যেই সোল্ড আউট। এরপরই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমারও এই জিনিস চাই।’ লি জানান, তিনি কালো রঙের বড় আইফোন পকেটটি কিনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই স্টক শেষ হয়ে গেছে।
অ্যাপল দুটি সাইজ, বেশ কয়েকটি কালারে আইফোন পকেটটি বাজারে এনেছে। শর্ট বা ছোটটির দাম ১৫০ ডলার, লং বা বড়টির দাম ২৩০ ডলার।
এটি রংধনুর মতো নানা রঙে পাওয়া যায় এবং থ্রিডি-নিটেড বা ত্রিমাত্রিক বুনন প্রযুক্তির হওয়ায় যেকোনো সাইজের আইফোন এতে রাখা যায়। প্রয়োজন হলে এতে এয়ারপড বা লিপ বামও রাখা যাবে। এর আকৃতি এবং টেক্সচার অনেকটা কারাতে বেল্টের মতো। এটি শরীরে ঝুলিয়ে, ব্যাগে বেঁধে বা হাতে ধরে—বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়।
অ্যাপলের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১০টি রিটেইলে এই পণ্য পাওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে শুধু নিউইয়র্কের হিউস্টন স্ট্রিটের দক্ষিণে অবস্থিত একটি অ্যাপল স্টোরে এটি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে লন্ডন, মিলান, টোকিও, হংকং ও প্যারিসের মতো শহরগুলোর বিভিন্ন স্টোরে পাওয়া যাবে।
এদিকে পণ্যটি অনলাইনে কিনতে গেলেও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব কালার ও সাইজ সোল্ড আউট দেখাচ্ছিল।
নিউইয়র্কের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী ওয়েন স্যান্ডার্স জানান, তিনি তাঁর স্ত্রীর জন্য হিউস্টন স্ট্রিটের স্টোর থেকে একটি ছোট গোলাপি রঙের আইফোন পকেট কিনতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ইসি মিয়াকের ডিজাইন ভীষণ পছন্দ করে। আজও যখন কেউ কালো টার্টলনেক পরে, মানুষ বলে—স্টিভ জবসের মতো লাগছে। আর সেটার কারণ এই মিয়াকে। এটাই আমার কাছে অর্থবহ।’
অ্যাপলের নতুন এই পণ্যের দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেই লিখেছেন, এটি কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ‘বেমানান’। অনেকে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে, অ্যাপল মজা করে এটা বানিয়েছে।’
তবে ইসি মিয়াকে-ভক্তরা বলছেন, সবাই এর মূল্য বুঝবে না। কনটেন্ট ক্রিয়েটর মাইকেল জশ বলেন, ‘এটি শুধু অ্যাকসেসরিস নয়, এটি একটি শিল্পকর্ম বা সংগ্রহযোগ্য ফ্যাশন আইটেম।’
অ্যাপল অতীতেও এমন দামি অ্যাকসেসরিস তৈরি করেছিল। যেমন এর আগে অ্যাপল তৈরি করেছিল ১৯ ডলারের পলিশিং ক্লথ, ৯৯৯ ডলারের মনিটর স্ট্যান্ড।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি আইফোনকে ‘পরিধানযোগ্য’ (wearable) ডিভাইসে রূপান্তর করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গত সেপ্টেম্বরে অ্যাপল একটি আইফোন ক্রসবডি স্ট্র্যাপ (ফোন কাভারের সঙ্গে যুক্ত করার ফিতা) বাজারে আনে, যা বহু বছর ধরে এশিয়ায় জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড। এর দাম ছিল ৫৯ ডলার।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ

নিউইয়র্কের হিউস্টন স্ট্রিটের দক্ষিণে অবস্থিত একটি অ্যাপল স্টোরের সামনে শুক্রবার সকাল থেকে ক্রেতাদের সারি। উদ্দেশ্য, অ্যাপলের নতুন পণ্য ‘আইফোন পকেট’ কেনা। সীমিত সংস্করণের এই পণ্য বাজারে আসার পরই অ্যাপল স্টোরগুলোতে এমন ভিড় দেখা গেছে। ১৫০ থেকে ২৩০ ডলার মূল্যের এই পণ্য দেখতে মোজার মতো। অ্যাপল বলছে, ‘এক্সট্রা বা অতিরিক্ত পকেট তৈরির ধারণা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
আসলে আইফোন পকেট হলো একধরনের পরিধানযোগ্য স্মার্টফোন স্লিং বা ব্যাগ। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
