Ajker Patrika

এআই–এর হাত ধরে নতুন যুগে ইউটিউব, যুক্ত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ডাবিং

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউটিউব নির্মাতাদের জন্য এমন এআই টুল আনছে যা ভিডিও আইডিয়া তৈরি, সম্পাদনা, মার্কেটিং এবং অ্যানালিটিক্সেও সহায়তা করবে। ছবি:সংগৃহীত
ইউটিউব নির্মাতাদের জন্য এমন এআই টুল আনছে যা ভিডিও আইডিয়া তৈরি, সম্পাদনা, মার্কেটিং এবং অ্যানালিটিক্সেও সহায়তা করবে। ছবি:সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবেশ করেছে। এআই যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে প্ল্যাটফর্মটিতে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসা হবে। এমনকি ইউটিউবে যুক্ত হতে পারে স্বয়ংক্রিয় ডাবিংও। তবে এসব এআই ভিত্তিক ফিচারগুলো তৈরি হবে কনটেন্ট নির্মাতাদের ডেটার ওপর, যা নিয়ে বেশ সমালোচনা রয়েছে। এভাবে এআই–এর হাত ধরে ইউটিউব, কীভাবে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে তার ওপর আলোকপাত করেছেন ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক বার্গেন।

মিশরের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার ফারাহ মেধাতের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেন ইউটিউবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমজাদ হানিফ। মেধাতের ভিডিওগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার দর্শকের কাছেও জনপ্রিয়। হানিফ আশাবাদী, খুব শিগগিরই ইউটিউবের এআই প্রযুক্তি মেধাতকে কোরীয় ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলাতে সক্ষম হবে। তিনি আশা করছে—ভবিষ্যতে প্রতিটি ইউটিউব ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব ভাষায় অনুবাদ ও ডাব করা সম্ভব হবে, এমনকি ভিডিওতে কথা বলার সময় ঠোঁটও যেন ভাষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নড়ে।

হানিফ জানান, ইউটিউব নির্মাতাদের জন্য এমন এআই টুল আনছে যা ভিডিও আইডিয়া তৈরি, সম্পাদনা, মার্কেটিং এবং অ্যানালিটিক্সেও সহায়তা করবে।

২০০৫ সালে সহ–প্রতিষ্ঠাতা জাওয়েদ করিমের মাত্র ১৯ সেকেন্ডের এক ভিডিও দিয়ে যাত্রা শুরু করে ইউটিউব। আজ এটি বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের আয়ের উৎস, বিনোদনের মাধ্যম ও মিডিয়া পাওয়ার হাউস।

তবে ইউটিউব ও নির্মাতাদের সম্পর্ক বরাবরই কিছুটা অস্বস্তিকর। নির্মাতাদের কোনো পরামর্শ গ্রহণ না করেই প্ল্যাটফর্মটি নীতিমালা, কপিরাইট ও আয়ের কৌশল ঠিক করে। তবুও এখন ইউটিউব বলছে, এআই নির্মাতাদের জন্য আরও বেশি ক্ষমতা এনে দেবে। এ ছাড়া গুগলের এআই মডেল ‘জেমিনি’ ইউটিউব নির্মাতাদের কনটেন্ট দিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে—তাদের অনুমতি ছাড়াই।

আয় ও আধিপত্য

ইউটিউব এখন তার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবস্থানে রয়েছে। স্পটিফাই, টিকটক ও বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের তীব্র প্রতিযোগিতার মাঝেও ইউটিউব গত বছর বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেছে ৩৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার এবং সাবস্ক্রিপশন ও অন্যান্য উৎস থেকে আরও ১৮ বিলিয়ন ডলার। গবেষণা প্রতিষ্ঠান মফেটনাথানসনের অনুমান অনুযায়ী, সাবস্ক্রিপশন ও অন্যান্য উৎস থেকে আরও ১৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে ইউটিউব। প্রতিষ্ঠানটি আরও পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী বছর ইউটিউব রাজস্ব আয়ের দিক থেকে ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানিকে ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বিনোদন কোম্পানিতে পরিণত হবে।

নেতৃত্ব বদল হলেও ইউটিউবের সাফল্যের গতি কমেনি। ২০২৩ সালের শুরুতে সুসান উজিসকি সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করার পর নীল মোহন ইউটিউবের দায়িত্ব নেন। নীল মোহন ইউটিউবের হাল ধরার পর পডকাস্ট, টিভি এবং মিডিয়া জগতে ইউটিউবের উপস্থিতি আরও দৃঢ় হয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার প্রচার করে পডকাস্টে ইউটিউবের একচেটিয়া অবস্থান নিশ্চিত করেছেন মোহন।

