আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু তানের সঙ্গে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তান কমপক্ষে আটটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন, যেগুলো সরাসরি চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে যুক্ত।
গত ১৮ মার্চ ইন্টেলের সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তান দীর্ঘদিন ধরে চীনের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করে আসছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করে—এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে থেকে তাঁর এসব বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, চীনের সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তান বর্তমানে ৪০টির বেশি চীনা কোম্পানি ও তাদের ফান্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া তিনি ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আংশিক মালিকানা রাখেন, যার অনেকগুলোর সঙ্গে চীনা সরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ মালিকানা রয়েছে।
তানের এ ধরনের বিনিয়োগ ইন্টেলের পুনরুত্থানে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন কিছু বিশ্লেষক। বিশ্বে কেবল তিনটি প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে উন্নত চিপ নির্মাণ করতে পারে—ইন্টেল, তাইওয়ানের টিএসএমসি ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। এর মধ্যে কেবল ইন্টেলই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বাস্তিল ভেঞ্চারসের পার্টনার অ্যান্ড্রু কিং বলেন, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার জন্য তান উপযুক্ত নন; বিশেষ করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
তবে কেউ কেউ মনে করেন, চীনের প্রযুক্তি খাতে তানের অভিজ্ঞতা ইন্টেলের পুনরুজ্জীবনে সহায়ক হতে পারে। বিশ্লেষক স্টেসি রাসগন বলেন, তিনি একজন কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্টেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চীনা দূতাবাস রয়টার্সের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার নামে চীনের সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় নীতিকে বিকৃত করার চেষ্টাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’
তান ১৯৮৭ সালে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকারী ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া হংকংভিত্তিক সাকারিয়া লিমিটেড ও সেইন লিমিটেড নামের দুটি হোল্ডিং কোম্পানির মালিকানা রয়েছে তাঁর হাতে। তিনি ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন।
ইন্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তান সম্ভাব্য স্বার্থ সংঘাতের বিষয়ে কোম্পানিকে জানিয়ে দিয়েছেন এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে চীনে তাঁর বিনিয়োগের বিষয়ে ইন্টেল কোনো মন্তব্য করেনি।
ওয়ালডেনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রয়টার্সকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, তান ইতিমধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠানে তাঁর মালিকানা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনেক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি এখনো সক্রিয় রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য চীনা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা অবৈধ নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ‘চায়নিজ মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স কোম্পানিজ’ তালিকায় কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নাগরিকদের বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। রয়টার্স জানিয়েছে, তানের কোনো বিনিয়োগ সরাসরি ওই নিষিদ্ধ তালিকায় নেই।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, চীনের সেনাসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চেইনে থাকতে পারে না। ইন্টেল বর্তমানে প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চিপ নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। তাই তানের চীনা সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তান চীনের চিপ ও উন্নত প্রযুক্তি খাতে অন্তত ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে পিএলএর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া চীনের সামরিক প্রযুক্তির অন্যতম বড় সরবরাহকারী চায়না ইলেকট্রনিকস করপোরেশনের সঙ্গে তানের ওয়ালডেনের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে এই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
এ ছাড়া চীনের সবচেয়ে বড় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএমআইসির অন্যতম বিনিয়োগকারী ছিলেন লিপ-বু তান। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিষ্ঠানকে এখন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে।
মাত্র এক মাস আগে ইন্টেলের নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লিপ-বু তান। ইন্টেলের জন্য তাঁর নিয়োগ নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এলেও তাঁর চীনা বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা প্রতিযোগিতার এই সময়ে তানের নিয়োগ কতটা যুক্তিসংগত, তা নিয়েও বিতর্ক চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু তানের সঙ্গে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তান কমপক্ষে আটটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন, যেগুলো সরাসরি চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে যুক্ত।