মিয়াকে অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের আইকনিক কালো টার্টলনেক (লম্বা কলারওয়ালা সোয়েটার) তৈরির জন্য সুপরিচিত। এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বিপুলসংখ্যক অনুরাগী থাকায় আইফোন পকেট বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতাদের মধ্যে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিউইয়র্কের ২৬ বছর বয়সী ফ্যাশন ডিজাইনার লি আইজনার বলেন, ‘এটি খুবই চমৎকার ডিজাইনের। কারণ, এটি ইসি মিয়াকের তৈরি। আমি শুনলাম, এটি ইতিমধ্যেই সোল্ড আউট। এরপরই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমারও এই জিনিস চাই।’ লি জানান, তিনি কালো রঙের বড় আইফোন পকেটটি কিনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই স্টক শেষ হয়ে গেছে।
অ্যাপল দুটি সাইজ, বেশ কয়েকটি কালারে আইফোন পকেটটি বাজারে এনেছে। শর্ট বা ছোটটির দাম ১৫০ ডলার, লং বা বড়টির দাম ২৩০ ডলার।
এটি রংধনুর মতো নানা রঙে পাওয়া যায় এবং থ্রিডি-নিটেড বা ত্রিমাত্রিক বুনন প্রযুক্তির হওয়ায় যেকোনো সাইজের আইফোন এতে রাখা যায়। প্রয়োজন হলে এতে এয়ারপড বা লিপ বামও রাখা যাবে। এর আকৃতি এবং টেক্সচার অনেকটা কারাতে বেল্টের মতো। এটি শরীরে ঝুলিয়ে, ব্যাগে বেঁধে বা হাতে ধরে—বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়।
অ্যাপলের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১০টি রিটেইলে এই পণ্য পাওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে শুধু নিউইয়র্কের হিউস্টন স্ট্রিটের দক্ষিণে অবস্থিত একটি অ্যাপল স্টোরে এটি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে লন্ডন, মিলান, টোকিও, হংকং ও প্যারিসের মতো শহরগুলোর বিভিন্ন স্টোরে পাওয়া যাবে।
এদিকে পণ্যটি অনলাইনে কিনতে গেলেও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব কালার ও সাইজ সোল্ড আউট দেখাচ্ছিল।
নিউইয়র্কের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী ওয়েন স্যান্ডার্স জানান, তিনি তাঁর স্ত্রীর জন্য হিউস্টন স্ট্রিটের স্টোর থেকে একটি ছোট গোলাপি রঙের আইফোন পকেট কিনতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ইসি মিয়াকের ডিজাইন ভীষণ পছন্দ করে। আজও যখন কেউ কালো টার্টলনেক পরে, মানুষ বলে—স্টিভ জবসের মতো লাগছে। আর সেটার কারণ এই মিয়াকে। এটাই আমার কাছে অর্থবহ।’
অ্যাপলের নতুন এই পণ্যের দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেই লিখেছেন, এটি কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ‘বেমানান’। অনেকে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে, অ্যাপল মজা করে এটা বানিয়েছে।’
তবে ইসি মিয়াকে-ভক্তরা বলছেন, সবাই এর মূল্য বুঝবে না। কনটেন্ট ক্রিয়েটর মাইকেল জশ বলেন, ‘এটি শুধু অ্যাকসেসরিস নয়, এটি একটি শিল্পকর্ম বা সংগ্রহযোগ্য ফ্যাশন আইটেম।’
অ্যাপল অতীতেও এমন দামি অ্যাকসেসরিস তৈরি করেছিল। যেমন এর আগে অ্যাপল তৈরি করেছিল ১৯ ডলারের পলিশিং ক্লথ, ৯৯৯ ডলারের মনিটর স্ট্যান্ড।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি আইফোনকে ‘পরিধানযোগ্য’ (wearable) ডিভাইসে রূপান্তর করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গত সেপ্টেম্বরে অ্যাপল একটি আইফোন ক্রসবডি স্ট্র্যাপ (ফোন কাভারের সঙ্গে যুক্ত করার ফিতা) বাজারে আনে, যা বহু বছর ধরে এশিয়ায় জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড। এর দাম ছিল ৫৯ ডলার।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন। এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জি-এর সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে...