চলতি বছরের শুরুতে ইউটিউব ঘোষণা করেছে যে, প্রতি মাসে এক বিলিয়ন মানুষ প্ল্যাটফর্মে পডকাস্ট শোনেন, যা স্পটিফাইয়ের তুলনায় তাদের আধিপত্য আরও দৃঢ় করেছে।

টিভিতে ইউটিউব দেখা বাড়ানোকে আরেকটি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে নির্ধারণ করেছেন মোহান। সম্প্রতি এনএফএল-এর সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে এবং এমনকি প্রতিযোগী স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোকে ইউটিউব অ্যাপে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তিনি বড়-ইউটিউবারদের, যেমন রেট এবং লিংক–এর এমি পুরস্কার প্রচারাভিযানকেও সমর্থন করেছেন।

মিথিক্যাল এন্টারটেইনমেন্টের প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান ফ্লানাগান বলেছেন, ইউটিউবের লক্ষ্য হলো একেবারে টিভির মতো প্রতিষ্ঠিত হওয়া, যেখানে রেটিং, মুনাফা, পুরস্কার এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব—এসব সবকিছুই টিভির মতো গুরুত্ব পাবে।

এআই যুগ

২০২২ নালে চ্যাটজিপিটির আগমনের পর থেকেই শুরু হয়েছে জেনারেটিভ এআই-এর জোয়ার। এখন খুব সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে ছবি, ভিডিও, এমনকি কণ্ঠের নকলও। নতুন এআই টুলগুলো এখন মানুষকে দ্রুত এবং সস্তায় কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করছে, ফলে ইন্টারনেট ভরে গেছে বিশ্বাসযোগ্য নকল ও ডিপফেক কন্টেন্টে। তবে হলিউড এখনো জেনারেটিভ এআইকে স্বাগতম জানায়নি। কারণ এআইয়ের মাধ্যমে ড্রেকের নকল কণ্ঠ দিয়ে মিউজিক তৈরি করা হয় যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এটি মানুষের ইনটেলেকচুয়াল কনটেন্ট চুরির পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হয়েছিল।

এদিকে গুগলও নিজেকে পুনর্গঠিত করেছে। ভিডিও-ভিত্তিক এআই কনটেন্টের যুগ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি রয়েছে গুগলের। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব ভিডিও এআই টুল ভিও চালু করেছে, যা প্রম্পটের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করতে পারে। এটি ওপেনএআইসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ প্রযুক্তির মতো। তবে গুগলের এক বিশাল সুবিধা আছে। সেটি হলো—ইউটিউব। নির্মাতারা যদি প্রতিযোগী এআই টুল ব্যবহার করেও ভিডিও তৈরি করেন, তবুও তা প্রকাশের জন্য ইউটিউবই তাঁদের প্রথম পছন্দ হবে। এভাবেই শেষ পর্যন্ত গুগলই জিতে যায়।

জেনারেটিভ এআই-নির্ভর কনটেন্টের নতুন ঢেউ সামাল দিতে গিয়ে ইউটিউবও অন্যান্য ওয়েব প্ল্যাটফর্মের মতো কনটেন্টপ্রবাহ বজায় রাখার চেষ্টা করছে, পাশাপাশি কপিরাইট সমস্যা মোকাবিলা করছে। তবে এখানে ইউটিউবের একটি বড় সুবিধা রয়েছে। তারা প্রায় দুই দশক ধরে তারা পরিচালনা করছে ‘কনটেন্ট আইডি’ নামে একটি বিস্তৃত সফটওয়্যার সিস্টেম, যা ভিডিওতে কপিরাইটযুক্ত উপাদান শনাক্ত করতে পারে এবং যা মূলত হলিউড ও সংগীত শিল্পকে সন্তুষ্ট করেছে।

জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার বিস্তৃত হওয়ার পর ইউটিউব তার অংশীদারদের আশ্বস্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তারা ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ এনভি এবং ক্রিয়েটিভস আর্টিস্টিক এজেন্সি এলএলসি-এর সঙ্গে চুক্তি করে, যাতে প্ল্যাটফর্মে সংগীতশিল্পী, ক্রীড়াবিদ এবং অভিনেতাদের অননুমোদিত এআই-নির্মিত কনটেন্ট পর্যবেক্ষণ করা যায়।