গত ১৮ মার্চ ইন্টেলের সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তান দীর্ঘদিন ধরে চীনের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করে আসছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করে—এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে থেকে তাঁর এসব বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, চীনের সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তান বর্তমানে ৪০টির বেশি চীনা কোম্পানি ও তাদের ফান্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া তিনি ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আংশিক মালিকানা রাখেন, যার অনেকগুলোর সঙ্গে চীনা সরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ মালিকানা রয়েছে।
তানের এ ধরনের বিনিয়োগ ইন্টেলের পুনরুত্থানে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন কিছু বিশ্লেষক। বিশ্বে কেবল তিনটি প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে উন্নত চিপ নির্মাণ করতে পারে—ইন্টেল, তাইওয়ানের টিএসএমসি ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। এর মধ্যে কেবল ইন্টেলই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বাস্তিল ভেঞ্চারসের পার্টনার অ্যান্ড্রু কিং বলেন, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার জন্য তান উপযুক্ত নন; বিশেষ করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
তবে কেউ কেউ মনে করেন, চীনের প্রযুক্তি খাতে তানের অভিজ্ঞতা ইন্টেলের পুনরুজ্জীবনে সহায়ক হতে পারে। বিশ্লেষক স্টেসি রাসগন বলেন, তিনি একজন কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্টেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চীনা দূতাবাস রয়টার্সের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার নামে চীনের সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় নীতিকে বিকৃত করার চেষ্টাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’
তান ১৯৮৭ সালে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকারী ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া হংকংভিত্তিক সাকারিয়া লিমিটেড ও সেইন লিমিটেড নামের দুটি হোল্ডিং কোম্পানির মালিকানা রয়েছে তাঁর হাতে। তিনি ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন।
ইন্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তান সম্ভাব্য স্বার্থ সংঘাতের বিষয়ে কোম্পানিকে জানিয়ে দিয়েছেন এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে চীনে তাঁর বিনিয়োগের বিষয়ে ইন্টেল কোনো মন্তব্য করেনি।
ওয়ালডেনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রয়টার্সকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, তান ইতিমধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠানে তাঁর মালিকানা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনেক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি এখনো সক্রিয় রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য চীনা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা অবৈধ নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ‘চায়নিজ মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স কোম্পানিজ’ তালিকায় কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নাগরিকদের বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। রয়টার্স জানিয়েছে, তানের কোনো বিনিয়োগ সরাসরি ওই নিষিদ্ধ তালিকায় নেই।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, চীনের সেনাসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চেইনে থাকতে পারে না। ইন্টেল বর্তমানে প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চিপ নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। তাই তানের চীনা সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তান চীনের চিপ ও উন্নত প্রযুক্তি খাতে অন্তত ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে পিএলএর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া চীনের সামরিক প্রযুক্তির অন্যতম বড় সরবরাহকারী চায়না ইলেকট্রনিকস করপোরেশনের সঙ্গে তানের ওয়ালডেনের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে এই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
এ ছাড়া চীনের সবচেয়ে বড় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএমআইসির অন্যতম বিনিয়োগকারী ছিলেন লিপ-বু তান। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিষ্ঠানকে এখন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে।
মাত্র এক মাস আগে ইন্টেলের নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লিপ-বু তান। ইন্টেলের জন্য তাঁর নিয়োগ নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এলেও তাঁর চীনা বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা প্রতিযোগিতার এই সময়ে তানের নিয়োগ কতটা যুক্তিসংগত, তা নিয়েও বিতর্ক চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু তানের সঙ্গে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তান কমপক্ষে আটটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন, যেগুলো সরাসরি চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে যুক্ত।
গত ১৮ মার্চ ইন্টেলের সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তান দীর্ঘদিন ধরে চীনের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করে আসছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করে—এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে থেকে তাঁর এসব বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, চীনের সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তান বর্তমানে ৪০টির বেশি চীনা কোম্পানি ও তাদের ফান্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া তিনি ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আংশিক মালিকানা রাখেন, যার অনেকগুলোর সঙ্গে চীনা সরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ মালিকানা রয়েছে।
তানের এ ধরনের বিনিয়োগ ইন্টেলের পুনরুত্থানে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন কিছু বিশ্লেষক। বিশ্বে কেবল তিনটি প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে উন্নত চিপ নির্মাণ করতে পারে—ইন্টেল, তাইওয়ানের টিএসএমসি ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। এর মধ্যে কেবল ইন্টেলই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বাস্তিল ভেঞ্চারসের পার্টনার অ্যান্ড্রু কিং বলেন, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার জন্য তান উপযুক্ত নন; বিশেষ করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
তবে কেউ কেউ মনে করেন, চীনের প্রযুক্তি খাতে তানের অভিজ্ঞতা ইন্টেলের পুনরুজ্জীবনে সহায়ক হতে পারে। বিশ্লেষক স্টেসি রাসগন বলেন, তিনি একজন কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্টেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চীনা দূতাবাস রয়টার্সের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার নামে চীনের সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় নীতিকে বিকৃত করার চেষ্টাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’
তান ১৯৮৭ সালে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকারী ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া হংকংভিত্তিক সাকারিয়া লিমিটেড ও সেইন লিমিটেড নামের দুটি হোল্ডিং কোম্পানির মালিকানা রয়েছে তাঁর হাতে। তিনি ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন।
ইন্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তান সম্ভাব্য স্বার্থ সংঘাতের বিষয়ে কোম্পানিকে জানিয়ে দিয়েছেন এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে চীনে তাঁর বিনিয়োগের বিষয়ে ইন্টেল কোনো মন্তব্য করেনি।
ওয়ালডেনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রয়টার্সকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, তান ইতিমধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠানে তাঁর মালিকানা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনেক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি এখনো সক্রিয় রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য চীনা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা অবৈধ নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ‘চায়নিজ মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স কোম্পানিজ’ তালিকায় কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নাগরিকদের বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। রয়টার্স জানিয়েছে, তানের কোনো বিনিয়োগ সরাসরি ওই নিষিদ্ধ তালিকায় নেই।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, চীনের সেনাসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চেইনে থাকতে পারে না। ইন্টেল বর্তমানে প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চিপ নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। তাই তানের চীনা সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তান চীনের চিপ ও উন্নত প্রযুক্তি খাতে অন্তত ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে পিএলএর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া চীনের সামরিক প্রযুক্তির অন্যতম বড় সরবরাহকারী চায়না ইলেকট্রনিকস করপোরেশনের সঙ্গে তানের ওয়ালডেনের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে এই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
এ ছাড়া চীনের সবচেয়ে বড় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএমআইসির অন্যতম বিনিয়োগকারী ছিলেন লিপ-বু তান। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিষ্ঠানকে এখন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে।
মাত্র এক মাস আগে ইন্টেলের নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লিপ-বু তান। ইন্টেলের জন্য তাঁর নিয়োগ নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এলেও তাঁর চীনা বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা প্রতিযোগিতার এই সময়ে তানের নিয়োগ কতটা যুক্তিসংগত, তা নিয়েও বিতর্ক চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু তানের সঙ্গে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তান কমপক্ষে আটটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন, যেগুলো সরাসরি চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে যুক্ত।
গত ১৮ মার্চ ইন্টেলের সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তান দীর্ঘদিন ধরে চীনের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করে আসছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করে—এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে থেকে তাঁর এসব বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, চীনের সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তান বর্তমানে ৪০টির বেশি চীনা কোম্পানি ও তাদের ফান্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া তিনি ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আংশিক মালিকানা রাখেন, যার অনেকগুলোর সঙ্গে চীনা সরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ মালিকানা রয়েছে।
তানের এ ধরনের বিনিয়োগ ইন্টেলের পুনরুত্থানে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন কিছু বিশ্লেষক। বিশ্বে কেবল তিনটি প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে উন্নত চিপ নির্মাণ করতে পারে—ইন্টেল, তাইওয়ানের টিএসএমসি ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। এর মধ্যে কেবল ইন্টেলই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বাস্তিল ভেঞ্চারসের পার্টনার অ্যান্ড্রু কিং বলেন, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার জন্য তান উপযুক্ত নন; বিশেষ করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
তবে কেউ কেউ মনে করেন, চীনের প্রযুক্তি খাতে তানের অভিজ্ঞতা ইন্টেলের পুনরুজ্জীবনে সহায়ক হতে পারে। বিশ্লেষক স্টেসি রাসগন বলেন, তিনি একজন কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্টেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চীনা দূতাবাস রয়টার্সের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার নামে চীনের সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় নীতিকে বিকৃত করার চেষ্টাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’
তান ১৯৮৭ সালে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকারী ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া হংকংভিত্তিক সাকারিয়া লিমিটেড ও সেইন লিমিটেড নামের দুটি হোল্ডিং কোম্পানির মালিকানা রয়েছে তাঁর হাতে। তিনি ওয়ালডেন ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন।
ইন্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তান সম্ভাব্য স্বার্থ সংঘাতের বিষয়ে কোম্পানিকে জানিয়ে দিয়েছেন এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে চীনে তাঁর বিনিয়োগের বিষয়ে ইন্টেল কোনো মন্তব্য করেনি।
ওয়ালডেনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রয়টার্সকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, তান ইতিমধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠানে তাঁর মালিকানা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনেক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি এখনো সক্রিয় রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য চীনা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা অবৈধ নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ‘চায়নিজ মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স কোম্পানিজ’ তালিকায় কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নাগরিকদের বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। রয়টার্স জানিয়েছে, তানের কোনো বিনিয়োগ সরাসরি ওই নিষিদ্ধ তালিকায় নেই।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, চীনের সেনাসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চেইনে থাকতে পারে না। ইন্টেল বর্তমানে প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চিপ নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। তাই তানের চীনা সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তান চীনের চিপ ও উন্নত প্রযুক্তি খাতে অন্তত ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে পিএলএর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া চীনের সামরিক প্রযুক্তির অন্যতম বড় সরবরাহকারী চায়না ইলেকট্রনিকস করপোরেশনের সঙ্গে তানের ওয়ালডেনের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে এই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
এ ছাড়া চীনের সবচেয়ে বড় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএমআইসির অন্যতম বিনিয়োগকারী ছিলেন লিপ-বু তান। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিষ্ঠানকে এখন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে।
মাত্র এক মাস আগে ইন্টেলের নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লিপ-বু তান। ইন্টেলের জন্য তাঁর নিয়োগ নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এলেও তাঁর চীনা বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা প্রতিযোগিতার এই সময়ে তানের নিয়োগ কতটা যুক্তিসংগত, তা নিয়েও বিতর্ক চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
১ দিন আগে
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয়...
২ দিন আগে
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
৪ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো। এরই মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা মেটাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পাশাপাশি উসকানিমূলক পোস্টের বিষয়ে অভিযোগ নিতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল আইডি চালু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, হেট স্পিচ—যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় কিংবা সহিংসতার ডাক দেয়; সেটা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ মতে দণ্ডনীয় অপরাধ। সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বানসংবলিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিষয়ে মেটাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পোস্ট সম্পর্কে সরাসরি রিপোর্ট করতে হবে। এ জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল চালু করা হয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে, নির্বাচনের আগে ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দিয়ে মানুষকে সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তারই ফলে এসব হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনা তুলে ধরে শুক্রবার মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট (পাবলিক পলিসি) সাইমন মিলনার, আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক (পাবলিক পলিসি) সারিম আজিজ ও মানবাধিকার নীতি প্রধান ফ্রেডরিক রাউস্কিকে চিঠি দেয় জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি ও বিটিআরসি। ওই চিঠিতে সহিংসতা উসকে দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলায় উসকানি দেওয়া কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান জানানো হয়।
বর্তমানে দেশে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ চলছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘দুঃখজনকভাবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে, ফেসবুক ব্যাপক সহিংসতা উসকে দেওয়া, ভীতি প্রদর্শন এবং আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করার আহ্বানের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে থাকা বাংলাদেশে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সহিংসতা উসকে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং বাস্তবে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব উসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যু এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা।’
অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং আরেকটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট, পেজ ও চ্যানেল নিষ্ক্রিয় করতে এর আগে একাধিকবার মেটাকে অনুরোধ জানিয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু মেটা সে সব অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেনি। শুক্রবার পাঠানো চিঠিতে সে বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
চিঠির সঙ্গে সহিংসতা ও হামলার আহ্বান জানানো কিছু ফেসবুক পোস্টের তালিকা সংযুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে অভিযোগ করে বলা হয়, এসব কনটেন্ট সম্পর্কে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রিপোর্ট করা হলেও, ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ সময়মতো বা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। এসব পোস্টের অব্যাহত উপস্থিতি ও বিস্তার সহিংসতায় ভূমিকা রেখেছে, যার মধ্যে গণমাধ্যম ভবন ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও রয়েছে।
সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট ডাউন করতে, অর্থাৎ সরিয়ে দিতে পারে না। সরকার শুধু যৌক্তিক কারণ তুলে ধরে সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কাছে তুলে ধরতে পারে। তাই সরকার সহিংসতার উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য দিতে ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। এখন থেকে ০১৩০৮৩৩২৫৯২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং [email protected] ই-মেইলে উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য দেওয়া যাবে। এসব তথ্য বিটিআরসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পাঠানো হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে একটা পক্ষ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে মানুষকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার একধরনের প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো। এরই মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা মেটাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পাশাপাশি উসকানিমূলক পোস্টের বিষয়ে অভিযোগ নিতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল আইডি চালু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, হেট স্পিচ—যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় কিংবা সহিংসতার ডাক দেয়; সেটা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ মতে দণ্ডনীয় অপরাধ। সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বানসংবলিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিষয়ে মেটাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পোস্ট সম্পর্কে সরাসরি রিপোর্ট করতে হবে। এ জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল চালু করা হয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে, নির্বাচনের আগে ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দিয়ে মানুষকে সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তারই ফলে এসব হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনা তুলে ধরে শুক্রবার মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট (পাবলিক পলিসি) সাইমন মিলনার, আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক (পাবলিক পলিসি) সারিম আজিজ ও মানবাধিকার নীতি প্রধান ফ্রেডরিক রাউস্কিকে চিঠি দেয় জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি ও বিটিআরসি। ওই চিঠিতে সহিংসতা উসকে দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলায় উসকানি দেওয়া কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান জানানো হয়।
বর্তমানে দেশে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ চলছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘দুঃখজনকভাবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে, ফেসবুক ব্যাপক সহিংসতা উসকে দেওয়া, ভীতি প্রদর্শন এবং আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করার আহ্বানের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে থাকা বাংলাদেশে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সহিংসতা উসকে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং বাস্তবে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব উসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যু এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা।’
অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং আরেকটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট, পেজ ও চ্যানেল নিষ্ক্রিয় করতে এর আগে একাধিকবার মেটাকে অনুরোধ জানিয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু মেটা সে সব অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেনি। শুক্রবার পাঠানো চিঠিতে সে বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
চিঠির সঙ্গে সহিংসতা ও হামলার আহ্বান জানানো কিছু ফেসবুক পোস্টের তালিকা সংযুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে অভিযোগ করে বলা হয়, এসব কনটেন্ট সম্পর্কে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রিপোর্ট করা হলেও, ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ সময়মতো বা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। এসব পোস্টের অব্যাহত উপস্থিতি ও বিস্তার সহিংসতায় ভূমিকা রেখেছে, যার মধ্যে গণমাধ্যম ভবন ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও রয়েছে।
সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট ডাউন করতে, অর্থাৎ সরিয়ে দিতে পারে না। সরকার শুধু যৌক্তিক কারণ তুলে ধরে সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কাছে তুলে ধরতে পারে। তাই সরকার সহিংসতার উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য দিতে ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। এখন থেকে ০১৩০৮৩৩২৫৯২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং [email protected] ই-মেইলে উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য দেওয়া যাবে। এসব তথ্য বিটিআরসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পাঠানো হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে একটা পক্ষ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে মানুষকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার একধরনের প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু তানের সঙ্গে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তান কমপক্ষে আটটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ...
১১ এপ্রিল ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয়...
২ দিন আগে
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
৪ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেটাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
গতকাল শুক্রবার মেটার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও ফেসবুকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার করে বড় ধরনের সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও আসন্ন নির্বাচন বানচালের ডাক দেওয়া হচ্ছে, যা জনজীবনে সহিংসতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ভিন্ন মতাদর্শের কিছু ব্যক্তি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে প্রকাশ্যে এই মৃত্যুকে সমর্থন জানিয়েছে, যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। আবার কেউ কেউ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছে। এসব উসকানিমূলক প্রচারণার পরই দেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার ও দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম হুমকির মুখে পড়ে এবং জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।
বিটিআরসির অভিযোগ, উসকানিমূলক কনটেন্ট সরাতে বা ব্লক করতে দেরি করছে মেটা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেটা যে সময় নিচ্ছে, এর মধ্যে ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে আরও সহিংসতা ছড়ানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
মেটার কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সময়মতো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে চিঠিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিটিআরসি।
একই সঙ্গে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় চিঠিতে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-সম্পর্কিত কনটেন্টের ক্ষেত্রে কমিউনিটি গাইডলাইন আরও কঠোর, দ্রুত ও প্রাসঙ্গিকভাবে প্রয়োগ করা; বাংলা ভাষার কনটেন্টে নজরদারি জোরদার করা এবং অভিযোগ ওঠা কনটেন্টের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেটাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
গতকাল শুক্রবার মেটার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও ফেসবুকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার করে বড় ধরনের সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও আসন্ন নির্বাচন বানচালের ডাক দেওয়া হচ্ছে, যা জনজীবনে সহিংসতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ভিন্ন মতাদর্শের কিছু ব্যক্তি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে প্রকাশ্যে এই মৃত্যুকে সমর্থন জানিয়েছে, যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। আবার কেউ কেউ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছে। এসব উসকানিমূলক প্রচারণার পরই দেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার ও দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম হুমকির মুখে পড়ে এবং জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।
বিটিআরসির অভিযোগ, উসকানিমূলক কনটেন্ট সরাতে বা ব্লক করতে দেরি করছে মেটা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেটা যে সময় নিচ্ছে, এর মধ্যে ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে আরও সহিংসতা ছড়ানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
মেটার কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সময়মতো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে চিঠিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিটিআরসি।
একই সঙ্গে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় চিঠিতে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-সম্পর্কিত কনটেন্টের ক্ষেত্রে কমিউনিটি গাইডলাইন আরও কঠোর, দ্রুত ও প্রাসঙ্গিকভাবে প্রয়োগ করা; বাংলা ভাষার কনটেন্টে নজরদারি জোরদার করা এবং অভিযোগ ওঠা কনটেন্টের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু তানের সঙ্গে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তান কমপক্ষে আটটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ...
১১ এপ্রিল ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
১ দিন আগে
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
৪ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু তানের সঙ্গে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তান কমপক্ষে আটটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ...
১১ এপ্রিল ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
১ দিন আগে
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয়...
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু তানের সঙ্গে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তান কমপক্ষে আটটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ...
১১ এপ্রিল ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
১ দিন আগে
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয়...
২ দিন আগে
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
৪ দিন আগে