১৪ জুন ২০২৫
বাড়ির উঠানে বা গ্যারেজে রাখা একটি ছোট ডেটা সেন্টার (কম্পিউটার সার্ভার) ব্যবহার করে নিজেদের ঘর গরম রাখার এক যুগান্তকারী প্রকল্প শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এসেক্সের এক দম্পতি এই প্রকল্পের প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহারকারী। এভাবে তাঁরা মাসিক জ্বালানি বিল প্রায় ১০ গুণ কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নতুন ক্লাউড কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৭ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে প্রযুক্তি খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখল কোম্পানিটি।
১ দিন আগে
অ্যাপল তাদের নতুন পণ্যটির নাম দিয়েছে ‘আইফোন পকেট’ (iPhone Pocket)। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রযুক্তিনির্ভর ও আধুনিক ডিজাইনের পণ্য তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত অ্যাপল। তবে তাদের সর্বশেষ পণ্যটি বেশ একটু ভিন্নধর্মী। অনেকের কাছেই অ্যাপলের এই পণ্যকে অদ্ভুত মনে হয়েছে।
অ্যাপল তাদের নতুন পণ্যটির নাম দিয়েছে ‘আইফোন পকেট’ (iPhone Pocket)। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অ্যাপল জানিয়েছে, ‘এক্সট্রা বা অতিরিক্ত পকেট তৈরির ধারণা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপলের যেকোনো মডেলের আইফোনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো করে তৈরি এই ‘পকেট’ আগামীকাল শুক্রবার বাজারে আসছে। এটি পাওয়া যাবে বিভিন্ন রঙে।
অ্যাপলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন মলি অ্যান্ডারসন বলেন, ‘অ্যাপল ও ইসি মিয়াকে কারুশিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে নকশা তৈরি করে। এই অভিনব পকেট সেই ভাবনারই প্রতিফলন। এটি আমাদের পণ্যের সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে মানিয়ে যায় এবং আইফোন, এয়ারপডসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস বহনের এক নতুন ও সুন্দর উপায়।’
তবে পণ্যটির দাম শুনে অনেকে বিস্মিত। অ্যাপল জানিয়েছে, এই পকেটের ছোট সংস্করণের দাম ১৪৯ দশমিক ৯৫ ডলার আর লম্বা বা বড় সংস্করণের দাম ২২৯ দশমিক ৯৫ ডলার (প্রায় ২৮ হাজার টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এই পণ্যের দাম নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একজন লিখেছেন, ‘একখানা কাটা মোজার দাম ২৩০ ডলার! অ্যাপলের ভক্তরা অ্যাপলের নাম থাকলেই সবকিছুর জন্য টাকা দেবে।’
আরও এক ব্যবহারকারী মজা করে আইফোন পকেটকে সাচা ব্যারন কোহেনের (জনপ্রিয় অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা) চরিত্র বোরাটের নিয়ন-সবুজ ম্যানকিনি পোশাকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি পাশাপাশি দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একই রকম ভাইব।’
তবে কেউ কেউ অ্যাপলের এই পণ্যের ধারণাটিকে ভিন্নভাবে দেখছেন।
প্রযুক্তি বিশ্লেষক এমজি সিগলার তাঁর স্পাইগ্লাস নিউজলেটারে একে ‘অবিশ্বাস্য দামি মোজা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর পেছনের চিন্তাধারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সিগলার লেখেন, ইসি মিয়াকে ছিলেন স্টিভ জবসের প্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের একজন। এই পণ্য আসলে আইফোনকে ধীরে ধীরে ‘পরিধানযোগ্য’ (wearable) ডিভাইসে রূপান্তরিত করার চলমান প্রবণতার অংশ।
সিগলার আরও বলেন, যেখানে একসময় দৌড়বিদেরা হাতে ব্যান্ড বেঁধে ফোন রাখতেন, এখন অনেকেই প্রতিদিন আইফোন বহনের জন্য স্ট্র্যাপ (একধরনের ফিতা) ব্যবহার করছেন। এর আগে চলতি বছর অ্যাপল বাজারে এনেছিল আইফোন ক্রসবডি স্ট্র্যাপ (ফোন কাভারের সঙ্গে যুক্ত করার ফিতা), যার দাম ছিল ৫৯ ডলার।
সিগলার বলেন, ‘এটি আরও একটি অ্যাকসেসরিজ—আপনার পোশাকে একটু রঙ ও নতুনত্ব যোগ করবে।’

প্রযুক্তিনির্ভর ও আধুনিক ডিজাইনের পণ্য তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত অ্যাপল। তবে তাদের সর্বশেষ পণ্যটি বেশ একটু ভিন্নধর্মী। অনেকের কাছেই অ্যাপলের এই পণ্যকে অদ্ভুত মনে হয়েছে।
অ্যাপল তাদের নতুন পণ্যটির নাম দিয়েছে ‘আইফোন পকেট’ (iPhone Pocket)। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অ্যাপল জানিয়েছে, ‘এক্সট্রা বা অতিরিক্ত পকেট তৈরির ধারণা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপলের যেকোনো মডেলের আইফোনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো করে তৈরি এই ‘পকেট’ আগামীকাল শুক্রবার বাজারে আসছে। এটি পাওয়া যাবে বিভিন্ন রঙে।
অ্যাপলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন মলি অ্যান্ডারসন বলেন, ‘অ্যাপল ও ইসি মিয়াকে কারুশিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে নকশা তৈরি করে। এই অভিনব পকেট সেই ভাবনারই প্রতিফলন। এটি আমাদের পণ্যের সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে মানিয়ে যায় এবং আইফোন, এয়ারপডসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস বহনের এক নতুন ও সুন্দর উপায়।’
তবে পণ্যটির দাম শুনে অনেকে বিস্মিত। অ্যাপল জানিয়েছে, এই পকেটের ছোট সংস্করণের দাম ১৪৯ দশমিক ৯৫ ডলার আর লম্বা বা বড় সংস্করণের দাম ২২৯ দশমিক ৯৫ ডলার (প্রায় ২৮ হাজার টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এই পণ্যের দাম নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একজন লিখেছেন, ‘একখানা কাটা মোজার দাম ২৩০ ডলার! অ্যাপলের ভক্তরা অ্যাপলের নাম থাকলেই সবকিছুর জন্য টাকা দেবে।’
আরও এক ব্যবহারকারী মজা করে আইফোন পকেটকে সাচা ব্যারন কোহেনের (জনপ্রিয় অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা) চরিত্র বোরাটের নিয়ন-সবুজ ম্যানকিনি পোশাকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি পাশাপাশি দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একই রকম ভাইব।’
তবে কেউ কেউ অ্যাপলের এই পণ্যের ধারণাটিকে ভিন্নভাবে দেখছেন।
প্রযুক্তি বিশ্লেষক এমজি সিগলার তাঁর স্পাইগ্লাস নিউজলেটারে একে ‘অবিশ্বাস্য দামি মোজা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর পেছনের চিন্তাধারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সিগলার লেখেন, ইসি মিয়াকে ছিলেন স্টিভ জবসের প্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের একজন। এই পণ্য আসলে আইফোনকে ধীরে ধীরে ‘পরিধানযোগ্য’ (wearable) ডিভাইসে রূপান্তরিত করার চলমান প্রবণতার অংশ।
সিগলার আরও বলেন, যেখানে একসময় দৌড়বিদেরা হাতে ব্যান্ড বেঁধে ফোন রাখতেন, এখন অনেকেই প্রতিদিন আইফোন বহনের জন্য স্ট্র্যাপ (একধরনের ফিতা) ব্যবহার করছেন। এর আগে চলতি বছর অ্যাপল বাজারে এনেছিল আইফোন ক্রসবডি স্ট্র্যাপ (ফোন কাভারের সঙ্গে যুক্ত করার ফিতা), যার দাম ছিল ৫৯ ডলার।
সিগলার বলেন, ‘এটি আরও একটি অ্যাকসেসরিজ—আপনার পোশাকে একটু রঙ ও নতুনত্ব যোগ করবে।’

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ কেনার প্রবণতা। এবার এই দলে যুক্ত হলো আমাজন। এই সপ্তাহে আমাজন ঘোষণা দিয়েছে, তারা পেনসিলভানিয়ার টেলেন এনার্জি-এর সাসকুহান্না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ দশমিক ৯২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে...
১৪ জুন ২০২৫
বাড়ির উঠানে বা গ্যারেজে রাখা একটি ছোট ডেটা সেন্টার (কম্পিউটার সার্ভার) ব্যবহার করে নিজেদের ঘর গরম রাখার এক যুগান্তকারী প্রকল্প শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এসেক্সের এক দম্পতি এই প্রকল্পের প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহারকারী। এভাবে তাঁরা মাসিক জ্বালানি বিল প্রায় ১০ গুণ কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নতুন ক্লাউড কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৭ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে প্রযুক্তি খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখল কোম্পানিটি।
১ দিন আগে
আসলে ‘আইফোন পকেট’ হলো একধরনের পরিধানযোগ্য স্মার্টফোন স্লিং বা ব্যাগ। ফিতার (স্ট্র্যাপ) কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
১ দিন আগে