সম্প্রতি ইউটিউব কিছু শীর্ষস্থানীয় ইউটিউবারকেও এই ‘ডিপফেক’ সুরক্ষা উদ্যোগে যুক্ত করেছে। সিএএএ এর স্ট্র্যাটেজিক ডেভেলপমেন্ট প্রধান আলেক্সান্দ্রা শ্যানন বলেন, প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলো ডিপফেক মোকাবিলায় নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে ‘ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে, এটা আমি নিশ্চিতভাবেই বলব।

তবে সবচেয়ে বড় বিতর্কের বিষয়—চুপিচুপি নির্মাতাদের ভিডিও দিয়ে এআই মডেলগুলোর প্রশিক্ষণ। তবে ইউটিউব এটি স্পষ্টভাবে কখনো বলেনি। ওপেনএআই-র সোরা চালু হওয়ার পর এ বিতর্ক আরও বেড়েছে। ২০১৭ সাল থেকে প্রতি মিনিটে ৪০০ ঘণ্টার বেশি ভিডিও ইউটিউবে আপলোড হচ্ছে, যা এআই প্রশিক্ষণের জন্য একটি মূল্যবান উৎস।

ওপেনএআই এবং অন্যান্য কোম্পানিগুলি ইউটিউবের ভিডিও ডেটা ব্যবহার করলেও, ইউটিউব স্পষ্টভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ী, ভিডিও আপলোড করার সময় ইউটিউবকে সেই ভিডিও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। গুগলের সিইওর ভাষ্য—‘আমরা ইউটিউবের নিয়ম মেনেই কনটেন্ট ব্যবহার করি। গুগল নিজেও ইউটিউবের ভিডিও ব্যবহার করেছে তার এআই মডেল জেমেনি প্রশিক্ষণের জন্য। তবে নির্মাতারা বলছেন, তখন তো এসব এআই প্রযুক্তি ছিলই না।

নতুন বাজার, নতুন সম্ভাবনা

গুগল তাদের মিডিয়া পার্টনারদের কনটেন্ট ব্যবহার না করলেও সাধারণ নির্মাতাদের কনটেন্ট ব্যবহার করেছে। এ নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও ইউটিউব জানিয়েছে—এআই ফিচার পেতে হলে এই লেনদেনে রাজি থাকতে হবে। নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ, ভয়েস ক্লোন, মন্তব্যের উত্তর দেওয়া ও অ্যানালাইটিকস বিশ্লেষণ।

ইতিমধ্যে ইউটিউব ডাবিং টুল দিয়ে হাজার হাজার ভিডিও একাধিক ভাষায় উপস্থাপন করছে, যেখান থেকে ৪০ শতাংশ ভিউ আসে অনুবাদিত ভাষা থেকে। পরবর্তী ধাপে কণ্ঠস্বর ক্লোনিং ও ঠোঁট মেলানোর ফিচার আনা হবে।

মিস্টার বিস্টের মতো ইউটিউবাররা ইতিমধ্যে নিজস্ব ডাবিং টিম গড়ে তুলেছে। তবে ইউটিউব এটি বিনা মূল্যে দিতে চায়, যেন সবাই নিজের সৃজনশীলতা তুলে ধরতে পারে।

তবে সবাই এআইকে সাদরে গ্রহণ করছে না। কেউ কেউ বলছে, ডাবিং করলে ইংরেজি ভাষার দর্শক হারায়, ফলে বিজ্ঞাপনী আয়ও কমে যেতে পারে। আবার অনেকে এআই ব্যবহারকে নির্মাতাদের সৃজনশীলতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলেই মনে করেন।

এদিকে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে আগেই ভরে গেছে এআই-নির্ভর ‘ফেসলেস’ (চেহারাবিহীন) চ্যানেলে। অনেকেই ভুয়া মুভি বা সিরিজের ট্রেলার, ক্লিপ আর ডাব করা ভিডিও বানিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। ইউটিউব সম্প্রতি কিছু চ্যানেলের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিলেও তাদের ভিডিও পোস্ট বন্ধ করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুগলের নতুন এআই টুল

টি এইচ মাহির 
গুগলের নতুন এআই টুল

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

google

ডিসকো

ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।

এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।

ভাইব কোডিং

গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

mixboard

মিক্সবোর্ড

গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা

ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।

গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।

সূত্র: গুগল ব্লগ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

ফিচার ডেস্ক
বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ

বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।

কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি

গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা

২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।

গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।

মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।

ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি

ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।

ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।

ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।

স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।

উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।

আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।

সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়

এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।

আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।

এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।

ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ

দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।

সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

ফিচার ডেস্ক
ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।

ইউআরএল দেখুন

ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।

ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন

একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।

লোগো ও ডিজাইন দেখুন

অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।

অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন

অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।

ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন

যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।

সূত্র: ডিজিসার্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত